নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠
*** কোন বলদ মগজহীন পোস্ট অটো রিফ্রেশ দিচ্ছে।***
ফটোগ্রাফিকে যখন কেউ প্রফেশন হিসেবে গ্রহণ করে তখন তাকে প্রতিদিন বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়।জীবন যেন একটি নাটকের মঞ্চ। আর সে মঞ্চে অবিরাম অভিনয় করে চলছে পৃথিবীর সকল প্রাণী। কি নিখুঁত আর বাস্তিবিক সে অভিনয়। অবচেতন মনের কল্পনা থেকে কিংবা জীবন থেকে লিখিত হয় এক একটা গল্প।আর এই গল্পগুলোই মূলত নাটক হয়ে মঞ্চস্থ হয়। ছবি/ভিডিও হিসেবে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্ধী হয়ে স্থির চিত্রে রূপান্তরিত হয়। যার অভিনয় যত জীবন্ত হয় তার অভিনয়ে দর্শক তত বেশী মুগ্ধতা অনুভব করে।নীচে একটা ভিডিও দেয়া আছে দেখবেন মাস্ট।একজন মেয়ে ইয়াং ট্যালেন্ট নিজে গিটার বাজিয়ে আর্টসেলের 'দুঃখ বিলাস' গানটি করছে।ভিডিওটিতে দেখবেন - একজন শিল্পী যখন তার শিল্পের মধ্যে ডুবে যায় তখন তাকে অসাধারণ লাগে। ফেক সব কিছুই বিশ্রী। আর যা কিছু ফেক না তা খুবই সুন্দর।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা ফটোগ্রাফি করে তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে ছবি তুলার সময় পাত্রপাত্রীর এক্সপ্রেশন দেখে অনুমান করতে পারে দম্পতি একে অপরকে পেয়ে খুশী নাকি বেজার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেটা হয় তা হলো একজন খুশী থাকে আরেকজন অখুশী। অখুশীর কারণ হলো জীবন সঙ্গী মন মতো হয়নি। পৃথিবীতে বিশেষ করে বাংলাদেশের অধিকাংশ ছেলের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় অর্থনৈতিক স্বচ্চলতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে। মেয়েদের যোগ্যতা নির্ধারিত হয় সৌন্দর্য দিয়ে। অথচ যোগ্যতা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ কে কাকে কতটুকু ভালোবাসে তা দিয়ে।
একটি মেয়ে একটি ছেলেকে খুব ভালোবাসে, মেয়েটিও ছেলেটিকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার ছেলেটি ভালো চাকরি না করলে অযোগ্য বলে বিবেচনা করে। আমার মতে এটা মূর্খতা। টাকা ওয়ালা জামাই হলেই মেয়েরা যদি সুখী হতো তাহলে এতোগুলা ডিভোর্স প্রতিদিন হতোনা।,প্রেম করে বিয়ে করা হারাম ফতুয়া দেয়া মৌ-লোভীরা আমাদের রক্ষণশীল মা-বাবাদের ব্রেনে ঢুকিয়ে দিয়েছে প্রেম হারাম। প্রেম করে বিয়ে করলেই অসুখী হবে। অথচ খেয়াল করে দেখবেন - বর্তমানে এরেঞ্জ ম্যারেজ গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারষ্পরিক ও মানসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং না থাকার ফলে সংসার গুলো ঠিকছেনা। সুখী হচ্ছে না। ফলে ডিভোর্স, লিভ ইন, ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট এধরনের সম্পর্ক গুলো বেড়ে যাচ্ছে।
যেখানে একটি ছেলে একটি মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করার পরও কতো ভুল বুঝাবুঝি হয়, সেখানে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষের সাথে এডজাস্ট করা সত্যি ডিফিকাল্ট। অধিকাংশ ছেলে তার স্ত্রী থাকার পরও অন্য নারীর প্রতি ঝুঁকে আবার অনেক নারীকেও পরকীয়ায় লিপ্ত হতে দেখা যায়।কারণ একটাই একজন আরেকজনকে বিয়ে করে সুখী না।
একটা জিনিস আমি দীর্ঘদিন ধরে বুঝে ওঠতে পারছিনা, ইসলাম সামর্থ্যবান পুরুষদের চার বিবাহের অনুমতি দিয়েছে, অর্থাৎ একজন পুরুষ চারজন স্ত্রীকে একই বাড়িতে রাখতে পারবে তবে হালাল ভাবে বিয়ে করে। একজন নারী চারজন স্বামীর সাথে কখনোই ঘর করতে পারবেনা কেন?
মামুনুল হকরা প্রথম স্ত্রীর কাছে গোপন করে অন্য নারীকে বিয়ে করে সোনারগাওয়ে রাত কাটালে কিছুই বলেনা এদেশীয় মৌলবাদী ও তাদের দোসররা। কোরানের কোথায় আছে প্রথম স্ত্রীর কাছে গোপন করে তাকে ঠকিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করা যাবে?আসলেই কি আছে? আমার জানা নেই। এই বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ ও জ্ঞান রাখেন প্লিজ আমাকে একটু পরিপূর্ণ ধারণা দিন।একটি মেয়ে মামুনুলদের মতো প্রতারক ধর্ষক স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পরকীয়া করলে তাকে পতিতা জাহান্নামি ফতোয়া দেয়া হবে সাথে সাথে। তাহলে মামুনুল হকরা কী?
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যারা মুসলিম তারা কুরআনের নির্দেশ না মানতে পারলেও সম্মান করে। আপনি কি জানেন প্রথম স্ত্রীকে গোপন রেখে ২য় বিয়ে করা ইসলামে জায়েজ কিনা?
