| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে আগামীতে কী কী হতে পারে?
বামপন্থীদের প্রিয় স্বাধীন বাংলাদেশের পরিস্থিতি এনালাইসিস, যা মিডিয়া আপনাকে ডিটেলে জানাবে না।
বাংলাদেশের ভবিষ্যত বুঝতে গেলে বাংলাদেশের অতীত ও বর্তমান বুঝতে হবে।
আগের বছর 5ই আগষ্টের বামপন্থী সমর্থিত তৌহিদী বিপ্লবের শেষে এই কয়েক মাসে দেশটার মধ্যে আইন নামে আর কোনো বস্তু বেঁচে নেই। যতটা যা টিকিয়ে রেখেছে সেনা আর পুলিশের কিছুটা অংশ মিলেই টিকিয়ে রেখেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ শাসন করছে যারা, তাদের ঘটা করে নাম দেওয়া হয়েছে সমন্বয়ক। কিন্তু বেসিক্যালি তারা প্রায় সবাইই পশ্চিমবঙ্গের দুয়েকটি ছাত্র ইউনিয়নের ছেলেমেয়েদের মতোই মানসিকতার। এবার তারা যদি দেশ চালানোর ক্ষমতা পেয়ে যায় তাহলে যা যা কিছু হবে, বাংলাদেশের সাথে ঠিক তাইই হচ্ছে।
লাস্ট কয়েক মাসে এরকম ঘটনা ঘটেছে যে, শুধুমাত্র একটা নো এন্ট্রি রাস্তায় ঢোকার জন্য ওদেশে টোটোকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, বা তুচ্ছ কারণে প্রকাশ্যে ছোট মেয়ের সামনে তার বাবাকে পিটিয়ে খুন করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো ধর্মীয় এঙ্গেল ছাড়া বললাম, ধর্মীয় এঙ্গেল থাকা ঘটনা তো গুনে শেষ করা যাবে না।
বাংলাদেশের মডারেট আওয়ামের বেশিরভাগ অংশই চাইছে জামাত সরে যাক এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হোক দেশে। কিন্তু মুশকিল হয়ে গেছে ছমন্বয়ক ছায়েবরা সেটা চাইছে না কোনোভাবেই।
এবং ঠিক যেমন বামপন্থীদের টিকে থাকার জন্যে নিম্নমেধার স্তাবক দরকার হয়, একইভাবে বাংলাদেশের এই জোড়াতালি দেওয়া সরকার চালাতে গিয়েও তাদেরকে মূর্খ লোকজনকে আগডুম বাগডুম ভয় দেখিয়ে রাখতে হচ্ছে।
অতএব সমস্ত জায়গায় স্বৈরাচারীকে যা করতে হয়, বাংলাদেশে সেটাই করা হচ্ছে।
নির্বাচন পেছানোর জন্যে আপাতত টার্গেট ইসকন ও হিন্দুদের মেরে ধরে কিছুদিন লোকজনকে অন্যদিকে ভুলিয়ে রাখা। ইসকনকে এই সময়ে যদি ক্ষতি না করতে পারো তাহলে তুমি তোমার ঈমানের কাছে ছোট হয়ে গেলে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
খেয়াল করে দেখবেন পরিবর্তনের পরে প্রত্যেক ছয় বা আট মাস পরপর বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কখনো সেনার বিরুদ্ধে জনতা ক্ষেপে যাচ্ছে, কখনো আওয়ামী লীগকে ব্যান করা হচ্ছে, কখনো এই ইসকন, হ্যান ত্যান।
এগুলোর প্রত্যেকটা ভোট পেছানোর আইওয়াশ।
বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ঘটনা আগামী কয়েক বছরে ঘটবে, এবং আমাদের দুর্ভাগ্য সেসব ঘটনার এফেক্ট আমাদের কিছুটা হলেও সহ্য করতে হবে শুধুমাত্র আমাদের ভাষা খানিকটা এক বলে। হ্যাঁ, ভাষা এক থাকা শান্ত মানুষজনের সমাজে সংস্কৃতি এক্সচেঞ্জ সহজেই হয়ে যায়, এটা কোনো রকেট সায়েন্স না।
আগামী দুটো দিন পরে পরিষ্কার বোঝা যাবে পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে।
কিন্তু আবারও বলছি, বাংলাদেশের আওয়াম, অর্থাৎ তৌহিদী জনতা কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের বামেদের পছন্দের আন্দোলনে ক্ষমতায় আসা, এই দুর্নীতিবাজ ছমন্বয়কদের কথা শুনে এদেরকে নতুন পীর ভাবছে, সুতরাং বৃহত্তর হিসেবে দেখলে বড় শহরগুলোতে ঠিক এই মুহূর্তে বড় কোনো গণ্ডগোল না হলেও গ্রাম মফস্বলের হিন্দুদের প্রাণের কোনো দাম এখন লিটারেলি নেই। বাংলাদেশে কেউ থাকলে সাবধান করে দেবেন।
আর হ্যাঁ, হাসিনাকে আমাদেরই আশ্রয় দিতে হবে।
