![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধকারে ঘুমিয়ে আছি,কেবলই অন্ধকার। কোন কিছুই জানিনা চিনিনা!এখানেই খেলাধুলা করছি।গান গেয়েছি প্রান খুলে হেসেছি।কত যুগ ধরে যেন এখানে আছি।হঠাৎ একদিন ঝর এলো,ভেসে এলাম এক ঝলমল অরন্য প্রকৃতিতে।না কাউকে চিনতে পারছিনা,কেবলই একটা মুখ চোখে ভাসছে,আদরে বুকে টেনে আমার ক্ষুদাত্ব পেটটাকে শান্তনা দিচ্ছে! একদিন দু'দিন করে বেশ কিছু সর্ম্পকে বলতে শিখলাম চিনতে শিখলাম। একদিন ইস্কুলের গেট পর্যন্ত পৌছে দিলেন সে আর কেউ নয় সে আমার মা। তার মুখের ভাষাই আমার প্রথম ভাষা নতুন শব্দ খুঁজে পাওয়া।তার জন্য আমার জীবন উৎস্বর্গ করতে পারি।যে মা আমাকে হাটতে শিখেছে। গুটি গুটি করে বেশ সময় পাড় করে এলাম। সবেমাত্র ক্লাস সেভেনে পড়ি। হঠাৎ একদিন গ্রামের পুর্ব পাড়ায় ক'জনা আর্মি এসে জোয়ান মানুষ গুলোকে গলা কেটে কুপের মধ্যে ফেলে দিলেন।কেউ কেউ আধা মরা অবস্থায় বাঁচার জন্য কাকতী-মিনতী করল। কোন কর্নপাত করলনা বরং অঝরা বাশের গোড়া দিয়ে গুতা মারা শুরু করল! ইস! মনে হয় কোন ড্রেনে পানি বের হতে পারছেনা,আর সেই পানি ড্রেনদিয়ে নিস্কুশনের জন্য লাটি দিয়ে পরিস্কার করছি! হায়রে মায়ের ছেলে মায়ের কোল শুন্য করে আজ ওদের এই জগৎ থেকে আবার অন্ধকার কোন প্রকৃতিতে নির্বাসনে যেতে হচ্ছে। সবাই যাবে চন্দ্র তারার মতো দিনের আলোই হেরে তাই বলে ---? ওদের দোষ কোথায় ? ওরা চেয়েছিল স্বাধীন চেতনা,আত্বনির্ভরশীল শক্তি। নিচের আবাদী জমির ফসল নিজের ঘরে উঠাতে পারবেনা এ'টা কি হয়?কেউ বিনা দোষে ঘর থেকে বাহির হতে বিধিনিষেধ করলেই কি মেনে নেওয়া সম্ভব! সময় সাহসী হয়েছে তারা কি জানেনা? ওরা জানত তাই সময়ের দাবি নিয়ে ওরা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে গ্রামের লোকজনকে একত্রিত করত। নিজেকে রক্ষা করার দাবি নিয়ে স্লোগান দিয়েছিল! এই অপরাধে জীবন্ত কবর হতে হলো। প্রান নিয়ে গেল গান গেয়ে ওরা পাকিস্তানী,রাজাকার-আলবদর।পাকিস্তান জয়ের গানের সুর,সব সাহসী কর্ম স্পর্শ করল গ্রামের কিছু লোভী এবং ডেবিল ইন দি গাইস অফ ম্যানদের। ওরা জয়ী হয়েছে।পাকিস্তানী জিন্দাবাদ বলে ওরা চিৎকার দিয়ে স্লোগান দিতে লাগল,আমার কানে এলো,একি ! ওরা কি আমাদেরকে বন্ধি করে ফেলল? মাছ মারা জালে আটকে গেলাম?
সন্ধায় সূর্যটা কেবল ডুবু ডুবু ভাব কেবল পাখিরা নিজের আস্তানায় ফিরে আসছে।সারা দিনের ক্লান্তি ডুবে যাবে অচেতন ঘুমে।কোন র্দুচিন্তা মনে হয় নাই।আমরাও লেখা পড়ার জন্য ঘরে ফিরে আসছি। হাত পা পরিস্কার করে পড়ার টেবিলে বসে ক্লাসের পড়া বাহির করতেই পালাও পালাও শব্দে আমার বুকটা কেঁপে উঠল। অজান্তেই আমার হাতে সংস্পর্শে হারিকেনটা পড়ে গেল মাটিতে আমি চমকে উঠলাম। কোন কিছু বুঝে উঠতে না পেরে মা মা বলে আমি ঘর থেকে আঙ্গিনায় বের হলাম এর মধ্যেই সন্ধা হয়ে গেছে।আমার মা, সাহস- সাহস বলে ডেকে বুকে ধরিয়ে রাখল।আমার মায়ের এমন আচরনে ভিষন আবেগ প্লাবন হলাম। কি এমন হচ্ছে ? আমার মা আমাকে বুকে ধরে রাখছে। মনে হয় মায়ের বুকে মাথা রেখে সেই দিনের কল্পকাহিনী এবং দানবের গল্প মনে পড়ছে। ভয়ে অস্থির হতাম। মা বুকে জরিয়ে নির্ভয় দান করত। সেই দানব কি সত্যি আজ এই ঝলমলে মানুষালয়ে এলো? আমি মায়ের হাত থেকে পসকে দৌড় দিলাম বাড়ির বাহিরে দেখলাম, মানুষ রুপি কিছু জানোয়ার একটা মহিলাকে জড়িয়ে ধরে আছে, মহিলাটা নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য শক্তি প্রয়োগ করছে। কোন লাভ হচ্ছে না! অন্য প্রান্তে পাড়ার এক সন্দরীকে দু'জন্ জানোর নগ্ন করছে,স্তনে হাত,শরীরটা ঘষাঘষি করছে। সন্দুরী মেয়েটা বুকের উপর উঠা লোকটাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্ঠা করছে।