নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

মোহাম্মদ গোফরান

♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠

মোহাম্মদ গোফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ধ্যা হলেই চোখ গুলো সব লাল।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৭


সন্ধ্যা হলেই চোখ গুলো সব লাল!

হ্যালো ভাইয়া !
কিরে!
ফোনে বলা যাবেনা ভাইয়া।তাড়াতাড়ি আসুন। আমি বেশ বিপদে পড়ছি।কোথায় আসব? হোটেল ... এ। ফাহিম বুঝতে পারে ঝামেলায় পড়ছে। ঠিক আছে আসতাছি বলে ফোন কেটে ১ মিনিটও দেরী না করে রওনা দিল ফাহিম। এতক্ষণ ফাহিমের কথা হচ্ছিল আনিকার সাথে। সে আনিকাকে নিজের চেয়েও বেশী ভালোবাসে। আনিকা এ লেভেল কমপ্লিট করে কেবল একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। আর ফাহিম একজন ব্যাংকার। মধ্যবিত্ত পরিবার। পক্ষান্তরে আনিকা কোটিপতি বাবা- মায়ের একমাত্র মেয়ে।

তখন বিকাল গড়িয়ে কেবল সন্ধ্যা নেমেছে। যত দ্রুত সম্ভব ফাহিম পৌঁছে গেল। গিয়ে দেখে অবস্থা কাহিল আর। আনিকা কাঁদছে। আনিকার বাপ মা দুজনই বিজনেস করে। মায়ের পার্লার বিজনেস। বাবা চাটঁগার খাতুনগঞ্জের ইন্ডেন্টিং ব্যবসায়ী। অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবার।ঘটনা যা ঘটেছে তা নাটক সিনেমাকেও হার মানায়। আনিকার একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক। ছেলেটা পার্ভাট ও মারাত্মক ড্রাগ এডিকটেড। ট্রাজেডি হলো সে আনিকাকেও ইয়াবা ও গাঁজা ধরিয়েছে। সিগারেট তো আছেই। যাই হোক গল্পে আসি। আনিকা আর ওর বয়ফ্রেন্ড প্ল্যান করছে রূপ ডেট করবে।যেই ভাবা সেই কাজ। কিন্তু দুজনই ছোট। কোন হোটেল ওদের রুম দিবেনা। তাই ছেলেটি এক পরিচিত প্রভাবশালী বড় ভাই এর রেফারেন্সে রূম ম্যানেজ করে একটা হোটেলে।

দুপুর ২ টাই ওরা চেক ইন করে হোটেলে।তখন সন্ধ্যা ৬ টা। আনিকার বয় ফ্রেন্ড এর পূর্বপরিকল্পনা ছিল সেদিন আনিকাকে সেল করবে। এবং সে যার মধ্যমে রূম ম্যানেজ করছে তারে হোটেলে ইনভাইট করে। সে লোক একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। এবং তার কাছ থেকেই ইয়াবা নেয়। লোকটা আনিকাকে যেদিন প্রথম দেখছে সেদিন থেকেই ওকে পেতে উম্মাদ। উম্মাদ হবেইনা বা কেন? আনিকা সে শত শত মেয়ের মধ্য থেকেও সিলেক্টিভ। যেমন হাইট তেমন গায়ের রঙ। ১৯/২০ বছরেএ তরুণী! অদ্ভুত রকমের নজরকাড়া সুন্দরী সে।

তো কি হয়েছিল সেদিন? বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই আনিকা তার বয়ফ্রেন্ডকে ইয়াবা এনে দিতে বলে। ছেলেটি ইয়াবা নিয়ে আসার বাহানায় নীচে যায়। কিছুক্ষণ পর কলিংবেল বাজলে আনিকা দরজা খুলে। হোটেল বয় বলছে একজন আপনার সাথে দেখা করতে চায়। আপনাকে কিছু একটা দিবে। আনিকা বয়ফ্রেন্ডকে ফোন দেয়। ওপাশ থেকে বয়ফ্রেন্ড এর কণ্ঠ ভেসে আসে। আমি আনলে রিস্কি। উনার কাছ থেকে নাও। সে লোকটাকে উপরে রুমে আসতে বলে। আর ইয়াবা দেয়ার বাহানায় আনিকাকে সিডিউস করে। দেখ তুমি তো ইয়াবা এডিকটেড। তোমার বয় ফ্রেন্ড স্টুডেন্ট। তারপক্ষে তোমাকে প্রতিদিন ইয়াবা জোগাড় করে দেয়া সম্ভব নয়। আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি। আমিই তোমার জন্য প্রতিদিন ইয়াবা কিনে দেয়।লোকটার কথা শোনে আনিকা শাউট করে। বয় ফ্রেন্ডকে ফোন দেয়। ফোন বন্ধ। লোকটাকে বাস্টার্ড - কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেয়।

৪ স্টার হোটেল। লোকটা সিনক্রিয়েট এর ভয়ে তাড়াতাড়ি রুম থেকে বের হয়ে যায়। সারাদিনের খানাপিনা ও রূম ভাড়া সহ বিল এসেছে ৭০০০ টাকা। আনিকার পার্সে কেবল ১/২ হাজার ছিল। এই পরিস্থিতিতে না পারছে বাসার কাউকে কল দিতে না পারছে বন্ধুদের কাউকে কারণ মাবাবা ঘর থেকে করে দিবে। আর বন্ধুরা ঢোল পিটাবে।

