নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তির মাঝেই সমাধান খুঁজি।

উড়ন্ত বাসনা

জীবন কে ভালবাসি।

উড়ন্ত বাসনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায়ী বছরের অপ্রাপ্তির পাল্লাটাই ভারী!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

প্রাপ্তির চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লার ভার বেশি সদ্য বিদায়ী বছরের হিসাব-নিকাশে। ক্যালেন্ডার পাতা থেকে বিদায় নিয়েছে খ্রিস্টীয় একটি বছর। বছর শেষে হিসাবের খাতায় পাওয়া আর না পাওয়ার ফলাফলে সরকারের ব্যর্থতা বেশিই লক্ষ করা যাচ্ছে। পুরো বছর জুড়ে মানুষের পাওয়ার দৃশ্যটা অস্পষ্ট রয়েই গেল! সাধারণ মানুষ কী পেল? এমন প্রশ্নের উত্তরে ভালো কিছু পাবার কথা আসবে না।
দেশীয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনীতিতে নতুন বাঁক দেখা গেছে। বছরজুড়ে ঘটেছে বড় রাজনৈতিক ঘটনা। বিদায়ী বছর দাগ কেটেছে ইরানের বিক্ষোভ, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক উত্থান পতনের নানান ঘটনা।

দেশীয় ঘটনার ফিরিস্তি অনেক বড়। বিশেষ করে বিমা খাতের কলঙ্কের বছর যা এর আগের বছর দিয়ে শুরু হয়। গ্রাহকের আমানত লোপাট এবং বিমা দাবি পরিশোধে অনীহার কারণে বিমা খাত সঙ্কটে পড়ে। বছরের শুরুতে পুঁজিবাজারে ছিল উত্থানের হাওয়া। কিন্তু প্রথম মাস শেষ হওয়ার আগেই হাওয়া বদল। শুরু হয় দরপতন। থেমে থেমে তা চলতে থাকে বছরজুড়ে। বছরের শেষের দিকে এসে রাজনৈতিক মামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালতপাড়া। দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত এবং গণঅধিকারের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কারাবরণ ছিল আলোচনার শীর্ষে। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গ্রেপ্তার ছিল শেষ রাজনৈতিক পীড়ন বিরোধী পক্ষ দমনে। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আটক হন পুলিশের হাতে। এরমাঝে ঢাকার আলোচিত তরুণ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার। তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতপাড়া ছিল বেশ সরগরম। অন্যতম ঘটনা ছিল সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যাওয়া। পরে জামিনে মুক্ত।

৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। ঢাকা মেডিকেল কলেজে দ্বিতীয় দফায় হামলা করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সহায়তায় ২৪ নেতাকর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। মাস খানেকের অধিক কারাভোগের পর তারা জামিন পান।

দুই বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যা মামলাও ছিল আলোচনায়। সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল ফারদিন নূর পরশের মামলাটি। নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গত ৭ নভেম্বর রাতে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে চিকিৎসকরা জানান। ফারদিন হত্যার ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় নিহতের বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। তবে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, পরশ আত্মহত্যা করেছেন।
গত ১৪ জুলাই বিকেলে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি। ওইদিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন মৈনট ঘাট থেকে থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ জুলাই বিকেলে সানির বড় ভাই হাসানুজ্জামান সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে ১০ জন হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। বাকি ৫ জন কারাগারে। এ দুই মামলা এখনও তদন্তাধীন।

দীর্ঘ পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিদায় নেয় ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতার সংকটে পড়ে নূরুল হুদা কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় নূরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া সংকট নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনকে। দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১০ মাস হতে চললো, মাঠের রাজনীতির প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করতে পারেননি তারা।

সদ্য বিদায়ী বছর বাজার দর ছিল সরকারের কন্ট্রোলের বাইরে। নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে লাগামহীন যা ইতিহাসে আর হয়নি। ভোগ্যপণ্য ছিল খেটে খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে। সয়াবিন তেলের দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি! দফায় দফায় বেড়ে ডাবল সেঞ্চুরি গিয়ে ঠেকে। নানান নাটকীয়তার পর দাম বেঁধে দেয় সরকার। চালের বাজার অস্থির! সপ্তাহের অন্তর অন্তর দাম বাড়ে। বোতলজাত গ্যাসের দাম বেড়েছে দুইবার! আটা ময়দা বেড়েছে কয়েকবার। সব্জির দামও ছিল শীতের শুরুতে শতের ঘরে।
কমছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এসবের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শত কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভূমিকা নিয়েও।

চলতি বছর দুদকে আসা মোট অভিযোগ থেকে মাত্র সাড়ে চার শতাংশ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়েছে। দুদকের এখতিয়ারবহির্ভূত মর্মে মোট অভিযোগের ৭৮ শতাংশই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। মে মাসে দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলায় জামিন পান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের নামে মামলা করেন।

রাজধানী ঢাকায় হাজারও সমস্যা। শেষ নেই জনদুর্ভোগের। তবে সব ছাড়িয়ে সামনে আসে ‘মশার উৎপাত’। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বাড়ছে। আবার কিউলেক্স মশার উৎপাতেও অতিষ্ঠ নগরবাসীকে এ মশার উৎপাত থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে দুই সিটি করপোরেশন। তবে নানা উদ্যোগ নিয়েও মশার উপদ্রব কমাতে পারছে না সংস্থা দুটি। বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ দিয়ে দুই সিটি ‘মশা মারতে কামান দাগলেও’ তা কাজে আসছে না।