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামে বিয়ের একটা শর্ত হল বিয়ে গোপন রাখা যাবে না। মানুষকে জানাতে হবে। বিয়ে গোপন রাখার জিনিস না। মামুনুল তার বিয়ে গোপন রেখেছে। ফলে তার বিয়েটা প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিয়ে গণনায় ধরা যায় না। এই কারণে তাকেও ব্যভিচারীও বলা হবে। তবে এই ব্যাপারে মতভেদ থাকতে পারে।
ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ে করতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি লাগে না। তাই যদি থাকতো তাহলে কোন পুরুষের পক্ষে দ্বিতীয় বিয়ে করা সম্ভব হত না। আমাদের দেশের স্থানীয় আইনে অনুমতির ব্যাপারটা থাকলেও ইসলামি শরিয়ার সাথে এটা সংঘর্ষপূর্ণ। যেসব মুসলিম দেশে কোরআনের আইন কিছুটা জোরালোভাবে মানা হয় সেখানে এই ধরণের অনুমতি লাগে না। প্রকৃতপক্ষে হাদিস বা কোরআনে এই ধরণের কোন অনুমতির কথা বলা নাই।
ইসলামে সমাজের নেতৃত্ব পুরুষের হাতে। এটা আদমের (আঃ) জমানা থেকেই। হাদিস যদি কেউ নাও মানে, কোরআন থেকেই প্রমাণ করা যায় যে ইসলামে পুরুষকে নেতৃত্বের আসনে দেয়া হয়েছে। এটা পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের শাসক পর্যায় পর্যন্ত।
১,২৪,০০০ নবি / রাসুলের মধ্যে কোন নারী নবী বা রসূল পৃথিবীতে এসেছে বলে জানা যায় না। কোরআনে কোন নারী নবী বা রসুলের নাম আসেনি। সম্পদ বণ্টনে নারীদের অর্ধেক দেয়ার বিধান কোরআনেই আছে। এটার পিছনে অনেক যুক্তি আছে।
আদম (আঃ) থেকে শুরু করে পরবর্তী সকল নবীর জমানায় শুধু পুরুষদের একাধিক বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্ত মেয়েদের দেয়া হয়নি। পুরুষদের একাধিক বিয়ে প্রাচীন সভ্যতাগুলিতেও এইভাবেই চলমান ছিল। শুধু ইসলাম ধর্মে না। ইসলাম শুধু এটাকে নিয়ন্ত্রিত করেছে। পুরুষদের বহু বিবাহের অনুমতি কোরআনের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। কিন্তু একই অনুমতি নারীদের দেয়া হয়নি। কেউ এটাকে চ্যালেঞ্জ করতে গেলে সে আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই বহুবিবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক কারণ আছে। আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ সাচু ভাই, কিন্তু প্রথম স্ত্রীকে গোপন রেখে অন্য নারীকে বিয়ে করা খুবই অমানবিক। এটা ঠকবাজী।বাংলাদেশের আইনে কি এটার পারমিশন আছে?
৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৩৭ মিনিটে ২৭৮ জন ব্লগার আপনার পোস্ট পড়ে ফেলেছে। খুবই আশ্চর্য লাগছে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কোন রামছাগল আমার কিছু কিছু পোস্টে অটো রিফ্রেশ দেয়। এরা আহাম্মক।মডারেশনের কাছে বিচার দিলে বলেন এগুলো বাগ।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মীয় ব্যাপারে ইসলামের বিধান আমাদের অনুসরণ করতে হবে। কারণ অনেক ইসলাম পরিপন্থি জিনিস আমাদের দেশের আইনে বৈধতা দেয়া আছে। কিন্তু একজন মানুষ মুসলমান হিসাবে সেগুলি করতে চাবে না। বাংলাদেশের আইনে সম্ভবত প্রথম স্ত্রীর অনুমতির কথা বলা আছে। কিন্তু কোরআন হাদিস অনুযায়ী অনুমতি লাগে না।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার বঊ প্রতিদিন আমার জন্য অফিসে লাঞ্চ পাঠায় কষ্ট করে, আমি বাসায় কখন ফিরব চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকে। আমার মেয়েটা তার বাবাকে অফিসে যেতে দেয়না তাকে ছাড়া, প্রতিদিন ওলে কনভিন্স করে বাসা থেকে বের হতে হয়। সন্ধ্যার পর থেকে কল করতেই থাকে তাড়াতাড়ি আসার জন্য। একটু দেরী হলে বউ অভিমান করে। আমি যে লাইনে কাজ করি সেখানে হাত বাড়ালেই সুন্দর মেয়ে। কোন দিন বউ এর সাথে প্রতারণা করিনি। কারণ সেটা অমানবিক।।
আসলে মানবতার চেয়ে বড় কোন ধর্ম নেই। যাই কোন কোরান তো মানতেই হবে। নিশ্চয় আল্লাহর সিদ্ধান্ত সঠিক। তিনি বুঝে শোনেই আয়াত নাজিল করেছেন।
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
মামুinসামু বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:
বাংলাদেশের আইনে কি এটার পারমিশন আছে? বাংলাদেশের আইনে অনুমতি ছাড়া করা অপরাধ। তবে বিয়ে বৈধ হবে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ইসলাম মতে সাকিব খান নির্দোষ।
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: দীর্ঘদিন ফটোগ্রাফি করেছি। দৈনিক পত্রিকাতে কাজ করেছি। এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি তুলেছি। এখন অবশ্য ক্যামেরা হাতেই নিই না। ছবি তোলা বন্ধ করেই দিয়েছি।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনার ফটোগ্রাফির হাত ভালো। ছাড়লেন কেন?
৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৯
কামাল৮০ বলেছেন: অবশ্যই জানি।কোন বিষয়েই নারীর কোন অনুমতি নিতে হবে না।এমন কি উটের পিঠে থাকলেও পুরুষ চাইলে নারীকে দিতে হবে।অনুমতি দেয়া তো দুরকা বাত,অনুমতি চাইতেই হবে না।এই জন্যই তো ইসলাম পুরুষের কাছে এতো প্রিয়।নারী পালন করে না বুঝে।বেহেস্তে পুরুষ হুর পাবে।নারী পাবে ঘোড়ার ডিম।হুরিদের সর্দার হবে।কিন্তু স্বামীর সাথে মিলিত হতে পারবে না।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
দেশে শাসনতন্ত্র আছে, দেশ ইসলামী নিয়মে চলার কথা নয়; যাদেরকে ইসলামী চিন্তাবিদ বলা হয়, ওরা কমবুদ্ধির মানুষ, ওরা যেকোন দেশের জন্য বোঝা।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দেশে আসলে প্রকৃত ইসলামি চিন্তাবিদ নেই। জামাত হেফাজত সুন্নি মুন্নি বাল ছাল এগুলো ইসলামি দল নামের কলংক। নিজের মত করে ধর্মকে ব্যবহার করছে।
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
সামুতে ১ জন ইসলামী ব্লগার ছিলো, "জটিল ভাই", উহা ছিলো ভয়ংকর ক্রিমিনাল লোক।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জটিল ভাই এখন মাল্টিতে একটিভ। জটিল গং তো এখনো আছেই। ওরা আমার পোস্টে মন্তব্য করেনা। প্রচুর হিংসা করে।
১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @কামাল৮০- জান্নাত সম্পর্কে সূরা আজ জুখরুফের ৭১ নং আয়াতে এসেছে -
'স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে; সেখানে মন যা চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয় তাই থাকবে। আর সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে।'
এই আয়াত শুধু পুরুষদের জন্য না।
১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৫
সোনাগাজী বলেছেন:
ইসলামী ব্লগার মানেই কমজানা ব্লগার, ওরা আপনাকে ভুল ধরণা দিবে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: স্ত্রীকে গোপন রেখে প্রথম জানলাম, আমার চিন্তায় পর্যন্ত আসেনি এগুলো কখনো।
১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বিয়ে ব্যাপারটাই গোলমেলে বিয়ের সময় কোন পক্ষই "এডজাস্ট" করবার বিষয় নিয়ে চিন্তা করেই না আকর্ষণ নিয়েই তাদে যত আয়োজন বিয়ে হবার পর যখন আর আকর্ষণ কাজ করে না তখন এই "এডজাস্ট" নিয়ে দুনিয়ার অজুহাত দেখিয়ে বেরায়। আপনি তো কেবল পারিবারিক বিয়েতে পারস্পরিক মিল না থাকার কারণে পরকিয়ার ব্যাপারটা তুলেছেন । কিন্তু অনেক প্রেমের বিয়েতেও দেখেছি এক সময় দুজনের মধ্যে একজন পরকিয়ায় লিপ্ত হচ্ছে । পরকিয়ার পেছনে আসলে কী কারণ সেটা নিশ্চিত না । অনেক কারণ থাকতে পারে । কিন্তু কেবল পারিবারিক বিয়ে নিয়ে বিষোদগার করাটা ঠিক না ।
এখন পুরুষকে ইসলামে বিয়ে নিয়ে স্বাধীনতা দিলেও নারীকে দেয়নি কেন তা মনে হয় না কিছু আসলেই জানা আছে , কারণ কোরাণে এই নিয়ে কিছু বলা নেই ।
তবে এই নিয়ে ফালতু বিতর্ক বন্ধ হবে না । সামাজিকভাবে এই ক্যাঁচাল চলতে চলতে কোনদিন গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে কে জানে ।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কি একটা অবস্থা।
১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২০
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি আপনার পোষ্ট পড়ে একটু ভাবতেছিলাম যে আমি এখানে মন্তব্য করবো কিনা, কারণ প্রথমত এই বিষয়ে আমার মন্তব্য আপনার সহ অনেকের পছন্দ হবেনা। তবুও ভাবলাম সবাইকে সবার পছন্দ হবেনা এটাই নিয়ম। আমি কোন ইসলামিক বক্তা নই তবে মানুষ এবং ধর্ম বিষয় আমার আগ্রহ আমার বিবেচনা আছে সেখান থেকে আপনার কথার জবাব দিতে চাই। এসব শুধু আমার নিজের ভাবনা এবং নানা দেশ মানুষের সাথে আমার বিচরণ যোগাযোগের কারণে আমার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে। যদি ধর্মের সাথে মিলে বা ধর্ম সমর্থণ করে তো অয়েল এন্ড গুড।
ধর্মের কিছু দিক থাকে যা মানুষের সাধারণ ভাবনার সাথে মিলেনা কিন্তু যিনি আমাদের বানিয়েছেন তিনি আমাদের মন মর্জি স্বভাব সম্পর্কে পুরো পুরি জ্ঞাত। তিনি জানেন আমাদের মায়া ভালোবাসা দায়িত্ব কিভাবে কখন কাজ করে কখন করেনা। তিনি আমাদের সাইকলোজি সম্পর্কে নিখুৎ ভাবে জ্ঞাত। এখানে কোন রকম সন্দেহ রাখতে পারেবননা। যদি আপনি ক্রিয়েটর বিলিভ করেন ।আপনাকে একজন বিলিভার হিসেবেই আমার এই জবাব। উপরে একজনকে দেখলাম কামালা ভাই উনি সম্ভবত কোরাণকে খুব বেশি প্রয়রিটি দেননা , ওনার জন্যও আমার এই ভাবনা হতে পারে।
আপনার মুল কথা ছিলো আমরা না জেনে শুনে কেন বিয়ে করবো। একে অন্যকে ভালোবাসি এটাই কি যথেষ্ট নয়। (?) আমি তাই মনে করি যে এক সাথে থাকা সেক্স বাচ্চা এসবের জন্য ভালোবাসাই যথেষ্ট। কবুল নামের শব্দটার কোন দরকার নেই। একসাথে থাকা সেক্স বাচ্চা এসবের শর্ত একটাই ভালোবাসা । ভালোবাসলে দায়িত্ব সংসার বলে যত কিছু আছে বাকি সব কিছু অটোমেটিক চলে আসবে। সমাজ পরিবারের কারঐ দরকার নেই এখানে। কিন্তু সমস্যা হলো যাকে ভালোবাসেন তাকে কিভাবে বুঝাবেন আপনি কতটা ভালোবাসেন ।ভালোবাসা মাপার কোনো যন্ত্রতো নাই।
