নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে পছন্দ করি তাই যা মনে আসে তাই লিখি
ভার্সিটি থেকে আসছিলাম। আমি যে রুট ধরে আসি আব্বুও অফিস থেকে ঠিক একই রুটে আসে। কিন্তু কখনোই দেখা হয় না। কারণ আমার ছুটি ১ টায় আর আব্বুর ৫ টা।
আজ আমার একটা কাজ ছিল তাই ৫ টায় ছুটি হল। বাসে উঠে পেছনে এগিয়ে দেখি আব্বাজান একটা সীটে বসা। জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে প্রকৃতি দেখতেছে। বিরাট প্রকৃতি প্রেমিক। আমি সামনে গিয়ে জোরে সালাম দিলাম। আব্বু একেবারে হকচকিয়ে গেল। সালামের জবাব পর্যন্ত দিলো না হা করে তাকিয়ে থাকলো।
‘কি অবস্থা? কেমন আছেন?’ এই প্রশ্নে আব্বু আরও ছেঁড়াবেড়া। আব্বুর পাশে যে লোক বসে ছিল সে একবার আমার দিকে তাকায়, আরেকবার আব্বুর দিকে। পেছনে একটা সীট ছিল আমি গিয়ে বসলাম। কন্ডাক্টর আসলো, স্বাভাবিকভাবেই আব্বু ভাড়া দিয়ে দিল। মাথা ঘুরিয়ে আমাকে বলল, ‘এই অনি ভাড়া আমি দিয়ে দিছি।’
আমি হেসে বললাম, ‘আরে এসবের কি দরকার ছিল?’ আব্বু এইবার হেসে ফেলল।
বাস থেকে একসাথে নামলাম দুই বন্ধু। তারপর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে করতে বাসায় ফিরলাম। আশপাশ দিয়ে বেশ কয়েকটা সুন্দরী মেয়ে চলে গেল, আব্বু পাশে থাকাতে তাকাতে পারলাম না আফসোস কি বাত!
বাসায় গেলাম ফ্রেস হলাম। আম্মা নাস্তা দিল। আমি, আপু, আব্বু সবাই বসলাম নাস্তা খেতে। আব্বু শুরু করলো, ‘তোমার ছেলে আজ কি করছে জানো?’
‘কি করছে?’
‘বাসে সবার সামনে আমার সাথে মশকরা করতেছে। সালাম দিতেছে, আপনি করে করে জিজ্ঞাসা করতেছে কি অবস্থা কেমন আছি?’
‘সালাম দেয়া আর কুশালাদি জিজ্ঞাসা করাও দোষ। হাইরে! দেশটা যে কই যাইতেছে।’
আমার কথায় সবাই গলা ছেড়ে হেসে উঠলো। মধ্যবিত্তদের হাসতে খুব বেশি উপলক্ষ লাগে না।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
কালোপরী বলেছেন: নিশাচর পোস্ট
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
ঘূণে পোকা বলেছেন: শান্তিতে চাকরি করতেছো তো তাই বুঝতেছ না...রাত জাইগা জাইগা চাকরির আবেদন করতে কি মজা আমি টের পাইতেছি
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
ঘূণে পোকা বলেছেন: ভাই চেষ্টা করলাম আর কি...
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩
সুলাইমান হাসান বলেছেন: ভালোই মজা করলেন।