![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পত্রপত্রিকার খবরে দেখা যাচ্ছে, সদ্য প্রস্তাবিত নারী উন্নয়ন নীতিতে সরকার উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষকে সমান করতে চাচ্ছে। তা করা হলে কুরআনের সূরা নিসার আয়াত নম্বর ১১-এর নির্দেশিত বিধানের সরাসরি লঙ্ঘন করা হবে। অথচ এটি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। প্রকৃতপক্ষে ইসলামে পুত্রের চেয়ে কন্যার আর্থিক অধিকার এবং সুবিধা বেশি। নিচের বিশ্লেষণই তা প্রমাণ করবে।
আমার নিজের কথাই বলি। আমরা অনেক ভাই-বোন ছিলাম। আমার মরহুম আব্বার সমগ্র সম্পত্তির মূল্য আজকের বাজারদরে প্রায় ৯০ লাখ টাকা হবে। আমরা প্রত্যেক ভাই ১৫ লাখ টাকার উত্তরাধিকারী হয়েছিলাম এবং প্রত্যেক বোন সাড়ে সাত লাখ টাকার উত্তরাধিকারী হয়েছিল। অর্থাৎ আমার সুবিধা বোনের তুলনায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেশি ছিল। অন্য দিকে ইসলামি বিধান মোতাবেক (কুরআনে সূরা বাকারা, সূরা নিসা ও সূরা তালাক) আমাকে আমার স্ত্রী, পুত্র ও কন্যার ভরণপোষণ ব্যয় বহন করতে হয়েছে। আজকের মূল্যে তা অন্তত ৩০ হাজার টাকা মাসিক খরচ হবে। আমার স্ত্রী ৩০ বছর বিবাহিত জীবনের পর মারা যান। এ সময় আমাকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে ৩০ বছর ধরে ব্যয় করতে হয়েছিল, যার পরিমাণ (৩০,০০০কô১২কô৩০) এক কোটি আট লাখ টাকা।
এর পরও পিতা হিসেবে আমার কন্যার জন্য আমাকে অনেক খরচ করতে হয়। অন্য দিকে আমার বোনকে কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয়নি বোনের স্বামী, পুত্র বা কন্যার ভরণপোষণের জন্য। কেননা কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক তারা এর জন্য দায়িত্বশীল নয়। অর্থাৎ ভরণপোষণের ক্ষেত্রে যেখানে আমাকে এক কোটি আট লাখ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে, সেখানে এ পরিমাণ অর্থ আমার বোনকে ব্যয় করতে হয়নি। এ ক্ষেত্রে বোনের সুবিধা এক কোটি আট লাখ টাকা। যদি আমার সাড়ে সাত লাখ টাকা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অধিক সুবিধা বাদ দেয়া হয় তাহলে বোনের নিট সুবিধা হয় (১,০৮,০০,০০০-৭,৫০,০০০=১,০০,৫০,০০০/-) এক কোটি পঞ্চাশ হাজার টাকা। এ হিসাবে আমি মোহরানা ধরিনি। অসংখ্য ক্ষেত্রে হিসাব করে দেখেছি, সার্বিক আর্থিক সুবিধা ইসলামি বিধানে পুত্রের চেয়ে কন্যার বেশি।
পিতামাতার উত্তরাধিকার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমান। ভাইবোনরা, যে ক্ষেত্রে তারা উত্তরাধিকারী হয়ে থাকেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমান পান। এসব ক্ষেত্রেও সব শ্রেণীর পুরুষের আর্থিক দায়িত্ব নারীর চেয়ে একইভাবে বেশি।
হিসাব করে দেখেছি, আমেরিকার জনগণ যদি ইসলামি আইন অনুসরণ করে, তাহলে নারীরাই অধিক সুবিধা পাবে। সেখানে উত্তরাধিকার খুব সামান্যই পাওয়া যায়। কেননা বেশির ভাগ মানুষ ক্রেডিট কার্ডে চলে, তাদের সঞ্চয় নেই বা থাকলেও তা খুবই সামান্য ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে। সে দেশে মাসিক খরচ যদি মাত্র দুই হাজার ডলারও ধরি তাহলে ৩০ বছরের বিবাহিত জীবনে ইসলামি আইন মোতাবেক নারীর সুবিধা হবে (২০০০কô১২কô৩০) ৭,২০,০০০ ডলার (বাংলাদেশী টাকায় ৭,২০,০০০কô৭০=৫,০৪,০০,০০০/- (পাঁচ কোটি চার লাখ টাকা)।
এ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আশা করি এ কথা স্পষ্ট হয়েছে যে, পুরুষ ও নারীর আর্থিক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ইসলাম মূলত নারীদের অধিক সুবিধা দিয়েছে। তাই উত্তরাধিকার আইন বদলের যেকোনো প্রচেষ্টা অপ্রয়োজনীয়। তদুপরি ৯০ ভাগ মুসলিম অধিবাসীর বাংলাদেশে এ ধরনের সরাসরি কুরআন-বিরোধী বিধান প্রবর্তন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। দেশে উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করি, যেন তারা এ উদ্যোগ থেকে সরে আসেন। নারীদের সব ধরনের অধিকার দেয়া হোক, তাদের অধিকার যাতে তারা সত্যিকার অর্থেই পায় এবং কেবল কথায় যাতে তা সীমাবদ্ধ না থাকে, তার জন্য ব্যবস্খা নিন। কিন্তু সরাসরি কুরআন ও ধর্মের সাথে সংঘর্ষশীল ব্যবস্খা নেবেন না। এসব বিধান ভালো করে কার্যকরও হয় না। যেসব আইনের পেছনে নৈতিকতার সমর্থন রয়েছে, ধর্মের সমর্থন রয়েছে, সেগুলো বেশি কার্যকর হয়। ধর্মবিরোধী আইন কখনোই সত্যিকার অর্থে কার্যকর হয় না। কেননা আইনের পেছনে দরকার নৈতিক ভিত্তি।
লেখক : শাহ আব্দুল হান্নান
সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার
*.*.*.*
ইসলামের উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর করার প্রচেষ্টা সম্পদে বোনের অধিকার ভাইয়ের অর্ধেক
আমাদের আজকের লেখায় ইসলামী উত্তারাধিকার আইনের বর্ণনা দেয়া উদ্দেশ্য নয়। এনিয়ে ইসলামী আইনবিদদের লেখা শত শত ভলিউম লেখা আছে । যে কেউ সেগুলো পড়তে পারেন। বরং, আমাদের আজকের লেখার শুরুতে বলব, এই আইনগুলো কে, কেন দিয়েছেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। এগুলো মানলে কি লাভ ও না মানলে কি ক্ষতি হবে তাও উল্লেখ করব। পরিশেষে আমরা এই আইনগুলো প্রয়োগের সময় রাসুলুল্লাহ সা: ও সাহাবীদের রা: কর্তৃক গৃহিত কিছু মৌলিক দিকনির্দেশনা এবং বাস্তবের বিভিন্ন সমস্যায় কি ভাবে আল-কোরআনের নিয়মাবলী প্রয়োগ করা হয়েছে সেগুলোর কিছু উদাহরণ উল্লেখ করব। ইনশাল্লাহ।
► ইসলামী উত্তারাধিকার আইন : সুরা নিসা◄
→ নিসা ৭ : পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে; অল্প হোক কিংবা বেশী। এ অংশ (আল্লাহর পক্ষ থেকে) নির্ধারিত।
আয়াতে সুস্পষ্টভাবে পাঁচটি আইনগত নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক, মীরাস কেবল পুরুষদের নয়, মেয়েদেরও অধিকার।
দুই, যত কমই হোক না কেন মীরাস অবশ্যি বন্টিত হতে হবে। এমন কি মৃত ব্যক্তি যদি এক গজ কাপড় রেখে গিয়ে থাকে এবং তার দশজন ওয়ারিস থাকে, তাহলেও তা ওয়ারিসদের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। একজন ওয়ারিস অন্যজনের থেকে যদি তার অংশ কিনে নেয় তাহলে তা আলাদা কথা।
তিন, এ আয়াত থেকে একথাও সুস্পষ্ট হয়েছে যে, মীরাসের বিধান স্থাবর-অস্থাবর, কৃষি-শিল্প বা অন্য যে কোন ধরনের সম্পত্তি হোক না কেন সব ক্ষেত্রে জারী হবে।
চার, এ থেকে জানা যায় যে, মীরাসের অধিকার তখনই সৃষ্টি হয় যখন মৃত ব্যক্তি কোন সম্পদ রেখে মারা যায়।
পাঁচ, এ থেকে এ বিধানও নির্দিষ্ট হয় যে, নিকটতম আত্মীয়ের উপস্থিতিতে দূরতম আত্মীয় মীরাস লাভ করবে না।
→ নিসা ৮ : সম্পত্তি বন্টনের সময় যখন আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও মিসকীন উপস্খিত হয়, তখন তা থেকে তাদের কিছু দিয়ে দাও এবং তাদের সাথে কিছু সদালাপ করো।
এখানে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছেঃ মীরাস বন্টনের সময় নিকট ও দূরের আত্মীয়রা, নিজের গোত্রের ও পরিবারের গরীব মিসিকন লোকরা এবং এতিম ছেলেমেয়ে যারা সেখানে উপস্থিত থাকে, তাদের সাথে হৃদয়হীন ব্যবহার করো না। শরীয়াতের বিধান মতে মীরাসে তাদের অংশ নেই ঠিকই কিন্তু একটু ঔদার্যের পরিচয় দিয়ে পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে তাদেরকেও কিছু দিয়ে দাও। সাধারণভাবে এহেন অবস্থায় সংকীর্ণমনা লোকরা যে ধরনের হৃদয়বিদারক আচরণ করে ও নির্মম কথাবার্তা বলে,তাদের সাথে তেমনটি করো না।
→ নিসা ৯ : লোকদের একথা মনে করে ভয় করা উচিত যে, তারা যদি মরার সময় নিজেদের পশ্চাতে দুর্বল অক্ষম সন্তান-সন্ততি ছেড়ে যেত তাহলে তাদের জন্যে তারা কতই না আশঙ্কা করত। সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং ন্যায় সংগত কথা বলে।
→ *নিসা ১১ :
তোমাদের সন্তানদের ব্যাপারে আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেনঃ পুরুষদের অংশ দুজন মেয়ের সমান।
