নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৩০ এর উরুগুয়ে থেকে শুরু করে ২০২২ এর কাতার, হিসেব অনুযায়ী ২৪ বার বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজিত হবার কথা। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে ১৯৪২ ও ১৯৪৬ এ অনুষ্ঠিত হয় নি। মোট ২২ বারের মধ্যে ব্রাজিল কাপ পেয়েছে ৫ বার, ইতালি ও জার্মানি ৪ বার করে, আর্জেন্টিনা ৩ বার, ফ্রান্স ও উরুগুয়ে ২ বার করে, স্পেন ও ইংল্যান্ড একবার করে।
প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল মোট ১৩ টি দল। ল্যাটিন আমেরিকার ৭ টি দেশ, উত্তর আমেরিকার ২ টি ও ইউরোপের ৪ টি। ইউরোপের বহু দেশ দীর্ঘ জাহাজ যাত্রা করে উরুগুয়েতে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে রাজী হয় নি। প্রথম বিশ্বকাপ জিতলো আয়োজক দেশ উরুগুয়ে। ফাইনালে হারালো আর্জেন্টিনাকে। আমেরিকা তৃতীয় স্থানে ও যুগোশ্লাভিয়া চতুর্থ স্থানে আসলো। এরপর ধীরে ধীরে ফুটবল দুনিয়ায় সম্রাটের ন্যায় আধিপত্য বিস্তার করলো ইতালি। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮, পরপর দুবার বিশ্বকাপ তাদের ঘরে উঠলো। একবার চেকোশ্লোভাকিয়াকে আর একবার হাঙ্গেরিকে ফাইনালে হারিয়ে। কিন্তু তারপরেই বেজে উঠলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা। ইতালি, জার্মান, জাপান মিলিয়ে তখন অক্ষশক্তি। প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পরার কারণে হয়তো তাদের ক্রীড়া জগতের অনেকটা ক্ষতি হয়েছিলো। ১২ বছর পর, বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিকে অতিক্রম করে বিশ্বকাপের আসর বসলো ব্রাজিলে। অন্য কোন দেশ সেবার আয়োজক হবার দাবীও করে নি। শোনা যায়, বিশ্বযুদ্ধের সময় নাকি বিশ্বকাপটিকে, যেটাকে তখন জুলে রিমে কাপ বলা হতো, সেটা নাকি ফিফার সহ সভাপতি জুতোর বাক্সে লুকিয়ে রেখেছিলেন যে কারণে হিটলারের বাহিনী অনেক চেষ্টা করেও সেটার সন্ধান পায় নি। ১৯৫০ এ ফাইনাল হচ্ছে মালকানা স্টেডিয়ামে। কানায় কানায় ভর্তি স্টেডিয়াম। তুল্যমূল্য লড়াই হলো। কিন্তু গোটা স্টেডিয়ামকে হতাশ করে ব্রাজিলের মাটিতে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাপ নিজেদের ঘরে তুললো উরুগুয়ে। মানে ১৯৫৪ র আগে পর্যন্ত উরুগুয়ে আর ইতালি ছাড়া কেউ কাপ জেতার গৌরব অর্জন করে নি। ততদিনে বড়ো ফুটবল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে জার্মানি। ফাইনালে জার্মানি হাঙ্গেরির মোকাবিলা। দুজনেই সমান শক্তিধর ফুটবল শক্তি। খেলা ২-২. গার্ড মূলারের অসাধারণ গোলে এগিয়ে গেলো জার্মানি। খেলা শেষের কিছুক্ষণ আগে হাঙ্গেরির কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রাঙ্ক পুসকাসের বা পায়ের নিখুঁত শট জার্মানির গোলরক্ষককে পরাজিত করলো। কিন্তু অফসাইডের কারণ দেখিয়ে রেফারি গোল বাতিল করলেন। বহু দিন পর্যন্ত এটা নিয়ে বিতর্ক ছিল যে ওটা গোল ছিল কি ছিল না। নিজের ফুটবল জীবন সম্পর্কে লেখা আত্মজীবনিতে পুসকাস লিখেছিলেন যে ওটা নিশ্চিত গোল ছিল। কাপ গেলো জার্মানির ঘরে।
