নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওসামা বিন লাদেন ও তার মৃত্যু বিষয়ক কিছু পর্যালোচনা

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:১৯

ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে! ভাল, খুব ভাল তবে কিছু কথা বলতে চাই!



কেন স্বাগতম জানাই:



লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে খুব ভাল কথা।যেই লোক একক ভাবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে এবং যেকোন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের সবচেয়ে বেশী ক্ষতিসাধন করেছে এবং করার শপথ নিয়ে বেঁচে ছিল সেই লোকে মৃত্যু অবশ্যই কিছুটা হলেও বিশ্বে চলমান বিশৃঙ্ক্ষলা কমাবে।



লাদেনের মৃত্যুকে স্বাগতম জানানোর আরো একটি বড় কারন হচ্ছে ওর পরিচয়ের সাথে জুড়ে ছিল একটি ধর্মের নাম।লাদেন নিজেকে বলতো মুসলমান যোদ্ধা।যদিও মুসলমানরা কোনদিনই আত্মঘাতি বোমা হামলার মত ওর কর্ম পন্থাকে স্বীকৃতি দেয় নাই তবুও ওর পশ্চিমারা লাদেনকে মুসলমানদের প্রতিনিধি বানিয়ে ছেড়েছিল।এবার লাদেন আর নাই সুতরাং লাদেনের নাম নিয়ে ইসলামকে ঘায়েল করা কমবে আশা করি।



আরো স্বাগতম জানাই কারন লাদেনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যাবস্থা বদলে গেছে যেটা সাধারনদের জন্য খুবই যন্ত্রনাদায়ক বলে প্রমানিত।এবার লাদেনের অনুপস্থিতিতে কি পরিবর্তন হয় দেখা যাবে।



কিন্তু লাদেনের ব্যাপারে কিছু কথা না বললেই নয়।



লাদেন কে? ইয়েমেন থেকে সৌদি আরব কাজ করতে যাওয়া একজন রাজমিস্ত্রী'র সন্তান ওসামা বিন লাদেনে'র দরিদ্র রাজমিস্ত্রি পিতা নিজ পরিশ্রম ও যোগ্যতায় সৌদি রাজপরিবারের কন্ট্রাকটার হয়ে ব্যাবসায় সুনাম ও বিপুল সম্পদ অর্জন করে এবং আল আকসা মসজিদের মত অনেক পবিত্র জায়গা মেরামত ও গঠনের কাজ পায়।সৌদি রাজপরিবারের বাইরে সর্বোচ্চ ধনী একটি পরিবার বিন লাদেনরা।



সেই ধনী পরিবারের সন্তান ওসামা বিন লাদেন ছিল শান্ত শিষ্ট এবং লাজুক ও মিতব্যায়ী আর ন্যায়পরায়ন স্বভাবের।ছোটকাল থেকেই আদর্শ বালক।মরুভুমিতে ঘোড়া নিয়ে বেড়াতে পছন্দ করতো এবং ধর্মের জন্য কিছু করার জন্য নিজের উপর অনেক দায়িত্ব ফিল করতো। (একটা ভিডিওতে ওর বাল্যবন্ধু বলেছে এসব )





লাদেন এক সময় ছিল আরব ও পশ্চিমাদের হিরো :



আফগানিস্তানে সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধে খুবই সফল একজন গেরিলা যোদ্ধা লাদেন।যার জন্য আরব বিশ্ব এবং সিআইএ'র কাছে অনেক অনেক প্রশংসিত ছিল।আরব দেশগুলোতে ১৫-২২ বছর বয়সী অসংখ্য ছেলের নাম লাদেন।

কিন্তু সৌদি আরবে নিরাপত্তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের আগমন সমর্থন না করায় রাজপরিবার ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার দ্বন্দ শুরু হয়।এক পর্যায়ে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হলে সে আফ্রিকায় ঘাটি গাড়ে।অনেক ধনী হবার সুবাদে সে এককভাবেই সুদানে বেশ উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড করে।এবং ইসলামিক ভাতৃত্বে বিশ্বাসী আফগান যুদ্ধে বিজয়ী এই লাদেন সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করার জন্য নিজ দেশের রাজপরিবার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বহুবার আবেদন করে।কিন্তু এতে সম্পর্ক খারাপ হওয়া ছাড়া অন্য কোন কিছু হয় না।



হিরো কেন ভিলেন :



তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের অবৈধ জন্ম এবং তেল সম্পদে ধনী মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের মুসলানদের রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার ইন্ধনদাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ি করে (চেচনিয়া,কাশ্মীর,ফিলিস্তিন) এক পর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে একক যুদ্ধ ঘোষনা করে লাদেন।





প্রিয় পাঠক দয়া করে মন থেকে সত্যি উত্তরটা দেন :



এই পর্যায়ে প্রশ্ন পাঠকের প্রতি। সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যখন শুধুমাত্র ফ্রান্স,ইংল্যান্ড,রাশিয়া ও চিনের অনুমতি নিয়ে ( মাঝে মধ্যে অনুমতি ছাড়াই ) দেশে দেশে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে সেটা আপনি সমর্থন করেন???