মীরাসের ব্যাপারে এটি প্রথম ও প্রধান মৌলিক বিধান যে, পুরুষদের অংশ হবে মেয়েদের দ্বিগুণ। যেহেতু পারিবারিক জীবন ক্ষেত্রে শরীয়াত পুরুষদের ওপর অর্থনেতিক দায়িত্বের বোঝা বেশী করে চাপিয়ে এবং অনেকগুলো অর্থনৈতিক দায়িত্ব থেকে মেয়েদেরকে মুক্তি দিয়েছে,তাই মীরাসের ব্যাপারে মেয়েদের অংশ পুরুষদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম রাখা হবে, এটিই ছিল ইনসাফের দাবী।
যদি (মৃতের ওয়ারিস) দুয়ের বেশী মেয়ে হয়, তাহলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দুভাগ তাদের দাও।
দু’টি মেয়ের ব্যাপারেও এই একই বিধান কার্যকর। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির যদি কোন পুত্রসন্তান না থাকে এবং সবগুলোই থাকে কন্যা সন্তান, কন্যাদের সংখ্যা দুই বা দু’য়ের বেশী হোক না কেন, তারা সমগ্র পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ পাবে। অবশিষ্ট তিনভাগের একভাগ অন্যান্য ওয়ারিসদের মধ্য বন্টন করা হবে। কিন্তু যদি মৃত ব্যক্তির শুধুমাত্র একটি পুত্র থাকে, তাহলে এ ব্যাপারে ইজমা অনুষ্ঠিত হয়েছে অর্থাৎ ফিকাহবিদগণ সবাই এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, অন্যান্য ওয়ারিসদের অনুপস্থিতিতে সে-ই সমস্ত সম্পত্তির ওয়ারিস হবে। আর যদি অন্যান্য ওয়ারিসরাও থাকে, তাহলে তাদের অংশ দিয়ে দেবার পর বাকি সমস্ত সম্পত্তিই সে পাবে।
আর যদি একটি মেয়ে ওয়ারিস হয়, তাহলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক তার। যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকে , তাহলে তার বাপ-মা প্রত্যেকে সম্পত্তির ছয় ভাগের একভাগ পাবে।
অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার বাপ-মা প্রত্যেকে ছয়ভাগের একভাগ পাবে। আর সন্তান যদি সবগুলোই হয় কন্যা বা সবগুলোই পুত্র অথবা পুত্র কন্যা উভয়ই হয় বা একটি পুত্র অথবা একটি কন্যা হয়, তাহলে বাকি তিনভাগের দু’ভাগে এ ওয়ারিসরা শরীক হবে।
আর যদি তার সন্তান না থাকে এবং বাপ-মা তার ওয়ারিস হয়, তাহলে মাকে তিন ভাগের একভাগ দিতে হবে ।
বাপ-মা ছাড়া যদি আর কেই ওয়ারিস না থাকে তাহলে বাকি তিনভাগের দু’ভাগ বাপ পাবে। অন্যথায় তিনভাগের দু’ভাগে বাপ ও অন্যান্য ওয়ারিসরা শরীক হবে।
যদি মৃতের ভাই-বোনও থাকে, তাহলে মা ছয় ভাগের একভাগ পাবে।
ভাই-বোন থাকলে মায়ের অংশ তিনভাগের এক ভাগের পরিবর্তে ছয় ভাগের একভাগ করে দেয়া হয়েছে। এভাবে মায়ের অংশ থেকে যে ছয় ভাগের এক ভাগ বের করে নেয়া হয়েছে তা বাপের অংশে দেয়া হবে। কেননা এ অবস্থায় বাপের দায়িত্ব বেড়ে যায়। মনে রাখতে হবে, মৃতের বাপ-মা জীবিত থাকলে তার ভাই-বোনরা কোন অংশ পাবে না।
(এ সমস্ত অংশ বের করতে হবে) মৃত ব্যক্তি যে অসিয়ত করে গেছে তা পূর্ণ করার এবং এ যে ঋণ রেখে গেছে তা আদায় করার পর।
অসিয়তের বিষয়টি ঋণের আগে উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এই যে, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ঋণ রেখে মারা যাওয়া কোন জরুরী বিষয় নয়। কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে অসিয়ত করা তার জন্য একান্ত জরুরী। তবে বিধানের গুরুত্বের দিক দিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এ ব্যাপারে একমত যে, ঋণের স্থান অসিয়তের চাইতে অগ্রবর্তী। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি ঋণ রেখে মারা যায়, তাহলে সর্বপ্রথম তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তি থেকে তা আদায় করা হবে, তারপর অসিয়ত পূর্ণ করা হবে এবং সবশেষে মীরাস বন্টন করা হবে। অসিয়ত সম্পর্কে সূরা বাকারার ১৮২ টীকায় আমি বলেছি, কোন ব্যক্তি তার সমগ্র সম্পত্তির তিন ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত অসিয়ত করতে পার। অসিয়তের এই নিয়ম প্রবর্তনের কারণ হচ্ছে এই যে, মীরাসী আইনের মাধ্যমে যেসব আত্মীয়-স্বজন পরিত্যক্ত সম্পত্তির কোন অংশ পায় না, এখান থেকে তাদের যাকে যে পরিমাণ সাহায্য দেবার প্রয়োজন উপলদ্ধি করা হয়, তা নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেমন কোন এতিম নাতি বা নাতনী রয়েছে। মৃত পুত্রের কোন বিধবা স্ত্রী কষ্টে জীবন যাপন করছে। অথবা কোন ভাই, বোন, ভাবী, ভাই-পো, ভাগিনে বা কোন আত্মীয় সাহায্য-সহায়তা লাভের মুখাপেক্ষী। এ ক্ষেত্রে অসিয়তের মাধ্যমে তাদের অন্য হকদারদের জন্য বা কোন জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পত্তির অংশ অসিয়ত করা যেত পারে। সারকথা হচ্ছে এই যে, সম্পদ-সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ বা তার চাইতে কিছু বেশী অংশের ওপর ইসলামী শরীয়াত মীরাসের আইন বলবৎ করেছে। শরীয়াতের মনোনীত ওয়ারিসদের মধ্যে তা বন্টন করা হবে। আর তিন ভাগের এক ভাগ বা তার চেয়ে কিছু কম অংশের বন্টনের দায়িত্বভার নিজের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। নিজের বিশেষ পারিবারিক অবস্থার প্রেক্ষিতে (যা বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়ে থাকে) সে যেভাবে সংগত মনে করবে বন্টন করার জন্য অসিয়ত করে যাবে। তারপর কোন ব্যক্তি যদি তার অসিয়তে জুলুম করে অথবা অন্য কথায় নিজের ইখতিয়ারকে এমন ত্রুটিপূর্ণভাবে ব্যবহার করে যার ফলে কারো বৈধ অধিকার প্রভাবিত হয়, তাহলে এর মীমাংসার দায়িত্ব পরিবারের লোকদের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। তারা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে এ ত্রুটি সংশোধন করে নেবে অথবা ইসলামী আদালতের কাযীর কাছে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানাবে এবং তিনি অসিয়তের ত্রুটি দূর করে দেবেন।
তোমরা জানো না তোমাদের বাপ-মা ও তোমাদের সন্তানদের মধ্যে উপকারের দিক দিয়ে কে তোমাদের বেশী নিকটবর্তী । এসব অংশ আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন । আর আল্লাহ অবশ্যি সকল সত্য জানেন এবং সকল কল্যাণময় ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন।
মীরাসে আল্লাহ প্রদত্ত আইনের গভীর তত্ত্ব উপলব্ধি করতে যারা সক্ষম নয়, এ ব্যাপারে যাদের জ্ঞান অজ্ঞতার পর্যায়ভুক্ত এবং যারা নিজেদের অপরিপক্ক বুদ্ধির সাহায্যে (তাদের জ্ঞান অনুযায়ী) আল্লাহর এই আইনের ত্রুটি দূর করতে চায়,তাদেরকে এ জবাব দেয়া হয়েছে।
→ নিসা ১২ :
তোমাদের স্ত্রীরা যদি নিঃসন্তান হয়, তাহলে তারা যা কিছু ছেড়ে যায় তার অর্ধেক তোমরা পাবে। অন্যথায় তাদের সন্তান থাকলে যে অসিয়ত তারা করো গেছে তা পূর্ণ করার এবং যে ঋণ তারা রেখে গেছে তা আদায় করার পর পরিত্যক্ত সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ পাবে। অন্যথায় তোমাদের সন্তান থাকলে তোমাদের অসিয়ত পূর্ণ করার ও তোমাদের রেখে যাওয়া ঋণ আদায় করার পর তারা সম্পত্তির আট ভাগের একভাগ পাবে।
অর্থাৎ একজন স্ত্রী হোক বা একাধিক তাদের যদি সন্তান থাকে তাহলে তারা আট ভাগের একভাগ এবং সন্তান না থাকলে চার ভাগের এক ভাগ পাবে। আর এ চার ভাগের এক ভাগ বা আট ভাগের একভাগ সকল স্ত্রীর মধ্যে সমানভাবে বন্টিত হবে।
আর যদি পুরুষ বা স্ত্রীলোকের ( যার মীরাস বন্টন হবে) সন্তান না থাকে এবং বাপ-মাও জীবিত না থাকে কিন্তু এক ভাই বা এক বোন থাকে, তাহলে ভাই ও বোন প্রত্যেকেই ছয় ভাগের এক ভাগ পাবে। তবে ভাই-বোন একজনের বেশী হলে সমগ্র পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের একভাগে তারা সবাই শরীক হবে,
অবশিষ্ট ছয় ভাগের পাঁচ ভাগ বা তিন ভাগের দু’ভাগ থেকে অন্য কোন ওয়ারিস থাকলে তার অংশ পাবে। অন্যথায় অবশিষ্ট ঐ সমস্ত সম্পত্তি ঐ ব্যক্তি অসিয়ত করতে পারবে। এ আয়াতের ব্যাপারে মুফাস্সিরগণের ‘ইজমা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে যে, এখানে মা-শরীক ভাই-বোনর কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মৃতের সাথে তার আত্মীয়তা কেবলমাত্র মায়ের দিক থেকে এবং তাদের বাপ আলাদা। আর সহোদর এবং বৈমাত্রের ভাই-বোনের ব্যাপারে, মৃতের সাথে বাপের দিক থেকে যাদের আত্মীয়তা, তাদের সম্পর্কিত বিধান এ সূরার শেষের দিকে বিবৃত হয়েছে।
