নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাই নেম ইজ খান

মাইনেম ইজ খান এন্ড আই অ্যাম এ মুসলিম। এটি একটি বিশ্বাসী লোকের ব্লগ পেজ, তাই এখানে অশ্লীল ও অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

মাই নেম ইজ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবাহ না ব্যভিচার : কিসে নারীর উপকার? (বিবাহ ও ইসলাম -২)

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:১৩

(উৎসর্গ: যারা বিবাহের ইচ্ছা করেছেন কিন্তু পারিপার্শ্বিক সমস্যার কারণে এখনও করে উঠতে পারেন নি। অথবা যারা অচিরেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন, এই সিরিজটি তাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে আশা করি।)



পূর্বের লেখা: বিবাহ ও ইসলাম -১



(পূর্ব প্রকাশের পর)

পাশ্চাত্য সভ্যতা যিনা-ব্যভিচারকে সহজ থেকে সহজতর করে দিয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় নারী-পুরুষ স্বেচ্ছায় যদি যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের আইন ও সমাজের দৃষ্টিতে এটা কোন অন্যায় নয়। বরং প্রয়োজনে রাষ্ট্র ও তার প্রশাসন এক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করে। নারীদেরকে অধিকার ও স্বাধীনতার নামে সমাজের সর্বত্র খোলা-মেলাভাবে ছড়িয়ে দিয়ে, সেক্স সিম্বল হিসেবে চিত্রিত করে, বেহায়াপনা ও উলঙ্গপনাকে আধুনিকতা বুঝিয়ে তাদেরকে বিবস্র করে যিনা-ব্যাভিচারের ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। নারীর অধিকারের কথা বলা হলেও এর মাধ্যমে মূলত: পাশ্চাত্য সমাজ আসলে পুরুষদের ভোগের সহজলভ্য ব্যবস্থা করেছে। সামান্য অর্থ, ক্যারিয়ারের উন্নতি, বসের সন্তুষ্টি কিংবা প্রেমের মরিচিকায় ফেলে পুরুষের যথেচ্ছাচারিতার সহজ শিকারে পরিণত করা হয়েছে নারীদেরকে।

পক্ষান্তরে পাশ্চাত্য সমাজে বিবাহ হচ্ছে কঠিন ও জটিলতম একটি মহাযজ্ঞ। বিভিন্ন আইন-কানুনের মারপ্যাচ আর সমাজ ও রাষ্ট্রের নীতিমালা সেখানে বিবাহ বান্ধব নয়। যার কারণে সকলে সহজলভ্য যিনা-ব্যভিচারের দিকেই ঝুঁকছে। পাশ্চাত্য এখন এক প্রকার বিবাহ বিমুখই বলা চলে। যৌবনের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে অনেকটা স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য, কিংবা ক্যারিয়ারের অনেক সাফল্যের পর নিজের অনেক দুর্লভ সংগ্রহের মতো একটি সংগ্রহ বাড়াবার জন্য একটি ফ্যাশনের পর্যায়ে চলে গেছে বিবাহ।



পাশ্চাত্যের এই হুবহু অপসংস্কৃতি আজ আমাদের দেশেও আমদানি করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ একই প্রক্রিয়ায় আমাদের সম্মানিত ও পরম শ্রদ্ধেয় মাতৃজাতিতে আজ অধিকার ও স্বাধীনতার নামে সুকৌশলে বের করে আনা হচ্ছে ঘর থেকে। মুসলিম যুবতীদেরকে বেহায়ানা ও উলঙ্গপনায় অভ্যস্ত করানোর চেষ্টা চলছে। তাদের সামনে অশ্লীলতা আর অশালীনতাকে সহজ বিষয় বলে গ্রহণ করানো হচ্ছে। নগ্ন দেহ প্রদর্শন সর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিযোগীতা আর নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুসলিম যুবতীদের মধ্যকার লজ্জা-শরম আর বেহায়াপনার ব্যাপারে বিদ্যমান সংকোচকে জলাঞ্জলি দিয়ে তাদেরকে করে উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। বোঝানো হচ্ছে এটাই তাদের স্বাধীনতা আর সাফল্যের মাপকাঠি। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে ও প্রদর্শনীতে জড় পদার্থের সাথে নারীকেও একটি আকর্ষণীয় পন্য হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। এর ফলে এক সময় এই সকল অতি আধুনিকাদের অধিকাংশই স্বেচ্ছায় বা অপারগতায় শেষ পর্যন্ত দেহব্যবসায় লিপ্ত হচ্ছে। আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনের মডেলদের ব্যাপারে একটু খোঁজ নিলেই এই যথার্থতা বোঝা যাবে।



