নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

মোহাম্মদ গোফরান

♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠

মোহাম্মদ গোফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্মস্থলে নারী এবিউজিং বন্ধ হোক এখনই....

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৯


কর্ম স্থানে নারী এবিউজিং আসলে কিঃ সাধারণত কথা বা আচরণের মাধ্যমে নারী এমপ্লয়ীদের কর্মস্থানে শারিরীক ও মানসিক ভাবে উত্যক্ত করাকে এবিউজ করা বলা হয়। এতটুকু ভদ্র ভাষায়। একটু ডিটেইলস বলতে গেলে যা দাঁড়ায় তা হলো -
একজন মেয়ে কর্মচারীর শরীরে হাত দেয়া, কথার মাধ্যমে যৌনতার প্রতি উত্যক্ত করা, যে কোন আচরণের মাধ্যমে যৌন সুড়সুড়ি দেয়াকে এবিউজিং বলা হয়। এবিউজিং অনেক রকম হতে পারে। যেমনঃ ডিসক্রিমিনেশন, বুলিয়িং, বায়োল্যান্স, হ্যারাজমেন্ট এগুলোও এবিউজিং।

আমাদের দেশের কর্পোরেট অফিস গুলোর কমন দৃশ্য সাধারণত নারী এমল্পয়ীদের সিনিয়র কর্মচারীরা প্রলোভন দেখিয়ে থাকে।কেউ কেউ মাসেল দেখিয়ে প্রলোভন দেখায়, কেউ সেলারি ইনক্রিমেন্ট এর প্রলোভন দেখায়, কেউ জবচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে হীণ স্বার্থ চরিতার্থ করে। মেয়েরা চাকুরী হারানোর ভয়ে নিরবে সব সহ্য করে যায়। এসব অফেন্সিভ বিহেভিয়র প্রতিটি অফিসের কমন একটি চিত্র। সেক্সুয়াল কনডাক্ট এর সাথে কম্প্রোমাইজ করেই মিলিয়ন মিলিয়ন নারীরা জব করে যেতে বাধ্য হচ্ছে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা নামক জঘন্য মহামারীর কারণে।

কিছু নিকৃষ্ট মানুষের মানসিকতা হলো, একটা নারী যে ছেলের কাছে নিরাপদ সে পুরুষ কিনা সন্দেহ। এরাই ধর্ষক। প্রতিদিন আমাদের সমাজে কত নারী ঘুরে বেড়ায়। আমাদের ঘরে বাইরে অফিসে কত নারী কাজ করে। তাদের প্রতি আপনার আচরণ মানুষের মতো হবে নাকি জানোয়ারের মতো হবে, তা আপনার মগজের উপর এবং ধর্মীয় ও পারিবারিক শিক্ষার উপর নির্ভর করবে।একটি কর্মরত মেয়ে যে পুরুষের কাছে নিরাপদ সে মানুষ, আর যার কাছে অনিরাপদ সে আসলে ধর্ষক।

একটি ঘটনা শেয়ার করিঃ
গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে, লিনার গ্রুমিং স্কুল থেকে একটা ওয়েল গ্রুমড মেয়ে। ধরে নেই ওর নাম সানজিদা। একটা শোতে বাংলাদেশের এক বিখ্যাত কোম্পানির এম ডি সাহেব এটেন্ড করেন। তার সাথে ছিল খুবই স্মার্ট হ্যান্ডসাম, উঁচা,লম্বা,বডি বিল্ডার ওয়েল ম্যানারড একটা ছেলে পি এস। শোতে মেয়েটির রেসপন্সিবিলিটি ছিল ভি আই পি গেস্ট দের রিসিভ করা ও হসপিটালিটি নিশ্চিত করা। মেয়ে তার কাজের প্রতি অনেক নিবেদিত প্রাণ। ৬/৮ মাস গ্রুমিং করা মেয়ে গুলোকে আপনি আপনার কোম্পানির জন্য চোখ বন্ধ করে হায়ার করতে পারবেন। কনফিডেন্ট লেভেল এতোটাই গ্রো করে যে, সব কঠিন কাজকে ওদের কাজে সহজ মনে হয়। এরা নিজেকে এতো যোগ্য হিসেবে তৈরী করে যে, এদের কাজ খুজতে হয়না। কাজ এদের খুঁজে।তো সানজিদা যখন এম ডি সাহেব কে রিসিভ করতে গেসে, তখনই ছেলেটি সানজিদা কে টার্গেট করে। সানজিদা হসপিটালিটি দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে ছেলেটি সানজিদার ভিজিটিং কার্ড খোজে। সানজিদা প্রফেশানাল ওয়েতে কার্ডটি দেয়। ঐ দিন রাতেই ফোন আসে ছেলেটির মোবাইল থেকে।

