নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গালীব পাশা (কবি ও ছড়াকার) লেখক নাম, মূল নামঃ মামুনুর রশীদ।

গালীব পাশা

মা কে ভাল বাসুন,মা'ই জান্নাত।

গালীব পাশা › বিস্তারিত পোস্টঃ

(ভ্রমণ) তেত্রিশ কোটি দেবতার দেশে (১ম কিস্তি)

১৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

প্রায় মাসাধিক কাল ব্যাপী ভ্রমণ করে এলাম পাশের দেশ ভারতে। দেখে এলাম বিশ্ব মাঝে নাম করা নানা পর্যটন স্থান, দর্শনীয় স্থান, ধর্মীয় স্থান। নানা ধর্ম, বর্ণ, গ্রোত্র ও ভাষার মানুষ।পরিচিত হলাম নানা খাদ্যের সাথে। সে এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। আমার ভারত ভ্রমণ নিয়ে দীর্ঘ একটি লেখা লিখার আশা রাখি রমজানের পরে (কারন আমি আলস্য প্রিয় মানুষ, কোন কিছু লিখবো লিখবো করে অনেক দিন চলে যায়।এ করে অনেক লেখা হয়ত আর লিখাই হয়না)।তাই প্রারম্ভিক টুকি - টাকি হিসেবে এ লেখাটি এ জন্যই লিখছি যে পরে যদি আর লেখা না হয়। আর একটি কারন এর মাঝে অনেক ভ্রমণ প্রিয় মানুষ ভারত যাবে তাদের যদি কিছু ধারনা দিতে পারি তাহলে হয়তো কারো না কারো কিছুটা উপকার হলেও হতে পারে আর এই হল এ লেখার মূল কারন।যাক, আমি এ যাত্রায় ভারতের অনেক প্রদেশ ঘুরেছি (অবশ্য এর আগে আমি ভারতে এক সাথে একত্রে কয়েক মাস ঘুরেছি (সে এক অন্য কাহিনি)কিন্তু সে সময় কাল ছিল আমার তারুণ্য বেলা, যে ভ্রমণের অনেক কিছুই এখন আর আমার মনে নেই) দূরত্বের হিসেবে যা হাজার হাজার মাইল। যেনো এ পথের নেই কোন শেষ/এ দেখা কখনো হবেনা নিঃশেষ।আমি প্রথমেই বলেছি এ লেখায় আমি বিভিন্ন বিষয়ে টুকি টাকি কিছু ধারনা দিবো যা ভারত ভ্রমণের জন্য জেনে রাখা ভালো

(১)প্রথমে আসি ভাষা সমস্যার কথায়। ভারত বিশাল একটি দেশ, যে দেশে অনেক ভাষা প্রচলিত তাই হিন্দী, ইংরেজী জানলেই যে ইচ্চেমত ভারত ভ্রমণ করা যাবে তা সম্ভভ নয়। যেমন আমি ইউ,পি’তে গিয়েছি সেখানের ভাষা উর্দু। তাই পড়লাম এক সমস্যায়, সবাই তো আর ইংরেজী বুঝেনা। আগে শুনেছি ভারতের লোকেরা নাকি অনেক ইংরেজী জানে। আমার কাছে তেমন মনে হলনা। স্থান,কাল ভেদে তারা আমাদের মতই, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের থেকেও পিছিয়ে। ইউ,পিতে হিন্দিও তারা তেমন জানেনা (যদিও আমিও হিন্দির ক,খ-ই জানি)বরঞ্ছ হিন্দিকে তারা বাকা দিষ্টিতে দেখে। ভারতের অনেক প্রদেশে হিন্দি শুনলে তো তারা পারলে তেড়ে আসে। যেমন কেরেলা প্রদেশে। বলছিলাম ইউ,পির কথা; আমি উর্দুর অক্ষর জ্ঞান জানি কিন্তু ভাষা জানিনা তাই ইউ,পিতে হ,য,ব,র,ল ভাষা চালিয়ে কাজ কর্ম চালিয়ে গিয়েছিলাম। তাই বলছি ভাষা সম্পর্কে সচেতন থাকুন। আগে থেকে কিছুটা হলেও হিন্দি রপ্ত করুন,কাজে লাগবে। এখন প্রশ্ন হল তাই বলে কি ভ্রমণ বন্ধ করে দিবেন? অবশ্যই না। আমি নিজে একজন আশাবাদী মানুষ তাই বলছি যদি কোন কিছুই না জানেন না বুঝেন তাহলেও ভ্রমণে বেরিয়ে যান, কষ্ট হবে, সমস্যা হবে কিন্তু আটকে থাকবেন না অদৃশ্য ভাবেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে (আমার বেলায়ও হয়েছে)।বিধাতা পৃথিবীর সব মানুষকে এমন একটি ভাষা দিয়েছেন বিপদে পড়লে এমেরিকান বলেন আর বাংঙ্গালি বলেন সবাই এ ভাষা ব্যবহার করেন। বুঝলেন তো কোন ভাষার কথা বলেছি (ইশারায় চালিয়যান)।তাই বলছি ভ্রমণ করুন রহস্য ভেদ করুন। পৃথিবী এক অপার রহস্য যার শেষ নেই। আর বলুন; হে বিধাতা তোমাকে ধন্যবাদ তোমার পৃথিবীতে এত রহস্য আর এত সুন্দর।

