নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুশীলের নাম শুনলে ঘেন্যা হয়!!

যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........

পথহারা নাবিক

পেয়েছি পথের দেখা !! শেষ জানিনা তার!!

পথহারা নাবিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুইটি জরুরী হাদিছ!

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫০







আবু হোরায়রা (রা: ) থেকে বর্ণিত।

রাসুল (সা: ) বলেছেনঃ

"যে ব্যক্তি মারামারিতে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়;

বরং শক্তিশালী হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখে।”

[বুখারী ও মুসলিম]



-----------------------------------------------------------------------



ছবি আঁকার শাস্তি



প্রানীর ছবি আঁকার শাস্তি সম্পর্কে কয়েকটি হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ-



আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব (র)...সাঈদ ইবনে আবুল হাসান (র) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রা) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, এমন সময়ে তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, হে... আবু আব্বাস! আমি এমন ব্যক্তি যে, আমার জীবিকা হস্তশিল্পে। আমি এসব ছবি তৈরি করি। ইবনে আব্বাস (রা) তাঁকে বলেন, (এ বিষয়) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি যা বলতে শুনেছি, তাই তোমাকে শোনাব। তাঁকে আমি বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কোন ছবি তৈরি করে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে শাস্তি দিবেন, যতক্ষণ না সে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে। আর তাতে সে কখনো প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না। (এ কথা শুনে) লোকটি ভীষণভাবে ভয় পেয়ে গেল এবং তার চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। এতে ইবনে আব্বাস (রা) বললেন, আক্ষেপ তোমার জন্য, তুমি যদি এ কাজ না-ই ছাড়তে পার, তবে এ গাছপালা এবং যে সকল জিনিসে প্রাণ নেই, তা তৈরি করতে পার। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (র) বলেন, সাঈদ (রা) বলেছেন আমি নযর ইবনে আনাস (রা) থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন, ইবনে আব্বাস (রা) হাদীস বর্ণনা করার সময় আমি তার কাছে ছিলাম। ইমাম বুখারী (র) আরও বলেন, সাঈদ ইবনে আবু আরুবাহ (র) একমাত্র এ হাদিসটি নযর ইবনে আনাস (র) থেকে শুনেছেন। [সহীহ বুখারী, চতুর্থ খণ্ড, হাদিস নং ২০৮৪ - ইফা]



মুহাম্মদ (র)...আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য প্রানীর ছবিযুক্ত একটি বালিশ তৈরি করেছিলাম। যেন তা একটি ছোট গদী। এরপর তিনি আমার ঘরে এসে দু'দরজার মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ আমার কি অপরাধ হয়েছে? তিনি বললেন, এ বালিশটি কেন? আমি বললাম, এ বালিশটি আপনি এর উপর ঠেস দিয়ে বসতে পারেন আমি সে জন্য তৈরি করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (হে আয়িশা) (রা) তুমি কি জান না? যে ঘরে প্রানীর ছবি থাকে, সেখানে (রহমতের) ফিরিশতা প্রবেশ করেন না? আর যে ব্যক্তি প্রানীর ছবি আঁকে তাকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে? তাকে (আল্লাহ্) বলবেন, 'তুমি যে প্রানীর ছবি বানিয়েছ, এখন তাকে প্রাণ দান কর।' [সহীহ বুখারী, পঞ্চম খণ্ড, হাদিস নং ২৯৯৭ - ইফা]



আর একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পুরুষ ও নারী উভয়েরই ক্যামেরায় ছবি তোলা থেকে বিরত থাকাই উচিৎ। আর নারীদের ক্ষেত্রে ছবির ব্যাপারে আরও অনেক অনেক বেশি সাবধান হওয়া উচিৎ। কারন তা ফিতনা ছড়ানোর জন্য যথেষ্ট। একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের ছবি যদি একজন পুরুষ দেখে তবে স্বাভাবিকভাবে তার প্রতি একটা আকর্ষণ কাজ করে আর শয়তান তো এই সুযোগ গুলোই খুজতে থাকে যাতে মানুষকে গুনাহের কাজে লিপ্ত হতে প্ররোচিত করতে পারে। আল্লাহ্‌ ভাল জানেন।



আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল যে, এই বিষয়ে নিজেরা সাবধান হোন এবং অন্যদেরও সাবধান করুন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

পুরানপাপী (শুধু চেহারা বদল) বলেছেন: আজ শুক্রবার । এখন নামাজের সময়। আর নামাজে না গিয়ে এখন হাদিস মারাচ্ছেন? ভণ্ডামির জায়গা পান না?

যান নামাজে যান

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০১

পথহারা নাবিক বলেছেন: ভাই নামায পড়ে এসে তার পর হাদিছ দিছি! দেশে থাকলে প্রতি জুম্মাবার একটা করে হাদিছ দেবার চেস্টা করি। মানুষের সম্পর্কে না জেনে মন্তব্য করা গুনাহের কাজ । আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেনো আপনাকে এইসব গুনাহ থেকে দূরে রাখেন।

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ভাই এক একটা হাদিস শেয়ার করলে কি পরিমাণ সওয়াব হয়?
এটাকে কি ডিজিটাল সওয়াব বলে? ইজমা কিয়াস অনুযায়ী ডিজিটাল তাবলীগ এবং ডিজিটাল সওয়াবের বিষয়টা ইসলামী চিন্তাবিদেরা কি বের করেছেন? একদিন হয়তো দেখাযাবে ব্লগ বা ফেসবুকের মতো অনলাইনে জামায়াতে নামাজের সিস্টেমও পয়দা হয়ে গেছে। যুগের সাথে তো তাল মিলাতে হবে । মিছা কইলাম নি?

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: @ ভণ্ড দার্শনিক হুম, ডিজিটাল নামাজ হইতেও পারে , আপনি যে দিন ডিজিটাললি খাবেন, ডিজিটাললি হাগু করবেন :) :) :)

@লেখক, পোষ্টে +++++

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

মুকুল সালাহউদ্দীন বলেছেন: "যে ব্যক্তি মারামারিতে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়;
বরং শক্তিশালী হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখে।”
[বুখারী ও মুসলিম]




আমাদের জীবনে জন্য খূবই গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস।

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মুদ্দাকির ভাইজান, এটা কোনো উত্তর হলো আপনার?
ভাই থেকে কিন্তু চুদির ভাই হয়ে যাচ্ছেন দিন দিন।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

@ পরাজিত ভণ্ড

ধরা খাইলেই, উত্তর পছন্দ হয় না???? :) :) :)

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

আহলান বলেছেন: ধন্যবাদ, আমরা এমন এক জমানায় এসে উপস্থিত হয়েছি যে সহিহ হাদিস, যদি তা আমারদর দ্বারা পালনীয় না হয়, তবে সেটাকে নিয়ে কটাক্ষ করতে পিছপা হইনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.