বছরের মাঝামাঝিতে বাড়ানো হয় জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম। এরপর কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারো ওষুধের দাম বাড়ে। ২০১৩ সালের পর ২০২২ সালের ২০ জুলাই ৫৩টি ওষুধের দাম পুনর্নির্ধারণ করে সরকার। এই তালিকায় ছিল প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, এমোক্সিসিলিন, ডায়াজিপাম, ফেনোবারবিটাল, এসপিরিন, ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিনসহ অন্যান্য জেনেরিকের ওষুধ। এরপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি লিবরা ইনফিউশন লিমিটেডের প্রস্তুতকৃত ২৪ ধরনের ওষুধের দাম বাড়ানো হয় ২০ নভেম্বর। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, কাঁচামালের দাম ও উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ২০২২ সালে ১৯ শিক্ষার্থী নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সব ঘটনায়ই অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ১৪টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও ৯টি ঘটনায় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মাত্র দুটি ঘটনায়। চার ঘটনায় চাপে পড়ে ভুক্তভোগী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। পাঁচটি ঘটনায় ভয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সমন্বয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) লোকসান কমানোসহ পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে পরে কয়েক দফা কমলেও জ্বালানি তেলের দাম কমায়নি সরকার। তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে গাড়ি ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ হারে! ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়। যা দেশের ইতিহাসে প্রথম! এখন এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে ১১৪ টাকা লাগছে।

এছাড়া আবাসিক খাতের জ্বালানি ও শিল্প কারখানায় সরবরাহ করা প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ২২ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। পহেলা জুন থেকে নতুন মূল্য কার্যকর হয়। ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ঘনমিটারে ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২২.৭৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১১.৯১ টাকা পুনঃ নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন মূল্যহার অনুযায়ী এক চুলার গ্যাসের জন্য মাসে দিতে হবে ৯৯০ টাকা আর দুই চুলার জন্য দিতে হবে ১ হাজার ৮০ টাকা।

বিদায়ী বছরে আরও আলোচিত ঘটনার মধ্যে ছিল- সিলেটে পরপর দুই দফা বন্যা, সীতাকুণ্ডে বেসরকারি ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। উল্লেখযোগ্য ছিল বেগুনের পরিবর্তে মিষ্টিকুমড়ার রেসিপি ইস্যু, বছরের শেষে মাংসের পরিবর্তে কাঁচা কাঁঠাল মানুষকে বিনোদন দিয়েছে। একশ পনের আলেমের তালিকা ছিল অন্যতম আলোচিত ইস্যু যা ঘাদানিক নামে একটি সংগঠন তৈরি করে সরকারকে দিয়েছিল।

জ্বালানি তেল ও গ্যাস সঙ্কটের কারণে প্রতিদিন দুই থেকে চার ঘণ্টার লোড শেডিংয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত থাকে রাজধানী। গ্রামের অবস্থা আরও খারাপ! পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা বিদ্যুতহীন থাকে মানুষ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। উৎপাদন খরচ বাড়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন শপিং মলসহ সব ধরনের দোকান রাত ৮টার পর বাধ্যতামূলকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়। ফলে বিরূপ প্রভাবও পড়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের ওপর। বিদ্যুৎ না থাকায় শ্রমিকদের কাজের পরিমাণ কমে যায়। চুক্তিভিত্তিক যেসব শ্রমিক কাজ করেন, তাঁদের আয়ও কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। যা এখনও বিদ্যমান। বিদ্যুতের কারণে সরকারকে অফিস টাইম এগিয়ে আনতে হয়। ব্যাংক টাইম কমাতে হয়।
বিদায়ী বছরে আইনের শাসন ছিল উপেক্ষিত। ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের দাপটে পুলিশ প্রশাসনের অবস্থা ছিল ত্রাহী ত্রাহী। পুলিশ ব্যবহারর হয়েছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে যার নমুনা বিরোধী পক্ষকে দমনে। হত্যা আর গুম হওয়া মানুষের তালিকা বেড়েছে আগের বছরের চেয়ে। মানবসম্পদ উন্নয়নে বিদায়ী বছরে তেমন সাফল্যের বার্তা দিতে না পারলেও সকারের ঝুলিতে আছে বিবিধ ব্যর্থতা। নারী নির্যাতন ভয়াবহ মাত্রায় সঙ্ঘটিত হয়েছে!

ডলার সঙ্কটের কারণে শিল্পের উপকরণ আমদানিতে নতুন এলসি খোলার হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে বছরের শেষের তিন মাসে। এতে আগামীতে শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি কম হওয়ায় অবধারিতভাবে শিল্প উৎপাদনও কমবে এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এছাড়া রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি’ও কমেছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস ও বিদ্যুতের জোগান দিতে না পারায় উৎপাদন কমছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ব্যাপক হারে যা এখনও বিদ্যমান। চড়া দামে পণ্য আমদানি করে সেগুলো বিক্রি করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। নতুন বিনিয়োগে না গিয়ে বরং চলমান ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।

লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দি ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট করোনা মহামারির প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিপর্যয় নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ পদক্ষেপ নেয়নি। এক কথায় বলা যায়, বিদায়ী বছর ছিল একটি বিব্রতকর বছর সাধারণ জনগণের জন্য। যেখানে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লা ভারি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের আশাবাদী হতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.