নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩০ লক্ষ স্বজন হত্যার বিচার চাই

আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব

নিঝুম মজুমদার

নিঝুম মজুমদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাঈদীর ফাঁসীর রায় নিয়ে মিথ্যাচার এবং সেগুলোর উত্তর

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪২





রাজাকার সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছিলো সেটির মধ্যে ৬,৭,৮,১০,১১,১৪,১৬ এবং ১৯ নাম্বার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারকেরা ৮ এবং ১০ -এ বর্ণিত অভিযোগের ব্যাপকতা অন্য প্রমাণিত অভিযোগের তুলনায় অনেক বেশী মনে করেছেন এবং এই দুটি ক্ষেত্রেই সাঈদীর মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন। অন্য অপরাধগুলো সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হলেও যেহেতু ৮ আর ১০ নাম্বার এর ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন তাই বাকী গুলোতে আর আলাদা করে কোনো শাস্তি দেননি।



সাঈদীর মামলার পুরো রায় এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন চাইলে।





যেই দুইটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজাকার দেইল্লা সাঈদীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে সেই অভিযোগ দুইটির একটি হচ্ছে ইব্রাহিম কুট্টির হত্যাকান্ড এবং সেইসাথে এই অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য অপরাধের সত্যতাও বের হয়ে এসেছে।

(অভিযোগ-৮ দ্রষ্টব্য)



সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে এই অভিযোগটি নিয়ে ডিফেন্স বরাবরি যুক্তি দেখিয়ে আসছে যে ১৯৭২ সালে যখন ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার প্রেক্ষিতে যে মামলা হোলো সেখানে সে মামলার বাদী ইব্রাহিমের স্ত্রী মমতাজ বেগম যে কয়জনকে আসামী করেছিলেন তার মধ্যে সাঈদীর নাম নেই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগায় যে তাহলে কি সাঈদী নির্দোষ? যেখানে ভিকটিমের স্ত্রী-ই প্রথম মামলায় সাঈদীকে আসামীর লিস্টে রাখেন নি, সেখানে এখন কেন রাখা হচ্ছে এবং কেনই বা তাকে শাস্তি দেয়া হোলো?



এখানে আসলে অনেকগুলো ব্যাপার বিবেচ্য।



প্রথমতঃ লক্ষ্য করুন, ডিফেন্স মমতাজ বেগমের করা মামলার কথা বলছেন অথচ এই কথার প্রেক্ষিতে কখনই মমতাজ বেগমকে আদালতে হাজির করাতে পারে নি? এই মমতাজ বেগমকে আদালতেই এনেই তো ডিফেন্স তাদের আর্গুমেন্টের প্রেক্ষিতে তাদের অবস্থান সত্যায়িত বলে প্রমাণ করতে পারত, কিন্তু সেটি না করেই তারা কেন শুধু ডকুমেন্টের উপর আর্গুমেন্ট করছে?





দ্বিতীয়তঃ মনে রাখতে হবে ইব্রাহিম কুট্টি মানিক পসারীর বাড়ীতে একজন কাজের মানুষ ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর যুদ্ধপরবর্তী মানসিক অবস্থাও আমাদের বুঝতে হবে। স্বামীকে হত্যা করেছে পাক হানাদার আর রাজাকাররা মিলে। সে সময় তিনি মামলা করেছেন, কে তাকে সাহায্য করেছিলো, ওই সময়ে কে তাকে তথ্য দিয়েছিলো, তিনি আদৌ কাউকে দেখেছেন কিনা, অপরাধীদের ব্যাপারে এসব সকল কিছুই কিন্তু এখানে খতিয়ে দেখতে হবে। সবচাইতে স্ট্রাইকিং পয়েন্ট হচ্ছে ডিফেন্সের এই এই বক্তব্যের ও প্রদর্শিত সাক্ষ্যের প্রেক্ষিতে ডিফেন্স মমতাজ বেগমকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করতে পারেনি। প্রশ্নটা আসতেই পারে, "কেন পারেনি?", আবার নীচে উদাহরণ দিয়ে বলেছিই, এমন ভুরি ভুরি মামলার উদাহরন যেখানে মূল অপরাধীর বিরুদ্ধে শুরুতে কোনো মামলাই হয়নি, অন্য ব্যাক্তিকে ধরা হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে যে মূল অপরাধী ধরা পড়েছে।



আবার অন দা কন্ট্রারি আইন যদি বিবেচনা করি তাহলে বলতে হয় এটা একটা যুক্তি হলেও এর মানে এই দাঁড়ায় না যে, কোনো হত্যা মামলায় প্রথমবারে কারো নাম অন্তর্ভূক্ত না করাটাই শেষ কথা এবং সেখানে পরবর্তীতে আর কারো নাম আসবে না কিংবা আসলেও প্রথমবার কেন এসেছে এই যুক্তিতে একজন সাসপেক্ট পার পেয়ে যাবে। এরকম অসংখ্য মামলা পৃথিবীতে রয়েছে যেখানে শেষ পর্যন্ত যাকে অপরাধী হিসেবে পাওয়া গিয়েছে প্রথম দফায় তার নাম কেউ জানতও না। বাংলাদেশেই এমন নিদর্শন ভুরি ভুরি।

এই জাতীয় মামলার কয়েকটা উদাহরণ



1) Timothy Evans's wife and young daughter were killed in 1949. Evans was convicted of the murder of his daughter and was hanged in 1950. An official inquiry conducted 15 years later determined that the real killer of Evans's daughter had been Evans's co-tenant, serial killer John Reginald Halliday Christie. [England]



2) Andrew Mallard was convicted for the murder of jeweler Pamela Lawrence in 1994 after eight unrecorded hours of police interrogation and a brief recorded "confession" that followed. In 2005, the High Court of Australia was advised that the prosecution and/or police had withheld evidence which showed his innocence, and overturned his conviction. As such, Mallard was released from prison. A "cold case" review of the murder conducted after Mallard's release implicated one Simon Rochford as the actual offender and Mallard was exonerated. [Australia]



আবার ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টারের এমন আরেকটি কাহিনী যেখানে মূল অপরাধীকে না ধরে অন্য একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিলো এখানে দেখা যেতে পারে



ডিফেন্সের প্রদর্শিত এই তথাকথিত মামলার কাগজপত্র কি সত্য?



ডিফেন্স ১৯৭২ সালে দায়ের করা যেই মামলাটি আদালতে প্রদর্শিত করেছে আদালতে সেটি কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেটি আমাকে আসলে বলতে হয়না। মাননীয় আদালত এই সাক্ষ্যের ব্যাপারে কিছু বলেন নি বলেই আমরা রায়ে দেখতে পাই এবং সাঈদীর বিরুদ্ধেই রায় আসে। সুতরাং এই ব্যাপার থেকেই আমরা ধরে নিতে পারি যে ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী’র নাম ব্যাবহার করে এই মামলার কাগজটি আদালত যথাযথ মনে করেন নি। যেখানে সাঈদী নিজেই তার নাম ও বয়স নিয়ে জালিয়াতী করেছে সেখানে মমতাজ বেগমের এই মামলা নিয়ে জালিয়াতী যে করেনি তার গ্যারান্টি নেই। সাঈদী তার নাম ও বয়স নিয়ে যেই জালিয়াতী করেছে এবং অন্যান্য যে সকল অপরাধ করেছে তার বিবরন এই লিঙ্কে গেলে পাবেন , এছাড়াও এই লেখার শেষে আপনারা সাঈদীর পক্ষে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাক্ষ্য দিতে আসা এক সাক্ষীর সাক্ষ্য কিভাবে মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে তা জানতে পারবেন।



আবার লক্ষ্য করলে দেখতে পাই আলোচ্য অভিযোগ ৮ এর ক্ষেত্রে কিন্তু শুধুমাত্র ইব্রাহিম কুট্টিকেই যে হত্যা করা হয়েছে সেটি বলা নেই। এখানে আরো অন্যান্য অপরাধ রয়েছে। আসুন অভিযোগগুলো পড়ি-



That on 8th May, 1971 at about 3.00 p.m. under your leadership you and your accomplices accompanied with Pakistani Army raided the house of Manik Posari of village-Chitholia under Pirozpur Sadar Police Station and caught his brother Mofizuddin and one Ibrahim @ Kutti therefrom. At your instance other accomplices after pouring kerosene oil on five houses, those were burnt to ashes causing a great havoc. On the way to Army Camp, you instigated Pakistani Army who killed Ibrahim @ Kutti by gun-shot and the dead body was dumped near a bridge, then Mofiz was taken to army Camp and was tortured. Thereafter, you and others set fire on the houses of Hindu community at Parerhat Bandar causing huge devastations. The acts of looting goods and setting fire on dwelling houses are considered as persecution as crimes against humanity on religious ground. You directly participated in the occurrences of abduction, murder and persecution which are identified as crimes against humanity.



এখানে দেখা যাচ্ছে যে শুধু ইব্রাহিম কুট্টিকেই শুধু হত্যায় সহযোগীতাই কিংবা হত্যাকান্ডের পুরো প্রক্রিয়ার একজন ব্যাক্তি হিসেবে উপস্থিতই নয় বরং এটি ছাড়াও লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতনের অভিযোগও সাঈদীর বিরদ্ধে রয়েছে



এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রসিকিউশনের সাক্ষী ছিলেন মোট নয়জন। সাক্ষীরা হলেন-



২য় সাক্ষীঃ রুহুল আলম নবীন



৪র্থ সাক্ষীঃ সুলতান আহমেদ হাওলাদার



৬ষ্ঠ সাক্ষীঃ মানিক পসারী



৭ম সাক্ষীঃ মফিজুদ্দিন পসারী



৮ম সাক্ষীঃ মোহাম্মদ মোস্তফা হাওলাদার



৯ম সাক্ষীঃ মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন



১০ম সাক্ষীঃ বাসুদেব মিস্ত্রী



১১তম সাক্ষীঃ আবদুল জলিল শেখ



১২ তম সাক্ষীঃ আলহাজ্ব এ কে এম এ আওয়াল ওরফে সাইদুর রহমান(এম পি)



আপনারা যদি পুরো রায়টি পড়েন তবে মোটামুটি সব সাক্ষীর সাক্ষ্যের সামঞ্জস্যতা এবং বক্তব্য একই ধরনের দেখা যায়। যেখানে আমরা দেখতে পাই যে, সাক্ষীরা সকলেই কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সাঈদীকে শনাক্ত করেছে এবং বলেছে যে, ১৯৭১ সালের ৮ই মে তে পাকিস্তানীরা বেশ কিছু রাজাকারকে সঙ্গে করে চিথুলিয়া গ্রামে আসে (পিরোজপুর থানার অধীনে) এবং সেখানে তারা মানিক পসারীর ( ৬ষ্ঠ সাক্ষী) বাড়ী যায়। রাজাকার আর হানাদার বাহিনী দেখেই ইব্রাহিম কুট্টি এবং মফিজুদ্দিন পসারী (৭ম সাক্ষী) পালাবার চেষ্টা করে এবং তখন দূর্বৃত্তরা উক্ত দু’জনকে বেঁধে ফেলে। ওইদিনই তারা মানিক পসারি সহ ওই এলাকার অনেকের বাসায় লুটপাট চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে। যেসব বাসায় লুটপাট ও অগ্নসংযোগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ছিলো রইসুদ্দিন পসারী, হেলালুদ্দিন পসারী, সাইজুদ্দিন পসারী ও মানিক পসারীর বাড়ী ঘর।



এসব লুটপাট, অগ্নিসংযোগের পর পলায়নের চেষ্টার জন্য তারা ধরে নিয়ে যায় ইব্রাহিম কুট্টি এবং মফিজুদ্দিন পসারীকে। হাত বাঁধা অবস্থায় রাজাকার ক্যাম্পে ধরে নেবার পথেই পাকিস্তানী হানাদার আর্মি সেখানকার স্থানীয় ব্রীজের কাছে ইব্রাহিম কুট্টিকে গুলি করে মারে এবং মফিজুদ্দিন পসারীকে রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে প্রচন্ড টর্চার করে। মফিজুদ্দিন পসারী এক সময় রাতের দিকে কোনোভাবে জান হাতে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে আসে।



এই পুরো ঘটনাটির ক্ষেত্রে ৯ জন সাক্ষীর ক্ষেত্রে দেখা যায় কেউ কেউ পুরো অগ্নিসংযোগের সময়, হত্যার সময় কিংবা লুটের সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এবং কেউ কেউ পরে ঘটনাটি শুনেছেন।



এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো কি?



ডিফেন্স পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছে যে সাঈদীর মামলায় কোনো অভিযোগের ক্ষেত্রেই নাকি কোনো প্রতক্ষ্যদর্শী ছিলো না। কতটা ভয়াবহ মিথ্যাচার করেছে ডিফেন্স পক্ষ সেটি এই মামলার রায় পড়েই অনুধাবন করা যায়। বিশেষ করে এই ৮ নাম্বার অভিযোগটির প্রেক্ষিতে যে সাক্ষী এসেছেন সেই সাক্ষ্যের বিস্তারিত পড়লে। আপনারা উপরে নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি অনেক সাক্ষীর সাথে সাথে এই মামলার ৭ম সাক্ষী মফিজুদ্দিন পসারীর নাম উল্লেখ করেছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই মফিজুদ্দিন পসারী কিন্তু ইব্রাহিম কুট্টি হত্যাকান্ডের একেবারে চাক্ষুস সাক্ষী। রাজাকার আর পাকিস্তানী হানাদারেরাই সেদিন চিথুলিয়া গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করে মানিক পসারীর বাড়ী থেকে মফিজুদ্দিন পসারী আর ইব্রাহিম কুট্টিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো এবং রাজাকার ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাবার পথেই হত্যা করে ইব্রাহিম কুট্টিকে আর তখন সেখানে মফিজুদ্দিন পসারীও ছিলেন। সুতরাং এর পরে আর আসলে কিছু বলার থাকে না। এই হত্যাকান্ডের এতবড় চাক্ষুস প্রমাণ থাকার পর বাকী সাক্ষীরা যদি মিথ্যাও প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে এই একটি সাক্ষীর সাক্ষ্যই আসলে যথেষ্ঠ।



এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করেছে পাকিস্তানী হানাদার, সাঈদী তো নিজ হাতে হত্যা করেনি, তাহলে সাঈদীকে কেন অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর সাঈদীর রায়ের ৭৬ পাতার শেষ দিকে এবং বাকিটা ৭৭ পাতার শুরুর দিকে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা রয়েছে যে-



He categorically testified that accused Delowar Hossain Sayeedi as a member of razakar Bahini caught them at crime site and ultimately Ibrahim was killed by Pak-Army, under the above circumstances, we find no reason to disbelieve evidence of P.W 7 as to murder of Kutti, destruction of houses of civilians in a large scale by setting fire which constitute crimes against Humanity.



আবার ১১৬ পৃষ্ঠাতেও আমরা দেখতে পাই বিচারকদের ভাষ্য-



The accused is found GUILTY to the offences of murder, abduction, torture and persecution which fall within the purview of crimes against Humanity as specified in section 3 (2) (a) of the I.C.T. Act of 7973 and he be convicted and sentenced under section 20(2) of the said Act.





এই মামলাতে সাইদীর পক্ষে যেসব সাক্ষী এসেছিলো তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলো আব্দুর রাজ্জাক আঁকন। আরো অনেক সাক্ষী ছিলো। কিন্তু আজকে আমি এই একটা সাক্ষীর সাক্ষ্য দিয়েই প্রমাণ করে দিব যে এই পার্টিকুলার এই অভিযোগে কিভাবে মিথ্যা কথা বলছে সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীরা।





সাঈদীর পক্ষে আসা সাক্ষীর মিথ্যাচার ধরা খেয়ে গেলোঃ





৮ নাম্বার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাঈদীর পক্ষে আসা একজন সাক্ষী হচ্ছে আবদুর রাজ্জাক আকঁন। জেরা ও জবানবন্দী থেকে জানা গেলো যে আব্দুর রাজ্জাক আঁকনের বয়স বর্তমানে হচ্ছে ৬৫ বছর। অতএব মুক্তিযুদ্ধের সময় আবদুর রাজ্জাক আকঁন সাহেবের বয়স ছিলো ২৩-২৪ বছর। ইনি মুলত সাক্ষী দিচ্ছে এই বলে যে, তার ভাগ্নে আবদুল হালিম বাবুল সাঈদীর বিরুদ্ধে যে সাক্ষী এর আগে দিয়েছিলো তা মিথ্যা। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবুলের বাসায় কোনো পাক বাহিনী যায়নি, রাজাকার যায়নি এবং আগুন দেয় নাই। জবানবন্দীতে আব্দুর রাজ্জাক বাবুলের বয়স আট কিংবা নয়, এটি বলতে পারলেও জেরার সময় বলতে পারেন নি যে বাবুলের জন্ম কবে। বাবুলের জন্মের আগে তার আরো চার ভাই মারা যায় জন্মের পরপরই। সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই বাবুলের বেঁচে থাকাটা ওই পরিবারের জন্য একটা মস্ত বড় স্বরণীয় ব্যাপার হবার কথা ছিলো। কিন্তু কোনো এক কারনে মামা আবদুর রাজ্জাক আকঁন মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবুলের বয়স কত ছিলো এটি বলতে পারলেও কবে বাবুল জন্ম নিয়েছে এটি তার মনে নেই। ভালো কথা। আসুন তার জবানবন্দী আরেকটু ভালোভাবে পর্যালোচনা করি।



আব্দুর রাজ্জাক আঁকন জবানবন্দীতে বলেছে-



“১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন আমাদের নলবুনিয়ায় একটা ঘটনাই ঘটেছে। আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি হঠাৎ একদিন শেষ রাত্রে একটা আওয়াজ হয়। আমি অনুমান করলাম এটা গুলির আওয়াজ। তারপর দেখি যে, ফজরের টাইম হয়ে গেছে। আমি আযান দিয়া নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ার পর উত্তরদিকে রাস্তার পাশে যাই কোথায় কি হয়েছে জানার জন্য। তখন গিয়ে দেখি উত্তর দিক থেকে সামনের খাল দিয়ে নৌকায় করে ইব্রাহিম কুট্টির লাশ নিয়ে পাড়ের হাটের দিকে আসতেছে। নৌকায় কালাম চৌকিদার, আইয়ুব আলী চৌকিদার এবং হাকিম মুন্সিকে দেখি। এরপর দেখি আরও কয়েকজন লোক খালের পাড় দিয়ে উত্তর দিক থেকে আসতেছে। যে সব লোক আসতেছে তাদের মধ্যে দানেশ মোল্লা, সেকেন্দার শিকদার, মোসলেম মাওলানা, রুহুল আমিন, মোমিন রাজাকার ছিল। আরও দেখি উক্ত লোকেরা আজু হাওলাদারের বৌ এবং তার ছেলে সাহেব আলীকে বেঁধে নিয়ে আসতেছে এবং পাড়েরহাটের দিকে নিয়া যাচ্ছে। তারপর দিন শুনি আজু হাওলাদারের বৌ বাড়িতে আসে এবং সাহেব আলীকে পিরোজপুরে নিয়ে পাক সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে। এটাই আমার বক্তব্য। স্বাধীনতার কিছুদিন পরে শুনেছি যে, ইব্রাহিম কুট্টির বৌ একটা মামলা করেছে”



(এইখানে পুরো জেরা পাবেন )





আবদুর রাজ্জাক আকঁন জেরাতে বলছে যে সে তার ভগ্নীপতিকে নিয়ে পালিয়ে থাকত গ্রামের বিভিন্ন বাসায় বা তাদের বাড়ীতে। কিন্তু নামাজ পড়ত আজান দিয়ে। পালানোর নমুনা শুনে আমি খানিকটা হতবাক। তার থেকেও ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে ফজরের নামাজের সময় সূর্য পুরোপুরি উঠে না। তখনও আবছা অন্ধকার থাকে সব জায়গায়। কিন্তু সাক্ষী উত্তর দিকের রাস্তায় দাঁড়িয়ে সেই অন্ধকারেই দেখে ফেললেন যে খালে করে নৌকা দিয়ে ইব্রাহিম কুট্টির লাশ নিয়ে আসছে। সাক্ষীর চোখ যেনো এক অটোমেটিক বাইনোকুলার। অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা থেকে খালের মধ্যে থাকা লাশ দেখে ফেললেন। এবং সেই লাশের সাথে তিনজন মানুষ বসে ছিলেন। একটা নৌকায় যখন তিনজন মানুষ বসে থাকেন তখন স্বাভাবিক ভাবেই তিনজন এক সাইডেই বসে থাকবেন না। এটা কমন সেন্স। আমরা যদি ধরে নেই যে নৌকার দুই দিক থেকে মানুষ বসা ছিলো তাহলে সেটি ডিঙ্গিয়েও নৌকাতে কার লাশ ছিলো এটা বোঝা দুষ্কর হবার কথা। কিন্তু এক আশ্চর্য কারনে সাক্ষী আবদুর রাজ্জাক আকঁনের তা হয়নি।



আর যেহেতু সাক্ষী গুলির শব্দ শুনেই সেখানে গিয়েছেন ও রাজাকারদের দেখেছেন, স্বাভাবিক ভাবেই তিনি ভয়ে খুব সামনে যাবেন না ঘটনা দেখতে। দূর থেকে লুকিয়েই দেখবেন। তার ঝুঁকি আরো বেশী। কেননা তার দুলাভাই আওয়ামীলীগ করতেন বলে তিনি জেরাতে বলেছেন। এসব দিক বিবেচনা করে যা বোঝা যাচ্ছে তা হোলো সাক্ষী দূর থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খালে থাকা নৌকা এই অন্ধকারে দেখে এবং নৌকার তিনজন মানুষকে ডিঙিয়ে লাশ যে ইব্রাহিম কুট্টির তা দেখে ফেলেছেন। চমৎকার!!!



আবার লক্ষ্য করুন- সাক্ষীর গ্রাম নলবুনিয়াতে কোনো রাজাকার আসেনি বলে জেরাতে বলছেন সাক্ষী। অথচ উপরের জবানবন্দী লক্ষ্য করুন, সেখানে বলা হচ্ছে যে তিনি তিনজন রাজাকারকে দেখেছেন যে আজু হাওলাদারের বউ ও ছেলেকে বেঁধে নিয়ে যেতে পাড়ের হাটের দিকে।



আবার জেরাতে গিয়ে লক্ষ্য করুন পাঠক। সাক্ষী বাবুল বলছে যে, যুদ্ধের সময় তার ভাগ্নে মানে বাবুলের আরো দুই ভাই বাহাদুর ও মধু বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু এর পরেই মধুর বয়স জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন মধুর বয়স ৩৫ বছর। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ৪১ বছর আগে। মধুর বয়স বর্তমানে ৩৫ বছর। তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সময় মধু আর বাহাদুর কিভাবে একসাথে ছিলো? মধুতো হিসাব মতে মুক্তিযুদ্ধের ৬ বছর পরে জন্মেছে।



তবে প্রসিকিউশনের আইনজীবিরা নিশ্চই ক্ষতিয়ে দেখে থাকবেন কিংবা হয়ত দেখেছেনও যে রাস্তা থেকে খালের দুরুত্ব, ফজরের সময়ে একজন মানুষ ঠিক কতটুকু দেখতে পারেন সেটার একটি চক্ষু বিশেষজ্ঞ এর মতামত, খাল দিয়ে যদি নৌকা পাড়ের হাটে যায়, তাহলে সে সময় রাস্তা কতটা স্পষ্ট দেখায় ফজরের ওয়াক্তে ইত্যাদি।



সাক্ষী জেরাতে আরো বলেছেন যে তিনি তার ভগ্নীপতিকে নিয়ে পালিয়ে থাকতেন বিভিন্ন জায়গায়। এবং পাড়ের হাটের বিভিন্ন রাজাকারের নামও বলতেন। অথচ বাজার করতে তিনি পাড়ের হাটেই যেতেন। বড়ই আজব ঘটনা। পাঠক একটা পয়েন্ট নোট করে রাখবেন যে সাক্ষীকে ঢাকায় খরচ পাতি ইত্যাদি করে নিয়ে এসেছে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর শালা। সুতরাং ঘটনা কি হচ্ছে, টাকা কোত্থেকে আসছে, সাক্ষীর কথা বার্তা আপনারা দয়া করে একটু ভাবুন। আশা করি বুদ্ধিমান মানুষ আপনারা। বুঝতে পারবেন

একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী আব্দুর রাজ্জাক আঁকনের জবানবন্দী ও জেরার এই অসামঞ্জস্যগুলো আমার চোখ ধরা পড়লো। সাঈদীর উকিল, ছেলে, শালারা মিথ্যে সাক্ষী নিয়ে এসে জবানবন্দী দিচ্ছে এটা খন পানির মত পরিষ্কার। মিথ্যে সাক্ষী দেবার জন্য আমাদের প্রচলিত আইনেই ব্যাবস্থা নেবার কথা বলা হয়েছে। এরা এতই ভয়ংকর যে মামাকে টাকা দিয়ে কিনে সাক্ষী দেয়াচ্ছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে।



শেষ কথাঃ



পুরো লেখাটি পড়বার পর একজন পাঠকের অবশ্যই একটা নিজস্ব মন্তব্য ও বক্তব্য থাকতে পারে। মতামত, পালটা মতামত থাকবেই। তবে আমার নিজস্ব বিশ্লেষন ও নানাবিধ কাগজপত্র, সাক্ষী ইত্যাদি বিবেচনা করে এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় যে দেলু রাজাকার একজন রাজাকার, ধর্ষক, গণহত্যাকারী, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে একজন এক্সপার্ট অপরাধী। মামলায় উপস্থাপিত সাক্ষ্য, আসা সাক্ষী সব কিছু ভালো করে পর্যবেক্ষন করে এই কথাটি খুব সহজেই বলা যায় যে উক্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সাঈদী সম্পূর্ণ ভাবে একজন দোষী ব্যাক্তি এবং ইব্রাহিম কুট্টিকে তার নির্দেশে ও পরিকল্পনাতেই হত্যা করা হয়েছে। সেই সাথে আরো বলা যায় যে পার্টিকুলারলি এই অভিযোগের ক্ষেত্রে বর্ণিত যে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটিও সম্পূর্ণরূপে সত্য।



বিচারপতিরা তাঁদের রায়েই বলেন-





মন্তব্য ২০২ টি রেটিং +৪৯/-০

মন্তব্য (২০২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: রাজাকারদের ব্যাপারে আমরা কত সচেতন!!!! এই না হলে বাঙ্গালী??