এবং

লাদেন অথবা অন্য কোন আরব যদি নিজ এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অপরাধের অভিযোগ তুলে এর বিচার ও প্রতিকার না পেয়ে তাদের প্রতি যুদ্ধ ঘোষনা করে সেটাকে সমর্থন করেন কি না???





এবার থেকে সবার চোখে ঘৃণিত লাদেন :



এরপর তান্জানিয়া,কেনিয়া এবং উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের দুতাবাস ও রনতরীতে বোমা হামলা চালায় লাদেন। ফলে তাকে সুদান থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং সে চলে আসে তালেবানদের শাষনের অধীন আফগানিস্তানে।হয়ে যায় টুইন টাওয়ারে বোমা হামলা।লাদেন এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে নাই তবে সমর্থন করেছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রমান ছাড়াই অভিযোগের ভিত্তিতেই আফগানিস্তানকে বলে লাদেনকে ওদের হাতে তুলে দিতে এবং প্রাচীনপন্থী তালেবানরা আশ্রয় দেয়া অতিথীকে তুলে না দেয়ার শুরু হয় হামলা।এরপরের ইতিহাস সবাই জানেন।ইরাকের ঘটনাও জানেন।মাঝে মাঝেই লাদেনকে ভিডিওতে দেখা যেত যেখানে কোন নিদৃষ্ট ফ্যাক্ট না বলে শুধু বলতো আমেরিকায় হামলা চালাও ওদের মানুষ হত্যা করো। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগমুহুর্তে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ রাজনৈতিক মুহুর্তে লাদেনকে দেখা যেত পশ্চিমাদের হুমকি ধামকি দিতে।



আফগান যুদ্ধের হিরো দিন দিন বিশ্বের প্রতিটা দেশেই ঘৃণিত ব্যাক্তি হয়ে গেল।কেউ আর লাদেনকে নিজেদের লোক বলে স্বীকার করে না।অনেকে ভুলেই গেল। তবে কেউ আর লাদেনকে ভালবাসে না।





লাদেন এতদিন কোথায় ছিলেন? এখনই বা কেন এলেন? :



যুক্তরাষ্ট্রতো ৯/১১ এর ১০ বছর পরেও ওকে খুজতেছে।১০ বছর ধরে লাদেনের কারনে বিশ্বে ইসলাম বিরোধী যেই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে তা দেখে মুসলমানরা কিসের ফিলিস্তিনিদের অধিকার বা সৌদি আরবে আমেরিকান সেনা উপস্থিতি ইস্যু বরং ভিক্ষা চাই না কুত্তা সামাল বলে মুসলমানরাও এখন অপেক্ষা করে লাদেনকে গ্রেপ্তার করা হোক,ওকে শাস্তি দেয়া হোক।



যুক্তরাষ্ট্র বুঝলো যে এই লাদেন সেই লাদেন না।এই লাদেন এখন সবার শত্রু। তাছাড়া বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তি যুক্তরাষ্ট্র একজন মানুষকে খুজে বের করতে পারবে না? তাই লাদেন যদি অগেই মরে থাকে তবু ওকে সবার সামনে মারা দরকার হয়ে উঠলো।



সেজন্যই গতকাল মারা গেল লাদেন।



লাদেন কে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব ছিল না :

কারন

এরই মাঝে ২০০৪ এ সিআইএ'র বিন লাদেন ইউনিট যা শুধু লাদেনের সাথে বোঝাপড়া করার জন্য তৈরী হয়েছিল তার সাবেক প্রধান বই লেখে যে, লাদেন কোন ব্যাক্তি নয় বরং লাদেন হয়ে উঠেছে একটা আইডিওলিজম।বিশ্বব্যাপি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক পলিসির কারনে মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্থ এবং ওসামা বিন লাদেন সেই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা সকলের কাম্য চরিত্র।মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি প্রদর্শন হচ্ছে, গত ৫০ বছর ধরে ইসরাইয়েলের হাতে ফিলিস্তিনিদের সকল মানবিক অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে এবং প্রতিটা আরবেরই বিশ্বাস তাদের সব সমস্যার মুল যুক্তরাষ্ট্র।কারন চেচনিয়া,কাশ্মীরের মত জায়গায় যখন ঝামেলা হয় তখন যুক্তরাষ্ট্রকে দেখা যায় না কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে কিছু হলেই দৌড় শুরু হয়? তাই সন্দেহ এখন বিশ্বাসে পরিনত।



সুতরাং নিজের নিরাপত্তার খাতিরে এখনই যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বিশ্বজুড়ে মিলিটারি বেসগুলো না সড়ালেও অন্তত মধ্যপ্রাচ্য থেকে যেন প্রত্যাহার করা হয়।নয়তো লাদেন প্রতিদিন প্রতিঘরে ঘরে জন্ম নিবে।

এমন আরো অনেক প্রাক্তন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রফেসররা যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী আচরনকে দায়ী করে আসছিল।



আর আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন সেটাতো সবাই জানেন!



