![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Alimul Razi ভাইয়ের পোস্টঃ
আমার অফিস তখন মহাখালী নিউ ডি ও এইচ এস এ । অফিস শেষ করে একটু আধটু আড্ডা বাজির অভ্যাসটা বহুদিনের। মহাখালী মোড় থেকে বাস স্ট্যান্ডের যাওয়ার পথে বামে শেষ গলির আগের গলিতে একটা মেসে আমার এক আত্মীয় থাকতেন। সেখানে ইস্ট ওয়েস্ট এর কয়েকজন ছোট ভাইয়ের সাথে থাকত একটা প্রতিবন্ধী ছেলে, তার ডান হাতটা কুনুই পর্যন্ত কাটা, এক হাতে সামলাতে হয় সব কাজকর্ম।
কাল বর্ণের এই ছেলেটির চেহারায় এক ধরনের মায়া আছে এমনিতেই, তার উপর শারীরিক প্রতিবন্ধী। আমার মায়া হত! তাকে জানা শুনার ইচ্ছা হল। চুয়াডাঙ্গার ছেলে, স্কুল পরেছে সেখানেই। কলেজ পরেছে উল্লাপাড়ায়। বাড়ি থেকে টাকা পয়সা পাঠায় না। জিজ্ঞেস করলাম চলে কিভাবে, ভার্সিটির টিউশন ফি, থাকা খাওয়ার খরচ !?
কোন উত্তর মিলে নি। মেসে তার কোন পড়ার টেবিল, থাকার জায়গা নেই জেনে কতুহল জাগল। পরে জানলাম, সে সেই মেসের বর্ডার না। মেসের বাজার করে দেয়, ফুট ফরমায়েশ করে বিনা খরচায় থাকে খায়। ইন্টারেস্টিং বেপার হল তার কোন বই পত্র ও নেই, এক বছর ধরে যাতায়াতের মধ্যে তাকে কখন পড়তেও দেখি নি ইস্ট ওয়েস্ট এর এই ছাত্র কে।
আত্মীয়র কম্পুটারে আমার প্রিয় এম্পায়ার আর্থ গেম টি খেলছিলাম। সাডেন এল সেই প্রতিবন্ধী ছেলেটি। বলল তার জরুরি মেসেজ আসবে, তার ইয়াহু টা লগড ইন রাখতে হবে। আমি স্পেস দিলাম, ও লগইন করে পকেট থেকে একটা বড় পুটলা বের করে ছোট ছোট পুতলায় ভাগ করে নিচ্ছে। ইয়াহু তে তার সেই কাঙ্ক্ষিত মেসেজটি আমার চোখে পরল। ডাইল লাগবে ২ টা। রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা!
পরে জানলাম বার্ন করা সত্ত্বেও আড়ালে সে আসলে গাজা বিক্রি করে আর ডাইল সাপ্লাই দেয়। হিজ বিজনেস বেসড অন্য ইস্ট ওয়েস্ট ক্যাম্পাস এন্ড শাহবাগ।
মহাখালী আরজতপাড়ায় তখন আমার বাসা। রাত ২ টার সময় কলিং বেলের শব্দে ঘুম ভাঙল। সেই মেসের আরেক বর্ডার(বর্তমানে জনতা ব্যাঙ্কে কর্মরত) এসেছে, কি বেপার জিজ্ঞেস করার পড় বলল প্রতিবন্ধী সেই গাজা আর ডাইল বিক্রেতা কে রেব ধরে নিয়ে গেছে, মহাখালীর এক পতিতার বেবসা করা হোটেল থেকে। ২০০০ টাকা দিলে রেব নাকি তাকে ছেড়ে দিবে।
সেই মেসের সাথে সম্পর্কের ইতি টানলাম সেদিন থেকেই।
কে সেই প্রতিবন্ধী ছেলেটি?
সে আমাদের বাঁধন স্বপ্নকথক খ্যাত মাহমুদুল হক মুন্সি। গন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক, সর্বশেষ আলোচিত গোলাম আযমের কফিনে জুতা নিক্ষেপকারী বাংলাদেশের ইজ্জত বাঁচানো দ্বিতীয় প্রজন্মের মহান মুক্তিযুদ্ধা।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভাই আপনার প্রদত্ত ইতিহাস টি কেমন যেন একপাক্ষিক হয়েগেল। পাঠক হিসাবে মনে হচ্ছে তার প্রতি আপনার বাক্তিগত রাগ কাজ করছে।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: মিডিয়াটে চেসটা করে।। দেয় নিড ক্রিয়েটিভ পারসন লাইক ইউ
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০৭
অরণ্যতা বলেছেন: ভাই তো ভালই গল্প লিখতে পারেন!
বাধনের বাপের যে টাকা পয়সা, জায়গা জমি আছে তা দিয়ে আপনার মত কয়েক জনকে তারা পুষতে পারবেন।
বাধন স্কুল ও কলেজ দুইটাই পড়েছে চুয়াডাঙ্গাতে।
চুয়াডাঙ্গার মানুষ সাধারণত একটু ডেয়ারিং হয়, যা বলে তাই করে। খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।