অপর দিকে বিবাহের ব্যাপারে অলংঘনীয় শর্তারোপের মতো নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু যিনা-ব্যভিচার সহজলভ্য। রাস্তার মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠছে অশ্লীলতার পিরামিড। বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ও উল্লেখযোগ্য সকল স্থানেই চলছে ভাসমান কিংবা স্থায়ী পতিতালয়। এর বাইরে সহশিক্ষা আর ফ্রি মিক্সিংয়ের ফলে তরুণ-তরুণী বালেগ হওয়ার পরপরই গুনাহে লিপ্ত হওয়ার সহজ সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমাজে চলমান এই অবস্থায় হাওয়া দিচ্ছে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী, সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল, আর সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন কর্তা-ব্যক্তিরা। বিরাজমান এই অবস্থায় পাশ্চাত্যের সেই পরিস্থিতির পূর্নাঙ্গ সংস্করণ এদেশে চালু হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। অথচ ইসলাম যিনা-ব্যভিচার ও সর্বপ্রকার অশ্লীলতাকে সম্পূর্ণ রূপে হারাম সাব্যস্ত করেছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:

(وَلا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا (32

অর্থ: "আর তোমরা যিনা-ব্যভিচারের ধারে কাছেও যেয়ো না, নিশ্চয়ই তা মন্দ ও গর্হিত কাজ।" সূরা ইসরা, আয়াত: ৩২)



যিনা-ব্যভিচার সৃষ্টির সম্ভাবনাকেই সুদূর পরাহত করার জন্য ইসলাম পুরুষ এবং নারী উভয়ের উপর পর্দার বিধান দিয়েছে।

) قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ (30) وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلا مَا ظَهَرَ مِنْهَا

অর্থ: "হে নবী, আপনি মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয়ই তারা যা করে সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ সম্যক অবগত। আর মুমিন নারীদেরকেও বলুন, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে এবং নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ করে না বেড়ায়।" (সূরা নূর, ৩০-৩১) এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম, ইসলাম নর-নারীর বিবাহপূর্ব মিলিত হওয়াকে হারাম করেছে এমনকি নিকটাত্মীয় কয়েকজন ছাড়া অন্যদের সাথে দেখা-সাক্ষাতও নিষেধ করেছে। এর মাধ্যমে যিনা-ব্যভিচারের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। নর-নারীর প্রাকৃতিক চাহিদা পূরণের জন্য একমাত্র বিবাহই ইসলাম সম্মত পদ্ধতি।



প্রিয় পাঠক! এবার আসুন আমরা একটু যাচাই করে দেখি, পাশ্চাত্যের যিনা-ব্যভিচার আর ইসলামের বিবাহের মধ্যকার কোনটি সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। নারীর জন্য লাভজনক ও উত্তম। প্রথমে আসুন দেখি বিবাহের মাধ্যমে একজন নারী কি কি সুবিধা পান।



যৌতুক নয়, ইসলাম বলে বিয়ে করতে হলে নারীকে মহর দাও:

যদি মহরানা ধার্য না করে বিয়ে করে ফেলে তারপরও স্ত্রীকে মহরানা দিতে হবে। এটা কোন মতেই বাদ দেয়া যাবে না। এসম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে: وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً

অর্থ: “আর তোমরা নারীদেরকে সন্তুষ্টচিত্তে তাদের মোহর দিয়ে দাও।” (সুরা নিসা: ৪) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে,

وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ

অর্থ: “তোমরা তাদেরকে বিয়ে করলে তোমাদের কোন অপরাধ হবে না, যদি তোমরা তাদেরকে তাদের মোহর প্রদান কর।” (সুরা মুমতাহিনা: ১০) মহরানা ছাড়াও বিয়ের মাধ্যমে একজন নারী তার স্বামীর সম্পদের উত্তরাধিকার পায়।



বিবাহের আনুসাঙ্গিক ব্যয়:

বিবাহের খরচের ভার ইসলাম নারী তথা স্ত্রী বা তার পরিবারের উপর দেয়নি। এটা স্বামীর দায়িত্ব। ইসলাম স্বামীকে ওয়ালিমা করার নির্দেশ দিয়েছে। যেমন হাদীসের মাঝে ইরশাদ হয়েছে:

عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- رَأَى عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ وَعَلَيْهِ رَدْعُ زَعْفَرَانٍ فَقَالَ النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- ্র مَهْيَمْ গ্ধ. فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً. قَالَ ্র مَا أَصْدَقْتَهَا গ্ধ. قَالَ وَزْنَ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ. قَالَ ্র أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ. (سنن أبي داود)

অর্থ: “আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রা. কে জাফরানের চাদর পরতে দেখলেন। রাসুল (সাঃ) তাকে বললেন থাম! অতপর সে বলল; ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি একটি মেয়েকে বিবাহ করেছি। রাসুল (সাঃ) বললেন, তুমি তাকে মোহর কি দিয়েছ? তিনি বললেন; সামান্য পরিমান স্বর্ণের টুকরা। তিনি রাসুল (সাঃ) বললেন, তুমি ওলিমার আয়োজন কর যদিও তা ছাগল দ্বারা করা হয়।” (সুনানে আবু দাউদ)



বিয়ের পর স্ত্রীর যাবতীয় খরচের দায়িত্ব স্বামীর উপর:

বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর যাবতীয় দায়িত্ব ইসলাম স্বামীর উপর অর্পন করেছে। মৃত্যু পর্যন্ত স্ত্রীর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদির দায়িত্ব স্বামীর উপর। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ

অর্থ: “পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে।” (সুরা নিসা: ৩৪)

তবে এক্ষেত্রে পুরুষের আর্থিক স্ট্যাটাসের চেয়েও অনেক বেশি খরচ করার দায়িত্ব ইসলাম দেয় নি। স্বাভাবিক ও অবশ্য প্রয়োজনীয় ভরণ-পোষণ দিতে হবে। এর চেয়ে অতিরিক্ত দেয়াটা বৈধ ও উত্তম তবে আবশ্যক নয়।

বিয়ের মাধ্যমে জন্মলাভ করা সন্তানের দয়িত্ব স্বামীর:

{لِيُنْفِقْ ذُو سَعَةٍ مِنْ سَعَتِهِ وَمَنْ قُدِرَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ فَلْيُنْفِقْ مِمَّا آتَاهُ اللَّهُ لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا مَا آتَاهَا سَيَجْعَلُ اللَّهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا} [الطلاق : ৭]

অর্থ: "সামর্থ্যবান যেন নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী স্ত্রী ও পরিবারের জন্য ব্যয় করে আর যার রিয্ক সংকীর্ণ করা হয়েছে সে যেন আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তা হতে ব্যয় করে। আল্লাহ কারো ওপর বোঝা চাপাতে চান না তিনি তাকে যা দিয়েছেন তার চাইতে বেশী। আল্লাহ কঠিন অবস্থার পর সহজতা দান করবেন।" (সুরা তালাক্ব: ৭) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে,

{وَعَلَى الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَا} [البقرة : ২৩৩]

অর্থ: আর পিতার উপর কর্তব্য, বিধি মোতাবেক মায়েদেরকে খাবার ও পোশাক প্রদান করা। সাধ্যের অতিরিক্ত কোন ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় না। (সুরা বাক্বারা: ২৩৩)



এবার আসুন দেখা যাক যিনা-ব্যভিচারের ফলাফল:

সামাজিক দিক থেকে যিনা-ব্যভিচারের ফলে সমাজে এইডসের মতো নানাবিধ রোগ বিস্তার লাভ করে। এর মাধ্যমে সৃষ্ট সন্তান অভিভাবকহীন জারজ হিসেবে গণ্য হয়। এক সময় তাদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা অন্যায়-অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরে। পারিবারিক ভারসাম্য ভেঙ্গে যায়। পারিবারিক শান্তি-সুখের পরিবেশ নষ্ট হয়। যিনা-ব্যভিচার সহজলভ্য হওয়ার কারণে মানুষ বিবাহের ব্যপারে আগ্রহ হারায়।

এর বাইরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় নারী। ইসলাম যাদেরকে জীবনের প্রতিটি স্তরে সম্মান ও মর্যাদার এক নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করেছিলো, তারা বঞ্চিত হয় তাদের সেই সুখের জীবন থেকে। বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন চাহিদা পূরণ হলেও খরচ ও দায়-দায়িত্বের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পুরোটাই ইসলাম পুরুষের কাধে চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু জিনা-ব্যভিচারের ক্ষেত্রে এর কোন বালাই নেই। নারী-পুরুষ উভয়ে নিজেদের সাময়িক চাহিদা পূরণ করে ঠিকই কিন্তু নারী এক্ষেত্রে সামান্য কিছু অর্থের বাইরে আর কোন সুবিধাই সে পায় না। (অনেক সময় এই সামান্য অর্থও সে পায় না বা নেয় না, বিশেষত: প্রেমের ফাঁদে পরে।)