লাদেনের পর কি ?



এটা এখনই বলা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ২টি পথ।



১ : লাদেনের শেষ হবার সাথে সাথে মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ শেষ করার প্রস্তুতি।মানে নিজেদের মুসলমানদের সমস্যা থেকে গুটিয়ে নেয়া এবং ভদ্র লোকের মত নিজেদের নিরাপত্তা চিন্তা করে নিজেদের ভেতর থাকা। ( অলীক কল্পনা বোধহয় )



২: এতদিন লাদেন পাকিস্তানে ছিল এবং তার মত হাজার হাজার লাদেন জন্ম হয়েছে পাকিস্তানে বা অন্যান্য দেশে সুতরাং নতুন লাদেনরা আক্রমন কন্টিনিউ করতে পারে এবং অচিরেই পাকিস্তানে অথবা নতুন লাদেনদের অবস্থান অনুযায়ী হামলা করে হাজার হাজার কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র ব্যাবসা চালিয়ে যেতে পারে।



সব মিলিয়েই লাদেন এখন এমন একটা নাম যা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ইন্ডাস্ট্রির জন্য লাভজনক নাম নয়।তাছাড়াও এক কাহিনী বেশীদিন চলে না।নতুন কিছু করতে হলে পুরান ভার্সন আগে বন্ধ করতে হয় তাই লাদেন চ্যাপ্টার ক্লোজ।







কিন্তু কাহিনী .... টু বি কন্টিনিউড................

















উপসংহার :



লাদেন পশ্চিমাদের নানান অপরাধের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রতিবাদ করলেও বিভিন্ন সময়ে ভিডিওতে সন্ত্রাসবাদ প্রচার করেছে এবং নিরীহ মানুষ হত্যার আহ্বান জানিয়েছে তাই ওর মৃত্যু বিশ্ব শান্তির জন্য উপকারী।

যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ লাদেন নামের টেররিস্ট গেম খতম করার জন্য।



তবে একথা সত্য যে সভ্য নিয়মে কাউকে বিচার ছাড়া হত্যা করা সমর্থন যোগ্য না।এবং লাদেন যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী করা একটু জুজু সেটাও আরো সমর্থন পায় যখন এভাবে গোপনে সৈন্য দিয়ে আদালতের বিচার ছাড়াই লাদেনকে হত্যা করা হয়।



নির্বিচারে লাদেন মারা যাওয়ার পরও আমি খুশী তবে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন তার উপযুক্ত বিচার করেন।





মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:২৪

আকবর হোসেন বলেছেন: ভাল লাগল।

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:২৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:২৮

মোসাজস বলেছেন:

পশ্চিমাদের মুসলামান সাইজ করা বন্ধ হবে না|

সাদ্দাম|
লাদেন|
মোবারক|
সালেহ|
আসাদ|
গাদাফী....।

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৩০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এভাবে একের পর এক আগমন হতে থাকলে এবং সাইজ চলতে থাকলে এসব ওদের গেম নাকি সত্যি সেটা বিচার করতে বিশ্ববাসী'র সুবিধা হবে।

৩| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:২৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাইরে, একটা কথাই বলি, আমরা সবাই সব কিছুই বুঝি, খালি কিছু কইতে পারি না... :( :( :(

আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা, হে আল্লাহ তুমি মুসলমানদেরকে সেই ঈমান ও আ'মল অর্জন করার তৌফিক দান কর, যার দ্বারা মুসলমানরা এই জালিমদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারবে। ইনশাল্লাহ, একদিন অবিশ্বাসীরা হয় ঈমানের পথে আসবে নয়ত ধ্বংস হয়ে যাবে...

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৩২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :( রুখে দাড়ানো আর হবে না।তবে যারা খারাপ তারা নিজেরাই নিজ থেকে ধ্বংস হয়ে যাবে নিশ্চিত।

৪| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৩৮

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: আমরা কিছু না করতে পারলেও চিন্তা করাটাও অনেক বড় ব্যাপার, এমনকি আরো বেশি মৌলিক।


ভালো লেগেছে......

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৫০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ।লেখার উদ্দেশ্যও সেটাই যে অন্তত নিজের চিন্তাশক্তিটা ব্যাবহার করি।

আবারো ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৩৯

নীল_পদ্ম বলেছেন: আমি মনে করি লাদেন আগেই মারা গেছে, গত পরশু মারা গেছে অফিসিয়ালি।

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৫২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: "বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তি যুক্তরাষ্ট্র একজন মানুষকে খুজে বের করতে পারবে না? তাই লাদেন যদি অগেই মরে থাকে তবু ওকে সবার সামনে মারা দরকার হয়ে উঠলো"।

৬| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৪৬

বাঘ মামা বলেছেন: অনেক প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে আমি আপনার পুরো পোস্ট পড়েছি, আপনার সুন্দর বক্তব্য বুঝতে আমার বেগ পেতে হয়নি, কিন্তু এই বিষয়ে ভালো কিছু বলতে পারবো বলে মনে হচ্ছেনা তবুও বলি
আপনি যাকে নিয়ে এত বড় পোষ্ট দিলেন অতি সুক্ষ ভাবে তার বিরুধিতা করে কঠিন ভাবে তার পক্ষ নিলেন সেই লাদেন আসলেই কে?