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: এমন সচেতনতাই কি স্বাভাবিক নয়? আপনার কথায় এক ধরনের ক্ষেদের গন্ধ পাই।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: যতো রাজাকার আছে এই ধরণীতে সবাইকে একত্রে প্রকাশ্যে ফাঁসীর কাষ্টে ঝুলিয়ে মারা হোক। সাঈদী এক কেন দল মত নির্বিশেষে সকল ব্যক্তিকে চিরুণী অপারেশনের মাধ্যমে জনসম্মুখে এনে তাদের বিচার দাবী করি। তবে কেউ যেন রাজনীতির নোংরা খেলায় জড়িয়ে শুধু জামাত শিবিরের রাজাকারদের প্রতিই ইঙ্গিত বহন না করে। নিজের দলের রাজাকারদের নামও যেন অবলীলায় জনসম্মুখে প্রকাশ করতে কেউ দ্বিধা না করে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়নতা আমাদের বিভ্রান্তিতে ফেলবে। সাঈদী যদি সত্যিই অপরাধী হয় আমি তাকে প্রকাশ্যে ঝুলতে দেখতে চাই এবং আল্লাহ যেন তাকে পরকালে চরম ভাবে লঞ্চিত করেন। রাজাকারা নিপাত যাক।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: "সাঈদী যদি সত্যিই অপরাধী হয়"- আপনার এই কথায় আমার আপত্তি আছে। সাঈদীর অপরাধ এখন কোর্টে প্রমাণিত। সুতরাং যদি শব্দটা দয়া করে লাগাবেন না।

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১২

চলতি নিয়ম বলেছেন: ধন্যবাদ নিঝুম ভাই

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৩

দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: পড়লাম।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

জেবিন বোস্টন বলেছেন: দ্রুত ফাসি কার্যকর করা হোক।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

কাজল কািন্ত কর বলেছেন: বানানো সাক্ষী নিয়ে এসে এই ট্রাইবুনালকে দীর্ঘায়িত করবার ও বিচার পন্ড করবার দুঃসাহস কোত্থেকে পাচ্ছে এই রাজাকারের ছানা পোনারা? এরা এতই ভয়ংকর যে মামাকে টাকা দিয়ে কিনে সাক্ষী দেয়াচ্ছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

একদিকে রাজাকারের ফাঁসি আর অন্য দিকে বংশবৃদ্ধি,কোনদিকে যে যাই ;)

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: শোনেন এই রেকর্ড বাজতে বাজতে কান ঝালাপালা। যদি শেখ হাসিনার বেয়াই রাজাকার হয় তাহলে কি তার বিচার হবে না? অবশ্যই হবে এবং হতেই হবে। ট্রাইবুনালে মামলা করছেন না কেন? বি এন পি এতবছর ক্ষমতায় ছিলো, কেন মামলা করলো না?

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

মাবরুকা তোয়াহা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং একটা অনুরোধঃ এই লিখাটার কি এ্কটা ইংরেজি ভার্সন করা যায়? মিথ্যার বিস্ৃতি তো এখন াঙলা ছাড়িয়ে আরও বহুদুর চলে গেছে।

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

কান্টি টুটুল বলেছেন:

"যদি শেখ হাসিনার বেয়াই রাজাকার হয়"- আপনার এই কথাটিতে ও আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে :)

" আমার বিয়াই রাজাকার হলেও যুদ্ধপরাধী না" এটি যখন হাসিনা নিজেই স্বীকার করেন তখন সেটিতে সন্দেহ পোষন করা আপনার জন্য অনেকটা ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড হয়ে দাঁড়ায় না। অবশ্য হাসিনার ষ্ট্যান্ডার্ড নিয়েও জনমনে প্রচুর আপত্তি আছে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: যদি বলেছি এই কারনে যে তার বিরুদ্ধে এখনো মামলা হয়নি এবং প্রিজাম্পশ্ন অফ ইনোসেন্স প্রিন্সিপাল এপ্লাই করছি সে কারনে। আর আমার জানামতে শেখ হাসিনার বেয়াইয়ের বাপ রাজাকার ছিলো। তবে হাসিনার বেয়াই রাজাকার প্রমাণিত হলে কিংবা নুন্যতম তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ হলেও দেখবেন কিভাবে লিখি এর বিরুদ্ধে। বাট এভিডেন্স ছাড়া কি লিখব বা কি বলব বলেন। আপনি পারলে একটু বলেন না যে উনি ৭১ সালে কি কি কর্মকান্ড করেছেন। আমি ফেসবুকে শেয়ার দিব। এই লেখাটাও একটু দেইখেন পারলে। http://www.amarblog.com/iftheker/posts/94548

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

এক সময় টিভিতে ফিলিপ্‌স রেডিওর অ্যাড হত ......

"জিনিস হাল্কা হইলেই মন্দ হয় না" - আপনার কথায় এখন মনে হচ্ছে মানুষ রাজাকার হলেও বেয়াই হিসেবে একেবারে ফ্যালনা হয়ে যায় না,চমৎকার আওয়ামী দর্শন ! ভাল।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনি আমার আওয়ামী দর্শন গলায় চাপ দিয়ে বের করে নিচ্ছেন। এটা আপনার বিবেচনা। আমি কি তা আমি জানি। আমার বাপ রাজাকার হলেও ছাড়াছাড়ি নাই। সেখানে আওয়ামী দর্শন বহুত দূর। দয়া করে পোস্ট নিয়ে কথা বলেন, টপিকে থাকেন।

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

ফোন বলেছেন: এই পোষ্টটা দেলু রাজাকারকে নিয়ে, যারা পোষ্টের ফোকাস ঘোরানোর চেষ্টা করছেন শেখ হাসিনার বেয়াইকে নিয়ে এসে তারা বিএনপির এ্যানিকে সাহায্য করুন-

ফরিদপুরে এ্যানির বিরুদ্ধে ফের মামলা, সমন জারি

"গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে শহিদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি তার বক্তৃতায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যা দিয়ে তার গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন। বক্তব্যটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে প্রচার হওয়ায় মন্ত্রীসহ তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ীসহ আপামর জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরপর মন্ত্রী ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি পূরণ চেয়ে এ্যানিকে উকিল নোটিশ পাঠান। "

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমি এই লিঙ্কটাই খুঁজছিলাম। ধন্যবাদ

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: বর্তমানের ট্রাইবুনাল যে আন্তর্জাতিক মানের নয় সেকথা গোটা দেশ জানে। সবকিছু ম্যানুপুলেটেড। আমরা নিরপেক্ষ ট্রাইবুনাল চাই। সরকার চাইলে জজ মিয়া নাটক সাজাতে পারে আবার চাইলে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বানাতে পারে। এটা রাজনীতির ঘৃণতম খেলা। বিরোধীদলের নামে মামলা দিয়ে দেখুন, যদি ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে সকল আসামী ছাড়া পেয়ে যাবে এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যাদের দোষী সাব্যাস্ত করে জেলে পুরেছিল তারা কিভাবে রেহাই পেল? হয়তো বলবেন তারা ষড়যন্ত্রের স্বীকার ছিল। কিন্তু আসলেই কি তাই? ধরুন তারেক কোকো অপরাধ করেছে, তাদের নামে মামলা আছে। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে আপনি কি মনে করনে তারা জেলে যাবে? আবার জামাতের যেসকল কর্মী জেলে আছে তারা কি জেলে থাকবে? এই সাঈদীর ফাঁসি যদি না হয় আর বিএনপি যদি ক্ষমতায় যায় আপনিকি মনে করেন এই রায় বহাল থাকবে? আপনি যে প্রমান দাখিল করেছেন এখানে আপনিকি মনে করেন তারা অনুরূপ নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য কোন ডকুমেন্ট হাজীর করতে পারবে না?

আমি ৭১ এ জন্মাইনি ৭৫ ও দেখিনি। তবে নিজের কাছে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবকে যারা হত্যা করেছিল তারা সকলেই ছিল মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় বীর বিক্রম বা বীর উত্তম। এতো বড় মহান নেতাকে কেন তারা কুকুরের মতো গুলি করে মারল? কি হয়েছিল তখন? আমি বুঝি না জিয়াউর রহমানকেও কেন হত্যা করা হলো? তার বিচার কেন আজঅব্দি চাওয়া হয় না? কি ছিল তাদের আদর্শ যে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু বরণ করতে হলো? আবার জামাতকে কেন এই দেশের মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হলো? কেন তাদের সংসদে নেওয়া হলো? আবার এখন ৪২ বছর পরেই বা কেন তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করা হলো? মনের মাঝে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। কথা বলতে গেলেই কারো না কারো স্বার্থে আঘাত লাগে। পক্ষে গেলে বাহাবা বলে আর বিপক্ষে গেলে কটুক্তি ঝাড়ে। এইকি আমাদের চরিত্র হওয়া উচিত? আর কতদিন আমরা বলির পাঠা হয়ে থাকব?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আসলে আমরা যতদিন পাঁঠার মত চিন্তা করব, ততদিন বলির পাঁঠা হয়ে থাকব :(

১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০১

এম.ডি জামান বলেছেন: পিরোজপুরে রাজাকারের কমান্ডার কে ছিল? শুধু মাত্র কি এক সাইদী পাক সেনাদের সহযোগিতা করেছে আর কি কেউ করেনি। যদি করে থাকে তবে তাদের বিচার হচ্ছেনা কেন? বর্তমান মানবতা বিরোধী অপরাধের যে বিচার হচ্ছে তা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হচ্ছে তাই বর্তমার রায় প্রশ্নবিদ্ধ। এই ইস্যু কখনো শেষ হবেনা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: তাহলে আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে সাঈদী অনেক রাজাকারদের মধ্যে একজন ছিলো? যদি তাই হয় তবে তার বিচার হয়েছে যতটুকু অপরাধ করেছে সেই পরিমাপেই এবং এটাতে আপত্তি থাকার কথা না আপনার। অন্যান্য যারা অপরাধের সাথে ঐ একই সময়ে একই যায়গায় জড়িত ছিলো তাদের বিচারের আওতায় না আনতে পারাটা অবশ্যই ব্যার্থতা কিন্তু জড়িত একজনের বিচার হওয়াটা কিভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত তা একটু বলে গেলে ভালো হয়।

১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০১

দরিদ্র তারা বলেছেন: না ভাই ছাগুদের আরো বিশাল প্রমান লাগবে, তাদের সামনাসামনি দেখাতে হবে কেমন করে করছে, নাইলে যে "সালা সাব জুট হে জুট হে"
ধন্যবাদ আপনাকে...

১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১০

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: সোজা প্রিয়তে ।

১৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

এম.ডি জামান বলেছেন: আমার স্বীকার কিংবা অস্বীকার করাতে কোন কিছু হবেনা। বিচার হওয়া উচিত যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়া। কিন্তু কাদের মোল্লার রায়ের পর অনেকেই বলা শুরু করল যে জামাতের সাথে সরকার আপোষ করেছে তাই মৃত্যুদন্ড না হয়ে ফাঁসি হয়েছে। তার মানে দাড়াল সরকার চাইলে রায়কে প্রভাবিত করতে পারে। সরকার আপোষ করলে কম শাস্তি বা মুক্তি আর সরকার নাকোশ হলে ফাঁসি এই সমিকরন যদি কেউ মিলাতে চায় তাহলে কি ভুল হবে?
আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যাপারে এটা বলা যায় যেহেতু সাইদী এখন জামাতের বড় নেতা তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসাবে জামাতকে ঘায়েল করতে সাইদীর বিচার করা হয়েছে কিন্তু ঐ এলাকার রাজাকারের কমান্ডারসহ অন্য অপরাধীদের বিচার করা হয়নি যেহেতু তারা আওয়ামিলীগের জন্য কোন হুমকী নয়। তার মানে কি দাড়াল যুদ্ধাপরাধীর বিচার (যদিও তাত্ত্বিকভাবে এটা যুদ্ধাপরাধীর বিচার নয়) করা মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। বরং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দূর্বল করাই এর মূল উদ্দেশ্য প্রমানিত।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনি আসলে মূল যায়গাতেই গুলিয়ে ফেলছেন। বিচার আওয়ামীলীগ করছে না, বিচার করছে ট্রাইবুনাল। এই ট্রাইবুনাল স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। সুতরাং আপনার হাইপোথিসিসের সাথে আমি একমত নই। ধন্যবাদ।

১৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: এম.ডি জামান@ গোটা বাঙালী জাতীযে একটা পাঠার স্বর্গে বাস করছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনীতি নিয়ে লিখতে মন চায় না। কারন এটা এতো বড় জঘন্য একটা কুটচাল যার দোলাচালে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কখন বলির পাঠা হবে আর কখন জাতীর নায়ক হবে তার ঠিক ঠিকানা নাই। তাই চুপচাপ দেখতে থাকি আর পাঠার মতো চিন্তা করতে থাকে দেখি আমাদের অবস্থা কি দাড়ায়। সবাই রাতারাতি হিরো হয়ে গেছে ৪২ বছর পর।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: লেঞ্জা ইজ আ ভেরি টাফ থিং টু হাইড, আপনি এত কষ্ট করছেন কেন ভাই? আপনার আসল পরিচয়টা দেন না। আপনার লেঞ্জা লুকানোর চেষ্টা দেখি আর হাসি...কষ্টও লাগে। পাছা আটকে মরে যাবেন তো...

১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

মাথাল বলেছেন: বেঁচে থাকুন।

১৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

বাঙ্গাল৭১ বলেছেন: রাজাকারের বদ কির্তন করে শেষ করা যাবে না। ওরা রাজাকার রাজাকরই

২০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

বসন্তের ঝরা পাতা বলেছেন: চামচামি পোষ্ট

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ছাগু

২১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

মেটাল বলেছেন: Click This Link

হাসিনার বেয়াই এর ফাঁসীর দাবি যারা করছেন , তাদের জন্য ।

২২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

বসন্তের ঝরা পাতা বলেছেন: তবে নিরেট বিনুদন আছে পোষ্টে =p~ =p~ =p~ B-) B-) ;)

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ছাগু

২৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১০

লেখোয়াড় বলেছেন:
++++++++++++++
তাদের যে রাজাকারদের জন্য এত দরদ কেন?

২৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১১

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: প্রথম দিকের চার নং প্যারায় সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে যায়.....

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আইচ্ছা

২৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১২

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: তবে নিরেট বিনুদন আছে পোষ্টে

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: হ্যা, তাতো বটেই। আপনি আছেন আর বিনোদন থাকবে না? তা কি হয়?

২৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ইব্যাহিম কু্টিকে কি একা সাঈদি হত্যা করছে নাকি.....???

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: না, সাঈদীর লগে ওর পাকি দোস্তরাও ছিলো

২৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

বিডি আইডল বলেছেন: আপনি ৭নং কমেন্টে যে অত্যন্ত নিম্নমানের উত্তর দিয়েছেন, এইটা আপনার কাছে প্রত্যাশিত ছিলো না। এই ট্রাইবুন্যালে জেনারেল পাবলিক কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে কিনা কিংবা গত আওয়ামী লীগ আমলে তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার না করে ১৯৯৬ সালে জামাতকে সাথে নিয়ে ৯৩ দিন কেন হরতাল করেছে এইটা তো আপনার এই পোষ্টের আলোচ্য বিষয় না। বিষয় হলো সরকার যুদ্ধাপরাধ/মানবতাবিরোধীদের বিচারে আদালত বসিয়েছে এবং যেইসব রাজাকারের পরিচিতি আছে তাদের সবারই সুষ্ঠ বিচার করবে এটাই সাধারণ নাগরিক হিসাবে সবার কাম্য।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমার নিম্নমানের উত্তর বুঝলেন কিন্তু তার আগে যদি দয়া করে এই ট্রাইবুনালে কিভাবে বিচার গুলো হচ্ছে তা যদি বুঝে আসতেন তবে ভালো লাগত। এই ট্রাইবুনালে বাচ্চু রাজাকার, সাঈদী, আলীম, কামারুজ্জামান, সাকার বিরুদ্ধে ভিক্টিম মামলা করেছে প্রথমে তারপর তদন্ত হয়েছে এবং এরপর প্রসিকিউশন মামলা ড্রাফট করে আদালতে ফর্মাল চার্জের জন্য উঠিয়েছে। এখন যারা যারা মনে করেন যে শেখ হাসিনার বেয়াই রাজাকার কিংবা শেখ হাসিনার বেয়াইএর মাধ্যমে যারা ক্ষতিগ্রস্থ তারা মামলা করছে না কেন? এনি মোশারফকে রাজাকার বলে এখন কেন বলছে যে, আমি এটা ফেসবুকে দেখেছি? কেন প্রমাণ বের করছে না? কেন বি এন পি এতদিন বিচারটা করেনি এই লোকের যদি তারা তাকে রাজাকার মনে করেই থাকে? মখাকে আজকে রাজাকার বলছে, তবে এই মখাই কিভাবে জিয়ার আমলে যশোরে ডিসি ছিলো? কেন বি এন পি তাদের ক্ষমতার সময় বিচার করেনি?

২৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২০

নাঈম বলেছেন: স্যালুট, কমরেড।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২১

তিক্তভাষী বলেছেন: সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়া সত্বেও ৬,৭,১১,১৪,১৬ এবং ১৯ নাম্বার অভিযোগে শাস্তি না দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত/সংক্ষুদ্ধদের ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে - এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই আপীল করে ৮ এবং ১০ -এ বর্ণিত অভিযোগ থেকে সাইদী রেহাই পেল, সেক্ষেত্রে পরিনতি কী হবে?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: এই ব্যাপারগুলো আদালত করতে পারে যেহেতু আদালত মনে করেছে যে দুইটাতে ফাঁসির হুকুম দিয়েছি সুতরাং অন্যগুলোতে না দিলেও হবে। আপনার সাথে আমিও অবশ্য একমত যে প্রত্যেক্টাতে শাস্তির আদেশ দিলেই ভালো হোতো। তবে আপীলের সময় খুব সম্ভবত এই প্রসঙ্গটা প্রসিকিউশন উঠাবে। তবে আমি নিশ্চিত না

৩০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২২

শোয়েব হাসান বলেছেন: আমার ২ টা প্রশ্ন :
১,সব কিছু যদি এভাবে প্রমানিত হয় তাহলে সাক্ষী অপহরনের দরকার হলো কেন ?

২, স্কাপি তে নিজামুল কেন বললেন সাইদির বিচারের সাথে আইনের কোন সম্পর্ক নাই

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ১) সুখরঞ্জন বালিকে লুকিয়ে আগেও রেখেছে জামাত, এখনো রেখেছে জামাত। এই বিষয়ে আমার এই লেখাটা পড়েন। লেখাটা পড়ার পরে যদি আপনার সন্দেহ থাকে তবে আমি আপনার সাথে আলাপে আগ্রহী- http://www.unmochon.com/2012/11/18/38254.html

২)স্কাইপির ব্যাপারটা এখনো রিজলভড না। তদন্ত এবং এই বিষয়ে আদালতের কার্যক্রম চলছে। শেষ হবার পরেই বোঝা যাবে ঘটনা। যেহেতু যারা কথা বলেছেন তারা এখনো কিছু বলেন নি, তাই এই ব্যাপারে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

৩১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: রায় কার্যকর হোক ...।

ছাগুরা জানে সে অপরাধী তারপরও ধানাইপানাই করবে এটা ওদের বৈশিষ্ট্য....ওরা চাদে যাকে দেখতে পায় সে কি করে অপরাধি হয়....

ছাগু কি বলল না বলল তাতে কিছু আসে যায় না....ওরা তো সামুর বিনোদন...

ধন্যবাদ লেখক ..... সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য....

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ

৩২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

সোজা সাপটা বলেছেন: ওহহহহহহহহহহহহ অনেক বড় পোস্ট .। তার পরও পড়লাম।
আমার কাছে মনে হয় গভ: রিভার্স খেলছে।
সাঈদি কোনো ইসুনা তাদের কাছে। আর গভ: সাঈদীরে ঝুলাইয়া বিপদে পড়তে চাইনা। মনে হয় বড়টার উপরেই নজর দিসে.. দেখা যাক কি থেকে কি হয়??

৩৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

শোয়েব হাসান বলেছেন: ১/সুখরঞ্জন বালিকে জামাত লুকিয়ে রাখল আর সরকার তা বের করতে পাড়লো না ?? এটা বিশ্বাস করাতে হলে প্রথমে আমার মানুষিক ভারসাম্য হীন হতে হবে ।
২/স্কাইপির ব্যাপারটা এখনো রিজলভড না, বিচারক নাসিম সাহেব টাহলে পদত্যাগ কেন করলেন ? আর আজ পর্যন্ত এটা নিয়ে কিছু বললেন না কেন ?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনি প্রথমে আমার লিঙ্কের লেখাটা পড়ে আসুন, তারপর কথা বললে সুবিধা হয়। আর বালিকে ফেব্রুয়ারী থেকে নভেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত যদি জামাতের আইনজীবি তার কাস্টডিতে রাখতে পারে সাক্ষীর পরিবারের পক্ষে জিডি থাকার পরেও, তবে এখন পারবে না কেন? সরকার বালিকে খুঁজছে। খুঁজে পেলে নিশ্চই জানবেন।

বিচারপতি নাসিম ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন, আপনি পদত্যাগ পত্রটি খুব সম্ভবত পড়েন নি

৩৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

বাঁধলেই বাঁধন বলেছেন: সাইদি .. ইসলাম ধর্মকে পুঞ্জি বানিয়ে ব্যবসা করতে করতে সাধারন মানুষের আস্থা লাভ করেন ! নাকি আল্লাহর তরফ থেকে আসা পথভষ্টদের সু-পথে আনয়নকারী ! হত্যা , ধর্ষণের অভিযোগে তার ফাঁসি কার্যকর হলে ... কি জবাব দেবে তার ওয়াজ শ্রবনকারী ভক্তকুল ? !!!

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: সাঈদীর ফোন স্ক্যান্ডালেরও কোনো জবাব দিতে পারেনা তার অন্ধ ভক্তেরা

৩৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

এম.ডি জামান বলেছেন: আপনি একা ট্রাইবুনালকে নিরেপক্ষ ও স্বাধীন মনে করলে হবেনা । ট্রাইবুনাল যে স্বাধীন সেটা সবার কাছে বোধগোম্য করতে হবে। আপনি কিন্তু আমার একটা প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পুথিঁগত ভাষায় বলেছেন বিচার আওয়ামিলীগ করছে না বিচার করেছে ট্রাইবুনাল। ভাল কথা তাহলে শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চ কি ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে? আর কাদের মোল্লার রায়কে আপোষের রায় বলা হচ্ছে কেন?
বর্তমান মামলার বাদীদের রাজনৈতিক পরিচয়তো সবাই জানে তাই না?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমি আইনজীবি মানুষ, আমি কথা বলব আইনের ভাষায়, আইনে যা লেখা আছে সেই ভিত্তিতে। কে কি ভাবলো কিংবা না ভাবলো সেই ভিত্তিতে আমাকে কথা বলতে হবে কেন? যারা এসব বলছে তারা এখানে এসে যুক্তি দিয়ে যাক। আপনি যুক্তি দিয়ে বোঝান যে এই ট্রাইবুনাল নিরপেক্ষ না, আসেন শুরু করি তাহলে।

আর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ যেই দাবী তুলেছে তাতে করে কি ট্রাইবুনাল রায় পরিবর্তন করেছে? সাধারণ মানুষ দাবী করতেই পারে। এটা তাদের অধিকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত কি বলে এইটাই বিবেচ্য। ১৯৯৪ সালে গোলামের নাগরিকত্ব মামলার সময় জনতার কথা ছিলো যে তারা গোলামকে এই দেশে দেখতে চায় না। কিন্তু আদালত কি তাদের কথা শুনেছে? আদালত ঠিকি গোলামকে নাগরিকত্ব দিয়েছে।

আর মামলার বাদী কোনো দলের হলে কি হত্যার বিচার চাইতে পারবে না? কোনো দল সমর্থন করা মানে কি, হত্যার বিচার চাওয়া থেকে বিরত থাকা?

৩৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

আমার মন বলেছেন: আমাদের সমস্যা হল আমরা আইন সর্ম্পকে সচেতন না। যদি আইন ও বিচার সঠিক ভাবে চলতো তাহলে ৪০ বছর আগেই এদের সঠিক বিচার হতে পারতো। যায় হোক, তথ্য গুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। সবার জানা ও বুঝা উচিত কিভাবে, কিসের জন্য দেলু রাজাকারের ফাঁসির রায় হয়েছে। মিথ্যা বা অপপ্রচার বন্ধে এটিই দরকার।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: সেটাই, এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারনেই আজকে অনেক সমস্যা হচ্ছে দেশে। এই বিচার এই কালচারকে চিরতরে রোধ করে দিতে পারবে বলে মনে করি।

৩৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: +

৩৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সোজা প্রিয়তে ।

৩৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ক্যামনে কি ?

৪০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

এম.ডি জামান বলেছেন: ট্রাইবুনাল তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে যখন বিচারপতি নাসিম স্কাইপে কেলেঙ্কারির দায় স্বীকার পদত্যাগ করেছে। আরো কয়েকটা উদহারন দেওয়া যাবে কিন্তু আপনি বলবেন আইনের দৃষ্টিতে এইগুলো অপ্রাসঙ্গিক। বিচার করাই শেষ কথা বিচারকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। তা না হলে এই বিচারে হিংসা বিদ্বেষ বাড়তেই থাকবে। আর একটি বিষয় আমি কিন্তু বলেনি কেউ রাজনীতি করলে কোন হত্যার বিচার চাইতে পারবেনা। আমি শুধু এই টুকু বুঝাতে চাইছি যে আওয়ামিলীগ প্রকৃত অর্থে সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায়না, তারা শুধুমাত্র এই ইস্যুটা কাজে লাগিয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাইছে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনি নিজেও অযৌক্তিক কথা বলছেন এবং আপনি চাইছেন আপনার লেভেলে আমাকে নামিয়ে এনে মিছে তর্ক করতে। আমি আগেই বলেছি যে আমি কথা বলব প্রাপ্ত তথ্য, ডকুমেন্ট ও একেবারে নিরেট প্রমাণের উপর। বিচারপতি তার পদত্যাগ পত্রে ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়েছেন। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে বিচারপতি নিজেও চেয়েছেন যে এই ঘটনার সুষ্ঠূ তদন্ত হোক। উনি সেখানে থাকলে নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারত না, এমনটা মনে করেও উনি সে পদ ছেড়ে দিতে পারেন। হু নৌজ? একটা সাব জুডিস ম্যাটারের ক্ষেত্রে আপনি এভাবে ফ্ল্যাট কমেন্ট করলেও আমি আসলে নীতিগতভাবে পারিনা। সরি ফর দ্যাট।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আর আওয়ামীলীগ একটা পলিটিকাল দল, জামাতও একটা পলিটিকাল দল। এখন জামাত যেহেতু অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিলো, খুন, হত্যার সাথে জড়িত ছিলো সুতরাং আরেকটি রাজনৈতিক দলকে তো সে সুযোগ জামাতই করে দিয়েছে, এখন এই অন্যায়ের বিচারের মাধ্যমে যদি আওয়ামীলীগ সুবিধা পায় বা নেয়, আমার বা আপনার কি কিছু করার বা বলবার আছে? জামাত অন্যায় করলো কেন? জামাতের নেতারা অন্যায় করলো কেন? তাদেরকে অন্যায় করতে কি আওয়ামীলীগ বলে দিয়েছিলো?

আপনি যদি আজকে দুইটা খুন করেন এবং আপনি বি এন অই সাপোর্ট করেন তবে আপনার বিচার করবার জন্য তদন্ত হলে কিংবা স্পেশাল ট্রায়াল হলে কি আপনার বলা উচিৎ হবে যে বি এনপি কে নস্যাৎ করার জন্য এ ষড়যন্ত্র? আপনি খুন করেছেন, খুনের শাস্তি হবে।

জামাতের ও তাদের নেতাদের ক্ষেত্রে একই ব্যাপার হচ্ছে।

৪১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জানতে মুঞ্চায়
নাই দুষ ফেউ
উল্টা দেশে পাল্টা জবাব
পাই আশা কেউ

৪২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: সরকার পাগলা হয়ে গিয়েছিল তাই বিচার প্রতি পদত্যাগ করছে..