-জিনা-ব্যভিচারের ফলে নারীর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সারা জীবনের পুরো দায়িত্ব তো দূরের কথা একদিনের দায়িত্বও পুরুষ কাধে নেয় না। নারী পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজনদের প্রসঙ্গ তো আরো পরের ব্যাপার।

-জিনা-ব্যভিচারের ফলে নারী সেই পুরুষের সম্পদে ওয়ারিস হয় না।

-জিনা-ব্যভিচারের ফলে নারীর গর্ভে আসা সন্তান, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার আনুসাঙ্গিক খরচসহ সন্তান লালন-পালনের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পুরুষ নেয় না বরং তা নারীর একারই বহন করতে হয়।

-জিনা-ব্যভিচারের ফলে যেহেতু তালাকের প্রশ্নই নেই তাই তালাক পরবর্তী সুবিধা থেকেও নারী বঞ্চিত হয়। (তালাকের বিষয় নিয়ে পরের পোষ্টে দ্রষ্টব্য)



অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে একজন নারীর জন্য বিয়ের মাধ্যমে নিজ চাহিদা পূরণ করাই হলো সবচেয়ে উপকারী ও লাভজনক। পক্ষান্তরে পুরুষদের জন্য বিবাহ হচ্ছে সামান্য আনন্দের বিনিময়ে বিশাল দায়িত্ব ও কর্তব্য কাধে নেয়া। অনেক নাস্তিক ও অমুসলিমরা এটা চায় না বলেই তারা বিবাহের পরিবর্তে জিনা-ব্যভিচারেই বেশি খুশি। কিন্তু ইসলাম একে হারাম করেছে দেখে তারা এখন ইসলামের উপর মহা বিরক্ত ও রাগান্বিত। আর এক্ষেত্রে তাদের শেষ সম্বল হচ্ছে শেয়ালের মতো ধুর্তামীর আশ্রয় নিয়ে নারীদের প্রতি মায়াকান্না দেখিয়ে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে রাজপথে নিয়ে আসা। বিবাহের পরিবর্তে ব্যভিচারের সুযোগ বের করা।

বহুবিবাহ, তালাক, ও অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে পরবর্তী পোষ্টে আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।



চলবে...

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৬

মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: ভাল হচ্ছে। চলতে থাকুক।
তবে লেখাটি দুবার এসেছে। এডিট করে বাড়তি টুকুন মুছে ফেলুন।

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:১০

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: পড়া এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৭

মদন বলেছেন: ++++

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪

স্বপ্নবিলাসী আমি বলেছেন: হুমমমমমমম.........ভালোই চলছে.......পরবর্তী কিস্তি কবে পাবো!!!???? চালিয়ে যান, পাশেই আছি...........!!!

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: পড়া এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৮

অবলা পুরুষ বলেছেন: "যৌতুক নয়, ইসলাম বলে বিয়ে করতে হলে নারীকে মহর দাও।
বিয়ের পর স্ত্রীর যাবতীয় খরচের দায়িত্ব স্বামীর উপর।
বিয়ের মাধ্যমে জন্মলাভ করা সন্তানের দয়িত্ব স্বামীর।"- তারপরও নারীবাদিরা বলে ইসলাম পুরুষকে দিয়েছে ক্ষমতা আর নারীকে করেছে দূর্বল।

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:০৩

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: এটা না বললে তো তারা নারীদেরকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে পারবে না যে!

৫| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:১০

সমাধানদাতা বলেছেন: আপনার পোস্ট প্রিয়তে নিলাম কিছু বিষয়ের সাথে একমত আর কিছু বিষয়ে দ্বিমত স্বত্তেও:

একমত:

ইউরোপ-আমেরিকায় নারী-পুরুষ স্বেচ্ছায় যদি যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের আইন ও সমাজের দৃষ্টিতে এটা কোন অন্যায় নয়।
কথাটি আংশিক সত্যি।তবে তা বিবাহিতদের জন্য নয়।

আমাদের সংস্কৃতি অঙ্গনের মডেলদের ব্যাপারে একটু খোঁজ নিলেই এই যথার্থতা বোঝা যাবে।
কথাটি সত্যি।


দ্বিমত:

