নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুশীলের নাম শুনলে ঘেন্যা হয়!!

যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........

পথহারা নাবিক

পেয়েছি পথের দেখা !! শেষ জানিনা তার!!

পথহারা নাবিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুম্মার নামাযের পর একটি হাদিছ!!

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪০













যায়েদ নামের এক ইয়াহুদী পাদ্রী রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে একটি অগ্রিম কেনা-বেচা করল। নির্ধারিত সময়ের ২/৩ দিন পূর্বেই সে এসে মাল পরিশোধের দাবি করল। এমনকি চাদর মুবারক টেনে নবীজীর সঙ্গে বেআদবী করল। বিকৃত চেহারায় রূঢ় কণ্ঠে নবীজীর দিকে তাকিয়ে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমি তোমাকে চিনি। তোমরা আব্দুল মুত্তালিবের বংশধর, বড় টালবাহানাকারী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হযরত উমর ফারুক (রাঃ)। নবীজীর সাথে লোকটির এ অশিষ্ট আচরণ দেখে তিনি ক্রোধান্বিত হয়ে তাকে ধমক দিলেন। কিন্তু রাসূলের (সাঃ) মুখে ছিল হাসি। তিনি উমর (রাঃ) কে বললেন, উমর! আমি ও এ ব্যক্তি তোমার থেকে অন্যরূপ আচরণ পাবার হকদার ছিলাম। দরকার তো ছিল তুমি আমাকে সত্বর তার প্রাপ্য আদায় করার পরামর্শ দিতে আর তাকে কথায় ও আচরণে নম্রতা অবলম্বনের তাগিদ দিবে। এরপর তিনি উমর (রাঃ) কে প্রাপ্য পরিশোধের নির্দেশ দেন। এবং তাকে আরো ২০ সা বেশি দিতে বলেন, যা ছিল উমর (রাঃ) কর্তৃক লোকটিকে ধমক দেওয়ার বদলা। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ সহিষ্ণু আচরণ লোকটির ইসলাম গ্রহণের কারণ হয়। যাওয়ার পথে যায়েদ উমর (রাঃ) কে বললেন, হে উমর! আমি হচ্ছি ইয়াহুদী-পন্ডিত যায়েদ ইবনে সানা। আসলে লেনদেন আমার উদ্দেশ্য ছিল না, বরং মহানবীর ক্ষমা ও সহিষ্ণুতা পরীক্ষা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। কারণ শেষ নবীর অন্যতম গুণ হবে এই যে, তাঁর ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা ক্রোধের ওপর প্রবল থাকবে, যতই রূঢ় আচরণ করা হবে তার ক্ষমা ততই বৃদ্ধি পাবে। অতএব ওমর! আমি যা চেয়েছি তা পেয়ে গেছি। এরপর তিনি নবীজী (সাঃ)-এর হাতে খালেছভাবে ঈমান আনেন এবং তাঁর অঢেল সম্পদের অর্ধেক উম্মতের জন্য দান করে দেন।



-মুসনাদে আহমদ, ৩/১৫৩, আখলাকুন্নাবী পৃ. ১২৪

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

তোমোদাচি বলেছেন: আল্লাহ্‌ আমাদের ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা দিন!

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

পথহারা নাবিক বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ......

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

সাবু ছেেল বলেছেন: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

দ্য েস্লভ বলেছেন: জাকাল্লাহ খায়রান। অতি উত্তম। আমাদের জন্যে আদর্শ এটি। আমরা কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারন করব কিন্তু ধৈর্য বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে দোয়া করা নিষেধ রয়েছে। হাদীসটি মুসলিম শরীফের হতে পারে। একজন যখন দোয়া করলেন ,হে আল্লাহ আমার ধৈর্য বাড়িয়ে দাও। তখন রসূল(সাঃ) তা শুনে বললেন, তুমি তো আল্লাহর কাছে বিপদ চাইলে। ,,,,বরং বিপদ মুক্তির দোয়া চাও।.....অর্থাৎ ইসলাম আমাদেরকে ধৈর্যধারন করার ব্যাপারে নির্দেশ দেয় এবং তা করতে হবে। কিন্তু আমরা ধৈর্য বাড়িয়ে দেওয়ার দোয়া না করে বলব, হে আল্লাহ আমাদেরকে এই বিপদ/খারাপ অবস্থা থেকে মুক্তি দাও।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: ধন্যবাদ লেখক ও দ্য েস্লভ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.