নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'আপনারে দীপ করে জ্বালো\' (\'অত্তদীপ ভব\')

গৌতমী সাময়িকী

নীড় ছাড়ার গন্ধ শরীরে যার!

গৌতমী সাময়িকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের কল্যাণে ভিক্ষুণীসঙ্ঘ: শ্যামল বড়ুয়া

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯




মহামানব বুদ্ধের অনুমোদিত ভিক্ষুণী সংঘ বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠালাভে সশ্রদ্ধ বন্দনা ও সাধুবাদ জানাই। বাংলাদেশ শ্রামনীসঙ্ঘ তথা ভিক্ষুণীসঙ্ঘের একজন সাধারণ সেবক হিসেবে আমি জানি, মানুষের কল্যাণে, বহু বাধা-নিষেধের পথ পাড়ি দিয়ে এত দূর পথ এসেছেন আমাদের পূজনীয় ভিক্ষুণীরা।
এই ভেবে আমার অতিব ভালো লাগছে- বুদ্ধের সৃষ্ট চারিপরিষদের অন্যতম ভিক্ষুণীসঙ্ঘ বাংলাদেশে গঠিত হওয়ায়, বুদ্ধের ইচ্ছার পূর্ণতা পেয়েছে।

বুদ্ধের প্রচারিত ধর্ম সকল প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠাকে স্বীকার করে। এবং সকল প্রাণীর কল্যাণ সাধনই বুদ্ধের প্রচারিত ধর্মের মূল ভিত্তি। বুদ্ধের বা ধর্মের বা সংঘের নামে সৎ চিন্তা, সৎ বাক্য, সৎ কর্মের অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা, বাধা দেয়া অত্যন্ত পরিতাপের।

পূজনীয় ভিক্ষুণী গৌতমী'র দীর্ঘ সংগ্রাম-পথের অতি সাধানর একজন সেবক হতে পেরে আমি গৌরবান্বিত।
আজকে বাংলাদেশে বৌদ্ধ সমাজে একটা পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের ছেলে-মেয়ে সচেতন হচ্ছে। তারা প্রশ্ন করছে। তারা বিচার-বিবেচনা করে গ্রহণ-বর্জন করছে। তারা নিজেদের আত্মজিজ্ঞাসা করছে। এসকল জিজ্ঞাসার পেছনে ভিক্ষুণীসঙ্ঘ এবং গৌতমী সাময়িকীর ঘনিষ্ঠ অবদান আছে। প্রায় ছয় বছর ধরে শ্রামণী সংঘ যা আজকে ভিক্ষুণী সংঘ এবং গৌতমী সাময়িকীর মানবমুখী বিভিন্ন কার্যক্রম শুভ ও সুন্দরের দিকে মানুষকে নিয়ে যাবার আন্তরিক প্রয়াস তারই সাক্ষ্য বহন করছে।

আমি মনে করি, মহাকারুনিক বুদ্ধের প্রচারিত 'মৈত্রী-করুণা-মুদিতা-উপেক্ষা' ধর্মদানের জন্য বাংলাদেশে নির্ভরশীলতার প্রথিক ভিক্ষুণী সংঘ।

সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিশেষ কিছু মহল বিকৃতভাবে ধর্মের উপস্থাপন করছে এবং আমাদের মা-বোন তথা ভিক্ষুণী ও শ্রামণী- প্রসঙ্গে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আমি সবাইকে সতর্ক হতে বলি।

সকল বিদ্বেষ ও বাধা অতিক্রম করে ভিক্ষুণীসঙ্ঘ বাংলার আকাশে সূর্যের মত আবির্ভূত হবেন এবং ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণে আলো ছড়াবেন। এই আশা ব্যক্ত করছি।
সচেতন উপাসক, উপাসিকাদের আমি স্মরণ করে দিচ্ছি- সমাজ-ধর্মের সকল অবস্থানে মানুষের সম-অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় পূজনীয় ভিক্ষুণীদের পাশাপাশি আপনাদেরও কর্তব্য আছে।

সকল প্রানী সুখি হউক। সকল মানুষ জ্ঞান ও বিবেচনাক্ষমতা বৃদ্ধি পাক।
------------------------------------------
লেখাটি গৌতমী সাময়িকী ভিক্ষুণীসংখ্যা থেকে নেয়া।
লেখক- প্রবাসী, বাংলাদেশ ভিক্ষুনীসঙ্ঘের একনিষ্ঠ সেবক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.