![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত কয়েকদিন আগের ঘটনা পূর্বাচল থেকে গুলিবিদ্ধ তিন যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ! পরিচয় মিলেছে হতভাগ্য তিন যুবকের। তবে কারা, কী কারণে তাদের হত্যা করলো, জানা যায়নি। পুলিশ কোনো ক্লু পাচ্ছে না। কেমন অদ্ভুদ কথা তাই না?
পরের কথায় আসি, ক্লু নিয়ে সামনে এলেন নিহতদের পরিবার। ডিবির জ্যাকেট পরা ছয়-সাত জন তাদের তুলে নিয়েছিল। ১২ সেপ্টেম্বর রাতে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘটনা ঘটে। মানিকগঞ্জের ডিবি বলে পরিচয় দিয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা ফেরিঘাটের প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে এসব তথ্য জেনেছেন।
পূর্বাচলে তাদেরই লাশ পাওয়া গেছে ১৪ সেপ্টেম্বর। এমন ঘটনা কিন্তু নতুন নয় বেশ পুরনো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি কেন মানুষকে তুলে নিবে, কেনই বা হত্যা করবে?
পুরনো কিছু প্রশ্ন আবার নতুন করে সামনে এসেছে। রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এমন কাজ করবে এটা তো বিশ্বাসযোগ্য কোনো কথা হতে পারে না। তাহলে ডিবি পরিচয়ে কারা মানুষকে তুলে নিচ্ছে, হত্যা করছে? সাধারণ মানুষের মনে এখন ‘আতঙ্ক’ কাজ করছে।
আমরা তো পুরনো ঘটনাগুলো মনে রাখতে পারি না। এমনকি বিগত এক মাসের কথাও ভুলে যাই বেমালুম! ‘ডিবি’ লিখে যদি একটু গুগলে সার্চ দেন আর কয়েকটি স্টেপ মনোযোগ নিয়ে পড়েন তবে অসংখ্য সংবাদের সন্ধান পাবেন। যেমন- ‘ডিবি পরিচয়ে এক নারীকে তুলে নিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি’, চট্টগ্রামে ৮ ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা’, ‘ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার’, এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহারঃডিবি পরিচয়ে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা। ব্যাপক খবর পাওয়া যাবে। এইগুলি কিন্তু পত্রপত্রিকাতে আসা খবর।
এখন কথা হচ্ছে, সংবাদগুলো সত্য নাকি মিথ্যে? ডিবির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্যে বিশেষ কোনো মহল, এসব অপকর্ম করছে কি না? উত্তরে কী আসবে? সন্ধান করা ডিবিরই দায়িত্ব। অসত্য হলে তা দেশের মানুষকে জানানো দরকার। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হয় সংবাদগুলো মিথ্যে নয়। ডিবি এই পর্যন্ত মিডিয়ায় এ নিয়ে আলোচনা করেনি। কোনো মহল এসব করে থাকলে, তাদের সন্ধান- ধরাও ডিবিরই দায়িত্ব।
একেবারে করছে না, তা বলা যাবে না। বেশ কিছু ‘ভুয়া ডিবি’ বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। ‘ভুয়া ডিবি’ গ্রেপ্তার করেছে র্যাবও।
রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা পুলিশের ভাবমূর্তি জনমনে গতিতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তুলে নেওয়া বা অপহরণের একটি অভিযোগ আসার পরে, কখনো বলা হয়েছে ‘আমরা করিনি’। কখনো কোনো কিছু না বলে চুপ থাকা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলের সামনে থেকে টেনে হেঁচড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এসেছিল ডিবির বিরুদ্ধে। নানা শঙ্কা চললো। তারপর ডিবির পক্ষ থেকে বলা হলো, তুলে আনা হয়নি- তথ্য জানার জন্যে তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছিল।
কক্সবাজারে গতবছর এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পর সেনাবাহিনীর হাতে টাকাসহ আটক হয় ৭ ডিবি পুলিশ সদস্য। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এমন আরেকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আতিক উল্লাহর বিরুদ্ধে। নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই এসআইয়ের বিরুদ্ধে।
১৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদল সভাপতিকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এলো। দুই দিন পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলো ১৭ সেপ্টেম্বর রনিকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতারা আত্মগোপনে ছিলেন না। কয়েক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ডিবি তথ্য জানার জন্যে তাদের ডাকা যেতে পারতো।
যদি ১৭ সেপ্টেম্বর রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকে, তবে ১৫ সেপ্টেম্বর ডিবির বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এলো কেনো? এসব প্রশ্নের উত্তর যখন থাকে না, তখন সামনে যে সংবাদ আসে সবই বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়ে যায়।
মনে আছে সেই সেভেন মার্ডারের কথা? ক্ষমতাসীন দলের এক মন্ত্রীর জামাতার কুকর্মের কথা? কোটি টাকার বিনিময়ে হত্যার কনট্রাক। নারায়ণগঞ্জে ৭ অপহরণ হত্যা র্যাব কর্তৃক সংঘটিত, এই সত্য জানার পর মানুষের কাছে কোনো কিছুই যেন আর অবিশ্বাস্য মনে হয় না। ব্যবস্থা মানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘প্রত্যাহার’ এবং কিছুদিন পর আবার পদায়ন!
ইয়াবাসহ মাদক চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে ডিবি- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপহৃত হওয়ার পর যারা ফিরে এসেছেন, কারা তাদের অপহরণ করেছিল, তা অনুসন্ধান করতে দেখা যায়নি।
দিন কয়েক আগে হজ ফিরৎ বাবাকে এয়ারপোর্ট থেকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন এক শিবির নেতা।
১২ জন শিক্ষার্থীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল ৫ সেপ্টেম্বর। ডিবি তাদের আদালতে হাজির করেছে ৫ দিন পর ১০ সেপ্টেম্বর। ৫ সেপ্টেম্বর যে তাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তা ডিবি স্বীকার না করে বলেছে ৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া মানুষের লাশ পাওয়া যায় সংবাদে, মানুষের মনে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জন্ম দেয় রাষ্ট্রীয় এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সম্পর্কে? মানুষের মনোভাব কেমন হয়, তা জানাটা কি অতি জরুরি।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: এদেশে আর বাস করে লাভ নাই।।। সুবোধ তুই পালিয়ে যা।।
এইটাই আসল ডায়লগ
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার উৎস পুলিশ।
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলে গেছে। অথচ দেশে শান্তি নাই।
৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
আমিনভাই বলেছেন: শান্তিতে ধেই ধেই করে নাচতেও পারবেন শুধু এই মুরুখ্য সরকারকে সমরথন দিয়ে যান।
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অন্ধকারের গহবরে স্বদেশ!
একদলের বাইরে কোন ভিন্নমত নেই
এক মতের বাইরে কোন ভিন্নমত নেই
গুম, খুন ক্রশফায়ারের সাথে এখন এই নতুন আপদ!
কে কখন কাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে! কার লাশ কোথায় পড়ে থাকছে- কেউ জানেনা।
এ আতংক থেকে জাতি মুক্তি চায়।
স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়।
স্বস্তিতে শান্তিতে বেঁচে থাকতে চায়।
৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পুলিশ তাদের আস্থার জায়গাটা হারিয়েছে।
আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, গ্রেফতার করতে যেই আসুক নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করবেন।।
৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২
মেমননীয় বলেছেন: সাবধানে থাকবেন, আপনাকেও খুঁজছে!
৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অনেকগুলো 'গুম', হত্যা আজীবনের জন্য রহস্য হয়ে থাকবে মনে হয়। কিছু খুনের মোটিভ-ও নেই...
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
সনেট কবি বলেছেন: জটিল পরিস্থিতি!