যে অসিয়ত করা হয়েছে তা পূর্ণ করার এবং যে ঋণ মৃত ব্যক্তি রেখে গেছে তা আদায় করার পর যদি তা ক্ষতিকর না হয় ।
অসিয়ত যদি এমনভাবে করা হয় যে,তার মাধ্যমে হকদার আত্মীয়দের হক নষ্ট হয়, তাহলে এ ধরনের অসিয়ত হয় ক্ষতিকর। আর নিছক হকদারদেরকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি যখন অনর্থক নিজের ওপর এমন কোন ঋণের স্বীকৃতি দেয়, যা সে প্রকৃতপক্ষে নেয়নি, অথবা হকদারকে মীরাস থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে এমনি কোন কূটচাল চালে, সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ঋণও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের ক্ষতিকারক বিষয়কে কবীরা গোনাহ গণ্য করা হয়েছে। তাই হাদীসে বলা হয়েছে, অসিয়তের ক্ষেত্রে অন্যকে ক্ষতি করার প্রবণতা বড় গোনাহের অন্তরভূক্ত। অন্য একটি হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষ তার সারা জীবন জান্নাতবাসীদের মতো কাজ করতে থাকে কিন্তু মারার সময় অসিয়তের ক্ষেত্রে অন্যের ক্ষতি করার ব্যবস্থা করে নিজের জীবনের আমলনামাকে এমন কাজের মাধ্যমে শেষ করে যায়, যা তাকে জাহান্নামের অধিকারী করে দেয়। এ ক্ষতি করার প্রবণতা ও অন্যের অধিকার হরণ যদিও সর্বাবস্থায় গোনাহ তবুও ‘কালালাহ’-এর (যে নিসন্তান ব্যক্তির বাপ-মাও জীবিত নেই) ব্যাপারে মহান আল্লাহ বিশেষ করে এর উল্লেখ এ জন্য করেছেন যে, যে ব্যক্তির সন্তানাদি নেই আবার বাপ-মাও জীবিত নেই, তার মধ্যে সাধারণত নিজের সম্পদ-সম্পত্তি নষ্ট করার প্রবণতা কোন না কোনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে এবং সে দূরবর্তী আত্মীয়দেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা চালায়।
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ, আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বদর্শী ও সহিষ্ণু।
আল্লাহর জ্ঞানের কথা উচ্চারণ করার পেছনে এখানে দু’টি কারণ রয়েছে। এক, যদি এ আইন ও বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করা হয় তাহলে মানুষ আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচতে পারবে না। দুই, আল্লাহ যে অংশ যেভাবে নির্ধারণ করেছেন তা একেবারেই নির্ভুল। কারণ যে বিষয়ে মানুষের কল্যাণ ও সুবিধা তা মানুষের চেয়ে আল্লাহ ভালো জানেন। এই সংগে আল্লাহর ধৈয্য ও সহিষ্ণুতা গুনের কথা বলার কারণ হচ্ছে এই যে, এ আইন প্রবর্তনের ব্যাপারে আল্লাহ কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। বরং তিনি এমন নীতি-নিয়ম প্রবর্তন করেছেন যা মেনে চলা মানুষের জন্য অত্যন্ত সহজ এবং এর ফলে মানুষ কোন কষ্ট, অভাব ও সংকীর্ণতার মুখোমুখি হবে না।
→ নিসা ১৩-১৪ : এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য| যে কেউ আল্লাহ্ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।
→ নিসা ১৭৬ : লোকেরা তোমার কাছে পিতা-মাতাহীন নিসন্তান ব্যক্তির *২২০ ব্যাপারে ফতোয়া জিজ্ঞেস করছে। বলে দাও, আল্লাহ তোমাদের ফতোয়া দিচ্ছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি নিসন্তান মারা যায় এবং তার একটি বোন থাকে, *২২১ তাহলে সে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ পাবে। আর যদি বোন নিসন্তান মারা যায় তাহলে ভাই হবে তার ওয়ারিস। *২২২ দুই বোন যদি মৃতের ওয়ারিস হয়, তাহলে তারা পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশের হকদার হবে, *২২৩ আর যদি কয়েকজন ভাই ও বোন হয় তাহলে মেয়েদের একভাগ ও পুরুষের দুইভাগ হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট বিধান বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা বিভ্রান্ত না হও এবং আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে জানেন।
২২০)মূল বাক্যে কালালা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ‘কালালা’ শব্দের অর্থের ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। কারো কারো মতো কালালা হচ্ছে এমন এক ব্যক্তি যার সন্তান নেই এবং যার বাপ-দাদাও বেঁচে নেই। আবার অন্যদের মতে যে ব্যক্তি নিছক নিসন্তান অবস্থায় মারা যায় তাকে কালালা বলা হয়। হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু শেষ সময় পর্যন্ত এ ব্যাপারে দ্বিধান্বিত ছিলেন। কিন্তু হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতে প্রথমোক্ত লোকটিকেই কালালা বলা হয়। সাধারণ ফকীহগণ তাঁর এই মত সমর্থন করেছেন। কুরআন থেকেও এই মতেরই সমর্থন পাওয়া যায়। কারণ কুরআন কালালার বোনকে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেকের মালিক বানানো হয়েছে। অথচ কালার বাপ বেঁচে থাকলে বোন সম্পত্তির কিছুই পায় না।
২২১)এখানে এমন সব ভাইবোনের মীরাসের কথা বলা হচ্ছে যারা মৃতের সাথে মা ও বাপ উভয় দিক দিয়ে অথবা শুধুমাত্র বাপের দিক দিয়ে শীরক। হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার তাঁর এক ভাষণে এই অর্থের ব্যাখ্যা করেছিলেন। কোন সাহাবা তাঁর এই ব্যাখ্যার সাথে মতবিরোধ করেননি। ফলে এটি একটি সর্বসম্মত মতে পরিণত হয়েছে।
২২২)অর্থাৎ ভাই তার সমস্ত সম্পদের ওয়ারিশ হবে, যদি কোন নির্দিষ্ট অংশের অন্য কোন অধিকারী না থেকে থাকে। আর যদি নির্দিষ্ট অংশের অন্য কোন অধিকারী থাকে-যেমন স্বামী তাহলে প্রথমে তার অংশ আদায় করার পর অবশিষ্ট পরিত্যক্ত সম্পত্তি ভাই পাবে।
২২৩)দু’য়ের বেশী বোন হলে তাদের সম্পর্কেও এই একই বিধান কার্যকর হবে।
এখানে যা বলা হয়েছে তা সংক্ষেপে
১. মীরাসে আল্লাহ প্রদত্ত আইনের গভীর তত্ত্ব যারা জানতে সক্ষম নয়, এব্যাপারে যাদের জ্ঞান অজ্ঞতার পর্যায়ভূক্ত, এবং যারা অপরিপক্ষ বুদ্ধি দিয়ে আল্লাহর আইনের ত্রুটি (!) দূর করতে চায়, তাদের কে যাবধান করা হয়েছে।
২. আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণকারীরা আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পাবে না।
৩. আল্লাহ যে নিয়মাবলী বর্ণনা করেছেন তা একেবারে নির্ভূল।
৪. তিনি কঠোরতা অবলম্বন করেন নি, যেসব আইন তিনি দিয়েছেন সেগুলো মানা মানুষের জন্য সহজ।
৫. আল্লাহর বিধান মান্য কারীদের জন্য জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে।
http://www.facebook.com/tafhimul
Click This Link
২| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫
মামুন আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
ফাহিম আহমদ বলেছেন: এক্সিলেন্ট লেখা অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখকসহ আপানকে।
কত স্পষ্ট করে বর্ণনা করে দিলেন। কিন্তু এই কথাটি হারামি সরকার বুঝতে চায়না কেন?
এখন আপনার পোষ্টে নাস্তিক ভাদারা ঝাপিয়ে পড়বে সন্দেহে নেই।
৪| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
কাজিম কামাল বলেছেন: ++++++++++++++++++++++
৫| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯
ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: আইন ঠিকই আছে। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান। আর কতকাল ১৪০০ বছরের পুরানা জঞ্জাল ঘাটবেন। আপনার কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে আপনি গুহাবাসী সমাজে বাস করেন। সভ্য সমাজের বাসিন্দা হোন। সবকিছু কোরাণের মত হতে হবে কেন? কোরাণ যে সত্য তার প্রমাণ কি? (দয়া করে যৌক্তিক প্রমাণ দিবেন। আল্লা বলসে কোরান সত্য, তাই কোরান সত্য ----এই ধরণের ভাঁড়সুলভ প্রমাণ দেবেন না)।
১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫
নীল-গোলাপ বলেছেন: তোমাকে গদাম
৬| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
কিশোর সাইফ বলেছেন: ঠোট কাটা তুই নিপাত যা
তুই কিন্তু সিমা লঙ্গন করতাছস
বেশি বাড়াবারি করিসনা
ভাল হবে না কিন্তু
৭| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:১০
সত্যাশ্রয়ী বলেছেন: ভাই আগে কন হেডিং এর দুই পাশে ঐ তীর চিহ্ন দুইডা ক্যাম্নে বানাইলেন?
