![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার যেমন ইচ্ছে লেখার খাতা
পিচ্চি কাজিনটা কীভাবে যে দরজা খুলে দেয় তা ভেবে পাই না আমি। পিচ্চির বয়স মাত্র আড়াই বছর, সে ই কিনা কাঠ এর উপর পা দিয়ে অদ্ভূত ভাবে দরজা খুলে দেয়। আর দরজা খুলেই হামজা… হামজা বলে চেচামেচি করে। মানে হামজা দরজা খুলে দিয়েছে।
আজকেও দরজা খুলে দিয়েছে আমার পিচ্চি কাজিন যার নাম হামজা… কিন্তু দরজা খুলে সেই আগের মতোই চেচামেচি করে জানায়নি কে দরজা খুলেছে। ব্যাপারটা আমাকে বেশ অবাক করল। কাছে টানতেই বলল, আম্মু মারতে…
আমি জিগ্গেশ করলাম, কেনো মারছে?
সে গালে হাত দিয়ে বুঝাল গালে মারছে।
এবার আরেকটু কাছে টেনে একটা আড়াই বছরের বাচ্চাকে যেভাবে বুঝানো যায় সেভাবেই বুঝালাম যে, তোমার আম্মু তো অনেক ভালো। তোমাকে অনেক আদর করে। তুমি দুষ্টামি করছ তাই মারছে। তুমি তোমার আম্মুকে সরি বল।
বুঝিয়ে বলার পর কাজিনটা তার আম্মুকে সরি বলেছে, তার ভাষায় ” থরি” বলেছে।
এই মূহুর্তে সে আমার কেমিস্ট্রি বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে আর বিড়বিড় করছে… থরি… থরি…
এখানে লক্ষনীয় ব্যাপারটা হচ্ছে যে, আজকে আমি যদি তাকে সরি বলা না শিখিয়ে শেখাতাম যে তোমার আম্মু তো পচা, তোমার আম্মু এইরাম,সেইরাম… তাহলে কী হতো?? আমার বইয়ের পাতা উল্টানোর সময় থরি না বলে তার ক্ষুদ্র ডিকশনারিতে অজান্তেই ঢুকে যাওয়া খারাপ শব্দ গুলো বিড়বিড় করত।
হ্যা, আমি জানি সরি বলার মানেটা সে জানে না। কিন্তু মারাত্মক ভাবে বিশ্বাস করি যে, যখন মানেটা বুঝবে তখন সরি বলার অভ্যাসটা ঠিকই বহাল থাকবে।
আসলে ১ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চারা যা শেখে তা ই তার ভবিষ্যতের সম্পদ। কিন্তু অনেকসময় নিজেদের অজান্তেই অনেক কিছু শিখিয়ে ফেলি আমরা। আর শেষে দোষ দেই তাকে,তার বন্ধুদেরকে…
তাই সবসময় এটা মাথায় রাখা উচিত যে, আমি যখন শিশুদেরকে আদর করছি তখন যেনো আদরের ফাক গলে শিশুদের মাথায় নেগেটিভ কিছু না ঢুকে যায়। আর না হয় পরবর্তীতে কিন্তু অবশ্যই বাধ্য হয়ে বলে ফেলতে পারেন যে, ” এমন কেউ তো আমার বংশে নাই,তুই এরকম হলি কীভাবে??”
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার ভাবনা। মনে রাখবো।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ভাল লিখেছিস ! !সুন্দর .।.।.।।
আমরা কাদামাটিকে যেভাবে গড়বো সেভাবেইতো গড়ন হবে তাইনা??
হামজা নামটা আমার খুব পছন্দ!
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: তাই সবসময় এটা মাথায় রাখা উচিত যে, আমি যখন শিশুদেরকে আদর করছি তখন যেনো আদরের ফাক গলে শিশুদের মাথায় নেগেটিভ কিছু না ঢুকে যায়
ঠিক বলেছেন শৈশবেই যদি শিশুদের ব্যাপারে এগুলো খেয়াল রাখা না হয় তাহলে বড় হলে অনেক ভুক্তভোগী হতে হবে