(২)এবার আসি খাদ্য সমস্যার কথায়; ভারতের মতো বিশাল দেশে সব স্থানে ও প্রদেশের খাদ্য এক নয়, ভিন্নতা আছে বহু রকমের। ভাতের বদলে এখানে বেশীর ভাগ প্রদেশে রুটিই চলে বেশী যা আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য বিরাট এক সমস্যা। আমার মতো ভাত রসিকদের জন্য তো এ সমস্যা এক বিরাট সমস্যা। আপনি কলকাতার বাহিরে অন্য প্রদেশে ঢুকলেই এ সমস্যায় পড়বেন। আমার ভারত ভ্রমণে এ সমস্যাই আমাকে বেশী কষ্ট দিয়েছে (ভারত ভ্রমণ শেষে আমি বেনাপোল বর্ডার পার হয়ে হোটেলে ডাটছে পেট ভরে ভাত খেয়ে এবং পরে বাসায় এসে ভাত খেয়ে তবে আমার ভাতের তৃপ্তি মিটেছে)।সব খানে এভেল এভেল ভাতও নেই। যদিও মিলে তরকারি দেখলে হুস উড়ে যাবে। ভাত খেতে হলে ভালো হোটেলে যেতে হবে কিন্তু আপনি গাড়ি-ঘোড়ায় চলন্ত অবস্থায় ভাল হোটেল কোথায় পাবেন। (ভারতের এক স্থান হতে অন্য স্থানের ভ্রমণ দীর্ঘ হয় । আর এ ভ্রমণ বিমান ব্যতীত বেশীর ভাগ রেলেই সমপন্ন করতে হয়,বাসে করে তা সম্ভব নয়) নির্দিষ্ট স্থানে পৌছলেই তো তবে হোটেল। দীর্ঘ রেল ভ্রমণে আপনি কিছু কিছু স্থানে হয়তো হকারদের ফেরী করা প্লাস্টিকের প্যকেটে ভাত পাবেন কিন্তু একান্ত বাধ্য না হলে সে ভাত মনে হয় আপনার মুখে যাবেনা। ও হ্যা ভারতে সব কিছুর দাম (কাপড়-ছোপড় ও কিছু সামগ্রী ছাড়া)বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশী। আমি তাজমহল এলাকায় হোটেলে ভাত খেয়েছি মাংস দিয়ে। দাম নিয়েছে ৬০০ রুপি যা আমাদের দেশে বড় জোর ২০০ হতে ২৫০ টাকা হবে। খাওয়া খদ্যের দাম অনেক বেশী। আমি ভারতের মানুষের সাথে আলাপ করেও এর সত্যতা পেয়েছি। তারা আমাকে বলেছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে খাওয়া খদ্যের দাম বেশী। এক কাপ চায়ের দাম ১০ রুপি (এ ব্যাপারে পরে আসছি)। তাও আবার বাংলাদেশের তুলনায় কাপ অনেক ছোট। কলকাতায় তো কাপ এত ছোট যে আপনি ছু-করে টান দিলে কাপ সহ আপনার মুখে ডুকে যাবে। তাই এ ব্যাপারে আগে থেকেই মনোবল শক্ত করুন। ভ্রমণ দীর্ঘ হলে ভালো জাতের কিছু শুকনো খাবার আগে থেকেই কিনে সঙ্গে রাখুন তাতে অনেক কাজে লাগবে। পানি বেশী না নিলেও হবে কারন ভারতের সব রেল ষ্টেশনে প্রেস পানির কল আছে আপনি ইচ্ছে করলেই ট্রেন কোন ষ্টেশনে থমলে বোতল ভরে নিতে পারবেন (চলবে)।

