নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

মোহাম্মদ গোফরান

♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠

মোহাম্মদ গোফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরী হয়ঃ গল্প নষ্টা।

০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪০


। ছবিতে - পিয়া জান্নাতুল। ছবিতে কপি রাইট আছে।

এক রাতে বাসায় ফিরতে বেশ দেরী হয়ে গিয়েছিল। রাত সম্ভবত ২ টা হবে। নগরীর বাদামতলীতে সি এন জির জন্য অপেক্ষারত। এমন সময় এক ভদ্র মহিলা এসে সামনে দাঁড়িয়ে বললেন আপনাকে দেখে ভদ্রলোক মনে হচ্ছে। আমার একটু উপকার করবেন? এতো রাতে হঠাৎ মোটামুটি স্মার্ট গেটাপের ভদ্রমহিলার উপস্থিতিতে বিব্রতবোধ এবং ভীত অনুভব করলাম। আপুটার বয়স ৩৭-৪০ এর মধ্যে হবে।এলোমেলো চুল।লালচে চোখ! বোরকা পড়া কিন্তু দেখতে খুবই সুন্দর। দুয়া ইইনুছ পড়লাম। এই দুয়াটি অনেক শক্তিশালী।পড়লেই বিপদ কেটে যায়। আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম কয়েকটা রিক্সাওয়ালা, চা ওয়ালা ও দিন মজুর শ্রেণীর লোক লোভনীয় দৃষ্টিতে মহিলার দিকে তাকিয়ে আছে। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না! মনে সাহস এনে বললাম বলুন কি সমস্যা?

মহিলা ইতস্তত অনুভব করলেন। ভয়ে ভয়ে বললেন আমায় একটু খাবারের ব্যবস্থা করে দিন। আমি না খেয়ে বাসা থেকে না খেয়ে বের হয়ে এসেছি এক কাপড়ে।

আপনার বাসা কোথায়?
উত্তর দিলেন।
রাত ২ টায় কোন কিছুই তো খোলা থাকার কথা না। কোথায় খাবেন?
মহিলাঃ আমি তো কিছু চিনিনা। আপনি সাহায্য করুন।

আমার মনের ভয় বাড়ছে। এরকম অনেক মহিলা ছিনতাইকারী আছে। ধাপ্পাবাজ আছে। মানি ব্যাগে ৪০০০ এর মত ক্যাশ ছিল। কার্ড ছিল। আমি ৫০০ টাকার একটা নোট বের করে মহিলার দিকে এগিয়ে দিলাম। এবার দেখি মহিলা চোখের পানি ছেড়ে দিসেন। বললেন আমি ভিক্ষুক নই। এই মুহুর্তে হেল্পলেস। আমি একা মুভ করতে ভয় পাচ্ছি। হেল্পলেস ও মুভ শন্দগুলো শুনে ও চোখের পানি দেখে মনে কিছুটা জোর এলো। আমি আসলে তখন প্রচন্ড নার্ভাস। ভদ্র মহিলা পার্স খোলে এক বান্ডেল টাকার দিকে ইশারা করলেন। আমার টাকা চায়না, একটু আশ্রয় চাই।আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।ভয় এবং নার্ভাসনেস বেড়ে যাচ্ছে যত সময় পার হচ্ছে। পকেটে মোটামুটি দামী মুবাইল ছিল।বের করতেও ভয় লাগছিল।

অল্প দূরে তাকিয়ে দেখলাম এক চা ওয়ালা চা বিক্রি করছে। বললাম আসুন আপাতত চা- কেক খান পরে দেখি কি করা যায়। চা ওয়ার্ডার করে মুবাইল থেকে মেসেঞ্জারে দেখলাম ঐ এলাকার কেউ অনলাইন আছে কিনা। মহিলা ভাগ্যবতী।ঠিক যাকে দরকার তাকেই পেয়ে গেলাম। ধরে নেই ওর নাম মাধবী । বাসা আগ্রাবাদ বাদামতলি থেকে একটু দূরে বারেক বিল্ডিং এর কাছে। ওরে কল দিলাম। দুয়া ইউনুছ এর শক্তি মনে হয় শুরু হয়ে গেলো। সব শোনে ও ওর এক স্থানীয় পরিচিত প্রভাবশালী ছাত্র নেতা কে পাঠালো। তার সাথে আরো ১ জোড়া বাইকে মোট ৫ জন ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেল। সে আসার পর মন থেকে ভয় টয় সব চলে গেল। গ্রেট দুয়া ইউনুস এর শক্তি অনুভব করে আলহামদুলিল্লাহ বললাম। চা খেয়েই রওনা দিলাম মাধবীর বাসায়।মাধবী একজন মানবিক মানুষ। সে রাতে তার বাসার জমিদারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছিল।পেশায় একজন র‍্যাম্প মডেল। মডেল হওয়ায় তার বেশ কিছু শাড়ি কালেকশানে ছিল। মহিলা চ্যাঞ্জ করলেন, ফ্রেশ হলেন। আগে এক পোষ্টে বলেছিলাম মডেদের পাওয়ার অনেক। এই পাওয়ায় সৌন্দর্য গুণের ও স্বাধীন ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারার পাওয়ার। এতোই পাওয়ার যে রাত ২ টা ৩০ এ ফোন করার ১৫ মিনিটের মধ্যেই স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা চলে আসে।