১৯৫৮. ব্রাজিলের বিশ্বকাপ টীমে অন্তর্ভুক্ত হলো ১৭ বছরের একটি ছেলে। তার যোগদান ব্রাজিলকে অপ্রতিরোধ্য ফুটবল শক্তিতে পরিণত করলো। পেলে। ফুটবল সম্রাট। ফাইনালে ব্রাজিল চূর্ণ করলো সুইডেনকে ৫-২ গোলে। এত গোল ফাইনালে সেই প্রথম হলো। ১৯৬২ তে ফাইনালে ব্রাজিল পরাজিত করলো চেকোশ্লোভাকিয়াকে। ৩-১ গোলে।
এবার ব্রাজিল, ইতালি, উরুগুয়ে, তিনজনেই দুবার করে জিতেছে। জুলে রিমে কাপের নিয়ম অনুযায়ী তিনবার যে জিতবে কাপ চিরস্থায়ীভাবে সে নিয়ে যাবে। ততদিনে ইতালিও পূর্ণ শক্তিতে আবার আত্মপ্রকাশ করেছে। ১৯৬৬ তে আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। ওদের দেশের কিংবদন্তি খেলোয়াড় ববি মূর অধিনায়ক। ইতালি, ব্রাজিল, উরুগুয়ে, কেউই ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারলো না। যদিও ইংল্যান্ডকে সুবিধা পাইয়ে দেবার জন্য পেলেকে মেরে মেরে পর্তুগালের খেলোয়াড়রা তাকে মাঠ ছাড়া করেছিলো। তখন সম্ভবতঃ লাল কার্ডের প্রচলন হয় নি। এখন যে ফাউল করলে লাল কার্ড দেখতে হবে, সেই সময় ওইরকম ফাউল করলে স্রেফ ফ্রি কিক ছাড়া আর কিছু ছিল না। পর্তুগালের ডিফেন্ডারদের বুটের লক্ষ্য ছিল পেলের পা আর হাটু। পেলে বলেছিলেন, আর ফুটবল মাঠে আসবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, পেলের চেয়ে বেশী ক্ষতি হলো ফুটবলের। Football is looser. ফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড আর জার্মানি। আমি যে জার্মানির কথা বলছি তা কিন্তু তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। খেলা ২-২. জার্মানির ক্রশ বারে লেগে মাটিতে গোললাইনে পড়ার পর বল ক্লিয়ার করলো জার্মান ডিফেন্ডার। কিন্তু লাইনসম্যানের সিগন্যাল অনুযায়ী রেফারি গোল দিলেন। কিন্তু বল গোল লাইন অতিক্রম করে নি। জার্মানি বলেছিলো যে সোভিয়েত রাশিয়ার লাইনসম্যান ইচ্ছা করে ওটা করেছে। যেহেতু জার্মানির সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক ঠিক নয় এবং যেহেতু রাশিয়াকে সেমিফাইনালে হারিয়ে জার্মানি ফাইনালে এসেছে। সেই প্রথম ইংল্যান্ডের হাতে বিশ্বকাপ গেলো।
সবার অনুরোধে আবার পেলে ফিরে এলেন ফুটবল মাঠে।তার শেষ বিশ্বকাপ। ১৯৭০. ব্রাজিলের তখন রিজার্ভ বেঞ্চ কে নিয়ে একটা শক্তিশালী ফুটবল টীম গড়া যায়। মূল টীমে পেলে, আলবার্তো, ভাভা,ডিডি,জেয়ারজিনহো, কে নেই ? ফাইনালে মুখোমুখি শক্তিশালী ইতালি। যে জিতবে জুলে রিমে কাপ তার। ইতালি দাঁড়াতেই পারলো না। ৪-১ গোলে ইতালিকে উড়িয়ে দিয়ে ব্রাজিল জুলে রিমে কাপ নিয়ে গেলো বরাবরের মত নিজের দেশে। নতুন বিশ্বকাপ আসলো।