NB: এই লেখাটি কোন দল,মত,জাতি,গোষ্টি বা দেশকে হেয় করার উদ্দেশ্য নয়। একজন লেখক হিসেবে যা সত্য তা তুলে আনার চেষ্টা মাত্র তবুও কেউ যদি কোনভাবে আহত হন সে জন্য ক্ষমা প্রার্থী। কোন ভুল তথ্য বা এই জাতীয় কিছু থাকলে ধরিয়ে দিলে সানন্দে শোধরে নিব। ভ্রমণ সংক্রান্ত কেউ যদি কিছু জানতে চান তাহলে এই নাম্বারে জানতে পারেন,০১৭১২৯৩৬৩৯৬। তবে অনুরোধ বেহুদা কেউ ফোন করবেন না। এ লেখার পরবর্তী কিস্তিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জানার বিষয় রয়েছে যা জানলে আপনার অনেক টাকা সেভ হতে পারে.........।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ভারতের এমন কিছু প্রদেশ আছে সেখানকার অধিকাংশ মানুষ হিন্দি বোঝে না এমনকি বলতেও পারে না।

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

গালীব পাশা বলেছেন: আমার তাই মনে হয়েছে,আর জানলেও বলেনা।

২| ১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা চালিয়ে যান।যারা ভারত সফরে যেতে চাই তাদের উপকার হবে।

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪২

গালীব পাশা বলেছেন: আশা আছে,দোয়া করবেন। কিছুটা উপকার বা ধারনা দেয়ার জন্যই এ লেখা।

৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।

আমিও যাবো কয়েক মাসের মধ্যে।

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

গালীব পাশা বলেছেন: ঘুরে আসুন,শুভ কামনা রইল।

৪| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১৪

সুমন কর বলেছেন: লেখাটা একটু এলোমেলো মনে হলো। আর লেখায় গ্যাপ দিলে পড়তে সুবিধে হয়।

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

গালীব পাশা বলেছেন: হয়তো তাই,পরের লেখা গুলোতে গ্যাপ দিব/

৫| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার ভ্রমণ লেখাটি পড়লাম। খুবই ভালো লাগলো।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

গালীব পাশা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ----

৬| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

হাইড্রোক্লোরাইড এসিড বলেছেন: ভারতবর্ষ হাজার জাতির হাজার সভ্যতার দেশ। অদ্ভুত এক রাষ্ট্র, অবশ্য একসময় আমরা এই রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

গালীব পাশা বলেছেন: সহমত---------

৭| ১৭ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৪৭

*কালজয়ী* বলেছেন: বহুভাষা জাতি ধর্মের বৈচিত্রপূর্ন ভারতীয় উপমহাদেশ এখন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু ভাষা জাতি ধর্মের বৈচিত্র এখনো রয়ে গেছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের স্ব স্ব ভাষাভাষী মানুষেরা আত্মনিয়ত্রনকামী ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র লালন করে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ব্যক্তিগত ভ্রমন অভিজ্ঞতা থেকে আমার এটাই মনে হয়েছে। ধন্যবাদ।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

গালীব পাশা বলেছেন: সহমত---------

৮| ২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

বাবিতো বলেছেন: খুব ভাল লেখা। ধন্যবাদ।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

গালীব পাশা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ---------

৯| ২২ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: আপনার শিরোনাম ভুল আছে। ৩৩ কোটি নয় ওটা ১৩২ কোটি হবে। কারন ভারতের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৩২ কোটি । যখন জন সংখ্যা ৩৩ কোটি ছিল তখন বলা হত ৩৩ কোটি দেবতার দেশ। হিন্দু ধর্মে বলা হয় " অতিথি দেবো ভব! " সবার মধ্যে ঈশ্বর বিরাজ করেন।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

গালীব পাশা বলেছেন: একদম_ঠোঁটকাটা সাহেব ভুল হয়নি। আমি জনসংখ্যা নয় দেবতার গননা ধরেছি।ভালো থাকবেন।

১০| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভালো লাগলো।

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

গালীব পাশা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ---------

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: উত্তর প্রদেশ এর লোকজন হিন্দি তে ই কথা বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.