রাতের ভাত তরকারি ছিলোই। মহিলা কিছু খেলো না ১ কাপ ফফি ছাড়া। হয়তো ক্ষুধা নষ্ট হয়ে গেছে। মনে হল মহিলা উল্টো এখন আমাদের ভয় পাচ্ছেন। আমি বুঝতে পেরে মাধবীকে ইশারায় নেতা ছেলে গুলো কে পাঠিয়ে দিতে বললাম। ওরা চলে যাওয়ার পর মহিলা কিছুটা স্বাভাবিক হলো। মাধবী খুবই ভাল মানবিক এবং স্মার্ট মেয়ে। আস্তে আস্তে মহিলা তার করুণ কাহিনী বলল। অনেক লম্বা কাহিনি। সব বলতে গেলে ১০ পর্ব লিখতে হবে। সংক্ষেপে বলছি। স্বামী মোল্লা মানসিকতার। আধুনিকা স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি গৃহ বন্দী করে রাখতে চায়। মহিলার বাবাও মোল্লা মানসিকতার। মোল্লা মানসিকতা বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে যারা স্ত্রী ও মেয়েদেরকে দাসী মনে করে তাদের। অনেক অনেক ঘটনা আছে। সেগুলো একান্তই ব্যক্তিগত। এক্ পর্যায়ে অত্যাচারের পরিমাণ এতো বেড়ে গেসে মহিলা কে গৃহ বন্দী করে রাখে। সুযোগ পেয়ে মহিলা সেদিন বাসা থেকে পালিয়ে এসেছিল। উল্লেখ্য মহিলা একটি মফস্বলে থাকতেন। গ্রাম থেকে মফস্বল হয়েছে। মেট্টো থেকে ৬৫ ক.মি দূরের একটি মফস্বল এলাকা থেকে পালিয়ে আসা মেয়েটার শেষ সম্বল ছিল এক জোড়া স্বর্নের কানের দূল, ১ টি চেইন ও ৩০-৩২ হাজার ক্যাশ টাকা ও একটি মুবাইল।


মাধবী মডেলিং এর পাশাপাশি একজন হাই ক্লাস পতিতা। সে গোপন রাখলেও আমি জানতাম। তবে না জানার ভান করতাম। পেটের দায়ে যারা পতিতা হয় তাদের আমি পতিতা মনে করিনা।তারা আমার কাছে ঘুষ-সুদ খোর কোটিপতি দের চেয়েও বেশী সম্মানের। এই নষ্ট সমাজে কেউ নিঃস্বার্থ ভাবে ২ বেলার বেশী খেতে দেয়না।আত্নীয় স্বজন সর্বোচ্চ হয়তো ১ বছর খাওয়াবে, রাখবে, পড়াবে। এর পর তো খোটা দিবেই। মহিলা ১ বছর ছিল মাধবীর বাসায়। শিক্ষিতা মহিলা মাধবীর ও আমার সহযোগিতায় এখন একটি কেজি স্কুলের শিক্ষিকা। মডেলদের সাথে যারা থাকে তারাও অটো গ্রুমড হয়ে যায়। মাধবীর সাথে মিশে মিশে মহিলা ভিষন স্মার্ট এবং ফাস্ট এখন।বাসা ভাড়া খাওয়া ২ জনে শেয়ার করে দেয়। সুখে কেটে যাচ্ছে দুজনের দিনকাল|

এখন আমায় বলুন তো কে নষ্টা?
১) মহিলার পরিবার।
২) তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
৩) মাধবী যাদের কাছে চাকুরী চাইতে গিয়ে কুপ্রস্তাব পেয়ে মডেলিং কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিল ওরা?
৪) ১,২,৩
৫) নাকি মাধবী!

