নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

মোহাম্মদ গোফরান

♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠

মোহাম্মদ গোফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ পল্লীর কর্মীরা কতটুকু অপরাধী?

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪


যে কোন সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমের তুলনায় সামহোয়্যারইন আমার সবচেয়ে প্রিয়। এখানে আমার প্রিয় কিছু ব্লগার আছেন। যাদের লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। যাদের সাথে ব্লগিং আমি এনজয় করি। যাদের পোস্টে আমি নিয়মিত মন্তব্য করি। তারা আমার পোস্টে মন্তব্য করলে আমার ভালো লাগে। তাদের মধ্যে একজন হলো ব্লগার "সাড়ে চুয়াত্তর "। ভিষণ ভদ্র ও ব্যাবহারে অত্যন্ত বিনয়ী। দুইজনের ব্লগিং এর বিষয়বস্তু আকাশ পাতাল ফারাক হলেও তার আমাদের দুজনের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানজনক সম্পর্ক বিদ্যমান।

তো আমার এই প্রিয় ব্লগার একটা পোস্ট লিখেছেন। পোস্টের শিরোনাম "বড় বড় অপরাধ এবং অনৈতিক কাজ মুসলমান জনবহুল দেশে নয় বরং অমুসলিম জনবহুল দেশে বেশী হয়"। সেখানে তিনি পৃথিবী জুড়ে যে অপরাধ গুলো সংঘটিত হয় তার মধ্যে পতিতাবৃত্তিকে তালিকাবদ্ধ করেছেন। অবশ্য তাঁর কোন দোষ নেই। চীন' রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মান এর মতো দেশে পতিতাবৃত্তি অপরাধ হিসেবে গন্য হয়।

কিন্তু আমি মনে করি পতিতাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গন্য করা ঠিক না। কেউ পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি করে, কেউ অসুস্থ মা-বাবার ট্রিটমেন্ট এর জন্য পতিতাবৃত্তি করে, কেউ চাকুরী জোগাড় করতে গিয়ে নোংরা প্রস্তাব পাওয়ার পর চিন্তা করে, দেহ যেহেতু দিতেই হবে, পতিতাবৃত্তি করে ২০ হাজার ইনকাম না করে ২ লাখ ইনকাম করি মাসে, তাই পতিতাবৃত্তি করে, কেউ দারিদ্র্যতার কারণে পড়ালেখা করতে না পেরে পতিতাবৃত্তিতে নাম লেখায়। কেউ কথিত প্রেমিক থেকে চ্যাকা হয়ে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে কলগার্ল হয়। অর্থাৎ কোন ভ্যালিড রিজন অবশ্যই আছে।

একটি বিখ্যাত গানের কথা সবার শোনা হয়েছে নিশ্চিত " প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ, ঘুষ খাওয়া কখনই নয় "। আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে পতিতাবৃত্তি বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আদালত। আমি মনে করি সব দেশে বৈধতা দেয়া উচিৎ। অপরাধী যদি বলতে হয় সেসব পুরুষদের অপরাধী বলুন যারা স্ত্রী থাকা স্বত্বেও যৌনকর্মী দের কাছে যায়।

তবে এটা সত্য কিছু পতিতা পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি না করে, মাদক ব্যাবসা, স্মাগলিং, পাচার, ইয়াভা ব্যাবসা ইত্যাদি অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় হবে। একই সাথে পতিতা বলতেই অপরাধী বলাটা আমার দৃষ্টিকোন থেকে অনুচিত।


ছবি- গুগল সার্স।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নতুন বলেছেন: বিদেশে কিছু মেয়েরা ইজি মানির জন্য পতিতাবৃত্তি শুরু করে।

কিন্তু আমাদের দেশে ৯৯% নারীরাই পুরুষের প্রতারনার শিকার। বেশির ভাগ নারীকে পতিতালয়ে বিক্রি করে।

সব নারীই চায় তার নিজের সংসার, স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখী জীবন জাপন করতে।

কেউই সখ করে পতিতা হয় না। :|

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ইজি মানির জন্য বাংলাদেশেও শুরু করে। বাংলাদেশে চাকরি কর্মসংস্থান থাকলে পতিতাবৃত্তি বর্তমানের ৩/২ ভাগ নারী করত না।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ওরা কি কারণে ঐ পথে এসেছে সেটি আপাততো ভুলে গেলাম। আসল কথা হচ্ছে আমরা যাই বলেই ওরা আছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক ওরা পতিতা হলে আমরা যারা যাই তারা কী?