উপায় না দেখে ফোন দিল ফাহিমকে। যে ফাহিমকে মিডলক্লাস বলে পাত্তা দেয়নি। সে মুহুর্তে সে অনুভব করল তার জীবনের সবচেয়ে বিশ্বস্থ বন্ধু ফাহিম। মরে গেলেও ফাহিম তার বিশ্বাসের অমর্যাদা করবেনা। তাই ফাহিমকে ফোন করছে। ফাহিম হোটেলের বিল চুকিয়ে ওকে নিয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলো। আনিকা তখন ইয়াবা খাওয়ার জন্য চটপট করতে। ফাহিম উহাও তাকে মেনেজ করে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসছে। পরের দিন আবার ফাহিমকে ফোন -

ভাইয়া!
ফাহিম: অসুবিধা নাই, সন্ধ্যায় পৌঁছে দিব (ইয়াবা)।
আনিকা: না, আই ওয়ানা মিট ইউ!
ফাহিম: কোথায়?
আনিকা: সিক্রেট রেসিপি।
ফাহিম: সাড়ে ৬ টাই আসছি।

সাড়ে ছয়টাই দেখা হলো। আনিকা ইয়াবার জন্য চটপট করছে। ফাহিম পকেট থেকে বের করে দেয়। আনিকা নেয়না। ফাহিম আনিকার ব্যাগে দিয়ে চলে যাচ্ছে অমন সময় আনিকা বললো-

আই এম ইন লাভ ফাহিম।
প্লিজ আই নীড আ হাগ ---

আনিকার চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। ফাহিম কি বলবে বুঝে উঠতে পারেনা। কেন জানি তার চোখ গুলো জ্বালাতন করছে। ওয়াশ রুমে গিয়ে আয়নায় তাকায়। তার চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। এমন চোখ কি পৃথিবীতে আছে যেচোখ ভালোবাসার মানুষকে দীর্ঘদিন প্রতিক্ষার পর পেলে লাল হয়ে আনন্দ অশ্রু গড়াবেনা?

সিক্রেট রেসিপি থেকে বের হয়ে ফাহিম রিক্সা নিল। আনিকা নিজ থেকে ওর হাত ধরল। কাঁদে মাথা রাখল। ফাহিম সিগারেট ধরালে আনিকা লিপ কিস করলো। ফাহিম রাস্তার লোক গুলো দিকে তাকায়। সবার চোখ লাল। কারও কাম উম্মাদনায়, কারও নেশার কারণে, কারও ক্লান্তির কারণে, কারও ক্ষুধার যন্ত্রনাতে, কারও বিচ্ছেদের ফলে, কারও ফাহিমের মতো পাওয়ার আনন্দে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



ভেমপায়ারদের দেশ?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অনেকটা ভ্যাম্পায়ার দের দেশই বলা যায়।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৭

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সুন্দর গল্প। ভালোবাসা থেকে যেকোন আসক্ত থেকে ফেরা সম্ভব। হোক সেটা গল্পে, হোক বাস্তবে...

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলে ভালোবাসার এক প্রকার অদ্ভুত শক্তি আছে।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:২৫

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: বাংলাদেশের মেয়েগুলি বেশি বোকা ,ভুল মানুষকে ভালোবেসে ফেলে ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বোকা নয়। আসলে চাকচিক্য ভালোবাসে। কোয়ালিটি দেখে না।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১২

রাজীব নুর বলেছেন: গোফরান ভাই আমার কোনো বাজে অভ্যাস নাই। মদ খাই না, নেশাও করি না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গুড।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

মোগল সম্রাট বলেছেন:


ভালোবাসা টালোবাসা কিছু আর নাই । ১৫৪ পদের মাদকে সয়লাব পুরাদেশ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এবং তরুণ প্রজন্ম নেশা করাকে স্মার্টনেস মনে করছে। কি ভয়াবহ পরিস্থিতি।

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এদেশে মেয়েদের মাদকে আসক্ত হওয়ার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে মনে হচ্ছে!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছেলে মেয়ে উভয়ই মাদকের প্রতি আসক্ত হচ্ছে।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৪

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ রাজিব ইজ এবসোলিউটলি রাইট। কোনোই বাজে অভ্যাস নেই ওনার। সবই সু-অভ্যাস।

এই সু-অভ্যাসের এর একটা আমি জানি।

অন্যের লেখা এবং মন্তব্য নিজের নামে চালিয়ে দেয়া।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলে বাংলাদেশের সবই কপি পেস্ট। বিশ্বাস করুন এই যে দেশে এত এত সিনেনা, স্টাইল, ফ্যাশন, ৯৯% বিদেশীদের কপি-পেস্ট।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১২

এম ডি মুসা বলেছেন: আমি ও ভুল মানুষ কে সিলেক্ট করছি না জানি না.... জীবন যেখানে যেমন একটি কথা রয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.