আপনি উত্তর দেয়ার আগে আমি এক রোখা ভাবে বলবো- লাদেন আর কেউ নয় সে হলো আমেরিকার-ই একজন।

আপনি জেনে থাকবেন হয়তো- এশিয়া মহাদেশে আমেরিকা এম সি সি নামে একটা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে সারা এশিয়াতে আমেরিকার হামদরদী ভাব দেখাতে লেগে যায়, সেই ফাঁকে এই লাদেন কে দিয়েই রাশিয়াকে টুকরো করে আমেরিকা,এর পরেই সারা এশিয়া থেকে সেই এম,সি,সি কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়।

আজকের এই লাদেন আমেরিকার সৃষ্টি।লাদেন ইসলাম ধর্মের জন্য কিছু করা তো দুর বরং এই এক লাদেনর তথাকথিত ইসলামি মনোভাবটা আমাদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে।আমেরিকা তাকে দিয়েই সারা মুসলিম দেশে তার আগ্রাসন চালানোর সুযোগ পেয়েছে।

আমেরিকা সব সময় সুদুর প্রাসারী পরিকল্পনা করে থাকে, লাদেন তারই একটা অংশ।

আপনার আমেরিকা সম্পর্কিত বক্তব্যের বিরুধিতা আমি না করলেও লাদেনের আচরণ আমাদের মঙ্গল বয়ে আনার কথা বা উদ্দেশ্য ছিল সেটা মানতে রাজি নই।

ভালো লাগলো

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৫৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য। আপনি বোধহয় খেয়াল করেছেন, পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন অংশটার আগ পর্যন্তই আমি লাদেনকে নীতিগত সমর্থন দিয়েছি।( আপনার মত আমারও বিশ্বাস সে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ আদায়ে একজন অংশীদার যেমন বুশ পরিবার তার পরিবারের ব্যাবসায়ে অংশীদার ছিল) এরপরের অংশটুকুতে আমি তাকে মোটেও সমর্থন দেই নাই।

আর আমি কিন্তু লাদেনের আচরন আমাদের জন্য ক্ষতিকর হয়েছে বলেছি :) তবে সিআইএ'র সাবেক প্রধানের কথা সমর্থন করেছি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৫১

কর্ন বলেছেন: লাদেনের একজন ভক্ত পাওয়া গেলো .যিনি ইনিয়ে বিনিয়ে কাদছেন

৮| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৫২

কর্ন বলেছেন: লাদেনের একজন ভক্ত পাওয়া গেলো .যিনি ইনিয়ে বিনিয়ে কাদছেন

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:১৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমার কান্না দেখে আপনার কি মনটা খারাপ হয় নাই?
হলে আমাকে স্বান্তনা দেন,বলেন, "যে যাবার সে তো যাবেই,আজ লাদেন গ্যাছে কাল আমরাও যাবো"।

৯| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৮:৫৩

ইলুসন বলেছেন: লাদেন কোন হিরো না, লাদেন আমেরিকার সৃষ্টি করা একটা জুজু। এটা দেখিয়ে তারা তাদের দেশের মানুষকে হাতে রেখেছে সব সময়। এই জুজুর ভয় দেখিয়েই তারা যখন যাকে ইচ্ছা হেনস্তা করত। আমাদের দেশে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে যা হচ্ছে আর কি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে এতদিন লাগে? গোলাম আজম, নিজামীর মত কুলাঙ্গারের বিচার করার কি দরকার? এরা তো চিহ্নিত রাজাকার। এদের প্রকাশ্য ফায়ারিং স্কোয়ারডে গুলি করে মারা উচিৎ। এখন তো মনে হচ্ছে না যে সরকার তাদের বিচার করতে চায়, ওদের বাচিয়ে রেখে ফায়দা লুটাই উদ্দেশ্য। জামাতিরা এখন বলে বেড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত হয় নি! How dare they are!

