নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুশীলের নাম শুনলে ঘেন্যা হয়!!

যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........

পথহারা নাবিক

পেয়েছি পথের দেখা !! শেষ জানিনা তার!!

পথহারা নাবিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত দিন সমাজে পুরুষতন্ত্র টিকে আছে, তত দিন এই সমাজ কাউকে সমতার আর সমানাধিকারের দিকে হাত বাড়াতে দেবে : তসলিমা নাসরিন!!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯









সতীদাহ বন্ধ হয়েছে, কিন্তু নারীবিরোধী অনেক প্রথাই বেশ বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে ভারতীয় উপমহাদেশে। এ সব দূর করার কোনও উদ্যোগ তো নেওয়া হচ্ছেই না, বরং আরও ঘটা করে পালন করার ব্যবস্থা হচ্ছে, আরও জাঁকালো উৎসব হচ্ছে এ সবের।



কিছু দিন আগেই বাঙালি বিবাহিত মেয়েদের ‘সিঁদুর খেলা’ হল। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের দিন পরস্পরের মাথায় মুখে গালে কপালে চিবুকে নাকে কানে সিঁদুর মাখামাখি চলল। সিঁদুর খেলার একটিই উদ্দেশ্য, স্বামীর দীর্ঘায়ু। বিধবা আর অবিবাহিতদের জন্য সিঁদুর খেলা বারণ। বারণ, কারণ তাদের স্বামী নেই! মাথায় তাদের সিঁদুর ওঠেনি, অথবা সিঁদুর মুছে ফেলা হয়েছে।



দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিয়ে করার পর এক জনের শরীরে শাঁখা সিঁদুর পলা লোহার উপদ্রব চাপানো হয়, আর এক জনের শরীর আক্ষরিক অর্থে রয়ে যায় যেমন ছিল তেমন। কেউ কি এই প্রশ্নটি করে: যে কারণে বিবাহিত মেয়েরা শাঁখা সিঁদুর পলা লোহা পরছে, সেই একই কারণে কেন বিবাহিত পুরুষেরা শাঁখা সিঁদুর লোহা পরছে না? অথবা যে কারণে বিবাহিত পুরুষেরা শাঁখা সিঁদুর পলা লোহা পরছে না, সেই একই কারণে কেন বিবাহিত মেয়েরা ও সব পরা থেকে বিরত থাকছে না?

সাফ কথা হল, পুরুষ বিশ্বাস করে এবং নারীকেও বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সব চেয়ে মূল্যবান বস্তুটি— মানুষ প্রজাতির মধ্যে পুরুষ নামক যে প্রাণীটি আছে, তার উরুসন্ধিতে দুই বা তিন বা চার ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের যে লিঙ্গটি ঝুলে থাকে— সেটি। সেটি যাদের আছে, তাদের গায়ে কোনও উপদ্রব চাপাতে হয় না! তাদের জীবনসঙ্গী বা স্ত্রীটির সুস্থ থাকার জন্য, তার পরমায়ুর জন্য, তার ধনদৌলত লাভের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করার কোনও আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হয় না, স্ত্রীর মঙ্গলকামনায় তাদের দিনভর উপোস করতে হয় না, সিঁদুর খেলতে হয় না! পুরুষতান্ত্রিক সমাজে প্রতি দিন সকাল সন্ধে যে পুজোটি চলে, সে পুংলিঙ্গ পুজো। পুরুষেরা সমাজের ঈশ্বর, মহাশক্তিমান, মহাক্ষমতাবান, পুরুষেরা নারীর প্রভু, অভিভাবক, কর্তা, দেবতা। পুরুষের আরও ক্ষমতা, আরও প্রভাব, প্রতাপ এবং প্রাচুর্য বৃদ্ধির জন্য, পুরুষের দীর্ঘ জীবন এবং অমরত্বের জন্য, নারীদের, দুর্বলদের, দুর্ভাগাদের, দলিতদের, নির্যাতিত, নিপীড়িতদের উপোস করতে হয়, প্রার্থনা করতে হয়। পুরুষের মঙ্গলকামনায় ভাইফোঁটা, শিবরাত্রি, রাখি, শ্রাবণ সোমবার কত কিছুই সারা বছর পালন করছে নারীরা!



