নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে বাহিনীর সদস্যরা শহীদ সহযোদ্ধার দেহটাকেও অবহেলা করে, তাদের দ্বারা নিরস্ত্র মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা করাই সম্ভব; সীমান্ত রক্ষা করা এইসব কাপুরুষদের কাজ না।

০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

যে বীর শহীদের মৃতদেহটি দেখছেন, তাঁর নাম নায়েক মিজানুর রহমান। ১৯৭১ সালে তাঁকে গর্ভে রেখে তাঁর বাবা মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে শহীদ হয়েছিলেন। এমন একজন বীরের মৃতদেহ বর্তমান বিজিবি সদস্যরা নিজের কাঁধে বহন করার মত সম্মানটা পর্যন্ত দিতে পারে নাই। জানাজা বহন করিয়েছে ভাড়াটে লোক দিয়ে। নিজেরা ব্যস্ত আছে নাকে রুমাল দিয়ে ফটো সেসন করতে আর ছবি তুলতে।



গত তিনদিন বিজিবির ছবি পত্রিকায় এসেছে কখনো মিয়ানমার সীমান্তে সাদা পতাকা নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাকুতি মিনতি করতে গিয়ে গুলি খেয়ে ফেরত আসার সংবাদ নিয়ে আবার কখনো বা চকচকে পোষাক গায়ে নিরাপদ এলাকায় অস্ত্র তাক করার ফটো সেসনের সংবাদ নিয়ে। যে বাহিনীর সদস্যরা শহীদ সহযোদ্ধার দেহটাকেও অবহেলা করে, তাদের দ্বারা নিরস্ত্র মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা করাই সম্ভব; সীমান্ত রক্ষা করা এইসব কাপুরুষদের কাজ না।



একটি নিউজ পোর্টালে দেখলাম, গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বিজিবির মর্টার সেল আঘাতে মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তা নিহত হবার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এইসব ভগিজগি মিথ্যা খবর দিয়ে আর কত দিন জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন ভাইজান? এই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে এইসব চাপাবাজি অচল। খবর এখন গোয়েন্দাদের কাছে যাবার আগে গুগলে আসে। চিপা-চাপার নিউজ পোর্টাল দিয়ে মিথ্যা সাফল্য না দাবী করে পারলে ১৯৯১ বা ২০০১ এর বিডিআর প্রধানের মত সংবাদ সম্মেলন করে প্রমানসহ বলেন আমাদের বিজিবি হত্যার প্রত্যুত্তরে আপনারা মিয়ানমারের কী কী ছিঁড়েছেন।



কোর্টেসি: এ্যপোলো ভাই

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১:১৩

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আপনি বলেছেন সহকর্মীর লাশ বহন করেনি বিজিবি সদস্যরা কেননা তার লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিলো। জনাব, পুরো ঘটনাটা একটু চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন। ২৯ তারিখে নায়েক মিজানের ঘটনার পরপর তারা ক্যাম্পে জনবল বৃদ্ধি করে বের হলো। বের হওয়ার আগে একটু খেয়ে নিলো। সেই সময় থেকে সীমান্তের কাছাকাছি সতর্কাবস্থায়। খাওয়া নাই। ৩০ তারিখে লাশ আনতে গিয়ে আবার গোলাগুলি, ক্যাম্পে ফেরত গেলো না। খাবার নেই, সতর্কাবস্থায়। ৩১ তারিখে বিকালে লাশ পেয়ে রওয়ানা দিলো। নাওয়া-খাওয়া, পানি ছাড়া ক্লান্ত দেহ। তারপরও সীমান্তের ওপার থেকে জিরো পয়েন্ট পার হয়ে দুপছড়ি খাল পর্যন্ত লাশ কিন্তু নিজে হেঁটে হেঁটে আসেনি। এই ক্লান্ত, অবসন্ন বিজিবি'র মানুষগুলোই সেই লাশ বহন করে এনেছে। তারপর যখন লোকালয়ে এসেছে, তখন এলাকাবাসীর সাহায্য চেয়েছে এবং নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.