নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বাংলাদেশের শ্বাসরুদ্ধকর ৪ দিন !!!!" ৭ নভেম্বর-জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৯


"সময়টা ৩ নভেম্বর-১৯৭৫ ...
"রাতে দাদু একা একা প্রচন্ড টেনশনে বারান্দায় পায়চারি করতে করতেছিল !! আর বিড়বিড় করে
কি জানি বলতেছিল !!! দাদুর কাছে যেতেই দাদু বলল,
দাদুঃ "এই জন্যেই ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্থানী দানাদারদের বিরুদ্ধে !! দেশটা এখন
খালেদ মোশারফ ভারতের গোলামী শৃঙ্খলে আবদ্ধ করবে বলে !!??!!!

এই চিন্তা সে দিন সারা দেশের মানুষের ছিল !! সারা দেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব
নিয়ে চিন্তিত ছিল !! দেশের পতাকা খামছে ধরেছিল ভারতের উন্মত্ত শকুনের দল !!
ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর-১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর একটি উচ্চাভিলাষী দল সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বাসভবনে বন্দি করে এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটালে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় !! আর এতে প্রতাক্ষ্য মদদ দেয় ভারত সরকার !!

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা "র" সে দিন খালেদ মোশারফ নামের এক ডেভিল তৈরি করেছিল !!
ভারতের পত্র পত্রিকায় এই সামরিক অভ্যুত্থানকে "ঐতিহাসিক ঘটনা" বলে রিপোর্ট ছেপেছিল !!
১৯৭১ সালে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা শুনে এই জাতি মুক্তিযুদ্ধ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিল!
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকালে রেডিও থেকে ইথারের মাধ্যমে ভেসে আসা
"...আমি জেনারেল জিয়াউর রহমান বলতেছি/ জাতির আকাশ থেকে সংকটের অঘোম মেঘ কেটে গেছে ! . " এই কথা শুনে বাঙ্গালী মুক্তির আনন্দে রাস্তায় নেমে এসেছিল

৭ নভেম্বর সম্পর্কে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার
‘বাংলাদেশ এ লিগ্যাসি অব বাড’ বইয়ে লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের ৫ ও ৬ নভেম্বর
ক্যান্টনমেন্টসহ সারা শহরে ছড়ানো হলো হাজার হাজার প্রচারপত্র/ একটি ব্যাপারে ডান ও বাম
উভয় রাজনৈতিক দলই একমত ছিল, আর তা হচ্ছে খালেদ মোশাররফ একজন বিশ্বাসঘাতক,
ভারতের দালাল এবং সে ঘৃণিত বাকশাল ও মুজিববাদ ফিরিয়ে আনতে চাইছে/’৭ নভেম্বরের
ভোরের দিকে জওয়ানরা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে পড়লে সারা ঢাকা শহরে এই ‘সিপাহী বিপ্লব
দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে/ রাত ১টার মধ্যেই সিপাহীরা পুরো ক্যান্টনমেন্ট দখল করে নিলো/ একদল
জওয়ান গেল জেনারেল জিয়ার বাসভবনে/ চারদিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেলেন জেনারেল
জিয়া/ নৈশ পোশাক পরা অবস্থাতেই জিয়াকে উল্লসিত জওয়ানরা কাঁধে করে নিয়ে গেল ২ ফিল্ড
আর্টিলারির হেডকোয়ার্টারে/ ঘটনার আকস্মিকতায় তখন বিহ্বল হয়ে পড়েন জিয়া/ নাম না জানা
অনেক জওয়ানের সঙ্গে আলিঙ্গন, করমর্দন করেন তিনি/’

