বিভিন্ন বয়সে মানুষের গানের রুচি যেমন থাকে...

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৩

১। শিশুকালঃ "খোকা ঘুমাল/ পাড়া জুড়ালো/বর্গী এলো দেশে" টাইপের গান শিশুকালের সবচেয়ে পরিচিত গান। যেকোনো শিশু ই এধরনের গানগুলো পছন্দ করে যদিও এর পেছনে শিশুদের আনস্মার্ট পিতা-মাতা দায়ী কারন তাদের পিতা-মাতা যদি তাদেরকে লাল মিয়ার রেপ গান শুনাতো তবে তারা সেটাই গাইত



২। স্কুলজীবনঃ এই বয়সে জাতীয় সংীতের চর্চা বেশী হয়ে থাকে কারন আর কোনো গান গাওয়া হোক বা না হোক স্কুলের স্যারদের ভয়ে গলা ছাইড়া জাতিয় সংীত অবশ্যই গাইতে হইব। তবে অনেকেই গলা ছাইড়া গাইতে গিয়া " আমার সোনার বাংলা/আমি তোমায় ভালোবাসি" লাইনটা থেকে " সোনার বাংলা" বাদ দিয়া ক্লাশের ফার্স্ট গার্লের নাম যুক্ত করে নেয়।



৩।কলেজ জীবনঃ এই জীবনে ছেলে মেয়েদের আবেগ আবার একটু বেশী ই থাকে। কারন এই টাইমে নতুন মানুষ আসে জীবনে। এই টাইমে ছেলেগুলার প্রিয় গান হচ্ছে, " ওগো বিদেশীনী/তোমার চেরীফুল দাও/আমার শিউলী নাও" টাইপের গানগুলো। আর মেয়েদের প্রিয় গান হচ্ছে " ইয়ে লারকা হ্যা দিওয়ানা/হ্যা দিওয়ানা" টাইপের গান গুলো



৪।বিশ্ববিদ্যালয় জীবনঃ এই জীবনে ছেলেরা কানে সারাদিন মেটালিকার মেটাল গানগুলোই বাজাতে পছন্দ করেন। অবশ্য অনেকে আবার অর্নবের " প্রতিদিন রাস্তায়/ঘুরে ফিরে সস্তায়/এক কাপ চা মিলে/যদি সস্তায়" ধাচের গানগুলো পছন্দ করেন। আর মেয়েরা পছন্দ করে নরম গানগুলো যেমন, " আলভিদা/ইয়ারা আলভিদা"



৫। বিবাহিত জীবনঃ এই জীবনের শুরুতে স্বামী স্ত্রী উভয়ই একটা গান পছন্দ করেন আর সেটা হলো, " ভালোবাসি/ভালোবাসি"। যখন আস্তে আস্তে ভালোবাসার মাত্রা কমে গিয়ে ঝগড়ার মাত্রা বেড়ে যায় তখন উভয়েরই প্রিয় গান হয়ে যায় সেই বিখ্যাত গানটা "কি আশায় বাধি খেলাঘর/বেদনার বালুচরে/মিনতি আমার ভাগ্য নিয়ে যে/নীশি দিন খেলা করে/বেদনার বালুচরে"



৬। জীবনের শেষঃ জীবনের শেষ সময়ে এসে নচিকেতার " বৃদ্ধাশ্রম" গানটাকেই বেশী ভালোবাসে মানুষ। অনেকে আবার পুরানো স্মৃতিগুলো মনে করে মান্নাদের সেই গানটা শুনে দুফোটা অশ্র ফেলেন " কফি হাউজের আড্ডাটা আজ আর নেই/ কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালি বিকেলগুলো সেই/আজ আর নেই"

৩ টি +০/-০