মুসলিম যুবতীদেরকে বেহায়ানা ও উলঙ্গপনায় অভ্যস্ত করে ফেলা হচ্ছে।
এধরণের কথা বলার আগে একবার ভাবা উচিৎ ছিল কি বলছেন।আপনার বলা উচিৎ ছিল কিছু উসৃঙখল মেয়ে এই পথে পা বাড়িয়েছে।এভাবে একতরফাভাবে "মুসলমান মেয়েদের" নামটা নেওয়া উচিৎ হয়নি।আপনি এদেশের কয়জন মুসলমান মেয়েকে জানেন।আমি মনে করি এদেশের পর্দ্দানশীল মুসলমান মেয়েরা যেভাবে সৎ থেকে সবকিছু মান্য করে তা অন্য অনেক মুসলিম দেশে করা হয় না।

বিভিন্ন আইন-কানুনের মারপ্যাচ আর সমাজ ও রাষ্ট্রের নীতিমালা সেখানে বিবাহ বান্ধব নয়। যার কারণে সকলে সহজলভ্য যিনা-ব্যভিচারের দিকেই ঝুঁকছে।

সেই আইন-কানুনের একটি সারমর্ম দিন যার ফলে সাধারণ সিভিলিয়ানরা ম্যারেজের ক্ষেত্রে আনকমফরটেবল ফিল করে এবং এই আইন গুলো কোন কোন দেশে ফলো করা হয় তাদের নাম বলুন।

বরং প্রয়োজনে রাষ্ট্র ও তার প্রশাসন এক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করে।
কিভাবে সহায়তা করে।আপনি কোন দেশে থেকে এসেছেন এবং এধরণের সাহায্য-সহোযগিতা দেখেছেন?যথোপযুক্ত রেফারেন্স দিন।



যার কারণে সকলে সহজলভ্য যিনা-ব্যভিচারের দিকেই ঝুঁকছে। পাশ্চাত্য এখন এক প্রকার বিবাহ বিমুখই বলা চলে।

এটা ঠিক সহজলভ্য যিনা-ব্যভিচারের দিকে ঝুঁকছে কিন্তু বিবাহ-বিমুখ এটা শুধু সুইডেন,রাশিয়া,চেক-রিপাব্লিক এইসব দেশে বেশি হয়।তবে আমেরিকা ব্রিটেনে এটা খুব একটা প্রকট না।সেখানে এশিয়ান কালচার ঢুকে যাওয়ায় এখনও তারা বিবাহের মত কাজটি করে যায় বেশ ধুমধামের সাথেই।

তাদের সামনে অশ্লীলতা আর অশালীনতাকে সহজ বিষয় বলে গ্রহণ করানো হচ্ছে।

এইকাজগুলো কে করছে,আপনি তো নির্দ্দিষ্ট করে কোন সংগঠন বা ব্যাক্তির নাম বললেন না।

যিনার মাধ্যমে একজন নারী এক কালীন সামান্য অর্থের বাইরে বলতে গেলে আর কিছুই পায় না।

এটা খুবই আপত্তিকর একটি কথা।কারণ যিনার মাধ্যমে সামান্য টাকা গ্রহণ করার মাধ্যমেই একজন নারী বেশ্যা প্রমাণিত হয়।আর যারা বিবাহ বহির্ভূত সেক্স করে তারা প্রেমের অ্যাটরাকশন থেকে করে,টাকা নেয় না।ফলে আপনি কিন্তু তাদেরকে বেশ্যা স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন যা চরম আপত্তিকর।


নাস্তিক ও অমুসলিমরা এটা চায় না বলেই তারা বিবাহের পরিবর্তে জিনা-ব্যভিচারেই বেশি খুশি।


আমি অনেক নাস্তিক ও অমুসলিমকে দেখেছি যারা যৌনব্যাপারে রক্ষণশীল।যদিও তাদের হাতে আল্লাহকে মানার সময় নেয়।


তবে যে সুরাগুলো উল্লেখ করেছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলে এই সমাজ থেকে অনেক যৌন,মাদকদ্রব্যের অপরাধ চলে যেত।


পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।তবে শুধু সেক্স-সেক্স না করে মাদক,দুর্নীতি,চুরি,ডাকাতি সহ কি কি অপরাধ আমদানি হচ্ছে এসবের ব্যাপারেও লিখুন যেহেতু আপনার অনেক ইচ্ছা পাশ্চাত্য থেকে আমদানিকৃত অপরাধের একটা চিত্র তুলে ধরা।

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩০

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: কষ্ট করে পুরোটা পড়া এবং খুবই সুন্দর যৌক্তিক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ এবং মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে খানিকটা সংশোধনও করে দিয়েছি।

এই বিষয় ছাড়াও আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আগেও লিখেছি, ইনশাআল্লাহ সামনেও লিখবো। আসা করি আপনার গঠনমূলক মন্তব্য সাথে পাবো।
এই পোষ্টেও আপনার মন্তব্য আশা করছি।
Click This Link

৬| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:১৮

শিপু ভাই বলেছেন: যথাযথ!!

