নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী

গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ষবরণে বস্ত্রহরণ! কোন সংস্কৃতির অনুকরণ?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

বর্ষবরণে বস্ত্রহরণ! কোন সংস্কৃতির অনুকরণ?
New 0 0
॥ গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী॥
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষেরে হে বঙ্গ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি’। ১৪২২ বঙ্গাব্দের বাঙালির বর্ষবরণ উপলক্ষে নারীর বস্ত্রহরণ তারই প্রমাণ। দুঃখের বিষয় আমরা কেন বাঙালি থেকে গেলাম ! মানুষ হতে পারলাম না ? প্রতি বছরই বৈশাখ আসে। বাঙালি জাতি উৎসবে মাতে। বাঙালি বলতে যদি আমরা হিন্দুত্বকে বুঝাই তাহলে তেমন কোনো আপত্তি থাকে না। সমস্যা হচ্ছে আমরা আবার বাঙালি বা বাংলাদেশী মুসলমান। যদিও শরৎ বাবু, বঙ্কিম চন্দ্র আর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে বাঙালি বলতে হিন্দুদেরকেই বুঝানো হয়। তারপরও আমরা বাংলাদেশের মানুষ নিজেদেরকে বাঙালি বা বাংলাদেশী মুসলমান বলে পরিচয় দিতে চাই তাহলে যে কোনো উৎসব বা পার্বণে আমাদেরকে হিন্দু সংস্কৃতি আর মুসলিম সংস্কৃতির কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমান নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী আর শিশু, কিশোর-কিশোরীর মধ্যে বাংলা নব বর্ষ উৎযাপনের নামে যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে তাতে আগামী শতাব্দীতে হয়তো বা মুসলিম সংস্কৃতি কি তা আমাদের সন্তানেরা যাদুঘরে সংরক্ষিত ইতিহাস থেকেই জানতে হবে। হয়তো বা এ শতাব্দীতেই কোনো এক গীতিকার এমন গান রচনা করবেন বা কোনো একজন শিল্পী গাইবেন, ‘তোরা পাঞ্জাবী পায়জামা পরিস না, পর্দা করিস না; পাঞ্জাবী পায়জামা পরিলে, পর্দ করিলে মনে পইরা যায়, একদিন মুসলমান ছিলাম রে। তোরা মসজিদ আর মাদরাসায় যাইস না, মুখে দাঁড়ি রাখিস না, মাথায় টুপি দিস না; মাথায় টুপি পরিলে মুখে দাঁড়ি রাখিলে মনে পইরা যায়, একদিন মুসলমান ছিলাম রে’। তোরা কুরআন-হাদিস পড়িস না, সালাত আদায় করিস না; কুরআন-হাদিস পড়িলে, সালাত আদায় করিলে মনে পইরা যায়, একদিন মুসলমান ছিলাম রে।