গল্পটা সত্য। গল্পের শিরোনাম ব্লগার মাইদুল সরকার ভাই থেকে ধার করা।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
এমন অনেক অনেক গল্প আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে।

০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ঠিক বলেছেন দস্যু ভাই।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পের শেষে ৫ টা প্রশ্ন রেখেছেন? কেন??

০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কারণ যারা পেটের দায়ে দেহ ব্যবসা করে তাদের নষ্টা বলা হয়। আসলে প্রকৃত নষ্ট কারা তা বুঝানোর জন্য প্রশ্ন গুলো।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মুখোশ পরা মানুষের ভীরে
মাধবীরা পুত পবিত্র!

০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ২:০০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মাধবীরা আমার কাছে অনেক সম্মানের। ওদের মন খুব ভাল।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫২

শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ লিখেছেন। পড়তে ভালো লাগলো। শেষের প্রশ্নগুলো না করলেও, আপনার লেখার ভিতরেই প্রশ্নগুলো প্রচ্ছন্ন ছিল।

০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ২:০২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে মোল্লাগো উপর আমি খুব ডিস্টার্ব। তাই এই গল্প লিখে প্রশ্ন করলাম। আমি গল্প লিখিনা। কেন জানি এটা লিখতে ইচ্ছা হলো।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:


এটা কি গল্প, নাকি ঘটনা?

০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্প।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৫৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সমাজের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়ার মতো লেখা। জোরালো প্রতিবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৪৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ রূপক।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

কে নষ্টা এই জিনিসটা এখন আর জরুরী না যেহেতু নিরাপদ পরিবেশ।
লেখাটা খুব ভয়ে ভয়ে পড়ছিলাম।
গল্পটা খুব সার্থক মানে পারফেক্ট ভাবে রচিত হয়েছে। আসলে গল্প তো নয় সত্য ঘটনা।
তবে বোঝা গেল আপনি মোটামুটি প্রভাবশালী একজন।
ধন্যবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই।
প্রভাবশালী নই। মিডিয়ায় বিজনেস করায় একটু পরিচিতি আছে এতোটুকুই। ভালো থাকুন।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

বিটপি বলেছেন: এখনকার যুগে কোন বাবা বা স্বামী কোন নারীকে ঘরে আটকে রাখতে পারেনা। এর পেছনে অন্য কোন ঘটনা নিশ্চয়ই আছে, যেটা উনি বলেননি। আপনি যার ছবি দেখাচ্ছেন, সে তেমন বড় কোন মডেল না। কোন ব্যবসায়ের সাথেও যুক্ত নয়। কিন্তু তার লাইফস্টাইল দেখে অবাক হতে হয়। ৭০ লাখ টাকা দামের গাড়ি হাঁকায়, অভিজাত এলাকায় বিলাশবহুল এপার্টমেন্টে থাকে। মাস তিনেক পর পর বিজনেস ক্লাসে বিদেশ ট্যুর দেয়। পতিতাবৃত্তি করেও কি এত টাকা কামানো যায়?

০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: না জেনে একজন সম্পর্কে মন্তব্য করে ফেললেন। ও বাংলাদেশের সেরা মডেল। একজন ভালো লয়ার। ওর হাজবেন্ড একজন বিজনেস আইকন, ওর এক্কটা ওয়ার্ল্ড ক্লাস সেলুন আছে, ও দেশের বাঘা বাঘা কোম্পানির ব্রান্ড এম্বাসেডর। ওকে শো- শ্যুট এর জন্য সবচেয়ে বেশী পেমেন্ট দিতে হয় দেশে।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: যদিও আপনি বলেই দিয়েছেন এটা বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা গল্প। হ্যা এমন গল্প আমাদের সমাজে অনেক দেখা যায়।

০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যা ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

এই নিন আপনার জন্য সংগ্রহ করলাম।

০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হে হে হে। এরাই মোল্লা। নিজের দোষ নিজে দেখেনা।

১১| ০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো নারী ইচ্ছা করে পতিতা হয় না।
এজন্য দায়ী সমাজ, রাষ্ট্র।

