![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জিয়ার মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রী নুরুল হদা গত ০৭-০৮-১৯৮৮ সালে একটি সাক্ষাৎকার দেন অধ্যাপক জনাব সালাহ উদ্দিন আহমদকে। সেই সাক্ষাৎকারে জিয়ার এই মন্ত্রী শহীদ কর্ণেল আবু তাহেরের ফাঁসী পরবর্তী একটি ঘটনায় একটা তথ্য দেন। আমার কাছে এই তথ্যটি জিয়ার চরিত্র বিশ্লেষনে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। কি সেই তথ্য? আসুন সেটি জানি-
“ট্রায়াল হওয়ার এবং ওর (বীর তাহের) হ্যাংগিং হওয়ার সপ্তাহখানেক পরে আমি জিয়া সাহেবের একটা টেলিফোন পেলাম। রোজই টেলিফোনে কথা হোতো। আমি করতাম বা উনি করতেন। উনার ইউজুয়াল খানিকটা ইন ইমিনিটেবল যেটা বলেন, আমাকে বললেন যে একটা চাকরি দেবেন নাকি? একটু হাসি হাসি ভাব আর কি। আমিও একটু সেই ভাবেই ভাবছি উনি আমার কাছে চাকরি চান মানেটা কি। তারপরে উনি আমাকে বললেন যে, সিঙ্গাপুরে ট্রেড কমিশনারের পোস্টটা খালি হয়েছে। ওখানে ব্রিগেডিয়ার ইউসুফ হায়দারকে চাকরি দেন। আমি তখনও ব্রিগেডিয়ার ইউসুফ হায়দারের নামও শুনি নাই। চিনিও না তাকে। আমি তখন বুঝলাম...দিস ইজ নট এ রিকুয়েস্ট। দিস ইজ এন অর্ডার। ...যাই হোক ইন এ ডে ওটা হয়ে গেলো। আই ইনফর্মড জিয়া যে ঠিক আছে হয়ে গেছে। এবং ব্রিগেডিয়ার ইউসুফ ট্রায়াল জাজ না চেয়ারম্যান অদ দি ট্রাইবুনাল ছিলেন তাহেরের সেই কেসের”
[পৃষ্ঠাঃ ৪২৯, কথ্য ইতিহাস প্রকল্প বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা]
কর্ণেল তাহেরকে যে অবৈধ ট্রাইবুনালে বিচারে ফাঁসী নাম দিয়ে খুন করা হয়েছিলো সেই ট্রাইবুনালের একমাত্র বিচারপতিকে জিয়া সিঙ্গাপুরে নিরাপদে কি করে পার করে দিলো, বুঝতেই পারলেন। এটি ছাড়াও আরেকটা ব্যাপার জানার আছে আপনাদের।
১৯৯৫ সালে খালেদা জিয়ার সরকার তারামন বিবি, বাংলাদেশের একমাত্র নারী বীর প্রতীককে তাঁর প্রাপ্য পদক প্রদান করেন। তারামন বিবি যদিও ২১ বছর ধরে জানতেন না যে তিনি এই পদক পেয়েছেন। পরে সরকার তারামন বিবিকে খুঁজে বের করে পদক দেন।
মজার ব্যাপার হোলো এই বি এন পি আমলেই বিটিভিতে ক্রমাগত প্রচার করা হতে থাকে যে তারামন বিবি ১১ নাম্বার সেক্টরে কমান্ডার জিয়ার অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। এই ইতিহাস বিকৃতিতে ক্ষোভে ফেটেপড়ে বাংলাদেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনের মানুষেরা। তাঁরা এই মিথ্যে ইতিহাসের নিন্দা জানান। কেননা ১১ নাম্বার সেক্টরের প্রধান ছিলেন কর্ণেল তাহের বীর উত্তম, জিয়া নন। [সূত্রঃ সংবাদ, ২১-১২-১৯৯৫]
একটু লক্ষ্য করে দেখুন জিয়া প্রথমে খুন করলো বীর তাহেরকে পরে যেই অবৈধ ট্রাইবুনালে বীর তাহেরের বিচার হয়েছিলো সেই ট্রাইবুনালের বিচারপতিকে আস্তে করে দেশের বাইরে নিরাপদে পার করে দিলো জিয়া। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকে সম্পূর্ণ পরিবার সহ খুনীরা রক্তে রঞ্জিত হবার সময়েও এই জিয়া সেটা জানত এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের জিয়াই দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থানে চাকুরী দিয়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখে। আবার এই জিয়ার স্ত্রী খালেদাও সুন্দর মত কর্ণেল তাহের যে সেক্টরের প্রধান ছিলেন সেটি জাতির সামনে থেকে মুছে ফেলতে নিজের স্বামীকে সেই সেক্টরের প্রধান করে টিভিতে প্রচার করে।
যেমন মিয়া তেমন বিবি। কেয়া বাত!!! সৃষ্টিকর্তা একেবারে ঠিক মতো জুটি মিলিয়ে দিয়েছে।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৮
নিয়েল হিমু বলেছেন: O.M.G ! O.M.G !! O.M.G !!!
বিন্পির কেউ দেখল না কেন এই পোষ্ট ? সপটির মুখে কি ঘুরার []চি ঢুকায়া রাখছে । ৩২৯ বার পড়া হৈছে এর মদ্ধে বিন্ফির কেউ নাই নাকি ?
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৮
নিঝুম মজুমদার বলেছেন: রেফারেন্স দেয়া থাকলে বিম্পির ভাইয়েরা খেলতে নামেন না
৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২২
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ১৯৯৫ সালে খালেদা জিয়ার সরকার তারামন বিবি, বাংলাদেশের একমাত্র নারী বীর প্রতীককে তাঁর প্রাপ্য পদক প্রদান করেন। তারামন বিবি যদিও ২১ বছর ধরে জানতেন না যে তিনি এই পদক পেয়েছেন। পরে সরকার তারামন বিবিকে খুঁজে বের করে পদক দেন।
দেশে কি কোন চেতনা ব্যবসায়ী চিল না, উনাকে জানানোর জন্য যে উনি এই পুস্কারটা পেয়েছেন।
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫১
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: নিঝুম দা, ছাগলের বাচ্চাদের থাপ্রার উপ্রে রাখেন।
উপ্রে যত ছাগলের বাচ্চায় কমেন্ট করছে সবটিরে খোয়াড়ে সাপ্লাই দেন।
এদের সুযোগ দিলেই মাথায় উঠবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২০
বুদ্ধিমান বলেছেন: আবার এই জিয়ার স্ত্রী খালেদাও সুন্দর মত কর্ণেল তাহের যে সেক্টরের প্রধান ছিলেন সেটি জাতির সামনে থেকে মুছে ফেলতে নিজের স্বামীকে সেই সেক্টরের প্রধান করে টিভিতে প্রচার করে।
সহমত।