গ্রন্থটিতে আরো বলা হয়েছে,
‘রেডিওতে ক্রমাগত সিপাহী-জনতার বিপ্লবের ঘোষণা এবং জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা দখলের
খবর শুনে হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে আসে/
তিন দিন ধরে তারা বিশ্বাস করছিল যে,ভারত খালেদ মোশাররফের মাধ্যমে তাদের কষ্টে অর্জিত
স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে/ এখন সেই দুঃস্বপ্ন কেটে গেছে/ অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল, ১৯৭১
সালের মার্চ মাসের মতো এদেশের মানুষ আবার জেগে উঠেছে/’৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতা
অভ্যুত্থানে দেশবাসীর মনে সার্বভৌমত্বের গর্ববোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়/ রাষ্ট্রঘাতী চক্রান্তের মোকাবিলায় রাজপথে নেমে আসে জনতা/ এভাবে দেশবাসীর মধ্যে ঐ দিন যে স্বকীয়তা, স্বনির্ভরতা ও আত্মোন্নতির উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল, আজও তা জাতিকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে/ চলমান বিশ্বব্যবস্থার সংঘাতসঙ্কুল পরিস্থিতিতে ও আঞ্চলিক আধিপত্যবাদের হুমকিতে তা পথ হারায়নি

৭ নভেম্বর ভোর রাতে রেডিও-তে "আমি জেনারেল জিয়া বলতেছি ...... " এই ঘোষণা শুনে
দাদু আনন্দে চিৎকার করে ওঠে / আমরা সবাই ঘুমে ছিলাম/ তার আনন্দ-উল্লাস দেখে আমরাও
দাদুর সাথে যোগ দেই !! একটা সময় লক্ষ্য করি দাদু চোখে পানি!!! এই অশ্রু মুক্তির ,
এই অশ্রু গোলামীর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার

শুধু আমার দাদু না, এই অশ্রু ছিল সেদিনের আট কোটি বাংলাদেশী জনগণের ছিল /
সবার চোখেই আমি সেদিন আনন্দ অশ্রু দেখেছিলাম মুক্তির অশ্রু !!!

কার্টেসিঃ Hutum Akand

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৭ নভেম্বর- দিবস নিয়ে গর্বের কিছু নেই।

৭ নভেম্বরের দিনগুলো বিশ্লেসন করলে সুধু ষড়যন্ত্র, পাল্টা ষড়যন্ত্র, হত্যাকান্ড,
পরাজিত পক্ষের পাল্টা ষড়যন্ত্র, জেলহত্যাকান্ড, আবার মিরজাফরি ষড়যন্ত্র, শেষ দিনটি নারকিয় সেনা হত্যা, সিএমএইচের লেডি ডক্টর-নার্সদের নির্বিচারে হত্যা। ... এসবই পাওয়া যায়।

৭ নভেম্বর খুজলে ষড়যন্ত্র, পাল্টা ষড়যন্ত্র, হত্যাকান্ড পাষবিকতা, নৃশংসতা ছাড়া আর কিছু খুজে পাওয়া যায় না।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

কুকরা বলেছেন: হাসান বাল-বৈশাখিদের জন্য ৭ নভেম্বরে গর্বের কিছু থাকবে না - এইটাই স্বাভাবিক।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি ই তো মালালার কানের খইল থেকে ডিএনএ নিয়ে তাকে পালিত কন্যা বলে চালাতে যে স্যাটায়ার প্রকাশ হয়েছিল, তাকে সত্য মনে করে ব্লগে প্রকাশ করেছিলেন?? আপনার সেই রকম বুদ্ধির জোর দিয়ে এই ব্লগ লিখলেন??

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

গেন্না বয় বলেছেন: ৭ নভেম্বরে মাধ্যমেই এই বাংলায় আবার পাকিস্তানের দোসরদের পুনঃ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এমন কি এদেশের মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছে। তাই সেইসব জারজদের কাছে ৭ নভেম্বর এর গুরুত্ব অনেক বেশি এটাই স্বাভাবিক।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: কিসের ত্রাণকর্তা?
যে ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের স্ত্রীকে জানজুয়ার রক্ষিতা হওয়া থেকে নিবৃত্ত করতে পারে নাই, সে ব্যক্তি ৭ই নভেম্বর এদেশকে নতুন করে আলোর পথ দেখিয়েছিলো এটা শুনেই আমার হাসি পাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.