নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩০ লক্ষ স্বজন হত্যার বিচার চাই

আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব

নিঝুম মজুমদার

নিঝুম মজুমদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাতী মুখপাত্র মোল্লা কেন আইন ও আদালত নিয়ে ভুল তথ্য দিচ্ছেন?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০২





আমি আশা করি আমার এই লেখাটি লন্ডনের জামাতের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা লক্ষ্য করবেন কিংবা জামাতী যেসব সন্তানেরা আমার ব্লগে দিনরাত কর্মব্যাস্ত দিন অতিবাহিত করেন তারা জনাব মোল্লার কাছে পৌঁছে দিবেন। গত সোমবার ১৫ই এপ্রিল ২০১৩ তারিখে এটি এন বাংলা লন্ডনের মুক্ত সংলাপ অনুষ্ঠানে আপনি অনেক অ-সঠিক তথ্যের ভেতর দুইটি ভুল তথ্য দিয়েছেন যেটি অত্যন্ত দুঃখের। আপনি বাংলাদেশের আইন এবং আদালতের রায়কে এভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করতে পারেন না জনাব। এটি ইচ্ছেকৃত নাকি জানার অভাব নাকি ভুল আমি এই ব্যাপারে মন্তব্য করব না। তবে আশা করব আপনি পরবর্তীতে এই জাতীয় তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। আপনার এই দুইটি অ-সঠিক তথ্য দিয়ে দিচ্ছি নীচে।



১) আপনি বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেছেন যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালস আইন-১৯৭৩ এ শাস্তির যে বিধান রয়েছে সেখানে শুধুমাত্র দুইটি শাস্তির কথা বলা রয়েছে। (ক) মৃত্যুদন্ড (খ) যাবজ্জীবন। আপনার এই বক্তব্য একেবারেই সত্য নয়। আসুন আমরা দেখি আমাদের আইনে আসলেই কি লেখা রয়েছে- এই আইনের ২০(২) ধারাতে লেখা রয়েছে- Upon conviction of an accused person, the Tribunal shall award sentence of death or such other punishment proportionate to the gravity of the crime as appears to the Tribunal to be just and proper.



যার মানে দাঁড়াচ্ছে যে, এই আইনের উক্ত ধারাবলে ট্রাইবুনাল দোষী বলে প্রতীয়মান ব্যাক্তিকে হয় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করবেন, তা না হলে এমন শাস্তি দিবেন যেটি তার অপরাধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং যেটি বিচারপতিদের বিচারে সঠিক। সুতরাং আদালত চাইলে কিংবা তাদের বিচারে মনে করলে অপরাধীকে শুধু মৃত্যুদন্ড-ই নয় যে কোনো মেয়াদের শাস্তি দিতে পারেন অথচ আপনি আপনার বক্তব্যে ভুল তথ্য দিয়ে শুধু মাত্র দুটো শাস্তির বিধান আছে, এটি বলে সবাইকে জানিয়েছেন।



আপনি ২য় যেই তথ্যটি দিয়েছেন সেটি হোলো, আপনি বলেছেন যে এই রায়গুলোতে নাকি অপরাধীর অপরাধ প্রমাণ করবার জন্য প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলো না। এটিও একটি ভুল তথ্য। সাঈদীর রায় যদি আপনি লক্ষ্য করেন তবে সেই রায়ের ৭০ এবং একাত্তর পৃষ্ঠায় আপনি দেখবেন ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগ [অভিযোগঃ৮]-এর ক্ষেত্রে সাক্ষী-৭ এর সাক্ষ্য।





সাক্ষী-৭ মফিজুদ্দিন পসারী হচ্ছেন এমন একজন সাক্ষী যিনি ইব্রাহিম কুট্টিকে হত্যা করতে দেখেছেন এবং সেই হত্যাকান্ডে সাঈদীর ভূমিকা কি ছিলো তাও তিনি বর্ণনা করেছেন। আদালত তাকে একজন আই উইটনেস হিসেবে পরবর্তীতে পরিগনিত করেছেন এবং রায় দিয়েছেন।