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: তাহলে তো আপনার দেয়া এই তথ্যের ভিত্তিতে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে সরকার পাগল হয়ে গেলেও বিচারপতি সরকারের কথায় নড়ে নি বরং পদত্যাগ করেছে। এখান থেকেই বোঝা যায় এই ট্রাইবুনাল স্বাধীন ও নিরপেক্ষ

৪৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

নায়করাজ বলেছেন: হাসিনার বেয়াই বোঝার টাইম নাই, রাজাকার হলে ফাসি চাই।

কিন্তু তার জন্য অন্য রাজাকারের পক্ষে সাফাই চাই না।

যারা রাজাকারকে কোলে নিয়ে বসে থাকে, তারা আরেকজনকে রাজাকার বলাটা মানায় না।

পারলে বিএনপি জামাতকে জোট থেকে বের করে দিয়ে কথা বলুক। সেটাই হবে আসল কাজ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: এক্সাক্টলি। বেয়াই, শ্বশুর, তালই বুঝার টাইম নাই। নিজের বাবা রাজাকার হলেও সেটার বিচার চাই। কথা ক্লিয়ার

৪৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

জেমস বন্ড বলেছেন: :) ধন্যবাদ । সেই উন্নিশ্য কুতকুত সাল থেকেই একই কাইজ্যা - হাসিনার বেয়াই রে কেন ধরে না । শুনতে শুনতে আমার ও কান ঝালা পালা হয়ে গেছে । সব কিছু সাইড - আগে এইগুলারে ফাসি দিয়া তারপর আলোচনা হউক । এসবের রায় কার্যকর এর মধ্যেই মদতদাতাদের এবং উঠতি যৌন আবেদন্ময়ী রাজাকার গুলোর বিনাশ ও ঘটবে বলে আমি মনে করি । বড্ড জ্বালায় এসব চুনোপুটি গুলো যেগুলো ভিত্তিহীন প্রমানাদী দিয়ে হুদাই ২/৩ ঘন্টা কাউ কাউ করে ক্রোধের শিখানাল উদ্ভাসিত করে ইসলামের ঝান্ডা হাতে হুড়ুমুড় করে বেড়ায় ।

এগেইন থেঙ্কস এবং সামু কে ও এটা লটকানোর জন্য । শুভকামনা থাকল ।

৪৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

হাসানুর বলেছেন: হাজার হাজার রাজাকার আছে দেশে । আসলে রাজাকারের বিচার হচ্ছেনা বিচার হচ্ছে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের । যুদ্ধের সময় এলাকার গন্যমান্য অনেকের নামই রাজাকার লিষ্টে জোর করে ডুকানো হয়েছিল তাই বলে সব রাজাকারই যুদ্ধাপরাধী নয় । একটা প্রকৃয়া শুরু হয়েছে মাত্র কিন্তু অন্য দলগুলি যদি মনে করে আরো যুদ্ধাপরাধী বাদ থেকে যাচ্ছে তাহলে ভবিষ্যতের পথতো খোলাই আছে ! ট্রাইবুনালতো আছেই । আসলে আরো আগেই যদি অপরাধীদের বিচার হতো তাহলে হয়তো দেশে এত ঢালাও ভাবে অপরাধ চলতে থাকতনা । আইনের প্রতি মানুষের আরো শ্রদ্ধা থাকত । তখন হয়ত ২১শে আগষ্ট, কিবরিয়া , আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা, শেয়ার কেলেঙ্কারী, পদ্মা সেতু,হলমার্ক,সাগর-রুনি ইত্যাদি অপরাধ গুলি সংগঠিত হতো না । সঠিক ভাবে আইনের প্রয়োগ না হওয়ার কারনেই অপরাধীরা আজ এত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ! সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: একেবারে মনের কথাটাই বলেছেন ভাই

৪৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

আমি সাজিদ বলেছেন: মুখ বন্ধ করে দিলেন বিচার বিরোধীদের।

সোজা প্রিয় তে।

কিছু কিছু মানুষের লেজ বের হয়ে গেল দেখলাম এইখানে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: এই বিচার হওয়াতে আসলে সামাজিক ক্ষেত্রেও প্রচুর লাভ হয়েছে সবার। শত্রু মিত্র চেনা গয়েছে গত চারটা বছরে

৪৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

ইব্রাহিম মন্ডল বলেছেন: বিচার বুঝার জন্য সাক্ষীর সঙ্গে জেরাটুকু তুলে ধরুন। তখন বুঝাযাবে কীভাবে তিনি প্রতক্ষ সাক্ষী হয়ে উঠেছেন।

বিচার চাই। বিচার প্রক্রিয়াই বলে দেবে কোনটি বিচার আর কোনটি প্রতিশোধ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমি অনেক কষ্ট করে লেখাটি লিখেছি, যুক্তি দিয়েছি, তথ্য দিয়েছি, আপনি এবার কষ্ট করে জেরাটি তুলে দিন না।

৪৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

সামি আদনান বলেছেন: সরকার তো ভালই খেইল দেখাইতাছে। প্রথম কালামরে দিল ফাসি । যেহেতু তার এক্টিভ কোন দল নাই । তারপর কাদের মোল্লারে দিল জাবজ্জীবন। সেই জাবজ্জীনের রায় শুনিয়া নও জোয়ানের দলেরা কাছা বাইন্দা মাঠে নামল, শাস্তি নাকি কঠোর হয় নাই। আরো কঠিন শাস্তি দেওন লাগব। জাবজ্জীবন আবার কি। ডাইরেক্ট ফাসি চায় পোলাপাইন গুলায়। চিল্লায়া মেতায়া পুরা শাহবাগ গরম। সরকারের তো টনক নড়ল, কিরে ঘটনা কি ? মেঘ না চাইতে বৃষ্টি আয়া পড়ল। চাইর বছর তো চইল্লা গেল, দেশ টারে ছুইল্লা খায়া ছাল-বাল উঠায়া ফেলছি, এখন সামনে আছে মাত্র এক বছর, জনগন তো পদ্মা, ডেশটিনি, হলমার্ক, শেয়ার বাজার, রেল কেলেংকারী, আর সাগর রুনী নিয়া চিল্লা চিল্লী করবো। যাক ভালই হইল, চিল্লা চিল্লা করার মত মুলা পাওয়া গেছে। তারপর সরকার তো পুরাই সাপোর্ট। এরই মধ্যে হইল সাইদীর রায়। বাস এই বার আর শাহবাগীদের অখুশি করতে পারলো না। তোরা খালি ফাসি ফাসি করছ, যা ল, দিলাম ফাসি ।


লেখক ভাই এর কাছে আমার মোটা দাগে কয়েকটা প্রশ্ন :

১। শাহবাগের আন্দোলনে বিচার বিভাগ প্রভাবিত কিনা ?

২। যদি বলেন প্রভাবিত নয় তাহলে কাদের মোল্লার পর সাইদির ফাসি হল কেন ?

৩। মহামান্য হাইকোর্ট এর রায় প্রত্যাখ্যান করা কি ?

৪। মহামান্য হাই কোর্ট এর রায় প্রত্যাখ্যান কারীদের সাথে সরকারের আচরন কেমন হওয়া উচিত?

৫। যদি বলেন যে, এটাতো যুদ্ধপরাধীর বিচার তাই এটা নিয়ে রাজপথে নেমে হাইকোর্টের বিরোধিতা করা তেমন কিছু না, তাহলে বলেন , বাংলাদেশে এযাবত বহু রায় হয়েছে ইসলামের বিপক্ষে যা ইসলামি দলগুলো সমর্থন করে না। এখন তারা যদি এভাবে রাস্তায় নেমে পড়ে আর ব্যস্ততম কোন একটা সড়ক দিনের পর দিন এভাবে দখল করে রাখে সরকার কি তাদের সহযোগীতা করবে। নাকি সামান্য বিক্ষোভ করতে চাইলে দৌড়ানি দিবে।

৬। হাইকোর্ট এর বিরোধিতা করার পর সরকার কেন ইমরান কে সহযোগীতা করছে ?

৭। সরকার শাহবাগীদের সমর্থন করছে তাও আবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে, তার মানে জাতীয় সংসদ হাইকোর্ট এর রায় মানে না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ১) আমার মনে হয়না প্রভাবিত

২) আদালত সাঈদীকে ফাঁসী দেয়ার কারন রায়ে বলেছেন, এই পোস্টেও আছে। পড়ে দেখেন।

৩) রায় নিয়ে মানুষের অষোন্তষ থাকতেই পারে, এটাতে অন্যায়ের কিছু দেখিনা। জনতার আবেগের যায়গায় লেগেছে। যে মুক্তিযুদ্ধ না হলে এই কোর্ট-ই প্রতিষ্ঠিত হোতো না এখন প্রশ্নটা সেখানকার। আর তাছাড়া সাংবিধানিক ভাবেও অনেক কথা বলা যায়। এই পোস্টে বলবনা, অন্য আরেকদিন। আপাতত জেনে রাখেন, জনতা রায়ের ব্যাপারে দ্বিমত পোষন করতেই পারে।

৪) জনতা রায়ে দ্বিমত পোষন করেছে, এতে সরকারের কি করার আছে। গণতান্ত্রিক সরকার, গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এইতো!

৫) ইসলামের বিরুদ্ধে রায় বলে কিছু নেই। বাংলাদেশে ইসলামী কান্ট্রি না, এই দেশে শরীয়া আইনও নেই। তবে কোনো রায়ের বিরুদ্ধে কেউ দ্বিমত পোষন করতে চাইলে করতে পারে। নাথিং টু ডু উইথ সরকার। এখানে সরকারের সাহায্য বা না সাহায্য কোনোটা করার-ই স্কোপ নেই। সরকার শুধু মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে যদি তারা প্রতিবাদে সামিল হয়। আইনের ভেতর থেকে যতটকু করবে সরকার ততটুকুই পাশে থাকবে।

৬) আগেই বলেছি এখানে কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষন করা হয়েছে। ইমরানকে কেউ সাহায্য করেছে বলে আমার জানা নেই। পারলে প্রমাণ সহ দেখান।

৭) সরকারও এই অপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচার চায়। এই দেশের জনতা এই বিচারের জন্য এই সরকারে ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। সুতরাং সরকারের সাথে জনতার ভাষা মিলে যাবেই। আর জনতার ভাষার সাথে একমত হতে কিংবা তা বলবার জন্য সংসদ সরকারের জন্য উপযুক্ত যায়গা। বিরোধী দলের মত গাড়ি ভাঙচুর করলে তা কখনোই ভালো হোতো না। ধন্যবাদ

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: দেখেন দেইল্লা রাজাকারের ছেলে কি বলেছে- সেও নাকি রায় মানে না। তো তারে গিয়া আপনার মূল্যবান প্রশ্নগুলো দিয়ে আইসেন-

http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=128693

৪৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

অনার্য পথিক বলেছেন: সাঈদীর ফাসি প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য ধর্মের লোক কেন আক্রান্ত হবে? অথবা আক্রান্ত করা হবে? রাষ্ট্র কেন তাদের পাশে এসে দাড়ায়নি?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: এই মৌলবাদী জামাত শিবিরকে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল করা না হলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে

৫০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

পেন্সিল চোর বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট ষ্টিকি করা হয়েছে।
পোস্টে প্লাস।

৫১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

সামদ বলেছেন: কৃতজ্ঞ রইলাম এই ডিটেইল আলোচনার জন্য লেখকের কাছে। সামুকেও ধন্যবাদ ষ্টিকি করার জন্য।

৫২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

সরোজ রিক্ত বলেছেন: এই বালি তো এখনও নিখোঁজ, তাই না?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: প্রথমত:

দেইল্যা বা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে এই যে প্রায় ১৫ জনের মত সাক্ষী এসে সাক্ষ্য দিলো কারো বিরুদ্ধে গুম বা উধাও হয়ে যাবার ঘটনা ঘটেনি, সেখানে সাঈদীর সব সাক্ষীর সাক্ষ্য নেবার পরে যেখানে আর কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়াই হচ্ছে না সেখানে সুখরঞ্জন বালি কিসের সাক্ষী দিতে এসেছেন? এই একই প্রশ্নের সাথে আমার আরো প্রশ্ন জাগে, তা হলো: সুখ রঞ্জন বালির নাম ৫ নভেম্বরের সাক্ষ্য তালিকায় নেই, ট্রাইবুনাল এই নামে কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যের আগমনের কোনো খবরই জানে না, কেননা সাঈদীর পক্ষে ও বিপক্ষে সব ধরনের সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে ২৩ অক্টোবর। ৫ নভেম্বর দুই পক্ষের সমাপনী যুক্তি তর্কের দিন ধার্য ছিলো।

দ্বিতীয়ত:

যদি ধরেও নেই যে ডিফেন্স টিম নতুন সাক্ষীর জন্য আবেদন করেছেন কিংবা নতুন কোনো পিটিশান করেছেন সেক্ষেত্রেও পিটিশানের উপর হিয়ারিং আগে হবে। তারপর যদি সাক্ষী আনার মত অবস্থার দরকার হয় বা ট্রাইবুনাল বলে সেক্ষেত্রে সাক্ষী আসতে পারলেও পারতে পারে। এছাড়া যদি নতুন করে সাক্ষী আনবার জন্য আবেদন করে থাকে ডিফেন্স সেক্ষেত্রেও আদালত আগে সেই আবেদন শুনবেন তারপর অনুমতি দিবেন। কিন্তু কথা নেই বার্তা নেই পিটিশানের আবেদন করেই কিংবা হিয়ারিং এর আবেদিন করেই সাক্ষীর আগমন? ব্যাপারটা কি সন্দেহের নয়?





তৃতীয়ত:

এই যে সুখরঞ্জন বালির কথা বলা হচ্ছে সেই সুখরঞ্জন বালি মূলত প্রসিকিউশনের সাক্ষী ছিলেন। তিনি সাঈদীর মামলায় প্রথমে তদন্ত দলের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তার সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে আসবার কথা ছিলো। অথচ সাক্ষ্য প্রদানের কিছুদিন আগে থেকেই এই সুখরঞ্জন বালি নিখোঁজ হয়ে যায় এবং তার কোনো রকমের ট্রেস পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমত অবস্থায় বালির পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে মনিকা রাণী মন্ডল অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে থানায় একটি জিডি করে। জিডির নাম্বার হচ্ছে জিডি-৭১৩। এই জেনারেল ডাইরিটি করা হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে। যে থানায় করা হয় সে থানার নাম ইন্দুর কানি (অনেকে জিয়া নগর নামেও চেনে)।

একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, এই নিখোঁজ হবার প্রেক্ষিতেই কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইবুনালের কাছে আবেদন করে যে বিশেষ সারকমাস্টেন্সের প্রেক্ষিতে সাক্ষীকে আনা যাচ্ছে না। তাই যাতে সাক্ষীর জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ট্রাইবুনাল সুখরঞ্জন বালির ক্ষেত্রে এই আবেদন গ্রহণ করে। এদিকে লন্ডনের একটি টকশোতে সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম আমার সাথে একটি লাইভ টকশোতেও বলেন যে এই সাক্ষীদের ট্রাইবুনাল কেন আনতে পারছে না, এটা তাদের ব্যর্থতা ইত্যাদি, ইত্যাদি…। অথচ পাঠক লক্ষ্য করুন- যেই ডিফেন্স পক্ষ এই কথা বলছে, সেই ডিফেন্স পক্ষই কিন্তু এই সুখরঞ্জন বালিকে আদালতে সাক্ষীর জন্য নিয়ে এসেছে। অথচ এইদিকে তাকে খুঁজবার জন্য থানায় জিডি হয়েছে। এটাতো স্বাভাবিক একটা ব্যাপার যে একজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে যদি কেউ পেয়ে যান তবে তা পুলিশকে জানাতে হবে, কেননা তিনি কি বেঁচে ছিলেন, না খুন হয়ে গিয়েছেন, না দুর্ঘটনা ঘটেছে, না তার কোনো বিপদ হয়েছে এটি তো কেউ জানতেন না। সুতরাং এমত অবস্থায় এই ব্যক্তিকে পাওয়া গেলে তাকে পুলিশে হস্তান্তর না করাটাই কি বেআইনি নয়? যেহেতু বালির ব্যাপারে থানায় জানানো হয়েছে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে, সেই বালিকেই যখন খুঁজে পাওয়া গেলো তখন আসামী পক্ষের আইনজীবী তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ না করে নিজের গাড়িতে বসিয়ে কোর্টে নিয়ে এলো?

আর এদিকে তাদের ডিফেন্স টিমের আইনজীবী লাইভ টিভিতে সাক্ষী কেন আসছে না, কিংবা প্রসিকিউশন কেন সাক্ষীকে আনতে পারছে না, এই বলে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে? এই পুরো ব্যাপারটিতে তাহলে কী প্রমাণিত হয়, এটা কি ডিফেন্স টিমের একটা সাজানো নাটক নয়? এটা কি প্রমাণিত নয় যে ডিফেন্স প্রসিকিউশনের সাক্ষীকে লুকিয়ে রেখে ন্যায় বিচার হওয়া থেকে ট্রাইবুনালকে বিরত রাখছে? এটা কি ট্রাইবুনালের বিচার কার্যে বাধা নয়?

চতুর্থত:

তাজুল ইসলাম একটি টিভি সাক্ষাৎকারে অন্য আরেকজন প্রসিকিউশনের সাক্ষীকে (সাক্ষী গনেশ) আসামীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার ব্যবস্থা করে গোপনে। এই সাক্ষাৎকারে তাজুল বলে, “ রাষ্ট্রের হাতে অর্থ, রাষ্ট্রের হাতে ক্ষমতা, তাদের হাতেই সব, সেক্ষেত্রে তারা কেন সাক্ষীকে আনতে পারছে না?” [নীচে ইউটিউবের একটি ভিডিও লিঙ্ক দেয়া হয়েছে সূত্র হিসেবে]

এই কথা বলে তাজুল আসলে কী প্রমাণ করে দিলো? সেকি এটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে না যে রাষ্ট্রের হাতে অর্থ আছে, ক্ষমতা আছে, সুযোগ আছে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র সাক্ষীকে কিনে নেয়া উচিত? এই যে এই ধরনের মানসিকতা, এই মানসিকতাই কি তাজুলের পেশাগত কর্মকাণ্ডের পেছনের চালিকা শক্তি? তাজুলের কথা শুনে যা মনে হচ্ছে তা হলো ক্ষমতা, অর্থ থাকলেই রাষ্ট্রের অন্যায় করা উচিত, সাক্ষীকে কেনা উচিত। অন্তত তাজুলের কথা শুনে ব্যাপারটা কি তা-ই দাঁড়াচ্ছে না?

এই একই মানসিকতা যদি আমরা এখানে পরিগণিত করি, তাহলে কি এটাই বোঝা যায় যে জামাতের এত শত শত কোটি টাকা, তাদের ক্যাডার বাহিনী ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সুখরঞ্জন বালিকে অপহরণ করেছে? কেননা টাকা থাকলেই যেখানে সাক্ষীকে কেনা যায় বলে তাজুল ক্যামেরার সামনে অভিমত দিয়েছে?

পঞ্চমত:

আসামী সাঈদীর স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে যাতে করে বালিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সাঈদীর স্ত্রী এও বলেছে যে, সাফাই সাক্ষী দিতে গিয়ে অপহৃত হয়েছে বালি। আমি আগেই বলেছি যে, সাঈদীর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয় ২৩ অক্টোবর। আর বালির ঘটনাটি ঘটলো নভেম্বরের ৫ তারিখে। আবার এদিকে সাঈদীর আইনজীবীরা বলছে যে, এটা নতুন সাক্ষীকে আনবার পিটিশানের হিয়ারিং ছিলো। লক্ষ্য করুন, সাঈদীর স্ত্রীর স্টেটম্যান্ট আর সাঈদীর আইনজীবীদের স্টেটম্যান্ট কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে সাঈদীর পক্ষে বা বিপক্ষে সকল সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে সেখানে কিভাবে একজন লোক নিখোঁজ অবস্থায় এতদিন থেকে হঠাৎ করে সাঈদীর আইনজীবীর গাড়ি থেকে নেমে সাক্ষ্য দিতে আসে?

ষষ্ঠত:

বালিকে ফিরিয়ে আনবার যে রিট পিটিশান করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেককেই বিবাদী করে সেই পিটিশানও কিন্তু করেছে আবুল কালাম আজাদ নামে এক লোক। রিট পিটিশান একমাত্র কোনো ঘটনায় এগ্রিভড ব্যক্তিই করতে পারেন। এই বালির ক্ষেত্রে মূলত রিট পিটিশান করতে পারতেন বালির মেয়ে, স্ত্রী বা যারা বালির সাথে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। অথচ এদের কাউকেই রিটের পার্টি না করেই আবুল কালাম আজাদ কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো? তাহলে আসলে ঘটনাটি কি হচ্ছে আদতে?

সপ্তমত:

যেদিন বালিকে নিয়ে এত কাণ্ড ঘটছে সেদিন কিন্তু পুরো বাংলাদেশ জুড়ে জামাত-শিবির তাণ্ডব চালাচ্ছিলো। তারা পুলিশের কাছ থেকে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পুলিশকে পিটাচ্ছিলো। তারা পুলিশকে লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করে, বোমা মেরে, ইট-পাটকেল মেরে পুরো বাংলাদেশ রণক্ষেত্র করেছিলো। এই ঘটনার সুতো ধরে এবং আমার উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতেও কিন্তু বলা যায় যে, এটা কি জামাতের তৈরি কোনো ষড়যন্ত্র? তারা কি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আর সাক্ষীর ছিনতাই ঘটনা সাজিয়ে সরকারকে বেকাদায় ফেলে এই বিচার বানচাল করতে চেয়েছিলো? কেননা রাস্তায় রাস্তায় তারা সেদিন মিছিল করেছিলো তাদের আটক নেতাদের মুক্তি চেয়ে, যারা কিনা এত বড় অপরাধে আটক এবং যাদের বিচার চলছে। যেই দল বিচার চলাকালীন অবস্থায়, এত সাক্ষী সাবুদ দেয়ার মত অবস্থায় অন্যায়ভাবে এই ব্যক্তিদের মুক্তি চাইতে পারে সেই একই দলের নেতাদের আইনিজীবীদের সুষ্ঠু বিচার না ন্যায় বিচার চাইবার কথা বার্তা বলা, কিংবা এভাবে সাক্ষীক গুম করবার এলিগেশন আনাটা কি উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে যৌক্তিক?

পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করে একজন সুস্থ মানুষও বুঝতে পারে যে, এই পুরো সুখরঞ্জন বালি নিখোঁজ রহস্য সম্পূর্ণভাবে জামাতেরই একটি তৈরি করা নাটক এবং এই নাটকের মাধ্যমে তারা পুরো বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের সরকারকে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়। আর এটিই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এতদিন পর হঠাৎ সাংবাদিক বার্গম্যান তার ব্লগে সচল হলো আর শুরু করলো সমালোচনা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শুরু করলো লেখা, জামাতের আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান তার ব্লগে ফেসবুকে লেখা শুরু করলো।

শেষ পর্যন্ত কি তাহলে নিজেদের সাক্ষীকেই গুম করে ফেললো সাঈদীর আইনিজীবীরা?

৫৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

রঙ্গমঞ্চ বলেছেন: সুখরঞ্জন বালিকে জামাত লুকিয়ে রাখছে!!! ধন্যবাদ মজনু লেখকের পাগলের মত মন্তব্য দেখে। ভাই আল্লাহ ত আপনাকে সুন্দর দুটি চোখ দিয়েছেন, কিন্তু ঝলমলে দুপুর বেলায় অন্ধের মত পথ চলতে বিবেকে বাধেনা? মঞ্চস্থ নাটকের আবার নাটক করলেন, আশা করি অস্কারটা এবার আপনার ঘরেই আসবে। চামচা কোথাকার।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: প্রথমত:

দেইল্যা বা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পক্ষে এই যে প্রায় ১৫ জনের মত সাক্ষী এসে সাক্ষ্য দিলো কারো বিরুদ্ধে গুম বা উধাও হয়ে যাবার ঘটনা ঘটেনি, সেখানে সাঈদীর সব সাক্ষীর সাক্ষ্য নেবার পরে যেখানে আর কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়াই হচ্ছে না সেখানে সুখরঞ্জন বালি কিসের সাক্ষী দিতে এসেছেন? এই একই প্রশ্নের সাথে আমার আরো প্রশ্ন জাগে, তা হলো: সুখ রঞ্জন বালির নাম ৫ নভেম্বরের সাক্ষ্য তালিকায় নেই, ট্রাইবুনাল এই নামে কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্যের আগমনের কোনো খবরই জানে না, কেননা সাঈদীর পক্ষে ও বিপক্ষে সব ধরনের সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষ হয়েছে ২৩ অক্টোবর। ৫ নভেম্বর দুই পক্ষের সমাপনী যুক্তি তর্কের দিন ধার্য ছিলো।

দ্বিতীয়ত:

যদি ধরেও নেই যে ডিফেন্স টিম নতুন সাক্ষীর জন্য আবেদন করেছেন কিংবা নতুন কোনো পিটিশান করেছেন সেক্ষেত্রেও পিটিশানের উপর হিয়ারিং আগে হবে। তারপর যদি সাক্ষী আনার মত অবস্থার দরকার হয় বা ট্রাইবুনাল বলে সেক্ষেত্রে সাক্ষী আসতে পারলেও পারতে পারে। এছাড়া যদি নতুন করে সাক্ষী আনবার জন্য আবেদন করে থাকে ডিফেন্স সেক্ষেত্রেও আদালত আগে সেই আবেদন শুনবেন তারপর অনুমতি দিবেন। কিন্তু কথা নেই বার্তা নেই পিটিশানের আবেদন করেই কিংবা হিয়ারিং এর আবেদিন করেই সাক্ষীর আগমন? ব্যাপারটা কি সন্দেহের নয়?