এখন ধরেন আমি কোনো মেয়েকে ভালোবাসি বলে বাবা হয়ে গেলাম বা শারীরিক রিলেশান করলাম এর পর আমি সরে গেলাম। সমাজ জানলোনা। আমি যে মিথ্যা বললাম তার তো বিচার হবার দরকার । সেই বিচার কে করবে? সমাজ অথবা কোর্ট। তাইনা? কিন্তু কেউতো জানলোনা। কখন এই ঘটনা ঘটলো। কোর্টকে প্রমাণ দিতে হবে তারপর আমার মত মিথ্যুকের বিচার করবে।
এবার আসুন অন্য কথায়। জানা শোনা ভালোবাসা থাকলেই কি এক সাথে থাকা যায়? বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটা যে খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী নয় তার একটা প্রমাণ দেই। রিসেন্ট দেশে একটা জরিপ হয়। সেই জরিপে আসে শুধু ২০১৮ সালে জেলা শহর চাঁদ পুরে প্রায় ১৪০০ চৌদ্দ হাজার ডিভোর্স হয়। এই ডিভোর্সের বিয়ে গুলোর ৭৫ ভাগ বিয়ে হয়েছিলো কাজি অফিসে বা কোর্টে। মানে সমাজ পরিবারের অংশ গ্রহণ ছিলোনা। প্রেমিক প্রেমিকা নিজেদের ইচ্ছেয় একাকি বিয়ে করে নিয়ম অনুযায়ী সাথে দুই এক জন বন্ধু বান্ধব নিয়ে।
এবার আসুন আরেকটু অন্য দিকে। কেন নিজেদের জানা শোনা সম্পর্কে বেশি সমস্যা হয়। বুঝাতে গেলে অনেক কথা বলতে হয় কিন্তু সময়ের অভাব। তারপরও বলি। ধরুন আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি। ভালোবাসার শুরুর মুহুর্ত গুলো সাক্ষাৎ স্বর্গ। মেয়েটাকে নয় শুধু ,মেয়েটা যেই পথ দিয়ে হাটে সেই পথে ধুলোর মধ্যে মেয়েটার পায়ের ছাপের মধ্যে পা রাখলেও সুখ। মেয়েটাকে নয় শুধু ,মেয়েটার জামা কাপড় রোদে শুকাতে দেয়া বারান্দায় গ্রীলের দিকেও তাকিয়ে থাকা সুখ।দুই তিন বছর পর সেটা কমতে থাকে। এর কারণ তারা একসাথে বসবাস করেনা। বাইরে দেখা করতে এসে কোন বাদ বিতর্কে হলে মেয়েটা ছেলেটা যার যার বাসায় চলে যায়।চোখে চোখ রেখে মাফ চাওয়া মানিয়ে নেয়া বা ক্ষমা করার মত সুন্দর বিষয় গুলোর সুযোগ কম থাকে। তার উপর আছে স্মার্ট ফোন। বাবা মামা হওয়া ছাড়া মোটা মুটি সব কিছু হয় এখন এখানে। ফলে একটা মানুষের মধ্যে যত রকম রহস্য থাকে তা উদ্ঘাটন হয়ে যায়। এবং একটা সময় ছেলে মেয়ে উভয়ের কৌতুহল কমতে থাকে। অনলাইন মিডিয়া গুলোর কারণে একটা মেয়ে হাজারটা ছেলেকে বা একটা ছেলে হাজারটা মেয়ে এবং একেক জনের একেক গুনাবলি দেখা শোনার অভিজ্ঞতা হয়,কারো ভয়েস ভালো, কারো চোখ সুন্দর,কারো হাসি ,কারো লম্বাত্ব, এমন অনেক কিছু যা একজন মানুষের মধ্যে সব গুলো থাকনো। কিন্তু মানুষটার চাহিদা থেকে যায় বেড়ে যায়।মানুষটা কনফিউজড হয়ে ভালো কিছুর আশায় সরে দাড়ায় আবার অনেকেই বিবেকের তাড়নায় পারিবার বিহীন বিয়েতে চলে যায়।
বিয়ে জীবন শুরু । বাসর রাত। একে অন্যকে চেনে আগে থেকেই। এখানে কোন রকম চাপাবাজি কাজ হবেনা, মিথ্যা আশ্বাস বিশ্বাস দিয়ে এই রাত লুটে নেয়ার সুযোগ নেই। কথার একটু এদিক সেদিক হলেই মেয়ে বা ছেলে দুজনেই বলে বসতে পারে- বেশি চাপাবাজি করবানা তোমাকে আমি ৫ বছর ধরে চিনি। কত কিছু দিবা বলে দাওনি, কত জায়গায় নিয়ে যাবে বলে যাওনি। মানে মানুষের জীবনের অতি গুরুত্ব পুর্ন বাসর রাতটা মাটি হয়ে যাওয়ার পসেবেলিটি থেকে যায়। মানলাম বাসর ঘরে হলোনা। পরের দিন থেকে হতে পারে। হলে কি হবে? হলে মারাত্বক হবে। ধরেন ছেলে বা মেয়ে রাগ হলো। বিয়ের আগেও রাগ হতো বহুবার। একে অন্যকে তুই তাই কিংবা গরু ছাগল কুত্তা এমন সব রাগের উপকরণ ব্যবহার করে ফেলেছে। এখন আজকে বিয়ে জীবনে আর কোন শব্দ বাকি নেই। আবদার অধিকার রাগ আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি এবং তিব্র, কিন্তু এই তিব্রতাতো আগের সব শব্দ দিয়ে বুঝানো যাবেনা, এখন ব্যবহার করতে হবে আরো কঠিন কিছু, হতে পারে গায়েও হাত তোলা। এত সব হতে পারে বিয়ের এক বছর বা দুই বছর এর মধ্যে। তার মানে তারা জীবনের ৭ বছর পার করে ফেলেছে । বিয়ের আগের ৫ বছর ওদের পার হয়ে গেছে দুর থেকেই।
এবার আসুন সামাজিক বিয়ের সুফল - এরা একদম নতুন, বাসর রাতে ঝগড়া হবার সম্ভাবনা ১০%। ৯০% তারা নিরাপদ। কারণ যত বড় ভুল করুক তারা মনে মনে ভাববে যে কি হলো মানুষটা এমন করলো কেন। আচ্ছা দেখি সামনের দিকে কি করে। তাদের হাতে আছে ৭ বছর। ঐ প্রেমিক প্রেমিকার মত হিসেব করলে। এই ৭ বছরে এক সাথে থাকতে থাকতে এরা মা বাবা হয়ে যায়। একে অন্যের ভুল সহ্য করা অথবা মেনে নেয়া বা শুধরিয়ে নেয়া বা ক্ষমা করার সুযোগ আছে। সারা দিন ঝগড়া হলো রাতে বেহায়ার মত বুকে টেনে নিলো। মনে কষ্ট ক্ষোভ জমা হবার সুযোগ নেই। স্বামী স্ত্রী হয়ে গেলো একদিন মা বাবা। অনেক কিছু ভুলে যায়। মেনে নেয় সুন্দর সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে।অথবা সব কসষ্টের ফসল সন্তান।
ঐদিকে ওদের সংসার কেমন চলছে? ওরা এখনো কনফিউজড। বাচ্চা নেবে কি নেবেনা। বিয়ের আগের একে অন্যের ভুল গুলো মনে করে আর ভাবে নাহ এখনি বাচ্চা নেবোনা। ওর বিশ্বাস নেই।
বিশ্বাস ছাড় এক সাথে থাকা যায়না।
উপরের কোন কথাই কোরান হাদিস বা ধর্ম থেকে নয়, সব ছিলো মানুষের ধর্ম।
