নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিরপেক্ষ নই । আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।
সুযোগের অভাবে সততার পরিচয় দেওয়া এক প্রকার ভন্ড সুশীল এরা! গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে তার নতুন চক্রান্ত শুরু করে দিয়েছেন।অর্থনীতির সংস্কার করতে গিয়ে আইএমএফের প্রেসক্রিপশন প্রয়োগ করা হচ্ছে । সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস আরো বৃদ্ধির জন্য একশত পন্যের উপর ট্যক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে । আর্থিক বছরের মাঝামাঝি কোনভাবেই কাম্য নয়।বিগত সরকারের সময় আর্থিক এবং ব্যাংক খাতের দুর্নীতি ছিলো লাগামহীন! বর্তমানেও তা থেমে নেই বলেই কোন পরিবর্তন নেই ।বরং নতুন উদ্যোগে লুটপাট করা হচ্ছে ।
তার একটি হোচ্ছে এই গ্রামীণ ব্যাংক । ড.ইউনুস গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে সাধারণ মানুষকে। একটি বিষয় প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন । যে গ্রামীন তার নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উদ্যোগ! প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত।এর আইডিয়া টুকুই শুধু তার। এরশাদের আমলে ৮০/৮১সালে ৬৫% বিনিয়োগে সরকারের অংশীদার ছিল। বাকি ৩৫ শতাংশ ছিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট। এই ব্যাপারটাই কখনও আলোচনায় আসেনি । প্রকৃতপক্ষে সবাই জানে যে এটা তার ব্যক্তিগত প্রজেক্ট ।আসলে আমাদের ট্যাক্সের টাকায় এই ব্যাংক।এই ব্যাংকের টাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। সেই টাকা ট্রান্সফারের হিসেবেই ছয় শত কোটি কর ফাঁকি দিয়েছে। যা দিতে বাধ্য ছিলো সরকারের কাছে । সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে প্রথম সুযোগে।এবং এটা পুরোপুরি অন্যায়।
২০১৩ সালে আওয়ামিলীগ, সরকারি অংশ ২৫% নির্ধারণ করে। বাকি ৭৫% সাধারণ জনগণের জন্য নির্ধারিত করে নতুন আইন পাশ করে।এবং পরিচালনা পরিষদে সরকারের ৩জন প্রতিনিধি থাকার আইন পাশ করে ।
এখন সবার অগোচরে ২৫%-এর স্থলে ৫% করা হয়েছে সরকারের অংশ । সরকারি প্রতিনিধি ৩জনের স্থলে ১জন করা হয়েছে। অর্থাৎ পুরোপুরি কব্জা করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন! তার মত নোবেল বিজয়ী এমন কুৎসিত কাজ করা সম্ভব ‼️আসলে যে লংকায় যায়, সেই রাবণে পরিনত হয়।কাজেই আমি মনে করি তার সততা পুরোটাই ভন্ডামি ছাড়া কিছু নয়।ভাগ্য ভালো এই লোক আমদের নেতৃত্বে থাকবেনা।
সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করুন। কথা বলুন এবং প্রকাশ করুন সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে।দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে ভূমিকা রাখুন ।
ধন্যবাদ ॥
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
ক্লোন রাফা বলেছেন: সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার যে আনন্দ।তা মনে হয় অধিকাংশ বাংলাদেশী মানুষের নেই। পুরো দেশের মানুষ একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছে । এমনিতে ভালো আছি ।
আলী’দের বাস কোন গ্রামে । তাই শহরের মানুষের তেমন মাথাব্যথা নেই এদের সমস্যায়। এরকম প্রচুর আলী , নুরজাহান, মোসলেম, রহিমা’রা জানে ক্ষুদ্র ঋণের যন্ত্রণা। এতদিন দরিদ্র মানুষের রক্ত শোষণ করেছে । এখন পুরো দেশটাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে ।
কোর্টে বিচারের মাধ্যমে প্রমানিত হওয়ার পর ।করের টাকা আত্মসাৎ করা মানুষ কোনদিন সৎ হতে পারে না । এবার পুরো গ্রামীন ব্যাংকের দলবল নিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে! অন্যদিকে সমন্বয়ক নামক কিছু পোকা মাকড়ের, দুর্নীতির পথকে মসৃণ করতে কাজ করছে এই গ্যাং সরকার।
আরো বেশি লুটপাটের পুর্বে প্রতিবাদ করতে হবে, প্রত্যেকের অবস্থান থেকে। সবাইকে একত্রিত হয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই ।পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিবাদ করলে আমরা আরো বেশি ভুমিকা রাখতে পারবো ।
ধন্যবাদ,শার্দুল ২২॥
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে হিলারির আর ইউনুসের ভাগ্যে জুটেছে নোবেল।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৫৬
