![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন বিএনপি আমল। এক মন্ত্রণালয়ের সচিব সুপারিশ করলেন পুলিশে কয়েক হাজার সদস্য নিয়োগের। তার সুপারিশ ছিলো, এসব সদস্য হবে পুলিশের নিম্নস্তরের কর্মকর্তা। ছাত্রদল, যুবদল করে এরকম বিএনপির ছেলেদের এবং যেসব এলাকায় বিএনপির একচেটিয়া প্রাধান্য আছে সেসব এলাকা থেকে এই নিয়োগ দেয়া হবে। প্রয়াত বিএনপি নেতা মান্নান ভূঁইয়া এক বাক্যে এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তিনি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, এই কাজ করলে পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব নষ্ট হবে। বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান মান্নান ভূঁইয়ার এই কথায় তীব্রভাবে সমর্থন দেন। কাজেই বিএনপির অন্যান্য নেতাদের ব্যাপক চাপের মুখেও এই কাজ হয়নি। বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান এটা করতে দেননি। এ কারণেই বিএনপি আমলে কেউ কল্পনাও করতে পারতো না পুলিশ প্রকাশ্যে রাস্তায় গুলি চালিয়ে মানুষ মারবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবিশ্বাস্য উন্নতি হয়েছিলো। নিজ দলের সন্ত্রাসীদের রেহাই দেয়নি বিএনপি। র্যাব ছিলো সন্ত্রাসীদের যমদূত।
আওয়ামীলিগ আমলে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র গোপালগঞ্জ থেকে। এরপরেই আছে কিশোরগঞ্জ। অন্যান্য জেলা থেকে যারা নিয়োগ পেয়েছে তারাও সবাই সার্টিফায়েড লীগার। এক্ষেত্রে সবার আগে প্রাধান্য দেয়া হয় হিন্দুদের। হিন্দু হলেই চাকরি কনফার্ম। এরপর অন্যান্য লীগার। এনএসআইতে প্রথম দফায় নিয়োগে ৯৬ জনের মধ্যে ৩৩ জন ছিলো হিন্দু। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা নজিরবিহীন। মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ হয়ে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মত ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসে ৩২ শতাংশ নিয়োগ পাওয়া অবিশ্বাস্য ব্যাপার বিশ্বের যেকোন দেশেই। বিসিএস সহ সকল পরীক্ষায় পরবর্তীতে হিন্দু নিয়োগ ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। একারণেই আওয়ামীলিগ আমলে একদিনে রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হয়েছে প্রায় ৩০০ মানুষকে, সাইদীর মামলার রায়ের সময়। ৫ ই মে হত্যা করে হয়েছিলো কয়েক হাজার অনাথ, এতিম এবং আলেমকে। বাংলাদেশ পুলিশ এখন এমন কোন অপকর্ম নেই করে না। র্যাব তো পুরোদস্তুর ভাড়াটে কিলার বাহিনী।
পুলিশে আরো ৫০ হাজার সদস্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ছয় মাসের মধ্যে ১৭ হাজার নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাসিনা। হিন্দু এবং আওয়ামীলিগের ক্যাডার এমন ব্যাকগ্রাউন্ড যাদের তাদেরকে আগে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বগুড়া, রাজশাহী, নোয়াখালি, লক্ষিপুর, ফেণী, চট্টগ্রাম এরকম এলাকাগুলো থেকে হিন্দু ছাড়া পারতপক্ষে নিয়োগ না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর নিয়োগ দেয়া হলেও যাতে সক্রিয় আওয়ামী কর্মী বিশেষত এলাকাভিত্তিক ক্যাডার গ্রুপের সন্ত্রাসী হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
শুভকামনা বাংলাদেশ। শুভকামনা বিএনপি।
-- আমি অরণ্য
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
কুকরা বলেছেন: Click This Link
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রআওয়ামী দলীয় করণ এখন আর সিক্রেট তো নয়!!!
পুলীশের পোষাক পড়ে কেডস পায়ে গুলি রত ওরা কারা দেশবাসী জানে...
তাইতো জনগণকে আওয়ামীলীগেরএত ভয়!!!
এখন বন্দুকের নলের মূখে ক্ষমতার স্বাদ চাখছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোস্টের মাধ্যমে যা জানতে পারলাম, তা অনেকটা সংবাদপত্রের কথার মত। যে লেখাটি আপনি এখানে শেয়ার করেছেন, গ্রহণযোগ্যতা বা আলোচনার সুবিধার্থে আপনি কি এখানে কোন সোর্স বা তথ্যসুত্র দিতে পারেন?