তৃতীয়ত:

এই যে সুখরঞ্জন বালির কথা বলা হচ্ছে সেই সুখরঞ্জন বালি মূলত প্রসিকিউশনের সাক্ষী ছিলেন। তিনি সাঈদীর মামলায় প্রথমে তদন্ত দলের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তার সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে আসবার কথা ছিলো। অথচ সাক্ষ্য প্রদানের কিছুদিন আগে থেকেই এই সুখরঞ্জন বালি নিখোঁজ হয়ে যায় এবং তার কোনো রকমের ট্রেস পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমত অবস্থায় বালির পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে মনিকা রাণী মন্ডল অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে থানায় একটি জিডি করে। জিডির নাম্বার হচ্ছে জিডি-৭১৩। এই জেনারেল ডাইরিটি করা হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে। যে থানায় করা হয় সে থানার নাম ইন্দুর কানি (অনেকে জিয়া নগর নামেও চেনে)।

একটি কথা বলে রাখা ভালো যে, এই নিখোঁজ হবার প্রেক্ষিতেই কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইবুনালের কাছে আবেদন করে যে বিশেষ সারকমাস্টেন্সের প্রেক্ষিতে সাক্ষীকে আনা যাচ্ছে না। তাই যাতে সাক্ষীর জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ট্রাইবুনাল সুখরঞ্জন বালির ক্ষেত্রে এই আবেদন গ্রহণ করে। এদিকে লন্ডনের একটি টকশোতে সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম আমার সাথে একটি লাইভ টকশোতেও বলেন যে এই সাক্ষীদের ট্রাইবুনাল কেন আনতে পারছে না, এটা তাদের ব্যর্থতা ইত্যাদি, ইত্যাদি…। অথচ পাঠক লক্ষ্য করুন- যেই ডিফেন্স পক্ষ এই কথা বলছে, সেই ডিফেন্স পক্ষই কিন্তু এই সুখরঞ্জন বালিকে আদালতে সাক্ষীর জন্য নিয়ে এসেছে। অথচ এইদিকে তাকে খুঁজবার জন্য থানায় জিডি হয়েছে। এটাতো স্বাভাবিক একটা ব্যাপার যে একজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে যদি কেউ পেয়ে যান তবে তা পুলিশকে জানাতে হবে, কেননা তিনি কি বেঁচে ছিলেন, না খুন হয়ে গিয়েছেন, না দুর্ঘটনা ঘটেছে, না তার কোনো বিপদ হয়েছে এটি তো কেউ জানতেন না। সুতরাং এমত অবস্থায় এই ব্যক্তিকে পাওয়া গেলে তাকে পুলিশে হস্তান্তর না করাটাই কি বেআইনি নয়? যেহেতু বালির ব্যাপারে থানায় জানানো হয়েছে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে, সেই বালিকেই যখন খুঁজে পাওয়া গেলো তখন আসামী পক্ষের আইনজীবী তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ না করে নিজের গাড়িতে বসিয়ে কোর্টে নিয়ে এলো?

আর এদিকে তাদের ডিফেন্স টিমের আইনজীবী লাইভ টিভিতে সাক্ষী কেন আসছে না, কিংবা প্রসিকিউশন কেন সাক্ষীকে আনতে পারছে না, এই বলে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে? এই পুরো ব্যাপারটিতে তাহলে কী প্রমাণিত হয়, এটা কি ডিফেন্স টিমের একটা সাজানো নাটক নয়? এটা কি প্রমাণিত নয় যে ডিফেন্স প্রসিকিউশনের সাক্ষীকে লুকিয়ে রেখে ন্যায় বিচার হওয়া থেকে ট্রাইবুনালকে বিরত রাখছে? এটা কি ট্রাইবুনালের বিচার কার্যে বাধা নয়?

চতুর্থত:

তাজুল ইসলাম একটি টিভি সাক্ষাৎকারে অন্য আরেকজন প্রসিকিউশনের সাক্ষীকে (সাক্ষী গনেশ) আসামীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার ব্যবস্থা করে গোপনে। এই সাক্ষাৎকারে তাজুল বলে, “ রাষ্ট্রের হাতে অর্থ, রাষ্ট্রের হাতে ক্ষমতা, তাদের হাতেই সব, সেক্ষেত্রে তারা কেন সাক্ষীকে আনতে পারছে না?” [নীচে ইউটিউবের একটি ভিডিও লিঙ্ক দেয়া হয়েছে সূত্র হিসেবে]

এই কথা বলে তাজুল আসলে কী প্রমাণ করে দিলো? সেকি এটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে না যে রাষ্ট্রের হাতে অর্থ আছে, ক্ষমতা আছে, সুযোগ আছে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র সাক্ষীকে কিনে নেয়া উচিত? এই যে এই ধরনের মানসিকতা, এই মানসিকতাই কি তাজুলের পেশাগত কর্মকাণ্ডের পেছনের চালিকা শক্তি? তাজুলের কথা শুনে যা মনে হচ্ছে তা হলো ক্ষমতা, অর্থ থাকলেই রাষ্ট্রের অন্যায় করা উচিত, সাক্ষীকে কেনা উচিত। অন্তত তাজুলের কথা শুনে ব্যাপারটা কি তা-ই দাঁড়াচ্ছে না?

এই একই মানসিকতা যদি আমরা এখানে পরিগণিত করি, তাহলে কি এটাই বোঝা যায় যে জামাতের এত শত শত কোটি টাকা, তাদের ক্যাডার বাহিনী ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সুখরঞ্জন বালিকে অপহরণ করেছে? কেননা টাকা থাকলেই যেখানে সাক্ষীকে কেনা যায় বলে তাজুল ক্যামেরার সামনে অভিমত দিয়েছে?

পঞ্চমত:

আসামী সাঈদীর স্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে যাতে করে বালিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। সাঈদীর স্ত্রী এও বলেছে যে, সাফাই সাক্ষী দিতে গিয়ে অপহৃত হয়েছে বালি। আমি আগেই বলেছি যে, সাঈদীর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয় ২৩ অক্টোবর। আর বালির ঘটনাটি ঘটলো নভেম্বরের ৫ তারিখে। আবার এদিকে সাঈদীর আইনজীবীরা বলছে যে, এটা নতুন সাক্ষীকে আনবার পিটিশানের হিয়ারিং ছিলো। লক্ষ্য করুন, সাঈদীর স্ত্রীর স্টেটম্যান্ট আর সাঈদীর আইনজীবীদের স্টেটম্যান্ট কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে সাঈদীর পক্ষে বা বিপক্ষে সকল সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে সেখানে কিভাবে একজন লোক নিখোঁজ অবস্থায় এতদিন থেকে হঠাৎ করে সাঈদীর আইনজীবীর গাড়ি থেকে নেমে সাক্ষ্য দিতে আসে?

ষষ্ঠত:

বালিকে ফিরিয়ে আনবার যে রিট পিটিশান করা হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেককেই বিবাদী করে সেই পিটিশানও কিন্তু করেছে আবুল কালাম আজাদ নামে এক লোক। রিট পিটিশান একমাত্র কোনো ঘটনায় এগ্রিভড ব্যক্তিই করতে পারেন। এই বালির ক্ষেত্রে মূলত রিট পিটিশান করতে পারতেন বালির মেয়ে, স্ত্রী বা যারা বালির সাথে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। অথচ এদের কাউকেই রিটের পার্টি না করেই আবুল কালাম আজাদ কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো? তাহলে আসলে ঘটনাটি কি হচ্ছে আদতে?

সপ্তমত:

যেদিন বালিকে নিয়ে এত কাণ্ড ঘটছে সেদিন কিন্তু পুরো বাংলাদেশ জুড়ে জামাত-শিবির তাণ্ডব চালাচ্ছিলো। তারা পুলিশের কাছ থেকে পিস্তল কেড়ে নিয়ে পুলিশকে পিটাচ্ছিলো। তারা পুলিশকে লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করে, বোমা মেরে, ইট-পাটকেল মেরে পুরো বাংলাদেশ রণক্ষেত্র করেছিলো। এই ঘটনার সুতো ধরে এবং আমার উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতেও কিন্তু বলা যায় যে, এটা কি জামাতের তৈরি কোনো ষড়যন্ত্র? তারা কি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আর সাক্ষীর ছিনতাই ঘটনা সাজিয়ে সরকারকে বেকাদায় ফেলে এই বিচার বানচাল করতে চেয়েছিলো? কেননা রাস্তায় রাস্তায় তারা সেদিন মিছিল করেছিলো তাদের আটক নেতাদের মুক্তি চেয়ে, যারা কিনা এত বড় অপরাধে আটক এবং যাদের বিচার চলছে। যেই দল বিচার চলাকালীন অবস্থায়, এত সাক্ষী সাবুদ দেয়ার মত অবস্থায় অন্যায়ভাবে এই ব্যক্তিদের মুক্তি চাইতে পারে সেই একই দলের নেতাদের আইনিজীবীদের সুষ্ঠু বিচার না ন্যায় বিচার চাইবার কথা বার্তা বলা, কিংবা এভাবে সাক্ষীক গুম করবার এলিগেশন আনাটা কি উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে যৌক্তিক?

পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করে একজন সুস্থ মানুষও বুঝতে পারে যে, এই পুরো সুখরঞ্জন বালি নিখোঁজ রহস্য সম্পূর্ণভাবে জামাতেরই একটি তৈরি করা নাটক এবং এই নাটকের মাধ্যমে তারা পুরো বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের সরকারকে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়। আর এটিই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এতদিন পর হঠাৎ সাংবাদিক বার্গম্যান তার ব্লগে সচল হলো আর শুরু করলো সমালোচনা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শুরু করলো লেখা, জামাতের আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান তার ব্লগে ফেসবুকে লেখা শুরু করলো।

শেষ পর্যন্ত কি তাহলে নিজেদের সাক্ষীকেই গুম করে ফেললো সাঈদীর আইনিজীবীরা?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আশা করি এইবার বুঝতে পেরেছেন, ছাগু কোথাকার!!!

৫৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: বাল পুস্ট

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: এবং এটি সাফ সুতরা করবার দায়িত্ব আপনার।

৫৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

স্বপ্নক বলেছেন: আপনি নাকি আইনজীবি? একজন আইনজীবির যুক্তি এত দুর্বল হয় কি করে? নাকি... বাংলাদেশে লাস্ট বেঞ্চের স্টুডেন্টরা আর্টস পড়ে আর তারাই ইন্টারের পরে ল'তে ভর্তি হয়। তবে সবাই না, তাদের মধ্যেও কেউ কেউ ভাল মেধাবীও থাকে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: কোথায় কোথায় যুক্তিতে সমস্যা সেটি বলে দিলে আলোচনায় সুবিধা হয়। আমি তো তথ্য প্রমাণ দিয়েই কথা বলেছি।

আর ভাই আমি খারাপ উকিল, কথা সত্য। এইবার টপিকে আসেন। ভুল যুক্তি ধরায়া দেন। লাইনে থাকেন।

৫৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

শিক্ষানবিস বলেছেন: পড়লাম। ধন্যবাদ দিলাম। কিন্তু আমি আমার মত প্রকাশ করতে পারলাম না। কারণ, এটা স্বাধীন মত বা ভিন্ন মত প্রকাশের জায়গা নয়। তবে কয়েকটি ব্যাপারে সবিনয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এক. শুনেছি সাঈদীর পক্ষের এক স্বাক্ষীকে গুম করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আপনার গবেষণা কি?
দুই. উচ্চ আদালতে আপিল করার পর উনি যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে আপনার ভূমিকা কী হবে? তখন কি জনগণ দাবী করবে না, এই রায় মানি না। মানি না। ফাসি ফাসি ফাসি চাই!
তিন. সত্য উদঘাটন করা ট্রাইবুনাল বা আদালতের কাজ নয়। আদালতের কাজ হল দৃশ্যমান স্বাক্ষী-প্রমাণ বিবেচনা করে তার ভিত্তিতে রায় দেয়া। সে হিসাবে আদালতের রায় আইনী দৃষ্টিকোনে সঠিক অবশ্যই কিন্তু সত্য নাও হতে পারে।
চার. এই পোষ্টটি কর্তৃপক্ষ স্টিকি করেছে। না করলে হয়ত আমার পড়া হতো না। কিন্তু যতটি মন্তব্য এসেছে, আর যত জনে পড়েছে সে হিসাবে লাইক পায়নি।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ১) সাক্ষী গুমের ব্যাপারটা আপনার মন্তব্যের উপরেই আলোচিত হয়েছে। দয়া করে দেখে নিন।

২) উচ্চ আদালতে আপীলে করার পর দেইল্লা নির্দোষ প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য প্রসিকিউশন যাবে। আমার সমর্থনও থাকবে তার প্রতি।

৩) সত্য নাও হতে পারে এটি ছাগু হাইপোথিসিস। আমি দৃশ্যমান থিসিসে বিশ্বাসী মানুষ। আইনের ক্ষেত্রে।

৪) লাইক- ডিজলাইকের হিসেবটা আমার ধর্তব্য নয়

৫৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

নাভদ বলেছেন: গুড পোষ্ট।

১/ সম্ভব হলে মূল পোষ্টে সাঈদীর অরিজিনাল রায়টার লিংক দিয়ে দিয়েন। তাতে লেখাটি পূর্নতা পাবে।

২/ (উপরের দুই একটা ছাগু কমেন্ট অনুসারে) হাইকোর্টের রায় মানতে পারি না বলাটা যদি খুবই খারাপ কাজ হয়ে থাকে, তাহলে সাঈদির ছেলে যে বলল -

রাজনৈতিক এ রায় আমরা মানি না : মাসুদ সাঈদী

তাহলে কি শুধু জামাতিরা বললেই দোষ নাই, বাকি সবাই কইলে দোষ?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: থ্যাংস এই লিঙ্কের জন্য। মোক্ষম একশন।

৫৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আইসিটি'র বিপক্ষে যে মন্তব্য গুলো এসেছে তার উত্তরে আপনার কাছে নতুন কিছু পেলাম না, এই উত্তর গুলো আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও বলে বেড়াচ্ছা।

কোন কোন রাজাকারের বিচার হচ্ছে না তাই গ্রেফতারকৃতদের বিচার করা যাবে না এটা মোটেও যৌক্তিক নয়। একইভাবে লক্ষনীয় যে বিচারের জন্য কেবল বিরোধী রাজনীতির সাথে সম্পর্কীত রাজাকারদের বেছে নেওয়া হয়েছে। সে কারনেই মানুষ এটা রাজনৈতীক প্রতিহিংসা চরিতার্থের বিচার বলছে। তার আরও কিছু কারন হচ্ছে দুর্বল প্রসিকিউসন গঠন, সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা আইনের ফাঁক-ফোঁকর রাখা ইত্যাদি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিদেশী সাংবাদিকদের প্রবেশাধীকার না রাখার কারনে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ।

স্কাইপি কেলেঙ্কারী বিচারপতিদের প্রটোকল ভঙ্গ হয়েছে ঠিকই কিন্তু তারা বিচার সম্পর্কে যা বলেছেন তা কিন্তু মিথ্যা হয়ে যায়নি। "তুমি বার বার উঠে দাড়াবা আমি ধমক দিলেই বসে যাবা" এই নাটক তো মিথ্যা নয় তাহলে নিরপেক্ষ বিচার কিভাবে বলবেন।
সাঈদী তার নাম ও বয়স নিয়ে যেই জালিয়াতী করেছে তাই সে অন্য সব ক্ষেত্রে জালিয়াতি করবে সেটাই স্বাভাবিক বলে ধরে নিচ্ছেন তাহলে বিচারের ফাঁস হয়ে যাওয়া নাটকের প্রেক্ষিতে আমরা ধরে নিতে পারি আইসিটিতে আরও অনেক নাটক হচ্ছে।

মাত্র গতকাল শুনলাম একজন ভিকটিম ১৯৭২ সালে একটা কেস করেছিলেন যেখানে দেলু নামে একজন আসামী ছিল যার বাপের নাম সাঈদির বাপের নাম এক নয় সেই কেস ধরেই বর্তমানে বিচার হয়েছে।

ইব্রাহিমের স্ত্রী মমতাজ বেগম যে কয়জনকে আসামী করেছিলেন তার মধ্যে সাঈদীর নাম নেই।
পাকিস্তানী হানাদার আর্মি সেখানকার স্থানীয় ব্রীজের কাছে ইব্রাহিম কুট্টিকে গুলি করে মারে


সাঈদি নিজে হত্যা করেনি বলেই হয়ত তার নাম নেই। তাহলে সাঈদির সহযোগীতায় হত্যা হয়েছে, এর জন্য ফাঁসি হতে পারে না সেটা জেনেছি কাদের মোল্লার রায়ের আলোচনা থেকে। যদিও আপনি এই অপরাধ প্রমানিত হওয়াটাই যথেষ্ট মনে করেছেন।


ডিফেন্সের কাছে আপনি কি আশা করেছিলেন এটা বুঝিনি।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনার মন্তব্যতেও নতুন কিছু নেই। জামাতী সমর্থকেরা যা বলে আপ্নিও সেই পুরোনো কথা বার্তা বলেছেন। উপরের মন্তব্যগুলোতেও সব একই সুর, সুতরাং আইনের মধ্যে থেকে আমি যথাযথ বক্তব্য দেবার চেষ্টা করেছি।

আপনি হয়ত জেনে থাকবেন এরি মধ্যে আওয়ামীলীগের একজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার নাম মোবারক হোসেন। এই অভিযুক্তের মামলার সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হচ্ছে অচিরেই। আর জামাতের মধ্যেই মূলত বেশীর ভাগ মাস্টারমাইন্ড অপরাধীরা। সুতরাং সংখ্যা হিসেবে এটি চোখে লাগার মতই। করবার কিছু নেই। ১৯৭১ সালে আওয়ামীলীগ এদের কানে কানে গিয়ে এসব অপরাধ করবার কথা বলে দিয়ে আসেনি।

আমাদের প্রসিকিউশন দল আমার কাছে সুসংহত মনে হয়। সাম্প্রতিক কালে আরো কয়েকজন আইনজীবি নিয়োগ দেয়া হয়েছে আপনি হয়ত যেনে থাকবেনজীই বিষয়ে কালের কন্ঠে একটা লেকাহ লিখেছিলাম গত বছর। পড়ে দেখতে পারেন। Click This Link

এই ট্রাইবুনালে যথাযথ অনুমতি সাপেক্ষে সকলেই যেতে পারেন। ইতিমধ্যে অনেক বিদেশী মিডিয়া কাভার করেছে। আপনি হয়ত তা জানেন না। এটি ওপেন ট্রায়াল

স্কাইপি নিয়ে যা হয়েছে সেখানে আমার দৃষ্টিতে কোনো অন্যায় চোখে পড়েনি। আর এটি এখনো তদন্তাধীন। সুতরাং এটি নিয়ে বক্তব্য দেবার কিছু নেই। এই ব্যাপারটি নিয়ে আমার একটা লেখা আছে এই ব্লগেই। সময় থাকলে পড়ে নিয়েন।

দেলু নামে অন্য আরেকজনের কথা যা বললেন ( মমতাজ বেগমের কথিত এজাহারের কথা উল্লেখ করে) সেটি যদি আমি সত্য ধরে নিতাম তাহলে প্রসিকিউশন নলবুনিয়ার কথা উল্লেখ করে মামলা সাজাত বা এই কথা উল্লেখ করত। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে পাড়ের হাটে। সুতরাং এই বিষয়ে তর্ক বৃথা।

সাঈদী নিজে হত্যা করেছে এই কথা মামলায় নেই। হত্যা করেছে পাক আর্মি। সাঈদী এই হত্যাকান্ডের সহযোগী। সেই পাকি আর্মিদের সব কিছু দেখিয়েছে, সাহায্য করেছে, লুটপাট করেছে। আমার লেখায় রায় এর লিঙ্ক দিয়েছি। ১২০ পাতার রায়টা পড়ে আসেন, (আপনার কথা শুনে বুঝতে পারছি আপনি রায় পড়েন নি) তারপর বাকি আলোচনা।

আর যে সাঈদীর কথা বলা হচ্ছে একাত্তরে এই সাঈদী অন্য নামে পরিচিত থাকলেও ব্যাক্তি একই। এবং এই ব্যাপারে ডিফেন্স রায়ের পরে কোনো কথা বলেনি। তারা বলেছে সাক্ষী অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি। কন্ট্রাডিক্টরী কথা বলেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। সাঈদীর ছেলে মিডিয়াকে বলেছে, আমার বাবা কি একা একসাথে এত অপরাধ করতে পারে? লক্ষ্য করুন, এখানেও সাঈদীর ছেলে দাবী করেনি যে, এই সাঈদী আর একাত্তরের সাঈদী ভিন্ন ব্যাক্তি। সুতরাং আপনার কথার কোনো বেস নেই। যেখানে সাঈদীর আইনজীবিরাই এটি বলছে না, সেখানে আপনি কে? সাঈদীর আইনজীবির সাথে আমার একটা টকশো আছে ইউটিউবে। সেইদিনের বিতর্কেও তাজুল ইসলাম এই ইস্যু তোলেনি। সুতরাং আপনি এই যুক্তি এখানে দিতে পারেন না।

ডিফেন্সের কাছে আমি আশা করেছিলাম যে, মমতাজ বেগমের এজাহার যেহেতু তারা আদালতে উপস্থাপন করেছে সেহেতু এই মমতাজ বেগমকে তারাই সাক্ষী হিসেবে আদালতে আনতে পারত। কিন্তু ধরা পড়ে যাবার ভয়ে তারা আর মমতাজ কে আনেনি। আদালত এই এভিডেন্সের কনো প্রোবেটিভ ভ্যালু নেই, এমনটাই মনে করেছে।

৫৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

শামীম আরা সনি বলেছেন: আপনাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অনেকে এটাক করেছে অনেকে, জাস্ট ডু নট এন্টারটেইন দেম !

আপনার পোস্ট ভালো হয়েছে, সেটাই আসল :)

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

৬০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ইমরানকে কেউ সাহায্য করেছে বলে আমার জানা নেই। পারলে প্রমাণ সহ দেখান।
--এর থেকে জোকস আর কি হইতে পারে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমার ধারনা এইটা ভালো জোক্স না। আপনি কিছুক্ষন পর পর এসে ধরা খেয়ে যাচ্ছেন, আজকের সেরা জোক্স এইটা। আমার একটা কথার উত্তর দেয়ার ক্ষমতা নেই, অথচ কিছুক্ষন পর পর এসে জোকারি করে যাচ্ছেন।

৬১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: লেখক,
ছাগুদের সাথে আপনার ফাইট চলুক। আপনার সাথে আছি। সাহস রাখুন। সত্য সত্যই। আমরা তরুন প্রজন্ম সত্যের জন্য অনন্তর লড়াই করে যাব।

পোস্ট সোজা প্রিয়তে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৬২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

রিয়াদ হাকিম বলেছেন: কাদের মোল্লার ফুল রায়ের লিঙ্ক দিতে পারেন?

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: Click This Link

৬৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: মন্তব্যে কতগুলো গর্দভকে পাইলাম। আইনের আ-ও বুঝে না, কথা প্যাচাইতে আইছে। কাঠাল পাতার কি শর্ট পরছে নাকি ?



পোস্টে প্লাস এবং প্রিয়তে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: হা হা হা, ভাই ছাগুদের জ্বালায় ক্লান্ত হয়ে গেছি। যারাই তর্ক করতে আসলো একজনও রায় পড়ে আসেনি। এই ট্রাইবুনালের কোনো খোঁজই রাখে না। খামাখা তর্ক করছে

৬৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

শামীম আরা সনি বলেছেন: আর আমার জানামতে শেখ হাসিনার বেয়াইয়ের বাপ রাজাকার ছিলো

দাদা আপনার এই লাইন ধরে আমি একটু কিছু বলতে চাই।

আমিও যতদূর জানি সে শান্তিকমিটিতে ছিলো, শান্তিকমিটিতে থাকলেও সে খুন, ধর্ষন, ধর্ষনে ইন্ধন, অগ্নিসংযোগ করেছে কিনা করে থাকলে সেটা নিয়ে তো মামলা করার সুযোগ রয়েছেই।
বিএনপি সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মামলা করলোনা, আর এখনও বা কেন কেউ মামলা না করে মূল্যহীন কার্টুন আকাচ্ছে বাচ্ছাদের মত।
মানবতাবিরোধী অপরাধ কেউ করে থাকলে সে যদি জীবিত নাও থাকে সেটা প্রমান করে তাকে দেশের বিবেকের কাছে গিলটি থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।
উই অল আর ম্যাচিউরড সো উই ওয়ান্ট ম্যাচিউর বিহেভিয়র।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমি আসলে এতদিন সত্য সত্যই জানতাম যে হাসিনার বেয়াই রাজাকার ছিলো না। নীচের পোস্টটা পড়েই শিওর হয়েছিলাম। আপ্নিও দেখতে পারেন। তবে উনি অপরাধী হলে অবশ্যই এবং অবশ্যই বিচার হতে হবে। কোনো কথা নাই। অপরাধী যেই হোক।

http://www.amarblog.com/iftheker/posts/94548

৬৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: লেখক .... ছাগুগুলারে জিগান সাইদীর যে একটা রাফ কেরেক্টারের মৌলবি তাদের সন্দেহ আছে নাকি ? ফোনসেক্স এর অডিও গুলো ফলস প্রমান করবে তারা চ্যালন্জ দিয়েছিল। এইটা নিয়া জিগাইলে এখন চুপ করে থাকে কেন .....

৬৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

মিজান আফতাব বলেছেন: ম খা আলমগীর ও খন্দকার মোশারফসহ যে-ই যুদ্ধাপরাধী প্রমানিত হন তবে তারা মাফ পাবেন না। বিচার তাদেরও হতে হবে। আমি ৭১ এ তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রায় তিন মাস কাজ করেছি। তাদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষন, লুটপাট এর প্রমান পাইনি। ম খা আলমগীর ও আশিকুর রহমান ৭১ এ পাকিস্তান সরকাররের এ ডি সি ছিল। এটা সত্য হলেও কোন হত্যা/নির্যাতন/ধর্ষনের প্রমান পাওয়া যায় না। একটাও না।

আর প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই খন্দকার মোশারফের বাবার নাম ছিল রাজাকার নুরু মিয়া। সে শান্তি কমিটির নেতা ছিল এবং রাজাকার ছিল বলে প্রমান পাওয়া যায়। খন্দকার মোশারফ এর কোন হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষনের প্রমান এখনো পাওয়া না। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফরিদপুরের প্রায় ২৫/৩০ জন বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের বক্তব্যের ্অডিও আমার সঙগ্রহে আছে।

বিষয়গুলো ফাইন্ড আউট করতে আমি একটি পোস্টও দিয়েছিলাম। Click This Link করো হাতে কোন প্রমান থাকলে আমাকে দিতে পারেন।

সময় নিয়ে আরো বিস্তারিত কমেন্ট করার ইচ্ছা ছিল সময় স্বল্পতায় পারলাম না।

৬৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

শামীম আরা সনি বলেছেন: ছাগু হইতে বেশীকিছু করতে হয়না, ২০ টাকার একটা টুপি কিনে মাথায় দিয়ে দূর্গন্ধওয়ালা আতর মেখে ঝাল্লামা ;) ছাইদীকে নবী মানলেই ছাগু হওয়া যায় :)

ঠকগুলা কোথাকার !