০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পতিতা হওয়া দোষের কিছু না।

১২| ০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২০

জুন বলেছেন: থাই মেয়েদের সম্পর্কে না জেনেই অনেকের একটা বিরূপ ধারণা আছে। আমি তাদের কয়েক জনার সাথে গভীর ভাবে মিশেছি। রাজধানী থেকে দূর দুরান্তের প্রদেশের কিছু কিছু দরিদ্র মেয়ে উপায়ন্তর না পেয়ে এই পেশায় আসছে বটে তবে আপামর সবাই এমন এটা ঠিক না। একটি মেয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে আমাকে বলেছিল তাদের ক্ষুধার্ত পরিবাতের মুখে খাবার জোগাতে তাদের যা পুজি আছে তা দিয়ে যা যাই করা লাগে তাই করতে প্রস্তুত। মাতৃতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের উপর পরিবারের দায়িত্ব। তবে সরকার চেষ্টা করছে এই ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসতে মোহাম্মদ গোফরান । আপনার লেখাটি ভালো লাগলো।

০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জুন আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ধরুন একটি মেয়ে পেটের দায়ে প্রস। কিন্তু খুবই অনেস্ট । আর একটি মেয়ে পর্দা করে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিন্তু মনে হিংসা। আমায় বলুন তো কেয়ামতের দিন কে বেশী শাস্তি পাবেন?
নিশ্চয় আপনার উত্তর হিংসুক নামাজ পড়া মেয়েটি। কারণ তার কবুল হয়নি। কোরান হাদীসে আছে নিশ্চয় নামাজ খারাপ কাজ থেকে মানুষ কে বিরত রাখবে। যেহেতু রাখেনি তাহলে হয়তো সে নামাজ গ্রহনযোগ্য হয়নি। পরিবারের ও পেটের দায়ে সে কোন পেশায় সম্মানের।

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাৎক্ষনিকভাবে আপনি একটা ভালো কাজ করেছেন। তবে দীর্ঘ মেয়াদে মেয়েটিকে সঠিক রাস্তা চিনে নিতে হবে।

০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ সাচু ভাই মন্তব্যের জন্য। আমি কিন্তু পার্মানেন্ট ব্যবস্থাই করেছি। ভদ্র মহিলা এখন একটি স্কুলের শিক্ষিকা। ২ জন স্টুডেন্ট পড়ান। সম্মানের সাথে চলে যাচ্ছেন।

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: আমাদের সমাজ স্বনির্ভর নারী খুব কম সহ্য করতে পারে। ধর্মীয় মূল্যবোধের দিক থেকে আমাদের ভেতর একধরনের মানুষিকতা তৈরী হয়েছে তা হলো নারী কেবল ঘরের অলংকার ব্যাস তাদের দায়ীত্ব শেষ । পেশাজিবী হলে নানা প্রশ্ন নানান চিন্তাভাবনা এসে আমাদের মনে ভিড় করে মনে মনে খানকটা ফ্যান্টাসি হয়েও যাই !!! সমস্যা আমাদের মুলে ওখানে ভালো কিটনাশক না দিলে এই জাতির সামনে আরো দুঃসময় আছে ।

০২ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সলে অনেক মেয়ে আছে খারাপ। স্বামী থাকার পরেও পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। একটি মেয়ে যদি সৎ ভাবে রোগগার করতে চায় তাহলে তাকে অনেক বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়। মধ্যবিত্ত পরিবার ও উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে স্বামী স্ত্রী দুইজন রোজগার না করলে পরিবার চালানো খুবই কঠিন।

পেশাজিবী হলে নানা প্রশ্ন নানান চিন্তাভাবনা এসে আমাদের মনে ভিড় করে মনে মনে খানকটা ফ্যান্টাসি হয়েও যাই !!! সমস্যা আমাদের মুলে ওখানে ভালো কিটনাশক না দিলে এই জাতির সামনে আরো দুঃসময় আছে ।

অত্যন্ত লজিকাল কথা বলেছেন।

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৭

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: আমরা এমন সমাজে বাস করছি - ভিক্ষে দিয়ে দিধান্বিত হই - ভিক্ষে কি ভিক্ষুক কে দিলাম ? না কি কোনো বাটপারকে দিলাম ? মসজিদ মাদ্রাসায় টাকা দিয়ে দিধান্বিত হই ? সেখানে মেয়েদের সহায়তা করে নিশ্চিত হওয়া খুবই কঠিন ? কিন্তু সমাজের খারাপের চেয়ে ভালোই সংখ্যাগরিষ্ট - কিন্তু সংখ্যা লগু খারাপরাই সমাজে দাপিয়ে বেড়ায় বলে আমরা দিধান্বিত হই - ভালো সংখ্যাগরিষ্টরাই নিগৃহিত হয় -