আবার এমন প্রত্যক্ষ সাক্ষী কাদের মোল্লার রায়েও রয়েছে। সেই প্রসিকিউশন সাক্ষীর নাম্বার হচ্ছে ৩, সাক্ষীর নাম মোমেনা বেগম। কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ-৬ [সাক্ষীর পিতা হযরত আলী ও তাঁর পরিবারকে হত্যা এবং ধর্ষনের অভিযোগ, প্যারা ৩৪১ দ্রষ্টব্য]



এখানে সাক্ষী বর্ণনা করেছেন যে তাঁর পিতা হযরত আলীকে কাদের মোল্লা কিভাবে তাঁর বাবাকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন ড্র্যাগ করে তা তিনি কটের (cot) পেছনে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেছেন।





উপরের উদাহরণ, যুক্তি, তথ্য, প্রমাণ এবং রেফারেন্স দিয়েই প্রমাণ হয় যে লন্ডনের জামাতের মুখপাত্র জনাব ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা লাইভ টিভিতে এই ট্রাইবুনালের আইন এবং রায় নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল-ভাল তথ্য দিয়েছেন। আশা করি তিনি এই ব্যাপারে ক্ল্যারিফিকেশন দিবেন যে কেন তিনি আদালতের রায় ও আইনকে ভুল ভাবে সকলের সামনে উপস্থাপন করছেন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১১

মরু বালক বলেছেন:


ঐখানে থাপ্পড় খাইয়া আইচেন আমাগোরে পড়াইতে !!!!

ঐখানের উপস্থাপক আর আপ্নে গেনি ((জ্ঞানী), ১,২,৩নং লাইন) মানুষ হিসেবে দাওয়াত পাইচিলেন......




মাইনে আর দেবেনা বলে জানিয়ে দিছে নাকি ???


১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: পোস্ট নিয়ে কোনো মন্তব্য আছে কি?

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১২

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: শেয়ার দিলাম।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৩

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ব্লগে ছাগুর পরিমান একটু বেশি। এগুলোকে ব্লক করে রাখেন। পোষ্টটাই নষ্ট করে দেবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৫

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পুরো পরিবেশটাই নষ্ট করে দেয় এরা

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৫

ছবিপ্রেমিক মুরাদ বলেছেন: ধন্যবাদ নির্জর দা । মিথ্যুকদের এই ভাবেই গদাম দিতে হয় । এই প্রতারকদের আসল মুখোশটা খুলে দেয়াটা বেশ প্রয়োজন ছিল ।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৯

রুশন বলেছেন: আপ্নার সর্ব কাজে আমার আমাদের সমর্থন থাকলো


সরকার বরাবরে হেফাজতের ১১৯ দফা দাবী

১.আম-জাম-কাঁঠাল-লিচু-শিরিষ-বট এই সকল মালাউন বৃক্ষ হত্যা করিয়া খেজুর আখরুট জাতীয় মুসলমান বৃক্ষ রুপনে সরকারকে উদ্যোগী হইতে হইবে।

২. সরকারের একমুখী নীতির কারণে মুক্তিযোদ্ধা-ভাতা প্রণীত হইলেও রাজাকার ভাতা প্রণীত হয় নাই। অবিলম্বে রাজাকার ভাতা ঘোষনা করিতে হইবে।

৩. বিদেশ হইতে টিস্যু আমদানী বন্ধ করিয়া ঢিলা ও কুলুপ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করিতে হইবে এবং এ-প্রজন্মকে কুলুপ ব্যবহারে (নুনুতে ধরিয়া চল্লিশ কদম হাঁটা.......) উদ্ধুদ্ধ করিতে প্রতি বছর বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে কুলুপ উৎসবের ব্যবস্থা করা সরকারের ঈমানী দ্ধায়িত্ব বলিয়া মনে করি।