মানুষ হতে হলে পড়াশুনা জানতে হয়, করতে হয়, যুক্তিতর্ক মানতে হয় :-B

৬৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১

পিচ্চি পোলা বলেছেন: মামা, ছাগুত্তোরগুলো দেখে খেপে যাবেন না। ওরা আরো উসকানি নিয়ে আপনাকে বেঁফাস কথা বলতে প্ররোচিত করবে। একটু ফাঁক পেলেই সেগুলো নিয়ে কাহিনী বানাবে। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দেবে। ছাগুরা সব পারে!! কাবার ইমামদের নাম ভাঙাতেও পারে, ওআইসি মহাসচিবের নামে মিথ্যা বিবৃতি আবিষ্কার করতেও পারে, ইকনমিস্ট, আউটলুক, আল-জাজিরার মতো মিডিয়ার সাংবাদিক থেকে শুরু করে দেশি মিডিয়ার হাফিজ মফিজদের টাকার বিনিময়ে কিনে ফেলতেও পারে।
অনেক সুন্দর পোস্ট। অনেক ধৈর্য্য ধরে পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ।

নিচের মান্যবরও বিশ্বাস করেন না, সাঈদী ছাহেব ঘৃণ্য রাজাকার ছিলেন। /:)

৬৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

দন্ডিত বলেছেন: সব ছাগুরা ভিন্নদিকে ত্যানা প্যাচাতে ওস্তাদ।

৭০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

আজিব শিমু বলেছেন: আপনার লেখায় পক্ষপাতিত্ব খুবই স্পষ্ট। সেই পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে সরকারের কিছু অযৌক্তিক কর্মকান্ডকে বৈধতা দেয়ার প্রচেষ্টা।
আপনি বলতে চেয়েছেন যে , বিচারপতি নিজামুল হক ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এটা তো আমরাও জানি। তাই বলে কি আমাদের মেনে নিতে হবে যে উনি সত্যিই ব্যক্তিগত কারনে পদত্যাগ করেছেন?
ভাই উকিলরা তো অনেক বুদ্ধিমান হয় জানতাম। আপনার এই লেখাটি পড়ার পরে আমার সেই ধারনা আর রইলো না।
আমার ধারনা সামুর ইতিহাসে সবথেকে বিরোধীতার স্বীকার হয়েছে এই স্টিকি পোষ্টে। যাই হোক আপনার কিছু অযৌক্তিক যুক্তিতে মনে হয় যে ভাবেই হোক আপনাকে জিততে হবে।
শুধু কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেন। শুধু উত্তর দিবেন।
১। আপনার ১০৫ নং কমেন্টে বলেছেন হা হা, ভাই ছাগুদের জ্বালায় ক্লান্ত হয়ে গেছি। যারাই তর্ক করতে আসলো একজনও রায় পড়ে আসেনি। এই ট্রাইবুনালের কোনো খোঁজই রাখে না। খামাখা তর্ক করছে
আমি কি ধরে নেব যে আপনার পোষ্টের বক্তব্যের কেউ বিরোধীতা করুক তা আপনি চান না? চান না বলেই ঢালাও ছাগু মন্তব্য করে পার পেয়ে যেতে চাচ্ছেন?
আমি তো দেখলাম প্রচুর কমেন্ট এসেছে এই পোষ্টের যুক্তি খন্ডন করে। আপনি সেগুলোর অত্যন্ত হাস্যকর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

যেমন দেখেন একজন বলেছে পিরোজপুরের রাজাকারদের কমান্ডার কে ছিল, তাকে কেন ধরা হল না?
তাদের আগেই সাঈদিকে কেন?
আচ্ছা শুধু পিরোজপুরে না সবগুলো জেলারই শান্তি কমিটির প্রধান আছে, আছে থানা শান্তি কমিটির প্রধানরাও। তাদের সাথে সক্রিয় কমিটিতে ছিল এমনও কত কত রাজাকার আছে । এসবের আগেই সাঈদিকে কেন ধরা হল?
এসব প্রশ্নের বাস্তবসম্মত ও য়ৌক্তিক উত্তর একটাই। আর তা হল রাজনৈতিক কারনে। এছাড়া আপনি উল্টাপাল্টা যুক্তি দিলেও সেটা গ্রহনযোগ্য হবে বলে তো মনে হয় না।
২। যেখানে গো. আজম ,নিজামি , মুজাহিদদের মত চিহ্নিত রাজাকাদের ধরা হল , সেই একই কাতারে সাঈদি কি পরে? যদি উত্তর হাঁ বলেন তবে ভাই আপনার থেকে বড় দলকানা আর কেউ আছে বলে মনে হয় না।
৩। স্বাধীনতা পরবর্তীতে মোট ৩৬০০০ রাজাকারকে সরাসরি গ্রেফতার করেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এরাই সব ছিল লিস্টেড রাজাকার। তাদের মধ্য থেকে ২৬০০০ কে সাধারন ক্ষমা করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বিচারপতি সায়েক সিএমএলএ থাকা অবস্থায় বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হওয়া সত্বেও তাদের মুক্ত করে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের নথিতে সেই লিষ্ট আজো আছে। এই ৩৬০০০ এর লিষ্টে সাঈদির নাম নাই। এখন বলেন সাঈদি কতটা ইম্পর্টেন্ট রাজাকার যে তাকে আজ প্রথম সারির সাথে বিচারে বসাতে হল?
স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরে কি তার রাজাকারী ইমপ্রুভ হয়েছে?
এর যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর একটাই, আর তা হল বিচারটা রাজনৈতিক।
৪। এবারে আপনি এ পর্যন্ত মানবেন বলে আমি আশা করি না। আপনার পূর্ববর্তী কমেন্টে সে রকম মনে হয়নি যে আপনি কোনো যুক্তির ধার ধারেন। শুধু একবাক্যে বলে দেই, আজ যাদের আপনি ছাগু বলছেন তারা তো বটেই সাধারন অনেক মানুষের মনেই কিন্তু এসব প্রশ্ন আছে। এবং সেটা শুধু সাঈদির কারনে হয়েছে। গো. আজম , মুজাহিদ বা অন্যরা যে রাজাকার ছিল তা জামাতও জানে। সুতরাং তারা কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে এতটা প্রবল বিরোধীতা করতে পারতো না। এখন রাজাকার বলে যাকে কেউ কোনোদিন শোনে নি তাদের বিচার যদি প্রথমেই শুরু করেন তবে তো এ প্রতিক্রিয়াই স্বাভাবিক।
৫। এই রাজাকার বলে কেউ কোনোদিন শোনেনি, কথাটা দেখেই আপনি ল্যাঞ্জা নাড়ানো শুরু করবেন জানি। তাই বলছি, বরিশাল বিভাগের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিল বীরোত্তম। তিনি তো পরে বঙ্গবন্ধুর আমলে রাজনৈতিক বন্দি হন, চকরু চলে যায় তার। যাই হোক বরিশালের সেই গর্বিত সন্তান আজ বেঁচে নেই ।
তবে সেখানকার ডেপুটি কমান্ডার বেঁচে আছেন, তিনি বীরোত্তম শাহজাহান ওমর। রাজাপু বা কাঠালিয়া থানার যে কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন তার সম্পর্কে। ৬ বার এমপি হয়েছেন এই ভদ্রলোক।
তিনি স্পষ্ট বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সাত মাসই বরিশাল মুক্তাঞ্চল ছিল। এবং সাঈদি নামের কোনো রাজকার আছে তা আমি কখোনো শুনিনি। সেই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াউদ্দিন । এই জিয়াউদ্দিন ছিলেন পিরোজপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। তিনি আওয়ামী রাজনীতি করেন। পিরোজপুর সদর, মঠবাড়ীয়া, হুলারহাট, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী ( বর্তমানে জিয়ানগর) সবগুলো থানায় তার নেতৃত্বে অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। সেই জিয়াউদ্দিনও স্পষ্ট স্বীকার করেছেন যে সাঈদি নামের কোনো রজাকারের কথা তিনি কখোনো শোনেন নি।
এমনকি পিরোজপুরের যিনি বর্তমান এমটি সবাই তাকে মহা দুর্নীতিবাজ বলে চেনে, আওয়ামী লীগ এর এমপি আউয়াল মিয়ার মুখ থেকেও এই সরকারের আগে কখোনো কেউ শোনেনি যে সাঈদি রাজাকার। এই আউয়াল সাহেবও বীর মুক্তিযোদ্ধা।

৬। পিরোজপুরেরই আর একটি আসন হল পিরোজপুর ৩ , মঠবাড়িয়া । সেখানকার সরকার দলীয় এমপি ডা. আনোয়ার হোসেন শুধু একজন রাজাকারই না , যুদ্ধাপরাধীও। কয়েকমাস আগে এই বিষয়টি নিয়ে এটিএন বাংলায় একটি ডকুমেন্টারী প্রচারিত হয়েছিল।
সেখানে সোনাখালি বদ্ধভূমিতে যে ২০০ লোককে চোখ বেধে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল তার বর্ননা দেয়া হয়। তখনকার শান্তি কমিটির নেতাদের মধ্যে এই ডা. আনোয়ার হোসেন ও তার বাবা এসাহাক হাজি ছিল।
মঠবাড়িয়ার প্রধান স্কুল কে এম লতীফের কৃতি সন্তান গনপতি হালদারকে এই ডা. আনোয়ার , তার বাবা এবং হেমায়েত সুফি গং রা মেরে ফেলে। এর কিছুদিন পরে শহীদ মোস্তফা, আরেক কৃতি ছাত্র তাকেও স্কুল মাঠে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সেখানকার ভিকটিমদের পরিবার সেই ডকুমেন্টারীতে কেউ কেউ মুখ খুলেছেন। আবার কেউ ভয়ে মুখ খোলেননি। আর এই বিষয় সাঈদির মত না। সেখানকার সবাই জন্ম থেকেই এই সব রাজাকারদের নাম শুনেছে। এমনকি ডা. আনোয়ারের পিতা সম্পর্কে একটি কথা আজো প্রচলিত আছে। তাকে যখন মুক্তিযোদ্ধারা গ্রেফতার করে ১৮ ডিসেম্বর। সেদিন তাকে বলা হয়েছিল যে আপনি বলেন জয় বাংলা। না হলে এখনই মেরে ফেলব। কিন্তু সে তা বলে নি। সে বলেছে পাকিস্তান জিন্দাবাদ। তখোন তাকে কুপিয়ে কুপিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মেরে ফেলে। এখন বলেন ওই জেলায় যখন বিচার শুরুই হল , তখন এসব চিন্হিত রাজাকারদের রেখে সাঈদি কেন?
৭। আমি জানি আপনার কাছে উত্তর আছে। কোনো না কোনো উত্তর দিবেনই। যেমন আপনার একটা এড়িযে যাওয়ার জনপ্রিয় উত্তর হল, তাহলে আপনারা মামলা করছেন না কেন?]
ভাই কে মামলা করবে? আপনি তো উকিল,. বুকে হাত দিয়ে বলেন তো আজই আপনি এটিএনে গিয়ে সেই ডকুমেন্টারীটার কপি চাইবেন কিনা। আজই আপনি স্ব উদ্যোগে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া গিয়ে সব শুনে আসবেন কিনা? আর সব শোনার পরে এই আওয়ামী এমপির বিরুদ্ধে মামলা করবেন কিনা?
করবেন না। এমনকি প্রমান করার চেষ্টাও করবেন না। আপনাদের যত কপকপচানি তা কেবর জামাতের নেতাদের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া এটাকে বলে না।
৮। আপনি আর একটি কথা হয়তো বলতে পারেন, আপু আমি তো স্বাক্ষ্য প্রমান সংক্রান্ত বিষযে কথা বলেছি। ভাই আমি এসব আইনি টার্মে যাব না।
আপনি আস্তিক হলে আল্লাহ আপনাকে যে টুকু শিক্ষা দিয়েছে, যে টুকু জ্ঞান দিয়েছে তা আপনি কি কাজে ব্যবহার করছেন তারও একটি হিসেব এই বিশ্বভ্রম্বান্ডের মালিক একদিন নেবেন। আর নাস্তিক হলে হয়তো বলতে হবে প্রকৃতি এর হিসেব নিবে। শুধু জেনে রাখবেন এদেশে সাক্ষির কখোনো অভাব হয় নি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে মর্মে তারই ভাই শেখ সেলিম তো সাক্ষ দিয়েছিল। এটা যদি সত্য হয় তবে তো তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ারই নৈতিক অধিকার থাকে না। সেক্ষেত্রে আপনারা কোন সরকারের কাছে বিচার চাইছেন?
সুতরাং সাক্ষ্য দেওয়ানো যায়। উপযুক্ত ও সঠিক একটি ট্রাইবুনাল হলে সেই সাক্ষি কতটা সঠিক ও কতটা বেঠিক তা বের হয়ে আসতো। কিন্তু সেটা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন এখন কোটি কোটি মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

আপনি শুধু জেনে রাখেন , আজ এই দেশপ্রেমের নামে , যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মত সেনসিটিভ একটি বিষয় নিয়ে যারা রাজনীতি করবে তাদের এই দেশের মানুষ আবারো ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এতে আমার অন্তত কোনো সন্দেহ নাই। একবার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার নিয়ে যে ঢাল সৃষ্টি করেছিল এই আওয়ামী লীগ সরকার তা তাদের ২০০১ এ ক্ষমতায় নিয়ে যেতে পারেনি। আর সেই জুজু মিথ্যা প্রমানিত হয়েছিলো। খালেদা সরকার কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ছেড়ে দেয়নি।
এবারো খালেদা সরকার আসলেও কোনো প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী চাড়া পাবে না। বরং আওয়ামী লীগের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এইসব পাপিষ্ঠদের বিচার নিশ্চিত হবে।
এই দেশটা প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের। এই দেশটা যারা সত্যিকার অর্থে দেশ গড়তে চেয়েছেন তাদের অর্জন ও ত্যাগের ফসল। এই দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছে। যারা আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে , প্রকৃতপক্ষে খোলা মনে তাদের বিচার করতে পারলে এক তিল পরিমান বাধা আসার কথা না। কোনো ভাবেই এদেশের মানুষ স্বাধীনতা বিরোধীতা মেনে নেয়নি, নেবেও না। সেটা পাকিস্তান জুজু হোক , আর ভারত জুজুই হোক। সুতরাং বিচারের নামে রাজনীতি বন্ধ করে, সত্যিকারের দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে যদি একটি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা হত। আর তারা সুপারিশ করতো যে কার কার নামে মামলা হবে, তবে সেই বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে এত প্রশ্ন আসতো না।
এই সরকারও যদি চায় যে এ বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে না। তবে তা তারা পারে। তারা একটি স্বাধীন কমিশন করে দিক। প্রয়োজনে একটি স্বায়ত্বশাসিত অধিদপ্তর করে দিক। তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কাজ করবে। যে সরকারই আসুক সেই কাজ চলতে থাকবে। গোজামির দিয়ে শেষ রক্ষা হয় না। কোনোদিন হয়েছে বলেও শুনিনি।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমার পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট হবারই কথা। কেননা আমি রাজাকার দেইল্লার বিপক্ষে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আমি বলব এটাই স্বাভাবিক। আর আমার উত্তর আপনার হাস্যকর লাগতেই পারে। এটা আপনার অপিনিয়ন।

সাঈদী জীবনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ধারন করে বেঁচে ছিলো। এটার প্রমাণ এই পোস্টেই আছে- Click This Link

সে সময় সে পরিচিতি ছিলো দেলু শিকদার নামে। এটা বলা বাহুল্য।

আপনার পুরো মন্তব্যটা ক্র্যাপ কথা বার্তায় ভরপুর। আমি এই পোস্ট লিখেছি সাঈদীর ফাঁসীর রায় এবং এই সংক্রান্ত নানা বিষয়ের কথা বলবার জন্য। দেশের রাজনীতি কিংবা সেলিম কার কাছ থেকে কত নিলো এইটা নিয়ে না। এগুলো নিয়ে কথা বলতে হলে অন্য পোস্টে যখন রাজনীতি নিয়ে লিখব তখন আলোচনা করবেন।

বিচারপতি পদত্যাগ করে তার গাটস এর পরিচয় দিয়েছেন এবং তদন্ত যাতে ভালোভাবে হয় সে সুযোগ করে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন এবং এটাই আমরা জানি। একজন আইনজীবি হিসেবে আমি যা জানি কিংবা দেখেছি সেটাই বলি। আপনার মত কল্পনা করে কথা বললে লেখার মেরিট নষ্ট হয়।

১৯৭১ এর প[অর যখন রাজাকার এর লিস্ট করা হয়েছিলো তখন অনেক রাজাকারের নামই বাদ পড়েছিলো এডমিনিস্ট্রেটিভ বিভিন্ন জটিলতায় কিংবা নানান বিষয়ের ফাঁদে পড়ে। সাঈদীর নাম তখন আসেনি বলে পরে পাওয়া যাবে না এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। আপনার অবগতির জন্য জানাই যে ১৯৮৭ সালে মাসিক নিপুনের অগাস্ট সংখ্যায় এই সাঈদীকে নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট হয়। সেখানে বলা হয় তার নৃশংসতার সকল ইতিহাস।

সাঈদীর ফোন সেক্সের ইতিহাস তো সবারই জানা। তো এতবড় আলেম সাহেবের ফোন সেক্সের সংলাপ নিয়ে আপনাকে কিছু বলতে শুনলাম না। কারন কি? নাকি এইটা মিথ্যা?

৭১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

ফেরদাউস দেশী বলেছেন: ধন্যবাদ আজিব শিমু। যুক্তিসহকারে অনেক না বলা কথা লেখার জন্য।বিষয়গুলো সম্পর্কে অনেক জানার আছে। জানার চেষ্টা করছি।

৭২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: বেশ কিছু বিচার বিরোধী ছাগু দেখা যাচ্ছে, যা প্রমান করে আপনি সঠিক পথেই আছেন। সাধুবাদ জানাই চমৎকার এই পোষ্টের জন্যে, আমি নিজেও এরকম একটা পোষ্টের ব্যাপারে বেশ আগ্রহি ছিলাম, এধরনের পোস্ট লিখতে হলে ঘাটাঘাটি করা লাগে কিন্তু সময় পাচ্ছিলাম না। যাই হোক সেই প্রসঙ্গে আর যাবো না। সহজ ভাষায় জানাই অভিনন্দন আপনাকে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে।





আমার জানামতে আপনি শাহাবাগ আন্দোলনের একজন উদ্যোক্তা, সেই হিসেবে আমার নিজের কয়েকটা ছোট ছোট প্রশ্ন ছিলো। আশা করি আপনি উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।

তার আগে আমি আপনার সুবিধারতে দুইটা জিনিস দেখাই আপনাকেঃ


শাহাবাগ আন্দোলনের সাত দফা যেটা শুরুতে ছিলোঃ

১। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মিরপুরের জল্লাদ খ্যাত কশাই কাদেরের ফাঁসির লক্ষ্যে সরকারকে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।

২। যে আইনের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত প্রয়োজনে সেই আইনকে ন্যুনতম সময়ের মধ্যে সংশোধন করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য এই মুহুর্তেই সংশোধনী এনে কাদের মোল্লার রায় পুনপর্যালোচনা করতে হবে। এই বিচারকার্যের সাথে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষিত, বিশেষজ্ঞ আইনজ্ঞ এবং শহীদ পরিবারদের অঙশগ্রহণে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে হবে।

৩। ট্রাইবুনালকে একটি স্থায়ী রুপ দিতে হবে এবং সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। একাত্তরে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের সকল ঘটনা নথিবদ্ধকরণের লক্ষ্যে সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করতে হবে।

৪। অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করে অনুচ্ছেদ ৪৯ এ একটি নতুন উপধারা যুক্ত করতে হবে, যেন যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে দন্ডিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ঘোষনার ক্ষমতা বাতিল করতে হবে।

৫। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী দল এবং ব্যক্তিদের বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকার নিষিদ্ধ করতে হবে।

৬। জামাত নিয়ন্ত্রিত সকল আর্থিক এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অর্থায়নের অভিযোগ তদন্তের জন্যে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারী প্রশাসক নিয়োগ দিতে হবে। এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করতে হবে।

৭। যুদ্ধাপরাধের বিচারে পাকিস্তানকে অর্ন্তভুক্ত করার জন্যে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে ট্রাইবুনালের অধীনে আনতে হবে।



পরবর্তীতে ছয় দফা দাবীঃ

১) ঘাতক জামাত শিবিরের হামলায় শহীদ রাজীব হায়দার, জাফর মুন্সী, বাহাদুর মিয়া, কিশোর রাসেল মাহমুদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

২) ২৬ শে মার্চের পূর্বে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক সন্ত্রাসী জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যায় নেতৃত্বদানকারী জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সংশোধনী আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন এবং নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

৩) অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোর আর্থিক উৎস, যেসব উৎস থেকে সকল প্রকার জঙ্গিবাদী, এবং দেশবিরোধী তৎপরতার আর্থিক জোগান দেয়া হয়, সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।

৪) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল ও অব্যহত রাখতে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে।

৫) গণমানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাস ও তান্ডব বন্ধে অবিলম্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সকল সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ গোপন আস্তানা সমূহ উৎখাত করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এদের ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে দিতে হবে।

৬) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষক এবং হত্যা ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা গণমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।




এই ছিলো শাহাবাগ আন্দোলনের দুইটি আলাদা আলাদা দাবীর তালিকা।

এবার আসুন আমরা রিসেন্ট কি শুনতে পাচ্ছি।


আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধে আর কোনও ব্যক্তিকে তদন্তের আওতায় আনা হবে না মর্মে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিচারাধীন মামলাগুলো ১২ টি তদন্তাধীন বিষয়ে শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে বিচার করার কার্যক্রম সর্বাত্মক সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এইখানে এসেছে এই নিউজ।





ইউটিউবের এই ভিডিওতে রয়েছে আওয়ামী লীগ রাজাকারদের কথা, তাহলে কি তাদের বিচার হবে না?


এবার আসুন আপনাকে দেখাই কিছু রাজাকার কমান্ডার যারা দেইল্লা রাজাকার কিংবা কশাই কাঁদেরের তুলনায় কুখ্যাত ছিলেন।






আরো অনেক রাজাকার যারা সুস্পস্ট ভাবেই গনহত্যায় অংশগ্রহন করেছিলো তাদের বিচার কি তাহলে আমরা পাচ্ছি না?

না নিঝুম সাহেব পাচ্ছি না।


এই প্রসঙ্গে আমি একজন বিম্পি সমর্থক হিসেবে বলতে চাই, উপরের মারকিং করা ঐ দাবীগুলো যেমন ট্রাইবুন্যাল স্থায়ীকরন এবং জামাত নিষিদ্ধকরন এই ব্যাপারে আপনাদের আওয়ামী লীগ যেই চোরা পথে হেটেছে আপনারা তার অনুসারী হিসেবে পুরো শাহাবাগের আন্দোলনকে সেই পথে হাটিয়েছেন।


হ্যা একজন অন্তত একজন রাজাকারকে ফাঁসি আপনারা দিয়েছে যেটি অবশ্যই একটি সাফল্য কিন্তু আপনি শিকার করে নিন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য রাজাকারের বিচার নয়, তাদের মূল উদ্দেশ্য জাশি কে দুর্বল করা। এবং এই সাফল্য হতে পারতো আজকে সমগ্র জাতির কিন্তু সেটি আজ হয়েও হয় নাই কারন আপনার আওয়ামী লীগ এবং আপনার শাহাবাগের আন্দোলনকে ইচ্ছে মতো নগ্নভাবে ডোমিনেট করার কারনে।


হ্যা হ্যা আপনারা খুনীর বিচার করেন নিজ দলে খুনী রেখে দিয়েই। এইটাই আপনাদের অভ্যাস।



সুযোগ ৯৬-০১ এ এসেছিলো আওয়ামী লীগের সেদিন তারা বিচার করে নাই কারন এখানে তাদের স্বার্থ ছিলো না, আজ করছে কারন তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে।


এই সহজসরল সত্যটুকু শিকার করে নিন।


সবশেষে জাতিকে অভিনন্দন অবশেষে আমরা একজন পাতি রাজাকারের ফাঁসি দেখতে পেরে মরতে পারবো।


ধন্যবাদ আবারো আপনাকে।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনার বক্তব্যের শুরুতেই দুইটি ভুল ধরিয়ে দিচ্ছি।

প্রথমত আমি শাহবাগের অন্যতম উদ্যোক্তা নই তবে প্রথম থেকেই আমি এর সমর্থক।

দ্বিতীয়ত, আমি আওয়ামী সমর্থক নই। তবে আওয়ামীলীগের পার্টিকুলার এই বিচার করবার উদ্যোগের আমি পাঁড় সমর্থক। এই ইস্যুতে আমি অবশ্যই আওয়ামীলীগকে সকল ধরনের সাহায্য করতে রাজী।


আমাদের সময়ের যেই নিউজটার লিঙ্ক আপনি দিয়েছেন তা সত্য নয় বলেই বুঝতে পারলাম। কেননা এই মুহূর্তে প্রায় নতুন করে ৬-৭ জনের মামলার তদন্ত ছলছে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমাও দেয়া হয়েছে। যেমন চৌধুরী মইনুদ্দিন এবং আশরাফুজ্জামান। সুতরাং আপনার দেয়া রিপোর্টটা বিবেচনায় নেয়া গেলো না।


একজন বি এন পি সমর্থক হিসেবে আসলে আপনার যেখানে লজ্জায় মাথা হেট করে বসে থাকার কথা ছিলো সেখানে আপনি কোন স্পর্ধায় আমাকে জ্ঞান দিচ্ছেন আমি জানিনা। যেই জিয়ার নির্দেশে ১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর দালাল আইন রদ হয়ে যায়, যেই বি এন পি রাজাকারদের এই দেশে মন্ত্রী বানিয়েছে, সখতা করেছে, যেই বি এন পির নেত্রী সরাসরি ভাষনে বলেছে যে অভিযুক্তরা দোষী না। সেই দলের সমর্থক হয়ে আপনি আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছেন? আসলে একজন চশমখোরেরও কিছুটা লজ্জা থাকে যা একজন বি এন পি'র সমর্থকেরও নেই।

আপনাদের দল তিনবার ক্ষমতায় ছিলো। এই বিচার করেন নি কেন? এতই যখন আন্তর্জাতিক মান, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষতার বুলি আওড়ান তবে বিচার বি এন পি'র আমলে হয় নাই কেন? তাহলে এই বিচার নিয়ে একটা কথা বলার অধিকার কি বি এন পি'র আছে?

আসলে আপনার কথা কি বলব? আপনার দল সরাসরি এই বিচারের বিরোধিতা করছে, জামাতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, প্রত্যেক্টা রায়ের বিরোধিতা করছে আর বিচার বি এন পি কে দিয়ে হওয়াটা তো নিতান্তই হাস্যকর কল্পনা। সেই আপনি আমাকে যে বিচার নিয়ে বলছেন, এটাতেই আমি আসলে বিষ্মিত। মানুষের লাজ-লজ্জার এত করুন হাল কেন?

৭৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: সত্য প্রকাশে ধন্যবাদ।!

