![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খ্রিস্টাব্দ ক্যালেন্ডার থেকে একটি বছর বিদায় নিয়েছে নতুন বছর এলো আজ ১০ দিন হলো। সালতামামী করেছে পত্রিকাগুলো। নতুন করে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের এক বছর পূর্তি হয়েছে দুইদিন আগে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় থাকা দলটির নিয়ে শুরু হবে হিসাব নিকাশ। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরদিন থেকে তথা সরকারের শপথ গ্রহণের আগ থেকেই তাদের হিসাবের পাল্লায় অর্জনের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লা বড় ধরণের হেরফের।
মোটাদাগে বলতে গেলে সফলতার অর্জনটা দৃশ্যমান নয়, ভদ্রতার খাতিরে চরম ব্যর্থতা না বললেও ভালো অর্জন করেছে এক বছরে এটা বলা যাবে না। কারণ হিসেবে প্রথম আসবে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় নোয়াখালীতে কয়েক সন্তানের জননীকে আওয়ামীর সন্ত্রাসীরা গণধর্ষণ করেছে! ভোটের পরের দিন তথা বছরের শেষ দিনে। সেই ঘটনা সচেতন নাগরিক ভুলে যাবার কথা নয়।
বিশেষ করে চলতি বছর আইনের শাসনে বিপর্যয় ছিলো চোখে পড়ার মতো। ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের দাপটে পুলিশ প্রশাসনের অবস্থাও ছিলো নাজুক। হত্যাকাণ্ড আর গুম রাজ্যে চলে যাওয়া মানুষের সংখ্যার দল বেড়েছে বিগত বছরের চেয়েও বেশি। বৈদেশিক ঋণে বাংলাদেশ খানিকটা আক্রান্ত হয়েছে বিগত বছরের তুলনায়। বিভিন্ন দেশের সাথে নানান চুক্তি হলেও এর ফলপ্রসুতা নিয়ে আছে সন্দেহ। এক কথায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আর্কাইভ ঘাঁটলে সহজেই হিসাবটা মিলে যাবে।
দেশে দৃশ্যমান কিছু উন্নয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে দিনের পর দিন বুলি আওড়াচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী পরিষদ। মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার একটি বছরে তেমন সাফল্যের বার্তা দিতে না পারলেও তাদের ঝুলিতে আছে গাদাগাদা ওজনদার বিভিন্ন ব্যর্থতা। এমনকি কূটনীতি সম্পর্কও উন্নয়ন করতে পারেনি তারা। বাস্তবায়ন করতে পারেনি তাদের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারের প্রস্তাবনাগুলি। বরং দেশবিদেশে নানান দুর্নামের খ্যাতি কুড়াচ্ছেন! রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রতিবেশী ও অন্যকোনো দেশের সাথে তেমন একটা নজরে আনতে পারেনি। জাতিসংঘে চুয়াত্তরতম অধিবেশনে যোগদান করে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আনতে সক্ষম হতে পারেননি।
বছরের শেষের দিকে দ্রব্যমূল্য বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চরম ব্যর্থ হয়েছে, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার তার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ না হয়ে এশিয়ার অন্যদেশ হলেও খোদ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতো। এতো প্রতিবাদ ও লেখালেখি হয়েও বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বরং পেঁয়াজ না খেতে নসিয়ত শুনতে হয়েছে সরকার প্রধানের মুখ থেকে ! কথিত বন্ধুদেশ ভারতের কাছ থেকে পায়নি পেঁয়াজ। আমদানি করতে পারেনি দেশে, দু’শ চল্লিশ টাকা কেজি হয়ে যাওয়া পেঁয়াজ কিনে খেতে হয়েছে দেশের মানুষকে! সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় লাগাম টেনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে। যদিও ভারতে তখন পেঁয়াজের মূল্য না পেয়ে কৃষকরা কেঁদেছেন। সেই চিত্র আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে দেখা গিয়েছিলো। পরে মিসর ও তুরস্ক হতে আমদানি করতে হয়েছিলো ।
এ বছরের আরেকটি আলোচিত কেলেঙ্কারি হচ্ছে সরকারের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ক্যাসিনো ইস্যু। হাজার কোটির টাকার বাণিজ্য ও সম্পদের পাহাড়ের সন্ধান পাওয়া যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায়। রিমান্ডে থাকা ক্যাসিনো ব্যবসায়ীরা জানায় এতে সম্পৃক্ত আছে খোদ দলের কেন্দ্রীয় কয়েক বড় নেতা। সরকার দলীয় লোকেরা দেশে জুয়ার আসর বসিয়ে দিয়েছিলো এমন দৃশ্য ঢাকাসহ অন্য জেলা শহরেও দৃশ্যমান হয়। ঠিকাদারি ব্যবসা একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করতো তারা, এখনো এই ব্যবসার পুরোটাই তাদের দখলে। কয়েকজন কাউন্সিলর র্যাবের হাতে আটক হলে বেরিয়ে আসে তাদের ভয়াবহ চাঁদাবাজির কথা। অভিযানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে দেখা যায় একেকজনের নামে শত কোটি টাকার ব্যাংক এফডিআর, কারো কারো বাসায় পাওয়া গেছে টাকার ভোল্ট! শুদ্ধি অভিযানটা ওয়ার্ড পর্যায়ের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিলো।
