![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am tired of being strong
বাঙালীর না নাচলে ভাতও হজম হয়না, হাগুও ক্লিয়ার হয়না। খেলার মাঠে পতাকা ওড়ানোর মত একটা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দিনের পর দিন নাচতে নাচতে আকাশ মাটি একাকার অবস্থা।
পীযুস ব্যানার্জি একজন অত্যন্ত সজ্জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আপনাদের লাফালাফির ছিরি দেখলে মনে হয় তাকে অপমান করাই একমাত্র উদ্দেশ্য। হয়তো তার সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়াটাই কারো কারো গা জ্বলার কারণ। মালাউনকে এক হাত দেখে নেয়ার এ সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করছেননা। একজন দর্শক কোন একটা দেশের ক্রিকেট দলকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে সে দেশের পতাকা প্রদর্শন করেছেন। এতে কী এমন হয়েছে? কিন্তু অতিউৎসাহীদের হৈ হৈ রৈ রৈ দেখে মনে হয় দেশের সার্বভৌমত্বই বুঝি বিক্রি হয়ে গেছে। কই, ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার পতাকা দিনের পর দিন সারা দেশে উড়লেও দেখি কারো কনামাত্র ভাবান্তর হয়না। আসল কথা হল হিন্দু, ভারত এসব শব্দকে সহজভাবে নেয়ার মত কলিজা এখনো অনেকেরই তৈরি হয়নি। হয়তোবা মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তান প্রীতির একটু ভিন্ন ধাঁচের বহি:প্রকাশ।
ভদ্রলোকের মত সবাই আঈনের দোহায় দিচ্ছে। আপনার যদি মনে হয় আঈন লঙ্ঘন হয়েছে, তবে আদালতে যান। খামোখা সামাজিক সাইটগুলোর জায়গা নষ্ট করছেন কেন? সেটাতো করবেননা। আঈনের প্রতি ভালবাসা দেখাবেন, আদালত পর্যন্ত যেতে পারবেননা; আপনাদের এ ভালবাসা বেশ বুঝি। এসবতো আঈনের প্রতি ভালবাসা নয়, তলে তলে অন্য কোন ভালবাসা।
এসব ভালবাসার সময় পার হয়ে গেছে। যাদেরকে মালাউন বলে গালি দিয়ে তৃপ্তি পান, এদেশে এখন তাদেরও মন খুলে চলার অধিকার আছে। আপনার পছন্দ না হয়, প আদ্যক্ষরের কোন দেশে চলে যেতে পারেন। সেখানে আপনার জন্য আছে ইচ্ছেমতো মালাউনকে আর ভারতকে গালি দিয়ে দিয়ে নাচার স্বাধীনতা এবং অবারিত সুযোগ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৫
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: সারা বাংলাদেশে প্রতিদিন কত হাজার পতাকা তৈরি হয় আপনি জানেন? আমিও জানিনা। ব্যবহারের পর এ পতাকাগুলো কী কাজে লাগে? কত মানুষ ঘর মোছে, ডাস্টবিনে ফেলে দেয়- আরো কত কী করে? আপনি কি সবাইকে গিয়ে ধরবেন? তাছাড়া কুকুরের গায়ে না জড়িয়ে বিড়ালের গায়ে জড়ালে কী বলতেন? এরকম সমালোচনা নিশ্চয়ই করতেননা। কুকুরকে এতো ঘৃণা করা কে শেখাল আপনাদের?
আপনি প্রমান করলেন, পাকিস্তান অনেকের কাছেই বড় ভালবাসার ধন।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০০
পথহারা নাবিক বলেছেন: আপনার পছন্দ না হয়, প আদ্যক্ষরের কোন দেশে চলে যেতে পারেন। সেখানে আপনার জন্য আছে ইচ্ছেমতো মালাউনকে আর ভারতকে গালি দিয়ে দিয়ে নাচার স্বাধীনতা এবং অবারিত সুযোগ।
ভাই দেশে কি সেই সুযোগ নেই!! আহা!!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১১
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: আপনার কি খুব ইচ্ছে যে বাংলাদেশে সে সুযোগ থাকুক? এদেশের এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মাবলম্বীদের গালি দিক, আঘাত করুক। যদি উদার হন তাহলে নিশ্চয়ই চাননা।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৩
ভোরের সূর্য বলেছেন: ভাই হিন্দু,মুসলিম বলে কোন কথা না।আজকে ওখানে পীযূষের জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও কিন্তু কথা উঠতো। বিশেষ করে অন্য দেশের পতাকা নিয়ে বেশী হইচই শুরু হয় পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানো নিয়ে কারণ ভারত-পাকিস্তান খেলার দিন কয়েক হাজার বাংলাদেশী পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রদর্শন করেছিল। তার পরে পরেই বিতর্কটা বেশী উঠে।