৭৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: আজিব শিমু @ এবং ভুল উচ্ছাস @ আপনাদের যুক্তিসঙ্গত লেখা সত্যই প্রশংসার দাবী রাখে। লেখককে উত্তর দিতে হলে যুক্তি ছেড়ে ঝগড়া করতে হবে। ঠিক যাকে বলে কাদা ছোড়াছুড়ি। শালিশ বিচার সবই মানি তালগাছটা আমার। কিছিু দিন আগে একটা লেখা পড়েছিলাম যেখানে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে দেলু রাজাকার বলে ডালে চালে খিচুড়ী করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানতে পারি এই দুই ব্যক্তি সম্পূর্ণ আলাদা। সাঈদী যদি সত্যই রাজাকার হয় তাহলে নির্বাচিত সাংসদ হলেন কিভাবে? দেশের জনগণকি এতোই ভোদাই? রাজনীতির চাল বড়ই জঘন্য। এই জঘন্য চালের মধ্যে নিজেদের মিশিয়ে দুর্গন্ধময় করবেন না।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৯

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: হাস্যকর কথা বার্তা। দেলু রাজাকার আর সাঈদী এক লোক। পড়ুন এই লেখাটি-http://www.somewhereinblog.net/blog/ghaghuBabublog/2979132

৭৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

হাবীব রহমান বলেছেন: সত্য ও সুন্দর লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ। প্রিয়তে নিলাম।

৭৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

রওনক বলেছেন: আপনারা যদি পুরো রায়টি পড়েন তবে মোটামুটি সব সাক্ষীর সাক্ষ্যের সামঞ্জস্যতা এবং বক্তব্য একই ধরনের দেখা যায়।

১২ জন লোক এমনকি একই যাগায় দাড়িয়ে দেখলেও একই ধরনের সাক্ষ দেয় না, যদি না তাদের শিখিয়ে দেয়া হয়।

এটা ামার না আপনাদের, আইনবিদ দেরই কথা।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৯

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: মূল বক্তব্য এক। এক একজন সাক্ষী নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছে। এই সামান্য কথা না বোঝার কি হোলো? মূল ঘটনা তো একই থাকবে বলা বাহুল্য।

৭৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: পিচ্চি পোলা বলেছেন: মামা, ছাগুত্তোরগুলো দেখে খেপে যাবেন না। ওরা আরো উসকানি নিয়ে আপনাকে বেঁফাস কথা বলতে প্ররোচিত করবে। একটু ফাঁক পেলেই সেগুলো নিয়ে কাহিনী বানাবে। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দেবে। ছাগুরা সব পারে!! কাবার ইমামদের নাম ভাঙাতেও পারে, ওআইসি মহাসচিবের নামে মিথ্যা বিবৃতি আবিষ্কার করতেও পারে, ইকনমিস্ট, আউটলুক, আল-জাজিরার মতো মিডিয়ার সাংবাদিক থেকে শুরু করে দেশি মিডিয়ার হাফিজ মফিজদের টাকার বিনিময়ে কিনে ফেলতেও পারে।
অনেক সুন্দর পোস্ট। অনেক ধৈর্য্য ধরে পড়লাম। অনেক ধন্যবাদ।

৭৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গাড়িয়াল বলেছেন: আজিব শিমু @ এবং ভুল উচ্ছাস @ আপনাদের যুক্তিসঙ্গত লেখা সত্যই প্রশংসার দাবী রাখে। লেখককে উত্তর দিতে হলে যুক্তি ছেড়ে ঝগড়া করতে হবে। ঠিক যাকে বলে কাদা ছোড়াছুড়ি। শালিশ বিচার সবই মানি তালগাছটা আমার। কিছিু দিন আগে একটা লেখা পড়েছিলাম যেখানে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে দেলু রাজাকার বলে ডালে চালে খিচুড়ী করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানতে পারি এই দুই ব্যক্তি সম্পূর্ণ আলাদা। সাঈদী যদি সত্যই রাজাকার হয় তাহলে নির্বাচিত সাংসদ হলেন কিভাবে? দেশের জনগণকি এতোই ভোদাই? রাজনীতির চাল বড়ই জঘন্য। এই জঘন্য চালের মধ্যে নিজেদের মিশিয়ে দুর্গন্ধময় করবেন না।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৭

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: হাস্যকর কথা বার্তা। দেলু রাজাকার আর সাঈদী এক লোক। পড়ুন এই লেখাটি-http://www.somewhereinblog.net/blog/ghaghuBabublog/29791329

৭৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

বুরি বলেছেন: লেখক বলেছেন: শোনেন এই রেকর্ড বাজতে বাজতে কান ঝালাপালা। যদি শেখ হাসিনার বেয়াই রাজাকার হয় তাহলে কি তার বিচার হবে না? অবশ্যই হবে এবং হতেই হবে। ট্রাইবুনালে মামলা করছেন না কেন? বি এন পি এতবছর ক্ষমতায় ছিলো, কেন মামলা করলো না

লেখক বলেছেন: আমি আসলে এতদিন সত্য সত্যই জানতাম যে হাসিনার বেয়াই রাজাকার ছিলো না। নীচের পোস্টটা পড়েই শিওর হয়েছিলাম। আপ্নিও দেখতে পারেন। তবে উনি অপরাধী হলে অবশ্যই এবং অবশ্যই বিচার হতে হবে। কোনো কথা নাই। অপরাধী যেই হোক।


"যদি" ও "তবে" এর প্যাচে ফালাইয়া চলেন নতুন ইতিহাস বলি ;)

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৭

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমি আগেই বলেছি আমি বিশ্বাস করি এভিডেন্স এর উপর। শেখা হাসিনার বেয়াই রাজাকার, এই ধরনের একটি কথা কয়েকদিন আগে বি এন পি'র নেতা এ্যানি এক সভায় বলেছে। এই বিষয় নিয়ে হাসিনার বেয়াই মামলা করেছে। ঠিক তখুনি এ্যানি বলেছে যে আমি শিওর না, আমি ফেসবুকে দেখে বলেছি। এই হোলো অভিযোগের ধরন। হাসিনার বেয়াই এর রাজাকারগিরিরি ইতিহাস এ্যানি এখন দিচ্ছে না কেন? কেন সবার সামনে উন্মোচন করছেনা সব কিছু?

আচ্ছা এ্যানির কথা বাদ দিলাম। আপনি আমাকে বলেন যে হাসিনার বেয়াই এর ১৯৭১ সালের সকল কর্মকান্ডের কথা। একটু জেনে শিক্ষিত হই। চলেন...

৮০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মামুন হতভাগা বলেছেন: এরকম পোস্ট আপনার কাছ থেকে আরও আগে আশা করেছিলাম।যাই হোক অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং পোস্ট শোকেসড

৮১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অহনা বলেছেন: আপনার সব কথাই মেনে নিতে প্রস্তুত শুধু একটা বিষয় নিশ্চিত করুন, দেলু শিকদার আর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কি এক?
স্বয়ং বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জিয়াউল হকের সঙ্গে কথোপকথনে স্বীকার করেছেন জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে দেলু শিকদারকে সাঈদী বানানো হয়েছে। এবং তিনি গর্বভরে বলেছেন এমন পাকা কাজ যে কেউ কোনওদিন প্রমাণ করতে পারবে না দেলু শিকদার আর সাঈদী এক নন। এবার বলেন আপনার আমার মতো লোকের পক্ষে কী করে সম্ভব সত্য-মিথ্যা চেনা?
সাঈদী যে সাঈদী সেই প্রমাণ আদালতে দেয়া হলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি...এক্ষেত্রে কী ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা অবলম্বন করেছে বিচারকরা তাও পাবেন ফাঁস হওয়া সংলাপে।...
সবশেষ দাবি- নিজামুল হক নাসিমকে কসম করতে বলুন, যদি সাঈদী অপরাধী হয় তবে আল্লাহ তার শাস্তি দিন আর যদি অপরাধী না হন, তার প্রতি অপবাদ আরোপ করা হয়ে থাকে অথবা অবিচার হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট বিচারক হিসেবে যেন তার সন্তানের মৃত্যু হয়....যখন কোনও অপরাধে কনফিউশন তৈরি হয় তখন আল্লাহর নামে চারবার কসম খা্ওয়ার আইনী পদ্ধতি আছে শরীয়াহভিত্তিক আইনে। আল্লাহ নিজেই এর সমাধান করে দেন....পারবেন কেউ এই চ্যালেঞ্জ নিতে?

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৬

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: হ্যা এক। এই লেখায় বিস্তারিত বলেছি- Click This Link

৮২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০২

আলাপচারী বলেছেন: অভিনন্দন। দরকারী ও প্রয়োজনীয় লেখা।

৮৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৮

আশীষ কুমার বলেছেন: ৫ জন মিলে ১ জনকে খুন করলো।
২ জন ধরা পড়লো আর ৩ জন পলাতক।


আদালতে দাঁড়িয়ে ধরা খাওয়া ২ জন কইলো যেহেতু খুন ৫ জনে মিলে করছি তাই বিচার করলে ৫ জনেরই করতে হবে। শুধু ২ জনের বিচার করা যাবে না। এইটা মানবাধিকার লঙ্ঘন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে হচ্ছে না, এই বিচার স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হবে না।

বিচারে সবার ফাঁসির রায় হলো। সেই দুইজনের পেছনে কিছু লোক্ও দাঁড়িয়ে গেলো...তারা বলতে লাগলো...

'যেহেতু বাকি ৩ জনকে ধরা হয় নাই, তাই এই বিচার মানি না। এইটা কোন বিচার হলৈ নি? সরকার তার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে...হেন তেন...অতএব...

৮৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১১

ShusthoChinta বলেছেন: জামাতি রাজাকারদের বিচার হোক,ফাঁসি হোক কোন সমস্যা নেই,কিন্তু এখন প্রশ্ন হল রাজাকার কি এই কয়েকজন ই? বিচারাধীন মাত্র এই নয়জন রাজাকারের বিচার করতে পারলেই কি সত্যিই আমাদের দেশ কলংকমুক্ত হবে? উত্তর যদি না হয় তাহলে দেশের দলমত নির্বিশেষে জীবিত সমস্ত রাজাকারের বিচারের দাবি নিয়ে সুস্পষ্ট দাবি কেন উঠে আসছে না শাহবাগ থেকে? কেন আপনারা জামাত শিবিরের মতোই আওয়ামী রাজাকারদেরকে নিরাপরাধ প্রমাণের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন? যদি তারা সত্যিই রাজাকার না হয় তাহলে সেটা প্রমাণ করার দায়িত্ত্ব কি আপনাদের? অভিযোগ উঠলে তা প্রমান হবে আদালতে,আপনারা কেন নিজেরা দায়িত্ত্ব নিয়ে তাদের নিদোর্ষ প্রমাণে ব্যস্ত হচ্ছেন? আপনারা যেমন বেয়াই মশাররফকে নির্দোষ প্রমান করতে বেশ ভাল প্রমাণাদি উপস্থাপন করছেন প্রায় তেমনি প্রমান সাঈদির ক্ষেত্রে জামাত উপস্থাপন করছে,কিন্তু আল্টিমেট সিদ্ধান্ত আর রায় আদালত দিচ্ছে,তাহলে আপনারা প্রাণপাত করছেন কেন? জামাত শিবিরের সাথে আপনাদের পার্থক্য থাকছে কোথায় তাহলে?

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: সকলের বিচার চাই

৮৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৬

ইখতামিন বলেছেন:
ডাক্তার আইজূ বলেছেন:
গাড়ী পুড়ানি ১৫ হাজার - গাড়ী ভান্গা ৫ হাজার- ঝটিকা মিছিল দুই শ টাকা!!
বাশের কেল্লার পার ষ্ট্যাটাসে আর সেই ষ্ট্যাটাসের লাইকের রেট কি? কিউরিয়াস মাইনড ওয়ানটস টু নো!!


পোস্ট ভালো লাগলো.

৮৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫১

সৈকত ইকবাল বলেছেন: সময়োপোগী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। যারা এখনো সাঈদী সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে ভুগছে তাদের মস্তিষ্ক ও মননের কিঞ্চিৎ উপকার হলে ভাল।
আর দলকানা, রাজাকার ও রাজাকারপন্থীদের কথা এখন নাইবা বললাম।
ভাল থাকবেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২০

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

৮৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৬

বুনো বলেছেন: পড়লাম, অবশ্যই কিছু জানতে পারলাম। অপরাধ প্রমাণিত হলে দুটি নয় একটিতেই ফাঁসি দেওয়া যথেষ্ট। যেহেতু ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা সাইদি'কে সনাক্ত করেছে, কাজেই তার তার ফাঁসির আদেশ হতেই পারে। মফিজ উদ্দিন পসারীকে পাকিস্তান ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়াও 'প্রত্যক্ষদর্শী অনুপস্থিত' মিথ্যাচারের ভালো জবাব।
যদিও এই প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের কারও কারও ঝুড়িতে করে টিন নিয়ে যাবার মত সাক্ষ্যও ব্লগে, ফেসবুকে পাওয়া গেছে। এগুলোর সত্যতা এবং রাষ্ট্রপক্ষের ডিফেন্ড জানতে পারলে ভালো হতো। সেক্ষেত্রে উক্ত সাক্ষীদের সাক্ষ্য কপিও সরবরাহ করবেন আশা করি।

১০নং মামলার জন্য আপনি আপনার আরেকটি পোষ্টের লিঙ্ক দিলেন। এখানে মূল বিষয় কিন্তু সুখরঞ্জনকে কোথায়, কিভাবে গুম করল; এবং সেটা নিয়ে যুক্তি তর্ক করে সরকার এবং জামাতের একে অপরকে দায়ী করা নয়। সিসিটিভি'তে গুমের সাথে জড়িত জামাতের ক্যাডার দেখানো না গেলে, মানুষ এই সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য আমলে নিবেই। কারণ সে ভিক্টিমের ভাই, প্রত্যক্ষদর্শী এবং ধর্মীয়ভাবে সনাতন।
তার এই ভিডিও সত্যি হলে তাকে পরবর্তীতে প্রসিকিউশনের সাক্ষী রাখার পিছেও কারণ নেই। বরং সেটি জামাতেরই সোনার ডিম পাড়া হাঁস।
আপনার পোস্ট যদি ব্লগার এবং সাধারণ মানুষের জন্য হয়, তবে ভিডিওটি নিয়ে আলাপ করুন। কারণ এই ভিডিও সাইদির পক্ষে জনমত গড়তে সাহায্য করছে।
আর, গুম হওয়ার বিষয়টি সুস্থ্য মানুষের চিন্তার উপর ছেড়ে না দেওয়াই ভালো। তাতে প্রকৃত অপরাধী ধামাচাপা পড়তে পারে। যেমনটি ত্বকী'র ক্ষেত্রে হয়েছিল।

আপনি আওয়ামী লীগ করেন, কিন্তু ট্রাইবুন্যালের একজন হিসেবে তো মানুষ আপনার কাছে ভিন্ন কিছু আশা করতেই পারে। রাজাকারের পোষ্টে রাজাকার নিয়ে কথা বলাও তো অমূলক নয়। ভুল উচ্ছ্বাসকে ব্লক করে দিলেন কেন??

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনার কথা কোনো সেন্স ক্রিয়েক্ট করে না। অযথা তর্ক করছেন। সুখরঞ্জন বালি যদি গুম হয়েই থাকে তবে গুম হওয়া অবস্থা থেকে সুন্দর সুন্দর ভিডিও ছেড়ে যাচ্ছে, ভাবতে ভালোই লাগে। গ্রামের এক দরিদ্র ব্যাক্তি যিনি টেকনোলজির কিছুই জানেন না তিনি গুম হওয়া অবস্থা থেকে কি সুন্দর সুন্দর জামাতের পক্ষে কথা বলে যাচ্ছেন। এটা দেখেইতো বুঝা যায় তিনি কই আছেন।

লিংকে আমি যে লেখার লিঙ্ক দিয়েছি সেটা ভালো করে পড়ে আমার সাথে কথা বলেন। আদারোয়াইজ কথা বলা অর্থহীন। আর আমি ভুল উচ্ছাস নামে কাউকে ব্লক করিনি, আর উনি ব্লক হয়েছেন এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?

৮৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২১

নূর আফতাব রুপম বলেছেন: ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে মানুষকে আহবানকারী সমকালীন বিশ্বের তৌহিদী মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন বিশ্ববরেণ্য মুফাস্সিরে কোরআন আল¬vমা দেলাওয়ার হোসাঈন সাঈদীর ফাঁসির দাবি করে আসছিল শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর। দেশের সুস্থ চিন্তার মানুষ অভিযোগ তুলেছেন; ট্রাইব্যুনাল শাহবাগীদের খুশী করতে আল¬vমা সাঈদীর ফাঁসির রায় দিয়েছে। তারা সাঈদীর বিরচদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, ধর্মান্তকরণ, দেশান্তকরণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনেছে। দু’টি হত্যার অভিযোগে আল¬vমা সাঈদীর ফাঁসির রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
একটি হচ্ছে; ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা মামলা (৮নং অভিযোগ)। কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম স্বাধীনতা পরবর্তী ৭২ সালের ১৬ই জুলাই তার স্বামী কুট্টি ও ভাই সাহেব আলীর হত্যার বিচার চেয়ে একটি মামলা করেন। মমতাজ মামলায় যাদের নাম উলে¬খ করেছেন তারা হলো : দানেশ মোল¬v, আতাহার আলী, আশ্রাব আলী, আব্দুল মান্নান, আইউব আলী, কালাম চৌধুরী, রচহুল আমিন, অব্দুল হাকিম মুন্সী, মমিন উদ্দিন, সেকেন্দার আলী শিকদার, শামসুর রহমান এসআই ও মোসলেম মাওলা। পাক আর্মিকেও এ মামলায় আসামী করা হয় (দৈনিক নয়া দিগন্ত : ০১.০৩.২০১৩ ইং)। উক্ত আসামীদের তালিকায় না আছে বর্তমান সাঈদীর নাম আর না আছে রাষ্ট্রপক্ষ কর্তৃক দাবিকৃত অন্য কোনো নাম। তবে আর কিসের তদন্ত? কেন এত নাটক? মমতাজ বেগম জীবিত থাকা সত্ত্বেও তাকে কেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয়নি? যেখানে ভুক্তভোগীরাই সাঈদীকে আসামী করেননি সেখানে অন্যদের এতো মাথাব্যথা কেন? এ যেন জাহেলী যুগকেও হার মানিয়েছে। ভাব দেখে মনে হচ্ছে ‘মা’র চেয়ে মাসি’র দরদ বেশি’ কী বিচিত্র এদেশ!!!
অন্য মামলাটি হচ্ছে বিশাবালী হত্যা (১০ নং অভিযোগ)। ১লা মার্চ ২০১৩ ইং দৈনিক নয়া দিগন্তের ভাষ্যমতে; নিহত বিশাবালীর ছোট ভাই সুখরঞ্জন বালী ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী। কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে সাক্ষ্য দিতে না এসে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ৫ নভেম্বর। সেদিন তাকে গোয়েন্দা পুলিশ অপহরণ করে নিয়ে যায় ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে।
মাওলানা সাঈদীর বিরচদ্ধে আদৌ হাজির করা সম্ভব নয় বলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যে ৪৬ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়া হয়েছিল তার মধ্যে সুখরঞ্জন বালীর নাম ছিল। যে ১৫ জন সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে তাদের জবানবন্দি ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে তার তালিকায়ও সুখরঞ্জন বালীর নাম ছিল। সেই সুখরঞ্জন বালী এসেছিলেন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে। ৫ নভেম্বর অপহরণের আগে সুখরঞ্জন বালীর গ্রহণ করা সাক্ষাৎকার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল ৬ নভেম্বর। আমার দেশ পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে সুখরঞ্জন বালী বলেছিলেন, ‘সাঈদী সাইব মোর ভাই বিশাবালীকে খুন করে নাই, এডা ডাহা মিথ্যা কথা। মুই মোর ভাইর মরণ লইয়া এই রহমের মিথ্যা কথা কইতে পারমু না’।
তিনি আমার দেশকে বলেছিলেন, ‘মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার আমাকে বলতে বলে সাঈদী সাহেব ছিল এই কথা বলবা। আমাকে দিয়া তারা মিথ্যা কথা বলার জন্য চেষ্টা করছে। তাতে রাজি না হওয়ায় আমাকে তারা আনে নাই। আমিও হেদিকে যাই নাই’। সুখরঞ্জন আরো বলেন; ‘আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে সাঈদী সাহেব কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। এতটি বছরে আমার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের ব্যাপারে মাওলানা সাঈদী জড়িত ছিলেন বলে আমরা শুনতে পাইনি। উনাকে আমরা চিনি। উনি ওয়াজ মাহফিল করতেন। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হলেও উনাকে পছন্দ করি। আমার ভাই হত্যাকান্ডের সাথে তিনি জড়িত থাকলে আমরা আগ বাড়িয়ে এসে সাক্ষী দিতাম’।
সুতরাং এ প্রশ্নতো উঠতেই পারে যে, সুখরঞ্জন সুস্থ থাকা সত্ত্বেও কেন বলা হলো তাকে আদৌ হাজির করা সম্ভব না? এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কেন তার পক্ষে মিথ্যা জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হলো? জবানবন্দী যে মিথ্যা তার প্রমাণ সুখরঞ্জন এর মুখ থেকেই প্রমাণিত।
সুখরঞ্জন বালী দৈনিক আমার দেশকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরো বলেছিলেন, বছর দেড়েক আগে পাড়ের হাট হাইস্কুলে তদন্ত সংস্থার লোকজনের কাছে আমাকে নিয়ে যায় মাওলানা সাঈদীর মামলার বাদী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হাওলাদার। মাহবুব এবং তার সঙ্গীয় মানিক তদন্ত সংস্থার লোকজনের সামনে আমার দুই পাশে বসে। আমার ভাই বিশাবালী হত্যার জন্য মাওলানা সাঈদী সাহেবের বিরচদ্ধে জবানবন্দী দেয়ার কথা বলে। আমি সাঈদী সাহেবের বিরচদ্ধে কথা না বলায় তারা আমাকে মারধর করে। আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলি যে আমি যা মুখে বলব তা যেন লেখা হয়। এ সময় তদন্ত সংস্থার লোকজন মাহবুবকে বলতে থাকেন কাকে নিয়ে এসেছ?। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি। তিনি বলেন, সেখানে কোনো জবানবন্দী আমি দেইনি, কাগজে স্বাক্ষরও দেইনি। এরপর মাহবুব আমাকে বলে সাঈদী সাহেবের বিরচদ্ধে সাক্ষ্য দিলে সে আমাকে দেড় লাখ টাকা দেবে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় সে আমাকে পায়ের রগ কেটে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমি আমার আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাই।
সাক্ষী বলেন, এ ঘটনার পর একদিন আমার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যায় মাহবুবুল আলম। আমি সে দিন বাড়িতে ছিলাম না। তারা আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে বলে সুখরঞ্জন নিখোঁজ মর্মে একটি মামলা করার জন্য। তারা রাজি না হলে বিভিন্নভাবে চাপ দেয়। একপর্যায়ে সাদা কাগজে আমার মেয়ের একটি স্বাক্ষর নিয়ে যায় তারা। এই স্বাক্ষর দিয়ে তারা থানায় জিডি করেছে বলে আমি শুনেছি। সাক্ষী বলেন, আমি ট্রাইব্যুনালে সত্য কথা বলতে চাই।
রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে আসামীপক্ষের চাপে ও অর্থলোভে সুখরঞ্জন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসেছে। আমরা বলবো রাষ্ট্রপক্ষের একথা প্রকারান্তরে এটাই প্রমাণ করলো যে, সুখরঞ্জনকে হাজির করা সম্ভব ছিল। তা ছাড়া সরকার কী আসামীপক্ষের চেয়েও দুর্বল যে, সরকার সাক্ষীকে হাজির করতে পারছে না, অথচ জামায়াত হাজির করে ফেলল? অপহরণের উত্তরে সরকার বলেছে এটা সরকারের কাজ নয়। আমরা বলবো সরকার যদি নাও করে থাকে তথাপি সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধী প্রমাণ করতে সুখরঞ্জনকে হাজির করার ব্যবস্থা গ্রহণ সরকারের নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সরকার তা না করে প্রমাণ করেছে তারা যুদ্ধাপরাধীর সুষ্ঠু বিচার চায় না, তারা চায় আল¬vমা সাঈদীর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় ভীতু হয়ে আপামর জনসাধারণের প্রাণপুরচষ বাংলাদেশে ইসলামী নবজাগরণের রাহবার আল¬vমা সাঈদীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিয়ে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করতে।
এবার আসি শাহবাগীদের প্রসঙ্গে। ওহে বিপদগামী শাহবাগীরা! হত্যাকান্ডের ঘটনায় মাওলানা সাঈদীর উপস্থিতি, নির্দেশনা ও সহযোগিতার মিথ্যা অভিযোগে তার বিরচদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে। শুধু একারণে তোমরা ফাঁসি ফাঁসি খেল খেলতে প্রজন্ম চত্বর করেছো। তবে যখন ম খা আলমগীরের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড ঘটেছে, জাবিতে যখন কুখ্যাত ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরী করে মিষ্টি বিতরণ করার পর আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ধর্ষকের মাথায় হাত বুলিয়েছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার আঘাতে মাটিতে লুটেপড়া মৃত মানুষের উপর নরপিশাচরা নৃত্য করেছে, ২০০৯ সালে সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহে ইতিহাসের জঘন্যতম ও নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়ে নিরস্ত্র ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা খুন করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ভিনদেশী তাঁবেদাররা যখন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে, তখন কোন চত্বরে ব্যস্ত ছিলে তোমরা? নাকি তখন খোলা আকাশের নিচে কুকর্ম সম্পাদন করার সরকারি প্রোটেকশনের অভাবে বের হতে পারনি? ক’দিন আগে রাজশাহীতে ছাত্রলীগ মহিলা পুলিশকে ধর্ষণ করলো, তোমরাতো এখানেই ছিলে, কই কেউ তো মুখ খোলার সাহস করলে না!!!

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: দেলু রাজাকার নিয়ে আপনার জানায় ঘাটতি আছে। ইংল্যান্ডের পত্রিকায় তাকে অভিহিত করা হয়েছিলো জানোয়ারের সাথে। তার চরিত্র সম্পর্ক জানতে আরো পড়ুন- Click This Link

৮৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৪

ধ্রুব মহাকাল বলেছেন: বিশিস্ট দলকানা যুক্তিবাদী ভচ দ্যা বলগার নিঝুম কি পালাইছেননি ? শিপু ও ভুল উচ্ছাস ভাইয়ের যুক্তিপূর্ণ উত্তল আশা করি ।ছাগুদের মত ত্যানা পেঁচাইয়েন না বা কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ কইরেন না ।স্ট্রেইট উত্তর চাই

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনার কথা বার্তার যা ছিরি... আসলে আপনি নিজে সব সময় এইভাবে কথা বলেন তো, তাই আপনার মনে হতেই পারে সবাই এভাবে কথা বলে। নো ওয়ান্ডার। এটাই স্বাভাবিক।

৯০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: হাহাহাহহাহাহা ছগু সব করে রব কি র বলব সাইদি নাকি

ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে মানুষকে আহবানকারী সমকালীন বিশ্বের তৌহিদী মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন বিশ্ববরেণ্য মুফাস্সিরে কোরআন আল¬vমা দেলাওয়ার হোসাঈন সাঈদী


হালার ছাগু গুল সারা দিন কাঠাল পাতা চিবিয়ে এখন সামু টে লেধাচ্ছে

৯১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: মন্তব্য গুলো অবশ্যপাঠ্য!

দিনকাল যা পরছে, বাংলাদেশের মানুষ হয়ে রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করলে ফ্রি ফ্রি আওয়ামী দালাল উপাধি পাওয়া যায়!!