সুখ কি ? এমন প্রশ্ন করলাম আমার আম্মুকে- বল্লাম আম্মু তুমি গত ৫০ বছর ধরে এই ঘরে শুধু রান্না করে আমাদের খাইয়েই পার করে দিলে, মাঝে রান্না খারাপ হলে আমি আব্বু রাগও করি, তোমাকে গত ৫০ বছর মাথায় রাখতে হয়েছে আমার বড় ছেলে কি খায়, ছোট ছেলে কি খায়, স্বামী কি খায়। রান্না ঘরে একা দাড়িয়ে তুমি শুধু এই গবেষণা করেই পার করে দিলে জীবনের ৫০ বছর। তুমি কি পেলে কিংবা তোমার সুখ কোথায়। আম্মু বললো- তোর বাবা বাসা থেকে বের হবার সময় আমার হাতের উপর হাত রেখে একটা মৃদু চাপ দইয়ে যায়। আর সেটা দিয়ে আমি একটা পুরো বছর পার করতে পারবো তাতে এতো মায়া লুকিয়ে আছে যা করতে তোর লাগবে আরো ৫০ বছর। তারপর আমার সুখ তোরা।
আমি জানি মন্তব্যে পোষ্টের চেয়ে বড় হয়ে গেছে। কিন্তু কথা এখনো বাকি।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ শার্দুল ভাই,
প্রথমে দুঃখিত কারণ এর আগে একটি পোস্টে আপনার একটা মন্তব্যের জবাব দিব বলে সময়ের অভাবে দিতে পারিনি। কারণ সে মন্তব্যের জবাব দিতে হলে অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করে মন্তব্য দিতে হতো। আর পছন্দ না হওয়ার কিছু নেই। আপনি তো লজিকাল কথা বলেন, আপনার অভিজ্ঞতা ও মতামত ব্যক্ত করেন। আমি আসলে বাংলাদেশের কথিত ইসলামি দল গুলো কে দেখতে পারিনা কারণ এরা ভন্ড। নিজেরাই ধর্ম প্রোপারলি মানে না অন্যদের কে ধর্ম মানতে বাধ্য করে। মন গড়া ফতোয়া দেয়। ব্লগারগন শিক্ষিত ও জ্ঞানী । তারা যা লিখে পড়াশোনা করে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে লেখার চেষ্টা করে। সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করে এই কারণে হুজুররা ব্লগারদের প্রতিপক্ষ মনে করে কারণ তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
আবারও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২২
তানভির জুমার বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামে বিয়ের একটা শর্ত হল বিয়ে গোপন রাখা যাবে না। মানুষকে জানাতে হবে। বিয়ে গোপন রাখার জিনিস না। মামুনুল তার বিয়ে গোপন রেখেছে। ফলে তার বিয়েটা প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিয়ে গণনায় ধরা যায় না। এই কারণে তাকেও ব্যভিচারীও বলা হবে। তবে এই ব্যাপারে মতভেদ থাকতে পারে।
প্রশ্ন হল কোন সার্কেলে, কতগুলো মানুষ কে জানাতে হবে? মামুনুল হক ও তার পারিবারিক এবং কাছের কিছু মানুষের ভাষ্য তারা এবিষয়ে আগে থেকেই অবগত আছে।
প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেইনি এটা আমাদের দেশীয় আইনে অপরাধ, আর এর জন্য তার স্ত্রী রাষ্টের কাছে বিচারও চায়নি তবে তার ২য় স্ত্রীর কিছুদিন পরের বক্তব্য আর তার ২য় স্ত্রীর ছেলের বক্তব্য অনুযায়ী মামুনুল হকের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠা স্বভাবিক।
গোফরান ভাইয়ের পোস্টের বেপারে বলবো:
১) ইসলামে কুফু নামে একটা নীতি আছে, বিয়ের সময় এটা দেখা জরুরী। কুফু মানে হচ্ছে ছেলে-মেয়ের আবস্থা ( ধর্মীয়, সামিজিক, অর্থনৈতিক, লেখাপড়া, শারিরিক গঠন ইত্যাদি) ৮০-৯০% সমান হওয়া ভালো। ইসলামে অবিবাহিত বা কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের বিয়ে বেপারে গার্ডিয়ানের মতামতই চূরাত্ব।
২) ইসলামে পারিবারিক সম্পর্কে অটুট রাখা আব্যশক। ইসলাম পরিবারকে অনেক বেশী গুরুত্ব দেয়।
৩) যেগুলো আব্রাহামিক (ইব্রাহিম আঃ) ধর্ম ইসলাম, খ্রীষ্টান, ইহুদী এইসব ধর্মে কখনোই মেয়েদের একই সময়ে একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি নাই। এর কারণগুলো আল্লাহ ই ভালো জানেন। মানুজের জানা কিছু কারণ হল: সন্তানের পিতার পরিচয় (ডিএনএ টেস্ট ১০০% সঠিক হয়না), নারী-পুরুষ শারীরিক-মানসিকভাবে ভিন্ন হয়।
৪) ইসলামে পুরুষের একাধিক বিবাহের কিছু অভিয়াস শর্ত আছে। পুরুষের মন চাইলে একাধিক বিবাহ করতে পারবে না। শারীরিক- অর্থনৈতিক সক্ষমতা থাকতে হবে।
সর্বক্ষেতে উভয়ের মধ্যে কাছাকাছিভাবে ইনসাফ করতে হবে।
বি:দ্র: আমি এমন কোন ব্যক্তি নই যে ইসলাম সম্পর্কে খুব ভালো জানে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ তানভির জুমার ভাই ।
ধর্মীয়, সামিজিক, অর্থনৈতিক, লেখাপড়া, শারিরিক গঠন ইত্যাদি । খুবই লজিকাল। ইসলামের এই দিকটি। একটি মেয়ের সাথে প্রেম করা সহজ না। একটি গার্লফ্রেন্ড/বউ মেন্টেন করতে প্রচুর টাকা প্রয়োজন, একটি ৫ ফুট ২ ইঞ্চি ছেলে একটী ৫ ফুট ৬ ইনিচি মেয়কে কখনো সেটিসফাইড করতে পারবে বলে মনে হয়না কারণ ফিজিকাল রিরেশানে ফিজিকাল স্ট্রাকচার সবচেয়ে বেশী ম্যাটার করে। পরিবারের বিষয়ে ইসলামি রুলস অসম্ভব সুন্দর। পরিবারের চেয়ে আপন আর কিছু কেউ হতে পারেনা কোন ভাবে,
৩ নং এর ব্যাপারে কথা বললে প্রসংগ অন্য দিকে চলে যাবে। আল্লাহ মানবিক। তিনি মানুষের অন্তরের কষ্ট বুঝেন এবং পাপাচার করলে হয়তো করুনা করে ক্ষমাও করেন। শারিরীক অর্থনৈতিক সামর্থ্য না থাকলে কোন মেয়ে কোন পুরুষকে বিয়ে করবে বলে মনে হয়না।