আপনি বা আমি যেকোন দেশের সাপোর্টার হতে পারি,উল্লাস করতে পারি কিন্তু অন্য দেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করাটা অনেক সেনসেটিভ বিষয়।পতাকা আসলে আমাদের একটা পরিচয় বা আইডেন্টিটি।
আর সবচেয়ে বড় কথা হল বাংলাদেশে আমাদের জাতীয় পতাকার ব্যবহার এবং অন্য দেশের জাতীয় পতাকা ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট আইন আছে এবং সেই আইন বলে জয়শ্রী আইন টা ভেঙ্গেছেন। হ্যা,এটাও ঠিক যে ফুটবল বিশ্বকাপে অন্য দেশের পতাকা আমাদের দেশে ওড়ানো হয় সেটাও আইনত ঠিক না। কিন্তু একটা ব্যাপার হল আমরা সাধারণ আমজনতা একটা ভুল করি কিন্তু দেশের অত্যন্ত সজ্জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যদি ভুলটা করে সেটা আমাদের সবার খুব বেশী চোখে পড়ে যায়।কারণ তাদের কাছ থেকে আমরা সবসময় দায়ীত্বশীল আচরণ আশা করি এবং আমরা ফলো করি তারা কি করছে না করছে।
যাই হোক,আমি হিন্দু-মুসলিম বা মালাউনের কথা সব কিছু বাদ দিলাম কিন্তু বাংলাদেশের পতাকা আইনে তারা আইন ভঙ্গ করে অপরাধ করেছেন।যদিও আমি বিশ্বাস করি যে আইন দিয়ে বা লাখো মানুষ জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে মনে প্রানে দেশ প্রেম আনা যায় না। কিন্তু প্রচলিত আইন ভঙ্গ করাটা অবশ্যই অপরাধ। আপনার জানার জন্য বাংলাদেশের পতাকা আইনের শুধু বিদেশী পতাকা ব্যবহারের নিয়মাবলীটা তুলে দিলাম।
9. Use of Foreign Flags in Bangladesh.
I. ‘National Flags’ of foreign countries can be flown on the Chancery building (s) of Diplomatic Missions as well as on Consular Offices in Bangladesh, Heads of Diplomatic Mission may, in addition, fly their ‘National Flags’ on their official residence as well as on their cars.
II. Foreign dignitaries of the following categories can fly their personal standards or the National Flags of their respective countries, in case they have no personal standards, on the place of their residence and on their cars, on State visit to Bangladesh:
(a) Heads of States.
(b) Visiting Prime Ministers.
(c) Ministers of Foreign Governments.
III. In case, on occasions such as the National days a Foreign Mission in Bangladesh holds as social function in a place other than the Chancery or the residence of the Heads of the Mission, it may fly its National Flag there, provided that the ‘Bangladesh Flag’ is flown alongside and is accorded the place of honour.
Note-The privileges cited in Rules above will apply only in case of those countries which offer similar concessions to the People’s Republic of Bangladesh on reciprocal basis.
IV. Except as stated in the above Rules, the flag of a Foreign State shall not be flown on any car or building in Bangladesh without the specific permission of the Government of the People’s Republic of Bangladesh.
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৩
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: মেলা আইনের কথা লিখেছেন। এতোটা পড়ার ধৈর্য পাইনি। তবে আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করে থাকবেন যে আমি ঘটনাটাকে আঈনসিদ্ধ বলিনি। ব্রাজিল আর্জেন্টিনার উদাহরণ দিয়ে বলতে চেয়েছি এ আঈন অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করাটা আমাদের চর্চার মধ্যে নেই। কিন্তু হঠাৎ পীযুসের বউয়েরটা আমাদের একেবারে কলিজা পুড়িয়ে দিচ্ছে। এ কারণেই প্রশ্ন জাগে, রহস্যটা কী?
