![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবাই এক জিনিস আজ ভুলে গেছে বলতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক
জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক
,১৯৭৫-এর ২৪শে অক্টোবরে সেনাপ্রধানকে পদচ্যুত করে উপসেনাপ্রধান থেকে সেনাপ্রধান।
বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র ৪ মাস পর ,৭২এর ঘাতক দালাল আইন বাতিল।
১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক
,১৯৭৭এর ২১ শে এপ্রিলে আবার সায়েমকে সম্পূর্ণ কিকআউট করে রাষ্ট্রপ্রধান
,৩০শে আগস্ট সকল রাজনীতি নিষিদ্ধ ,
৭৭ এ অবৈধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অনুমতি।
১৯৭৭-এর ২২ এপ্রিলে ১৯৭২ এর শাসনতন্ত্রের ৩৮ অনচ্ছেদের মূল পরিবর্তন এনে সংবিধানে সন্ত্রাস ,১৯৭৭-এর ৭ই মে তে খুনিদের ক'জনকে পদোন্নতি এবং পুনর্বহাল ,
১৯৭৮-এর ৫ই এপ্রিলে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ১৯৭১-এর ঘাতক দালালদের নাগরিকত্ব দানের জন্য মন্ত্রনালয়কে আদেশ , ৭৭-এর হ্যা না ভোট ,
১৯৭৯-এর ৫ই এপ্রিল ৫ম সংশোধনীকে আইনে প্রণীত করে জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দ্বার রুদ্ধ করতে বিষাক্ত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইন এবং নতুন নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পাকিস্তানের পাসপোর্ট হাতে রাজাকার গোলাম কে দেশে ঢুকিয়ে এবং ইয়াহিয়ার মন্ত্রী গণহত্যার মাস্টার মাইন্ডার ,আব্বাসকে ৭৯তে জামাতের আমীর হতে দিয়ে ,দেশে মৌলবাদ এবং জামাতের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কার্যকলাপকে সাংবিধানীক বৈধতা ,৭৫এর ৩১শে ডিসেম্বর ঘাতক দালাল আইন বাতিল করে ১১ হাজার যুদ্ধ অপরাধীর মুক্তি ,যাদের মধ্যে ৭৫২জন দন্ডপ্রাপ্ত।জেল ও বঙ্গবন্ধু হত্যার সব তদন্ত বন্ধ করে দিয়ে রাস্ট্রদ্রোহিতা মুলক কর্মকান্ড।ক্ষমতার এত জঘন্য দৃষ্টান্ত আর কার ?১৯৭২এর সংবিধানকে কেটে ছিরে নিজের ইচ্ছে মত সব
কিছুকে জায়েজ করার নগ্ন প্রচেষ্টা।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
াহো বলেছেন:
১)
১৯৭২-৭৫
প্রতিদিন ৪১ জন করে হত্যা করার তথ্য সে সময়ের দেশি-বিদেশি এমনকি জাসদের নিজেদের মুখপত্র গণকণ্ঠেও নাই।
Click This Link
২)
ভারতের কোলকাতায় ডিজেল ও পেট্রোলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় যথাক্রমে ১৫ টাকা ৪৭ পয়সা ও ২১ টাকা ৫৫ পয়সা বেশি। পাকিস্তানে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য যথাক্রমে ২২ ও ১৩ টাকা বেশি।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৪ |
Click This Link
৩)পিপার স্প্রে বিতর্ক নিতান্তই অহেতুক ----পৃথিবীর অনেক দেশের পুলিশ সদস্যরা ইউনিফর্মের অংশ হিসেবে ক্ষুদ্র অস্ত্র ও হ্যান্ডকাফের পাশাপাশি পেপার স্প্রেও সাথে বহন করেন
Click This Link
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
নেক্সাস বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়ার ভূমিকা নিয়ে আওয়ামিলীগ রাজনীতি করতেই পারে। কারণ এই দলটার পুঁজি বলতে এটুকুই। মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে বাণিজ্য করা। এই দলটার বিরুদ্ধে গেলে শুধু জিয়া কেন- কাদের সিদ্দিকীর মত বঙ্গবীর, ভাষানীর মত জাতিয় নেতা, অলি আহম্মদের মত মুক্তিযোদ্ধা, কেউ রেহায় পাইনি। সেই ১৯৭২ রেহায় পাইনি জহির রায়হানের মত কলম ও ক্যামেরা যোদ্ধা। জিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত আওয়ামিলীগ জিয়ার নাম মুছে ফেলার জন্য স্থাপনার শরীর থেকে কালিতে লিখা নামটি মুছে দিতেই পারে। কারণ এটা তাদের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য।
কিন্তু আপামর জনতার মন ও নিউরনে জিয়া কে নিয়ে ইতিহাসের যে আখ্যান নিজে নিজেই রচিত হয়েছে তা মুছে দেওয়ার সাধ্যা কারো নাই। একজন জিয়া একবারই জন্মে চিরদিনের জন্য।
