![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলহামদুলিল্লাহ, আমি একজন সুখী মানুষ ww.funnymanbd.com www.fb.com/mrsfunnyman
১। জাফলং
জাফলং-এর বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়ালে ভারত সীমান্ত-অভ্যন্তরে থাকা উঁচু উঁচু পাহাড়শ্রেণী দেখা যায়। এসব পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরণা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া ভারতের ডাউকি বন্দরের ঝুলন্ত সেতুও আকর্ষণ করে অনেককে।এছাড়া সর্পিলাকারে বয়ে চলা ডাওকি নদীও টানে পর্যটকদের। মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের ফলে ভারত সীমান্তে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদীর স্রোত বেড়ে গলে নদী ফিরে পায় তার প্রাণ, আর হয়ে ওঠে আরো মনোরম। ডাওকি নদীর পানির স্বচ্ছতাও জাফলং-এর অন্যতম আকর্ষণ। পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষকে ঘিরে জাফলং-এ আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলা।এই মেলাকে ঘিরে উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বর্ষাকাল আর শীতকালে জাফলং-এর আলাদা আলাদা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। বর্ষাকালে বৃষ্টিস্নাত গাছগাছালি আর খরস্রোতা নদী হয় দেখার মতো। তাছাড়া পাহাড়ের মাথায় মেঘের দৃশ্যও যথেষ্ট মনোরম।
নিচে জাফলং এর অপার সৌন্দর্যের কিছু ছবি দিলাম ।
ছবি নং-১
ছবি নং-২
ছবি নং-৩
ছবি নং-৪
ছবি নং-৫
ছবি নং-৬
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ
১৯৮০'র দশকে সিলেটের সাথে জাফলং-এর ৫৫ কিলোমিটার সড়ক তৈরি হওয়ার মাধ্যমে দেশের অন্যান্য সকল অঞ্চল থেকে এই এলাকার সাথে সড়ক-যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সড়কপথে সিলেট সদর থেকে এই স্থানের দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার।জাফলং জিরো পয়েন্টে রয়েছে তামাবিল স্থল বন্দর, এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতের সাথে পণ্য আমদানি রপ্তানী করা হয়। বিশেষ করে ভারত থেকে কয়লা আমদানি করা হয়। সিলেট এর শিবগঞ্জ থেকে সরাসরি জাফলং এর বাস পাওয়া যায় ।
২। মাধবকুন্ড
মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী থানা বড়লেখার ৮ নম্বর দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের অধীন গৌরনগর মৌজার অন্তর্গত পাথারিয়া পাহাড়ের গায়ে এই জলপ্রপাতের স্রোতধারা বহমান এবং এই পাহাড় থেকে পতনশীল। এই পাহাড়, সিলেট সদর থেকে ৭২ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার জেলা থেকে ৭০ কিলোমিটার, কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে ৩২ কিলোমিটার, বড়লেখা বাজার থেকে ১২ কিলোমিটার এবং কাঁঠালতলী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
পাথারিয়া পাহাড় (পূর্বনাম: আদম আইল পাহাড়) কঠিন পাথরে গঠিত। এই পাহাড়ের উপর দিয়ে গঙ্গামারা ছড়া বহমান। এই ছড়া মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত হয়ে নিচে পড়ে হয়েছে মাধবছড়া। অর্থাৎ গঙ্গামারা ছড়া হয়ে বয়ে আসা জলধারা [১২ অক্টোবর ১৯৯৯-এর হিসাবমতে] প্রায় ১৬২ ফুট উঁচু থেকে নিচে পড়ে মাধবছড়া হয়ে প্রবহমান। সাধারণত একটি মূল ধারায় পানি সব সময়ই পড়তে থাকে, বর্ষাকাল এলে মূল ধারার পাশেই আরেকটা ছোট ধারা তৈরি হয় এবং ভরা বর্ষায় দুটো ধারাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় পানির তীব্র তোড়ে। জলের এই বিপুল ধারা পড়তে পড়তে নিচে সৃষ্টি হয়েছে বিরাট কণ্ডের। এই মাধবছড়ার পানি পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হতে হতে গিয়ে মিশেছে হাকালুকি হাওরে। কুণ্ডের ডানপাশে পাথরের গায়ে সৃষ্টি হয়েছে একটি গুহার, যার স্থানীয় নাম কাব। এই কাব দেখতে অনেকটা চালাঘরের মতো। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে স্নানর্থীরা কাবের নিচে দাঁড়িয়ে ভিজা কাপড় পরিবর্তন করে থাকেন।
নিচে মাধবকুন্ড এর অপার সৌন্দর্যের কিছু ছবি দিলাম ।
ছবি নং-১
ছবি নং-২
ছবি নং-৩
ছবি নং-৪
ছবি নং-৫
ছবি নং-৬
যাতায়াত সুবিধা :
বড়লেখা উপজেলাটি মৌলভীবাজার জেলার উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তরে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার, পূর্বে ভারতের আসাম, দক্ষিণে কুলাউড়া উপজেলা ও পশ্চিমে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা।
ঢাকার সংঙ্গে এ উপজেলার সরাসরি কোন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। তবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অতিশয় উত্তম। সড়ক পথে বড়লেখা থেকে মৌলভীবাজার শহর হয়েই ঢাকা যেতে হয়। ঢাকা থেকে আন্তঃজেলা বাস সার্ভিসের বেশ কয়েকটি হিনো বাস বড়লেখা এবং বড়লেখা হয়ে সিলেট বিয়ানীবাজার যায়। বিভাগীয় শহর সিলেটের সাথেও সড়ক পথে বড়লেখার যোগাযোগ বিদ্যমান। বড়লেখা থেকে বিয়ানীবাজার হয়ে সড়ক পথে সিলেট যাওয়া যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪১
সাদেক বলেছেন: ধারাবাহিক ভাবে সিলেটের প্রত্যেক দর্শনীয় স্থানের বিবরন দেব, যাতে সিলেট বেড়াতে আসলে সবার সবকিছু আগে থেকেই জানা থাকে ।