কথায় আছে বাঙালি জাতি উৎসব প্রিয়। নির্দোষ আনন্দ উৎসব কোনো ধর্মেই নিষিদ্ধ নয়। তবে যে দেশে ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান ও ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, তাদের উৎসব-পার্বণ, জীবন ও সংস্কৃতি সবই হতে হবে কুরআন সুন্নাহর আলোকে ও শিরকমুক্ত। পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী ধর্মের অনুসারীদের দেব-দেবীর সাথে যুক্ত ও ধর্মীয় বিশ্বাস ও ধর্মীয় সংস্কৃতির কোনো অংশ নিদর্শন বা প্রতীক বাঘ, রাক্ষস, কুমির, সাপ, পেঁচা ও প্রজাপতি এগুলো মুসলমানদের এমনকি কোনো মানুষের জন্য মঙ্গল অমঙ্গলের উৎস হতে পারে না। তাছাড়া এসব জীবজন্তুর মূর্তি কোনো মানুষেরই কোনো কল্যাণ কিংবা অকল্যাণ করতে পারে না। যদিও দেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষায় বলেছেন, ‘মা দুর্গা গজে চড়ে ধরণীতে এসে ফলে ফসলে পরিপূর্ণ করে দিয়ে, কিস্তিতে চড়ে বিদায় নেয়’ তবে এমন বিশ^াস কোনো মুসলমান করতে পারেন না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া আর কেহই ফুল, ফল ও ফসল ফলানো আর মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক নন।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রায় আমরা দেখেছি, বাঘ, রাক্ষস, কুমির, সাপ, পেঁচা ও প্রজাপতি সহ বিভিন্ন প্রকার প্রাণীর মূর্তি ও মুখোশ। সনাতন বা হিন্দু ধর্ম মতে এগুলো তাদের মঙ্গলের প্রতীক। কিন্তুু ইসলাম ধর্ম মতে মূর্তি ও মুখোশ নিষিদ্ধ বা হারাম, সুতরাং এগুলোকে মঙ্গলের প্রতীক মনে করার কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো মুসলমান এগুলোকে মঙ্গলের প্রতীক মনে করে তাহলে এটা হবে শিরক বা আল্লাহ তায়ালার সাথে এগুলোকে শরীক করা। ব্লগার শ্যামল সোম সম্ভবত: তার ধর্মীয় বিশ^াস অনুযায়ী লিখেছেন, ‘মঙ্গল শোভা যাত্রায় উপচে পড়া ভিড়, ধর্মীয় মৌলবাদের জবাব, ‘দেশকে জঙ্গিদের ঘাঁটি বানানোর ষড়যন্ত্রের জবাব, স্বাধীনতা বিরোধিদের ক্ষমতায় যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ ইত্যাদি। জাতি হিসেবে সার্বজনীন উৎসব বা অনুষ্ঠানগুলো হওয়া চাই সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের উৎসব, পূজা, পার্বণ ও ধর্মীয় নিদর্শন মুসলিম প্রধান দেশের সংস্কৃতি হতে পারে না। হিংস্র জন্তু-জানোয়ারের মূর্তি আর মুখোশ পড়ে আমরাও তেমনই হিংস্র চরিত্র আর স্বভাবের হয়ে উঠছি। ফলে হিংস্র জানোয়ারদের কাছে যেমন মা-বোনের ইজ্জত-আব্রুর মর্যাদা বা ভেদাভেদ নেই আমরাও তেমনই মা-বোনদের ইজ্জত-আব্রু আর মর্যাদার কথা ভুলে গেছি। পথে-ঘাটে মা-বোনদের সাথে হিংস্র জানোয়ারদের মতো আচরণ করছি, তাদের ওপর ঝাপিয়ে পরছি, তাদের ইজ্জত লুটে নিচ্ছি। আর গান গাচ্ছি, ‘পথিক তুমি পথে এসো, পথেই আমার যত সুখ, পথেই আবার মিলব দু’জন, সিক্ত করব রিক্ত বুক’।

নারীর সম-অধিকার আর নারীর স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেক্যুলারিজম এর নামে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা তুলে দেয়ার কারণে আমরা রবীন্দ্র নাথের মতে বাঙালিই রয়ে গেলাম। বাঙালি থেকে মানুষ হতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সূরা আলে ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে (মানুষের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে) ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি, তোমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানবতার কল্যাণের জন্য, তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেবে আর অন্যায় ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে’। মানুষ যদি আল কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী তার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে, তাহলে সমাজে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ার প্রশ্নই আসে না।

ইসলামের নৈতিক শিক্ষা তথা কুরআন সুন্নাহর শিক্ষাই একমাত্র নারীর ইজ্জত-আব্রু রক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারে। আল কুরআনে বর্ণিত পর্দা প্রথাই পারে আমাদের সমাজ থেকে ইভটিজিং বা উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ করতে। নারীর মর্যাদা ও অধিকার রক্ষা করতে এক মাত্র ইসলাম যুক্তিযুক্ত পন্থা। আমাদের সমাজের অধিকাংশ লোকই পর্দা কি তা জানে না । অথচ পর্দা একটি ফরজ ইবাদত বা আমল। পর্দার আমল ব্যক্তিগত জীবনের জন্যই শুধুমাত্র জরুরি তা নয় বরং পর্দা সামাজিক জীবনের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে পর্দা করে না বা পর্দা মানে না শরীয়তের ভাষায় তাকে ‘দাইয়ুস’ বলা হয়। রাসূল (সা.) বলেছেন,“ দাইয়ুস কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না”। কেহ যদি ব্যক্তিগতভাবে পর্দা পালন না করে তার কারণে সমাজের লোকেরাও গুনাহগার বা পাপী হওয়ার সুযোগ থাকে। অতএব, পর্দা ব্যক্তিগত ও সামাজিক উভয় দিক থেকেই অবশ্যই পালনীয় বা ফরজে আইন।