নারী শিক্ষিত হচ্ছে, এমনকী স্বনির্ভর হচ্ছে, স্বামীর ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা অনেকের প্রায় নেই বললেই চলে, স্বামী ছাড়া চলবে না— এমন কোনও ব্যাপারই নেই, এমন নারীও পুরুষতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থাগুলো দিব্যি মাথা পেতে মেনে নিচ্ছে। কেউ প্রশ্ন করছে না, বিয়ের পর কেন নারীর পদবি পালটাতে হবে, পুরুষের নয়? কেন নারীকে শ্বশুরবাড়িতে বাস করতে হবে, কেন স্ত্রীর মতো পুরুষের কর্তব্য নয় শ্বশুরবাড়িতে বাস করা আর শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করা? পণের নিয়ম যদি মানতেই হয়, শুধু স্ত্রী কেন স্বামীকে দেয়, স্বামী কেন স্ত্রীকে পণ দেয় না?



ভারতবর্ষের বেশ কিছু রাজ্যের বিবাহিত মেয়েরা ‘করবা চৌথ’ পালন করে। এই উৎসবটা মূলত— স্বামী দীর্ঘজীবী হোক, অনন্ত কাল বেঁচে থাকুক, স্বামীর অসুখ-বিসুখ না হোক, দুর্ঘটনা না ঘটুক, আমাদের যা-ইচ্ছে-তাই হোক, আমাদের সুস্থতা গোল্লায় যাক, আমাদের দীর্ঘ জীবনের বারোটা বাজুক-এর উৎসব। সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রোদয় অবধি স্বামীর সুস্বাস্থ্যের জন্য উপোস। চাঁদ দেখবে তবে জলস্পর্শ করবে লক্ষ লক্ষ পতিব্রতা স্ত্রী। এটিও ওই পুংপুজো। এই সব আচার-অনুষ্ঠানের একটিই সার কথা: সংসারে স্ত্রীর নয়, স্বামীর জীবনটি মূল্যবান।



লক্ষ করার, দরিদ্র অশিক্ষিত পরনির্ভর মেয়েরা নয়, পুরুষতান্ত্রিক আচার-অনুষ্ঠানগুলো বেশির ভাগই পালন করছে উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণির শিক্ষিত স্বনির্ভর মেয়েরা। এই মেয়েরাই কিন্তু আজকাল ধর্ষণ এবং অন্যান্য নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে খুব সরব, কিন্তু সিঁদুর খেলা বা করবা চৌথ পালন করছে রীতিমত উৎসব করে। ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, করবা চৌথ, সিঁদুর খেলা— সবই পুরুষতন্ত্রের নারীবিরোধী উপসর্গ।



নারীবিরোধী এ সব অনুষ্ঠান নিয়ে তুমুল বাণিজ্যও হচ্ছে। করবা চৌথ-এর চোখধাঁধানো উৎসব এখন সিনেমায়, থিয়েটারে, টিভি সিরিয়ালে। বিজ্ঞাপনে পুরুষতান্ত্রিক আচারাদিতে অলংকৃত লাস্যময়ী নারীদের ঝলমলে দৃশ্য। যে মেয়েরা দূর থেকে দেখে এ সব, দুঃখ-দুর্দশার জীবন যাদের, তাদের ইচ্ছে হয় ওই সাজগোজ করা ফর্সা ফর্সা সুখী সুখী মেয়েদের মতো উৎসব করতে। তারাও এক সময় ফাঁদে পা দেয়, বাণিজ্যের ফাঁদে। শাড়ি গয়না কেনার ফাঁদ। এমনিতেই এই সমাজ মেয়েদের পণ্য বলে ভাবে। পুংপুজোর আচারে অংশ নিয়ে মেয়েরা নিজেদের আরও বড় পণ্য করে তোলে। এ সব করে যত বেশি পুরুষকে মূল্যবান করে মেয়েরা, তত বেশি নিজেদের মূল্যহীন করে। পুরুষতান্ত্রিক অসভ্যতাকে, অসাম্যকে, লিঙ্গবৈষম্যকে, নারী-বিদ্বেষকে, নোংরামোকে কেবল সহনীয় নয়, আদরণীয় আর আকর্ষণীয় করার পাঁয়তারা চলছে চার দিকে। যে সব রাজ্যে করবা চৌথ পালন করা হত না, এখন সে সব রাজ্যেও পালন হয়। পুরুষতন্ত্র বড্ড সংক্রামক।