৪. বেশি লেখাপড়া করিয়া ছেলে মেয়েরা শয়তানের ওয়াছওয়াছায় পড়িয়া নাস্তিক হইয়া যায়। তাই উচ্চশিক্ষা বন্ধ করিয়া ছেলে মেয়েকে নিম্নশিক্ষায় অনুধ্যায়ী হইতে হইবে। ( চলবে)


Click This Link

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

সামদ বলেছেন: ১/ চমৎকার পোষ্ট। ছাগুরা জানে যে যুক্তি দিয়ে আপনার পোষ্টে টেকাটা কষ্টকর তাই তারা পোষ্টের ফোকাস নষ্ট করার সবরকম চেষ্টাই চালাবে। তাদের অপ্রাসঙ্গিক ও আক্রমনাত্মক কমেন্ট নমুনা হিসাবে ২/১ টার বেশী রাখাটা কতটা জরুরী তা নিশ্চিত নই।

২/ পোষ্টে দুইজন নরঘাতকের কথা এসেছে। আরেকজন যার রায় সর্বপ্রথম ঘোষিত হয়েছে, সেই বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন ২২ জন, এর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শী ১৭ জন। সাক্ষীদের মধ্যে ভিকটিম ও তাদের পরিবার সদস্যরা ছিলেন।

রেফারেন্স:

ক. যুদ্ধাপরাধের বিচার: বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসি: ৮ অভিযোগের ৭টিতে অপরাধ প্রমাণিত, ১টিতে খালাস

[দৈনিক সমকাল, ২২ জানুয়ারি ২০১৩, মঙ্গলবার , প্রথম পৃষ্ঠা, রিপোর্টার: ওয়াকিল আহমেদ হিরন/আবু সালেহ রনি ]

"নানা আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ২৬ ডিসেম্বর মামলাটির বিচারের রায় অপেক্ষমাণ সিএভি (কোর্ট এ ওয়েটিং ভারডিক্ট) রাখা হয়। ওই দিন বাচ্চু রাজাকারের পক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান আসামিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করে সমাপনী বক্তব্যে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তথ্য-উপাত্ত, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষী মোট ২২ জন এবং এর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শী ১৭ জন। সাক্ষীদের মধ্যে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের এক মাস ২২ দিনের মাথায় বিচারকাজ শেষ হয়।"

খ. বাচ্চু রাজাকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় সোমবার []

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সাবেক রোকন (সদস্য) পলাতক আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে সোমবার রায় দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

রোববার ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসিরউদ্দিন মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় দেবেন।

এদিন এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “গভীর প্রত্যাশা নিয়ে আমরা অপেক্ষা করছিলাম এ রায়ের জন্য। সাক্ষ্য-প্রমাণ যা দিয়েছি, সেগুলোই বিচারের রায়ে প্রতিফলন হবে বলে আমরা আশা করছি।”

ব্রিফিংয়ের উপস্থিত প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজারের রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে সোমবার। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে যেসব তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে বাচ্চু রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তিই হতে পারে। এ রায় ঘোষণা হবে তার বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগে ভিত্তিতে। এসব অভিযোগ আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে সাক্ষী ২২ জন, এর মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শী ১৭ জন। সাক্ষীদের মধ্যে ভিকটিম ও তাদের পরিবার সদস্যরা ছিলেন।”

গত ২৬ ডিসেম্বর বাচ্চু রাজাকারের পক্ষে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষ করে আসামিপক্ষ। আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন বাচ্চু রাজাকারের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান। এরপর আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তিনি আসামিপক্ষের যুক্তিখণ্ডন করে সমাপনী বক্তব্যও দেন।

মামলার ধারাবাহিক বিচারিক কার্যক্রম

প্রথম ট্রাইব্যুনাল গঠনের এক বছরের মাথায় গত বছর ২২ মার্চ মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মামলাটি দিয়েই শুরু হয় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম।