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের ৯৯% পতিতা অসহায় এবং তাদেরকে জোর করে এই রাস্তায় আনা হয়েছে। এদের কোন দোষ নেই।

পতিতাবৃত্তির এই সিস্টেমটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এটার জন্যও অসহায় পতিতারা দায়ী না। কিন্তু পতিতাবৃত্তির থেকে বহু লোক লাভবান হয়। নারী ট্রাফিকিং য়ের সাথে বহু সন্ত্রাসী, অপরাধী জড়িত। অনেক সম্পদের মালিক তারা। হাজার হাজার বিলিয়ন ডলার ব্যবসা এটা। এই অর্থনীতি সমাজের জন্য ভালো না। আমি এই সিস্টেমের বিরোধিতা করছি। অসহায় পতিতাদের না। যে কোন রাষ্ট্রের উচিত পতিতাদের পুনর্বাসন করা। কিন্ত রাষ্ট্রগুলি দায় এড়ানোর জন্য এগুলিকে বৈধতা দিয়ে থাকে। ফলে অনেক নারী স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসে। যেহেতু অনেক দেশে এটা বৈধ পেশা ফলে অনেক লোভী মেয়ে এই পেশায় যুক্ত হয়ে সমাজকে নষ্ট করে। বৈধ হওয়ার কারণে কোন অপরাধ বোধও তাদের মধ্যে কাজ করে না। ফলে সমাজে এটা বিস্তার লাভ করে এবং পরিবারকে ধ্বংস করে। তবে যত বৈধতাই দেয়া হোক না কেন উন্নত বিশ্বেও পতিতাবৃত্তি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং সম্মানজনক কোন পেশা না।

পতিতালয় আছে বলেই সেখানে পুরুষেরা যায়। তাই পতিতালয় বন্ধ করতে হবে। তবে অবশ্যই পতিতাদের পুনর্বাসন করতে হবে রাষ্ট্রকে। মাদক বন্ধ করতে হলে মাদকের সব রাস্তা বন্ধ করতে হবে। মদ এবং মাদকের প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করলে এগুলি চলতেই থাকবে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পতিত আছে বলে পুরুষরা সেখানে যায় কথাটা ঠিক নয়। দেখুন বাংলাদেশে পতিতালয় গুলোতে যারা যায় তাদের অধিকাংশই লো ক্লাস। হাই ক্লাস প্রস দের পতিতালয় এর প্রয়োজন পড়েনা। ওরা খুব ভালোই মানের হোটেল ফ্ল্যাট ডিমান্ড করে। অনেক প্রস দেধের বাইরেও যায় পুরুষ প্রস দের সাথে।

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে গেলে বলতে হয় এটাও তার একটা।কোন অপরাধ সংঘটিত না হলেই হলো।তার অধিকার আছে অপরাধ না করে যে কোন কাজ করার।আইনের চোখে এটা যদি অপরাধ হয় তবে আইনের সমস্যা আছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভালো/খারাপ পতিতা যাচাই করার পর লিস্ট করে, পূর্নবাসন করা প্রয়োজন সরকার থেকে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সহমত।

