![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিরপেক্ষ নই । আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।
অত্যন্ত জরুরী তথ্য, সবাই জেনে রাখুন প্লিজ।
নিচের পোস্টটি মুক্তিযোদ্ধা আসাদ খান-এর
'জাকার্তা মেথড' এ হত্যার নমুনা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে
প্রতিরোধ জরুরী
আগামীতে 'রাজাকার আলবদর পরিবারের' সামরিক শাখা কিভাবে 'জাকার্তা মেথড' বাস্তবায়ন করবে, নিচে সংযুক্ত পোস্টটি তার একটি নমুনা।
এখানে একজন সেক্যুলার রাজনৈতিক নারীকর্মীর পরিবারের ঠিকানা ও ছবি দিয়ে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, ফাইনাল সল্যুশনের জন্য। এটি এমন একটি পদ্ধতি যে আমেরিকান বা পাকিস্তানী সৈন্য এসে হত্যাকাণ্ডের দরকার নেই, স্থানীয় স্লিপার সেল নিয়ন্ত্রিত 'মব' দিয়েই কাজ হয়ে যাবে। এখানে কি করার চেষ্টা হবে? 'মব' যাবে চাপাতি নিয়ে, মবের পেছনে থাকবে প্রশিক্ষিত সশস্ত্র জ্বিহাদী জঙ্গিরা।
বাংলাদেশে 'জাকার্তা মেথড' বাস্তবায়নের জন্য ১৯৮০ দশক থেকে মার্কিন সিআইএ ও পাকিস্থানি আইএসআই কাজ করে চলেছে, স্থানীয় 'অপারেটর' তৈরিতে। গতকালের পোস্টে বাংলাদেশে রাজাকার আলবদর পরিবারের 'সামরিক শাখার' কর্মকাণ্ডের একটি টাইম লাইন দিয়েছি।
প্রথমত বাস্তবতা মেনে নিন, বাংলাদেশে ১৩৩ টি জঙ্গিগ্রুপ আছে, ২৪০ টির বেশি কিশোর গ্যাং আছে। এদের আন্তর্জাতিক মুরুব্বী আছে, দেশিয় অনুচর আছে। বিভ্রান্ত 'অসচেতন বিশ্বাসঘাতক' আছে, প্রশাসনের ভেতরে 'ক্যাডার' আছে। এরা সবাই মিলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়।
বাংলাদেশে যা চলছে, তা মার্কিন মিলিটারি স্ট্রাটেজিক পরিকল্পনায়। এখানে প্রতারণা একটি সামরিক কৌশল; ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন ও সাই-অপস চলছে। একটি ব্যাপার খেয়াল করুন, আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যে ভাষা, তা বামপন্থীদের নয়, পুরোটাই নিও-লিবারেল, 'আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন' বিষয়ক, মূলত NED (National Endowment for Democracy) এর পরিভাষা। যেমন 'ফ্যাসিবাদ, দুঃশাসন হটাও, চরম দুর্নীতি, অমানবিক নির্যাতন নিপীড়ন' ইত্যাদি। এগুলো কিন্তু কোন শ্রেণীবিশ্লেষণ না, কিংবা বাংলাদেশের জনগণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি না। রেজিমচেঞ্জের জন্য উস্কানির ভাষাকৌশল; শোষণ ও বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখে 'সূশাসনের' আওয়াজ তোলা।
যা কিছু করার আপনাদের স্থানীয়ভাবেই করতে হবে। এদের 'মোড অফ অপারেশন' দেখেছেন কিভাবে 'মব' মোবিলাইজ করে, কিভাবে ভয় ও ত্রাসের সৃষ্টি করে, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আপনাদের স্থানীয় প্রতিরোধ কৌশল লাগবে। আপাতত লাঠি বাঁশি দিয়েই শুরু করেন। শ্রমজীবী জনগণকে সংগঠিত করেই এই নারী কর্মীর জীবন বাঁচাতে পারবেন।
একই সাথে, স্থানীয় ভাবেই আপনাকে সমাজবিপ্লবের জন্য ব্যবস্থাবদলের রাজনীতিকে সংগঠিত করতে হবে। ঢাকার 'বড়' নেতাদের দিকে না তাকিয়ে স্থানীয় শ্রমজীবী মানুষের জীবনসংগ্রাম থেকে শিখুন। গণক্ষমতার অবকাঠামো গড়ে তুলুন, যা গড়ে উঠলেই সাম্রাজ্যবাদ নিয়ন্ত্রিত এই সহিংস ব্যবস্থা থেকে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হবে।
.....................