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৯

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চাইলে আওয়ামীলীগের দালাল বানিয়ে দেয়াটা এদের আরেকটা স্ট্র্যাটেজি

৯২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

সৈয়দ মোহাম্মদ আলী কিবর বলেছেন: সত্য কখনোই চাপা থাকে না। সত্যকে মিথ্যা, কৌশল, চক্রান্ত ও ক্ষমতার মাধ্যমে সাময়ীকভাবে চাপা দেয়ার প্রচেষ্টা করা যায় মাত্র। আমি দেখতে পাচ্ছি সত্যের বিজয় অত্যন্ত নিকটবর্তী।

৯৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১০

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

ঈর্ষাকাতর,ছিদ্রান্বেষণ কারি কারো মন্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে এই পোষ্ট দাতা তার স্বীয় বৈশিষ্ট বজায় রেখে আলোচনা চালিয়ে যাবেন সেই আশা করি।

৯৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪১

আশফাক সুমন বলেছেন: আপনার সব কথাই মেনে নিতে প্রস্তুত শুধু একটা বিষয় নিশ্চিত করুন, দেলু শিকদার আর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কি এক?
স্বয়ং বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জিয়াউল হকের সঙ্গে কথোপকথনে স্বীকার করেছেন জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে দেলু শিকদারকে সাঈদী বানানো হয়েছে। এবং তিনি গর্বভরে বলেছেন এমন পাকা কাজ যে কেউ কোনওদিন প্রমাণ করতে পারবে না দেলু শিকদার আর সাঈদী এক নন। এবার বলেন আপনার আমার মতো লোকের পক্ষে কী করে সম্ভব সত্য-মিথ্যা চেনা?
সাঈদী যে সাঈদী সেই প্রমাণ আদালতে দেয়া হলেও আদালত তা গ্রহণ করেনি...এক্ষেত্রে কী ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা অবলম্বন করেছে বিচারকরা তাও পাবেন ফাঁস হওয়া সংলাপে।...
সবশেষ দাবি- নিজামুল হক নাসিমকে কসম করতে বলুন, যদি সাঈদী অপরাধী হয় তবে আল্লাহ তার শাস্তি দিন আর যদি অপরাধী না হন, তার প্রতি অপবাদ আরোপ করা হয়ে থাকে অথবা অবিচার হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট বিচারক হিসেবে যেন তার সন্তানের মৃত্যু হয়....যখন কোনও অপরাধে কনফিউশন তৈরি হয় তখন আল্লাহর নামে চারবার কসম খা্ওয়ার আইনী পদ্ধতি আছে শরীয়াহভিত্তিক আইনে। আল্লাহ নিজেই এর সমাধান করে দেন....পারবেন কেউ এই চ্যালেঞ্জ নিতে? "- অহনার সাথে সহ মত ।


আমার কন সন্দেহ নাই গোলাম আজম, নিজামি, মুজাহিদ প্রমুখ রা রাজাকার । জামাআত ভর্তি রাজাকার। রাজাকার দের ন্যয্য শাস্তি হোক এটা আমার ও চাওয়া । আমার আপ্ ন ছোট চাচা মুক্তিযোদ্ধা এবং আমি জানি রাজাকার রা কত বড় অপরাধি । কিন্তু সাইদির অপরা ধের ব্যপারে সন্দেহের যথেষ্ট কারন আছে । আমি বিশ্বাস করি না দেলু রাজাকার আর সাইদি এক ই ব্যক্তি।

আল্লাহ ভাল জানেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: দেইল্লা রাজাকার আর সাঈদী একই ব্যাক্তি। তার জালিয়াতির সব ইতিহাস এখানে পাবেন- Click This Link


আর যে সাঈদীর কথা বলা হচ্ছে একাত্তরে এই সাঈদী অন্য নামে পরিচিত থাকলেও ব্যাক্তি একই। এবং এই ব্যাপারে ডিফেন্স রায়ের পরে কোনো কথা বলেনি। তারা বলেছে সাক্ষী অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি। কন্ট্রাডিক্টরী কথা বলেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। সাঈদীর ছেলে মিডিয়াকে বলেছে, আমার বাবা কি একা একসাথে এত অপরাধ করতে পারে? লক্ষ্য করুন, এখানেও সাঈদীর ছেলে দাবী করেনি যে, এই সাঈদী আর একাত্তরের সাঈদী ভিন্ন ব্যাক্তি। সুতরাং আপনার কথার কোনো বেস নেই। যেখানে সাঈদীর আইনজীবিরাই এটি বলছে না, সেখানে আপনি কে? সাঈদীর আইনজীবির সাথে আমার একটা টকশো আছে ইউটিউবে। সেইদিনের বিতর্কেও তাজুল ইসলাম এই ইস্যু তোলেনি। সুতরাং আপনি এই যুক্তি এখানে দিতে পারেন না।

৯৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

মরুবিজয় বলেছেন: সাইদি - তুই রাজাকার

৯৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৯

আঁধার কন্যা বলেছেন: ভাই, লেখার থাইকাও কমেন্ট পড়ে ভাল লাগলো। এতটা শ্রমসাধ্য কাজ করেছেন ভাবতেই মাথা শ্রদ্ধায় নত হচ্ছে। ভাল থাকবেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৯৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৬

নিরব বাংলাদেশী বলেছেন: ভেরা ও পিকেটিং শুরু করলো নাকি?
Click This Link

৯৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩১

চতুষ্কোণ বলেছেন: পুরোটা পড়লাম।
+++

৯৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: একটি আনন্দ সংবাদ বাংলাদেশ সহ সব শান্তি কামি মানুষের নিকট
**************************************************
আগামী ২৩ শে মার্চ , ইন্টারন্যাট ফেইজ বুক আরকাবাইজ বাংলাদেশ
ফেইজ বুক অনলাইন অফ্লাইন কমিশন একটি বৃহৎ সামাজিক আন্দোলনের
ঘোষণা দিচ্ছে ।
সহিংস মনোভাব , হত্তা , ভাংচুর , জ্বালাও পুড়াও মার্কা অসভ্য উশ্রিংখল হরতালের
বিরুদ্ধে , রাত ৯ গঠিকা থেকে ১০ টা পর্যন্ত প্রতীকী বিকল্প সুস্থ দ্বারার হরতাল করা হবে ।
সচেতন সামাজিক এ প্রতীকী হরতালে সবারই যোগদান এবং পরিবেশ সৃষ্টি করা দেশ ও
জাতীর শান্তি বার্তা ।
অবশ্যই এতে সকল সামাজিক , সাংস্কৃতিক , ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সবারই
সার্বিক যোগদান এবং নিরাপত্তা বিধান একান্ত কাম্য ।

নহে দল নহে মত
নহে জাত , এক আওয়াজ
শান্তির ও একতায় এস এস সবাই
সাম্য ও ন্যায়ে গড়ি সমাজ

প্রজ্ঞাপনে
ফেবু অনলাইন ,অফ্লাইন কমিশন
বাংলাদেশ , ভায়া গোগল ।
সবার জানা চাই
দ্রুত ।
Like · ·

১০০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৫৯

এম আর সুমন বলেছেন: আজিব শিমু ও ভুল উচ্ছাসের সঠিক উত্তর আপনি দিতে পারেন নি। দুটো উত্তরের ক্ষেত্রেই আপনি তারা যা বলতে চেয়েছে তা বুঝেও না বোঝার ভান করেছেন। অথবা এড়িয়ে গেছেন।

আজিব শিমুর একটি উত্তরে আপনি লিখেছেন এখানে সেলিম কি বলল তা নিয়ে আলোচনা করতে আসেন নি।
ভাই সেটা নিয়ে আপনাকে আলোচনা করতে বলাও হয় নি। আজিব শিমু মুলত বোঝাতে চাইছে , বিচারটাই রাজনৈতিক। আপনাকে সে বিষয়ে কোনো সঠিক উত্তর দিতে দেখিনি। উত্তর অবশ্য নাই ও।
আর সেখানকারই আর একটি যুদ্ধাপরাধী , যে আওয়ামী এমপি , তার বিষয়ে আপনি কিছু জানেন না, অথবা এড়িয়ে গেলেন।
আর ভুল উচ্ছাসের কমেন্টে আপনি বলতে চাইছেন যে বিএনপি ভুল অবস্থানে আছে। আপনি সেখানেও যুক্তির ধার ধারেন নি। ভুল উচ্ছাস বি এনপি করে জেনেই আপনি বিএনপিকে অ্যাটাক শুরু করেছেন। যার বেশিরভাগই মিথ্যার বেসাতি।
যেমন ধরেন, শাহ আজিজ জিয়া সরকারের মন্ত্রী ছিল, আবার বঙ্গবন্ধুও তো তাকে নিয়ে ওআইসির সম্মেলনে গিয়েছিলেন। মানে এই রাজাকার কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে দেশের বাইরে এদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। বিস্তারিত Click This Link
কিন্তু আপনি এড়িয়ে গেছেন। উল্টা জিয়া ভীতিতে আপনি বকাবকি শুরু করে দিয়েছেন। একই কাজ আওয়ামী লীগ করলে দোষ হয় না , বিএনপি করলে কেন দোষ হবে ভাই?
আবার দালাল আইন কত সালে রহিত হয় বলেন তো? সে সময় এদেশের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? যদি জানেন তবে জিয়ার নাম বলার কথা না।
আর আপনার সাধের আওয়ামী সরকার আগের বার কেন বিচার করে নি ? বার বার বিএনপির দোষ দিচ্ছেন!!
এখন যেহেতু বিচার শুরু হয়েছে, তাই বিএনপিও বলেছে তারা ক্ষমতায় গেলে আরো স্বচ্ছ বিচার করবে। এবং আমি তা বিশ্বাস করি। এই আওয়ামী লীগের থেকে অনেক স্বচ্ছভাবেই এই বিচার বিএনপি করতে পারবে।
এখন আপনি গালাগালির ঝাপি নিয়ে চলে আসুন। দেশের এই মুহূর্তের সব থেকে জনপ্রিয় দল বিএনপি আপনার প্রানপ্রিয় দলের সুবান্ধব পত্রিকার জরিপমতে প্রায় ৪৪ % ও জাপা ১২% সবাই এক বাক্যে এই বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আপনাদের কানে তাও পানি যায় না।
এই বিচারের স্বচ্ছতা বিচারটি সঠিকভাবে হওয়ার জন্যই জরুরী। সেই প্রশ্ন তোলা মানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না চাওয়া নয়।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৮

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমি সঠিক উত্তর দিয়েছি বলেই আমার ধারনা। আপনার সেটি মনে না হলে তা আপনার একেবারেই ব্যাক্তিগত মতামত। সে মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই।

১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর দালাল আইন রদ হয় এবং সে সময় সায়েম কার কথায় উঠ বস করছিলো এটা বাংলাদেশের একটা পিপড়াও জানে। সুতরাং আপনার হাস্যকর কথাবার্তা এখানে বন্ধ করলে ভালো হয়। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে অগাস্ট পর্যন্ত বলতে গেলে মামলার রায় হয়েছে, শাস্তি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে খুন করবার পর তা বন্ধ হয়। বি এন পি ২০০১ সালে রাজাকারদের গাড়িতে পতাকা চড়ায়। এরশাদ তারো আগে এই কাজটা করেছিলো।

উচ্ছাস বি এন পি'র সমর্থক বলে তাকে আদর করবার কিছু নেই যখন সে এই বিচার নিয়ে কথা বলে। কোনো বি এন পি সমর্থক বা জামাত সমর্থকের বিচার নিয়ে কথা বলবার কোনো এখতিয়ার নেই। এটা কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট। বিচার স্বচ্ছ না অসচ্ছ এটা বি এন পি বা জামাত বললে ডাজ নট মেইক এনি সেন্স। কেননা এই দুই দল বিচারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানিয়েছে।

বি এন পি বার বার নাকি বলেছে বিচার হতে হবে স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের। আমার কথা হচ্ছে যেদিন থেকে অপরাধীদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হলো সেদিন থেকেই ব বি এন পি আর জামাত বলে আসছে বিচার পলিটিকাল ও অস্বচ্ছ। এটা কতটুকু বালখিল্য কথা লক্ষ্য করে দেখুন। ট্রায়াল যেখানে শুরুই হয়নি কিংবা যেখানে মাত্র তদন্ত চলছে সেখানে এই জাতীয় মন্তব্য কিভাবে শুরু করেছিলো তারা? এতেই বোঝা যায় যে শুরু থেকেই তারা কি বলবে এটা তৈরী করা। সুতরাং এই দুই দলের কথার কোনো ক্রেডিবিলিটি নাই বিচারের ক্ষেত্রে।

২০০৯ সালের ২৪ শে জুন আইন কমিশন একটা রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে তারা জানায় যে এই কমিশন এই বিচারের আইন নিয়ে মতামত চেয়েছিলো সব দলের আইনজীবিদের কাছে যেখানে বি এন পি আর জামাতের অনেক আইনজীবি ছিলো। কিন্তু দূর্ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে তারা সে সময় কোনো পরামর্শ দেয় নাই। অথচ পরবর্তীতে তারা এই আইনের সমালোচনা করেছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যখন এই আইন নিয়ে, প্রক্রিয়া নিয়ে মতামত চাইলো তখন কেন কোনো কথা বলেনি এই দুই দলের উকিলেরা? তাহলে কি তারা এই প্ল্যানই করে রেখেছিলো যে বিচার শুরু হলে অন্ধভাবে সমালোচনা করবে? এই বিচার হতে দিবে না? এটাই কি স্ট্র্যাটেজি ছিলো শুরু থেকেই? আশা করি এর উত্তর টা দিয়ে যাবেন।

আর শুরুর মন্তব্যেই বলেছি এখনো বলি যে একটা সিঙ্গেল মানুষও রাজনৈতিক উপাদান। সুতরাং সেখানে বিচার রাজনৈতিক উপাদান কেন হবে না? বাট দেখতে হবে যে আইনের মিস ইউজ হচ্ছে কি না, অভিযুক্তের রাইট ভায়োলেটেড হচ্ছে কি না, ডিউ প্রসেস মেনে হচ্ছে কিনা।

এই বিচারে অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষা করা হচ্ছে, ডিউ প্রসে মেইন্টেইন করা হচ্ছে, অভিযুক্তরা যে সুবিধা পাবার কথা না তাও দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে একটা অসম্ভব সুন্দর ট্রাইবুনাল যেটি মানুষের অধিকার রক্ষা করছে। এই ব্যাপারে স্পেসিফিকলি আমার আগের অনেক লেখাতেই আমি তথ্য, উপাত্ত দিয়ে আলোচনা করেছি। দয়া করে দেখে নিবেন।

এখানে প্রশ্ন আসছে যে আওয়ামীলীগ নাকি এই বিচার দিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। আমি বলি অবশ্যই তারা ফায়দা লুটবে। জামাত লীগের পলিটিকাল এনটিটি। এরা কোনো অন্যায় করে সাজা খাটলে বা অভিযুক্ত হলে এটার সুযোগ লীগ কেন নিবে না? এখানে আওয়ামীলীগের সুযোগ এসে যায় এটি দেখাবার যে "দেখো আমরা বেটার দল দ্যান এনি আদারস", এই সুযোগ লীগের নেয়া উচিৎ বলেই আমি মনে করি। মুক্তিযুদ্ধের সময় লীগ কি গোলাম আওম, নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, সাকার কানে কানে বলে দিয়ে এসেছিলো যে-- যান আপনারা অপকর্ম করেন????

যেসব ব্যাক্তিরা এসব অপরাধ করেছে শাস্তি তাদের পেতেই হবে। আর এতে করে যদি ওইসব ব্যাক্তিদের প্রতিপক্ষেরা তাদের এই অন্যায়কে দেখিয়ে নিজেদের আলাদা প্রমাণ করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারে, এতে যে অন্যায় নেই তা কি আর বুঝিয়ে বলতে হয়?

যদি বিচার প্রক্রিয়ার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকত তাহলে একটা কথা ছিলো কিংবা হস্তক্ষেপের ফলে যদি ট্রাইবুনাল বায়াসড হোতো তাহলেও বলতে পারতেন। কিন্তু এসবের কিছুই হয়নি। আইনে বলা আছে এই ট্রাইবুনাল স্বাধীন। এবং কেউ এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেনি যে এই বিচারে রাজনৈতিক কোনো অনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে। সুতরাং বিচার সুষ্ঠূ, স্বচ্ছ, এবং যথযথ স্ট্যান্ডার্ড মেনেই হচ্ছে।

১০১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৬

রায়হান হোসেন রানা বলেছেন: পোষ্টটা ধারুন ছিল , কিন্তু ছাগুনির্ভর সামুতে ছাগুদের ম্যা ম্যা আর ভালা লাগে না । ছাগুদের মনে হয় কাঁঠাল পাতা সঙ্কটে পড়ছে আজকাল । তাই এখানে ম্যা ম্যা করতাছে । =p~ =p~ =p~ =p~

পোষ্টটি এতো সুন্দর ভাবে সাজানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ , নিঝুম ভাই । স্যালুট ।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: একই ছাগুর নানান নিক আর কি...

১০২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯

একা পথিক ০৭ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। কিছু ব্যাপারে কনফিউশন ছিল। আপনি সেগুলো ক্লিয়ার করলেন, খুব ভালো ভাবে করলেন। থ্যাংকস নিঝুম ভাই।

আর আমার একটা প্রশ্ন আছে, তা হল, ট্রাইবুনালে কি যে কেউই বাদী হয়ে মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য মামালা করতে পারে? যদি তা হয় তাহলে শেখ হাসিনা বেয়াই বা বর্তমান সরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে কেউ মামলা করছে না যারা মনে করে তারাও যুদ্ধাপরাধী?

২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:০১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: বাদী হয়ে মামলা করেছে এমন উদাহরন তো আপনার বাচ্চু রাজাকারের মামলাটা কিংবা কামারুজ্জামানের মামলাটাই দুইটা জলজ্ব্যান্ত উদাহরণ।

আমিও একই কথা বলি শেখ হাসিনার বেয়াই এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্যাপারে যাদের অভিযোগ তারা কেনো এগিয়ে আসছে না।

তবে এই ধরনের একটি কথা কয়েকদিন আগে বি এন পি'র নেতা এ্যানি এক সভায় বলেছে। এই বিষয় নিয়ে হাসিনার বেয়াই মানহানির মামলা করেছে। ঠিক তখুনি এ্যানি বলেছে যে আমি শিওর না, আমি ফেসবুকে দেখে বলেছি। এই হোলো অভিযোগের ধরন। হাসিনার বেয়াই এর রাজাকারগিরিরি ইতিহাস এ্যানি এখন দিচ্ছে না কেন? কেন সবার সামনে উন্মোচন করছেনা সব কিছু? শুধু টিভি আর পেপারে কেন কথা বলে বেড়ায়? কেন মামলা করে না?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জিয়ার আমলে যশোরের ডি সি ছিলো। সে সময় কি মখা রাজাকার ছিলো না?

১০৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১২

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আপনার আগের পোষ্টাও প্রিয়তে নিয়েছিলাম। এটাও প্রিয়তে নিচ্ছি। আমার পরিচিত কয়েকজন বাঁশেরকেল্লা সহ বিভিন্ন জামায়াতি ফেইসবুক পেইজ দেখে বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাদেরকে দেখিয়েছি। কাজে লেগেছে। ধন্যবাদ।

জয় বাংলা!

১০৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২১

াহো বলেছেন: ডাউনলোড মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র (০১ থেকে ১৫ খন্ড) মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ১২০০০ পাতার দলিলপত্র

মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র (০১ থেকে ১৫ খন্ড)

মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র (০১ থেকে ১৫ খন্ড) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র ১৫ খণ্ডে সমাপ্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসমালা। এটি হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ও হাক্কানী পাবলিকেশনস থেকে...














Click This Link

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

১০৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৬

ভুল উচ্ছাস বলেছেন:
ওয়েলডান আপনি যে বি এন পি বিদ্বেষী বুঝলাম। সমস্যা নাই এটা আপনার নিজস্ব মত।

কিন্তু আপ্নে কি শিউর যে এই বিচার লীগ কন্টিনু করবে? না করলে আজকে আমাকে যে গালিটা দিয়েছেন ওটা আপনাকেই গিলতে হবে কিন্তু। বুঝাইতে পারলাম।


আর হ্যা পোষ্টে আমার মন্তব্য কোট করে কিছু চিনহিত ছাগু ইউজ করতেছে, আমি এটা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেও সেই সময় মন্তব্য করতে পারি নাই। আপনি আমাকে মে বি ব্যান করেছিলেন।


আর আপনি ঐ লিস্টের ব্যাপারে কি বলবেন? যারা এমশিন্ম্যানের থেকে কুখ্যাত রাজাকার।


এবং জাশি নিষিদ্ধে আপনাদের কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? নিচ্ছেন না তো, কারন আপনার দল নিবে না। আপনারা মুখে অস্বীকার করেন কিন্তু কাজে প্রমান হয়ে যায়।


হ্যা আপনি আন্দোলনের উধ্যক্তা নন কিন্তু সিদ্ধান্ত কি হচ্ছে না হচ্ছে সেটা না জেনেই কি অন্ধের মতো ঝাপ দিচ্ছেন না?


আওয়ামী লীগের ইতিহাস বলে প্রয়োজনে এরা যে কাউকেই বলির পাঠা বানাতে পারে।


বলির পাঠা যদি হন সেই দিন ঐ গালিটা আপনার ব্লগে এসে ফেরত দিয়ে যাবো নিঝুম সাহেব। ভালো থাকবেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:০৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য। বি এন পি একটিভিস্ট বা সমর্থকেরা সবাই আপনার মত শালীন ভাবে কথা বললে সব সময় আলোচনা করতে কিংবা তর্ক করতে আনন্দ পেতাম। এটাই ডেমোক্রেসি।

দেখুন শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে আমার উচ্ছাস আছে একজন সাধারণ জনতা হিসেবেই। আমার প্রত্যাশার বাইরে কিংবা এমন কোন আচরণ যদি উনারা করেন যা আমার আদর্শের এবং আমার চিন্তার সাথে কন্ট্রাডিক্টরী তাহলে আমি তার বিরোধিতা করব। আমি কোনো কিছুরই অন্ধ ভক্ত নেই।

সাঈদী ছাড়াও পাড়েড় হাট বা পিরোজপুরের আরো কুখ্যাত রাজাকার যারা রয়েছে এদের সবার বিচার চাই। ইতি মধ্যেই অনেকের বিচারের তদন্ত চলছে। এদের মধ্যে অনেকের নাম কেউই শুনে নাই। আমি যতদূর জানি এরি মধ্যে ৬-৭ জনের তদন্ত চলছে এবং মইনুদ্দিন আর আশ্রাফুজ্জামান এর তদন্ত রিপোর্ট অলরেডী দেয়া হয়ে গিয়েছে। সামনে আরো দেখতে অয়ারবেন। এই বিচার যখন একবার ট্রাইবুনালে চলে যায় তখন আসলে সরকারের হাতে কিছু থাকে না। তবে সরকারের হাতে থাকা পর্যন্ত যদি কোন দলীয় প্রপভাব দেখতে পাই তবে বরাবরের মত প্রতিবাদ করতে, লিখতে, বলতে পেছপা হব না।

আমি আওয়ামীলীগের খাই না, পরি না, আমি এদের থেকে কোনো রকম সুবিধাও নেই না, সুতরাং এরা অন্যায় করলে আমি বলতে সামান্যতম কুন্ঠিত হব না। আমাকে বলির পাঠা তখনই বানাতে পারবে যখন আমি সুবিধাভোগী হব। যেহেতু আমি সুবিধাভোগী না সুতরাং সেটি কারো পক্ষেই আমাকে বানানো সম্ভব না।

আমি স্বাধীন পেশার সাথে যুক্ত। কারো ধার ধারি না। আমি একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চাই। কথা সিম্পল এন্ড ক্লিয়ার

১০৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৯

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: কোনো বি এন পি সমর্থক বা জামাত সমর্থকের বিচার নিয়ে কথা বলবার কোনো এখতিয়ার নেই।



বিম্পির আর এখতিয়ার নাই মানে কি? কেন নাই?


২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:০৬

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আমি উপরে কয়েকটা উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছি যে জামাত কিংবা বি এন পি'র কেন এই বিচার নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার নেই। যেহেতু শুরু থেকেই তারা এই বিচারের বিরোধী তাই বিচার কি হলে স্বচ্ছ হবে কিংবা যথার্থ স্ট্যান্ডার্ডের হবে এসব নিয়ে বলাটা আসলে হাস্যকর। কেননা বিচারের এই জাতীয় অন্ধ সমালোচনা করে এই দুইটি দল ক্রেডিবিলিটি হারিয়েছে। আমি কয়েকটা উদাহরণ আপনাকে দিচ্ছি-

বি এন পি বার বার নাকি বলেছে বিচার হতে হবে স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের। আমার কথা হচ্ছে যেদিন থেকে অপরাধীদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হলো সেদিন থেকেই ব বি এন পি আর জামাত বলে আসছে বিচার পলিটিকাল ও অস্বচ্ছ। এটা কতটুকু বালখিল্য কথা লক্ষ্য করে দেখুন। ট্রায়াল যেখানে শুরুই হয়নি কিংবা যেখানে মাত্র তদন্ত চলছে সেখানে এই জাতীয় মন্তব্য কিভাবে শুরু করেছিলো তারা? এতেই বোঝা যায় যে শুরু থেকেই তারা কি বলবে এটা তৈরী করা। সুতরাং এই দুই দলের কথার কোনো ক্রেডিবিলিটি নাই বিচারের ক্ষেত্রে।

২০০৯ সালের ২৪ শে জুন আইন কমিশন একটা রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে তারা জানায় যে এই কমিশন এই বিচারের আইন নিয়ে মতামত চেয়েছিলো সব দলের আইনজীবিদের কাছে যেখানে বি এন পি আর জামাতের অনেক আইনজীবি ছিলো। কিন্তু দূর্ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে তারা সে সময় কোনো পরামর্শ দেয় নাই। অথচ পরবর্তীতে তারা এই আইনের সমালোচনা করেছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যখন এই আইন নিয়ে, প্রক্রিয়া নিয়ে মতামত চাইলো তখন কেন কোনো কথা বলেনি এই দুই দলের উকিলেরা? তাহলে কি তারা এই প্ল্যানই করে রেখেছিলো যে বিচার শুরু হলে অন্ধভাবে সমালোচনা করবে? এই বিচার হতে দিবে না? এটাই কি স্ট্র্যাটেজি ছিলো শুরু থেকেই? আশা করি এর উত্তর টা দিয়ে যাবেন।

১০৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:০৫

ভুল উচ্ছাস বলেছেন:
ওয়েল আমিও একাত্তরের রাজাকারদের বিচার চাই, এবং সেটি স্পস্টভাবেই চাই, অমুক দলে সে আছে আর সে এখন রাজনীতি করছে না এই বিবেচনায় আগে পরে এটা আমি মানতে পারি না।


এবার আসি আপনার কথা প্রসঙ্গে, এই সাত সকালে এমন গালি খেয়ে আর ঘুম আসার কথা না।


[১] আপনি বলেছেন বিম্পি গুলিয়েছে আমার মন্তব্যের উত্তরে, তাই তো? হ্যা আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আপনি আসলে উপরে ঐ ভদ্রলোককে রিপ্লাই দিয়েছেন বিম্পি সমর্থকদের পয়েন্ট ইট সমর্থক। এখতিয়ার নাই। বুঝাইতে পারলাম আপনি বিম্পির এতো বড় সমর্থক গোষ্ঠীকে নাগরিক সুবিধা বাতিল করার কথা বলেছেন। আমার জানা মতে আপনি একজন আইনজীবী। কিভাবে এটা আপনার মাথায় এলো???????