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: যারা পরিবার থেকে দূরে থাকে তারা সেই প্রাচীন সময় থেকে পতিতা গমনে অভ্যস্ত । আদি সময়ে মরু পথে , সমুদ্র পথের যাতায়াতকারিরা পতিতাগমন করত যৌন ক্ষুধা মেটাতে যা মোটেও অপরাধ নয় । অস্থায়ী বিয়ের ধারনা ওখান থেকে এসেছে । আমি পতিতার পক্ষে রায় দিচ্ছি কিন্তু আমি কখনো পতিতা গমন করিনি ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: স্ত্রী না থাকলে গেলে কি সমস্যা? কে যাবে কে যাবেনা (স্ত্রী না থাকলে) যার যার পারসোনাল ম্যাটার।

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পতিতালয় বলতে আমি উত্তরা গুলশানের ফ্লাটকেও বুঝি। শুধু ক্লাসের পার্থক্য। সবই একই। এক জায়গায় রেট কম আরেক জায়গায় বেশী। আরেকটা পার্থক্য হল হাই ক্লাস এই পতিতার ফ্লাটগুলির মেয়েরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছায় এই কাজে নেমেছে।

বাংলাদেশের তারকা হোটেলগুলিও আসলে পতিতালয়। এই মেয়েগুলি নিজের ইচ্ছায় সেখানে যায়।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পতিতাবৃত্তি করতেও পরিশ্রম করতে হয়।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৪

একে৪৭ বলেছেন: আমি দ্বিমত পোষন করি।

@সাড়ে চুয়াত্তর ভাই বলেছেন: বাংলাদেশের ৯৯% পতিতা অসহায় এবং তাদেরকে জোর করে এই রাস্তায় আনা হয়েছে। এদের কোন দোষ নেই।

আপনি মাদককে বৈধতা দিয়ে মাদক চোরাচালানি বন্ধ করতে পারবেন না।

তেমনি, পতিতালয়কে বৈধতা দেয়া মানে আরও অনেক অসহায়কে জোর-জবরদস্তি, ছলে, বলে, কৌশলে পতিতালয়ে আনার রাস্তা তৈরী করে দেয়া।

যতদিন না পর্যন্ত দেশের আইন টেকশই হয়ে উঠছে, বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালি হয়ে উঠছে, ততদিন পর্যন্ত এমন রিস্ক আমরা নিতে পারি না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সকলের নিজস্ব মত কে আমি সম্মান করি।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:৩৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

এখানে যে বা যারা মন্তব্য করেছে তাদের সবার কথার মূল কথা হচ্ছে, পতিতাবৃত্তিতে যারা বাধ্য হয়ে যুক্ত হয়েছে তাদের মুক্তির চেষ্টা করা। সেটা চাকরি বা যে কোন ব্যবস্থার মাধ্যমেই হোক। আপনি যদি এটাকে বৈধতায় রূপ দেন, তাহলে বাংলাদেশের মত একটা রাস্ট্রের ক্ষমতাধর অপরাধীরা পতিতা ব্যবসাকে চালানোর জন্য নতুন করে আরেক অভিশাপ চাপিয়ে দিবে বাংলাদেশের নারীদের উপর।

তাছাড়া, যারা এটাকে সেচ্ছায় গ্রহণ করেছে তারা যদি এটার চেয়ে ভালো ও সম্মানজনক চাকরি পাওয়ার পরও তা ধরে রাখে তবে তারা নিশ্চয়ই শাস্তির আওতায় আসতে পারে। যেমনটা ঘটেছিল নতুন চীনের সময়। পাশাপাশি অপরাধী পুরুষদেরও শাস্তির আওতাধীন আনা উচিত।


@সাড়ে চুয়াত্তর ভাই বলেছেন: বাংলাদেশের ৯৯% পতিতা অসহায় এবং তাদেরকে জোর করে এই রাস্তায় আনা হয়েছে। এদের কোন দোষ নেই।

একে৪৭ বলেছেন: তেমনি, পতিতালয়কে বৈধতা দেয়া মানে আরও অনেক অসহায়কে জোর-জবরদস্তি, ছলে, বলে, কৌশলে পতিতালয়ে আনার রাস্তা তৈরী করে দেয়া।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পতিতারা নিরুপায় হয়ে এসব করে। যারা পতিতালয়ে ওরাও পতিতা।