আঈন লঙ্ঘনের সমালোচনা হওয়া উচিত। একই আঈনের লঙ্ঘন যতবার ঘটে ততবার সমান প্রতিক্রিয়া হওয়া স্বাভাবিক। কারো কারো ক্ষেত্রে খুব বেশি হওয়া অস্বাভাবিক।
আপনি বলেন সেলিব্রেটি। পীযুসের বউ সেলিব্রেটি নয়। আপনি আমি কেউ তাকে চিনতামনা। কিছু মানুষ হঠাত করেই আদা জল খাইয়া সত্তর হাত গর্ত খুঁড়িয়া তাহার পরিচয় উন্মোচন করিয়া তাহাকে সেলিব্রেটি বানাইয়া হই হই করিতেছে।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনার মন্তব্য পরে মনে হল যে আপনি আইনের সাথে সাথে আমার মন্তব্যটাও পুরোপুরি পড়েন নি। আবার খুব বড়াই করে বলছেন যে আপনার ধৈর্য নাই পড়ার।
যিনি কিছু না পড়েই মন্তব্য করেন সেটাকে আর কি বলবো।আপনি যখন কিছু অভিযোগ করবেন তখন আপনাকে খুব ভালভাবে জেনে শুনে তবেই মাঠে নামতে হবে।আমি আপনার লেখা লাইন টু লাইন পড়েছি এবং ঠিক লাইন টু লাইন মন্তব্য করেছি। আরো মজা লাগলো যে আপনি পীযূষের বউ জয়শ্রী কে চেনেন না।আশা করবো আরো ভাল জেনে শুনে আপনি মন্তব্য করবেন।না জেনে অহেতুক মন্তব্য করলে সেই লেখার গুরুত্ব অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৪
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: আচ্ছা, বলুনতো! জয়শ্রী সম্পর্কে আপনি কী কী জানেন? আমার বন্ধু বান্ধব শুধু এতটুকু জানে যে জয়শ্রী পীযুসের বউ। এটাও তারা জেনেছে পতাকা কাহিনী থেকে। এ জন্যই বলেছিলাম জয়শ্রী সেলিব্রেটি নয়। কিন্তু আপনার কথায় মনে হল যে, আমার ধারণা ভুল। জয়শ্রী আগে থেকেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে সুপরিচিত।
আপনি আপনার মন্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন, জয়শ্রী যা করেছে তা পতাকা আঈনের সরাসরি লঙ্ঘন। আমি এর উত্তরে বলেছি- আমিও জয়শ্রীর ভারতীয় পতাকা ওড়ানোকে আইনসিদ্ধ বা বৈধ মনে করিনা। আপনি বলেছেন ফুটবল বিশ্বকাপের সময় অন্য দেশের পতাক যে ওড়ে তাও আইনের লঙ্ঘন। আমি এজন্যই বলেছি তখন আইন লঙ্ঘন নিয়ে যতটা না মাতামাতি হয় জয়শ্রীর ক্ষেত্রে তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি হচ্ছে। কিন্তু আপনার মনে হয়েছে আমি আপনার লেখা না পড়েই মন্তব্য করেছি। আপনার মন্তব্যের কোন পয়েন্ট যদি আমি ধরতে ব্যর্থ হই, দেখিয়ে দিন- আমি সে ব্যপারেও আমার ভাবনা জানাব।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২০
বাংলার নেতা বলেছেন: আসল কথা হল হিন্দু, ভারত এসব শব্দকে সহজভাবে নেয়ার মত কলিজা এখনো অনেকেরই তৈরি হয়নি।
লাইক+
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫১
পান্থজ০০৭ বলেছেন: ঘোড়ার ডিম পোষ্ট।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪২
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: আমারও মনে হয় ঘোড়ার ডিম পোস্ট
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে এটা বুঝলাম আপনিও ভারতের সমর্থক তাই আপনার এত গায়ে লাগছে।
আমাদের সমস্যা কি জানেন আমরা বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কারও পছন্দ করিনা। তাই যারা বাংলাদেশী বলে পরিচয় দিয়ে অন্য দেশের দালালি করে তাদের দেখলে আমাদের গায়ে জ্বলে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কাউরে পছন্দ করবেননা। এইটা কি একটা সংকীর্ণতা নয়? এখন কি হিটলারের মত নিজের জাতিকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি মনে করার যুগ আছে? এখন কি নিজের বংশ ছাড়া অন্য বংশের রক্তকে অপবিত্র মনে করার বর্ণবাদী মনস্তত্ব যুক্তির নিরিখে একটুও টেকে?
আমি ভারত কেন, সাউথ আফ্রিকা বা মৌরতানিয়ার ভাল কিছু নিয়েও কথা বলতে পারি। আপনিতো আমাকে সে দেশের দালাল মনে করবেন। আর আপনার গা জ্বলবে। আপনারাতো পুরা অঙ্গার। একটু বাতাস লাগলেই ধাঁ কইরা জ্বইলা উঠেন। পুড়তে থাকেন।
বাই দ্য ওয়ে, আমার স্ট্যাটাসে আমি ভারতের পক্ষে কিছু বলিনি। কী বলেছি সেটা আরেকবার বললে তিনবার বলা হয়ে যাবে।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
বাংলার ঈগল বলেছেন: জাতীয় পতাকা অবমাননাকারী পীযূস-আর জয়শ্রী (যার কোন শ্রী নাই) জন্য আপনার এত পুড়ে কেন?
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: আমার পুড়ে কারণ আমার মনে হয় তেনার শ্রী আছে। আমি একটু লুল আছিতো- তাই এই লাস্যময়ী ললনার জন্য আমার পুড়ছে। পছন্দ হয়েছে? না হলে অন্য কারণ বলি। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী গোয়েন্দা সংস্থা 'র' আমাকে প্রতি মাসে মাসোহারা দেয়। তার বিনিময়ে আমি বাংলাদেশের মাটিতে ভারতমাতার স্বার্থোদ্ধারে সদা সচেষ্ট থাকি। এ উত্তরটাও পছন্দ হয়নি? তাইলে মনে করেন, আমি হিন্দু, আওয়ামীলীগ, গোপালগঞ্জ, ভারত এগুলোকে খুব ভালবাসি। আপনার উত্তর নিশ্চয়ই পেয়েছেন। এর চেয়ে যুক্তিপূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য কিছু আমার কাছে নেই, জনাব।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫১
মুদ্দাকির বলেছেন:
১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০০
লুজার ম্যান বলেছেন:
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৫
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: ও...ইয়া!