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অবশ্যই লাদেন হিরো না।তবে ওর চরিত্রের প্রতিবাদি অংশটুকু শিক্ষনীয়।মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলোর দায়িত্ব ছিল পশ্চিমাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা কিন্তু সেটা তারা করে নাই।ফলে লাদেন প্রতিবাদ ব্যাবসা করে মানুষের ইমোশন পুঁজি করে পশ্চিমাদের সন্ত্রাস ব্যাবসা চালিয়েছে যেমন ধর্মকে পুঁজি করে জামাতকে দিয়ে আমাদের সরকার ক্ষমতা ব্যাবসা চালায়।

১০| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:২৯

মশিউর মামা বলেছেন: আসিফ ভাই যে এই রকম একটা পোস্টে দুই দুই বার মন্তব্য করছেন কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য ছাড়া এই জন্য উনারে সাধুবাদ |
নিজে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ছাত্র হইয়াও লাদেনরে নিয়া আমার ধারণা কখনো পরিষ্কার হইতে পারে নাই | বিশেষত তার ভুমিকা ২০০১ সালের পর থেকে | তবে তার মৃতু নিয়া আমার একটা হাইপোথিসিস আছে-
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে USA এবং UK দুইটা দেশে প্রায় দশক ধরে চলা যুদ্ধ সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে | এই দুটা দেশ যে আশা নিয়া ইরাক আর আফগানিস্তানে গেছিল পুরাপুরি সেই আশা পূরণ হয় নাই | এই অবস্থায় লাদেনের মৃত্যু তাদের মুখ বাচায়া ঐখান থেকে সইরা আসার একটা উপায় কইরা দিছে | আর ওবামা এইটারে ব্যবহার করব আগামী নির্বাচনে | তার বিরুদ্ধে নরম্পন্থার অভিযোগ সে খুব সহজে লাদেনের মৃত্যু দিয়া মোকাবেলা করতে পারব | তবে আমার ধারণা ভুল ও হইবার পারে |
ধন্যবাদ |

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনে I.R এর ছাত্র? চমৎকার!

আমার লেখাতেও কিন্তু আপনেরটার মতই হাইপোথিসিস দাড় করাইছি (শেষের ৩টা প্যারায়) :)
এবং আমি এটা সত্য হবার অপেক্ষায়।

১১| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৩৩

ওঙ্কার বলেছেন: সমস্যাটা হলো ব্যপকার্থে মুসলমানদের গোঁড়ামি আর ঘাড়ত্যাড়ামি। লাদেন ওরফে ওসামা যেমন বোমা ফুটিয়ে একটা সভ্যতা ধ্বংস করতে চেয়েছে (ছাগলীয় চিন্তা), তেমনি আম-মুসলমানও জিহাদী জুশে লাদেন লাদেন করে লাদিয়ে গেছে।

এতে করে আমেরিকার কিছু হবে বলে তো দেখা যায় না! যেটা হবে, সভ্যজাতিগুলি, মানে ইউরোপীয় ও অন্যান্য উন্নত জাতিগুলি 'মুসলমান' দের প্রতি এক ধরনের হতাশা মিশ্রিত অবহেলা নিয়েই থাকবে। বোমা মেরে বিশ্ব জয়ের, অথবা পশ্চিমা 'অশ্লীল' সংস্কৃতি মুছে দেবার স্বপ্নদোষ যতোদিন মুসলমান নামের পশ্চাৎপদ নাগরিক দেখবে, ততোদিন কিছুই হবে না।

আম্রিকা, বা প্রযুক্তি প্রাগ্রসর জাতিগুলিকে জয় করতে লাগবে জ্ঞান। কমুনিস্টদের সঙ্গে আঁতাতে পানি হয়তো হালকা ঘোলা হবে, তবুও বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিড়বে না।

আমার ব্যক্তিগত অভিমত এ বিষয়ে, ওসামাকে ট্রাঙ্কুলাইজ করে বিশ্ব আদালতে বিচার করা উচিত ছিলো। বিচারের পরে যদি তার শাস্তি হতো, সে শাস্তিও নিশ্চিত করা উচিত ছিলো। পৃথিবীকে যথেষ্ট অশান্তি দিয়েছে এই উজবুকটা।

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৪২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ৫টা তারা এবং ৫প্লাস +++++

মুসলমানদের অভিবাবকরাই সোল্ড! তাই লাদেনের মত সন্ত্রাসীই আজকে ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে যায়।তবে মানুষ চিন্তা শুরু করেছে, আগামীতে হয়তো বদলাবে

আপনার ব্যাক্তিগত অভিমতেও সহমত।

১২| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৩৩

মশিউর মামা বলেছেন: দান দান তিন দান | তৃতীয় বার আসিফ ভাই ঠিক তার বিপ্লবী ঝান্ডা হাতে উপস্থিত |

১৩| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: এই বেয়াদপটার কি খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই?? বেটা সব জায়গায় কাঠাল পাতা খোজে !! X(( X(( X((

@লেখকঃ ভাই কিছু মনে নিয়েন না, বুঝতেই পারছেন কেন বললাম... সামুতে এর অত্যাচার এত বেশী মাত্রায় চলছে, যে নোংরামীর পর্যায়ে চলে গেছে... X( X(

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৫৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ভাই, মাঝে মাঝে অবশ্য সবার অংশগ্রহনে নিজেদের ভুল সংশোধন করা যায় ;)

প্রায়ই হতাশ হই তবু আশা রাখি :)

১৪| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৩৭

অনিক আহসান বলেছেন: ২০১২ সালের ইলেকশনের আগে নিজেদের বিজয়ী হিসাবে ঘোষনা দিয়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিনীদের বের হয়ে আসার জন্য ওসামা বিন লাদেনকে ক্রসফায়ার করা জরুরি ছিলো...