৮| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:১৬
অনিন্দিতা_একা বলেছেন: আর্থিক দায়িত্ত !! এই ধারনার পরিবর্ত্ন ঘটেছে এবং এটি একটি চলমান ঘটনা। আর্থিক দায়িত্ত ১০০২০০ বছর আগে হয়ত কেবল মাত্র পুরুষের ছিল... আজকের দিনের ঘটনা ভিন্ন। অনেক পরিবারের আয় এর মূল উতস একটি নারী... ব্যাপার গুলো খেয়ালে রাখবেন আশাকরি...
৯| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:২৩
অিপ্রয়ংবদা বলেছেন: এখনকার সময়ে মহান হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় কুরআনের বিরোধিতা করা। ঠোট কাটা মনে হয় সে পথটিই গ্রহন করতে চান। সাহস থাকলে আপনি প্রমান করুন কুরআন কিভাবে মিথ্যা ?
১০| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৩০
মাহমূদ হাসান বলেছেন: সোজা প্রিয়তে.........! জাযাকাল্লাহ!
১১| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৩৯
kiron বলেছেন: Gajakhuri golpo amar bisal pochonder bisoy.
১২| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭
পুংটা বলেছেন: 1ta kotha jante chai... jodi kono sami, 4ta nabalok sontan ar 1ta bow rekhe, bibaher 12 bosor por mara jai.... taile oi mohilake dekbe ke...?
১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩
েছাট বালক বলেছেন: kader k key kon area andho
১৪| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩
শেষের_কবিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭
অনিন্দিতা_একা বলেছেন: পুংটা বলেছেন: 1ta kotha jante chai... jodi kono sami, 4ta nabalok sontan ar 1ta bow rekhe, bibaher 12 bosor por mara jai.... taile oi mohilake dekbe ke...?
১৬| ১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:১৩
খালিদ ভাইরাস বলেছেন: ঠোঁট কাটা বন্ধু , তুই বলেছিস = সবকিছু কোরাণের মত হতে হবে কেন? কোরাণ যে সত্য তার প্রমাণ কি? দয়া করে যৌক্তিক প্রমাণ দিবেন।
তোর কছে আমি জানতে চাই, তুই যাকে বাবা ডাকিস আসলেই কি সে তোর বাবা, প্রমাণ কি ??? এই ব্লগে তুই প্রমাণ দিয়ে যাবি, যদি প্রমাণ দিতে না পারিস তাহলে এই ব্লগের সবাই তোর মুখে হিসু করি................
১৭| ১০ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬
ছেরা বলেছেন: অসাধারণ।সবার এই আরটিকেল টা ভালভাবে পড়া দরকার।
১৮| ১০ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩১
জেমসবন্ড বলেছেন:
ধন্যবাদ লেখার জন্য ।
১৯| ১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৫৬
রায়হান রাহী বলেছেন: অসাধারণ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। ধন্যবাদ
২০| ১০ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:১৪
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: আচ্ছা স্যার একটা ব্যাপারে জানার আগ্রহ ছিল। আপনি তো এখানে টাকার অংকে অনেক কিছুর হিসেব দিয়েছেন, এই প্রেক্ষিতে প্রশ্নটা করছি-
ধরুন আপনার স্ত্রী কোন কারণে অনুপস্থিত ছিল, সেক্ষেত্রে আপনার এই ৩০ বছর নিজের সংসার এর দেখভাল এবং সন্তানদের ভরণ পোষণের জন্য যদি একজন দায়িত্বশীল ব্যাক্তিকে মাসিক বেতন প্রদান এর শর্তে নিয়োগ করতেন, তাহলে তার বেতনের পরিমাণ কত ধার্য হওয়া উচিৎ?
আর উপরোক্ত নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যাক্তি কি আদৌ পারতেন আপনার স্ত্রীর মত মায়া মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে দায়িত্বটা পালন করতে?
এই অবৈতনিক দায়িত্বটার মুল্য কতটুকু বলে মনে করেন আপনি। আপনার মা/স্ত্রি/কন্যা না থাকলে ৩০ বছর কর্মক্ষম জীবন পার করতে পারতেন কি?
২১| ১২ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:১৮
চিরসবুজ মানব বলেছেন: @অনিন্দিতা_একা , আপনি বলেছেনঃ"আর্থিক দায়িত্ত ১০০২০০ বছর আগে হয়ত কেবল মাত্র পুরুষের ছিল... আজকের দিনের ঘটনা ভিন্ন"।
সমাজ বদলের প্রেক্ষাপটে নারীর অবস্থান পাল্টেছে, কিন্তু মানসিকতা পাল্টায়নি।
মাসের শেষে আয়লব্দ বেতনের টাকা- স্বামীর সংসারে খরচের চেয়ে তারা ব্যাঙ্ক তথা সিন্ধুকে তুলে রাখতেই অধিকতর পছন্দ করেন।
যেসব পরিবারের আয়ের মূল উৎস নারী তাদের সংখ্যা হাতে গোনা, তবে অনেক নয়।
স্বাবলম্বী নারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে,কিন্তু কর্মোপযোগী নারীর সংখ্যা মোটেও বাড়ে নি।
আমি আমার কর্মক্ষেত্রে দেখেছি- নারীরা সদালাপী, বিনয়ী কিন্তু মোটেই কার্যক্ষম নয়।
অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে,তবে সংখ্যায় তারা অতি নগণ্য, সাধারণের মধ্যে ধর্তব্য নয়।
সমাজের বদলে যাওয়া অবিরাম। পুঁজিবাদী অর্থনীতির করাল গ্রাসে নিপতিত আমাদের এই সমাজ। আমরা কেউই এর ব্যতিক্রম নয়।
যতই জেঁকে বসছে মিলিয়ন ডলার বিজনেস ততই তৈরি হচ্ছে নানা বাহারী পণ্য, রকমারী ঘটনা। মানুষ অস্থির হয়ে পড়ছে বৈধ-অবৈধ নানা উপায়ে টাকা উপার্জনের জন্য।
এরকম একটা অস্থির মানুষদের অসুস্থ এ সমাজ ক্রমশ পড়ছে বিবাহ-বিচ্ছেদ,পরকীয়া, বিবাহপূর্ব কিংবা বিবাহোত্তর নানা জটিলতায়। যেমন বলা যেতে পারে ঃ প্রভা-অপূর্ব-রাজিব এর কাহিনী অথবা সাম্প্রতিক ফয়সাল- জয়া এর ডিভোর্স এর ঘটনা।
সবক্ষেত্রেই মেয়েরাই কিন্তু তালাক বা ডিভোর্স দিচ্ছে।
সুত্রঃ
http://amaderitaly.com/2010/10/13/1235.html
Click This Link
Click This Link
Click This Link
সত্যি বলতে কি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে! কিংবা বাক-স্বাধীনতার পূর্ণ অধিকার ভোগ করছে তারা।না কখনোই নয়। এক্টা চীনা রিপোট বলছেঃ আসলে মহিলাদের গড় আয় বেড়ে যাওয়াতে বিবাহ-বিচ্ছেদ,পরকীয়াসহ নানা ঝামেলা তৈরি হচ্ছে।তাই তারা চুংকিং প্রদেশে বন্ধ করে দিয়েছে ডিভোর্স প্রক্রিয়া, যদিও সেটা কোন সমাধান নয়।
সূত্রঃ Click This Link
আসলে কথা সেটা নয়, আমাদের একটি গ্রহনযোগ্য সমাধান দরকার, যেখানে মুফতি সংগঠন, ঠাকুর সংগঠন সহ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে একটি সুবিধাজনক সম্পত্তি বন্টন নীতিমালা থাকবে। আর এটি সবাই মেনে চলবে তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের অনুকূলে।
তাই যুগ-যুগান্তর ধরে আমাদের যে বিশ্বাস-প্রথা সেটা ও বিবেচনায় আনা অতি আবশ্যক।
তবে একতরফা ও বেপরোয়া সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমাজে নানা জটিলতার জন্ম দেবে।
২২| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪১
ইকারাস ইমন বলেছেন: সমান দিলে সমস্যা টা কোথায় বল দেখি ????
২৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২৯
সংবাদ বলেছেন: জ্ঞানহীন লোকেরাই শুধুবলে সমান অধিকারের কথা প্রকৃত পক্ষে ইসলামি উত্তরাধিকার আইনটা কার্যকর করলে বরং সবাই একবাক্যে মেনে নেবে জামেলা বাধার জন্য এসব আইন তৈরী করা হচ্ছে এই সব আইনের কোনো মা বাপ নাই ঐ খাতা আর কলমে থাকবে কত আইন এই পর্যন্ত তৈরী হল সব টাকার কাছে নস্যি বড় লোকের পকেটে থাকে আইন
২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৫২
অবাঞ্চিত বলেছেন: @চিরসবুজ মানব
যুগ যুগান্তর ধরে তো সতীদাহ প্রথা চালু ছিল, চলেন এখন সতীদাহ শুরু করে দেই, এইটাও তো বিবেচনাও আনতে হবে
২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
araddho বলেছেন: আমাকে এই ব্যপারটা বলুন, যুক্তি দিয়ে বোঝার জন্য প্রশ্নটা করছি । মেয়েরা ছেলেদের অর্ধেক পাবে এই যুক্তিতে যে মেয়েদেরকে সংসারের জন্য খরচ করতে হয় না এবং তারা স্বামীর কাছ থেকে ও সম্পত্তির ভাগ পায় । এখন ধরুন, বাবার মৃত্যুর পর এক ছেলে এবং দুই মেয়ের মধ্যে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বণ্টন করা হল । অর্থাৎ ছেলে ১/২, মেয়েরা প্রত্যেকে ১/৪ করে । এখন, মেয়েদের সংসারে দেখা গেল তারা নিজেরাই নিজ নিজ সংসারের দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তি । তাদের স্বামীরা কর্মক্ষম । স্বামীরা গরীব এবং স্বামীদের দিক থেকে তাদের কোন সম্পত্তি পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই । এক্ষেত্রে কি মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হল না ? ধন্যবাদ ।
আহসান কামরুল
২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩২
সরল মানুষ বলেছেন: প্রিয়তে
২৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:১৫
রিয়াদ-তাওহিদ বলেছেন: ভাল লেগেছে... আরো লিখতে থাকুন.....
২৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:০৪
মোহাম্মদ আনোয়ার বলেছেন: গুড পোস্ট
২৯| ২৭ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:০৪
ভদ্র বলেছেন: প্রশ্নসমূহের উত্তর দেননি কেন?
৩০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৩৩
তারেক শাহরিয়ার বলেছেন: ইস লামের উত্তরাধিকার আইনের মহত্ত বর্ণনা করসছেন কিন্তু আপ নি কি জানেন উত্ত রাধিকার আইনের বর্ণনা যে আয়াতে আছে সেখানে গানিতিক ভুল র ইয়েছে। এ ভুলের কারণে ইসলামের প্রথম দিকে যখন সম্পত্তি বণ্টনে সমস্যা হচ্ছিলো তখন খলিফা ওমর আইন সংশধন করেন। কিন্তু কোরানে ভুলটি এখনো আছে। আপনি গিয়ে দেখতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হল করান যদি আল্লাহর বানী হয় তাহলে আল্লাহ ভুল করেন কিভাবে? তিনি কি গণিত যানেননা? এধরনের ভুলত মোহাম্মদ করতে পারে যিনি পড়ালেখা তেমন জানতেন না তবে সুন্দর সুন্দর উপদেশ দিতে পারতেন।
ইসলামে যুদ্ধবন্দী নারীদের ধর্ষণ জায়েজ। কিন্তু কেন? আপনার দেশ যুদ্ধে হারলে আপনার মা বোনদের ধর্ষণ কে সমর্থন করবেন? আল্লাহ কি এধরনের আদেশ দিতে পারেন? দেখুন ( সুরা নিসা, আয়াত ২৪)
জানেন কুরানে অসংখ্য বৈজ্ঞানিক ভুল রয়েছে । বলা হয়েছে সূর্য নাকি সাগরের কাল পানিতে অস্ত যায়। (সুরা কাহাফ আয়াত ৮৬) কিন্তু সেসময়ের মানুষের মত আল্লাহর জ্ঞান এত কম ছিল কেন?
৩১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৬
তারেক শাহরিয়ার বলেছেন: ইসলামের উত্তরাধিকার আইনের মহত্ত বর্ণনা করছেন কিন্তু আপ নি কি জানেন উত্তরাধিকার আইনের বর্ণনা যে আয়াতে আছে সেখানে গানিতিক ভুল রয়েছে। এ ভুলের কারণে ইসলামের প্রথম দিকে যখন সম্পত্তি বণ্টনে সমস্যা হচ্ছিলো তখন খলিফা ওমর আইন সংশধন করেন। কিন্তু কোরানে ভুলটি এখনো আছে। আপনি গিয়ে দেখতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হল করান যদি আল্লাহর বানী হয় তাহলে আল্লাহ ভুল করেন কিভাবে? তিনি কি গণিত যানেননা? এধরনের ভুলত মোহাম্মদ করতে পারে যিনি পড়ালেখা তেমন জানতেন না তবে সুন্দর সুন্দর উপদেশ দিতে পারতেন।
ইসলামে যুদ্ধবন্দী নারীদের ধর্ষণ জায়েজ। কিন্তু কেন? আপনার দেশ যুদ্ধে হারলে আপনার মা বোনদের ধর্ষণ কে সমর্থন করবেন? আল্লাহ কি এধরনের আদেশ দিতে পারেন? দেখুন ( সুরা নিসা, আয়াত ২৪)
জানেন কুরানে অসংখ্য বৈজ্ঞানিক ভুল রয়েছে । বলা হয়েছে সূর্য নাকি সাগরের কাল পানিতে অস্ত যায়। (সুরা কাহাফ আয়াত ৮৬) কিন্তু সেসময়ের মানুষের মত আল্লাহর জ্ঞান এত কম ছিল কেন?
৩২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০০
সজীব আকিব বলেছেন: ইসলাম যদি বলে গু খেতে তাহলেই আপনারা পোস্ট দিতে শুরু করবেন গুয়ে কি কি ভিটামিন আছে। একটু মাথা খাটাও মিয়া। এভাবে আবুল হয়ে আর কত কাল।
৩৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪০
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: চিরসবুজ মানব বলেছেনঃ স্বাবলম্বী নারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে,কিন্তু কর্মোপযোগী নারীর সংখ্যা মোটেও বাড়ে নি।
আমি আমার কর্মক্ষেত্রে দেখেছি- নারীরা সদালাপী, বিনয়ী কিন্তু মোটেই কার্যক্ষম নয়।
আপনার সাথে ১০০% একমত। আমার প্রতিষ্ঠানে ধরেন কোন special situation এ যখন কোন পুরুষ subordinate কে দায়িত্ব দেয়া হয় তখন তার তরফ থেকে তা না করার অজুহাত আসার সম্ভাবনা যতটুকু মহিলা কর্মীদের তরফ থেকে তা না করার সম্ভাবনা অনেকগুন বেশি এবং এই ধরনের অনভিপ্রেত অজুহাত কোন team leader এর পছন্দ হওয়ার কথা না। সুতরাং team member হিসাবে পুরুষ কর্মী অনেক বেশি কাংক্ষিত।
কোন কাস্টমারের সাথে আমার মতের অমিল হতেই পারে, খানিকটা তর্ক বির্তক হতে পারে কিন্তু তর্ক বির্তকের কোন পর্যায়ে ধামব এটা আমাকে বুঝতে হবে। দুঃখের বিষয় আমার অনেক নারী সহকর্মীরা এটা বুঝেন না। পুরুষ কর্মীদের তুলনায় নারী কর্মীদেরকে আমার বেশ কলহপ্রবন মনে হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে এই হল মেয়েদের নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা।
৩৪| ২৮ শে জুন, ২০১২ সকাল ৮:৫৯
ঔপন্যাসিক সাঃ উঃ জাঃ মোহাম্মদ মোর্শেদুল কুতুব চৌধুরী মজনু বলেছেন: +++
৩৫| ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:১১
অদ্ভুত সেই_ছেলেটি বলেছেন: @ তারেক শাহরিয়ারঃ সূরা আন নিসা (আয়াত-২৪)
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।
এখানে কোথায় আপনি ধর্ষণ করার নির্দেশ খুজে পেলেন ?
সূরা কাহফ (আয়াত-৮৬)
حَتَّى إِذَا بَلَغَ مَغْرِبَ الشَّمْسِ وَجَدَهَا تَغْرُبُ فِي عَيْنٍ حَمِئَةٍ وَوَجَدَ عِندَهَا قَوْمًا قُلْنَا يَا ذَا الْقَرْنَيْنِ إِمَّا أَن تُعَذِّبَ وَإِمَّا أَن تَتَّخِذَ فِيهِمْ حُسْنًا
অবশেষে তিনি(যুলকারনাইন) যখন সুর্যের অস্তাচলে পৌছলেন; তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।
এর উত্তর দেবার আগে সূরা আদ দোখান (আয়াত-৫৮) র উদ্ধৃতি দেয়া প্রয়োজনঃ
فَإِنَّمَا يَسَّرْنَاهُ بِلِسَانِكَ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
আমি আপনার ভাষায় কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা স্মরণ রাখে।
এখন প্রশ্ন আপনার জন্য- আপনি কক্সেস বাজার বিচে দাড়িয়ে দেখলেন যে সূর্য ধিরে ধিরে আরও পশ্চিম দিকে চলে গেল। এবং এক সময় আপনার কাছে মনে হল সূর্যটা সাগরে ডুবে গেল। আপনি যদি পরে এ দৃশ্য কাউকে বর্ণনা করতে চান তবে তাকে কি বলবেন ?
বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা হয় আগামিকাল সূর্য অস্ত যাবে এত সময়ে। তাহলে তো আমাদের পরিচিত সব পত্রিকা ভুল বলছে। ওরা তো জানেই না যে সূর্য কখনও অস্ত যায় না। চলেন তারেক ভাই আমরা ওদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে আসি
যুলকারনাইন সূর্যাস্ত যেভাবে দেখেছিলেন মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন এ সেভাবেই বর্ণনা করেছেন।
আপনার প্রথম সমস্যার সমাধান আমি নতুন করে দিব না কারন আমি ইতিমধ্যেই ওটা দিয়ে দিয়েছি চাইলে খুজে বের করুন আর না পেলে তেনা পেচাতে থাকেন আপনার যা মর্জি।
আমার এই comment করার উদ্দেশ্য ৫ ভাগ আপনার জন্য। আর বাকি ৯৫ ভাগ সাধারন মুসলিম ভাই বোনদের জন্য, যেন তারা ভুল ধারনা নিয়ে ফিরে না যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫০
নীল-গোলাপ বলেছেন: *.*.*.*
► ইসলামের উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর করার প্রচেষ্টা ◄ সম্পদে বোনের অধিকার ভাইয়ের অর্ধেক? ►
আমাদের আজকের লেখায় ইসলামী উত্তারাধিকার আইনের বর্ণনা দেয়া উদ্দেশ্য নয়। এনিয়ে ইসলামী আইনবিদদের লেখা শত শত ভলিউম লেখা আছে । যে কেউ সেগুলো পড়তে পারেন। বরং, আমাদের আজকের লেখার শুরুতে বলব, এই আইনগুলো কে, কেন দিয়েছেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। এগুলো মানলে কি লাভ ও না মানলে কি ক্ষতি হবে তাও উল্লেখ করব। পরিশেষে আমরা এই আইনগুলো প্রয়োগের সময় রাসুলুল্লাহ সা: ও সাহাবীদের রা: কর্তৃক গৃহিত কিছু মৌলিক দিকনির্দেশনা এবং বাস্তবের বিভিন্ন সমস্যায় কি ভাবে আল-কোরআনের নিয়মাবলী প্রয়োগ করা হয়েছে সেগুলোর কিছু উদাহরণ উল্লেখ করব। ইনশাল্লাহ।
► ইসলামী উত্তারাধিকার আইন : সুরা নিসা◄
→ নিসা ৭ : পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে; অল্প হোক কিংবা বেশী। এ অংশ (আল্লাহর পক্ষ থেকে) নির্ধারিত।
আয়াতে সুস্পষ্টভাবে পাঁচটি আইনগত নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক, মীরাস কেবল পুরুষদের নয়, মেয়েদেরও অধিকার।
দুই, যত কমই হোক না কেন মীরাস অবশ্যি বন্টিত হতে হবে। এমন কি মৃত ব্যক্তি যদি এক গজ কাপড় রেখে গিয়ে থাকে এবং তার দশজন ওয়ারিস থাকে, তাহলেও তা ওয়ারিসদের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। একজন ওয়ারিস অন্যজনের থেকে যদি তার অংশ কিনে নেয় তাহলে তা আলাদা কথা।
তিন, এ আয়াত থেকে একথাও সুস্পষ্ট হয়েছে যে, মীরাসের বিধান স্থাবর-অস্থাবর, কৃষি-শিল্প বা অন্য যে কোন ধরনের সম্পত্তি হোক না কেন সব ক্ষেত্রে জারী হবে।
চার, এ থেকে জানা যায় যে, মীরাসের অধিকার তখনই সৃষ্টি হয় যখন মৃত ব্যক্তি কোন সম্পদ রেখে মারা যায়।
পাঁচ, এ থেকে এ বিধানও নির্দিষ্ট হয় যে, নিকটতম আত্মীয়ের উপস্থিতিতে দূরতম আত্মীয় মীরাস লাভ করবে না।
→ নিসা ৮ : সম্পত্তি বন্টনের সময় যখন আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও মিসকীন উপস্খিত হয়, তখন তা থেকে তাদের কিছু দিয়ে দাও এবং তাদের সাথে কিছু সদালাপ করো।
এখানে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিসদেরকে সম্বোধন করা হয়েছে। তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছেঃ মীরাস বন্টনের সময় নিকট ও দূরের আত্মীয়রা, নিজের গোত্রের ও পরিবারের গরীব মিসিকন লোকরা এবং এতিম ছেলেমেয়ে যারা সেখানে উপস্থিত থাকে, তাদের সাথে হৃদয়হীন ব্যবহার করো না। শরীয়াতের বিধান মতে মীরাসে তাদের অংশ নেই ঠিকই কিন্তু একটু ঔদার্যের পরিচয় দিয়ে পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে তাদেরকেও কিছু দিয়ে দাও। সাধারণভাবে এহেন অবস্থায় সংকীর্ণমনা লোকরা যে ধরনের হৃদয়বিদারক আচরণ করে ও নির্মম কথাবার্তা বলে,তাদের সাথে তেমনটি করো না।
→ নিসা ৯ : লোকদের একথা মনে করে ভয় করা উচিত যে, তারা যদি মরার সময় নিজেদের পশ্চাতে দুর্বল অক্ষম সন্তান-সন্ততি ছেড়ে যেত তাহলে তাদের জন্যে তারা কতই না আশঙ্কা করত। সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং ন্যায় সংগত কথা বলে।
→ *নিসা ১১ :
তোমাদের সন্তানদের ব্যাপারে আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেনঃ পুরুষদের অংশ দুজন মেয়ের সমান।
মীরাসের ব্যাপারে এটি প্রথম ও প্রধান মৌলিক বিধান যে, পুরুষদের অংশ হবে মেয়েদের দ্বিগুণ। যেহেতু পারিবারিক জীবন ক্ষেত্রে শরীয়াত পুরুষদের ওপর অর্থনেতিক দায়িত্বের বোঝা বেশী করে চাপিয়ে এবং অনেকগুলো অর্থনৈতিক দায়িত্ব থেকে মেয়েদেরকে মুক্তি দিয়েছে,তাই মীরাসের ব্যাপারে মেয়েদের অংশ পুরুষদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম রাখা হবে, এটিই ছিল ইনসাফের দাবী।
যদি (মৃতের ওয়ারিস) দুয়ের বেশী মেয়ে হয়, তাহলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দুভাগ তাদের দাও।
দু’টি মেয়ের ব্যাপারেও এই একই বিধান কার্যকর। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির যদি কোন পুত্রসন্তান না থাকে এবং সবগুলোই থাকে কন্যা সন্তান, কন্যাদের সংখ্যা দুই বা দু’য়ের বেশী হোক না কেন, তারা সমগ্র পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ পাবে। অবশিষ্ট তিনভাগের একভাগ অন্যান্য ওয়ারিসদের মধ্য বন্টন করা হবে। কিন্তু যদি মৃত ব্যক্তির শুধুমাত্র একটি পুত্র থাকে, তাহলে এ ব্যাপারে ইজমা অনুষ্ঠিত হয়েছে অর্থাৎ ফিকাহবিদগণ সবাই এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, অন্যান্য ওয়ারিসদের অনুপস্থিতিতে সে-ই সমস্ত সম্পত্তির ওয়ারিস হবে। আর যদি অন্যান্য ওয়ারিসরাও থাকে, তাহলে তাদের অংশ দিয়ে দেবার পর বাকি সমস্ত সম্পত্তিই সে পাবে।
আর যদি একটি মেয়ে ওয়ারিস হয়, তাহলে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক তার। যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকে , তাহলে তার বাপ-মা প্রত্যেকে সম্পত্তির ছয় ভাগের একভাগ পাবে।
অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার বাপ-মা প্রত্যেকে ছয়ভাগের একভাগ পাবে। আর সন্তান যদি সবগুলোই হয় কন্যা বা সবগুলোই পুত্র অথবা পুত্র কন্যা উভয়ই হয় বা একটি পুত্র অথবা একটি কন্যা হয়, তাহলে বাকি তিনভাগের দু’ভাগে এ ওয়ারিসরা শরীক হবে।
আর যদি তার সন্তান না থাকে এবং বাপ-মা তার ওয়ারিস হয়, তাহলে মাকে তিন ভাগের একভাগ দিতে হবে ।
বাপ-মা ছাড়া যদি আর কেই ওয়ারিস না থাকে তাহলে বাকি তিনভাগের দু’ভাগ বাপ পাবে। অন্যথায় তিনভাগের দু’ভাগে বাপ ও অন্যান্য ওয়ারিসরা শরীক হবে।
যদি মৃতের ভাই-বোনও থাকে, তাহলে মা ছয় ভাগের একভাগ পাবে।
ভাই-বোন থাকলে মায়ের অংশ তিনভাগের এক ভাগের পরিবর্তে ছয় ভাগের একভাগ করে দেয়া হয়েছে। এভাবে মায়ের অংশ থেকে যে ছয় ভাগের এক ভাগ বের করে নেয়া হয়েছে তা বাপের অংশে দেয়া হবে। কেননা এ অবস্থায় বাপের দায়িত্ব বেড়ে যায়। মনে রাখতে হবে, মৃতের বাপ-মা জীবিত থাকলে তার ভাই-বোনরা কোন অংশ পাবে না।
(এ সমস্ত অংশ বের করতে হবে) মৃত ব্যক্তি যে অসিয়ত করে গেছে তা পূর্ণ করার এবং এ যে ঋণ রেখে গেছে তা আদায় করার পর।
