নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোলাম কিবরিয়া পিনু

গোলাম কিবরিয়া পিনু

I love poems গোলাম কিবরিয়া পিনু কবি প্রকাশিত গ্রন্থ ১. এখন সাইরেন বাজানোর সময় (কবিতা), ১৯৮৪ ২. খাজনা দিলাম রক্তপাতে (ছড়া), ১৯৮৬ ৩. সোনামুখ স্বাধীনতা (কবিতা), ১৯৮৯ ৪. পোট্রেট কবিতা (কবিতা), ১৯৯০ ৫. ঝুমঝুমি (ছড়া), ১৯৯৪ ৬. সূর্য পুড়ে গেল (কবিতা), ১৯৯৫ ৭. জামাতের মসজিদ টার্গেট ও বাউরী বাতাস (প্রবন্ধ), ১৯৯৫ ৮. কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে (কবিতা), ১৯৯৭ ৯. এক কান থেকে পাঁচকান (ছড়া), ১৯৯৮ ১০. দৌলতননেছা খাতুন (প্রবন্ধ), ১৯৯৯ ১১. আমরা জোংরাখোটা (কবিতা), ২০০১ ১২. সুধাসমুদ্র (কবিতা), ২০০৮ ১৩. আমি আমার পতাকাবাহী (কবিতা), ২০০৯ ১৪. মুক্তিযুদ্ধের ছড়া-কবিতা, ২০১০ ১৫. বাংলা কথাসাহিত্য : নির্বাচিত মুসলিম নারী লেখক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (গবেষণা), ২০১০ শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) এবং স্নাতকোত্তর; পিএইচ.ডি.

গোলাম কিবরিয়া পিনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতের ইন্দ্রজাল : জামায়াত নাকি নবীগণের কাজ করছে!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৩





জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ নামক সংস্থাটি এদেশের রাজনৈতিক পরিবেশের সুযোগ-সুবিধে গ্রহণ করে ধর্মের নামে মানুষের কাছে নিজেদের সাংগঠনিক অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বিভ্রান্তি আর অসত্যের জটাজালে এদেশের রাজনৈতিকধারাকে সুস্থতার বদলে অসুস্থ ও বিপদাপন্ন করে তুলছে। এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাতিল আগাছা হিসেবে তারা চিহি্ত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ আর রক্তের মধ্যে দিয়ে পরাজিত হয়ে তারা এক ঘৃণ্য-শক্তি হিসাবে ইতিহাসে জায়গা দখল করে নিয়েছে। সেই কালজ্ঞ-শক্তি আজ যেন গুহা থেকে বের হয়ে একমাত্র ধর্মের আলখাল্লা পরে দিনের আলোয় এসে মাটি পেয়ে ঘাঁটি তৈরি করে আজ দাঁড়িয়েছে। তাদের বাঁকা-শিরদাঁড়া একমাত্র ধর্মের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে সোজা করতে চাইছে। আর এ-কারণে ধর্মকে হেলাফেলায় নিয়ে যাচ্ছে।



জামায়াত তাদের ’ব্যক্তিগত রিপোর্ট বই’-এ অত্যন্ত হীনকৌশলে আর নিজেদের হীনস্বার্থে ধর্মকে শুধু ব্যবহার করেনি, নবীদেরও ব্যবহার করেছে। উল্লিখিত বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে -- ‘যে কাজ করার জন্য আল্লাহর নবীগণ দুনিয়ায় এসেছেন জামায়াতও সেই কাজ করছে।’ হতবাক হতে হয়, আশ্চর্য হতে হয়! নবীগণ যে কাজ করার জন্য এসেছেন, সেই কাজ কি জামায়াত করছে, না করেছে? কখনো না। তারা নবীদের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে নবীদের মর্যাদাকেই খাটো করেছে। নবীরা তাঁদের কাজের মধ্যে কখনো খুন, ধর্ষণ ও নিজেদের ভাই-ভগ্নিদের মধ্যে বিভেদ টেনে এনে নির্যাতন করার উদ্যোগ সমর্থন করেনি; জামায়াত মুক্তিযুদ্ধে খুন-লুণ্ঠন-ধর্ষণ ইত্যাদি অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থেকে ইতিহাসে মনুষ্য-প্রাণীর নিম্নতম যোগ্যতার প্রমাণ রাখেনি বরং ইতিহাসের ঘৃণ্য-অপশক্তি হিসেবে নিজেদের চিহিৃত করেছে, সেই জামায়াতের কাজ কীভাবে নবীদের কাজের সঙ্গে তুলনীয় হয়? সামান্য যুক্তিবোধ যদি থাকে, তবে তা বিবেচনায় এনে বলা যায় যে, জামায়াত নবীগণের মর্যাদাকে হীনস্বার্থে অপব্যবহার করে নবীগণের মর্যাদাকে দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে। সীমাবদ্ধ ও ছোট করেছে।