আবোটাবাদের যে স্থানে ওসামা ধরা পরে তার থেকে পাকিস্তানের মিলিটারি একাডেমি কয়েক শত গজ দূরে..কাজেই লাদেন সেখানে অবস্থান করছে আর পাকিস্তানীরা তা জানে না এটা অসম্ভব...তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া যাক পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতো না...সেক্ষেত্রে মিলিটারী একাডেমির মত প্রেস্টিজিয়াস স্থাপনার এতো কাছে ৪০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ হলো,বিস্ফোরন,অচেনা হেলিকাপ্টার উড়লো অথচ পাকিস্তানের একটা জেট ফাইটারও আকাশে উড়ালো না..এইটাও বিশ্বাসযোগ্য না..(৬৫ এর পাক-ভারত যুদ্ধের পরে থেকে পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে ককপিট ডিউটি বলে একটা ডিউটি থাকে যারা ১ মিনিটের নোটিশে আকাশে উড়তে পারে)..।

ওবামার দ্বিতীয় টার্মে নির্বাচনের জন্য এই বিজয় সঙ্ঘটিত করা জরুরি ছিলো..যাই হোক লাদেন মারা যাওয়া মানেই কিন্তু কথিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ইতি না...কারন লাদেন ও আল কায়দা গত ৩/৪ বছর ধরে কোন অপারেশনে সরাসরি অংশ নিত না...।তার ভুমিকা ছিলো অনেকটা আদর্শিক প্রেরনাদায়ক গুরুর মত...।একধরনের মেন্টর...।

আল কায়দার সবচেয়ে বড় সুবিধা আর মার্কিন সহ পশ্চিমাদের সব চেয়ে বড় অসুবিধা হলো যে কেউ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে আল কায়দা সদস্য বলে ভাবা শুরু করতে পারে ও সেই মোতাবেক মার্কিন ও পশ্চিমা স্বার্থে হামলা করতে পারে...এজন্য তাকে কোন অনুমুতি নিতে হবে না..।

ওসামা বিন লাদেন কে হিরো বানানোর প্রয়োজনিয় মিডিয়া কাভারেজ মার্কিন ও পশ্চিমাদের অবদান...ব্যক্তি ওসামা বিন লাদেন চেয়েছিলেন আরব বিশ্বে মার্কিন নীতি ও মুসলিমদের উপর অন্যায়ের প্রতিবাদ তার নিজের মত করে করতে...তার অধ্যায় তিনি শেষ করে গেছেন... এখন দেখার পালা মার্কিনীরা এবার কাকে মঞ্চে উঠায়...

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ৯:৫৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এটাই আসলে সময়ের প্রশ্ন।
লাদেন নামক পূর্ণদৈর্ঘ ছবির সিক্যুয়াল বের হবে নাকি এটা শেষে হবার পরই পশ্চিমারা "ইক্সিট" ধরবে?
ওবামা'র জন্য অনেক বড় পুঁজি হলো এই ঘটনা।

খুব সুন্দর কমেন্টের জন্য +++++ সহ ধন্যবাদ।

১৫| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১০:০৯

মোসাজস বলেছেন:
-
নাস্তিকদের চীফ ও চ্যালা চামুন্ডারা পোস্টে আইস গেছে!!

আইজ পাশা খেলবোরে শাম.....
শামরে তোমার সনে......... :):)

১৬| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১০:১৭

কর্ন বলেছেন: আচ্ছা আপনি কি এখন বলবেন গু আজম , আমিনী , সাইদী, সাকা , নিজামী , পাকিস্তানি মিলিটারি এদের থেকেও আপনি কিছু শিখে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চান !!!!!!!!!!!!!!!!

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১০:৩৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: যাদের নাম নিলেন এদের সাথে আমার ব্যাক্তিগত পর্যায়ে শত্রুতা থাকার কারনে এদের কাছ থেকে আমি কিছু শিখবো না।

১৭| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১০:৩৩

মোসাজস বলেছেন:
-

ওমা, শিব সেনাও হাজির :):)

০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১০:৪০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ব্যাপারস নাস।
এই ব্লগ, শ্রীযুক্ত মোশে কুরবান বড়ুয়া (পিটার) বোতল পড়া দিয়া ক্যাচাল প্রুফ বানাইয়া দিছে ;)

১৮| ০৩ রা মে, ২০১১ রাত ১১:০৩

অ্যাডলফ বলেছেন: আমি লাদেনের কোন কাজেরই সমর্থন করতে পারি না। তার অন্যতম প্রধান কারন হলো - তার সমস্ত কার্যক্রমই আমার কাছে আমেরিকার পরিকল্পনার অংশ মনে হয়েছে, সেটি সেই সোভিয়েত আমলেই হোক আর তৎপরবর্তী বা বর্তমান সময়ই হোক না কেন। সব জায়গায়ই সে আমেরিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে মাত্র - মুসলিম ও প্রতিরোধী নাম নিয়ে।