প্রতিরোধ জরুরী
জাকার্তা মেথড (২)
১৯৬৫-৬৬ ইন্দোনেশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির (PKI) কর্মী সমর্থক সহ প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ 'মব' দিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অনুগত সামরিক বাহিনী, ইসলামী গ্রুপ ও স্থানীয় মিলিশিয়া ব্যবহার করে সংঘটিত করা হয়।
জাকার্তায় সাম্যবাদী ও দেশপ্রেমিক প্রগতিশীল মানুষদের যে পদ্ধতিতে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ছিল (১) আগে মুক্তিপণ আদায় করা, এবং তারপর হত্যা করা, (২) পরিবারের সম্পত্তি লিখিয়ে নিয়ে হত্যা করা, এবং (৩) আগুন দিয়ে ভয় দেখিয়ে বাঁচিয়ে রাখার শর্তে নিয়মিত 'চাঁদা আদায়' করা। চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে হত্যা করা।
ফলে, জাকার্তা মেথড একটি 'ইনকাম জেনারেটিং' ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের মত। অর্থনৈতিক লাভের কারণে এত অল্প সময়ে ১০ লক্ষের অধিক মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীর 'বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড' থেকে একেবারেই আলাদা। 'মব' দিয়ে হত্যা অনেকটা একটি সমাজের দেহে দ্রুত বর্ধমান ক্যন্সারের মত। যা ঐ সমাজের বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি ধ্বংস করে দেয়।
আজকে ফেসবুক খুলেই দেখি গাজীপুরে 'অন্তর' নামে এক তরুণের 'মবের' শিকার হওয়ার ঘটনা। 'ছাত্রলীগ' করার অপরাধে তার পরিবারের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়, এবং দুই লাখ টাকা পাওয়ার পরেও তাঁকে ছাড়া হয়না। ফেসবুক পোস্টে পুরো ঘটনার বর্ণনা না পেলেও আমরা ইতোমধ্যে জানি যে 'মব' সন্ত্রাসের একটি রাজনৈতিক অর্থনীতি আছে।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান মব সহিংসতা বন্ধের প্রতিজ্ঞা ঘোষণা করলেও, আমার ব্যক্তিগত ধারনা 'মব' সহিংসতা বন্ধ করা তার পক্ষে কঠিন হবে। কারণ যুব-বেকারত্ব প্রেক্ষিত থাকায় 'মব' সন্ত্রাস ইতোমধ্যেই 'কুটির শিল্প' হিসেবে বিকাশ ঘটেছে, এনসিপির কল্যাণে। আমি পেশাগতভাবে বিভিন্ন দেশে 'দ্বন্দ্ব ও শান্তি' নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতায় জানি, এই ধরনের মব গ্রুপ হচ্ছে অনেকটা অ্যামিবা এর মত, অযৌন পদ্ধতিতে একটি শরীর ভেঙ্গে দুইটি শরীর জন্ম নেয়। উল্লেখ্য যে কনফ্লিক্ট জোন গুলোতে সশস্ত্র দল থেকে উপদল, উপদল থেকে আবার উপদল জন্মায়। যেমন, উত্তর পুর্ব ভারতে (সেভেন সিস্টারস) এক সময় ৩ টি গ্রুপ ছিল, এখন ৭০ টির অধিক গ্রুপ। বাংলাদেশেও ইসলামী জঙ্গি গ্রুপ ১৩৩ টির অধিক, যা প্রথমে ছিল মাত্র কয়েকটি।
বাঁচতে হলে কি করবেন?