ইতিহাস শুধু জানবে স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে লাখো শহীদের রক্তের দাগ মুছে যেতে না যেতে আওয়ামী তথা বাকশালী নৈরাজ্য, লুটতরাজ, ব্যাংক ডাকাতি, হানাহানি, গনমাধ্যামের স্বাধীনতা হরণ, সরকারী অব্যাবস্থাপনা, দূর্ভিক্ষ লেগে শিশু রাষ্ট্রটি যখন অকাল নিউমনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শয্যায় থিক তখনই সেই শিশুটিকে সেবা শশ্রুসা দিয়ে বাঁচিয়ে তুলেছিলেন একজন জিয়া। তলা বিহীন ঝূড়ির তলায় ধীরে ধীরে তলা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের শাষনামলে সেই নিউমনিয়া আক্রান্ত শিশুটি কে মেরুদন্ড সোজা করে ঘুড়ে দাঁড়ানোর উপযুক্ত করে তুলেছিলেন। এর চাইতে বড় কি চাওয়ার আছে।
জিয়া তুমি অমর এদেশের শতকোটি মানুষের অন্তরে এবং থাকবে অনাগত দিনে।
৭৭ তম জন্মদিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া তোমায়...
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
াহো বলেছেন: সবাই এক জিনিস আজ ভুলে গেছে বলতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৬-এর ২৯শে নভেম্বরে প্রধান সামরিক শাসক সায়েমের বিরুদ্ধে ক্যু করে নিজে প্রধান সামরিক প্রশাসক
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
াহো বলেছেন:
সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন ।
মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু
source -আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন US সাময়িকী 'টাইম'-এ
USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
াহো বলেছেন:
সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন।
সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান১৯৭৭ এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন।
১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃ তদন্ত দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত বিমানসেনা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ দাবি জানান। তাঁরা বলেন, কথিত বিদ্রোহের পর ’৭৭ সালে সামরিক আদালতে সাজা দেওয়ার প্রতিটি ঘটনা দেশের সংবিধানের আলোকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
ওই সময় সামরিক আদালতের রায়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, বিমানবাহিনীর এমন ২৩৮ জন সদস্যের একটি তালিকা সংবাদ সম্মেলনে বিতরণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন: বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের পর সামরিক ট্রাইব্যুনালের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি পাওয়া করপোরাল খায়রুল আনোয়ার, নূরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, মনির শরীফ, সৈনিক কামরুজ্জামান, সার্জেন্ট মামুনসহ শতাধিক ব্যক্তি। এ ছাড়া ফাঁসি হওয়া ও নিখোঁজ বিমানসেনাদের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে করপোরাল খায়রুল আনোয়ার বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিমানবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান-নাটক হয়। তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এ নাটকের মাধ্যমে বিচারের নামে ১১ জন কর্মকর্তাসহ এক হাজার ৪৫০ জন বিমানসেনাকে ফাঁসি দেন। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত করা হয় আরও তিন হাজার ব্যক্তিকে। নিখোঁজ হন অনেকে। এক হাজারের বেশি মানুষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পর নিখোঁজ সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নুরের নাহার বলেন, ‘আমার স্বামীর লাশ ফিরে পেতে চাই। তাঁর কী অপরাধ ছিল, সেটা জানানো হোক। দেশের মানুষ হিসেবে সে অধিকার আমার আছে।’
নিখোঁজ করপোরাল মান্নানের স্ত্রী সুরাইয়া বলেন, ‘দুজন লোক আমার স্বামীকে টানাহেঁচড়া করে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাঁর কোনো হদিস নেই। অথচ বিদ্রোহের ঘটনার সময় তিনি গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে ছিলেন।’