ক্লোন রাফা বলেছেন: ২০০১ সাল থেকে আমেরিকা উনাকে ইমপ্লান্ট করার জন্য কাজ করছে । ফাইনালি ২০২৪ এসে সাক্সেস হয়েছে তারা! হাসিনা সেই পথ প্রসস্থ করে দিয়েছেন। সব অযোগ্যদের ক্ষমতায়ন করেছে। লুটপাটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের বালখিল্য করেছে ।
২০১৮’তে একটি ভালো নির্বাচন করতে পারলে । ২০২৪ -এ এমন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে যেতে হতোনা ।
প্রতিবাদ করুন নিজের অবস্থান থেকে। এদের লুটপাট বন্ধ করতে সোচ্চার হোন ।সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আবার ।
ধন্যবাদ, কামাল ১৮॥
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৭
শায়মা বলেছেন: গ্রাম থেকে যত কাজের মহিলারা আসে বলে কিস্তির টাকা শোধ করার চেষ্টায় ঘরবাড়ি ছেড়েছে।
এই টাকা মনে হয়না এই জীবনে তাদের শোধ করা হবে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১০
ক্লোন রাফা বলেছেন: গ্রামীন ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে ৯০% মহিলা। পুরো পরিবার ধ্বংস করার মিশন এই ক্ষুদ্র ঋনের ফাঁদ!
বাংলাদেশের টাকা পাচার করার কারিগর ড...ইউনুস।বিদেশি অর্গানাইজেশনে ডোনেশনের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন তার প্রভুদের সাথে । বাংলাদেশের টাকায় গড়া হয়েছে বিভিন্ন দেশে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ‼️ আবার তিনি তা গর্বের সাথে প্রচার করে!
রুখে দিতেই হবে সম্রাজ্যবাদের ভয়ংকর চক্রান্ত।এখন থেকেই সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি ।
ধন্যবাদ, শায়মা ॥
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড. ইউনূসের উচিত ছিলো আরো ভালো জ্ঞানী ব্যক্তি উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ দেয়া। লটারির মতো নিয়োগ দিয়েছে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২২
ক্লোন রাফা বলেছেন: কারন উনাকেই নিয়োগ দিয়েছে প্রভুরা । কাজেই ভৃত্য’তো তার প্রভুদের ডিক্টেশনেই কাজ করবে । বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম নেই এদের! কাজেই দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা তাদের নেই । একে অপরকে সহযোগিতার জন্য সৃষ্টি হয়েছে এই সরকার । লুটপাটের নতুন সংস্কৃতি তৈরি করছে তারা ।
প্রতিবাদে মুখরিত হোন। প্রতিবাদ করুন প্রতিটি অন্যায়ের, অপরাধের ও সর্বোপরি দুর্নীতির। ভারত প্রীতির স্থানে যেনো আমেরিকার দালাল না হয়ে যায় ।আমরা আমাদের যা আছে তাই নিয়ে মুক্ত থাকতে হবে ।
ধন্যবাদ, সৈ.কুতুব।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৩৭
শিশির খান ১৪ বলেছেন: আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক আওয়ামীলীগের হাতে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠান। আপনাদের আওয়ামীলীগের নেতা নেত্রীরা ব্যাংক থেকে বেনামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে।একেক জন সাংসদ শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে এখন সেই অর্থ থেকে বিনা সুদে গরিব মানুষকে ঋণ দেন তে হইলে তো হয়। গরিব মানুষের তখন আর গ্রামীণ ব্যাংক এ যাওয়া লাগবে না। গ্রামীণ ব্যাংক অটো ডেড হওয়া যাবে। শায়মা আপুর যখন এতো মায়া লাগতেছে উনি কেনো উনার কাজের বুয়াদের ঋণ শোধ করে দিচ্ছেন না পরে বেতন থেকে কেটে নিয়েন।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪
বাকপ্রবাস বলেছেন: ইউনুস এর সমালোচনা হোক এবং কাম্য, তবে সেটা লীগ এর সাথে তুলনা করে নয়, লীগকে সততা দেশপ্রেম এগুলো দিয়ে বিবেচনা করিনা, ওরা ভারতিয়।
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:০০
বিষাদ সময় বলেছেন: ইউনুস যে খুব নীতিবান মানুষ নন সে কথা সত্য। কিন্তু এর চেয়ে হাজার গুন খাারাপ কাজ করা লোক আওয়ামীলীগেই ছিল। শেখ হাসিনার নিজের দলের দুর্নীতবাজদের পিছনে না লেগে্ শুধু শুধু ইউনুসের পিছনে লাগাটা উচিৎ হয়নি।
ড .ইউনুসের গ্রামীন ব্যাংকের কনসেপ্টটা একেবারে অভিনব কিন্তু দারিদ্র বিমোচনে সেটা বংলাদেশে তেমন সফল হয়নি।
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিশির খান@আপনার সাথে একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৪৭
শার্দূল ২২ বলেছেন: কেমন আছেন রাফা?