পুং-রা যে সমাজে প্রতি দিন বধূহত্যা করছে, বধূনির্যাতন করছে, ধর্ষণ করছে, গণধর্ষণ করছে, কন্যাশিশু হত্যা করছে, সেই সমাজে আড়ম্বর করে মেয়েরাই পুংপুজো করছে। এমন চলতে থাকলে, পুং-দের বোধোদয় কি আদৌ ঘটবে কোনও দিন? পুং-আধিপত্যবাদের কৌশল শিখে বেড়ে ওঠা পুরুষেরা কি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারবে যা শিখেছে সব?



এই সমাজে সমানাধিকারের কোনও চর্চাই নেই নারী পুরুষের সম্পর্কে। পুরুষ মনে করে তার পুরুষত্ব খানিকটা খসে গেলে বুঝি অপমান হবে তার, নারী মনে করছে তার নারীত্ব কিছুটা কমে গেলে রক্ষে নেই। এক-এক জন প্রাণপণে বজায় রাখতে চায় পুরুষ আর নারীর জন্য সমাজের বানানো চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। যদি ধরেই নিই পুরুষের ভেতর তথাকথিত এই পুরুষত্ব আর নারীর ভেতর তথাকথিত এই নারীত্ব আছে, তবে নিশ্চয় করে বলতে পারি, পুরুষের ভেতর যা আছে তার একশো ভাগই পুরুষত্ব, নারীর ভেতর যা আছে তার একশো ভাগই নারীত্ব— এ সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সমাজ চোখ রাঙায় বলে পুরুষ প্রকাশ করতে চাইছে না তার ভেতরে যেটুকু নারীত্ব আছে সেটুকু। নারীকে প্রকাশ করতে বাধা দেওয়া হয় তার ভেতরের পুরুষত্বটুকু। যদি সমাজের বাধা না থাকত, যদি সবাই সত্যি সত্যি খুলে মেলে ধরতে পারত নিজেদের সত্যিকার চরিত্র, তা হলে সমতা আসত সম্পর্কে। পুরুষও কাঁদত, শিশু পালন করত, ভালবাসার মানুষকে রেঁধে খাওয়াত। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজ যে মাথার ওপর বসে খবরদারি করছে। পুরুষকে শুধু নৃশংসতা করে যেতে হবে, নারীকে শুধু সর্বংসহার মতো সয়ে যেতে হবে। যতই যা হোক, নারী কিন্তু প্রমাণ করেছে পুরুষ যা পারে নারীও তা পারে। নারী পুরুষের মতো পাহাড়ের চুড়োয় উঠতে পারে, সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে বাণিজ্য করতে যেতে পারে। পুরুষ কিন্তু আজও প্রমাণ করতে পারছে না নারী যা পারে, তা পুরুষও পারে। ঘরদোর সাফ করা, ঘরের রান্নাবান্না করা, শিশুর লালন পালন— এ সব এখনও করছে না পুরুষেরা। যত দিন না করবে, তত দিন এ কথা বলার উপায় নেই যে সংসারে বৈষম্য নেই।