এক কথায় বলতে গেলে পুরো বছর জুড়ে সব খবরই ক্ষমতাসীনদের নিয়ে। সব মিলিয়ে সরকার তেমন একটা ভালো নেই, সঙ্কটে দিন যাপন করছে। যদিও এটা অস্পষ্ট তবে দলের হাই কমান্ড সূত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে এমন খবরও এসেছে পত্র পত্রিকায়।
সেপ্টেম্বর মাসটা ছিলো হরিলুটের, সংবাদ মাধ্যমগুলিতে মধ্যে একটির পর একটি ফাঁস হয় আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য। ছাত্রলীগ জাবির ভিসির কাছে চাঁদা দাবি করে ও পরে ভাগাভাগির ইস্যুতে পদচুত্য হয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সরকার নিজেদের দুর্নীতি মুক্ত দাবি করলেও তা আর বেঁধে রাখতে পারছে না।
আর্থিক খাত নিয়ে সারসংক্ষেপে বললে- শেয়ার বাজারে ধস, একটি ঢেউটিন এক লাখ টাকা! রেলের ক্লিনারের বেতন চার লাখ টাকা, চট্টগ্রাম ওয়াসা পানি বিশুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণে ৪১ কর্মকর্তা উগান্ডায় গমন, পুকুর কাটা প্রশিক্ষণ নিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ গমন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ’র পর্দা ও বই কেলেঙ্কারি ইত্যাদি। ১২ সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের একটি নিউজ বেশ নজরে আসে সচেতন মহলে, প্রথম আলো লিড নিউজ করেছে টাকার খোঁজে সরকার ! বিষয়টা ভাবিয়েছে সমাজ চিন্তকদের। সেখানে দেখা যায়, খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। ব্যয়ের খাত বড়ই হচ্ছে, আয়ে আছে বড় ঘাটতি। ব্যয়ের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই সরকারের কাছে। বরং টাকার সংকটে আছে সরকার।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ড বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিলো। ছাত্র লীগের নির্মম নির্যাতনের শিকারে নিহত লাশের ছবি দেখেছে বিশ্ববাসী। ফুটে উঠেছে সরকারের সোনার ছেলেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। একে একে বেরিয়ে আসে সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়য়ের হলের চিত্র। কেমন করে অত্যাচার আর নিপীড়ন ও মারধরের মধ্য দিয়ে দিনানিপাত করতে হয় সাধারণ ছাত্রদের। র্যাগিং এর নামে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। আটক হওয়া দোষীরা নিজেদের স্বীকারোক্তি দিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। ইডেনে সিট বাণিজ্যের টাকা নিয়ে বটি দা দিয়ে এক নেত্রী অপর নেত্রীকে কুপিয়ে আহতের খবর পাওয়া যায় নভেম্বরের মাঝামাঝিতে।
এ বছরে নারী নির্যাতনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি! বিগত বছরের সব রেকর্ড ভেঙ্গে গেছে চলতি বছরে প্রথম ছয় মাসে। বিষয়টা উদ্বেগ ও ভাবনার। জুন পর্যন্ত ছয়মাসে বাংলাদেশে যে সংখ্যক নারী ও কন্যা শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে তা গেলো পাঁচ বছরের তুলনায় প্রায় চার গুণ।
এ তথ্যসুত্র বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের। চলতি বছরে মোট ২ হাজার ৮৩ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এ বছরের প্রথম দিনই নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী সন্তানকে বেঁধে রেখে ধর্ষণ করা হয় এক গৃহবধুকে। জুলাই মাসে প্রথম সপ্তাহে শুক্রবারে ওয়ারী এলাকায় ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ছয় বছরের শিশু সায়মা আফরিনকে। এর মাঝে আরোও দুই হাজারের বেশি নারী ও কন্যা শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে পুরো দেশে।
২০১৪ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের চেয়ে গেলো ছয়মাসে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা প্রায় ৪ গুণ বেশি। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি কারণে অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। যা নারী আন্দোলনকে ভাবিয়ে তুলেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য বলছে, গেলো জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৯২ জন, আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৬ জনকে। এছাড়াও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১২৩ জন নারীকে এছাড়াও বিভিন্ন কারণে ২৭৬ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাস ছিলো একটি আলোচিত ইস্যু, এই ইস্যুতে পত্রিকাগুলো সরব ছিলো ধানের বাজার দর নিয়ে। কৃষকের কান্নামাখা ছবি ছিলো পত্রিকার পাতা জুড়ে। টাঙ্গাইলে ধানের দাম কম ও ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি বেশি থাকায় টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক কৃষকের পর এবার বাসাইলের আরেক কৃষক তার নিজের পাকা ধান ক্ষেতে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