অসিয়তের বিষয়টি ঋণের আগে উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এই যে, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ঋণ রেখে মারা যাওয়া কোন জরুরী বিষয় নয়। কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে অসিয়ত করা তার জন্য একান্ত জরুরী। তবে বিধানের গুরুত্বের দিক দিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এ ব্যাপারে একমত যে, ঋণের স্থান অসিয়তের চাইতে অগ্রবর্তী। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি ঋণ রেখে মারা যায়, তাহলে সর্বপ্রথম তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তি থেকে তা আদায় করা হবে, তারপর অসিয়ত পূর্ণ করা হবে এবং সবশেষে মীরাস বন্টন করা হবে। অসিয়ত সম্পর্কে সূরা বাকারার ১৮২ টীকায় আমি বলেছি, কোন ব্যক্তি তার সমগ্র সম্পত্তির তিন ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত অসিয়ত করতে পার। অসিয়তের এই নিয়ম প্রবর্তনের কারণ হচ্ছে এই যে, মীরাসী আইনের মাধ্যমে যেসব আত্মীয়-স্বজন পরিত্যক্ত সম্পত্তির কোন অংশ পায় না, এখান থেকে তাদের যাকে যে পরিমাণ সাহায্য দেবার প্রয়োজন উপলদ্ধি করা হয়, তা নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেমন কোন এতিম নাতি বা নাতনী রয়েছে। মৃত পুত্রের কোন বিধবা স্ত্রী কষ্টে জীবন যাপন করছে। অথবা কোন ভাই, বোন, ভাবী, ভাই-পো, ভাগিনে বা কোন আত্মীয় সাহায্য-সহায়তা লাভের মুখাপেক্ষী। এ ক্ষেত্রে অসিয়তের মাধ্যমে তাদের অন্য হকদারদের জন্য বা কোন জনকল্যাণমূলক কাজে সম্পত্তির অংশ অসিয়ত করা যেত পারে। সারকথা হচ্ছে এই যে, সম্পদ-সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ বা তার চাইতে কিছু বেশী অংশের ওপর ইসলামী শরীয়াত মীরাসের আইন বলবৎ করেছে। শরীয়াতের মনোনীত ওয়ারিসদের মধ্যে তা বন্টন করা হবে। আর তিন ভাগের এক ভাগ বা তার চেয়ে কিছু কম অংশের বন্টনের দায়িত্বভার নিজের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। নিজের বিশেষ পারিবারিক অবস্থার প্রেক্ষিতে (যা বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়ে থাকে) সে যেভাবে সংগত মনে করবে বন্টন করার জন্য অসিয়ত করে যাবে। তারপর কোন ব্যক্তি যদি তার অসিয়তে জুলুম করে অথবা অন্য কথায় নিজের ইখতিয়ারকে এমন ত্রুটিপূর্ণভাবে ব্যবহার করে যার ফলে কারো বৈধ অধিকার প্রভাবিত হয়, তাহলে এর মীমাংসার দায়িত্ব পরিবারের লোকদের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। তারা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে এ ত্রুটি সংশোধন করে নেবে অথবা ইসলামী আদালতের কাযীর কাছে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানাবে এবং তিনি অসিয়তের ত্রুটি দূর করে দেবেন।
তোমরা জানো না তোমাদের বাপ-মা ও তোমাদের সন্তানদের মধ্যে উপকারের দিক দিয়ে কে তোমাদের বেশী নিকটবর্তী । এসব অংশ আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন । আর আল্লাহ অবশ্যি সকল সত্য জানেন এবং সকল কল্যাণময় ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন।
মীরাসে আল্লাহ প্রদত্ত আইনের গভীর তত্ত্ব উপলব্ধি করতে যারা সক্ষম নয়, এ ব্যাপারে যাদের জ্ঞান অজ্ঞতার পর্যায়ভুক্ত এবং যারা নিজেদের অপরিপক্ক বুদ্ধির সাহায্যে (তাদের জ্ঞান অনুযায়ী) আল্লাহর এই আইনের ত্রুটি দূর করতে চায়,তাদেরকে এ জবাব দেয়া হয়েছে।
→ নিসা ১২ :
তোমাদের স্ত্রীরা যদি নিঃসন্তান হয়, তাহলে তারা যা কিছু ছেড়ে যায় তার অর্ধেক তোমরা পাবে। অন্যথায় তাদের সন্তান থাকলে যে অসিয়ত তারা করো গেছে তা পূর্ণ করার এবং যে ঋণ তারা রেখে গেছে তা আদায় করার পর পরিত্যক্ত সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ পাবে। অন্যথায় তোমাদের সন্তান থাকলে তোমাদের অসিয়ত পূর্ণ করার ও তোমাদের রেখে যাওয়া ঋণ আদায় করার পর তারা সম্পত্তির আট ভাগের একভাগ পাবে।
অর্থাৎ একজন স্ত্রী হোক বা একাধিক তাদের যদি সন্তান থাকে তাহলে তারা আট ভাগের একভাগ এবং সন্তান না থাকলে চার ভাগের এক ভাগ পাবে। আর এ চার ভাগের এক ভাগ বা আট ভাগের একভাগ সকল স্ত্রীর মধ্যে সমানভাবে বন্টিত হবে।
আর যদি পুরুষ বা স্ত্রীলোকের ( যার মীরাস বন্টন হবে) সন্তান না থাকে এবং বাপ-মাও জীবিত না থাকে কিন্তু এক ভাই বা এক বোন থাকে, তাহলে ভাই ও বোন প্রত্যেকেই ছয় ভাগের এক ভাগ পাবে। তবে ভাই-বোন একজনের বেশী হলে সমগ্র পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের একভাগে তারা সবাই শরীক হবে,
অবশিষ্ট ছয় ভাগের পাঁচ ভাগ বা তিন ভাগের দু’ভাগ থেকে অন্য কোন ওয়ারিস থাকলে তার অংশ পাবে। অন্যথায় অবশিষ্ট ঐ সমস্ত সম্পত্তি ঐ ব্যক্তি অসিয়ত করতে পারবে। এ আয়াতের ব্যাপারে মুফাস্সিরগণের ‘ইজমা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে যে, এখানে মা-শরীক ভাই-বোনর কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মৃতের সাথে তার আত্মীয়তা কেবলমাত্র মায়ের দিক থেকে এবং তাদের বাপ আলাদা। আর সহোদর এবং বৈমাত্রের ভাই-বোনের ব্যাপারে, মৃতের সাথে বাপের দিক থেকে যাদের আত্মীয়তা, তাদের সম্পর্কিত বিধান এ সূরার শেষের দিকে বিবৃত হয়েছে।
যে অসিয়ত করা হয়েছে তা পূর্ণ করার এবং যে ঋণ মৃত ব্যক্তি রেখে গেছে তা আদায় করার পর যদি তা ক্ষতিকর না হয় ।
অসিয়ত যদি এমনভাবে করা হয় যে,তার মাধ্যমে হকদার আত্মীয়দের হক নষ্ট হয়, তাহলে এ ধরনের অসিয়ত হয় ক্ষতিকর। আর নিছক হকদারদেরকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি যখন অনর্থক নিজের ওপর এমন কোন ঋণের স্বীকৃতি দেয়, যা সে প্রকৃতপক্ষে নেয়নি, অথবা হকদারকে মীরাস থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে এমনি কোন কূটচাল চালে, সে ক্ষেত্রে এ ধরনের ঋণও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের ক্ষতিকারক বিষয়কে কবীরা গোনাহ গণ্য করা হয়েছে। তাই হাদীসে বলা হয়েছে, অসিয়তের ক্ষেত্রে অন্যকে ক্ষতি করার প্রবণতা বড় গোনাহের অন্তরভূক্ত। অন্য একটি হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মানুষ তার সারা জীবন জান্নাতবাসীদের মতো কাজ করতে থাকে কিন্তু মারার সময় অসিয়তের ক্ষেত্রে অন্যের ক্ষতি করার ব্যবস্থা করে নিজের জীবনের আমলনামাকে এমন কাজের মাধ্যমে শেষ করে যায়, যা তাকে জাহান্নামের অধিকারী করে দেয়। এ ক্ষতি করার প্রবণতা ও অন্যের অধিকার হরণ যদিও সর্বাবস্থায় গোনাহ তবুও ‘কালালাহ’-এর (যে নিসন্তান ব্যক্তির বাপ-মাও জীবিত নেই) ব্যাপারে মহান আল্লাহ বিশেষ করে এর উল্লেখ এ জন্য করেছেন যে, যে ব্যক্তির সন্তানাদি নেই আবার বাপ-মাও জীবিত নেই, তার মধ্যে সাধারণত নিজের সম্পদ-সম্পত্তি নষ্ট করার প্রবণতা কোন না কোনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে এবং সে দূরবর্তী আত্মীয়দেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা চালায়।
এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ, আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বদর্শী ও সহিষ্ণু।
আল্লাহর জ্ঞানের কথা উচ্চারণ করার পেছনে এখানে দু’টি কারণ রয়েছে। এক, যদি এ আইন ও বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করা হয় তাহলে মানুষ আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচতে পারবে না। দুই, আল্লাহ যে অংশ যেভাবে নির্ধারণ করেছেন তা একেবারেই নির্ভুল। কারণ যে বিষয়ে মানুষের কল্যাণ ও সুবিধা তা মানুষের চেয়ে আল্লাহ ভালো জানেন। এই সংগে আল্লাহর ধৈয্য ও সহিষ্ণুতা গুনের কথা বলার কারণ হচ্ছে এই যে, এ আইন প্রবর্তনের ব্যাপারে আল্লাহ কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। বরং তিনি এমন নীতি-নিয়ম প্রবর্তন করেছেন যা মেনে চলা মানুষের জন্য অত্যন্ত সহজ এবং এর ফলে মানুষ কোন কষ্ট, অভাব ও সংকীর্ণতার মুখোমুখি হবে না।
→ নিসা ১৩-১৪ : এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য| যে কেউ আল্লাহ্ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।
→ নিসা ১৭৬ : লোকেরা তোমার কাছে পিতা-মাতাহীন নিসন্তান ব্যক্তির *২২০ ব্যাপারে ফতোয়া জিজ্ঞেস করছে। বলে দাও, আল্লাহ তোমাদের ফতোয়া দিচ্ছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি নিসন্তান মারা যায় এবং তার একটি বোন থাকে, *২২১ তাহলে সে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ পাবে। আর যদি বোন নিসন্তান মারা যায় তাহলে ভাই হবে তার ওয়ারিস। *২২২ দুই বোন যদি মৃতের ওয়ারিস হয়, তাহলে তারা পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশের হকদার হবে, *২২৩ আর যদি কয়েকজন ভাই ও বোন হয় তাহলে মেয়েদের একভাগ ও পুরুষের দুইভাগ হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট বিধান বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা বিভ্রান্ত না হও এবং আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে জানেন।
২২০)মূল বাক্যে কালালা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ‘কালালা’ শব্দের অর্থের ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। কারো কারো মতো কালালা হচ্ছে এমন এক ব্যক্তি যার সন্তান নেই এবং যার বাপ-দাদাও বেঁচে নেই। আবার অন্যদের মতে যে ব্যক্তি নিছক নিসন্তান অবস্থায় মারা যায় তাকে কালালা বলা হয়। হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু শেষ সময় পর্যন্ত এ ব্যাপারে দ্বিধান্বিত ছিলেন। কিন্তু হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতে প্রথমোক্ত লোকটিকেই কালালা বলা হয়। সাধারণ ফকীহগণ তাঁর এই মত সমর্থন করেছেন। কুরআন থেকেও এই মতেরই সমর্থন পাওয়া যায়। কারণ কুরআন কালালার বোনকে পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেকের মালিক বানানো হয়েছে। অথচ কালার বাপ বেঁচে থাকলে বোন সম্পত্তির কিছুই পায় না।