১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৮
কামাল৮০ বলেছেন: সত্যিকারের ইসলাম বলে কিছু নাই।আপনি প্রায় এই কথাটা বলেন।এক দল আছে তারা বলে কোরানে যা আছে সব মানতে হবে।
কোরানে আছে মদ খাওয়া ভালো।আবার এই কোরানেই আছে মদ হারাম।আবার আছে মদ খেয়ে নামাজে যেও না।কোরানের কথা মানলে আপনি কোনটা মানবেন।কোরানে অনেক স্ববিরোধী কথা আছে।যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে তখনই সেটা ডাউন লোড করেছে।
অনেকে বলে ইমজা কেয়াস করে ঠিক করতে হবে।কোরান এবং সহী হাদিসে যা আছে তার কোন ইজমা কেয়াস হয় না।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সলে আমাদের মৌ-লোভীরা কোরানকে নিজের সুবিধামতো তাফসির ও তরজুমা করেন।
১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৮
কামাল৮০ বলেছেন: @ সাচু, জান্নাত সম্পর্কে একটা আয়াত না বহু আয়াত আছে।মন যা চায় তাই থাকবে।এই কথাটার যে কোন অর্থই হয় সেটা কি ভেবে দেখেছেন।আমার মন চায় সমস্ত পরিবার নিয়ে বেহেস্তে থাকি।তাকি পারবো।তখন আবার আলেমরা বলবে ,আল্লাহ যা চায় আপনার মন তাই চাইবে।
১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আজকের ইয়েমেন, ওমান, ফিলিস্তান, মিশরের লোকদের অবস্হা দেখেন, ও ইউরোপের অবস্হা দেখেন; ১৪০০ আগের ইয়েমেন, সৌদীর অবস্হা দেখেন, আর তখনকার রোমন ও গ্রীকদের অবস্হা দেখেন। আরবেরা আজীবন পেছনে ছিলো।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পুরা পৃথিবী আরবের তেলের উপর নির্ভরশীল। আরব দেশ গুলোর মধ্যে যে সব দেশে তেল আছে তারা কখনো গরীব হবে বলে মনে হয়না।
১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৫
বিটপি বলেছেন: কামাল নামের বুড়া গাধার অবগতির জন্য জানাতে চাই, ইউরোপ এবং আমেরিকায় যারা কনভার্টেড মুসলিম, তাঁদের ৭৫ শতাংশই নারী।
ইসলাম যদি কেবল পুরুষের পেয়ারের ধর্ম হইত, তাইলে এত বেশি পরিমাণে নারীরা ইসলামে কনভার্ট হয় কিসের লোভে?
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার পোস্টে কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ ও অসম্মান করা যাবেনা। আপনি আপনার মতামত দিন।
১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৮
তানভির জুমার বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন: আজকের ইয়েমেন, ওমান, ফিলিস্তান, মিশরের লোকদের অবস্হা দেখেন, ও ইউরোপের অবস্হা দেখেন; ১৪০০ আগের ইয়েমেন, সৌদীর অবস্হা দেখেন, আর তখনকার রোমন ও গ্রীকদের অবস্হা দেখেন। আরবেরা আজীবন পেছনে ছিলো।
এত নির্লজ্জ মিথ্যা তথ্য কেন দেন? ইতিহাস জানেন? একটা সময় ইউরোপের মানুষ ইসলামী দেশগুলোতে আসতো শিক্ষা আর জীবনের উন্নতি জন্য, এইগুলো জলজ্যান্ত, অমুসলিম ইতিহাসবিদদের বইতে লেখা আছে। যখনই মুসলমানরা আর তাদের শাসকগুষ্টি ইসলাম থেকে দূরে সরেগেছে তখন অধপতন শুরু হয়েছে তা আজও আছে। মিডল ইস্ট শাসকরা একত্রে ইসলামের পক্ষে থাকলে আমেরিকার ওদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারতো না। ওপেক+ যখন তেল উৎপাদন কম করার ঘোষনা দেয় তখন ইউরোপ- আমেরিকায় তেলের দাম বেড়ে যায়, বাইডেন কান্নাকাটি শুরু করে। এইগুলো দেখেও আপনাদের শিক্ষা হয় না?
২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৮
বিটপি বলেছেন: দণ্ডবিধি আইন ১৮৬০-এর ৪৯৪-এর বিধানমতে, স্বামী যদি স্ত্রীর জীবনকালে পুনরায় বিয়ে করেন তবে সেই ব্যক্তি যে কোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে, তদুপরি অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
মামুনুল হক তো বিয়ে করেনি, সে যেনা ব্যভিচার করেছে। যেনা ব্যাভিচার কি ইসলামে জায়েজ? তাকে ইসলামের আইকন হিসেবে কেন তুলে ধরা হয়েছে? ইসলামের পক্ষে যুদ্ধ করতে করতে আত্মহত্যা করা সাহাবীকে রাসূল (স) জাহান্নমী বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আর মামুনুল হক এতবড় একটা অপরাধ করেও কিভাবে আপনাদের চোখে ইসলামী ব্যক্তিত্ব হয়, আমার বুঝে আসেনা।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জামাত হেফাজত ও তাদের মদদ দাতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জামাত ইসলামী এগুলো আসলে এগুলো আসলে প্রকৃত ইসলামী দল নয়। এদের জন্য ইসলামকে দায়ী করে লাভ নেই।
২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৯
তানভির জুমার বলেছেন: কামাল৮০ বলেছেন: সত্যিকারের ইসলাম বলে কিছু নাই।আপনি প্রায় এই কথাটা বলেন।এক দল আছে তারা বলে কোরানে যা আছে সব মানতে হবে। কোরানে আছে মদ খাওয়া ভালো।আবার এই কোরানেই আছে মদ হারাম।আবার আছে মদ খেয়ে নামাজে যেও না।কোরানের কথা মানলে আপনি কোনটা মানবেন।কোরানে অনেক স্ববিরোধী কথা আছে।যখন যেটা প্রয়োজন হয়েছে তখনই সেটা ডাউন লোড করেছে।
অনেকে বলে ইমজা কেয়াস করে ঠিক করতে হবে।কোরান এবং সহী হাদিসে যা আছে তার কোন ইজমা কেয়াস হয় না।