১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
আপনেরে কি বলব।
আমি লজ্জিত। আগে ভাবছিলা পিজুস আর জয়া দুইজনই বুঝি এই দেশে আছে।
এখন দেখি আরেক জন বেড়ে গেলো
১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪২
নেবুলাস বলেছেন: ভাই খালি হিন্দু হিন্দু করেন কেন? এখানে পীযুশের বউকে একজন বাংলাদেশী হিসেবে সমালোচনা করা হচ্ছে। সে হিন্দু না মুসলমান এটা মূখ্য নয়। পীযুশ এদেশের সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব। ওনারা দেশের অনেকেরই মডেল। ওনাদের কাছ থেকে এইরকম কাজ আশা করা যায় না।
১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫০
লুজার ম্যান বলেছেন: ও...ইয়া! বলে লাভ কি? কুত্তার গায়ে জাতীও পতাকা কে মাইনা নিবে? সবাই ক্ষেপে যাবে আপনার মত দুই একজন ছাড়া ।
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫২
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: ভারতের ‘টেস্ট কেস’ ও জয়শ্রী’র পতাকা নাটক
★★★★★★★★★★★★★★★★★
‘টেস্ট কেস’ মানে বুঝেন?? কোন ঘটনা ছোট পরিসরে পরীক্ষা স্বরূপ ঘটানো এবং তার প্রতিক্রিয়া দেখে বড় কোন উদ্যোগ গ্রহণ নেয়া। কারণ হঠাৎ করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোন বড় কাজ করলে তাতে যে কোন অজানা কিছু ঘটে যেতে পারে, তাই প্রথমে এ ‘টেস্ট কেস’। মূলত দেশে-বিদেশে প্রতিনিয়ত অসংখ্য টেস্ট কেস’র ঘটনা ঘটছে, যা কোনটাই সাধারণ মানুষের ধারণার মধ্যে নেই। যেমন ধরুন:
১) আমেরিকা কোন মুসলিম দেশে আক্রমনের টার্গেট নিয়েছে। এখন ঐ দেশে প্রথমে তার কোন এজেন্ট দ্বারা ইসলাম অবমাননা করা হয়। তারপর তার প্রতিক্রিয়া দেখা হয়। যদি দেখা যায়, মুসলমানরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছে, তবে বুঝতে হবে মুসলমানদের ঈমানী জজবা বিদ্যমান আছে, তাই এখনই আক্রমণ করা যাবে না। আর যদি কোন প্রতিবাদ না হয়, তবে বুঝতে হবে মুসলমানদের ঈমানী জজবা নেই, তাদের আক্রমণ করলে সহজেই পরাস্ত করা সম্ভব।
২) সরকার পর্দা বিরোধী কোন আইন পাশের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য প্রথমে কয়েকজন মন্ত্রী বা এমপিকে দিয়ে পর্দা বিরোধী বক্তব্য দেওয়ানো হবে। যদি বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় তবে আপাতত আইন পাশ বন্ধ, আর যদি প্রতিক্রিয়া না হয় তবে আইন পাশ করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য সম্প্রতি এফডিসি’র এমডি পীযুষের স্ত্রী জয়শ্রী কর জয়া’র পতাকা সংক্রান্ত ঘটনা তুলে ধরা। কেউ যদি ভাবে, জয়শ্রীর এ ঘটনা (প্রথমে কুকুরের গায়ে পতাকা বহন করা এবং পরবর্তীতে ভারতের পতাকা জড়িয়ে ছবি তোলা) এমনি এমনি ঘটেছে তবে বোকামি করবে। কারণ প্রথমবার ভুল হয়েছে ধরলাম,কিন্তু পরেরবার তো একইটাপের ভুল করা স্বাভাবিক নয় যেখানে বাংলাদেশী নাগরিককের বিদেশী পতাকা বহন নিষিদ্ধ। (সূত্র: Click This Link)
আসলে এটা একটা টেস্ট কেস, যা ভারত তার এজেন্ট দ্বারা এ দেশে ঘটিয়েছে। এ টেস্ট কেসের অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন:
১) বাংলাদেশীদের কতটুকু দেশপ্রেম আছে তা পরখ করা। যেহেতু আইন থাকার পরও জয়শ্রী’র বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, তাই বুঝা গেলো বাংলাদেশীদের দেশপ্রেম এখন মৌখিক পর্যায়ে পৌছে গেছে।
২) ভারতীদের প্রতি বাংলাদেশীদের দৃষ্টিভঙ্গি কোনদিকে, কতগুলো মানুষ ভারতের বিপক্ষে তার একটা পরিমাণ নির্ণয় করা।
এ ঘটনাগুলো ঘটিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে আগাচ্ছে ভারত ।
উল্লেখ্য জয়শ্রী ও তার স্বামী বিদেশীদের হয়ে কাজ করে যাচ্ছে তা নিচের দুইটি বিষয়ের দিকে তাকালে সহজ হবে।