প্রকৃত সিআইএর এজেন্ট আমার তাকেই মনে হয়, যে কিনা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে উগ্র সংগঠনের মাধ্যমে সহায়তা করেছে।

তবে আপনার পোষ্টের অনেকগুলো বিষয় ভাল লেগেছে।

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ২:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ আ্যডলফ, লাদেনকে আমিও সমর্থন করি না।ওর ইসলামের নামে যুদ্ধ এবং আমেরিকানদের হত্যার আহ্বান সমর্থন করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।
আমারো বিশ্বাস সিআইএ'র পক্ষেই ছিল সে।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১২:৩৪

মশিউর মামা বলেছেন: আপনেও আ.স . | কোন ভার্সিটি?

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ২:০৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমিও আ.স :) দেশের বাইরে।

২০| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১২:৫৭

নাঈম১২৩৪ বলেছেন: এই মিয়া, মিডিয়ার কাছ থেকে ধার করা কথা নিয়া কথা বললেই জ্ঞানী হওয়া যায় না। মনে হয় প্রচুর পশ্চিমা টিভি নিউজ দেখেন। পলিটিক্স এর প ও জানেন না ... :-B :-B :-B

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ২:০৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আসলেই পলিটিক্স এর প ও জানি না।
তয় গত সাড়ে ৩ বছর টিভি একেবারেই দেখি না।

আমি যা কইলাম, মিডিয়াতেও তাই বলে নাকি? :||

২১| ০৪ ঠা মে, ২০১১ ভোর ৪:২৮

রামন বলেছেন:
ওসামা বিন লাদেন হলো গিয়ে এ যুগের শ্রেষ্ট "বলির পাঁঠা "। একদিকে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ওসামাকে জুঁজু বানিয়ে ,তাকে ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করেছে আবার অন্যদিকে পশ্চিমা গোষ্ঠীদের হাতে নিপীড়িত,নিগৃহীত ও অত্যাচারিত মুসলিম জনগণ নিরবে নিভৃতে ওবামাকে দিয়েই তাদের অনিষ্ঠকারীদের শাস্তি ও পতন কামনা করেছে।

কাজেই ওসামাই হচ্ছে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেয়া একবিংশ শতাব্দির শ্রেষ্ট "বলির পাঁঠা "।

০৪ ঠা মে, ২০১১ ভোর ৪:৩৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: একমত। পাঠাটাকেই একদল ছাগল আরেকদল গরু মনে করেছে।

২২| ০৪ ঠা মে, ২০১১ সকাল ৭:১২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লাদেন এই সময়ে ধর্মের আত্মঘাতী হামলা চালানোকে উদ্বুধ্ধ করেছে যেখানে দিনে দুপুরে অনেক শিশু নারী নিষ্পাপ লোকও মারা যায়। এটাকে সে শৈল্পিক রূপ দিয়ে অতীব ছোওয়াবের কাজ হিসাবে পরিচয় করায় দিছে?

এটাকে কিভাবে দেখেন?

ফুটনোট: আপনার পোস্ট মাঝে মাঝে অফলাইনে ঢু মারতাম। কিন্তু এই পোস্ট পড়বার পর মনে হলো লজিক নিয়ে´সঠিক পথে যার ভাবার ক্ষমতা নাই অন্তত রিপ্লাইতে সেখানে যুক্তির বড়ই অভাব তার পোস্টে জানবার খোড়াক খোজাটা বোকামী!

০৪ ঠা মে, ২০১১ দুপুর ১:২৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আত্মঘাতি বোমা হামলা এবং আমেরিকানদের হত্যার যে আহ্বান সে করছে সেটারে তো বর্বর এবং খারাপই বললাম।লাদেন যে ইসলামের শত্রু সেটাও লেখছি।আত্মঘাতি বোমা হামলা বিষয়টারে গ্লোরিফাই করছে যেটা কোনমতেই সাপোর্ট করার কিছু না।
ওর কার্যক্রম কোনটাই সমর্থন করি নাই,
শুধু বলছি যে, লাদেনের মার্কিন বিরোধী অভিযোগগুলা সত্য ছিল।

মনে হয় পোস্টের সাইজের কারনে অথবা আমার লেখার দুর্বলতায় বিভ্রান্ত হইছেন।

২৩| ০৪ ঠা মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: @সবাই, আমরা আসলে লাদেনের সম্পর্কে ডাইরেক্ট জবাব খুজি।

একদল ওর সন্ত্রাসীর বাইরে কোন অস্তিত্ত্ব আছে সেটা মানতেই নারাজ।
আরেকদল ওকে শুধু মাত্র যুক্তরাষ্ট্রের স্পাই হিসেবেই বিশ্বাস করে।
আরেকদল ওরে মনে করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী একজন।