নবীগণ পৃথিবীতে এসে কী করেছেন? নিশ্চয় কল্যাণকর ভূমিকা রেখেছেন। মানবজাতির মধ্যে যে অন্যায়-অবিচার বিরাজ করেছে, সেসব দূর করার জন্য তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন। শান্তি আর মানুষের জন্য ত্যাগ করেছেন। আর জামায়াত নবীগণের নামে তথাকথিত পথ অনুসরণ করে কোনো কল্যাণকর-মানকতাবাদী দৃষ্টান্ত এদেশে কখনো রেখেছে? না, কখনো না। এখন তারা খুন-জখম করে রগ কেটে মানুষের কাছে এক ধরনের ফ্যাসিস্ট-সুলভ মনোবৃত্তির পরিচয় তুলে ধরেছে। তারা নবীগণের নিম্নতম মানবিক গুণের অধিকারী নয় অথচ তারা নবীগণের অনুসারী হিসেবে নিজেদের ভাবছে! অন্যান্য নবীদের কথা বাদ দিয়ে শুধু মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ-এর কথাই বলি, তবে কি বলা যায় না : এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে শেষ নবীর কোনো বৈশিষ্ট্যের ছিটেফোঁটা যদি থাকতো, তবে জামায়াত একাত্তরে হিংস্র-হায়েনাদের সহযোগী হয়ে কখনো একই ধর্মের ভাইবোনদের খুন-ধর্ষণ করার ব্যাপারে উৎসাহী হতো না। জামায়াতের ছত্রছায়ায় যেসব আলবদর-রাজাকার ছিল, তারা ছিল সংখ্যায় মুষ্টিমেয়, তাদের বিপরীতে ছিল হাজার হাজার লক্ষ গুণ বেশি মানুষ, যারা নবীগণের উত্তরাধিকার হিসেবে ঐক্যে, দৃঢ়তায় ও মানবিক-উজ্জ্বলতায় মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। ন্যায্য অধিকার ও মানবতা রক্ষায় তাঁরা সেদিন ধর্মকে খাটো করেনি, নবীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেনি। সেদিন যারা এর বিপরীতে দাঁড়িয়েছিল, আজ সেই চিহিৃত মহল চার্তুযের সাথে ধর্ম ও নবীগণের মর্যাদাকে ব্যবহার করছে। জামায়াত ‘ব্যক্তিগত রিপোর্ট’ বইয়ে আরও উল্লেখ করেছে : ‘সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার পর পেছনে ফিরে যাবার পথ বন্ধ করে দিন। এ কথা ভালো করে বুঝে সুঝে অগ্রসর হবেন যে, পেছনে ফিবে যাবার কোনই পথই নেই। আল্লাহর সাথে প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আপনার জানমালকে তাঁর হাতে বিক্রি করে দেবার পর তা কিছুতেই আর ফেরত নিতে পারেন না। এ প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গে আপনি এক জীবন-পণ সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে গেছেন। এপথে আপনাকে চলতে হবে, অপরকে চালাতে হবে।’ এ বক্তব্যে লক্ষ্য করা যায় যে, জামায়াতের পুরনো ইতিহাস ও অপকর্ম সম্পর্কে কেউ যেন প্রশ্ন তুলতে না পারেন, জামায়াতের কোনো বিভ্রান্ত কর্মী যেন পিছনের দৃশ্য বা ছবির মাধ্যমে আসল চেহারা না ধরতে পারে। এভাবে হীন-কৌশলে কায়েমী স্বার্থে মানুষদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আর এমন ভাবে সমার্থক করে বলা হচ্ছে : জামায়াতের সাথে সম্পর্কিত হলে আল্লাহর সাথে প্রতিশ্রুতিতে সম্পর্কিত হওয়া যায়। আল্লাহ, নবী, ধর্মের সাথে ভয়াবহ ভাবে তাদের সামঞ্জস্য তৈরি করে কৃত্রিম এক আবহ জামায়াত ‘ব্যক্তিগত রিপোর্ট বই’-এ সৃষ্টি করেছে।



