![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা জ্যামে কাটানোর পর কাছিমের গতিতে বিল্ডিং দোরগোড়ায় উপস্থিত, উচুঁ দালানের দীর্ঘ সিড়ি বেয়ে অবশেষে বাসায় প্রবেশ আর বাসায় প্রবেশ করা মাত্রই বিদ্যুৎ এর পলায়ন, এটি নাগরিক জীবনে নতুন কোন ঘটনা নয়। তবে গ্রাম গঞ্জের চিত্র কিছুটা ভিন্ন এখানে বিদ্যুৎ যায় না এখানে বিদ্যুৎ আসে। আবাহাওয়ার পূর্বাভাস কিছুটা ভুল হতে পারে কিন্তু গ্রামে হালকা বাতাস বা মেঘ জমলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়াটা ভুল হবে না। তবে যাই বলিনা কেন বর্তমানে আমরা অনেকটাই বিদ্যুৎ এর উপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরশীলতা যে শুধুই শহুরে মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয় আজকাল গ্রামের মানুষও অনেকটাই বিদ্যুৎ এর উপর নির্ভরশীল যেমন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে কুপি ও হারিকেন এর বদলে লোকজন এখন চার্জ লাইট ব্যবহার করছে। এখন আর কৃষক দুপুরে মাদুর বা শীতল পাটিতে শুয়ে দক্ষিণা বাতাসে গা জুড়োয় না এর বদলে বরং কৃষক বাড়িতে নরম গদিতে শুয়ে বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদ্যুতের উপর নির্ভর বলেই লোডশেডিং হলো বিরক্তের আরেক নাম। তবে অন্য জায়গার কথা জানিনা আমি যেখানে থাকি আজ প্রায় এক বছর হলো লোডশেডিং তেমন একটা হয় না। আজকাল লোডশেডিং অনেকটাই মিস করি বলতে গেলে। লিখাটি পড়ে পাগলামো মনে হলেও এটিই সত্য কারণ লোডশেডিং হলেই বাইরে মিটমিট করে জ্বলে উঠে প্রাকৃতিক জীবন্ত সবুজ আলোগুলি। এদিক সেদিক ছুটে বেড়ানো সবুজ আলোগুলি সত্যি প্রকৃতির এক বিস্ময়। সেই অনবদ্য সৃষ্টিকে আরো সৌন্দর্যময় করে পূর্ণ চন্দ্রের আলো। যা আসলে বৈদ্যুতিক আলোর প্রভাবে অনেকটাই দৃষ্টির অন্তরালে রয়ে যায়। লোডশেডিং এর কারণে যখন বাইরে কোথাও হাটি বা বসি তখন শীতল হাওয়ার সাথে ভেসে আসে মিষ্টি কোন ফুলের সৌরভ যা সত্যি হৃদয় কেড়ে নেয়। অমবস্যার রাতে যখন বিদ্যুৎ চলে যায় তখন বাইরের নিশ্ছিদ্র সেই ঘন অন্ধকার যেন নিজেকে জানতে নিজের ভেতরটাকে উপলব্ধি করতে অনেকটাই সাহায্য করে। বেচে থাকতে গেলে কখনো না কখনো কোন না কোন বিষয়ে নির্ভরশীল হতে হয় কিন্তু নির্ভরশীলতা যখন অভ্যাসে পরিণত হয় অনেক বিষয় দৃষ্টির অন্তরালে থেকে যায় কোন কোন বিষয় না বলেই হারিয়ে যায় ।।
©somewhere in net ltd.