১) পিযুষ ও জয়শ্রী হচ্ছে বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ব্যয়বহুল পূজা মণ্ডপ বনানী-গুলশান পূজা মণ্ডপের পৃষ্ঠপোষক, আর এ মণ্ডপটি এখন অলিখিতভাবে হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করে, যা দ্বারা বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থান সবার কাছে তুলে ধরা হয়। তাই এ পূজা মণ্ডপে হিন্দুরাষ্ট্র ভারতীয় এজেন্ট বসাটাই স্বাভাবিক।
২) গত বছর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার টার্গেট নিয়েছিলো বিদেশীরা। আর এ জন্য ইউনুসের এজেন্ট রাশেদুল বারী মুসলমানদের অশ্লীল বকাবাজি করে এক কবিতা লিখে, যেটা পাঠ করে এ পীযুষ বন্দোপাধ্যায়। (এ সম্পর্কে পড়তে পারেন: Click This Link)
দেশকে ভারতের গভীর চক্রান্ত থেকে বাচাতে উচিত হবে, পীযূষ ও তা স্ত্রী জয়শ্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। জনগণের উচিত এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা এবং সম্ভব হলে ব্যক্তিগতভাবে এদের বিরুদ্ধে মামলা করা।
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: দালাল এর বাম্পার ফলন ,একই যাত্রায় দুই ফল পাকিস্তানের আপনি দেশের পতাকা নিয়ে কিছু বলা যাবে বললে পাকিস্তান যেতে হবে এই কথা বলার মানে হচ্ছে তুমি একটা খাস ভারটিয় দালাল but pijus nd জয়া আর এজেন্ট । একারণেই পিজুস fdc এর md হয়ে ভারতীয় ছবি আনার পক্ষে বেশ ওকালতি করছে এবং মোল্লা দের গালি দিয়ে বন্দে মাতরম কবিতা লিখেছে । খুব vভাল কাজ করেছে ??তাই না । তবে তুমি তোমার দেশের পক্ষে বকছ তাই স্বাভাবিক l
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১১
সাইলেন্স বলেছেন: পাকি কিংবা ভারতের দালালদের প্রতি সমান ঘৃনা।
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৫
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ''আঈন'' বলতে কি বুঝাইতে চাইতেসেন? আপনার পোস্টে চার-পাঁচবার ''আঈন'' ''আঈন'' শব্দ দেখলাম। ''আঈন'' ''আঈন'' করে গলা ফাটায় দিতেসেন অথচ আইন বানানই ভুল!! এইডা কিছু হইল?
:-< :-<
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১৮
মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জ্বী ভাই আমি একটু সংকীর্ণমনা। আমি পছন্দ করি না বাংলাদেশকে হেয় করা, পছন্দ করিনা বাংলাদেশে বসে অন্য কোন দেশের দালালী করা। আমি মনে করি না যে আমরা বাংলাদেশীরা সেরা জাতি বা আমাদের রক্ত সবচেয়ে পবিত্র। তবে যে আমার দেশের লোক হয়ে আমার দেশকে হেয় করবে তারে আমি চরম ঘৃণা করব।
বাই দ্য ওয়ে, আমি আপনার স্টাট্যাসটা ভালভাবেই পড়েছি। আপনাকে এটা বুঝাতে চাইছি আমরা এমন একজন বাংলাদেশীর সমালচনা করছি যে বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশকে অপমান করছে। সে কোন ধর্মের সেটা বড় কথা না, সে বাংলাদেশী হয়ে অন্য দেশের দালালী করছে বাংলাদেশে বসে।
আর সমালচনা হচ্ছে যেখানে সরকার অন্যদেশের পতাকা নিয়ে মাঠে যাওয়া নিষিদ্ধ করল সেখানে বাংলেদেশী পরিচয়ধারী একজন কিভাবে ভারতীয় পতাকা নিয়ে গেল? এখন যে সাফাই গাচ্ছেন এই পতাকা যদি ভারতীয় না হয়ে পাকিস্তানী হত তাহলে আপনেও চিল্লাতেন। এই জন্যই বললাম আপনি ভারতীয় দালাল। আপনার সাথে আমাদের পার্থক্য হল আমরা শুধুই বাংলাদেশকে ভালবাসি। আমাদের সামনে যেই ভারত বা পাকিস্তানের দালালি করে আমরা তারই সমালোচনা করি।
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০২
অগ্নি সারথি বলেছেন: চ্রম পুস্ট। কিন্তু সমস্যা হল আপনের মত গিয়ানীর কুন মূল্যায়ন নাই এই দেশে।
একটা পরামর্শ দেই দাদা আপনেরে, এত্ত আঈন আঈন কইরা চিল্লাইলে এট্টু তো আইন জানাটা জরুরী। তাই নয় কি? আপনে তো পইরাও দেখেন না। তাহলে কিরাম হল। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পতাকার কথা বলেছেন, ঠিক আছে কিন্তু সিম্বলিক ভায়োলেন্স বিষয়ডা বোঝেন ? আপনার এই গোবরে ভর্তি মাথায় এইডা ঢুকবে না জানি। যাই হোক পাগলের সুখ মনে মনে।
