নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠
নোট: পোস্টে একটি ১৮+ ছবি ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে পোস্ট নিজ দায়িত্বে পড়বেন।
১)
আসলাম সাহেব একজন লোহা ব্যাবসায়ী। আজ প্রথম রোজা রেখেছেন। আসলাম সাহেব প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বেড টি খান। সাথে একটা সিগারেট ফুঁকেন। তারপর ফ্রেস হয়ে ব্রেক ফাস্ট করে দোকানে যান। যাওয়ার পথে তার দুই ছেলে মেয়েকে স্কুলে নামিয়ে দেন। কিন্তু আজ যেহেতু রোজা তাই সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারেন নি। ফলে দোকানে যেতে ১২ টা বেজে যায়। রমজান মাসে সকালের চা না খেলে ঝিমুনি লেগেই থাকে চোখে। একটু ঘুম ঘুম পায় ও ক্লান্তি লাগে। তাছাড়া যত বেলা হয় ক্ষুধার জ্বালা বাড়তেই থাকে। ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এবং খিটখিটে মেজাজের কারণে সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।আজ পাজামা পাঞ্জাবি টুপি পড়েছেন তিনি। জোহরের আজান হলে নামাজ পড়তে যান। সুন্নত পড়া শেষ করে - ভাবতে লাগলেন - সামনে ঈদ, স্টাপ এর বেতন বোনাস দিতে হবে। মনে মনে হিসাব মিলাতে লাগল - ৫ জন কর্মচারীর বেতন ১ লক্ষ টাকা, বোনাস ৫০ হাজার টাকা। কি করে এই ৫০ হাজার বাঁচানো যায়। হঠাৎ করে বন্দী শয়তান তার মাথায় জেলখানা থেকে জ্বিন মারফত একটা বুদ্ধি প্রেরণ করল। যদি ২ জন কে ছাটাই করা যায় তাহলে ৫০ হাজার বেতন দিতে হবেনা। এতে বোনাসের টাকা রিকভারি হবে। আর বাকি ৩ জনকে দিয়ে কাজ সব করিয়ে নেয়া যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। জামাতে নামাজ আদায় করে দোকানে গিয়ে ২ জন এর চাকুরী নট। এবং একটু হালকা অনুভব করলেন। প্রথম রোজায় পরিবারের সাথে ইফতার করবেন তাই ২০০০ টাকার বাজার করলেন যাওয়ার পথে। ২ জনের চাকুরী খেয়ে ফেলার ফলে বোনাস এর টাকা বেচে যাওয়ার খুশিতে তিনি কোরান বের করলেন। নিয়্যাত করলেন ১ খতম কুরআন পড়বেন। ঐদিকে যাদের চাকুরী গেসে তাদের কান্নায় আল্লাহর পবিত্র আরশ কেঁপে কেঁপে উঠছিল। কিভাবে পুরা মাস চলবে? কই পাবে হঠাৎ করে চাকুরী? ঈদ তো দুরের কথা পরিবারের মুখে ইফতারি টুকু তুলে দিতে পারবেনা এই দু:খে দুইজনের একজন হতাশা আর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে রোজা ভেঙ্গে দিল। আরেকজন রোজা না ভাংলেও ভাগ্যকে গালি দিতে লাগল।
২)
একজন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড র্যাম্প ও ফ্যাশন মডেল এবং ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তার নামটা উহ্য রাখি। কারণ সে এগুলো কাউকে জানাতে চায়না। তার ঘনিষ্ঠ জনেরা শুধু জানে। সকাল ৮ টা থেকে শ্যুটিং। তাই সে সেহেরি না খেয়েই রোজা রাখছে। শুধু ফজরের আগে ১ গ্লাস পানি খেয়েছে। ৭ টাই বের হয়েছে। রোজা উপলক্ষে রাস্তা ফাঁকা। গতরাতে সে ফেসবুকে এই পোস্টটি দেখে।
