নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগে আমার আগের আইডির নাম \'ফরিদ আলম\'।

ফৈরা দার্শনিক

শেখ ফরিদ আলম।

ফৈরা দার্শনিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ কুরবানীর ছবি ফেসবুকে শেয়ার করা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৬


ইসলামে লোক দেখানো ব্যাপারের কোন স্থান নেই। বিশেষ করে ইবাদাতের ক্ষেত্রে। নবী করীম (সা) বলেছেন, “আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক থেকে খুব ভয় করছি। সাহাবীরা বললেন – ইয়া রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম! ছোট শিরক কি? রসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তা হলো “রিয়া” বা লোক দেখানো ইবাদত। যেদিন আল্লাহ তাআ’লা বান্দাদের আমলের পুরস্কার প্রদান করবেন, সেদিন রিয়াকারীদেরকে বলবেনঃ যাও, দুনিয়াতে যাদেরকে দেখানোর জন্য আমল করতে, তাদের কাছে যাও। দেখো তাদের কাছ থেকে কোনো পুরস্কার পাও কিনা?” [মুসনাদে আহমাদ, সহীহ ইবনে খুজায়মা, হাদীসটি সহীহ – শায়খ আলবানী।]

নিজের কাজ বা ইবাদতে রিয়া বা অহংকার প্রকাশ কোন প্রকৃত মুসলিমের জন্য খুবই লজ্জাকর। সে সবসময় এই ব্যাপারে সাবধান। স্যোসাল মিডিয়া আসার পর মানুষ নিজেকে প্রকাশ করার ম্যানিয়ায় ভুগছে। এটা একজন সাধারন মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার গুলোর ক্ষেত্রে হতেই পারে তবে প্রকৃত মুসলিম এসব করতে পারে না। কুর'বানী সামনে বলেই এসব কথা বলছি। কারন, কয়েক বছরের ফেসবুক অভিজ্ঞতায় বলছি অনেকেই আছে যারা আল্লাহর উদ্দেশে করা কুরবানীর ফটো গর্বের সাথে ফেসবুকে প্রকাশ করে। এটা কোন ভাবেই ঠিক নয়। এটা সামাজিক সাইট বলেই এটা করা ঠিক নয়। আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কুরবানী করবেন সেটা দুনিয়াকে জানানো কি জরুরি? মহান আল্লাহ বলেন, “আপনি বলুনঃ নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও মৃত্যু - বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য।” [সুরা আল-আনআ’মঃ ১৬২]

আর এতে রিয়ার সম্ভাবনা তো থাকেই সাথে ভালো দামী পশু কুরবানী দেওয়ার অহংকার প্রকাশেরও সম্ভাবনা থাকে। ‘নিশ্চয় আল্লাহ দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না’[সূরা লোকমান; ৩১:১৮]। প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা) বলেছেনঃ ‘যার অন্তরে অণু পরিমান অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা’। শয়তানের কিন্তু বিশাল জয় যদি সে আপনার মনে রিয়া বা অহংকার সরিষা দানা পরিমানও সৃষ্টি করতে পারে। তাই সাবধান শয়তান থেকে!

আবার অনেকে অন্য ধর্মের লোকেদের এসব দেখিয়েও আনন্দ পান। বিকৃত আনন্দ। এটা আরো ভয়ংকর ব্যাপার। একজন মুসলিম হিসেবে মনে রাখা উচিত ইসলাম শান্তির ধর্ম। শান্তি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য, দায়িত্ব। আমরা নবী জীবনি পড়লেই বুঝতে পারব বিশ্বনবী (সা.) সবসময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। শান্তির জন্যই একের পর এক সন্ধি করেছেন। তাই সকল ফেসবুক ফ্রেন্ডদের অনুরোধ করব এরকম জঘন্য কাজ করবেন না। কলকাতার দুজন বিখ্যাত আলেমও অনুরোধ করেছেন যাতে কেউ কুরবানীর ছবি শেয়ার না করে। কুরবানী একটা ইবাদত। এটাকে প্রচার করে বেড়ানোর কিছু নাই। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝ দান করুন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করার সৈনিক হিসেবে কাজ করার তাওফিক দিন। আমীন!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয়ের অবতারনা করেছেন আপনি। ফেসবুকে এহেন কোন কর্মকান্ড নাই যা আমরা শেয়ার করছি না। কোন বাছ বিচার নাই, পোষ্ট দিতে পারলেই হল এই যখন অবস্থা তখন কোরবানীই বাদ যাবে কেন? তাইতো দেখি কোরবানীর গরুর ছবি, গরুসহ মালিকের সেলফি, দরদাম নিয়েও বেশ সরস আলোচনা হয় আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আবাল আর কাকে বলে? উদ্দেশ্য তাদের মানুষের সন্তুষ্টি, আল্লাহর সন্তুষ্টি সেতো অলীক ব্যাপার।

মহান আল্লাহ অামাদের সুমতি দান করুক, আমিন....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.