২২১)এখানে এমন সব ভাইবোনের মীরাসের কথা বলা হচ্ছে যারা মৃতের সাথে মা ও বাপ উভয় দিক দিয়ে অথবা শুধুমাত্র বাপের দিক দিয়ে শীরক। হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার তাঁর এক ভাষণে এই অর্থের ব্যাখ্যা করেছিলেন। কোন সাহাবা তাঁর এই ব্যাখ্যার সাথে মতবিরোধ করেননি। ফলে এটি একটি সর্বসম্মত মতে পরিণত হয়েছে।
২২২)অর্থাৎ ভাই তার সমস্ত সম্পদের ওয়ারিশ হবে, যদি কোন নির্দিষ্ট অংশের অন্য কোন অধিকারী না থেকে থাকে। আর যদি নির্দিষ্ট অংশের অন্য কোন অধিকারী থাকে-যেমন স্বামী তাহলে প্রথমে তার অংশ আদায় করার পর অবশিষ্ট পরিত্যক্ত সম্পত্তি ভাই পাবে।
২২৩)দু’য়ের বেশী বোন হলে তাদের সম্পর্কেও এই একই বিধান কার্যকর হবে।
এখানে যা বলা হয়েছে তা সংক্ষেপে
১. মীরাসে আল্লাহ প্রদত্ত আইনের গভীর তত্ত্ব যারা জানতে সক্ষম নয়, এব্যাপারে যাদের জ্ঞান অজ্ঞতার পর্যায়ভূক্ত, এবং যারা অপরিপক্ষ বুদ্ধি দিয়ে আল্লাহর আইনের ত্রুটি (!) দূর করতে চায়, তাদের কে যাবধান করা হয়েছে।
২. আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণকারীরা আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পাবে না।
৩. আল্লাহ যে নিয়মাবলী বর্ণনা করেছেন তা একেবারে নির্ভূল।
৪. তিনি কঠোরতা অবলম্বন করেন নি, যেসব আইন তিনি দিয়েছেন সেগুলো মানা মানুষের জন্য সহজ।
৫. আল্লাহর বিধান মান্য কারীদের জন্য জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে।
◄অমুসলিম স্কলারের চোখে ইসলামী উত্তারাধিকার আইন►
The divine justness and equitability of the Islamic laws of inheritance have been correctly appreciated by many non-Muslim scholars such as Professor Almaric Rumsey (1825-1899) of King's College, London, the author of many works on the subject of the Muslim law of inheritance and a barrister-at-law, who stated that the Muslim law of inheritance, "comprises beyond question the most refined and elaborate system of rules for the devolution of property that is known to the civilised world." (দেখুন, সূত্র: ১)
►বাস্তবে প্রয়োগের বিশেষ নিয়মাবলী ও কিছু উদাহরণ◄
মানুষের বাস্তব জীবনে বিভিন্ন সময় এত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় যে, সঠিক জ্ঞান ছাড়া আল-কোরআনের বিধান গুলোর ব্যবহার সম্ভব নয়। রাসুলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাহাবারা রা: এমন সমস্যা সমাধানে কিছু নিয়মাবলী ও উদাহরণ দিয়ে গেছেন। নীচে আমরা সংক্ষেপে এসবের কিছু উল্লেখ করব। (বিস্তারিত দেখুন, সূত্র: ২)
প্রকৃতপক্ষে, বাস্তবে সম্পদ বন্টনের বিষয়টি এত জটিল ও এতে এত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া কষ্টকর হতেই পারে। অনেক সময় দেখা যায়, আল-কোরআনের বিধান মতে মোট সম্পদ হয় বেশী (উদ্বৃত্ত) হয়ে যায়, অথবা ঘাটতি হয়ে যায়, অথবা পুরোটা বন্টনের পরেও (দূরতম সম্পর্কের) উত্তারাধিকারী বন্ঞিত থেকে যেতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাহাবারা রা: যে সব হেকমত অবলম্বন করেছেন, তা আমাদের জন্য অনুসরনীয়।
১. উদ্বৃত্ত হলে: সম্পত্তি বন্টনের সময় আগে আল-কোরআনে বর্ণিত শেয়ারারদের মাঝে নিয়মানুযায়ী বন্টনের পরে অবশিষ্ট থাকলে তা দূরবর্তী আত্নীয়দের মাঝে বন্টন করা হবে। উদ্ধৃত্ত গ্রহণকারী দূরতম আত্নীয় না থাকলে, নিকটতম আত্নীয়দের মধ্যে আল-কোরআনে বর্ণিত সমানুপাতে উদ্ধৃত্তও বন্টন হবে।
Abdullah ibn Abbas (RA) reported that the Prophet Muhammad (SAWS) said, "Give the Faraid (the shares of the inheritance that are prescribed in the Quran) to those who are entitled to receive it. Then whatever remains, should be given to the closest male relative of the deceased." (Sahih al-Bukhari)
হযরত উমর রা: এর সময়ের একটি ঘটনা: একজন মৃত স্ত্রী লোক সন্তানহীন অবস্হায় স্বামী ও পিতা-মাতা রেখে মারা গেলেন। তার সম্পত্তি কিভাবে ভাগ হবে?
আল-কোরআন অনুসারে, স্বামী ১/২ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১২), মাতা ১/৩ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১), পিতা অবশিষ্ট ১/৬ ভাগ। এটি আল-কোরআনের ৪:১১ এর পূরুষ মহিলার দ্বিগুন পাবে এই নিয়ম ভঙ্গ করে, যেহেতু পিতা মাতার চেয়ে কম পাচ্ছেন। এজন্য আল-কোরআনের ৪:১১ নিয়ম (মাতা ১/৩ ভাগ পাবেন) তখনই আ্যাপ্লিক্যাবল, যখন মৃতের পিতা-মাতা ছাড়া কোন সন্তান-সন্ততি বা স্বামী না থাকেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সঠিক হিসেব, স্বামী ১/২ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১২), মাতা ১/৬ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১), পিতা ১/৩ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১)।
২. দূরতম আত্নীয় বন্ঞিত থাকলে:
হযরত উমর রা: এর সময়ের আরেকটি ঘটনা: এক মহিলা সন্তানহীন অবস্হায় স্বামী, মাতা, দুই Full brother (যাদের পিতা-মাতা মৃত মহিলার মতো একই), ও দুই Uterine brother (যাদের শুধু মাতা মৃত মহিলার মতো একই) রেখে মারা গেলেন।
আল-কোরআন অনুসারে, স্বামী ১/২ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১২), মাতা ১/৬ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১), দুই Uterine brother ১/৩ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১২)। কোন উদ্ধৃত্ত নাই। দুই Full brother কিছু পাচ্ছেন না।
হযরত উমর (রা Full ও Uterine brother দের ১/৩ ভাগ সমভাবে বন্টন করে দিলেন। (উপরে বর্ণিত আল-কোরআন ৪:৮ দেখুন)
৩. ঘাটতি হলে:
বন্টনের সময় বন্টিত সম্পদ ১ এর অধিক হলে সকল উত্তারাধিকারের থেকে তাদের প্রাপ্যের সমানুপাতে কমিয়ে মোট সম্পদ ১ অংশ করা হয়। (the doctrine of al-awl)
যদি মৃত ব্যক্তির, দুই কন্যা, এক স্ত্রী, পিতা এবং মাতা বর্তমান থাকেন তাহলে,
দুই কন্যা ২/৩ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১), পিতা ১/৬ (আল-কোরআন ৪:১১), মাতা ১/৬ (আল-কোরআন ৪:১১) , স্ত্রী ১/৮ (আল-কোরআন ৪:১২)। মোট: ২৭/২৪ ভাগ (১/৮ ভাগ ঘাটতি)।
এক্ষেত্রে, ঘাটতি সকল শরিকদের মাঝে তাদের প্রাপ্য অনুসারে (নেগেটিভ) বন্টন হবে। দুই কন্যা ১৬/২৭ ভাগ, পিতা ৪/২৭ ভাগ, মাতা ৪/২৭, স্ত্রী ৩/২৭ ভাগ।
উপসংহার:
উপরে বর্ণিত বিশেষ ক্ষেত্রসমূহে রাসুলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাহাবারা রা: আল-কোরআনের মূলনীতি লঙ্গন না করেই মিমাংসা করেছেন (ইজমা ও কিয়াস)। উত্তরাধিকারীর ধরন ও সংখ্যানুসারে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন আল-কোরআনের উদ্দেশ্য নয়। বরং, আল-কোরআনের উদ্দেশ্য এই যে, একগুচ্ছ মৌলিক বিধান দিয়ে দেয়া। মানুষ বাস্তবক্ষেত্রে এসব মৌলিক বিধান অনুসরণ করেই সব সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে। যেমন, অন্যান্য আইন যেমন, চুরি, ধর্ষণ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও আল-কোরআন তাই করেছে।
অথচ, আজকাল একধরনের পাপিষ্টরা আল-কোরআনের মূলনীতি (যেমন, পূরুষ নারীর দ্বিগুণ পাবে) পরিবর্তনের খায়েস কে সাহাবাদের রা: জ্ঞানগর্ভ নির্দেশনার সাথে গোলমাল পাকিয়ে বলতে অপচেষ্টা করছে, সম্পত্তির জন্য আগে সাহাবারাই গোলমাল পাকিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ), তারা নয়, তারা শুধু সমাধান করছে!
অথচ, তারা জানে না, মানুষের জ্ঞান কত সীমিত, আর মানুষ কত স্বার্থপর! শুধুমাত্র একজন নি:স্বার্থ সত্তা যিনি সব প্রকাশ্য ও গোপন নিগূঢ় তত্ত্ব ও তথ্য সম্পর্কে অবগত সেই এক আল্লাহই সব সমস্যা সমাধানের মূল আইন প্রণেতা।
... এ বিধান আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সর্বদর্শী ও সহনশীল। (আল-কোরআন ৪:১২)
সূত্র সমূহ:
১. Rumsey, A. Moohummudan Law of Inheritance. (1880) Preface iii.
২. Islamic Laws of Inheritance - Dr. Abid Hussain.
৩. Click This Link