যত দিন সমাজে পুরুষতন্ত্র টিকে আছে, তত দিন এই সমাজ কাউকে সমতার আর সমানাধিকারের দিকে হাত বাড়াতে দেবে না। একের অধীনতা ও অন্যের আধিপত্য ঘোচাতে হলে যেমন আধিপত্যতন্ত্রটাকেই নির্মূল করতে হয়, নারী ও পুরুষের বৈষম্য ঘোচাতে হলে পুরুষতন্ত্রকেও নির্মূল করা প্রয়োজন। ‘পণপ্রথা বন্ধ করো’, ‘ধর্ষণ বন্ধ করো’ বলে সারা বছর চেঁচালেও এ সব উপসর্গ কখনও উবে যাবে না। যত দিন রোগটা আছে, উপসর্গগুলো ঘাপটি মেরে থেকেই যাবে। রোগটা সারাতে হবে।



(আনন্দবাজার পত্রিকা সংগৃহীত)

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এখন কি বুঝছেন লিখিকার লিখা থেকে, লিখিকা কি এই প্রশ্নটি মাথায় আনতে পারেননি তাদের বাহু এত দুর্বলকেন?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

পথহারা নাবিক বলেছেন: হুম!

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইবার দাদাদের দেশ থেকেও লৌড়ানি খাওয়ার বন্দোবস্ত পাকা হইল ;)

চেতনা উন্মাদনার স্তরে পৌছলেই কেবল এমন ভাবা সম্ভব।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

পথহারা নাবিক বলেছেন: হুম!!

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ফেরারী৭৬৫ বলেছেন: amr ta 6.5 .................... cholbe toslima diiiii :P

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

পথহারা নাবিক বলেছেন: ধুর মিয়া বাজে কথা বলেন কেন!!

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

অয়োময় বলেছেন: তাসলিমার হেডিংটা দেখে ঢুকলাম.....................এই হেডিংটা তাসলিমার বেলায় হইলে কি হইত!!.......হা হা হা.

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

পথহারা নাবিক বলেছেন: অসাধারণ!!

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ছি: ছি: ছি: অশ্লীল। X( X( X( X(( X(( X(( X(( :-& :-&

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

পথহারা নাবিক বলেছেন: :P :P

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১১

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: Hoitoba lekha olongkorone oslilota asche, kintu kotha gulo ki puropuri ajoktik? Sobai ektu antorik vabe chinta korun!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

পথহারা নাবিক বলেছেন: হুম !!

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

প্রকৌশলী রিয়াদ হাসান চৌধুরী বলেছেন: ফালতু একজন মহিলা .... X( X( X(

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

পথহারা নাবিক বলেছেন: সহমত কিন্তু লেখা পড়তে সবাই দৌড়াইয়া যায়!!

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: উনি অন্তত এই প্রবন্ধে ভুল কিছু তো বলেন নাই ।তবে নারীবাদী মানেই পুরুষ বিদ্বেষ ...এটা ঠিক মানতে পারি না ।হেডিং টা চেঞ্জ করে দিলে ভালো হত ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

পথহারা নাবিক বলেছেন: ওটা আমি দেই নি! তাই পরিবরতন করার দরকার নেই!!

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭

অ্যানোনিমাস বলেছেন: কেম্নে পারে :/

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

পথহারা নাবিক বলেছেন: :P :P

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

রাখালছেলে বলেছেন: উনি আবার ক্ষেপলেন কেন...?
উনাকে কেউ ক্ষেপাবেন না । তাহলে কিন্তু উনি সবার হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিবেন ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

পথহারা নাবিক বলেছেন: হুম

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: সাইজ কোন ম্যাটার না, কোয়ালিটিই আসল।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩২

পথহারা নাবিক বলেছেন: =p~ =p~ =p~

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

saamok বলেছেন: যৌনতার প্রতি আকৃষ্ট হয়না এমন কোন প্রাণী এই প্রাণী জগতে নেই। যেীনতার মোহে আকৃষ্ট হয়ে পুরুষ যতটা দ্রুত সারা দেয়, মেয়েরা ততটা দ্রুত দেয়না। আল্লাহ্ প্রদত্ত পুরুষ ও মেয়েদের ভিন্ন-ভিন্ন স্বত্তা আছে। যেমন একজন পুরুষ চাইলেই গর্ভে ডিম্বক নিষিক্ত করে সন্তান ধারন বা সন্তানকে স্তন্য দান করতে পারবেন না বা একজন মেয়ে এক্সএক্স শুক্রাণু উতপাদন করতে পারবে না। জন্মগত ভাবেই পুরুষ কর্তৃত্তশীল, নির্ভিক। বুক চিতিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি দাড়াবে।