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

বিটপি বলেছেন: সবার ধারণার বাইরে গিয়ে আমি এক্তা প্রশ্ন করি। মনে করুন রাস্তা থেকে ৭/৮ বছরের এক কিশোরকে কেউ অপহরণ করে তাকে গুন্ডামি বদমাইশি ট্রেনিং দিল। তারপর তাকে দিয়ে ছিনতাই বা চুরি জাতীয় কোন কাজ করিয়ে তার সিংহভাগ অর্থ হাতিয়ে নিল। এখন ঐ কিশোরটিকে কি আপনি অপরাধী বলবেন?

পতিতাবৃত্তি যেকোন মানদন্ডেই অপরাধ। পতিতাবৃত্তি করতে কেউ বাধ্য হলেই বলার সুযোগ নেই যে সে অপরাধী নয়। যে উচিৎ সেটা হচ্ছে পতিতাবৃত্তিকে খুব সস্তা করে না ফেলা। সরকারের এমন কিছু কর্মসূচী নেয়া উচিৎ, যাতে পতিতাবৃত্তি খুব কঠিন একটা পেশা হয়ে যায়। যেমন লাইসেন্স ইস্যু করা। হেলথ ইন্স্যুরেন্স এবং এসটিডি সার্টিফিকেশন ইত্যাদি। পাশাপাশি এই সেবার উপর ভ্যাট ধরা উচিৎ, যেটা সেবা গ্রহণকারীর পকেট থেকে যাবে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পতিতা যারা অসহায় হয়ে পতিতাবৃত্তি করে তাদের অপরাধী আমি মনে করিনা।

১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

শায়মা বলেছেন: শাহ আজিজ বলেছেন: যারা পরিবার থেকে দূরে থাকে তারা সেই প্রাচীন সময় থেকে পতিতা গমনে অভ্যস্ত । আদি সময়ে মরু পথে , সমুদ্র পথের যাতায়াতকারিরা পতিতাগমন করত যৌন ক্ষুধা মেটাতে যা মোটেও অপরাধ নয় । অস্থায়ী বিয়ের ধারনা ওখান থেকে এসেছে ।

শাহ আজিজ ভাইয়ার মন্তব্যটি একটি ইতিহাস। যে কোনো পেশা উৎপত্তির একটি কারণ থাকে। সেই কারন এবং ইতিহাস এটি। মানুষের প্রয়োজনে এই পেশাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে তবুও সমাজের চোখে এখনও এই পেশা ঘৃনিত। যারা এই পেশার সাথে যে কোনো ভাবেই জড়িয়ে রয়েছে তাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় চোখে দেখা হয়। কাজেই দোষে হোক নির্দোষে হোক এই পেশার সাথে যেকোনো মূল্যে জড়িয়ে পড়াকে অপরাধের চোখেই দেখা হয়।এখন কতটুকু অপরাধ সেটা মাপতে গেলে অনেক হিসাব নিকাশের প্রয়োজন। কার দায় পড়েছে সমাজের এত কিছু রেখে এসব নিয়ে ভাবনার?

একমাত্র অসহায় মেয়েদেরকে ভুলিয়ে ভালিয়ে বা ফাঁদে ফেলে এইখানে বিক্রি করে দেওয়া মেয়েগুলো ছাড়া এ পেশায় জড়িত প্রায় সকলেই আমার চোখে সবাই মোটামুটি অপরাধীই।
যারা এ পেশার মালিক, কর্মচারীবৃন্দ এবং সেখানের গমনকারীরাও।
সমাজ এই পেশা বৈধতা না দিলে মানুষ এই অপরাধের সুযোগ পেত না।

তবে হ্যাঁ এই পেশা বৈধতা বা লাইসেন্স দেবার একটা কারণ আছে- এমন পেশা না থাকলে কিছু মানষিক বিকৃত মানুষের দ্বারা সমাজে ধর্ষন বা অপরাধ আরও বেশি বেড়ে যেত। কাজেই বলীর পাঠা যেচে বা না যেচে সেখানে থেকে যাওয়া মেয়েগুলো।