১৯৭৪. জার্মানির কিংবদন্তি ডিফেন্ডার ফুটবলের যুবরাজ আখ্যায় ভূষিত ফ্রানজ বেকেনবাওয়ার শেষ হাসি হাসলেন। ২০ বছরের ব্যবধানে জার্মানি আবার বিশ্বসেরা হলো। ১৯৭৮ এ আর্জেন্টিরার ফুটবল আকাশে এক নক্ষত্রের আগমন ঘটলো। মারিও ক্যাম্পেস। তার হাত ধরে প্রথমবার বিশ্বকাপ ঘরে আনলো ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটি। ৩-১ গোলে চূর্ণ করলো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডকে। ১৯৮২ তে জিকো, সক্রেটিস, ফালকাওদের ব্রাজিল স্বপ্নের ফুটবল উপহার দিয়েছিলো। পেলের মতে ১৯৭০ এর ব্রাজিলের সাথে ওই ব্রাজিলকে তুলনা করা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক ফুটবলের খেসারত দিয়ে তারা ফাইনালের আগেই ইতালির রক্ষণাত্মক ও কাউন্টার এটাক নির্ভর ফুটবলের কাছে ৩-২ গোলে পরাজিত হলো। ৭৫ মিনিটের বেশী সময় বল ঘোরাফেরা করেছিলো ইতালির অর্ধে। ওদের একজন মাত্র খেলোয়াড় ব্রাজিলের অর্ধে থাকতো। পাওলো রোসি। কাউন্টার এটাক থেকে সে হ্যাটট্রিক করলো। সেবার বিশ্বকাপ লেখা থাকলো পাওলো রোসির নামে।
১৯৮৬. ফুটবল বিশ্ব আবিষ্কার করলো ফুটবলের রাজপুত্রকে। দিয়াগো মারাদোনা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে তার দ্বিতীয় গোলটির ছবি ৩৬ বছর পরেও অনেকের চোখের সামনে স্পষ্ট ভেসে ওঠে। হারার পরে ইংল্যান্ডের কোচ রবসন বলেছিলো, মারাদোনারা ফুটবলের অহঙ্কার। ফাইনালে ২-০ তে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনাকে কঠিন লড়াইয়ে ফেলে দিলো কার্লোস রুমেনিগেদের জার্মান। ২-২ এ ফল দাঁড়ালো। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারাদোনার একটা অসাধারণ থ্রু জার্মান ডিফেন্সকে চিরে বুরুচাগার কাছে পৌঁছলো। একটুও ভুল চুক করে নি বুরুচাগা। কাপ উঠলো মারাদোনার হাতে। ১৯৯০ এ প্রতিশোধ নিলো জার্মানি। মারাদোনা তখন অনেকটাই শেষের দিকে। মারাদোনা ও আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কাপ নিয়ে গেলো জার্মানি। মানে ব্রাজিল , জার্মানি, ইতালি, তিনজনেই তখন তিনবার করে কাপ পেয়েছে। ১৯৯৪ এ রোমারিও, বেবেতোদের মাধ্যমে ও ২০০২ তে রোনাল্ডিনিহো ও রিভাল্ডোদের মাধ্যমে কাপ নিয়ে ব্রাজিল বাকিদের থেকে অনেকটা এগিয়ে গেলো। এর মধ্যে ১৯৯৮ এর ফাইনালে কর্ণার থেকে জিনাদিনি জিদানের অসাধারণ দুটি হেড ব্রাজিলের গোলে ঢুকলো। আরেকটি গোল করিয়ে ৩-০ তে ব্রাজিলকে চূর্ণ করে দিলো ফ্রান্স। ২০০৬, ২০১০, ২০১৪,২০১৮ তে কাপ গেলো জার্মানি, ইতালি,স্পেন ও ফ্রান্সের ঘরে একবার করে। মানে জার্মানি ও ইতালি চারবার করে কাপ জিতেছে। গতকাল অসাধারণ একটি ফাইনালে লিওনেল মেসির হাতে কাপ উঠলো। ফুটবল মাঠ ও মাঠের ফুটবল ছাড়লেন বিজয়ীর গৌরবে। আর্জেন্টিনার ঘরে তৃতীয়বার কাপ জয়ের গৌরব পৌঁছে দিলেন ম্যাজিক্যাল মেসি।