উল্লিখিত বইয়ে আরও বলা হয়েছে : ‘এ জামায়াতে শামিল হবার সময় স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে সেই প্রতিশ্রুতিই গ্রহণ করা হয় যাকে আল্লাহতায়ালা বিক্রি চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। গঠনতন্ত্রের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর যে লক্ষ্য বর্ণনা করা হয়েছে তার প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে যিনি জামায়াতে শামিল হবার সময় আল্লাহপাকের সাথে চুক্তি সম্পাদন করেন তার দৃষ্টিতে এ চুক্তি কখনোই এমন কোন জামা-কাপড়ের মত হতে পারে না যাকে যখন পরা যায় আবার যখন ইচ্ছে খুলে রেখে দেয়া যায়।’ এমনভাবে এসব বলা হয়েছে যে, জামায়াতে শামিল হওয়া মানে আল্লাহর পথে পা রাখা, আল্লাহর সাথে ‘বিক্রি চুক্তি’ সম্পাদন করা হয়ে থাকে। এভাবে কায়েমী স্বার্থে ও সংকীর্ণ দৃষ্টিতে মানুষকে বিভ্রান্ত করে জামায়াতের ছত্র-ছায়ায় অনেককে টানতে তারা অপকৌশল নিয়ে সফল হয়েছে। অথচ এই জামায়াত বিভ্রান্ত-পথের যাত্রী, মওদুদীবাদের মাধ্যমে ইসলাম ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে বিকৃত করার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামী। এই আসামীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে উৎসারিত অনেক অভিযোগও রয়েছে। মানবতা-বিরোধী, ধর্ম-বিরোধী এই অপশক্তি রাষ্ট্র-প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে ধর্ম ও নবীগণের মর্যাদাকে আজ বিভ্রান্তির ঘোলাজলে টেনে নিয়ে ব্যবহার করে কায়েমী স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

জামায়াত আজ পবিত্র কোরান, হাদীস, ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের একমাত্র সোল-এজেন্ট হিসেবে নিজেদের জাহির করছে। এবং এদেশের নতুন প্রজন্মের অনেক তরুণ আর বিভিন্ন শ্রেণির লোকজনকে বিভ্রান্তির কূটজালে আটকানোর অপপ্রয়াস পাচ্ছে। গা ছাড়া দিয়ে ইচ্ছে মত ধর্ম ও নবীদের যেভাবে ব্যবহার করছে তা যুক্তির বাইরে এবং ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য। তাই তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারা মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে, ঠিক তেমনি আজ আরও বহু কারণে শাস্তিযোগ্য অপরাধে অপরাধী হয়ে পড়েছে।

জামায়াতের ইন্দ্রজাল থেকে আল্লাহ, নবী, কোরান, হাদীস, মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতার মর্যাদা রক্ষা করে কল্যাণের পথকে প্রশস্ত করা জরুরি কর্তব্য বলে মনে করি। অকল্যাণের প্রতিভূ, প্রতিক, সংস্থা ও অপশক্তির আঁধার হিসেবে জামায়াত চিহিৃত হয়ে আছে, সেই চিহৃ মুছে না ফেলতে পারলে ভ্রষ্ট হবে মানুষ, নষ্ট হবে অনেক কিছু। এটাই হবে ট্রাজেডি!

--------------------------------------------------------------------

গোলাম কিবরিয়া পিনু, প্রকাশিত কলাম, আজকের কাগজ, ১৬ ভাদ্র ১৪০১



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

নায়করাজ বলেছেন: ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবির রাজাকার যুদ্ধাপরাধী চক্রের মিথ্যার বেসাতি পাবেন নিচের লিংকে। তাদের মিথ্যার বেসাতি দেখে অবাক হয়ে যাবেন।

Click This Link

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

আলমগীর_কবির বলেছেন: জামাত নিষিদ্ধ করলেও সমস্যা না করলেও সমস্যা। জামাত এখন দেশের শাখের করাত।

দেশের মানুষ আজ ধর্মকে বুকের মধ্যে লালন করে কিন্তু ধর্মভিত্তিক কপট রাজনীতিকে ভূলণ্ঠিত করতে শিখেছে। আজ প্রজন্মচত্ত্বরগুলোতে এদেশের যুব সমাজ জেগে উঠেছে, সঙ্গীতের মূর্ছনায় তারা ষোলকোটি মানুষকে জাগিয়ে রেখেছে। এখন আর কেউ ঘুমিয়ে নেই। বিস্তারিত পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.