আপনার কমেন্ট দেখলে মনে হয় আপনার গাঁজার নৌকা পাহাড় বাইয়া যায়। মরার বয়স হইছে তারপরও মিথ্যাচার বন্ধ করেন না। মানুষ নিজের সারা জীবন কোরআনের তরে ব্যায় করেও এইসব পায় না, আর আপনারা নাস্তিক হয়েও এইসব খুজে পান। কোরআনের আয়াতের আগে-পিছনে না পড়ে, ব্যখ্যা না পড়ে, মাঝখানে-শেষের-প্রথমের কিছু অংশ নিয়ে কথা বলা মানে জেনে বুঝে মিথ্যাচার করা।
২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৪
বিটপি বলেছেন: আপনার প্রশ্নের জবাবে আসি। কুরআন হল হেদায়াতমূলক গ্রন্থ। যেসব বিধান উপদেশ ও আদেশে মানুষ সত্য মিথ্যা ও ন্যায় অন্যায়ের গাইডলাইন পাবে - কেবল সেসব বিষয়েই কুরআনে বিধান দেয়া আছে। সব কিছু কুরআন থেকে আশা করা ঠিক নয়। কুরআনের আয়াতের ব্যখ্যা দান করার জন্য হাদীস আছে, বিস্তারিত সমাধানের জন্য বিজ্ঞ আলেমদের ফতোয়া আছে, আর তাতেও কভার না করলে সরকারী আইন তো আছেই।
কোরআনে কোথাও নেই যে একজন স্ত্রীকে ঠকিয়ে অন্য নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা যাবে। আগেকার দিনে দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণে প্রথম স্ত্রী খুব একটা আপত্তি করতনা। কারণ তখন একজন স্ত্রীর পক্ষে বিরাট একটা সংসার সামলানো সম্ভব ছিলনা। এখনকার দিনে ব্যক্তি কেন্দ্রিক পরিবার ব্যবস্থা এবং স্বার্থকেন্দ্রিক লোক দেখানো প্রেম ভালোবাসার ব্যাপারটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় একাধিক স্ত্রী গ্রহণকে একটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখা হয়।
ইসলামী আইন অনুযায়ী একজন পুরুষকে দ্বিতীয় বিবাহের জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি গ্রহণ আবশ্যক নয়। কিন্তু এই আইনের অপব্যবহারের আশংকা আমাদের দেশে বেশ ভালোভাবেই আছে বলে আইনে অনুমতির ব্যাপারটা ইনক্লুড করা হয়েছে।
একজন নারী কেন একাধিক স্বামী রাখতে পারবেনা? এটা বাস্তবতার নিরিখেই সম্ভব নয়। এমন কোন উদাহরণ বিশ্বের কোথাওই নেই। দু একটা যদি থেকে থাকে, তো তা হল এক্সেপসন, ইনস্ট্যান্স নয়।
মামুনুল হকেরা মুসলিম হতে পারে, তবে আদর্শ মুসলিম নয়। রয়েল রিসোর্ট কান্ডের পর থেকে সে মূলধারার আলেমদের থেকে বলতে গেলে একঘরে হয়ে আছে।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৯
নাহল তরকারি বলেছেন: পৃথিবীতে ভালোবাসা বলতে কিছু আছে? কই আমাকে তো কোন নারী ভালোবাসলো না।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যাঁ আছে।আপনি ভালোবাসা অর্জন করতে পারেন নি, এটা আপনার ব্যর্থতা। শুধু কাউকে পেলেই ভালোবাসা সত্যি না পেলে ভালো ভালোবাসেনা এটা ভুল ধারণা।
২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার ফটোগ্রাফির হাত ভালো। ছাড়লেন কেন?
আমার বাবার অঢেল সম্পত্তি নেই। ফটোগ্রাফি করে ইনকাম বেশি করতে পারছিলাম না। তাই ছেড়ে দিলাম।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ঠিক আছে।
২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: দেখুন।
এখানে আমার তোলা কিছু ছবি আছে। সময় পেলে দেখবেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সত্যি অসাধারণ লাগল।
২৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ তানভীর জুমার - মওলানা মামুনুল হকের একাধিক বিয়ে সম্পর্কে সংবাদপত্রের মাধ্যমে যতটুক জানার জেনেছি। বেশী কিছু জানি না। তাই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত কোন কথা আমি বলতে পারবো না। মওলানা মামুনুল হক সাহেব যাদেরকে দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে তাদেরকেও খবরটা লুকিয়ে রাখতে বলা হয়েছিল মনে হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে এই ধরণের লুকোচুরি কাম্য না। বরং বিয়ের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে বিয়ের কথা ঘোষণা করার জন্য। সমাজের ভয়ে কিংবা প্রথম স্ত্রীর ভয়ে বিয়ের কথা গোপন রাখলে এই ধরণের পরিস্থিতিই হয় যেটা মওলানা মামুনুল হকের ক্ষেত্রে ঘটেছে। বিয়ে একটা সামাজিক ব্যাপার। সীমিত কিছু লোক জানবে এবং সেটা তারাও গোপন রাখবে এটা রসূলের (সা) সুন্নাহ না। সুন্নাহ না মানার কারণেই এই বিপদে সে পড়েছে বলে আমার মনে হয়। কোন ব্যক্তির যদি সমাজকে মোকাবেলা করার সাহস বা সামর্থ্য না থাকে তার দ্বিতীয় বিয়ে করা উচিত না। প্রথম স্ত্রীর কাছে এই বিয়ে কত দিন গোপন রাখবে। আসলে এটা সম্ভব না। এক সময় না এক সময় প্রকাশ পেয়ে যাবে। এই লুকোচুরি সুন্নাহ পরিপন্থি। তবে এই ব্যাপারে আল্লাহই ভালো জানেন।
২৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪২
শার্দূল ২২ বলেছেন: নাহ গোফরান ভাই আমি একদমি কিছু মনে করিনি, এর কারণ হলো সব কথার জবাব হয়না, আর আমার বেশির ভাগ মন্তব্যে হলো কোন পোষ্ট যদি আমার ভালো লাগে তার সাথে আমি আমার ভাবনা যোগ করি। আর মাঝে মাঝে মানুষ যদি কোন বিষয়কে ভুল ব্যখ্যা দেয় নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তা বলার চেষ্টা করি।
যেমন আপনার একটা প্রশ্ন এখানে একজন পুরুষ চার বিয়ে করতে পারলে একজন মেয়ে কেন পারবেনা।
