![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম প্রথমেই বলে কিছু বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে । তারপর বলে যাচাই করতে । অবিশ্বাসীরা প্রথমেই প্রশ্ন তোলে যাকে দেখাই যায় না তাকে বিশ্বাস করব কেন ?? কিন্তু একটা জিনিস হয়তো তারা বোঝে না বিশ্বাস এমনি এমনি জন্মায় না, বিশ্বাসের জন্য এমন কিছু উপাদান উপস্থিত হওয়া লাগে যার দ্বারা বিশ্বাস করা যায় । আপনি আপনার বন্ধুদের বিশ্বাস করেন ?? সবাই বিশ্বাসী এই প্রমাণ তারা দিয়েছে ?? না হয়তো , তবে তাদের কার্যকলাপ আপনাকে বিশ্বাসী ভাবতে সহায়তা করেছে । ইসলামে বিশ্বাসের জন্য এমন অনেক উপাদান আছে কিন্তু অবিশ্বাসীরা সেগুলো দেখে না , দেখতে চায় না । তবে ধর্মের ব্যাপারে তারা অবিশ্বাসী হলেও অনেক বিষয়ই আছে তারা যাচাই না করেও অবলীলায় বিশ্বাস করে ! তারা যে কপট সেটার প্রমাণ তাদের এই বিশ্বাস গুলোর দ্বারাই বোঝা যায় । প্রথম আলো বা নামী কোন পত্রিকার সংবাদ অথবা নামী কোন বিজ্ঞানীর পরীক্ষা তারা অবলীলায় বিশ্বাস করে কিন্তু সেগুলো তারা নিজে যাচাই করেনি । তবে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে বিশ্বাস করতে আমাদের অসুবিধা কোথায় ? সেই সময়ের শত্রুরাও মুহাম্মাদ (সাঃ) এর চরিত্রে মুগ্ধ ছিলেন কিন্তু এখন অবিশ্বাসীরা তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে ! কুরআন এমন অনেক বৈজ্ঞানিক সত্য তথ্য দিয়েছে যে সময় সে সময় সেগুলো কল্পনা করাও কঠিন ছিলো । এছাড়াও আরও অনেক ভবিষ্যৎ বাণী দিয়েছে যে গুলো পরবর্তীতে সত্য হয়েছে । মুহাম্মাদ (সাঃ) দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা যেকোন সময়ের যে কোন মানুষের জন্য উদাহরণ স্বরুপ । তাছাড়া তার প্রতিটি কাজই ছিলো মানুষের জন্য কল্যাণমুলক যা ঐতিহাসিক গণ এবং সে সময়ের মানুষজনও মেনে নিয়েছে । তার সিদ্ধান্তগুলো ছিলো বিচক্ষণ, তার মানবীয় গুণাবলি ছিলো অসাধারণ । তারপরও অবিশ্বসীরা তাকে পছন্দ করে না ! তাকে নানা আজেবাজে কথা বলে ! নিশ্চিত ভাবেই তারা কপট । তারা যদি তাদের কুযুক্তি দিয়েও তার দু-চারটা বিষয়ে আপত্তি তুলে বিজয়ী হয় তারপরও তার অন্য ভালো কাজগুলো তো আর বিলীন হয়ে যাবে না । তারা সেগুলো তো স্বীকার করতে পারতো কিন্তু তারা তা করে না কারণ তারা কপট । তারা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর , ডারউইন , অ্যরিস্টটল বা আরও অনেকের ভালো দিক দেখতে পায় যদিও তাদেরও অনেক বড় বড় ভুল ছিলো । তারা তাদের কে মহৎ ভাবে তাদের কাজের জন্য । কিন্তু মুহাম্মাদ (সাঃ) অসংখ্য ভালো কাজ থাকাও সত্তেও তারা তার ভালো কাজ খুঁজে পায় না ! কই আমরা তো তাদের ভালো কাজ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করি না ! নিশ্চিত ভাবেই তারা কপট । তারা ইসলাম কে তার ধর্মগ্রন্ত দ্বারা বিচার করে না (সে ক্ষমতা তাদের নাই) তারা বিচার করে আইএস কি করলো , আল কায়দা কি করলো সেটা দ্বারা ! তারা নিশ্চিত ভাবেই কপট । তারা নিজেদের পছন্দের জিনিসগুলোই সব জায়গায় দেখতে পছন্দ করে তাই নিজেদের অপছন্দের জিনিসগুলো না দেখেই তার সামলোচনা করতে থাকে । তারা রেফারেন্সের নামে ভগ্ন তথ্য উপস্থাপন করে । নিশ্চিত ভাবেই তারা কপট । আপনার আমার কিছু ভালো না লাগলে হয়তো বলতে পারি সেটা আমার ভালো লাগে না কিন্তু আপনি কখনোই বলতে পারেন না সেটা থাকা উচিত নয় । কিন্তু তারা পারে কারণ তারা কপট , তার বিদ্বেষী ! তারা বিশ্বাসী নয় অবিশ্বসীও নয়, তারা কপট , তারা বিদ্বেষী , তারা সংকীর্ণমনা ………
©somewhere in net ltd.