১৩ মে এমন খবর প্রকাশ হয় অনলাইন নিউজ পোর্টালে। বাসাইল উপজেলার কাশিল গ্রামের নজরুল ইসলাম খান নামের এক কৃষক নলী বিলের বোরো ধান ক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগে ১২ মে দুপুরে জেলার কালিহাতী উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের বানকিনা গ্রামের আবদুল মালেক তার রোপণকৃত পাকা ধানে আগুন ধরিয়ে এ প্রতিবাদ করেন।
বাসাইলের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য প্রায় এক হাজার টাকা। তারপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অপরদিকে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫শ’ টাকা করে। এছাড়া ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের শীষ চিটা হয়ে শুকিয়ে গেছে। বারবার স্থানীয় কৃষি অফিসে জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
শ্রমিকের দাম বেশি ও ধানের দাম কম হওয়ায় ওই কৃষক দিশেহারা হয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দেন। চলতি বছরের আরেকটি আলোচিত ঘটনা হচ্ছে প্রিয়া সাহাকে নিয়ে। বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ ধর্মীয় সংখ্যালঘু ‘ডিসঅ্যাপিয়ার্ড’ বা অদৃশ্য তথা গুম হয়ে গেছে- ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গিয়ে এমন কথা বলে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের একজন সাংগঠনকি সম্পাদক প্রিয়া সাহা।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাকে ‘দেশদ্রোহী’ অভিহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও কিন্তু তার বিরুদ্ধে শেষমেশ কিছুই হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দপ্তর হোয়াইট হাউসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ (৩৭ মিলিয়ন) সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ‘নাই’ (ডিসঅ্যাপিয়ার্ড) হয়ে গেছে। এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষ থাকে। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার জমি ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনও বিচার হয়নি।’
এ বছরের শেষের দিকে যে বিষয়টি মানুষকে হাসিয়েছে ও অবাক করেছে তা হচ্ছে বিজয় দিবসের আগের দিন দশ হাজার রাজাকারের তালিকা প্রকাশের ঘটনা। ঢাক ঢোল পিটিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তালিকা প্রকাশ করে, আমি অন্তত ভেবেছিলাম সেখানে মাওলানা সাঈদী বা আব্দুল কাদের মোল্লার কিংবা যারা কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হয়েছিলেন তাদের নাম থাকবে, কিন্তু অবাকের বিষয় তাদের নাম সেখানে লিপিবদ্ধ ছিলো না। মজার বিষয় সেখানে স্বয়ং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পিপি’র নাম ছিলো। সরকারের গেজেটভুক্ত অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম আসে এ তালিকায়। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রায় আট হাজারের অধিক রাজাকারের নাম আসে যা পরে মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইট থেকে এই তালিকা মুছে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দাবিদার দলটির নামে এতো অভিযুক্ত বিষয়টি তাদের ভাবিয়ে তুলে আর অপর শক্তি জামায়াতের নাম হাতে গনা কয়েকজন! এটা সারা দেশবাসীকে ভাবিয়েছে।
যাই হোক আওয়ামীর ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশ ভালো আছে বা সুন্দর চলছে তা বলা যায়নি আর যাবে তাও কিন্তু নয়। তবুও আশাবাদী দেশটি ভালো থাকুক ও সুন্দর থাকুক। নতুন বছর সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪০
কনফুসিয়াস বলেছেন: দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে। জোয়ারের পানি তিস্তায় আটকে রেখে দেশকে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু আয় ১৯০৯ মার্কিন ডলার, যা দিয়ে করিম (রিক্সার ড্রাইভার) KFC এ গিয়ে নিয়মিত বার্গার খায়, ভাত তার ভালই লাগে না। ব্যাংকে সখিনার (কাজের বুয়া) ভল্ট ভর্তি সোনা-গয়না রাখা আছে, যেগুলো বিমান বন্দরে আটক করা হয়েছিল।
মানুষের আর পিয়াজ খাওয়ার দরকার হয়না, সবাই গরু-খাসির গ্রিল খায় সেখানে শুধু লবন আর মিউনিস লাগে।
সামুর পোষ্ট দেওয়ার বক্স ছোট, নাহয় আরো অনেক উন্নয়ন আছে যা এখনো আপনাদের সামনে আনতে পারিনি। ভবিষ্যৎতে আনার পরিকল্পনা আছে।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা জানি দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে
আর কিছু কি দরকার আছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটাকে হিসেব নিকাশ বলে নাকি? সরকার সম্পর্কে লিখতে হলে, যেসব বিষয় হিসেব নিকাশ করা যায়, সেগুলো থাকতে হয়; আপনি লিলিপুটিয়ান হিসেব নিকাশ দিয়েছেন; সময় নষ্ট করেছেন