আগে আসি সেই সময়ের কথা যখন এমন নিয়ম সৃষ্টি হয়েছিলো । মুসা নবি থেকে যদি শুরু করি আমরা দেখবো শুধু কানান শহর দখল করতে গিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ সৈনিক পুরুষ মারা যায়। এরপরে আরব জাহানে শতশত যুদ্ধ হয়। আরব জাহানে এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো যে নারি পুরুষের সংখ্যার বিশাল ব্যবধান ছিলো। একসময় পুরুষ রাতে নারীর ভয়ে পাহাড়ে গিয়ে লুকাতো। এমনও অবস্থা হয়েছিলো যে নারী গার্ডিয়ান শুন্য হয়ে গিয়েছিলো । পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে নারী সহজ লভ্য হয়ে যায়। একটা পুরুষ চাইলে দাসি হিসেবে অনেক গুলো নারী সাথে রাখতো আর নারীর উপায়ও ছিলোনা, বেচে থাকার উপকরণ খাদ্য বাসস্থান সহ আরো অনেক কিছুর অভাবে নারী তা মেনেও নিতো। একটা সময়তো এমন হলো মেয়ে শিশুকে মেরে ফেলা হতো। যদিও সেটা এখনো হয় ভারতে, বিশেষ করে হাজার হাজার নারি ভ্রুন হত্যা।
আইয়েমে জাহেলি যুগের কথা আমরা সবাই জানি। সেই সময়ে একটা পুরুষের অগণিত নারী লাভের জায়গায় চাইলেও ধর্ম একটা নারিতে নিয়ে আসা সম্ভব ছিলোনা। যদিও কোরাণ ৪ টা অব্দি বলেছে শেষে এটাও বলেছে যদি সমান বিচার করতে না পারো একটাতেই থাকো। এই বিচার শুধু নারীর শরীর আর খাদ্য বাসস্থান নয়। এই বিচার মানসিক শান্তিকেও বুঝিয়েছেন। এখন একজন পুরুষের পক্ষে কি ৪ জন নারীকে সমান মানসিক শান্তি দেয়া সম্ভব? নাহ। যেমন ধরেন এক বাড়িতে ৪ টা বউ। ৪ ঘরের দরজায় দাড়ানো । পুরুষ স্বামী মহাবীর বাসায় আসলো রাতে। প্রতিটা টা নারী চাইবেন স্বামী নামের সেই মহা পুরুষটা তার কাছে আগে আসুক তাকে আগে মুল্যায়ন করুক। কিন্তু স্বামীটি তার ভালো লাগার জায়গায় আগে গেলো। ভেবে দেখুন বাকি ৩ জন বউএর মানসিক অবস্থা তখন কেমন হবে। সুতরাং আল্লাহ এক অর্থে এই বহু বিবাহকে নিরুৎসাহিত করেছেন। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেউ যদি ধর্মের দোহাই দিয়ে একাধিক বিয়ে করে নিঃসন্দেহে সে ধর্মের অপব্যবহার করছে।
এবার আসুন কেন এক নারী বহু বিবাহ করতে পারেনা এক সাথে- একজনের একাধিক বউ থাকার পর সন্তান জন্ম নিলে আমরা জানি তাদের পিতা কে । কিন্তু এক নারীর একাধিক স্বামী থাকলে তার যদি সন্তান হয় আমরা কিভাবে বুঝবো তার পিতা কে। পরে আমরা নাহয় ডিএনএ পরীক্ষা করে জেনে নেবো তার পিতা আসলে কে। কিন্তু জন্মের দিন ৪ জন মানুষ এই নিয়ে মনে মনে একাটা চাপা উত্তেজনা বা চিন্তায় থাকবে যে সন্তানটা আসলে কার। হয়তো বলবেন যে তাদের এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নাই বলেই ৪ জন এক সাথে এক নারী নিয়ে আছে। আমি জানিনা এই নিয়ে কে কত উদার কিন্তু আমি আমাকে চিনি আমি এমন পরিস্থিতিতে পড়লে এক মুহুর্ত শান্তি পাবোনা। আমরা সামাজিক জীব। আমাদের জীবনের কত গুলো অধ্যায় আছে যেখানে আমরা নিরুপায়। আমাদের অদ্ভুদ সাইকোলজি আমাদের এত সহজে সব কিছু মেনে নিতে দেয়না।
এবার আসুন ধর্মীয় মোল্লাদের কথা। মমিনুল হকের কথা- আমরা এই জায়গায় ভুল করি। আমরা মনে করি এরা ধর্মের একটা অংশ। আমি মনে করিনা। কোরাণ এর মত এত বিশাল সাইন্টেফিক গ্রন্থ্য তারা বুঝবে বা বুঝে এটার মত কৌতুক দুনিয়াতে আছে বলে আমার মনে হয়না। বাংলাদেশের সব গুলো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গাধা ম্যনুফেকচার করে মমিনুল হক ওয়ান অব দেম। নো ডাউট হিয়ার।
এই মোল্লারা এখনো বিশ্বাস করে নারী হলো ভোগের বস্তু। চাষ করো ফসল হিসেবে আরো কিছু গাধা ঘরে তুলো। ভাগ্য গুনে এদের ঘর থেকে মাঝে মাঝে কিছু মানুষ বেরিয়ে আসে কখনো কখনো। সো আমাদের মত মানুষের সমাজে এদের জায়গা নেই।
এখন বলি কেন এমন প্রতিষ্ঠান গুলো কোরান এর দামি বিষয় গুলো বুঝবেনা, কারন কোরাণ বুঝতে হলে আমার বিজ্ঞান ইতিহাস এবং ভৌগলিক জ্ঞান থাকতে হবে। এই তিনটা না জানলে আপনি কোরানের শুধু একটা অংশ বুঝবেন সেটা হলো হুর, সারবান তাহুরা মানে মদ, আর বুঝবেন দুধের নদি, মধুর নদি।
আচ্ছা কোরনাের বিজ্ঞান নিয়ে অন্যদিন বলবো।
সব শেষে আপনাকে বলি- সমাজের অনেক পাগল আছে যাদের আলোচনায় আনতে হয়না। আনলে তাদের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়ে যায়, যা আমি করিনা।
শুভ কামনা সব সময়
২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২২
রানার ব্লগ বলেছেন: ইসলাম বলে আপনি চারটা বিয়ে করতে পারবেন এর জন্য কারো অনুমতি নেবার প্রয়োজন নাই।
মমিনুল একটা নারী লোভী অসভ্য কুপুরুষ। একে উদাহরণ হিসাবে নেয়াটাও একধরনের অপরাধ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৯
কামাল৮০ বলেছেন: কোরানে কি আছে না আছে সেটা দিয়ে দুনিয়া চলে না।দুনিয়া চলে মানুষের অভিজ্ঞতা কি বলে সেটা দিয়ে।যেটা মানুষের জন্য মঙ্গল এবং যেটা বেশির ভাগ মানুষের পছন্দ সেই রকম নিয়ম কানুন দিয়ে।সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে নিয়ম কানুন বদলায়।এজকে যেটা ভালো কালকে সেটা ভালো নাও হতে পারে।