নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘুনে পোকা

এই পোলা ব্লগিং করা ও শুরু করল......কোন কিছু আর বাদ দিব না!!!!!!!!!

ঘূণে পোকা

লিখতে পছন্দ করি তাই যা মনে আসে তাই লিখি

ঘূণে পোকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়েছিল এক নারীর কারণে, তার নাম হেলেন । এটা সবাই জানি ।কিন্তু স্টেফানি ইসাক (Stefanie Isak) নামটি কয়জন জানি ????

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬



ট্রয় নগরী ধ্বংস হয়েছিল এক নারীর কারণে, তার নাম হেলেন । এটা সবাই জানি ।কিন্তু স্টেফানি ইসাক (Stefanie Isak) নামটি কয়জন জানি ?



...১৬ বছরের এই ইহুদী মেয়েটির কারণে সারা দুনিয়া ধ্বংস হবার উপক্রম হয়েছিল !!



সালটি ১৯০৬, Vienna শহরে বসবাসরত মেয়েটির বয়স তখন ১৬... ধনী ব্যবসায়ীর মেয়ে ।

একদিন রাস্তার ধারে বসে থাকা এক শিল্পীকে দিয়ে শখ করে মেয়েটি তার একখানা portrait বানালো ।

অসম্ভব রূপবতী এই নারীর ছবি আঁকতে গিয়ে মনের অজান্তে ওই যুবক শিল্পীটি তার প্রেমে পড়ে গেল ।

তার বয়স তখন ১৮...

ছেলেটির স্বপ্ন চিত্রশিল্পী হওয়া । Academy of Fine Arts Vienna তে চেষ্টা করছে ভর্তি হবার জন্য, কিন্তু পারছে না । ছেলেটির অবসর কাটে রাস্তার ধারে ছবি এঁকে । আবার মাঝে মাঝে পথচারীদের portrait এঁকে দু-চার পয়সা রোজগার করে ।



শিল্পীদের মন অনেক রোম্যান্টিক হয় । এটাই স্বাভাবিক ।

তো পরদিনই মেয়েটিকে সে প্রপোজ

করে ।

মেয়েটি হা বা না, কিছুই বলে না ।

ছেলেটি মাঝে মাঝে মেয়েটির বাড়ির সামনে গিয়ে বসে থাকতো, একপলক দেখার জন্য ।



বিশাল বাড়িটি উঁচু প্রাচীরে ঘেরা । বিশাল লোহার গেট । মাঝে মাঝে ছেলেটি তার পোষা কুকুরকে গেটের ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিত বাড়ির ভিতরে । কুকুরটির মুখে থাকত প্রেম পত্র ।

কুকুরটি ছিল ছেলেটির অনেক প্রিয় । ভিয়েনা আসার সময় তার মা এই কুকুরটিকে তার সাথে দিয়েছিল ।

বলা যায়, কুকুরটি ছিল মায়ের দেয়া শেষ উপহার । কারণ এরপর আর কোনদিন ছেলেটির দেখা হয়নি তার মা ক্লারার সাথে । তিনি মারা যান ।



মেয়েটির পরিবার বিষয়টি আমলে

নিলো । ছেলেটি চালচুলোহীন, রাস্তার ছেলে । তার উপরে non-Jewish...

এই সম্পর্ক কিছুতেই সম্ভব নয় । আর ছেলেটির ভবিষ্যত্‍ বলে কিছু নেই । তারা ছেলেটিকে বারবার বারণ করে দিলো ।



কিন্তু প্রেম কি আর বারণ শোনে ?

ছেলেটি সুযোগ পেলেই মেয়েটিকে দূর থেকে দেখতো । উত্তর না এলেও প্রেম পত্র দিত ।

তো একদিন প্রেমপত্র সমেত কুকুরটিকে আবার পাঠালো মেয়েটির বাড়িতে । কিন্তু ওইদিন আর কুকুরটি

ফিরে এল না । ছেলেটি সারারাত অপেক্ষা করে সকালে চলে গেল ।

পরদিন আবার মেয়েটির বাড়ির

সামনে গেল । বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে ছেলেটি তার সেই প্রিয় কুকুরটির মৃতদেহ খুঁজে পেল । নির্মমভাবে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে ।

সেইদিন কাঁদতে কাঁদতে ছেলেটি চলে এলো । আর কোনদিন ওই বাড়ির সামনে যায় নি সে ।



...চালচুলোহীন ওই রাস্তার ছেলেটি পরে যা করেছিলো তা ইতিহাস । বলা যায় রাস্তার সেই ছেলেটি নিজ হাতে গত শতাব্দীর ইতিহাস লিখে গেছে ।

এমনকি পরবর্তীতে তার পোষা কুকুর blondi, এতটাই বিখ্যাত হয়েছিল যে তার wiki page এর সাইজ অনেক famous celebrity দের চেয়ে বড় ।



ছেলেটি মারা যাবার অনেক পরে মেয়েটি নাকি বলেছিল, সে ছেলেটিকে মনে মনে ভালবাসত ।

সাহস করে বলতে পারে নি ।



যাই হোক, ছেলেটি Hitler...

নিশ্চয় নামটা শুনেই বুঝতে পারছেন এর পর আর কিছু বলার থাকে না । বাকি টুকু সবার জানা...



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

মদন বলেছেন: অসাধারন তথ্য। জানা ছিলো না..

২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

মোঃ ইয়াহিয়া বারী বলেছেন: এই কাহানি জানতাম না ভাই। ধন্ন দিয়া ছুতু করলাম না। সরাসরি প্রিয়তে

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চমৎকার পোস্ট ++++++ প্রিয়তে রইল

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

ঘূণে পোকা বলেছেন: আমিও ধন্ন দিয়া ছুতু করলাম না। :-P :-P :-P :-P :-P :-P :-P

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

আ.আ.আজাদ বলেছেন: ঘটনাটা ভালো হলেও ইতিহাসটা বিশ্বাস হলো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.