নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপেক্ষার পালা শেষ-----

http://vutoo.blogspot.com

ফিউজিটিভ

জাতিসংঘের কোন এক সংস্থায় কর্মরত। [email protected]

ফিউজিটিভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাভেলগ-১

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

মিক্সড ডর্মিটরিতে আমার প্রথম রাত্রি যাপনের সৌভাগ্য (বা দুর্ভাগ্য) হয় ইকো ডিজাইন নামক ছোট্ট ঘরোয়া এক গেস্ট হাউজে, আটলান্টিক মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ মাদেইরার ছোট্ট শহর মাচিকো সিটিতে।
ফটো: Machico City beach, Madeira


কোন এক দুপুর বেলা আমি হাজির হলাম। ক্রিস্টিনা - গেস্ট হাউজ মালিকের একমাত্র মেয়ে কাম কেয়ারটেকার - আমাকে দোতলায় আমার রুম দেখিয়ে দিলো। রুমে মোট চারটা বেড। আমি কোনার দিকের একটা বেড দখলে নিলাম। তারপর ক্রিস্টিনার সাথে নিচতলায় রান্নাঘর, বসার ঘর ও অন্যান্য আর কি সুবিধাদি আছে তা ঘুরে দেখলাম। তখন পর্যন্ত ওই রুমে এমনকি গোটা গেস্ট হাউজে আমিই একমাত্র গেস্ট। জিগেস করতেই ক্রিস্টিনা জানালো, এখন অফ সিজন তাই গেস্ট কম।

তবে আরেকজন আসার কথা আছে তার নাম আনিয়া! ও যেহেতু এখন বাসায় চলে যাবে, তাই আমাকে রিকোয়েস্ট করলো যেন আনিয়া এলে আমি গেটটা খুলে দেই এবং ওকে ফোন করে জানাই।

"আনিয়া মেয়ে নাকি??" - আমি জিগেস করলাম।

"হ্যা মেয়ে!" - আমার দিকে তাকিয়ে ও কিছু একটা চিন্তা করলো।

"কেন তুমি জানোনা যে এটা একটা মিক্সড ডর্ম ??"

"আমি আসলে খেয়াল করিনি - তাড়াহুড়া করে বুকিং দিয়েছি তো।"

"তোমার কি সমস্যা হবে মোহাম্মদ?"- ক্রিস্টিনা কে একটু চিন্তিত মনে হলো।

"আরে না! কি বলো ! ওদের সমস্যা না হলে আমারও হবে না।"

"তুমি নিশ্চিন্ত থাকো। অন্য কারো সমস্যা হবে না। আমি তোমার কথা ভাবছি..."

ক্রিস্টিনা আমাকে রুমে ঢোকার চাবি গুলো বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেল।

ওই বিকেলেই সৈকতে হাটাহাটি করে ফিরে এসে দেখি গেস্ট হাউসের দরজায় দাড়িয়ে আছে একটা মেয়ে!

"তুমি আনিয়া তাইনা? অনেক্ষন হয় দাড়িয়ে আছো??"

"হা, আমি আনিয়া কিন্তু তুমি কিভাবে চেন আমাকে??"

"ক্রিস্টিনা বলেছে আমাকে তোমার কথা। এ সময় ও থাকেনা এখানে। তাই আমাকে বলেছিলো তুমি আসলে যেন তোমাকে রুম দেখিয়ে দেই আর ওকে ফোন করি। "

"ওহ আচছা, ভালো।" - আনিয়া মনে হয় কিছুটা আস্বস্ত হলো।

"তাও ভালো আমি তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছি। নইলে তোমাকে হয়তো দরজায় দাড়িয়ে থাকতে হতো অনেক্ষন।"

আনিয়া আইরিশ। পিএইচ ডির ছাত্রী। কয়েকদিনের ছুটি পেয়ে ঘুরতে বের হয়েছে।

যেহেতু আর কেউ নেই, আর ক্রিস্টিনাও আসেনি তাই ভদ্রতা করে আমিই আনিয়াকে নিচতলায় কিচেন ও অন্যান ইউটিলিটি সমুহ ঘুরিয়ে দেখিয়ে আনলাম। আনিয়া আমার পাশের বেডে অবস্থান নিলো।

সন্ধার পরে হই হুল্লোরে ঘুম ভাংলো। কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম বুঝতে পারিনি।

দেখি ক্রিস্টিনা এসেছে, সাথে আরো দুটো মেয়ে - শেষ সময়ে রুম বুক করেছে এরা। আনিয়া নেই রুমে, মনে হয় ঘুরতে বের হয়ে গেছে।

ক্রিস্টিনা ওদের দুজনের বেড ঠিকঠাক করে দিলো। মেয়েদুটোর সাথে পরিচিত হলাম। জার্মানী থেকে এসেছে ওরা - কোন এক হাসপাতালে কাজ করে।

বেশ অনেক্ষন ওরা কথাবার্তা বললো। মাঝে মাঝে আমার সাথেও কথা হলো কয়েকবার।
যাবার সময় ক্রিস্টিনা ফোড়ন কাটতে ভুললো না - "রাতে ভয় পেয়োনা কিন্তু!"

আরেক ঘুম দিয়ে রাতে কিচেনে গেলাম কিছু খাবার বানিয়ে খেতে। দেখি জার্মান দুইটাও রান্না করে। কিচেনে বেশ কিছুক্ষন কথাবার্তা হলো ওদের সাথে।

পরদিন জার্মান দুইটা চলে গেলো।
আমি গোটা দ্বীপ বাসে চড়ে ঘুরলাম।
রাতে টায়ার্ড হয়ে এসে ঘুমিয়ে গেলাম। আনিয়া তখনো ফিরে নাই।
পরদিন সকালে আনিয়াকে বিদায় জানিয়ে আমিই রওনা হয়ে গেলাম জেনেভার উদ্দেশ্যে। আনিয়া হয়তো ছিলো আরো কয়েকদিন...

ফটো: Cristiano Ronaldo Madeira International Airport

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোগালার ভালোবাসা ।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আর একটু গুছিয়ে লিখলে ভালো হতো।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ অভিজ্ঞতা, আরো কিছু ছবি হলে ভাল হত !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.