নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপেক্ষার পালা শেষ-----

http://vutoo.blogspot.com

ফিউজিটিভ

জাতিসংঘের কোন এক সংস্থায় কর্মরত। [email protected]

ফিউজিটিভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিহিমুমু-৮

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৫

হিহিমুমু-৭

ফোন ধরা মাত্রই মাজেদা খালা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন।

"ওরে হিমু রে আমার সর্বনাশ হয়ে গেছেরে। আমার আর মুখ দেখানোর জো রইলো না রে। আমি এখন কি করবো রে..."

আমিও কাঁদার ভান করলাম...
"ও খালা গো কি আর করবা বলো, আমিও কি ভেবেছিলাম আমার আপন নানির পেটের মেয়ের জামাই এতো বড় শয়তানি করতে পারে।"

খালা মনে হলো একটু ধাক্কা খেলেন। -

"এ্যা? বলিস কি? তুই সব জানিস মনে হচছে?"

"কি বলো খালা আমি জানবোনা? আমি সব জানি। বিয়ে করে বাসাও নিয়েছে। ঝিগাতলায়!"

"ক্ কি বলিস?" - খালা তোতলাতে শুরু করলেন। - "আমিতো শুনলাম শুধু ইটিশ পিটিশ করতো। বিয়েও করে ফেলেছে?
হায় আল্লাহ একি শুনলাম আমি।"
বলেই আবার নতুন উদ্যমে হাউ মাউ করতে শুরু করলেন।

আমি কিছুটা সময় দিলাম। একটু ঠান্ডা হোক!

"আমি তাহলে এখন কি করবো রে হিমু। আমার মাথায় তো কিছুই আসছেনা।"

"তুমি কোন চিন্তা কোরো না খালা। আমি অলরেডি ব্যবস্থা নিয়ে ফেলেছি। এক ঢিলে দুই পাখি মারার ব্যবস্থা।"

"এর মানে কিরে? কি বলিস এসব??"

"মানে মারবো এক ঢিল! মরবে দুটো পাখি!!"

"মরবে মানে ? মেরে ফেলবি নাকি? ক্ কাকে?? "

খালার স্বর একটু ভীত মনে হলো।

"দুজনকেই। খালু আর তার নতুন বউকে। সস্তায় এক খুনিকে ম্যানেজ করে ফেলেছি । ওর আবার সিজন খারাপ যাচছে। তাই একজনের যায়গায় দুজনকে খুন করে দিচ্ছে এখন। মানে একজনকে খুনের সাথে আরেকজন ফ্রী।"

"এই বদমাস তোকে খুন করার কথা কে বলেছে?"

"কি বলছো খালা। তুমি ওই নতুন বউকে মানতে পারবে?? দুদিন পরেই ঘরে এনে উঠাবে। তৃতীয় দিন থেকে তোমাকে দিয়ে বাড়ির সব কাজ করাবে!"

"বলিস কি! তাহলে তো..."

আমি মুখের কথা কেড়ে নিলাম।
"তুমি এসব নিয়ে চিন্তা কোরোনাতো। সব আমার উপর ছেড়ে দাও। তুমি বরং একজন খুনের ফি বাবদ কিছু টাকা পাঠায়ে দাও। আমি তাড়াতাড়ি কাজ সেরে ফেলি।"

"আমি এখন টাকা কই পাবো? রাগের মাথায় খালিহাতে চলে আসছি!"

"কি বলছো খালা! এসব ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে টাকা পয়সা গয়না গাটি সব চুরি করে পালাতে হয়।"

"এই হারামজাদা। আমার জিনিস আমি চুরি করবো মানে? কি বলিস এগুলা।"

"আহা! এখনতো আর তোমার থাকবে না। সব পাবে ওই খালা!!"

"ওই খালা মানে? তোর দাঁত উঠায়ে ফেলবো। ওই শয়তানিকে খালা বললে।"

"আচছা বলবো না। তবে তোমার উচিত ছিলো আসার সময় খালুসাহেবের মাথায় বাড়ি দিয়ে তার ভবলিলা সাংগ করে দেয়া। তাহলে এখন আর কোন ঝামেলা থাকতো না।"

খালা আবারো কুন কুন করে কাঁদতে শুরু করলেন।
"আমার মাথায় কিছুই আসছে নারে হিমু। তুই কিছু একটা কর।"

"তুমি একদমই চিন্তা কোরো না তো, নিশ্চিন্তে কান্নাকাটি করে যাও। আমি দেখি ফ্রীতে খুন করার ব্যবস্থা করানো যায় কিনা!"
আমি দ্রুত ফোন কেটে দিলাম...

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতুলণীয়

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: যথেষ্ঠ বিরক্তকর।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: রাজীব ভাইয়ের হিমু হওয়ার পথে আপনি অন্তরায়। ব্লগে একমাত্র হিমু হলেন রাজীব নুর খান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.