তাই তার এসিস্ট্যান্ট কে দিয়ে, বেশ কিছু বিস্কিট, রুটি, বান কিনছে। পথে যেতে যেতে যত কুকুর দেখছে সবগুলোকে বিস্কিট বান রুটি খাওয়াইছে। শুটিং এর মাঝখানে সে নামাজ পড়েছে। আমাদের পরিবারের মেয়েরা যেভাবে সবাইকে ইফতারি সার্ভ করে ঠিক সেভাবে সে শ্যুটিং স্পষ্ট এর সবাইকে ইফতারি সার্ভ করছে। প্রোডাকশন বয় থেকে শুরু করে নাটকের ডিরেক্টর সবাইকে একই টেবিলে বসিয়ে ইফতারি সার্ভ করছে সে। দেখে মনে হবে যেন একটি পরিবার ইফতার করছে। তার প্রিয় বন্ধু বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ফ্যাশন মডেল আমাদের সাকিব আল হাসানের এক্স গার্ল ফ্রেন্ড হিসেবে পরিচিত মিথিলার সাথে অনেক আগেই প্ল্যান করে রেখেছে রমজানে শ্যুটিং থেকে যা ইনকাম হবে সব দিয়ে দিনে মাস জুড়ে রাস্তার সব ক্ষুধার্ত কুকুরদের ও গরীবদের ইফতার ও সেহেরি খাওয়াবে। এরা দুই বান্ধবী ইফতার পার্টি করে কিছু গরীব এতিম মিসকিন কে খাওয়ায়। ওরা ফতুয়া দিল ইফতার পার্টি ইসলামে না জায়েজ। আচ্ছা কিছু লোক এক স্থানে এসে কিছু দোয়া দরুদ পড়েন। একসাথে ইফতার করেন। এটা কোন যুক্তিতে নাজায়েজ হবে একটু বলবেন? অহেতুক অমানবিক ভাবে খাবারের দোকান বন্ধ রাখে। যে রোজা রাখেনা তাকে খাবারের দোকান বন্ধ করে কি রোজা রাখানো যাবে?
আরও বড়ই আচানক এবং আফসোস এর বিষয় কি জানেন? এই দুই মেয়ের নামাজ রোজা দান এগুলো কবুল হবেনা। কারণ তারা যে পেশার সাথে জড়িত সেটা হারাম। ৯০% মুসলমান এর এই দেশে জালেম আসলাম খুবই সম্মানিত আর মিথিলাদের কপালে জুটে ঝাটার বাড়ি। নষ্টা, পতিতা, মক্ষীরানি, বেশ্যা এমন কোন নোংরা তকমা নেই তাদের দেয়া হয়না। এদের একটাই অপরাধ এরা শিল্পী।
ছবিটি মিথিলার। বলিউড নায়িকাদের মতো লাগে? একজন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন মডেল তার মতোই ড্রেস আপ করবে।সে নিশ্চয় হিজাব পরবেনা। সে পৃথিবী জুড়ে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে অথচ এমন কোন অসম্মান জনক কটুক্তি নেই যে এই দেশের মুসলমানরা ওরে করেনা।যে দেশে গুণীর কদর নেই, শুধু সাম্প্রদায়িক আর ধর্মান্ধ দের আধিপত্য সে দেশ সভ্য দেশ হবে কিভাবে?
বিশ্বাস করুন ৫ বছর আগেও এইদেশে দেশে এত সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ছিল না। যেই না ধর্মীয় গুরু পন্ডিত সাধুরা হুজুর গণ ইউটুব ও ফেবুতে ওয়াজ করা শুরু করল তখন ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রদায়িকতা মহামারী আকার ধারণ করছেন। একজন ব্লগার পোস্ট দিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি?
আমার উত্তর: সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও দারিদ্রতা।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলেই আফসোস এর বিষয়।
২| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৯
আরইউ বলেছেন:
আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি ধর্ম মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়; কে স্বর্গে যাবে আর কে নরকে তা নিয়ে কথা বলার আমি কেউ নই। ইশ্বর যদি থেকে থাকেন তাহলে উনি তার সৃষ্টির মনে কী আছে তা ভালো করেই জানেন। যে যার মত ধর্ম তার পালন করুক— অন্যে কী ভাবলো তা নিয়ে ভাবার বা এক্সটারনাল ভ্যালিডেসনের কী দরকার?