২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ভোরের সূর্য বলেছেন: ভাই আপনার বয়স কত?কিছু মনে করবেন না। আপনাকে কটাক্ষ করা কিংবা ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আর বয়সের বিষয়টা আসে কারণ অভিজ্ঞতার ব্যাপার আছে।
গত অবরোধের সময় এখানে অনেকেই লিখেছেন যে তারা আগে কখনো এরকম অবরোধ এবং জ্বালাও পোড়াও দেখেনি। দেখবে কিভাবে বলেন? এই ব্লগের বেশিরভাগ ব্লগারের গড় বয়স ২৫ বছর। তাই অনেকেই ৯৬ এর অবরোধ দেখেনি তাই তারা মিলাতে পারবেনা। কিন্তু কোন কিছু লিখতে গেলে আটঘাট বেধে এবং খুব ভাল তথ্য নিয়ে লিখতে হবে।
জয়শ্রী কর জয়া কে সেলিব্রেটি হওয়ার দরকার নাই। তিনি পীযূষ এর বউ হিসাবে অনেকের পরিচিত (যেমন আপনার) তাই সবার ফোকাস টা তার বা তাদের দিকে থাকে তাই তারা কোন ভুল করলে খুব বেশী আলোচনায় আসে। এখানে হিন্দু বা মুসলিম বলে কোন কথা নাই।ওখানে জয়শ্রীর জায়গায় যে কেউ হলেও এই অভিযোগটা হত আর তাছাড়া স্টেডিয়ামে পতাকা ওড়ানোর আগেই তার কুকুরের গায়ে পতাকা জড়ানোর একটা ঘটনা ঘটেছে তাই আগেই থেকেই ব্যাপারটা সবার নজরে ছিল কিন্তু এর পরে যখন তিনি স্টেডিয়ামে ভারতীয় পতাকা উড়িয়ে উল্লাস প্রকাশ করলেন তখন কিন্তু সমালোচনা আর বেশী হতে লাগলো। তবে আপনাকে আরেকটা ব্যাপার বলেছি যে টি২০ তে ভারত পাকিস্তান খেলার দিন শত শত বাংলাদেশীদের হাতে পাকিস্তানী পতাকা ছিল এবং সেখান থেকেই এই বিষয়টা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তাই জয়শ্রী হিন্দু বা মালাউন বলে সবার চুলকানি এটা ভুল কথা। কারণ যখন পাকিস্তানী পতাকা ওড়ানো নিয়ে কথা হয়েছিল তখন সেটা ছিল মুসলিমদের নিয়ে কারণ পাকিস্তান মুসলিম দেশ এবং বাংলাদেশের শত শত দর্শক ছিল মুসলিম।তাই কোন পক্ষপাতিত্ব নয়।উভয় দিক থেকেই সমালোচনা ছিল।
বাংলাদেশে ভারত কিংবা পাকিস্তান দুটি খুব সেনসেটিভ দেশ তাই দুটো নিয়েই খুব বেশী কথা হয়।তাই মালাউনের ব্যাপারটা আমার কাছে খুব তুচ্ছ মনে হয়েছে। জয়শ্রী আইনগত এবং নৈতিক দুই দিকেই ভুল করেছেন বলে আমার মনে হয়েছে।জয়শ্রীর জায়গায় আমি বা আপনি থাকলেও একই ঘটনা ঘটতো। শুধু সেলিব্রেটির বউ এবং পরিচিত হবার জন্য জয়শ্রী লাইম লাইটে বেশী এসেছেন এবং কয়েকদিন আগেই কুকুরের গায়ে পতাকা জড়ানো নিয়ে আগেই তিনি সমালোচিত ছিলেন।
এবার আসি জয়শ্রীর কথা।যেটা আপনাকে প্রথমেই বলেছিলাম বয়স কিংবা অভিজ্ঞতার কথা। জয়শ্রী কর জয়া তার পুরো নাম এবং তিনি পীযূষের মত না হলেও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বেশ পরিচিত একটা মুখ।সবাই সব কিছু জানবে না এটাই স্বাভাবিক তাই ইন্টারনেটে জয়শ্রী কর দিয়ে একটু সার্চ দিলেই অনেক তথ্য পেয়ে যেতেন।মজা লাগছে আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন জয়শ্রী কে বা আমি কি জানি।উনি পীযূষের বউ সেই পরিচয় আমি দেব না।ওনার নিজের পরিচয় আছে।আপনি সার্চ দিলে অনেক কিছুই জানতে পারবেন।তার পরেও আমি লিঙ্ক দিলাম উনি কে সেটা জানার জন্য আর বর্তমানে মাছরাঙা টেলিভিশনে তিনি ক্ষনিকালয় নামের একটি মেগা সিরিয়ালে অভিনয় করছেন এবং তিনি বেশ পুরাতন একজন অভিনেত্রী।
আরেকটি দেখুন
আরো খুজুন পেয়ে যাবেন।
২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০০
ভোরের সূর্য বলেছেন: সামুর টেকনিকাল সমস্যার কারণে ইউটিউবের ভিডিও দেখা যাচ্ছেনা তাই লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।
http://youtu.be/iPmtmNijs_k
http://youtu.be/EVce_Cn4ncs
টিভি ছাড়াও তিনি নিয়মিত নাট্য মঞ্চের অভিনেত্রী।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২১
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: প্রিয় ভোরের সূর্য!