ফাঁসি হওয়া সার্জেন্ট আফাজ উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা খাতুন বলেন, ‘পত্রিকায় খবর পড়ে জানতে পারি, আমার স্বামীর ফাঁসি হয়েছিল। কিন্তু সরকার কিছুই জানায়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি।’
খায়রুল আনোয়ার বলেন, সামরিক আদালতে এক মিনিটের রায়ে অনেকের ফাঁসির আদেশ দিয়ে তা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়েছিল। এ ছাড়া কথিত বিদ্রোহের সময় নিহত ব্যক্তিদের আর খোঁজ মেলেনি। লাশগুলো হয় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, নয়তো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ার পর সুবিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত বিমানসেনাদের পূর্ণ পেনশন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিল। কিন্তু তা আর কার্যকর হয়নি। অথচ এখন অনেকের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পুনর্বাসিত করা এবং তাঁদের আজীবন পেনশনের দাবি করে বলা হয়, এটা কোনো রাজনৈতিক দাবি নয়, এটা মানবিক ও ন্যায়বিচার-সংক্রান্ত। এ ছাড়া সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চক্রান্তকারীদের নাম, ক্ষতিগ্রস্ত সবার ছবিসহ তালিকা প্রকাশ ও বিমানবাহিনীর তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে তদন্তের দাবি করা হয়।
বিমানবাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃ তদন্ত দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রথম আলো
http://www.prothom-alo.com/detail/news/190765
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
াহো বলেছেন:
১৯৭৭-৭৮ সালে প্রাণদণ্ডের শিকার হওয়া সেনাদের সংখ্যাটি আহসান পেতে পেরেছিলেন সেই সময়ে ঢাকার নবম ডিভিশনের অধিনায়ক জেনারেল মীর শওকত আলীর কাছ থেকে। নিহত সেনাদের বিষয়ে এটাকেই সর্বনিম্ন মাত্রা বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এই সংখ্যাটি হলো এক হাজার ১৩০। আসল সংখ্যাটি আসলে কত? কেউ জানে না। আহসানের বিশ্বাস, শত শত সেনাসদস্যকে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছিল কোনো প্রমাণ না রেখে। মীর শওকতের দেওয়া সংখ্যার বাইরেও যেমন অনেকে থেকে যেতে পারেন, আবার সবাই হয়তো এর অন্তর্ভুক্ত হতেও পারেন।
Click This Link
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
নাবিলা হক রিমা বলেছেন: জিয়া বাংলার আপামর জনতার এক স্বশ্রদ্ধ নাম
জিয়ার মত আর একজন নেতা এই দেশে জন্ম হলে আমরা অনেক আগেই অনেক উন্নত রাষ্টে পরিনত হতাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
াহো বলেছেন: ১৯৭৭-৭৮ সালে প্রাণদণ্ডের শিকার হওয়া সেনাদের সংখ্যাটি আহসান পেতে পেরেছিলেন সেই সময়ে ঢাকার নবম ডিভিশনের অধিনায়ক জেনারেল মীর শওকত আলীর কাছ থেকে। নিহত সেনাদের বিষয়ে এটাকেই সর্বনিম্ন মাত্রা বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এই সংখ্যাটি হলো এক হাজার ১৩০। আসল সংখ্যাটি আসলে কত? কেউ জানে না। আহসানের বিশ্বাস, শত শত সেনাসদস্যকে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছিল কোনো প্রমাণ না রেখে। মীর শওকতের দেওয়া সংখ্যার বাইরেও যেমন অনেকে থেকে যেতে পারেন, আবার সবাই হয়তো এর অন্তর্ভুক্ত হতেও পারেন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