'আপনি অনেক স্মার্ট, অনেক ভালো জব ডিজার্ভ করেন, আমাদের একজন কাস্টোমার রিলেশনশিপ ম্যানেজার দরকার, আপনি পারফেক্ট , চাইলে ইন্টারভিউ দিতে পারেন, আমাদের এম ডি আপনার হসপিটালিটি এবং এক্টিভিটিজে ভিষণ সন্তুষ্ট। আপনি একটা ইন্টারভিউ দিতে পারেন, আগেই বলেছি, এই এডুকেটেড ওয়েল গ্রুমড মেয়েরা এতো স্মার্ট এবং কনফিডেন্ট যে, যে কোন জব এর জন্য ফিট। বিশেষ করে এদের বডি ল্যাংগুয়েজ, এক্সপ্রেশন, ওয়ে অফ টকিং, প্রেজেন্টেশন, গেটাপ,ড্রেসাপ এবং ক্লিয়ার ভয়েজ টোন এর কারণে অন্য মেয়েদের থেকে আলাদা। প্রথম দিনেই সিলেক্টেড। কিন্তু দুঃখের বিষয় পরের দিন ঐ ছেলেটির পক্ষ থেকে ফোন আসে। একদিন কফি খাওয়ার অফার করে। এবং বাজে ইংগিত করে তার নিজের মতো।(পাঠক কে এখানে বুঝে নিতে হবে ছেলেটার ইনটেনশান)| মেয়েটির জবের অভাব নেই। তাই জব রিজেক্ট করে। পরে সে অফিস থেকে ওর কাছে ফোন আসলে, সে এমডি সাহেবের সাথে সব শেয়ার করে।এমডি ঐ ছেলেকে ফায়ার করেন এবিং সানজিদাকে খুব ভালো সেলারি তে নিয়োগ দেন।

উক্ত ঘটনা বলার কারণ হলো সব স্থানে ভালো এবং পার্ভাট আছে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

- লিনার স্কুল থেকে গ্রুমিং করা একজন কর্পোরেট গার্ল।

ফিমেল ভয়েজে আইয়ুব বাচ্চুর 'হাসতে দেখো গাইতে দেখো' গানটি শুনুন। অসম্ভব নস্টালজিয়া ♥️

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক মেয়ের ব্যাংকের চাকরীর ইন্টার্ভিউ ভালো হয়েছে। ইন্টার্ভিউএ তাকে মোটামুটি আভাস দেয়া হয় যে চাকরিটা তার হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। পরে বোর্ডের একজন সদস্য ফোন করে তাকে জিজ্ঞেস করে আপনি সন্ধ্যার পরে কি করেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দেশের বাস্তব একটা চিত্র।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুধু কর্মস্থলে কেনো? নারী এবিউজিং বন্ধ করা হোক
স্কুল, কলেজ, বাস, ট্রেন, বিমান, লঞ্চ, হাট বাজার সবখান
থেকে।

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সেটাই। সবখানে এবিউজিং বন্ধ করতে হবে।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমাদের সমাস ব্যবস্থা এবং মানুষিকতা আমাদের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে হাজির করে!!
না কি অন্য কিছু?

৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: না আসলে, এই ফিল্ডে বিজনেস করে আমি যতটুকু একজন পুরুষ একটা নারী কে একান্তে পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়। বেশী সুন্দরী মেয়েদের একটা অদ্ভুত শক্তি আছে। এরা পুরুষকে পুতুলের মতো নাঁচাতে পারে। যারা ভালো মানুষ তারা যে কোন পরিস্থিতিতে ভালো আচরণ করে, আর যারা চরিত্র হীন তারা নারিকে প্রলোভন দেখায়।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৮

বিষাদ সময় বলেছেন: দেশ যত সভ্য হবে এসব সমস্যা তত কম হবে। শুধু যে নারীর অসহায়ত্ব কাজে লাগিয়ে এটা হচ্ছে তা কিন্তু নয়, এখন অনেক নারীও আছেন যারা নারীত্বকে কাজে লাগিয়ে উপরে উঠতে চান।
তবে এ কথা সত্যি যে অধিকাংশ নারীই তার সম্মান বজায় রেখে কাজ করতে চান কিন্তু কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ তাঁর প্রতি বৈরী আচরণ করে।



৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একটা হচ্ছে কাজে লাগানো, সেখানে স্বাধীনতা আছে, পারষ্পরিক সম্মতি আছে, কিন্তু এবিউজ জঘন্য রকম নোংরা।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৭

বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের দেশে দুটোই সামাজিক দৃষ্টিতে অনৈতিক, আইনের দৃষ্টিতে দণ্ডনীয়। একটি ছোট অপরাধ আরেকটি হচ্ছে বড় অপরাধ। তবে দুটোই হচ্ছে অপরাধ। দুটোর ব্যবধান যে অনেক তা বোঝার মত সামাজিকতা বা সভ্যতা এখন্ও এ দেশে গড়ে উঠেনি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আইনের কথা ভিন্ন, একটি মেয়ে যখন নিজ ইচ্ছায় অথবা হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একজন পুরুষকে সিডিউস করে তখন সেটা এবিউজ হয়না। সিডিউজ এবং এবিউজ এর এর মধ্যে প্রার্থক্য আছে।

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৯

বিষাদ সময় বলেছেন: আমাদের দেশে দুটোই সামাজিক দৃষ্টিতে অনৈতিক, আইনের দৃষ্টিতে দণ্ডনীয়। একটি ছোট অপরাধ আরেকটি হচ্ছে বড় অপরাধ। তবে দুটোই হচ্ছে অপরাধ। দুটোর ব্যবধান যে অনেক তা বোঝার মত সামাজিকতা বা সভ্যতা এখন্ও এ দেশে গড়ে উঠেনি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এক মন্তব্য দুইবার এসেছে।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: প্রতিদিন আমাদের সমাজে কত নারী ঘুরে বেড়ায়। আমাদের ঘরে বাইরে অফিসে কত নারী কাজ করে। তাদের প্রতি আপনার আচরণ মানুষের মতো হবে নাকি জানোয়ারের মতো হবে, তা আপনার মগজের উপর এবং ধর্মীয় ও পারিবারিক শিক্ষার উপর নির্ভর করবে। --- ভালো বলেছেন....ধর্মীয় শিক্ষা তো সবাই পায়....কিন্তু এখানে পারিবারিক শিক্ষাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ....আমরা জন্মের পর যা দেখছি পরিবারে এর প্রভাব বাচ্চাদের উপর অভাবনীয়....

পরিবার নীতিবোধকে মষ্তিষ্কে প্রোথিত করে দেয়....আর এটির অভাবেই কুলাঙ্গারদের পদচারণা এখন গুবরে পোকার মতো সমাজে বেড়ে চলেছে। অনৈতিকতার মানদন্ডও এখন বদলে যেতে চলেছে। খেয়াল করলে দেখবেন....ঘুষ খাওয়াকে মানুষ এখন আর ততটা খারাপ চোখে দেখছে না.....এগুলো জাতির জন্য অশনি সংকেত.....

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই সব কুলাঙ্গার সব খানে দিনে দিনে দেশের প্রতিটি প্রান্ত, এতোই অসুস্থ করে রেখেছে যে মানুষ ঘুষ এর মতো অন্যান্য সব অপরাধকেও সহজ করবে। সবচেয়ে দুঃখজনক নিজে শত শত অপরাধ করেও আরেকজনকে বলবে তুই অপরাধী।

ধন্যবাদ অনেকদিন পর দেখলাম। ব্লগে মৌলিক পোস্ট কম। লেখালেখি জরুরী হয়ে পড়ছে। :)

৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৬

পোড়া বেগুন বলেছেন:
এ জন্য শুধু পুরুষদের দোষ দিলে হবে?
অনেক নারী পুরুষদের অবৈধ সুযোগ দিয়ে
নিজের আখের গুছিয়ে নেয়। তারা প্রতিবাদ
করলে পরিস্থিথি এত ভয়াবহ হতোনা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নিজেদের নিজেদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকলে ও সম্মতি থাকলে ওটা এবিউজিং না আসলে। ওখানে স্বাধীনতা আছে।

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৬

কামাল৮০ বলেছেন: নারীকে নিজের শক্তিতে দাঁড়াতে হবে।পাশে থাকবে আলোকিত পুরুষ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দ্বিমত নেই।

১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: নারীকে কেবল নারী নয় মানুষ হিসাবে ভাবতে শিখুন। পৃথিবীর সকল ধর্মীয় পুরুতগন নারীকে যে ভাবে বর্ননা দেয় তাতে মনে হয় সে কোন নারীর গর্ভে জন্মায় নাই সে আসমান থেকে টপাস করে পরে টুপুস করে ময়লানা হয়ে গ্যাছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.