একে৪৭ বলেছেন: আমি দ্বিমত পোষন করি।

@সাড়ে চুয়াত্তর ভাই বলেছেন: বাংলাদেশের ৯৯% পতিতা অসহায় এবং তাদেরকে জোর করে এই রাস্তায় আনা হয়েছে। এদের কোন দোষ নেই।

[আপনি মাদককে বৈধতা দিয়ে মাদক চোরাচালানি বন্ধ করতে পারবেন না।

[তেমনি, পতিতালয়কে বৈধতা দেয়া মানে আরও অনেক অসহায়কে জোর-জবরদস্তি, ছলে, বলে, কৌশলে পতিতালয়ে আনার রাস্তা তৈরী করে দেয়া।

একমত







২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর সাহেব একটা হাস্যকর পোস্ট দিয়েছেন।
উনার লজিক সঠিক নয়। উনি জোর করে মুসলিমদের মহান বানাতে চাচ্ছেন। এরকম পোস্ট ব্লগের জন্য অকল্যান বয়ে আনে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উনি উনার মত ব্লগিং করুক আপনি আপনার মতো করুন।

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পতিতাবৃত্তিকে বেশিরভাগ মানুষ খারাপ বলছেন। এখন প্রশ্ন হলো, এসব কাজের খদ্দের কারা? পতিতাবৃত্তি অপরাধ হলে তারাও কি অপরাধী না? এসব পতিতাবৃত্তি বন্ধ হলে এর খদ্দেররা ধর্ষণে মনোযোগ দেবে। পতিতাবৃত্তি আছে বলেই ধর্ষণ সহনীয় মাত্রায় আছে। আইন করে ধর্ষণ বন্ধ করা যায় না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যারা খদ্দের তারা আসলে আরও বড় পতিতা।

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: পতিতালয়ে গমনের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষনের হার কম হয়। পতিতালয় গমন কঠিন হলে কিংবা মিউচুয়াল সেক্স অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত হলে ধর্ষণের পরিমাণ বাড়বে। কাউকে জোর করে কিংবা কেউ নিরুপায় হয়ে এই পেশায় এসে যদি অন্য অপরাধে যুক্ত হয় তাহলেও সে সেই অপরাধের অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধর্ষণের পরিমান বেড়ে গেলে মোল্লারা দোষ দিবে পোশাকের কিন্তু মাদ্রাসার পাঞ্জাবি পড়া ছেলে শিশুদের কি কারণে ধর্ষণ করা হয় তা জিজ্ঞেস করলে কোন উত্তর না পেয়ে হাউকাউ ও ম্যাওপ্যাও করবে।

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

প্রামানিক বলেছেন: কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকলে হয়তো এই পেশায় এরা অনেকেই থাকবে না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিন্তু কর্মসংস্থানও তো মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। সেখানেও প্রমোশন / সেলারি ইনক্রিমেন্ট এর প্রলোভন দেখিয়ে অধিকাংশ লম্পট নারী দেহ ভোগ করতে চায়।

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কিন্তু আমি মনে করি পতিতাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গন্য করা ঠিক না।
.....................................................................................................
সময়, দেশ ও অন্চল ভেদে একেক দেশ আইন ভিন্ন ভিন্ন ।
যেমন মনে করা হয়ে থাকে , থাইল্যান্ডে যে পরিবারে দুইটি সুন্দরী মেয়ে
আছে তাদের আয় রোজকারের আর কোন চিন্তা নেই ।
কোথাও বা বউ বিক্রি হয় ঘন্টা হিসাবে, আবার
মিশরে কন্ট্রাকটে মেয়ের বিয়ে দেয়া হয় সপ্তাহ বা মাসের জন্য ।
বলা হয় সবই প্রয়োজন এখানে নৈতিকতা বা আইনের দৃষ্টি অন্ধ ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.