াহো বলেছেন: রাষ্ট্রপতি পদ ছিনতাইয়ের পর জিয়াউর রহমান তার প্রতি সমর্থন দেখানোর জন্য প্রহসনের গণভোট করেন। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পীড়াপীড়ি সত্ত্বেও গণভোটে শতকরা ৫ ভাগ ভোটারও উপস্থিত হননি। অথচ রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে বলা হলো গণভোটে শতকরা ৯৮ ভাগ লোক জিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। এভাবেই স্বৈরশাসক জিয়া দেশে ভোট জালিয়াতির সংস্কৃতি চালু করেন। প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসনের মধ্যেও তথাকথিত গণভোটে শতকরা ৫ ভাগ ভোটার উপস্থিত না হয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এরপর ১৯৭৮ সালের ৩ জুন সেনাপ্রধানসহ সব লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থেকেই জিয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। অর্থাৎ জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে ছিলেন সম্পূর্ণ অবৈধ। এরপর জেনারেল জিয়া ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেন। দল গঠনের মাত্র ৫ মাস পর ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ২ শতাধিক আসন লাভ করে। নির্বাচনের পর স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী এবং আরও কয়েকজন রাজাকার দালালকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
াহো বলেছেন: অবৈধ ৬ শাসক
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট হইতে ১৯৭৯ সালের ৯ই এপ্রিল তারিখের (উভয় দিনসহ) মধ্যে প্রণীত সকল ফরমান, ফরমান আদেশ, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ ও অন্যান্য আইন এবং উক্ত মেয়াদের মধ্যে অনুরূপ কোন ফরমান দ্বারা এই সংবিধানে যে সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন ও বিলোপসাধন করা হইয়াছে তাহা এবং অনুরূপ কোন ফরমান, সামরিক আইন প্রবিধান, সামরিক আইন আদেশ বা অন্য কোন আইন হইতে আহরিত বা আহরিত বলিয়া বিবেচিত মতাবলে, অথবা অনুরূপ কোন মতা প্রয়োগ করিতে গিয়া বা অনুরূপ বিবেচনায় কোন আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা কর্তৃপ কর্তৃক প্রণীত কোন আদেশ কিংবা প্রদত্ত কোন দণ্ডাদেশ কার্যকর বা পালন করিবার জন্য উক্ত মেয়াদের মধ্যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপ কর্তৃক প্রণীত আদেশ, কৃত কাজকর্ম, গৃহীত ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ, অথবা প্রণীত, কৃত, বা গৃহীত বলিয়া বিবেচিত আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ এতদ্দ্বারা অনুমোদিত ও সমর্থিত হইল এবং ঐ সকল আদেশ, কাজকর্ম, ব্যবস্থা বা কার্যধারাসমূহ বৈধভাবে প্রণীত, কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া ঘোষিত হইল এবং তৎসম্পর্কে কেন আদালত, ট্রাইবু্যনাল বা কর্তৃপরে নিকট কোন কারণেই কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
খন্দকার মোশতাক আহমেদ : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্যের হাতে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হলে খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। তিনি মোট ৮৩ দিন এ বিতর্কিত পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয় বাংলা'র পরিবর্তে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ' চালু করেন এবং 'বাংলাদেশ বেতার'-এর নামকরণ করেন রেডিও বাংলাদেশ। তার সময়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান নির্মমভাবে নিহত হন। ১৯৭৫ সালের ৬ নবেম্বর তিনি মতাচু্যত হন।
বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃতু্য এবং নবেম্বর মাসে পরবতর্ী প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাকের উৎখাতের পর ১৯৭৫ সালের ৬ নবেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পরই তিনি সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ ভেঙ্গে দিয়ে সারাদেশে সামরিক আইন জারি করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ নবেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের হাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দিয়ে অবসর গ্রহণ করেন।
মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান : ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বর জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করা হয়। অধিকন্তু ওইদিন সেনাসদরে এক বৈঠকে অন্তর্বতর্ীকালীন সরকার পরিচালনার জন্য একটি প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং তিন বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান এয়ার ভাইস মার্শাল এমজি তাওয়াব ও রিয়ার এ্যাডমিরাল এমএইচ খানকে উপ-প্রধান করে সামরিক আইন প্রশাসক করা হয়। ১৯৭৬ সালের ১৯ নবেম্বর বিচারপতি সায়েম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে জিয়াউর রহমান এই দায়িত্ববার গ্রহণ করেন। অবশেষে ১৯৭৭ সালর ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি সায়েম পদত্যাগ করলে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সংঘটিত এক ব্যর্থ সামরিক অভু্যত্থানে তিনি নিহত হন।
বিচারপতি আবদুস সাত্তার : ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান নিহত হলে বিচারপতি আবদুস সাত্তার দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক সামরিক অভু্যত্থানে আবদুস সাত্তার মতাচু্যত হন।
বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী : ১৯৮২ সালে দেশে এক সামরিক অভু্যত্থান ঘটিয়ে সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় মতা গ্রহণ করেন। জেনারেল এরশাদ ২৭ মার্চ বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত করেন। ১৯৮৩ সালের ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
জেনারেল এরশাদ : ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পর থেকেই রাজনীতিতে এরশাদের আগ্রহ প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রমতা দখল করেন। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন।
এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রবল গণঅভু্যত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
াহো বলেছেন: স্বাধীনতার পর বীরোত্তম খেতাব প্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং উপ-সেনাপ্রধান। ৭৫’এর মর্মান্তিকতার পর সেনাপ্রধান। ৭৫’এর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ক্যান্টনম্যান্টের ভিতরে ক্ষমতার লড়াইএ হত্যা-পাল্টা হত্যা,ক্যু-পাল্টা ক্যু এবং জয়-পরাজয়ের এক পর্যায়ে ক্ষমতার কেন্দ্রে আবির্ভাব। এর পর উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক,সেনাপ্রধান কাম-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক কাম-স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি,হ্যাঁ-না ভোটের প্রহশন এবং আইয়ূব খান স্টাইলে রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষমতা কুক্ষিগতকরনের ষোলকলা পুর্নকরন। অতঃপর দুনিয়ার তাবৎ সামরিক শাসকদের ফর্মূলায় রাজনৈতিক নেতা হওয়ার মতলবে,রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও অর্থের ছত্রছায়ায়,রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যাবহারে রাজনৈতিক দল গঠন এবং সে দলের হয়ে,সেনা প্রধান কাম-সামরিক শাসক কাম-রাষ্ট্রপতির পদে থেকে,সামরিক আইনের অধীনে কথিত পাতানো নির্বাচনে, নির্বাচিত রাষ্টপতি। এর পর ৩০ মে’৮১ তে ক্ষমতার কামড়াকামড়িতেই আর একদল সেনাসদস্যদের হাতে মর্মান্তিকভাবে নিহত।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
অ আ ই ঈ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ভালো হতো যদি এর মাঝে মাঝে ভালো কাজের দিনপঞ্জিগুলো ঢুকিয়ে দিতেন।
কিছু ভালো কাজ নিশ্চয়ই করেছিলেন। কিছু সঠিক সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই নিয়েছিলেন। কিছু না কিছুতো আছেই। তাই না?
৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
রাফা বলেছেন: জিয়া বাংলাদেশকে - বাংলাস্থান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।আর ৫ বছর বেচে থাকলে আজকে বপাকিস্তানে যা ঘটছে বাংলাদেশেও তাই ঘটতো।
আল্লাহর অশেষ রহমত তিনিই রক্ষা করেছেন।ঈবলিশের হাত থেকে সোনার বাংলাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
অনিমেষ রহমান বলেছেন: পড়লাম।
ভালো লিখেছেন।
++ দিলাম।