নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল নিয়ে জাফর ইকবালের "গরু রচনা"

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০

"১৩ দিনে মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়া"-র প্রবক্তা জাফর ইকবাল স্যারের মতে, যুদ্ধাপরাধের আন্তর্জাতিক মানের বিচার দাবি হলো গৎবাঁধা "গরুর রচনা"।

জাফর স্যার আরও মনে করেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা, ইলেকট্রিসিটি, নিরাপত্তা বাহিনী, টয়লেট ইত্যাদি যেহেতু আন্তর্জাতিক মানের নয়, সুতরাং যুদ্ধাপরাধের বিচারও আন্তর্জাতিক মানের হওয়ার দরকার নেই। তাঁর যুক্তি:

// এর আগেও তো এই দেশে কত বিচার হয়েছে, চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি থেকে শুরু করে খুন-ধর্ষণ কিছুই তো বাদ যায়নি, তখন তো কোনো দেশকে বলতে শুনিনি এই দেশে অপরাধীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানের বিচার হচ্ছে না! আমাদের দেশের সেই একই বিচার ব্যবস্থা যখন পুরোপুরি এই দেশের আইনে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে তখন হঠাৎ করে তাদের মনে পড়ল যে বিচার আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না? //

http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/21932

সময় বুঝে বোবা ও পলাতক হওয়ার বিস্ময়কর প্রতিভাসম্পন্ন জাফর স্যার হয়ত সত্যিই না-ও জানতে পারেন যে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরসহ অন্যান্য অনেক পশ্চিমা সংগঠন ও রাষ্ট্র বহু আগ থেকেই বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার দুর্নীতি ও নিম্নমান নিয়ে বহুবার প্রতিবেদন দিয়েছে। বাংলাদেশের "চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি থেকে শুরু করে খুন-ধর্ষণ" ইত্যাদি মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে এসব দেশ ও সংস্থা গত ২০ বছর ধরে নিয়মিতই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পরই পশ্চিমা সংস্থা ও দেশগুলো হঠাৎ করে বাংলাদেশের বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে - এই কথাটা জাফর স্যারের অজ্ঞতা এবং/অথবা ভণ্ডামি।

জাফর স্যারের সবচেয়ে বড় বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা হলো, তিনি হাগা-মুতার সাথে ফাঁসির পার্থক্য গুলিয়ে ফেলেছেন। ত্রুটিপূর্ণ আইন [বারবার সংশোধন করে সরকার নিজেই যেটা স্বীকার করে নিয়েছে] ও অদক্ষ বিচারক দিয়ে কাউকে ফাঁসি দেয়াটা জাফর স্যারের কাছে হাই কমোডে ফ্ল্যাশ ছাড়া হাগা-মুতার মতোই মামুলি সমস্যা মনে হয়। এ-কারণে জাফর স্যারের মনে হয়েছে, সরকার যেহেতু ভালো শিক্ষা, চিকিৎসা, ইলেকট্রিসিটি, টয়লেট ইত্যাদি দিতে পারছে না, সুতরাং সরকার চাইলে নিম্নমানের বিচার করে কাউকে লটকিয়েও দিতে পারে!

এমন সস্তায় কারো প্রাণহরণের চিন্তা, এই হীন মানসিকতা তো বরং রাজাকার, আল-বদরদের মাথায়ই শোভা পায়!

জাফর স্যারের জানা উচিত, বাংলাদেশ নিজেই International Crimes (Tribunals) Act, ১৯৭৩-এ ঘোষণা দিয়েছে যে, এই আইনের অধীনে "crimes under international law"-এর বিচার হবে। আন্তর্জাতিক আইনে বর্ণিত ও সংজ্ঞায়িত অপরাধের বিচার বলেই এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের প্রশ্নটি এত গুরুতর।

http://tinyurl.com/kynf2n6

জাফর স্যার, ভাগ্যিস রুয়ান্ডায় আপনার মানের চেতনাজীবী নেই। নইলে রুয়ান্ডায়ও ভালো শিক্ষা, চিকিৎসা, ইলেকট্রিসিটি, নিরাপত্তা বাহিনী, টয়লেট ইত্যাদি নেই, "কিন্তু" রুয়ান্ডার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালটি ঠিকই আন্তর্জাতিক মানের। ইউরোপ-আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞগণ রুয়ান্ডার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বসেন।

http://en.wikipedia.org/…/International_Criminal_Tribunal_f…

জাফর স্যার আর স্যারের প্রিয় সরকারটি চেতনার জোশে বাংলাদেশকে ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে আফ্রিকার একটি হতদরিদ্র দেশের চেয়েও নিচে নামিয়ে দিয়েছেন। তাই "আন্তর্জাতিক মান"-এর প্রশ্নটি এখন স্যারের কাছে যথার্থই "গরুর রচনা"।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখন অ্যামনেস্টি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এহন ভালা হইয়া গেল?
রাজাকার-আলবদরের বাচ্চাদের জন্য এত কান্নাকাটি কিসের?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.