পর্দার ব্যাপারে সূরা আন নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ হচ্ছে, “হে নবী মুমিন পুরুষদের বলে দিন তারা-যেন নিজেদের চোখকে বাঁচিয়ে চলে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সমূহ হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য উত্তম। তারা যা করে আল্লাহ তায়ালা সে বিষয়ে পুরোপুরি অবহিত। আর হে নবী, মুমিন স্ত্রী লোকদের বলে দিন তারা যেন নিজেদের চোখকে বাঁচিয়ে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাজত করে ও নিজেদের সাজসজ্জা না দেখায়। কেবল সেই সব স্থান ছাড়া যা আপনা থেকেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে এবং নিজেদের বুকে ওড়না ফেলে রাখে। আর নিজেদের সাজসজ্জা প্রকাশ করবে না কেবল ঐসব লোকদের সামনে ছাড়া : তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজের ছেলে, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভ্রাতুস্পুত্র, বোনের ছেলে, নিজেদের মেলা মেশার স্ত্রীলোক, নিজেদের দাসী, সেই সব অধীনস্ত যৌন কামনা মুক্ত নিস্কাম পুরুষ। “আর সেই সব বালক যারা স্ত্রী লোকদের গোপন বিষয়াদি সম্পর্কে এখনো ওয়াকিফহাল হয়নি। তোমরা নিজেদের পা জমিনের উপর মেরে চলবে না। যাতে নিজেদের যে সৌন্দর্য তা প্রকাশ না পায়। হে মুমিনগণ তোমরা সকলে মিলে আল্লাহ তায়ালার নিকট তওবাহ কর, আশা করা যায় তোমরা কল্যাণ লাভ করবে”।

তাছাড়া রাসূল (সা.) এর অসংখ্য হাদীসের মধ্য থেকে দুই/তিনটি উল্লেখ করা জরুরি বলে মনে করছি। (১) ইবনে মাসুদ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেছেন, “মহিলারা হলো পর্দায় থাকার বস্তু, সুতরাং তারা যখন পর্দা উপেক্ষা করে বাহিরে আসে তখন শয়তান তাদেরকে অন্য পুরুষের সামনে সুসজ্জিত করে দেখায়” (তিরমিজি)। (২) নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোনো অপরিচিত নারীর প্রতি যৌন লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কিয়ামতের দিনে তার চোখে উত্তপ্ত গলিত লোহা ঢেলে দেয়া হবে”। (৩) রাসূল (সা.) বলেছেন, “আল্লাহর অভিশাপ ঐ সকল নারীদের উপর যারা কাপড় পড়েও উলঙ্গ থাকে” অর্থাৎ রূপ ও সাজসজ্জা প্রদর্শনে বা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণে সৌন্দর্য প্রদর্শনে সাজগোজ করে।

উল্লিখিত কুরআন ও হাদীসের দৃষ্টিতে বিচার করলে পর্দা যে কত বেশি জরুরি তা সহজেই বুঝা যায়। কোনো স্ত্রী লোক যদি ব্যক্তিগতভাবে পর্দা না করে তার জন্য গোটা সমাজের লোকেরাই গুনাহগার হতে বাধ্য। তারপরও আমাদের সমাজের লোকদের মধ্যে পর্দার ব্যাপারে তেমন কোনো চেতনা নেই, মনোযোগ বা আগ্রহ নেই। আমাদের সমাজে এমন কথাও প্রচলিত আছে যে বিয়ে করলে বরের জন্য শালী ফ্রি! কনের জন্য দেবর ফ্রি ! নাউজুবিল্লাহ। অথচ আল্লাহ তায়লা উক্ত দুই শ্রেণীর (দেবর ও শালী) লোকের সাথেই দেখা দেয়া হারাম ঘোষণা করেছেন। “উকবা বিন আমের (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেছেন সাবধান তোমরা নিভৃতে নারীদের নিকট যেওনা, জনৈক আনসার বললেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.) দেবর সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি? রাসূল (সা.) বললেন, দেবর, সেতো মৃত্যুর সমতুল্য” (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)। অন্য এক হাদীসে রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমারা ক্ষুধার্থ বাঘকে যেমন ভয় কর তেমনি স্ত্রী লোকের জন্য দেবরকে ও পুরুষের জন্য শালীকে ভয় করা উচিৎ”।

