নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

থলের বিড়াল বের করে দিলেন শামীম ওসমান

২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৯

সাতজনকে অপহরণের পর যখন র‌্যাব কর্মকর্তাদের দায়ী করে বক্তব্য দেয়া হচ্ছিল তখন র‌্যাবের এক উর্ধতন কর্মকর্তা আমাকে হুমকি দিলেন। তিনি আমাকে বললেন, মাই র‌্যাঙ্ক ইজ মোর দেন জেনারেল। এবং সে আমাকে থ্রেট করলেন, আমরা না বাঁচলে আপনারা বাঁচতে পারবেন না।



নূর হোসেনের সঙ্গে ফোনালাপের কথা স্বীকার করেছেন নারায়ণঞ্জ-৪ আসনের সরকার দলীয় এমপি শামীম ওসমান। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা স্বীকার করেন। তবে নূর হোসেনকে আত্মসমপর্ণের পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। শামীম ওসমান বলেন, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমারসহ সাতজনকে অপহরণের পর যখন র‌্যাব কর্মকর্তাদের দায়ী করে বক্তব্য দেয়া হচ্ছিল তখন র‌্যাবের এক উর্ধতন কর্মকর্তা আমাকে হুমকি দিলেন। তিনি আমাকে বললেন, মাই র‌্যাঙ্ক ইজ মোর দেন জেনারেল। এবং সে আমাকে থ্রেট করলেন, আমরা না বাঁচলে আপনারা বাঁচতে পারবেন না। শামীম ওসমান বলেন, নূর হোসেনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি এটা অস্বীকার করছিনা। নূর হোসেন তার নিজের নম্বর থেকে ফোন করেনি। তিনি বলেন, আমি নূর হোসেনকে পালাতে নয়, আাত্মসমর্পনের পরামর্শ দিয়েছি। ২৯ এপ্রিল রাতে নূর হোসেন আমাকে ফোন করেছে। আমি তাকে আত্মসমর্পন করানোর জন্য বুঝালাম। আমি তাকে বলেছি তোমার তো অনেক টাকা-পয়সা আছে। তুমি সিনিয়র আইনজীবীদের মাধ্যমে কোর্টে আত্মসমর্পন কর। আমি তাকে আত্মসর্মপনের জন্য বললাম। বললাম তুমি যদি জড়িত না থাক ভাল। এডভোকেট ধর। তুমি সারেন্ডার করো। শামীম ওসমান বলেন, আর একটা ভয় ছিল ওকেও তো মেরে ফেলতে পারে। যেটা নজরুলের শ্বশুরের ভয় ছিল, তিনিও বলেছিলেন হোসেনকে জীবীত চাই। তাহলে সর্ষের ভিতরে ভূত কারা কারা সেটা বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, এটা একটি গোয়েন্দা সংস্থার রেকর্ড করা ফোনালাপ। কারণ টেলিফোন ট্র্যাকিং সাংবাদিকেরা করেন না, এটা করেন গোয়ান্দা সংস্থার লোকেরা। আমার ফোনও সবসময় ট্র্যাকিং করা হয়। এটা জেনেও আমি ফোনে কথা বলি। প্রকাশিত ফোনালাপের পুরো কথা এখানে নেই। আংশিক আছে, আংশিক নাই বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ফোনে যখন নূর হোসেন কথা বলছেন, গোয়ান্দা সংস্থার লোকেরা জানতেন ওই সময় নূর হোসেন ধানমন্ডী-৪ নম্বর রোডে আছেন। এ সময় শামীম ওসমান পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, তারা (গোয়েন্দা) যদি জানতেন নূর হোসেন ধানমন্ডীতে আছেন, তাহলে তারা নূর হোসেনকে ধরলেন না কেন? তিনি বলেন, যারা ওই টেলিফোন আলাপের টেপ বাজারে ছেড়েছে তারা নিজেদের বাঁচানোর জন্যই তা করেছে। শামীম ওসমান বলেন, আমি আজ যা বলছি তাতে কাল আমি বেঁচে থাকতে নাও পারি। কিন্তু আমাকে কিছু কথা অবশ্যই বলতে হবে। তিনি বলেন, আমি একটুও ভাবতেও পারিনি সাত জন মানুষকে যারা তুলে নিয়ে গেছে তারা তাদের সবাইকেই খুন করবে। নূর হোসেন প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, তার অবস্থান সম্পর্কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জানতো, তারপরেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আমার নয়। আমি কেবল ভয়েস রেইজ করেছিলাম। তিনি বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও আমাকে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাতে বুঝতে পারি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনপ্রতিনিধির অবস্থান কতটা দুর্বল।



সুত্র: মানব জমিন

Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

ইসপাত কঠিন বলেছেন: শামীম ওসমান র‌্যাবের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘এমপি হিসেবে আমার স্ট্যাটাস মেজর জেনারেল বা তার ওপরে৷ কিন্তু একজন উপসচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, আমরা না বাঁচলে আপনি বাঁচবেন না। আমি তাঁকে যখন বললাম, কী বললেন? তিনি বললেন, আপনারা বাঁচবেন না। আমি ভেবেছি, উনি রাগের মাথায় এসব কথা বলেছেন।’

সূত্র: প্রথম আলো

এখানে দেখা যাচ্ছে শামীম ওসমান এমপি হিসাবে তার স্ট্যাটাস যে মেজর জেনারেলের উপরে(ফ্যাক্ট) তা বলছেন। কিন্তু মানবজমিন বলছে যে হূমকি দিয়েছে তিনি বলছেন তার পদবী মেজর জেনারেলের চেয়ে ক্ষমতাধর। কেউ একজন হলুদ সাংবাদিকতা অথবা শামীম ওসমানের কথা না বুঝেই নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে কথা বলছেন। আপনারা বলুন, কোন সূত্র যৌক্তিক আর কোন সূত্র ভূয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.