[২] আপনি বলেছেন বিম্পি জিয়ার নির্দেশে ১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর দালাল আইন রদ হয়ে যায় তারপর কি হয়েছে? বলেন তো? হ্যা রাজাকার গুলো রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। তাই না? হ্যা তাই। তাহলে আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হয় আন্তর্জাতিক চাপে পরে স্বয়ং শেখ মুজিব কিন্তু কয়েক হাজার রাজাকার ছেড়ে দিয়েছিলো। দেয় নাই? অস্বীকার করবেন না। তেমনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার উপর যে প্রেসার ছিলো না কি করে নিশ্চিত হলেন? দেশ চালিয়েছেন কখনো আপনি? নরমালি একজন এম পি এর যে প্রেসার থাকে সে যদি আপনার মতো ইমুশুনাল হয় তাহলে সারছে মিস্টার।

[৩] আপনি বলছেন বিম্পি দুইজন রাজাকারকে মন্ত্রী বানিয়েছে, অস্বীকার করছি, এই দোষ মেনে নিতেই হবে কিন্তু আমি যদি বলি এই দোষে স্বয়ং আপনাদের আওয়ামী লীগ দোষী, কি মেনে নিতে পারছেন না? তাহলে আপনাকে আরো দুটো ভয়ঙ্কর নিউজ দিচ্ছি যদিও আগেই জানেন। শেখ সেলিমের মেয়ের বিয়ে এবং আপনার নেত্রি শেখ হাসিনার মেয়ের বিয়ে হয়েছে দুটো রাজাকার ফ্যামিলিতে। কি কষ্ট হচ্ছে শুনতে?

[৪] এবার আসি কেন বিম্পি জাশি ছাড়তে পারছে না। হ্যা এইটার জন্যেই আপাতত বিম্পি আপনার চক্ষুশূল তো? হ্যা তাই। রাজনীতি বুঝেন তো? না বুঝলে এখন বুঝবেন অপেক্ষা করুন। ৯৬ তে রাজনৈতিক কারনে আপনার আওয়ামী লীগ এই রাজাকারের দলের সাথে জোট বেধে ছিলো এটা কি অস্বীকার করবেন? নিশ্চয়ই না। ঠিক তেমনি বিম্পি এখন জাশির সাথে জোট করতে বাধ্য হয়েছে। আপনাকে আরো সহজ করে বুঝাই যখন পুরো দেশের মানুষের কাছে জাশি চক্ষুশূল হয়েছে তখনো বিম্পির মধ্যেই একটা পক্ষ চেষ্টা করেছে জাশি ছাড়ার তারা ব্যর্থ হয়েছে কেন জানেন? আপনার আওয়ামী লীগ সেরকম একটা সিচুএশন ক্রিয়েট করে রেখেছে ইতিমধ্যে। কারন তারা জানে যদি স্বচ্ছ নির্বাচন হয় তারা আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, পারবে না, পারবে না। আর বিম্পি গত আমলে একটু বেশিই ভালো সাজতে গিয়ে নিজ দলীয় যত গুন্ডাপান্ডা ছিলো সব গুলোকে র‍্যাবের কাছে বলি দিয়েছে। কিন্তু সেই জায়গায় আজকে আপনার আওয়ামী লীগ গুন্ডা পুস্তেছে, পালতেছে এবং খুনের আসামি ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু বিম্পি সমর্থকরা এখন যারা আছে তারা ওরকম গুন্ডা বাহিনীর বিপক্ষে দাড়াতে সক্ষম নয় ফলাফল স্বরূপ এখনো এই শিবির দরকার বিম্পির।


নোংরা রাজনীতি বুঝেন না, সহজ মন্তব্য পেচিয়ে উত্তর দিবেন তাও সাথে গালি ফ্রি। কেন আমি কি আপনাকে গালি দিয়েছিলাম মিস্টার? আপনিই আমাকে দিয়েছেন এবং তা শুধু শুধু, গালি সাধারন মানুষ তখন ইউজ করে যখন তার হাতে যুক্তি থাকে না অথবা খুব রেগে যায়, আমার মন্তব্যে আপনার কোনটা হয়েছে জানতে চাই না।




কিন্তু আপনি শুধু আমার প্রথম পয়েন্টে ফোকাস করবেন রিপ্লাই দেয়ার সময়, পরের গুলো রিপ্লাই দেয়ার দরকার দেখি না। ওগুলো আপনাকে আমি বুঝাবার জন্যেই বলেছি। আর তাও রিপ্লাই দিতে গেলে লজ্জা পাবেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ১) রাজাকারদের যারা সমর্থন করে, রাজাকারদের নিয়ে যারা এই বিচার বন্ধের পাঁয়তারা করে তারা আবার এই বিচার নিয়ে গঠনমূলক কথা বলবে? সমালোচনা করবে? এই সুযোগ তাদের নেই কেননা তাদের কথার আর কোনো ক্রেডিবিলিটি-ই নাই। এই সামান্য ব্যাপারটা বুঝতে পারেন না, অথিচ বড় বড় কথা বলছেন।

২) বঙ্গবন্ধু ১৯৫ জনকে ছেড়ে দিয়েছিলেন ত্রিদেশীয় চুক্তি অনুযায়ী এবং সেখানে কি পরিমান আন্তর্জাতিক প্রেশার ছিলো তা আমার আগের ব্লগ গুলোতে গেলেই দেখবেন, আমি আলোচনা করেছি। কিন্তু এই ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গের সাথে সাথে আমার একটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর জিয়া দালাল আইন বাতিল করে দালালদের বিচার বন্ধ করে দেয়। এই রদ করা গেজেট নোটিফিকেশনে লেখা রয়েছে যে, এই দালাল আইন ১৯৭২ বাতিল করা হলেও, এই আইনে দন্ডিত, মানে কনভিক্টেড যারা রয়েছেন তাদের দন্ড চলতে থাকবে এবং তারা এই বাতিলের আওতাভুক্ত না। ভালো করে উপরের ছবিটার শেষের হলুদ অংশের দিকে লক্ষ্য করুন। সেখানে বলা হচ্ছে-

৩য় উপ-অনুচ্ছেদের প্রথম অংশ অর্থাৎ 'ক'-তে বলা হয়েছে- যারা দালাল আইনে ইতোমধ্যে দন্ডিত হয়েছে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে আপিল করেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই বাতিল অধ্যাদেশ প্রযোজ্য হবে না।

[2. (3) Nothing in sub-section (2) shall be deemed to affect -
(a) the continuance of any appeal against any conviction or sentence by any Tribunal, Magistrate or Court under the said Order;


এর মানে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুকে নিহত করবার ঠিক আগ পর্যন্ত, মানে ১৯৭৫ সালের ২০ শে এপ্রিল পর্যন্ত দালাল আইনে ৭৫২ জন ব্যাক্তি দন্ডিত হয়। যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জনেরও বেশী ফাঁসির আসামী ছিলো। জিয়ার এই দালাল আইন বাতিল করবার পরেও কিন্তু সেই ৭৫২ জন কোনোভাবেই উপরের ডকুমেন্টস অনুযায়ী মুক্তি পেতে পারেন না।

কিন্তু সেই ৭৫২ জন, মানে ২০ জন ফাঁসির আসামী সহ সবাই জিয়ার আমলেই জেল থেকে কি করে বের হয়ে গেলেন? কোন যাদুবলে?

১৯৫ জনের কথা আগেই বলেছি, এইবার কেউ কি আমাকে দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন যে, জিয়া কি করে ৭৫২ জন দেশে আটক কৃত রাজাকার-আলবদরকে ছেড়ে দিলো।

কিভাবে?? কোনো যুক্তিতে??


৩) শেখ সেলিমের বেয়াই নিয়ে আমিই ২ পর্বের একটা দীর্ঘ লেখা লিখেছি। এসব গল্প আমাকে বলে লাভ নেই। কিন্তু সেই রাজাকার কিন্তু মন্ত্রী হয়নি। খেয়াল করে...

৪)জামাতের গঠনতন্ত্রের ২য় অধ্যায়ের সপ্তম ধারায় যেখানে রুকন হবার নিয়ম, রীতি নীতি ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে।


৭) এমন কোনো পার্টি বা প্রতিষ্ঠানের সহিত সম্পর্ক না রাখেন যাহার মূলনীতি, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ইসলামের আক্বীদা এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য ,লক্ষ্য ও কর্মনীতির পরিপন্থী।

আবার ১ম অধ্যাইয়ের ৪র্থ ধারার স্থায়ী কর্মনীতি অংশের ২য় পয়েন্টে বলা হয়েছে যে-

২) উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশ জামাতী ইসলামী এমন কোনো উপায় ও পন্থা অবলম্বন করিবে না যাহা সততা ও বিশ্বাসপরায়নতার পরিপন্থী।

এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় এই যে, রুকন রিক্রুট করবার যদি এই রীতি হয়, যেখানে জামাতের আকীদা কিংবা বিশ্বাসের পরিপন্থী এমন কোনো দলের সাথেই সম্পর্ক রাখা যাবেনা, সেখানে ১৯৯৬ সালে জামাত আওয়ামীলীগের সাথে তাহলে কিভাবে যুগপৎ আন্দোলন করেছে বলে কিংবা জোটবদ্ধ আন্দলোন করেছে বলে প্রকাশ করে?


যদি তাই হয় তবে জামাতের সংবিধান অনুযায়ী ২য় অধ্যায়ের ৭ম ধারা মোতাবেক জামাত তা করতে পারে না। এবং জামাতের সংবিধানের ১ম অধ্যায়ের ৪র্থ ধারার ২ নাম্বার পয়েন্ট অনুযায়ী তারা সততা ও বিশ্বাসপরায়নতার পরীপন্থির কাজ করেছে।


এখানে ঘটনা দুইটা। হয় জামাতের সংবিধানে যা আছে তা মিথ্যা ও কথার কথা। আর সেক্ষেত্রে সংবিধান যেখানে মিথ্যা সেখানে তাদের সবকিছুই মিথ্যা। আর যদি সংবিধান যদি সত্য হয়, তাহলে ১৯৯৬ সালে তারা আওয়ামীলীগের সাথে যুগপৎ আন্দোলোন করে নি। কারন লীগের বিশ্বাস ও আকীদা নিশ্চয়ই জামাতের সাথে মিলে না বা এক নয়।

১০৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

বুনো বলেছেন: পোষ্টে একটা কমেন্ট করেছিলাম, কিন্তু আওয়ামী মগজে সেটা কোন সেন্স ক্রিয়েট করেনি; এটা করার ক্ষমতাও আমার নেই স্বীকার করে নিচ্ছি। সাইদির ফাঁসি হোক বা মুড়ি খাওক, কিস্যু যায় আসে না।
তবে, আপনি মিথ্যা বললেন। গুম হওয়ার পরের কোন ভিডিও আপনাকে দেওয়া হয়নি।

১০৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৭

ভুল উচ্ছাস বলেছেন:
শুনেন ক্লিয়ার কাট কথা আমার জাশি গোল্লায় যাক, কিচ্ছু আসে যায় না আমার, লীগ গোল্লায় যাক তাও আসে যায় না।


আমি বিম্পি সমর্থক, শুধু এই দোষে আপনি আমার নাগরিক অধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছেন আবারো? ভুল স্বীকার করতে এতোই লজ্জা? আপনি বিম্পি এবং বিম্পি সমর্থক দুইটি কি গুলিয়ে ফেলছেন না? ভালো করে বাংলা ডিকশনারী ঘেটে তারপর বুঝে নিন অথবা পরিচিত কোনও ক্লাস সিক্সের বাংলার টিচারের সাথে কথা বলে তারপর রিপ্লাই দিন।


এতো এগ্রেসিভ আপনি? শুধু মাত্র বিম্পির সমর্থক হওয়াতে পুরো বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক মানুষের নাগরিক অধিকার বঞ্চিত করার কথা বলেন। এ আমি কার সাথে আলোচনা করছি।



নেত্রীর মতো তালগাছটা চাইই চাই, ভুল স্বীকার করার মানসিকতা শুধু একগাদা বই পড়লেই হয় না। আরো অনেক কিছু লাগে সবার আগে সততা। ইনফো অনেক জানলে তার মধ্যে গোঁজামিলও অনেক দেয়া যায়, ভালো করেই যেখানে জানেন সামান্য একটা মন্তব্য চেক করতে সেটি কেউ চেক করতে যাবে না।



টিক্কা খানের ছবিটা গুগলে গিয়ে দেখে নিবেন আমার পক্ষ থেকে। ও বেচারা খুশিই হবে আপনাকে পাশে পেলে।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: যুক্তিতে না পেরে কান্নাকাটি করবেন এটি ভাবতে পারিনি। শেইম

১১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: অনেক কিছু ক্লিয়ার হল। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

১১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

মিজান আফতাব বলেছেন: লেখক বলেছেন: একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চাইলে আওয়ামীলীগের দালাল বানিয়ে দেয়াটা এদের আরেকটা স্ট্র্যাটেজি



agreee ......

১১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

এম আর সুমন বলেছেন: ভাই আপনি যে আওয়ামী পাঁড় সমর্থক সেটা আপনার কথাবার্তায় স্পষ্ট।
মোটামুটি তালগাছ ছাড়তে রাজি না। নিজামুল হকের বিচারের বেলায় আপনি যা দেখা যায় তার বাইরে যেতেই পারছেন না। আপনি অনেক বড় উকিল। কাগজ পত্রের বাইরে কি করে যে যান !!!

আর ৭৫ এর ৩১ ডিসেম্বর স্পষ্টতই বিচারপতি সায়েম কতৃক সেই দালাল আইন রদ হয়। আজ যদি আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ জিয়ার দল না হয়ে সায়েমের দল হত, তাহলে আপনি সায়েমের নামটি ই বেশি করে বলতেন। এটাই দলান্ধতা।

আমি আবারো খুব স্পষ্ট করে বলি , আপনারা কিছু পাবলিক আছেন যারা এই বিচারটার সব থেকে বেশি ক্ষতি করছেন। সত্যি কথা বলতে কি , এই বিচার সঠিক না ভুল, এটা বলার বা বিচার চাওয়ার অধিকার আপনাদের মত কিছু দলান্ধদের চেয়ে বিএনপির অনেক বেশি ই আছে।
আপনারা কিভাবে এই বিচারের ক্ষতি করছেন?
খেয়াল করেন, ভাই আপনি যদি সত্যিই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতেন তবে আরো দেখাতে চাইতেন যে দেশের বড় বড় সব দল আসলে এই বিচারের পক্ষে আছে। সেটা দেখানোর মত উপাদানও ছিল।
বিএনপি , জাপা সহ আরো অন্তত বেশ কিছু দল এই বিচারের স্বচ্ছতা চাইলেও তারা বার বার বলছে যে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়। আপনারা বিচার যে সবাই চায় সেই অংশটি ই হাইলাইট করতেন।
বরং আপনারা কি করলেন, এদের বিচার চাওয়ার অধিকার নাই, তারা কেউ বিচার চায় না ইত্যাদি ইত্যাদি শুরু করলেন। ভাই সব অধিকার আল্লাহ আপনাদের দিছে? ভারত পালানো মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে এতবড় ধৃষ্টতা কেবল বাকশালী মুষ্টিমেয় দলান্ধদেরই মানায়।

আপনি কি প্রমান করতে চান যে বিএনপি আর জাপা যেহেতু স্পস্ট বলছে এই বিচারের স্বচ্ছতা নাই, তাই তারা কেউ বিচার চায় না? আর সাথে জামাত তো আসলেই বিচার চায় না। তাহলে কি দাঁড়ালো দেশের তিন ভাগের দুই ভাগ জনগোষ্ঠি এই বিচার চায় না?

এটা কোনো যুক্তির কথা হল? অবশ্য আপনি খুব একটা যুক্তির ধার ধারেন বলে তো মনে হয় না। কারন আপনি অত্যন্ত সুকৌশলে আওয়ামী লীগ যেসব রাজাকারদের তোয়াজ করেছে, বঙ্গবন্ধু শাহ আজিজকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রিয় সফরে ওআইসির সম্মেলনে গেছেন, বা পরবর্তীতে নুরূ রাজাকার আওয়ামী মন্ত্রী হন, বর্তমান কেবিনেটেও দুজন মন্ত্রী রাজাকার বলে মুক্তিযোদ্ধারাই দাবি করছেন, সেগুলো আমি উল্লেখ করলেও এড়িয়ে গেছেন।
আপনি দেখেছেন আজিব শিমু একজন আওয়ামী এমপির যুদ্ধাপরাধ এর বিষয়ে বলেছেন। আপনি কোনো জবাবই দেননি। এড়িয়ে গেছেন। মানে হল আপনারা আসলে কেউ আওয়ামী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান না।
এর একটাই সমাধান, আর তা হল সব যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক বিচার হতে হলে বিএনপি সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
আপনার কাছে কথাটি হাস্যকর লেগেছে, এর কারন আমি আগেই ব্যাখ্যা করেছি, আপনি এক দিকের টা দেখেন, আরেক দিকেরটা দেখেন না।
আপনি এটা বুঝতে পারছেন না যে দেশের বেশিরভাগ মানুষ এই বিচার চায় না এটা প্রমান করলে আওয়ামী লীগ হয়তো বলার মত কিছু একটা আপাদত পাচেছ। কিন্তু তাতে বিচারটা যে ভাই বাধাগ্রস্ত হবে। এই সহজ সত্য বোঝার মত উকিল আপনি হন নি।

আপনি নিজেই তো নিজের কম্যুইনিটির বাস্তবতা বোঝেন না। বার কাউন্সিলের নির্বাচনে, আপনাদের সংখ্যাগরিষ্ট আইনজীবিরাই প্রকারান্তে এই বিচারটা যে স্বচ্ছ হচ্ছে না , সেটা তারা পছন্দ করছে না তা জানিয়ে দিয়েছে।
আপনি ভুল উচ্ছাসের এক জবাবে বলেছেন বিএনপি যারা করে তাদের নাগরিক অধিকার হরনের কথা, ভাই এটাই বাকশালী চেতনা। দেশে একমাত্র আপনারাই সব অধিকার রাখেন। কারন আপনারা কেউ পাকিস্তানিদের মুরগী সাপ্লাই করেছেন, কেউ ভারতের আতিথেয়তা গ্রহন করেছেন, কেউ পাকিস্তান বেতারে গান করে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের এত আবেগ আল্লাহ দিল।
আওয়ামী লীগ যদি আগের সরকারের সময় একবারো যুদ্ধাপরাধী ইস্যু না তুলে বর্তমানে যে রকমই হোক একটা বিচার শুরু করতে পারে, তবে বিএনপি কেন পারবে না?
আপনারা এমন এক ধ্যানে আছেন যে বিএনপি আসলে আর বোধহয় বিচার সম্ভব না।
আমরা যুদ্ধাপরাধীদের যেহেতু সত্যিই বিচার চাই তবে কেন সরকারের দুরভিসন্ধিগুলো ধরতে পারছি না?

সরকারের তো টু থার্ড এরও বেশি মেজরিটি আছে। তারা কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের একটা স্থায়ী সমাধান করে না ? একটা নিরপেক্ষ ট্রাইবুনাল করে দিক, ও শক্তিশালি স্থায়ী বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিক। যাতে ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক তারা এ বিচারটি চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
প্রয়োজনে এজন্য একটা সায়ত্বশাষিত ইনষ্টিটিউশন করে দিক। যাতে তারা আজীবন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
তাহলেই তো আর এইসব দাবির মধ্যে রাজনীতি থাকে না।

এখন আওয়ামী লীগ দেখাতে চাচ্ছে যে শুধু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেই এই মানবতা বিরোধীদের বিচার সম্ভব। কিন্তু কথাটি সর্বৈব মিথ্যা। তারা চাইলে সরকারে যে ই আসুক এ বিচার হবেই। এটা নিয়া রাজনীতি করার আসলে তো কোনো সুযোগ নাই।

আর বিএনপি এখন নির্বাচনী জোট হিসেবে রাজাকার প্রভাবিত একটি দলকে সাথে রাখছে, যাদের আগে আওয়ামী লীগও সাথে রেখেছিল। বিষয়টি আসলেই সমান সমান। এখানে না বুঝে মাথায় বাধিয়ে ঠ্যালার মত কিছু নাই।
জামাত স্রেফ বিএনপির নির্বাচনী জোট। যদি জামাতকে সরকার নিষিদ্ধ করতে পারে তবে তো আর জোট থাকে না।
আর বিএনপির বাক্সেও সেই ভোটগুলা অটোমেটিক যাবে। সুতরাং তাদেও খুশি হওয়ারই কথা।
কিন্তু সরকার কেন বিষয়টি পার্লামেন্টে পাঁচ মিনিটে নিস্পত্তি না করে দুই বছরের জন্য আদালতের ঘাড়ে পেন্ডিং করে দিল?
কারন তারা ভোটের হিসেব নিকেশ আছে। এর আগের বার আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যা নিয়ে রাজনীতি করেছিলো। তারা বিরোধী দলের সব কর্মসূচীতেই শুধু বলে বেড়াতো যে এটা বঙ্গবন্ধুর বিচার বন্ধ করার একটা ষড়যন্ত্র। ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু খালেদা সরকার সেই অপরাধীদের কিন্তু ছেড়ে দেয় নি।
তেমনি যুদ্ধাপরাধীদেরও ছেড়ে দেবে না। বরং এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিচারটি সম্পর্কে যে ধারনা দিতে চাইছে আপনাদের মত কেউ কেউ অবিকল তাই বিশ্বাস করছেন। আপনার বিভিন্ন মন্তব্যে মনে হয়েছে আপনি হাসিনার চাইতেও এক ডিগ্রী বেশি আওয়ামী লীগ।
যাই হোক, আওয়ামী লীগ হওয়া দোষ না। আপনি সেটা অস্বীকারও করছেন না। আর এই বিচার তো রাজনৈতিক প্রকৃয়াই। এটাও সত্য। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ইচ্ছেমত একে ওকে অধিকার বঞ্ঝিত করবেন, যাকে খুশি তাকে স্বাধীনতা বিরোধী বানাবেন, মোটামুটি দেশের তিন ভাগের দুই ভাগকে বানিয়ে ফেলেছেন। আর ধারনা করবেন যে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ আসলে আর বিচার হবে না।
এই শেষ বাক্যটাই বলে দেয় যে ক্ষমতার কত লোভ। আপনি বলেছেন যে আওয়ামী লীগের থেকে প্রত্যক্ষ কোনো সুবিধা নাকি আপনি নেন না। কে কে কথাটা বিশ্বাস করেছে তা আমি জানি না।
অবশ্য আপনাদের কেউ বিশ্বাস করলেও কিছু যায় আসে না, আর না করলেও যায় আসে না। কারন বাকশাল একবার যাদের মাথায় ঢুকেছে তারা কোনো পাবলিক সেন্টিমেন্ট কোনোদিন বুঝবে বলে তো মনে হয় না।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পোস্ট এবং মন্তব্যে দেয়া হয়েছে। ভালো করে পড়ে দেখুন।

১১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

এম.ডি জামান বলেছেন: আপনার দেওয়া উপরের Link অনুযায়ী দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর পূর্বের নাম ছিল আবু নাঈম মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাঈন, পিতা মরহুম মাওলানা ইউসুফ সাঈদী। অর্থাৎ তার বাবার নামের সাথে সাঈদী ছিল যেটা হয়ত উনাদের বংশগত নাম। পরে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন যদি নামের সাথে সাঈদী যোগ তবে তাতে কি খুব বেশি দুষনিয় হয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই জানি বিচার করা হয়েছে দেলোয়ার সিকদার নামের এক রাজাকারের। সাঈদী যে সিকদার সেটাতো আপনার দেওয়া তথ্যে প্রমাণিত হলো না।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: এজন্যই বলেছি রায় পড়ে দেখেন সেখানে সাঈদীর বাবার নামের সাথে শিকদার আছে। এটা নিয়ে সাঈদী কোন প্রতিবাদ করেনি।

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: পোস্টের একেবারে শেষ ছবিতে দেখুন, সেখানে সাঈদীর বাপের নাম ইউসুফ আলী শিকদার নামে রয়েছে। একাত্তরে দেলু ঘরোয়া ভাবে দেলু শিকদার নামে পরিচিত ছিলো

১১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

াহো বলেছেন: ডাউনলোড মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র (০১ থেকে ১৫ খন্ড) মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ১২০০০ পাতার দলিলপত্র

Direct Download Link
Please Share

Click This Link

১১৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

রিফাত উকিল বলেছেন: সময়োপযোগী পোস্ট। + + +

যারা এখনো সাঈদী সম্পর্কে বিভ্রান্তিতে ভুগছে তাদের মস্তিষ্ক ও মননের কিঞ্চিৎ উপকার হলে ভাল। যদিও কুকুরের লেজ সোজা হয়না বলেই জানি।

১১৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

রিফাত উকিল বলেছেন: এ্যাডভোকেট ইয়াসিন বলেছেন: লেখক .... ছাগুগুলারে জিগান সাইদীর যে একটা রাফ কেরেক্টারের মৌলবি তাদের সন্দেহ আছে নাকি ? ফোনসেক্স এর অডিও গুলো ফলস প্রমান করবে তারা চ্যালন্জ দিয়েছিল। এইটা নিয়া জিগাইলে এখন চুপ করে থাকে কেন .....




হা হা হা হা।




মেশিনম্যানের বীর্যের সন্তানরা কি এর উত্তর দিবি ????

১১৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: লেখিকা লিখলেন গল্প দিনে ঘুম আর রাতে কাজ / বাড়ে কাজ গড়ে
সমাজ ।
আমরা তো চলি সেই মতে
কোরআন হাদিস মানব কেন ?
তাই দেখি
আর দেখি দলের চাইতে ব্যক্তি বড়
রাস্টের চাইতে দল
জাত ধর্ম আইন পালায় মাটে
ভীষণ গণ্ডগোল ।

১১৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

সমকালের গান বলেছেন: খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

১১৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

ঘুির্নঝড় বলেছেন: Bhaiya, Are you that person who has written the book named " Saka Ekti Pashur Nam"?

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: yes

১২০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আট এবং দশ নম্বর মামলার ব্যাপারে আপনিও প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন। যুক্তিগুলো ধারালো হলো না। মনে হলো আপনিও মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেকার ধারণা বদলাতে হলে যুক্তিসংগত ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আনুন। সায়েদী একাত্তরে যে অপরাধ করেছে তা এই রায়ে প্রমাণ করা যায়নি। এটা একটা ব্যর্থতা অথবা সায়েদী বড় অপরাধী ছিল না।

২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৪১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: রায় পড়েছেন নাকি হুদাই কথার জন্য কথা?

১২১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: পোস্ট সোজা প্রিয়তে গেলো, বরাবরের মতোনই দুর্দান্ত পোস্ট।

১২২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০১

ঘুির্নঝড় বলেছেন: That was a informative, highly qualitative, authentic work.
Lot of thanks for the hardwork. I have read the whole book. Thanks again.

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০০

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: many thanks

১২৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

সামদ বলেছেন: পোষ্টে দেয়া সাঈদীর রায়ের সাইজ প্রায় ১৬ মেগাবাইট। খুব সম্ভবত ইমেজ থেকে পিডিএফ করায় এত বড় হয়েছে। নিচের লিংকে নরমাল পিডিএফটা রাখা আছে যার সাইজ মাত্র ৩৯৬ কিলোবাইট। চাইলে সেটা আপনার পোষ্টে দিয়ে দিতে পারেন। :)

খুনী সাঈদীর রায়ের ফুল টেক্স

১২৪| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

গান পাগল মন বলেছেন: আমি স্পীকার হয়ে গেলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.