লোকটি আরও বেশী শক্ত করে ধরে মেয়েটির স্তনে,মুখে চুমা দিতে চেষ্ঠা করছে।মনে হয় এটা হিংস্র জানোয়ার, তার ক্ষুদা মিঠানোর জন্য শিকারের পিছনে পিছনে দৌড়া দৌড়ি করছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া আর কোন শিকারী চোখে পড়েনা তার। মানুষ এমন কেন? নাকি এরা ছদ্মবেশে মানুষের মাঝে মিশিয়ে আছে! আমি চুপ করে থেকে সব দেখলাম কি ভাবে একটা মেয়ের সতীত্ত হরন করল। হলো বিরঙ্গা,সমাজের চোখে কারটিসান। আমার নয়ন ভরে এটা স্বপ্ন জল জল করতে লাগল,তাহলো আমার মাকে মুক্ত করা এই জানোয়ারদের হাত থেকে। শুধু আমার দেশ কে রক্ষা করলেই আমার মায়ের রক্ষা হবে। আমার দেশ আমার মা ! তাইতো ছোট্ট বয়সেই অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধে রওনা হলাম। আমার দেশের মাটিকে,সম্পদকে,মা জাতীর কলঙ্গে দাগ বসিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমার মরন লড়ায়।হয়ত একদিন আমি থাকবনা কিন্তু আমার দেশে আমার মায়ে কোলে থাকবে কোটি কোটি সন্তান।আজ যারা আমার দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে,মায়ের কোলের সন্তানদের জবাই করেছে তাদের ক্ষমা নেই।আরও কয়েকজন সহযোদ্ধা সবাই হাতে হাত রেখে শপথ নিলাম যারা দেশের হয়েও দেশের মানুষের সাথে বেঙ্গমানী করেছে তাদের আমরা ক্ষমা করবনা। বেশ কয়েক মাস পর যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে এলাম গ্রামে জয়ের পতাকা নিয়ে , এবং স্বপ্নগুলো বুকে ধরছেনা,পথটা যেন শেষ হচ্ছিলনা। খখন মায়ের কাছে গিয়ে বলব "মা তোমার ছেলে শত্রুদের হাত থেকে তার মাকে বাঁচাতে পারে! তুমি ভয় করনা। আমি আছি এবং থাকব।" বাড়ী ফিরে এসে আমার মায়ের ঘরে এসে মা,ও মা বলে ডেকেও পেলামনা। শুনলাম আমার মা লজ্জায় আত্বহত্যা করেছে। যে বাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্ম সেই ঘরে বিরঙ্গা মা আমার ,তার মুখ দেখাতে পারলনা। কতকষ্টে সব কষ্ট সহ্য করলাম। কিন্তু দেশে সার্বিক পরিস্তিতি যখন স্বাভাবিক তখন দেশের নেতৃত্ব নিয়ে জয় বিজয়ের খেলায় আবার মাঠে মুখ দেখতে পেলাম সেই দিনের সেই জানোয়ার যে আমার চোখের সামনে আমার মা,বোনের ইজ্জত লুটিয়েছে, সেই মুখ। আজও চোখে ভাসে ন্যাক্করজনক ঘটনা। নেতৃত্ব তাদের হাতেই চলে গেল।আমার প্রতিশোধের আগুন এতোই জ্বল জ্বল করছিল যে একদিন নিজের জ্বলে উঠা আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হলাম। আমার মায়ের ছবি,দেশের ছবি একে বুকে আমি আবার সেই অন্ধকারে হারিয়ে গেলাম এই জগৎ থেকে।আত্বহ্ত্যা করার আগে আমার সহযোদ্ধাদের বললাম এদের জন্যই কি আমাদের দেশ স্বাধীন? এদের সাথে আমি এই সমাজে থাকবনা এরা কাল সাপ,যেকোন সময় ছবল দিতে পারে, তোমরা থাক আমি থকবনা,কারন আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা।আমার নেতৃত্বে ওরা থাকবে আমরা কেন? গুড বাই ---এ চিঠি পেয়ে বড় অবাক হয়েছিল স্বর্ন।এ'টা একটি মুক্তিযোদ্ধার ডায়রী। সত্যি সত্যিই সেই বীরযোদ্ধার মরনের আগের কথাগুলো সত্য হলো
০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০৮
shapon বলেছেন: আপু তোমার মন্তব্যের জন্য তোমাকে আন্তরিক শুচ্ছো জানাই।।
ইতি তোমার বড় ভাই
ইঞ্জিঃ জি.সি.বর্মন
২| ০৭ ই আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:২০
shapon বলেছেন: ভাই আমি কাজেই থাকি তাই কিছু লেখার চেষ্ঠা করি প্লিজ পড়ুন আমার ব্লক
মনে কর তোমার বন্ধু
ইঞ্জিঃ জিসিবর্মন
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১১
তামো ব্লগ বলেছেন: +