অনেক ধৈর্য ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। শেষ মন্তব্য পর্যন্ত সম্মান রেখে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
আমার লেখাটিকে যারা দালালী বলেছেন, ভুল বলেননি। এটি একটি নিকৃষ্ট মানের দালালি টাইপের লেখা ছিল। জানেনতো, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের ভিড়ে আজ এ দালালদেরই পোয়াবারো। যতজন ক্ষেপে গিয়েছেন, গালি দিয়েছেন, প্রতিবাদ করেছেন তাদের এখনো সাহস আছে বলতে হবে। সাহস আর বুদ্ধিমত্তা প্রতি মুহুর্তে ক্ষয়ে যেতে যেতে বাংলাদেশের মানুষ অদ্ভূত এক স্রোতে ভাসমান খড়কুটো হয়ে যাচ্ছে। এখানে ব্যবসায়ের সবচেয়ে বড় মুলধনের নাম একাত্তরের চেতনা। ইমরান ব্যবসা করে, নুর ব্যবসা করে, একাত্তরের রণাঙ্গন থেকে বহুদুরে পলাতক অজস্র নেংটি ইদুর আজ চেতনার ব্যবসার লাভে ভরিয়ে তুলেছে তাদের রাজনীতির গোলাঘর। মুখ তুলে কথা কইবার সাহস কারো নেই। শহীদের সংখ্যা ত্রিশ লক্ষ বলার মধ্যে বাঙালীর গর্বের ইতিহাসে মিথ্যাচারের কালিমা লেপন করা হয়। মুখ ফুটে বলার সাহস কারো নেই। লুকোচুরির কিছু নেই। পতাকা নিষিদ্ধের মুল কথাই হল খেলার মাঠে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করা যাবেনা। কেন? কারণ খেলা আর রাজনীতি আলাদা নয়। হায়রে আহাম্মকের দল! ভারতের ৪২ বছরের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক আর সাংস্কৃতিক ভালবাসার (?) নির্মম অত্যাচারের পরও বুক ফুলিয়ে ভারতীয় দলকে সাপোর্ট করা যায়। ওটা আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে যায়। পাকিস্তান টিমকে সাপোর্ট করলে চেতনার গায়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে। আর উর্দু বোল শুনলেতো কথাই নেই। রীতিমত চৌদ্দ পুরুষের জাত খোয়া যায়। উর্দু একটি অপরাধী ভাষা। ১৯৫২ সালে ঊর্দু ভাষা যে অমার্জনীয় অপরাধ করেছিল তার শাস্তিস্বরূপ ষোল কোটি মানুষ স্বাধীনতার চেতনার কথা মাথায় রেখে ঊর্দুকে ঘৃণা করবে। পাকিস্তান একটি অপরাধী জাতি। পাকিস্তানের প্রতিটি শিশু, নারী, বৃদ্ধ, জোয়ান অত্যন্ত নিকৃষ্ট সন্ত্রাসী। ওদেরকে ঘৃণা করতে হবে। ঘৃণা করতে হবে। ঘৃণা।
আমরা ভাষাকে ঘৃণা করা শিখছি।
আমরা মানুষকে ঘৃণা করা শিখছি।
আমরা পতাকা এবং জাতীয় সংগীতকে ঘৃণা করা শিখছি।
আমরা খেলাকে ঘৃণা করা শিখছি।
আমরা ঘৃণার রাজনীতিকিকরণের চর্চা করছি। কিন্তু আমাদের মুখ খোলার কোন সুযোগ নেই। সংকীর্ণ থেকে সংকীর্ণতর হয়ে ওঠা মনস্তত্বের এ জাতির আগামীর দিনগুলো কেমন হবে বুঝতে পারিনা। এরা শুধু হুজুগে নাচতেই জানে। চোখ কান বন্ধ করে আবেগের খই ফোটাতে জানে। হতাশ হয়ে যাই। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিরা সব কিছুতে আই এস আই এর গন্ধ পান। ওদের ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষন দেখে বোধ করি স্বয়ং বিধাতাও হাসি চেপে রাখতে পারেননা।
জয়শ্রীর বিরুদ্ধে বিসিবির কোন পদক্ষেপের কথা জানিনা। জয়শ্রীর রেহায় পাওয়ার জন্য তার হিন্দু হওয়াটাই যথেষ্ট। বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ পার করছে। কিভাবে সে ফিরিস্তি দেয়ার ধৈর্য আজ নেই। জয়শ্রীরা আরো একধাপ এগিয়ে ভারতীয় কানেকশান রাখেন। ওদের এখন স্বর্গীয় স্বাধীনতা।