আমি ইউনুস সাহেবের এত পাটি গণিত বিজ গণিত বুঝিনা। আমি গ্রমের চা দোকানদার আলিকে বুঝেছিলাম সেদিন। যে ছিলো গ্রামীন ব্যংকের গ্রাহক। বেশ কিছুদিন হলো তার দোকান বন্ধ, মুদি দোকানের বাকি পড়েছে ১৫ হাজার টাকা তাই আর ভয়ে দোকান খুলেনা। সে গ্রামীন ব্যাংক থেকে ২০ হাজার টাকা লোন নিয়েছে । যেদিন টাকা হাতে পেয়েছিলো সেদিন নাকি হিসেব নিকেশ করে ১৩০০ টাকা রেখে দিয়েছে। আলি টাকার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাতে তাকাতে কোথায় এবং কতবার আঙুলের ছাপ দিয়েছে সে নিজেও জানেনা। ম্যানাজার বেটা যে বাংলা ইংলিশে কি বলেছে সেটাও সে বুঝেনি। বুঝার মধ্যে তিনটা শব্দই বুঝেছে । সুদ , কিস্তি আর শনিবার । ১৩০০ টাকা বাদ দিয়ে আলি ১৮৭০০ টাকা নিয়ে ফিরছিলো। পথেই গরু মাংসের দোকান পড়লো, মনে হলো ছেলে মেয়ে গুলো গত একবছর মাংস চোখে দেখেনি। মনে মনে যা হবার হবে বলে ২ কেজি মাংস সহ পোয়াতি বউএর জন্য আরো কিছু । হাতে রইলো ১৫৩০০। এই নিয়ে বাড়ি ফেরা। দোকান খোলা। মানুষ বাকি খায়। সপ্তাহ শেষে কিস্তি। আবার জমতে থাকে মুদি দোকানের বাকি। মাইক্রোক্রডিট কবে যে লার্জক্রেডিটে দাড়িয়েছে সুদে আসলে বুঝতেও পারেনি আলি বেচারা। ব্যাংকের লোক আসলে লুঙি তুলে খাল পেড়িয়ে দৌড় দেয়া ছিলো আলি ভাইয়ার প্রতি শনিবারের কাজ।
একদিন আমি গ্রামে যাই। পথেই আলি ভাইয়ার বাড়ি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি । আলি ভাইয়ার বউ কোলের মধ্যে ২ মাসের বেবিকে আচল দিয়ে ঢেকে ব্যাংকের লোকটার পা ধরে কাঁদছে । আর কিছু লোক আলি ভাইয়ের ঘরে চাল (টিন) খুলছে । আমিও সেই লোকটাকে অনুরোধ করলাম । ২২ হাজার টাকার জন্য একটু সময় দিতে , শুনেনি। বৃস্টির দিন ২ মাসের বেবি সহ আরো ৩ টা বেবি নিয়ে কোথায় থাকবে পরিবারটি লোকটি ভাবতে রাজিনা। শেষে আমি পরিশোধ করে দেই।
আমাদের গ্রামের এই একটি পরিবার ইউনুস সাহেব থেকে স্বপ্ন কিনেছিলো, যারা যায়নি তারা সবাই উল্টো স্বপ্ন বিক্রি করে পেট চালায় । শুধু আলি ও তার পরিবারের মানুষ গুলো আজও স্বপ্ন বস্তা মাথায় নিয়ে দুঃস্বপ্নের রাস্তায় এলোমেলো হাটছে।
যারা বলে ইউনুস বাংলাদেশ বদলেছে কিংবা বদলাবে তাদের কারো সামনে আলিরা পড়েনি বা কেউ আলিদের খোঁজ নেয়নি।