আপনার লাস্ট প্যারার সাথে যোগ করবোঃ ৫ বছর নয়, আরো আগে শুরু হয়েছে, অনেক আগে।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমরা তো ভাইয়া বাঙালি। অন্যের ব্যক্তিগত লাইফ স্টাইল নিয়ে নাক গলানো আমাদের ৮০% এর স্বভাব। ১০ বছর হবে সম্ভবত। তবে করুনার সময় ও মিজানুর রহমান আজহারী এর আবির্ভাব এর পর থেকে একেবারে বেশি।
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৪৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইসলাম মূলত ব্যক্তিগত ধর্ম।
অন্তত ইসলামী কিতাবগুলো সেভাবেই বলে।
শেষ বিচারের দিনে গোত্রগতভাবে কোন বিচার হবে না। প্রতিটি মানুষের ইন্ডিভিজুয়ালি বিচার হবে। কেয়ামতের পর কেউ কাউকে চিনবে না, পুলসেরা তো পার হবে একাই, পরিবারের কেউ থাকবে না
প্রতিটা মানুষের পাপ পূণ্য আলাদা, সেজন্য প্রতি জনের জন্য দুটি করে ফেরেশতা আছে কাঁধে। গোষ্ঠীগত পাপের জন্য বা গোষ্ঠী প্রধানের কারণে অন্যের ব্যক্তিগত পাপ গণ্য হওয়ার কোন কারণ নেই।
বা অন্যের পাপের কারণে নিজের কোন গুনা হওয়ার কারণ নেই।
কিন্তু কিছু মানুষ নিজের পাপ বাদ দিয়ে অন্যের পাপের জন্য মহা চিন্তিত।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিন্তু কিছু মানুষ নিজের পাপ বাদ দিয়ে অন্যের পাপের জন্য মহা চিন্তিত।
এটা ভয়ংকর আকার ধারণ হচ্ছে।
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আগেও বাংলার মানুষ অসুখী ছিলো।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের আজন্ম কপাল পোঁড়া।
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০৯
ধুলো মেঘ বলেছেন: আপনার এই পোস্ট যদি জানার জন্য হয়, তাহলে বলি,
১। ইফতার পার্টির আয়োজন করা নাজায়েজ নয়, বরং সওয়াবের কাজ। কিন্তু আমাদের দেশের টিপিক্যাল ইফতার পার্টিগুলোতে রসনা বিলাস প্রদর্শনের মহরৎ চলে, যা স্পষ্টতই হারাম। কাজেই সওয়াবের কাজ মনে করে কেউ যদি নিষিদ্ধ ও গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়, সে তো স্পষ্ট মুনাফেকি। এগুলো বর্জন করে চলাই উচিত।
২। নামাজ রোজা - এগুলো মুসলিম মাত্রেরই ফরজ ইবাদত (অবশ্য কর্তব্য)। কাজেই কেউ যদি পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত থাকে, তার জন্যেও এগুলো ফরজ। কোন মেয়ে যদি পর্দা না করে, সে একটা ফরজ তরক করল। আর সে যদি নামাজ না পড়ে, তাহলে দুইটা ফরজ তরক করল। বরং আপনি এটা বলতে পারেন, যে মেয়ে পর্দা করে, কিন্তু নামাজ পড়েনা - সে কোন জাতের মুসলিমের মধ্যে পড়েনা। কিন্তু যে মেয়ে পর্দা করেনা, কিন্তু নামাজ পড়ে - সে এক ক্যাটেগরির মুসলিমের মধ্যে পড়ে।
ফ্যাশন মডেল যদি রোজা রাখে - সেই রোজা কবুল না হবার আমি কোন কারণ দেখিনা।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মন্তব্যের দুই নাম্বার পয়েন্ট খুবই চমৎকার। ১ নং পয়েন্টে আংশিক সহমত।
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
পুরানমানব বলেছেন: ''ধরি মাছ না ছুঁই পানি '' ,
লিখিবার জন্য একটা দর্শন প্রয়োজনীয়।
জনাব , আপনি দুইটা স্তবক লিখিলেন , প্রথম স্তবক বাস্তবের সহিত কোনো মিল পাওয়া গেলো না , নিতান্তই আপনার মনগড়া কাহিনী।
দ্বিতীয় স্তবকখানি পড়িয়া মনে হইলো উহাদের ইফতার পার্টি শুধুমাত্র বিনোদন পার্টি ছাড়া আর কিছুই নহে।
আপনি অযথা লেখার ভেতরে নামাজ, কোরান আর রোজা টানিয়া আনিয়া কি যে জাহির করিলেন ,আপনি নিজেও বুঝিয়েছেন বলে মনে হইলো না।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হতাৎ নতুন নিক কেন?
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা ১৮্+ হবে না।
সুন্দর ছবি।
১৩ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নীল আকাশ ও চ্যালা চেমেন্ডা দের অফিস থেকে ব্লগিং করতে সমস্যা হয়। তার উপর রমজান মাস। হুজুররা হাঙামা করার সম্ভাবনা আছে।
৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অনেক আগের বাংলা-
তারপরের পূর্ব বাংলা -
তারপরের পূর্ব পাকিস্তান-
অবশেষে বাংলাদেশ ।
এই অঞ্চলের মানুষ কি আদৌ কখনো সুখী ছিল???
১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি নাকি ইসলাম বিরোধী ঘটনা কি সত্য?
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই আফসোস!