২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষকে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ২ এপ্রিল তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন প্রসিকিউশন। একই সঙ্গে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনও করেন রাষ্ট্রপক্ষ। উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ এপ্রিল বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে ৩ এপ্রিল বাচ্চু রাজাকারকে গ্রেফতার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তার আগেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত হয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যান বাচ্চু রাজাকার। ফলে ওই দিন পুলিশ তার রাজধানীর উত্তরার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়।

গত ২৬ জুলাই বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শেষ করে ওই তদন্ত প্রতিবেদন (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত সংস্থা।

৯ সেপ্টেম্বর আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, দেশান্তরিত ও ধর্মান্তরিতকরণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ১০টি ঘটনায় ২২টি অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ৪৪৮ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করা হয়।

২৩ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার মাধ্যমে বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আর গত ৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আবুল কালাম আজাদের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে তার পক্ষে আইনি লড়াই করতে সরকারের খরচে মো. আব্দুস শুকুর খানকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন।

৪ নভেম্বর পলাতক আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে ৮টি অভিযোগের ২২টি ঘটনার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ২৬ নভেম্বর বাচ্চু রাজাকারের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন থেকে শুরু করে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের মোট ২২ জন সাক্ষী।

সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন ও জব্দ তালিকার সাক্ষী বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) বুক শর্টার এস এম আমিরুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর ২০ জন ঘটনার সাক্ষী হচ্ছেন, নেপাল চন্দ্র পাঠক, বাচ্চু রাজাকারের হাতে শহীদ চিত্তরঞ্জন দাশের স্ত্রী জোৎস্না রানী দাশ, মো: মোজাহের সিকদার, মো: ধলা মাতুব্বর, রঞ্জিত কুমার নাথ বাবু, শহীদ মাধব বিশ্বাসের পুত্র ভক্ত রঞ্জন বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন, প্রফুল্ল রঞ্জন মণ্ডল, নগেন চন্দ্র মণ্ডল, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তুষ্ট কুমার মণ্ডল, দেব কুমার দাস, রওশন আলী বিশ্বাস, একজন ক্ষতিগ্রস্ত নারী (ক্যামেরা ট্রায়াল), বিনোদ চন্দ্র বিশ্বাস, প্রবোধ কুমার সরকার, আব্দুল মান্নান, শহীদ পরিবারের সদস্য সুশীল কুমার পোদ্দার, আবু ইউসুফ সিদ্দিকী পাখি, সত্য রঞ্জন সাহা এবং অসিত বরণ সাহা। তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায়।

ট্রাইব্যুনালে নিযুক্ত বাচ্চু রাজাকারের আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান তাদের জেরা সম্পন্ন করেন।

অন্যদিকে, আসামিপক্ষ কোনো সাক্ষী তালিকা দিতে না পারায় বাচ্চু রাজাকারের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য ছাড়াই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

২৩, ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৩

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই এই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজনের জন্য

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: যারা নিজেদের স্বার্থে ধর্মগ্রন্থের অপব্যাখ্যা করতে পারে তাদের কাছে তো এই জিনিস ডালভাত।

চমৎকার পোস্ট যথারীতি, সেই সাথে সামাদ ভাইয়ের মন্তব্যটাও বাড়তি সংযোজন হয়েছে.....

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫১

আলুমিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি সামান্য সময় বাচিয়ে আমাদের জন্য আরো বিশ্লেসনমুলক লেখা লিখবেন। এটা আমাদের জন্য খুবই উপকার করবে।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ধন্যবাদ নিঝুম ভাই। প্রতারকদের মুখোশ খুলে দেয়াটা খুবই প্রয়োজন ছিল ।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

জগ বলেছেন: কি মিয়া, ওয়াহিদ ভাই এর বিরুদ্ধে লেখা পোষ্টে আর কমেন্ট করেন্না কেন? আপনের পাল্টা যুক্তি দেখার জন্য বসে আছি।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.