![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার যেমন ইচ্ছে লেখার খাতা
একটা সময় ছিল যখন চিঠিই ছিল মূল যোগাযোগ মাধ্যম। শিকারী ঈগল দিয়ে চিঠি পাঠনো হত যখন তখনকার কথা বলছি না। বলছি ১০/১২ বছর আগের কথা। অথবা ২০/২৫ বছর আগের কথা,যখন স্বামীর চিঠির জন্য স্ত্রীর ছিল অসম্ভব ব্যাকুলতা। যখন অল্প শিক্ষিত স্ত্রীর অনেক কষ্টে লেখা চিঠিই ছিল স্বামীর প্রিয় চাওয়া। চিঠি দেওয়া-নেওয়ার সময়টাতেই ভালবাসা ছিল অকৃত্তিম। এখনকার মতো মিনিটে মিনিটে স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে পারত না তখনকার নারীরা। আর তাই স্বামীর জন্য ছিল সব ব্যাকুলতা। প্রবাসী স্বামীর হাতের লেখায় খুজত প্রিয় স্বামীর গন্ধ। ঘোর বৃষ্টির দিনে হাওয়ায় উড়িয়ে দিত চুল আর মনে করত প্রিয় মানুষটির কথা। ঠিক তেমনিভাবে প্রবাসী স্বামী যখন বহুতল ভবনে ঝুলে ঝুলে রঙ করার কাজ করত তখন প্রিয় মানুষটির কথা ভেবে কল্পনায় তুলির আচড় দিত। যখন মালিকের হাত থেকে শ্রমের মূল্যটা পেত তখন প্রিয় মানুষটির জন্য এটা ওটা কেনার ফন্দি করত আর ভাবত ও নিশ্চই খুশি হবে!সংসার,শ্বশুর বাড়ির ঝামেলা,মনে জমানো হাজারো কষ্ট সব কিছুই হারিয়ে যেতো যখন প্রিয় স্বামীর পা পরত বাড়ির আঙ্গিনায়। আর স্বামীরও মনে থাকত না রঙ করার সময় পড়ে গিয়ে পাওয়া ব্যাথাটার কথা, মনে থাকত না মালিকের দেওয়া “দুই পয়সার লেবার” বলে সেই গালিটা।
হ্যা, এই ভালোবাসাটা বড়ই সাধামাটা ছিল,ছিলনা রোমান্টিকতা। তবে হাল আমলের মতো পান থেকে চুন খসে পড়লেই নিভে যেতো না ভালোবাসার আলো। ছোট্ট সন্দেহেই উবে যেত না ভালোবাসা। আজকের মতো ঠিক অসহায় ছিল না ভালোবাসা। স্ত্রীর জন্য লাখ টাকার জামদানি না এনে দিতে পারলে ভেস্তে যেতো না বহুদিনের সংসার। ভালোবাসার প্রমান দিতে হতো না ফাস্টফুড খাইয়ে কিংবা বিদেশ ভ্রমনে গিয়ে। আজকের দিনের মতো টাকা সেকেলে ভালোবাসার অক্সিজেন ছিলো না, ছিল সহজ সরল আবেগ,বিশ্বাস,সহানুভূতি আর ভালোবাসার জন্য সুন্দর একটা মন।
আগের দিনের সেকেলে ভালোবাসাটাই ছিলো খাদ বিহীন, আর্কিমিডিসের সূত্র দিয়ে যাকে খাদমুক্ত প্রমান করতে হয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১২
অমৃত সুধা বলেছেন: দেশে মৌলবাদি শক্তির উত্থানের আশঙ্কা
http://dhakajournal.com/?p=766