যদি মনে করেন, আপনার সন্তান বা পরিবারের কেউ মবের টার্গেট হবেন, তাহলে এটাও মনে রাখুন ওরা শুধু আপনার সন্তানের বা প্রিয়জনের জীবন নেবেনা, আপনার সঞ্চয়, ব্যবসা ও জমি জমাও নিয়ে নেবে।
দুটি কাজ করুন:
(১) মানসিক ভাবে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্ততি নিন। 'যা কিছু করা দরকার সব কিছুই করবেন', এই চিন্তা মাথায় নিন। আপনার এই সিদ্ধান্ত আপনার ভয় থেকে মুক্তির একমাত্র পথ। ওরা আপনার ভয়ের মনস্তত্ত্বের সুযোগ নেয়। যদি ধারনা দিতে পারেন, আপনিও ওদের জীবন নিতে প্রস্তুত, ওরা উল্টো ভয় পাবে। 'মব' ঘাতকদের মুল সংগঠকদের চিহ্নিত করুন, প্রয়োজনে নাম প্রকাশ করুন।
(২) ঢাকার 'বড়' নেতা বা পুলিশের দিকে না তাকিয়ে স্থানীয় 'গণউদ্যোগ' গড়ে তুলুন। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ সহিংসতার বিপক্ষে, সবসময় শান্তির পক্ষে থাকে। এদের নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে প্রতিরোধ পরিকল্পনা করুন। সিদ্ধান্ত নিন আপনার এলাকায় কোন 'মব' সন্ত্রাস হতে দিবেন না। পুলিশকেও জানিয়ে রাখুন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বাজেট করুন। মব কে মুক্তিপন দিয়ে পরিবারের কাউকে বাঁচাতে পারবেন না, বরঞ্চ সেই টাকা দিয়ে প্রতিরোধ প্রস্তূতি সংগঠিত করুন।
২২ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১:০৪
ক্লোন রাফা বলেছেন: তারাই তাদের মৃত্যু নিমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছে! সাথে বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলা এখন বিপদগ্রস্ত করছে। আশা করি আমরা আবারও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবো। সেই লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত আছে।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু॥
২| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপাতত আপনাদের হেলপ জাতি চায় না ।
২২ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৩০
ক্লোন রাফা বলেছেন: জাতীর ঠিকাদারি কি আপনাদের কেউ দিয়েছে ⁉️ নাকি ইসলামের ঠিকাদারি দাবি করা জামাত/শিবির ও হেফাজতের মত। আপনারা নিজেরাই নিজেদের নিয়োগ দিয়েছেন‼️
দেশটা শেখ হাসিনার বাপ দাদার মত আমদের বাপ দাদারও। বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের সীমানায় আমাদের পরিবার পরিজন প্রজন্ম আছে। তাই আমরা এই দেশের মানুষ আর মাটির জন্য কাজ করে যাবো। আপনারা কি চান সেটা আমরা জানি।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
ক্লোন রাফা বলেছেন: বর্তমান বাংলাদেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করতেই পারেন। কিন্তু অলৌকিক কিছু না ঘটলে সেটা শুধু স্বপ্ন হয়েই থাকবে ‼️
৪| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।এছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নাই।জনগন নিজে নিজে ঐক্যবদ্ধ হবে।একটা পার্টি বা দলের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।এই কাজে সচেতন জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৩০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জুলাইতে সংগঠক হিসাবে কাজ করেছে এমন মানুষ জন ও মারা যাইতেসে।ইবির এক ছেলে মারা গেল পানিতে ডুবে আবার বিএনপির একজন দেখলাম আজকে ...,।

দেশের মাঝে খোচরে ভরে গেছে।