২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
ভোরের সূর্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।আশা করি আপনাকে বিরক্ত করছি না বার বার মন্তব্য করে।
একটু অফ ট্রাকে কথা বলি।ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি যে দেশ প্রেম বা দেশকে সম্মান জানানো সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার। আইন করে কিংবা,বড় মানব পতাকা করে বা রেকর্ড জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে মানুষের মনে দেশ প্রেম বা দেশের প্রতি ভালবাসা তৈরি করা যায় না তা না হলে মানব পতাকার বিশ্ব রেকর্ডের পরেও আমরা শত শত বাংলাদেশীরা পাকিস্তানের পতাকা ওড়াই আবার জাতীয় সঙ্গীতে রেকর্ড গড়ার পরেও স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা ওড়াই।
আসলে ভাই আমাদের এখন সবচেয়ে বড় দরকার ইউনিটি মানে ঐক্য। আমরা আগে নিজেকে শোধরাবো তবেই অন্যের সমালোচনা করবো। মানুষ কে সুযোগ দিলে মানুষতো সেই সুযোগ নিবেই।তাই সবার আগে আমাদের দরকার সবকিছু ভুলে এক হয়ে যাওয়া।
ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৯
ভালো ছেলে ২০১০ বলেছেন: কে সবকিছু ভুলে এক হবে? বাংলাদেশের সব মানুষ? কখনো হওয়ার নয়। ইতিহাস ঘেটে যে কোন দেশ বা জাতির প্রেক্ষাপটে একটি উদাহরণও দিতে পারবেননা। সবাইকে এক করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করুন। আপনাকে আমি এক জীবনের ব্যর্থ প্রয়াসের গ্যারান্টি লিখিত দেব। আমি ব্যক্তিগতভাবে আসলেই দেশপ্রেমটাকে একটা পলিটিকাল ম্যানিপুলেশান মনে করি। এখানে এর ব্যাখ্যা দেবনা। কিন্তু এতটুকু নিশ্চিত যে এটা নিয়ে আপনার সাথে আমার তর্কের শেষ হবেনা। এসব তর্ক, এসব বৈচিত্র্য আর বিভক্তি থাকা সত্ত্বেও আমরা দেশটাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যোগ্য নেতৃত্বের উঠে আসার পথটা তৈরি করে দেব- এটাই আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি মনে হয়। কেউ একজন ক্ষমতায় বসুক যে প্রকৃতপক্ষে নেতা, নিছক পলিটিশিয়ান নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় হায় কইলেন কি?
একজন দর্শক কোন একটা দেশের ক্রিকেট দলকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে সে দেশের পতাকা প্রদর্শন করেছেন। এতে কী এমন হয়েছে? কিন্তু অতিউৎসাহীদের হৈ হৈ রৈ রৈ দেখে মনে হয় দেশের সার্বভৌমত্বই বুঝি বিক্রি হয়ে গেছে। কই, ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার পতাকা দিনের পর দিন সারা দেশে উড়লেও দেখি কারো কনামাত্র ভাবান্তর হয়না।
পাকি পতাকা উড়ালে দেখী চেতনার গায়ে জ্বর আসে!!! তখন এই লজিক আর কাজে আসে না, মনেও থাকে না....
আর কুত্তার গায়ে যে বাংলাদেশের পতাকা জড়াইল তা নিয়াতো কিছু বল্লেন না!
উল্টো সেনশেসনাল মালাউন ইস্যু দিয়া তার অন্যায় ঢাকার চেষ্টা করতে আসছেন!!!
কুকুরের গায়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা জড়াইয়া উনি কি পূন্যর কাজ করছে? বলেন??
উনারওতো এই দেশে থাকার কোন অধীকার নাই। এই দেশের জাথীয় পতাকারে যে অস্ম্মান করে ....অন্য কোন দেশে...ভ আদ্যাক্ষেরের ;দেশে সে এবং তার দালালরা সকলই চলে গেলেইতো পারে!!!!!!!