বর্তমান সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থায় যারা শিক্ষা লাভ করছেন তাদের লেখা কবিতা, গল্প আর প্রবন্ধে ইভটিজিংকেই উৎসাহিত করা হচ্ছে। যেমন একজন ব্লগার তার ব্লগে লিখেছেন, ‘পথিক তুমি পথে এসো, পথেই আমার যত সুখ, পথেই আবার মিলব দু’জন, সিক্ত করব রিক্ত বুক’।

বর্ষবরণ এখন যেন আর বর্ষবরণ নেই। তা যেন হয়ে উঠেছে উলঙ্গ উন্মাদনার এক মাধ্যম। কপোত কপোতিদের নোংরামিকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখার দিন। এবারের বর্ষবরণ নতুন সংস্কৃতির জম্ম দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে ৩০-৩৫ জন ছাত্রের একটি দল কয়েকজন ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে অন্যায় আবদার পূরণের চেষ্টা করেছিল, বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন, অন্য এক ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদী কর্মসূচি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করা ইত্যাদি কি বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হতে পারে ? না কি এটা নারীর বস্ত্রহরণ অনুষ্ঠান?

১৯৯৯ সাল তখনও আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন, সে সময়েও এরকম এক উৎসব ‘থার্টি ফাস্ট’ রাত ১২.০১ মিনিটে বাঁধন নামের এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল। তখন জয়নাল হাজারীর মতো ব্যক্তি জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে উল্টো বাঁধন নামের সেই ছাত্রীরই বিচার দাবি করেছিলেন। বর্ষবরণ আর মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে বাঙালি সাজ যেন উলঙ্গপনা আর বেলাল্লাপনার সংস্কৃতিক রূপ নিয়েছে। হিংস্র জানোয়ারের ছবি, কার্টুন, ঢোল, তবলা, বাঁশিই যেন আমাদের মূল সংস্কৃতি যার প্রভাব পরেছে আমাদের জাতীয় চরিত্রে।

আমাদের সমাজে কেউ কেউ হিজাব পড়া যাবে না বলে উদ্ভট বক্তব্য রাখছেন। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারীর বস্ত্রহরণ কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে আদালতে রুল জারি করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। জনৈক ব্লগার বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানের বস্ত্রহরণ সম্পর্কে লিখেছেন, ‘ছাগলের দড়ি পাগলের হাতে, পাগল নাচে বানরের সাথে, লাই পেলে বানর মাথায় উঠে, দিন দুপুরে ইজ্জত লুটে।

অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকেরই মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আমাদের সন্তানদের মুসলমান হিসেবে রেখে যেতে পরবো তো? আমাদের মৃত্যুর পর তারা আমাদেরকে কাফন, জানাজা আর দাফন করবে তো? তারা আমাদের করব জিয়ারত করবে তো? এহেন আশঙ্কা থেকে জাতিকে বাঁচাতে হলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুসলমান হিসেবে রেখে যেতে হলে এখনই সচেতন হওয়া চাই। চাই শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয় আর অপসংস্কৃতি থেকে নিজস্ব সংস্কৃতিতে ফিরে আসার সমন্বিত প্রচেষ্টা।

- See more at: Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘সাড়ে সাত কোটি মানুষেরে হে বঙ্গ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি’। "


-রবীনদ্রনাথ ঠিক বলেছেন; আপনি বেঠিক বলেছেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.