কয়েকটি বিষয় না বললেই নয়।
ব্রাজিল একমাত্র দল যারা প্রতিবার নক আউট পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু তারা একবার জার্মানির কাছে ৭ গোল খেয়েছিলো। প্রথমটা যদি অত্যন্ত গর্বের হয় তো পরেরটা নিতান্তই লজ্জার।
চেকোশ্লোভিয়া, যুগোশ্লোভিয়া, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি , একটা দীর্ঘ সময় ধরে অসাধারণ ফুটবল উপহার দিলেও চূড়ান্ত বিজয়ী হবার গৌরব অর্জন করতে পারে নি। বিশেষ করে ইউসোবিও র মত কিংবদন্তি ফুটবলার থাকার পরেও পর্তুগাল,পুসকাসের মত অসাধারণ ফুটবলার থাকার পরেও হাঙ্গেরি, কিংবা জোহান ক্রুয়েফের টোটাল ফুটবলের উদাহরণ রাখা বা গুলিট,বাস্তেন, রাইকার্ডের ত্রিভূজ সমৃদ্ধ নেদারল্যান্ডের একবারও বিশ্বকাপ না পাওয়াটা দুর্ভাগ্যের।
দুই কিংবদন্তি গোলরক্ষককে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। রাশিয়ার লেভ ইয়াসিন ও ইংল্যান্ডের গর্ডন ব্যাঙ্কস। ১৯৭০ এ জর্জিনহোর একটা ক্রশ থেকে নিখুঁত হেড করেছিলেন পেলে। ব্যাঙ্কস যে পোস্টে দাঁড়িয়েছিলেন ঠিক তার উল্টো পোস্টে। প্রায় উড়ে এসে বল পোস্টের উপর দিয়ে বার করে দিয়েছিলেন গর্ডন ব্যাঙ্কস। পেলে নাকি অনেকক্ষণ অবাক হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে মাথা নাড়ছিলেন। তার বিশ্বাসই হচ্ছিলো না যে বল গোলে ঢোকে নি। ওই গোল সেভটি বহুদিন লোকের মুখে মুখে ঘুরতো।
২২ বারের মধ্যে কাপ ইউরোপে গেছে ১২ বার। ল্যাটিন আমেরিকায় ১০ বার। একটা মানসিক লড়াই চলতো গোটা ফুটবল বিশ্বে। কাপ ল্যাটিন আমেরিকায় যাবে না ইউরোপে যাবে ? আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে বিদায় নিলে তাদের দেশের সমর্থকরা চাইতো ব্রাজিল কাপ জিতুক। ব্রাজিল ও উরুগুয়ে বিদায় নিলে তারা চাইতো কাপ আর্জেন্টিনার ঘরে আসুক। উরুগুয়ে থেকে গেছে, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা বিদায় নিয়েছে। তখন তারা চাইতো কাপ উরুগুয়ে জিতুক। ১৯৫৮ র পর থেকে অবশ্য ফুটবল মাঠৈ উরুগুয়ের প্রাধান্য অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে এই বিষয়টা ছিলো। কাপ যেন ল্যাটিন আমেরিকায় আসে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য যে দুবার ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় নি, সেই দুবার নাকি আন অফিসিয়ালি বেশ কিছু দেশকে নিয়ে বিশ্বকাপ হয়েছিলো। যদিও ফিফার কাছে সেটার কোন স্বীকৃতি নেই। ওই দুবারের প্রথমবার নাকি সুইডেন ও দ্বিতীয়বার আর্জেন্টিনা বিজয়ী হয়েছিলো।