চতুষ্পদ প্রাণীদের ধরেই জবাই করে দেয়া হয়। কেটে টুকরো টুকরো করে আয়েশ করে ভক্ষন করা হয়। তাদের জন্য তো তসলিমা নাসরিন দু'কলম লিখেছেন এমন কখনও শুনি নি।

না, ভুল বুঝবেন না। আমি মোটেই মেয়েদেরকে চতুষ্পদ প্রাণীদের সাথে তুলনা করছি না। আমি উল্লেখ করতে চাচ্ছি যে, সৃষ্টিকর্তা প্রাণী জগতকে পার্ট-পার্ট করে তৈরী করেছেন, যেখানে প্রত্যেকটা পার্টের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। সৃষ্টির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা পার্ট তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং যাবে। এতে কারও সমস্যা হলে সে তার সমান অংশে দু/চার ইঞ্চি কারও সহায়তা ব্যতীত নিজেই বের করে নিক।

একজন স্ত্রী আমার মা, একজন আমার বোন, একজন আমার স্ত্রী। সকলেই আমার মঙ্গলকামী। এদের প্রত্যেকেরই এই আমার জন্য মঙ্গল কামনা প্রাকাশের ভঙ্গি ভিন্ন-ভিন্ন হবে। তারা প্রত্যেকেই সামাজের অংশ হওয়ায় সামাজিক দায়িত্ব পালনের প্রকাশ ভঙ্গি হবে ভিন্ন এবং এই প্রকাশ হবে গর্বের। তা হতে পারে শাখা-চুরি বা অন্য কিছু।

সুশিক্ষা, দারিদ্রতা ইত্যাদির জন্য সামাজিক বৈষম্য আছে সেটা আমরা জানি। সামাজিক বৈষম্য প্রকাশে তসলিমা নাসরিন জতটা অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে যৌন সুরসুরি দিয়েছেন বা দিয়ে যাচ্ছেন তার বিপরীতে এই পর্যন্ত কতজন বৈষম্যের শিকার অসহায়ের পাশে দাড়িয়ে তাদের সহযোগিতা দিয়েছেন তাকি বলতে পারেন?

উত্তরটা যাদি না হয় তা হলে এটা বলা যেতে পারে, সব কিছুর পেছনেই রয়েছে সস্তা জনপ্রিয়তার পুজি আর অর্থের লালসা।

ধন্যবাদ

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

পথহারা নাবিক বলেছেন: হুম!!

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: দু:খ লাগে এই মহিলার জন্য। সারাটা জীবন চেষ্টা করে সর্বোচ্চ ৪ ইঞ্চি????

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

পথহারা নাবিক বলেছেন: :-* :-*

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

বৈকুন্ঠ বলেছেন: আমগো আষ্ট ইন্চি ফালায়া থুয়া দুই তিন চাইর ইন্চির দেশে ছুটলো। এখন মনে হয় হতাশায় উনার মগজ আউলায়া গেসেগা

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২

পথহারা নাবিক বলেছেন: =p~ =p~

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: সবাই এত ভুল বুঝছেন কেন? উনি চার ইন্চির কথা বলেছেন ঝুলন্ত অবস্থায় মানে ঘুমন্ত অবস্থায় কারণ যখন তা ৬ ইন্চির চেয়ে বেশী হয় তখন তা দাড়ানো অবস্থায় থাকে। সুতরাং এখানে ভুল বুঝার কোন অবকাশই নেই

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

পথহারা নাবিক বলেছেন: আপনি মহা জ্ঞানী!!

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

!!!!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

পথহারা নাবিক বলেছেন: ??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.