| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লোন রাফা
আমি নিরপেক্ষ নই । আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে।
দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রানের এক সাগর রক্তের বিনিময়। দুই লক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রম হারানো। লক্ষ শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু। এক কোটি মানুষের বাস্তুহারা জিবন। লক্ষ কোটি আহত যোদ্ধা ও সাধারন মানুষের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে । আমাদের শতবছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান বিজয়ের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই স্বাধীনতার পক্ষের প্রতিটি নাগরিককে।
বাংলাদেশের রক্তাক্ত জন্মের ইতিহাস অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাঙালিরা তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুরু করে। নির্বাচনে জয়লাভ করেও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা না দেওয়ায় বাঙালিরা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। এরপর পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার মুখে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ শহিদ হন এবং অসংখ্য নারী সম্ভ্রম হারান। ভারতের সহায়তায় মুক্তিবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। এই যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্বের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি বাঙালি জাতির ঐক্য, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দলিল। বাংলাদেশের জন্মের পেছনের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র সংঘের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত বিতর্কিত। জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।
*জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা:*
- জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সরকারের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করে।
- তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে যোগ দেয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
- জামায়াতে ইসলামীর নেতারা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিভিন্ন সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল । তাদের প্রতিটি অপরাধ প্রমানিত সত্য।তাদের নিজেদের ততকালীন বক্তব্য বিশ্লেষনেই আছে তারা কে কোন ভুমিকায় ছিলো।
*ইসলামী ছাত্র সংঘের ভূমিকা:*
- ইসলামী ছাত্র সংঘ, যা বর্তমানে ইসলামী ছাত্রশিবির নামে পরিচিত, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করে।
- স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরা পাকিস্তানী বাহিনীর পক্ষে অবস্থান নেয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নারী নির্যাতন, হত্যা ও লুটপাটের মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়। এই দলটি স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এটা উল্লেখযোগ্য যে, স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র সংঘের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত রয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য তারা সমালোচিত এবং নিন্দিত হয়েছে।
জামাত ও শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় যারা ছিলেন:
*জামাতে ইসলামীর গুরুত্বপূর্ণ নেতারা*
- *গোলাম আযম*: জামাতে ইসলামীর একজন প্রধান নেতা যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন এবং যুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
- *মাওলানা আবদুল আলীম*: জামাতে ইসলামীর আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের পক্ষে কাজ করেছিলেন।
- *মীর কাসেম আলী*: জামাতে ইসলামীর একজন নেতা যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের সাথে যোগাযোগ রেখে চলতেন।
- *মুহাম্মদ কামারুজ্জামান*: জামাতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন।
*ইসলামী ছাত্র সংঘের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা*
- *মীর কাসেম আলী*: ইসলামী ছাত্র সংঘেরও একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন যিনি পরবর্তীতে রাবেতা আলমে ইসলামীর ডিরেক্টর হন।
- *মুহাম্মদ আবু তাহের*: ইসলামী ছাত্র সংঘের আরেকজন নেতা যিনি পরবর্তীতে জামাতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর হন।
- *এনামুল হক মঞ্জু*: ইসলামী ছাত্র সংঘের একজন নেতা যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সক্রিয় ছিলেন এবং পরবর্তীতে রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।
- *আবু জাফর মোঃ ওবায়েদুল্লাহ*: ইসলামী ছাত্র সংঘের একজন নেতা যিনি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বেসরকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হন।
এঁরা সবাই জামাত ও শিবিরের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, সেই জন্যই তারা মুক্তিযুদ্ধেও ব্যাপক হত্যা, লুট,ধর্ষণও অগ্নিসংযোগে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছে।
১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বিজয় দিবসের মহাত্ম্য হলো:
- *স্বাধীনতার চেতনা*: বিজয় দিবস বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে। এটি বাঙালি জাতির ঐক্য, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের প্রতীক।
- *মুক্তিযুদ্ধের বিজয়*: বিজয় দিবস মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের উদযাপন।
- *জাতীয় ঐক্য*: বিজয় দিবস জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এটি বাঙালি জাতির মধ্যে একতা ও সংহতির বার্তা দেয়।
- *স্বাধীনতার মূল্য*: বিজয় দিবস আমাদের স্বাধীনতার মূল্য সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা ও দেশ গঠনের প্রত্যয়কে আরও দৃঢ় করে।
বিজয় দিবস বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গৌরবময় দিন।
২|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬
আলামিন১০৪ বলেছেন: ৪৫ বছরেও মৃতের লিস্টি করতে পারেন নাই? ছি ছি, মিথ্যার রাজনীতি আর কত করবেন? আল্লাহর লানত পড়ুক মিথ্যাবাদীদের উপর
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: জামাতের কি লজ্জা নেই?
জামাত আজ আমাদের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে র্যালি করছে!!!