এতক্ষণ ভূমিকা করলাম। আমার আসল কথাটা দু লাইনের। এই যে আমরা এই কয়েকদিন কেউ ব্রাজিল সাপোর্টার হিসেবে আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের বা আর্জেন্টিনার সমর্থক হিসেবে ব্রাজিল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে কটুক্তি করলাম, বিষয়টাকে তিক্ততা, বিদ্বেষের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলাম, ভাষার প্রয়োগেও অশালীন ছিলাম, এর দ্বারা নিজেদের আমরা কি প্রমাণ করছি ? আমরা বাঙ্গালীরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিবাদ কে চরম শত্রুতার পর্যায়ে নিয়ে যাই। গোষ্ঠীগত বা আভ্যন্তরীণ মতবাদগত পার্থক্যের বিষয়েও নিজেদের মধ্যে বিদ্বেষ উৎপন্ন করি, ঘটি বাঙ্গাল বিতর্কেও পরস্পরের প্রতি ঘৃণার মনোভাব পোষণ করি, এখন ব্রাজিল আর্জেন্টিনা নিয়েও নিজেদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি করেছি। আমরা প্রকৃত পক্ষে নিজেদের কি বলে প্রমাণ করতে চাইছি ?
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৩
ঈশ্বরকণা বলেছেন: দাদা,
আরেকটা কথা --ডিডি আর ভাবা কিন্তু ১৯৭০-এর ব্রাজিল টিমে ছিল না । এই দুই কিংবদন্তি ছিল ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী ১৯৫৮ আর ৬২ সালের টিমের প্লেয়ার । আর ১৯৭০-এর টিমের প্লেয়ারদের কথা বলেছেন কিন্তু টোস্টাও আর রিভেলিনার নাম নেই ! আমার দুই ফেভারিট । দ্রুত ওদের দুজনের নাম যোগ করুন । ১৯৭০-এর বিশ্বকাপে জেয়ারজিনহোর করা একটা রেকর্ড কিন্তু এখনো অক্ষত আছে ! এই অবিশ্বাস্য রেকর্ড কোনো দিন ভাঙবে বলেও মনে হয় না । সেটার কথাতো বলেননি !
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ছোট ছোট প্যারা করে লিখতে পড়তে আরাম লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২২
ঈশ্বরকণা বলেছেন: দাদা,
আপনার লেখায়তো বড়সড় তথ্য বিভ্রাট হয়ে গেছে দেখছি ! ১৯৫৪ ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালেতো গার্ড মুলার পশ্চিম জার্মানি টিমেই ছিল না। গার্ড মুলার পশ্চিম জার্মানির হয়ে উইনিং গোল করেছিল ১৯৭৪ ফাইনালে। ১৯৫৪-র ফাইনালে ছয় মিনিটে হাঙ্গেরির হয়ে গোল করেছিল পুসকাস আর নয় মিনিটে জিবর। জার্মানির হয়ে দশ আর উনিশ মিনিটে গোল দুটি শোধ করে দেয় ম্যাক্স মার্লক আর হেলমুট রান (Helmut Rahn)। তারপর খেলা শেষ হবার ছয় মিনিট আগে হেলমুট রান-এর গোলেই পশ্চিম জার্মানি হাঙ্গেরিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে। ও আর দাদা আপনি মনে হয় মালদহ থাকেন। তাই ১৯৫০-র ফাইনালের আইকনিক স্টেডিয়াম মারাকানা হয়ে গেছে মালকানা ! দাদা আপনার ফুটবল নিয়ে এই লেখা চমৎকার হয়েছে । রম্যের সাথে সাথে এই রকম লেখা আরও লিখুন ।