+++++++++++++++++++++

চলুক..............

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৬

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩০

370H55V 0773H বলেছেন: অসাধারন । আরও চাই। অনেক কিছু জানলাম।

১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৩

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: ইনশাআল্লাহ আরো লিখার ইচ্ছা আছে যদি আপনারা পাশে থাকেন। এই পোষ্টটি দেখতে পারেন, বিবাহ ও ইসলাম -১
Click This Link

৮| ১২ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৭

মো: মাসুদুর রাহ্‌মান বলেছেন: আল্লাহ্ আপনার কাজে সহায় হোন। আমাদের মত পাপীদের মাঝে কিছু ভাল মানুষ দেখতে পেলে মনে শান্তি লাগে ....

১২ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: না রে ভাই, এখনও অত ভালো হতে পারি নাই। তবে চেষ্টা করছি, দোয়া করবেন।

৯| ১২ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০

কবিরাজমশাই বলেছেন: খুব সুন্দর লিখছেন ভাই,
আপনার পাশে আছি এবং থাকবো ।

কিছু নাস্তিক আপনার লেখায় আক্রমনাত্ক মন্তব্য দিচছে ।

আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশেই আছি।

ভালো থাকবেন ।

আললাহ আপনার মঙগল করুন ।

১২ ই মে, ২০১১ রাত ৮:২০

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকেও ভালো রাখুন।

১০| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১:২৯

ঘোড়ারডিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৩ ই মে, ২০১১ সকাল ৭:২৬

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭

আলমগীর হুসেন বলেছেন: খান ভাই, আপনার পোস্টের ছোট্ট একটা জবাবঃ Click This Link

১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৩

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: অনেক আশা নিয়ে ঢুকেছিলাম আপনার লেখায়, আশা করেছিলাম আমার লেখার পয়েন্ট টু পয়েন্ট গঠনমূলক সমালোচনা পাবো, কিন্তু গতানুগতিক তালছাড়া ও অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার ছড়াছড়ি ছাড়া আর কিছু পেলাম না বলে দু:খিত।

আপনাদের সম চিন্তার সকলের বিবেচনা বোধ যে কতটা হাল্কা, দিন দিন তার খানিকটা টের পাচ্ছি। আপনিও বোধহয় আলবার্ট আইনষ্টাইনের মতো আমার লেখার শিরোনাম ছাড়া আর কিছুই পড়েন নি। আলবার্ট তো সেটা স্বীকার করেছেন, কিন্তু আপনি তাও স্বীকার করতে পারেন নি এই ব্যবধান।

ভাইজান, আপনার প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ, আমার লেখাটি পুরোটা একটু কষ্ট করে পড়ুন। তারপর পারলে আমার লেখার অসঙ্গতি নিয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মন্তব্য বা পাল্টা লেখা লেখুন।

ইসলামে বিবাহ বিষয়টি একটু বিস্তৃত একটি অধ্যায়। তাই আমি কয়েকটি পর্বে ধাপে ধাপে এ নিয়ে আলোচনা করছি। আমার "বিবাহ না ব্যভিচার : কিসে নারীর উপকার? (বিবাহ ও ইসলাম -২)" এই পোষ্টটিতে কেবল বিবাহের দ্বারা যে নারী লাভবান হয় এবং ব্যভিচার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা বোঝানো হয়েছে। লেখার শেষে বলেও দেয়া হয়েছে "বহুবিবাহ, তালাক, ও অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে পরবর্তী পোষ্টে আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।"

আপনার পোষ্ট ইসলামে বহু বিবাহ সম্পর্কে। তাই এখন মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তাছাড়া এই লেখায় অনেক গুলো মিথ্যা কথা আছে। যা একটু পরে বলছি।

১২| ১৭ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

গুরুদেবজী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ....আমাদের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।

১৭ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১২

মাই নেম ইজ খান বলেছেন: খুঁজে খুঁজে পড়া এবং উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ। আমার ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.