কিন্তু বিষয়টা এতো সিম্পল না যে, ওরে যেকোন একটা লেবেল লাগায়ে মার্কেটে দিলেই হবে। সে একটা কমপ্লেক্স চরিত্র।
আমি এই লেখায় সেই চরিত্রটার বিভিন্ন সময় এবং ওর প্রতি বিভিন্ন দেশের ও ব্যাক্তির অফিসিয়াল ভিউ তুলে ধরছি।

সে অপরাধের প্রতিবাদ করছে নতুন অপরাধের মাধ্যমে।

পুরা লেখাটাই নিরপেক্ষ বিশ্লেষন আর আমার ব্যাক্তিগত মতামত উপসংহারেই আছে।

২৪| ০৪ ঠা মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩২

মশিউর মামা বলেছেন: আ.স. ভাই - ভাই
এই লেখায় গুতা দেন | মজা পাবেন |
Click This Link

০৪ ঠা মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: কমেন্ট করে আসছি।

২৫| ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১১:৩৫

সাইফুল আকন্দ বলেছেন: প্রিয় বিষ্ঠাষী মোমিন লেখক এবং অপরাপর সুধী গেলমানবৃন্দ, উ্‌ছামা বিন লাদেন (রঃ ) এর মৃত্যুতে আপনার শোকা সন্তপ্ত পুচ্ছদেশের প্রতি গভীর সমবেদনা।

০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১১:৫২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: কয়েকদিন পর আপনি আত্মহত্যা করার প্রস্তুতি নিবেন। তখন আশা করবো আল্লাহ যেন আপনার প্রতি করুনা করে কিছুটা বোধশক্তি দেয়।

২৬| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ৩:৫৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: এই পর্যায়ে প্রশ্ন পাঠকের প্রতি। সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যখন শুধুমাত্র ফ্রান্স,ইংল্যান্ড,রাশিয়া ও চিনের অনুমতি নিয়ে ( মাঝে মধ্যে অনুমতি ছাড়াই ) দেশে দেশে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে সেটা আপনি সমর্থন করেন???
এবং
লাদেন অথবা অন্য কোন আরব যদি নিজ এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অপরাধের অভিযোগ তুলে এর বিচার ও প্রতিকার না পেয়ে তাদের প্রতি যুদ্ধ ঘোষনা করে সেটাকে সমর্থন করেন কি না???






দুটোর একটাও করিনা। তবে প্রথম কাজটির পেছনে যে মনোভাব কাজ করে থাকে সেটিই যে দ্বিতীয়টির কারন সেটা অস্বীকার করি কিভাবে?।

০৮ ই মে, ২০১১ রাত ১০:০০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: তাহলে প্রতিবাদের ক্ষেত্রে, প্রথম কাজটির প্রতিবাদ করাই আমাদের উচিৎ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ০৮ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১১

অনিরূদ্ধ বলেছেন:
তাই লাদেন যদি অগেই মরে থাকে তবু ওকে সবার সামনে মারা দরকার হয়ে উঠলো।

সেজন্যই গতকাল মারা গেল লাদেন।


ঠিক এই কথাটাই বলে আসছি আমি।

অসাধারণ বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট। অনেক কিছু জানলাম। শেয়ার ও করলাম।

০৮ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৫৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি অবশ্য মনে করছি ওকে সেদিন আসলেই হত্যা করেছে তবুও এজন্য মুল আলোচনা পরিবর্তন হবে না। লাদেনের পুরো ব্যাপারটাই একটা মেকিং গেম।

২৮| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৩২

ত্রিশোনকু বলেছেন: তাহলে প্রতিবাদের ক্ষেত্রে, প্রথম কাজটির প্রতিবাদ করাই আমাদের উচিৎ।

-অবশ্যই।

১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রিশোনকু। আপনার বিচক্ষনতা প্রশংসনীয়।

২৯| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৫৯

মৃগয়া বলেছেন: মিডল ইষ্টের জনতাদের উসকাইয়া তাগো দেশের নিরাপদ মানুশগো মারার ঘটনাকে অন্যদিকে মোড় দিতে দশ বছরেও যারে খুইজাই পাইলনা তারে হটাত পাইয়া মাইরা লাশ সাগরে ভাসায় দিছে..... যার ছবিও দেখাইতে পারলোনা ......... জোকস অফ ড ইয়ার.. আরে লাডেন এখন ওবামার খটের তলে আচে।.. নতুন কোন ইস্যুতে হে জয়াহিরি নাম লইয়া বাইর হইব... নটুন কোন দেশের নিরাপরাদ লোকগো বোমা মাইরা উরাইয়া.। তাগো দেশে হে লুকাইয়া আছে বইলা তারা তাগো(মানবতাবাদীরা) বাহিনী লইয়া আরো মানুশ উরাইব....

১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৩২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: নতুন কোন ইস্যুতে হে জয়াহিরি নাম লইয়া বাইর হইব...


এইটাই আসল কথা +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.