০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি খুব কম মন্তব্য করেন। আমার পোস্টে করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

আমরা এমন সমাজে বাস করছি - ভিক্ষে দিয়ে দিধান্বিত হই - ভিক্ষে কি ভিক্ষুক কে দিলাম ? না কি কোনো বাটপারকে দিলাম ? মসজিদ মাদ্রাসায় টাকা দিয়ে দিধান্বিত হই ? সেখানে মেয়েদের সহায়তা করে নিশ্চিত হওয়া খুবই কঠিন ? কিন্তু সমাজের খারাপের চেয়ে ভালোই সংখ্যাগরিষ্ট - কিন্তু সংখ্যা লগু খারাপরাই সমাজে দাপিয়ে বেড়ায় বলে আমরা দিধান্বিত হই - ভালো সংখ্যাগরিষ্টরাই নিগৃহিত হয় -

যথার্থ বলেছেন।

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: যাক শেষ পর্যন্ত মহিলা আপনার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে, নতুন জীবন পেয়েছে। মানবিক কাজের জন্য ধন্যবাদ। আর আমার শিরোনামটা ধার নেয়ার জন্য নিজেকে ভাগ্যবানই মনে হচ্ছে।

০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। শিরোনামটি সত্যি খাটি একটি কথা।

১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,



বাস্তবের ঘটনা লেখনির গুনে চমৎকার গল্প হয়ে উঠেছে।
আমাদের পৃথিবীটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা পৃথিবী- গাঁথুনিহীন, পথহীন, আলোহীন, নিয়মহীন, বন্য, বিপদজনক এক পৃথিবী, যেখানে বাস, ট্রাক, রিকসা, সাইকেল , ভ্যান , ঠেলাগাড়ী আর পথচারীরা টিকে থাকার জন্যে গুতোগুতি করছে দিনরাত । আর তা থেকেই জন্ম নিচ্ছে এক একটি গল্প ।
এ গল্পটিও তেমন।
গল্পের মাধবীর এবং আপনার মতো পৃথিবীতে যতোদিন অন্তত একজনও প্রথাবিরোধী মানুষ থাকবে, ততো দিন পৃথিবী মানুষের।

০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: @শ্রদ্ধেয় ব্লগার

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের ব্লগারের পোস্টে আমি আপনার মন্তব্য দেখেছি। একটি একটি মেডিসিন কোম্পানির জি এম। বেশিদূর তাকাতে হবে না। আপনাদের ইন্ডাস্ট্রির এম আর দের জীবন নিয়ে এক একটি উপন্যাস হয়ে যায়। চট্টগ্রামে অনেক নামী দামী প্রাইভেট হসপিটালে লিফটের কাছে লিখে রাখে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা নির্ধারিত সিঁড়ি ব্যাবহার করুন। উনাদের লিফট ব্যবহার করতে দেয়া হয়না। কতো কষত করেন এই এম আর ভদ্র লোক গুলো। কত মানুষের জীবন উনারা গোটা বাংলাদেশে ঔষধ সরবরাহ করে উনারা বাঁচান তার হিসেব কি আমরা রাখি। এক মাঝবয়সী রিপ্রেজেন্টেন্টিভ কে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হাঁপাতে দেখে আমার চোখে পানি চলে আসছিল। কতটা পাষাণ হলে এই লেখা ওয়ালা একটা কাগজ দেয়ালে লাগিয়ে রাখে। এরা কি মানুষ আছে ?

বরাবরের মত অসাধারণ মন্তব্য মন ছুঁয়ে গেলোঃ

আমাদের পৃথিবীটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা পৃথিবী- গাঁথুনিহীন, পথহীন, আলোহীন, নিয়মহীন, বন্য, বিপদজনক এক পৃথিবী, যেখানে বাস, ট্রাক, রিকসা, সাইকেল , ভ্যান , ঠেলাগাড়ী আর পথচারীরা টিকে থাকার জন্যে গুতোগুতি করছে দিনরাত । আর তা থেকেই জন্ম নিচ্ছে এক একটি গল্প ।
এ গল্পটিও তেমন।

ওয়াট আ কমেন্ট !!

১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার ব্যবস টা কঠিন লেভেলে পড়ে বাংলাদেশে; দেখিয়েন, বিপদে পড়িয়েন না।

০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: স্যার আমি অনেক বিপদ ওভারকাম করেছি। খুব সহজ হয়নি টিকে থাকা। আল্লাহ ভরসা । তিনি যতক্ষণ আছেন আমি কোন কিছু কে ভয় করিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.