শুনতে অপ্রিয় লাগলেও, আগের বছর নির্বাচনের আগে যখন বিএনপি ভারতের মিনিমাম সাহায্য চেয়েছিল তখন ভারত তাদের মুখের ওপরে দরজা বন্ধ করে দেয়, এবং সত্যি বলতে সেই সময় ভারতের করারও খুব একটা কিছু ছিল না।
কিন্তু ইতিহাসগত দিক দিয়ে ভারত হাসিনার বাবাকে আশ্রয় দিয়েছিল, তার খুনের সময়ে ভারত হাসিনা ও তার বোন রেহানাকে আশ্রয় দিয়েছে। ভারতকে বাংলাদেশের একটা অংশের মানসিকতা হাতে রাখার জন্যেই হাসিনাকে এখন আশ্রয় দিতে হবে, সে আমার নিজেরও যতই বিরক্ত লাগুক না কেন।
জামাত ভারতের বিপক্ষে, তারা এখন চীনের ফাইটার জেট কেনার চেষ্টা করছে। বিএনপি ভারতের সাথে নরমাল কথাবার্তা রেখেছে, এই সময়ে হাসিনাকে সরাতে চেয়ে লীগকে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার অর্থ আরো একটা অংশকে ভারত বিরোধী করে তোলা।
২|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৪
ক্লোন রাফা বলেছেন: ভারতের উচিত ছিলো সকল নির্বাচনে সত্য ওপিনিয়ন দেওয়া। বাংলাদেশ যেমন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না। ভারতেরও উচিৎ ঠিক একই রকম আচরণ করা। আওয়ামিলীগের সাথে ভারতের একটা ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে । সেই সম্পর্ক’টা সকল কিছুর উর্ধ্বে রাখলে ভালো হয়। আমি আওয়ামিলীগের রাজনীতির সমর্থক হয়েও এই কথা বলছি।
বিএনপি/জামাতের সরকার ভারতের জন্য হুমকি হোলে অনুরুপ সতর্কতার সাথেই তাদের ডিল করা উচিত বলে মনে করি। ভারত যদি আওয়ামী লীগের সত্যিকারের হিতাকাংখী হতো তাহলে আওয়ামিলীগ সরকারের সময় দ্বিপক্ষীয় সমস্যা গুলো সমাধান করে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও ভারতের পক্ষে নিতে পারতো জন সমর্থন। আমার ধারনা সেটা আরো বেশি ভালো ও গ্রহণযোগ্য হইতো দুই প্রতিবেশী দেশের জন্য।
৩|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কি সব লিখেছেন আগা মাথা নেই।
৪|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা আপনি সঠিক ভাবে জানেন না।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সামনে ভালোর দিকেই যাবে। যাচ্ছে।
৫|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
আমি নই বলেছেন: ভারত স্বাভাবিক কিছু চিন্তাই করতে পারেন না। পারলে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর সাথে সুসম্পর্ক রাখত। আর কোনো রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক রাখার মানে সেই রাষ্ট্রের জনগনের সাথে সম্পর্ক রাখা। নির্দিষ্ট কোনো দলের সাথে নয়।
এবং ইসকনিরা কতটা ভয়ংকর তাতো চট্রগ্রামে দেখেছি এমন ঘটনা ভারতে হলে আপনারা সাম্প্রদায়ীক দাংগা বাধিয়ে দিতেন।
৬|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৮
নতুন বলেছেন: দাদা কি বলছো এছব?
তোমরা তোমাদের ঝামেলার দিকে নজর দাও।
আমাদের দেশের সবকিছু ভালোর দিকেই যাচ্ছে।
নির্বাচন হয়েগেলেই ছব ঠিক হয়ে যাবে। কিচ্ছুটি চিন্তা করো না দাদা।
লাগলে বোলো খাটি সরিসার তেল পাঠিয়ে দেই, দু ফোটা নাকে দিয়ে একটা ঘুম দেওতো দেখি!
৭|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: ভারত বলছে দ্বিতীয় মুক্তযুদ্ধ চালু করবে,তারা পেছন থেকে সমর্থন দিবে।
৮|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:০৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ভারত তো জানে যে, আমেরিকার ডিপ্লোমেটরা জংগী জামাত-শিবিরকে ব্যবহার করেছে হাসিনাকে সরানোর জন্য; কিন্তু ভারত এই ব্যাপারে কিছু বলছে না।
৯|
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৮:২৯
রাসেল বলেছেন: বাংলাদেশ তার নিজস্ব গতিতেই এগিয়ে চলেছে, ঠিক যেমনটি দেশপ্রেমিকরা(!) চেয়েছেন।