নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.bdeduarticle.com

আদর্শটাকে আপাতত তালাবন্ধ করে রেখেছি

গৌতম রায়

পুঁজিবাদের সবচেয়ে অনিষ্টকর ফল হল মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশের সম্ভাবনাকে পঙ্গু করে দেওয়া। আমাদের সব শিক্ষা পদ্ধতিতে এই অমঙ্গল বর্তমান। বেশিরভাগ ছাত্রের মনে একটি তীব্র প্রতিযোগিতার ভাব জন্মায় এবং তাদের শিক্ষালাভের একমাত্র উদ্দেশ্য হল কী করে প্রতিযোগিতায় সিদ্ধিলাভ করে ভবিষ্যৎ জীবনে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির শিখরে আরোহন করা যায়। এরা হল সব ক্যারিয়ারিস্ট, নিজেদের জীবনের উন্নতি করে সুখে ও সম্মানে থাকতে চায়। এদের মন সংকীর্ণ ও স্বার্থপর। - আলবার্ট আইনস্টাইন।

গৌতম রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কেন বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত?

২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:৫৭





সাধারণভাবে যেটা মনে করা হয়, অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী বা গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যায়- যাতে শিক্ষা শেষ করেই অপেক্ষাকৃত ছোট চাকুরিগুলোতে ঢুকতে পারে। এই ধারণা যে পুরোপুরি ভুল, সেটা বলা যাবে না। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা ভর্তি হয়, তাদের অনেকেই হয় অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না; নয়তো আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে বা নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে তাদেরকে সেখানে ভর্তি হতে হয়।



অথচ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই চিত্রটা হওয়া উচিত পুরোপুরি উল্টো। এখানে সাধারণ শিক্ষা থেকে শিক্ষিত হয়ে বসে থাকা বেকারের সংখ্যাটা যেমন প্রচুর, তেমনি নানা কারণে একটি নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত শিক্ষাগ্রহণ করে পরবর্তী স্তরে পড়ালেখা না করতে পারার সংখ্যাটাও প্রচুর। এই দুটো গ্রুপের মানুষদেরই যদি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় পড়ালেখা করানো যেতো, তাহলে বেকারের সংখ্যা যেমন কমতো, তেমনি বাড়তে দক্ষ জনশক্তিও।



তাছাড়া বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ জনশক্তির প্রবল অভাব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অভাব বিদেশে পাঠানো দক্ষ জনশক্তির ক্ষেত্রেও প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষাকে যদি মানব উন্নয়নের একটি অন্যতম সূচক ধরা হয়, তাহলে সেই শিক্ষার ধরণটা এমন হওয়া উচিত, যেখানে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের পাশাপাশি প্রাপ্ত শিক্ষাকে ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী জীবনধারণে সক্ষম হবে ও ক্রমশ উন্নতি করবে। আর এখানেই বাংলাদেশ পিছিয়ে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় জোর দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের চাইতে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপির হার অনেক বেশি। অথচ ১৯৭০ সালে এই দেশগুলোর জিডিপির হার ছিলো প্রায় কাছাকাছি।



কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কেন গুরুত্বপূর্ণ- বিষয়টি নিয়ে আইএলও বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার ড. গাজী মাহাবুবুল আলম সম্প্রতি একটি প্রবন্ধ লিখেছেন www.bdeduarticle.com -এ। সেখানে তিনি এই শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা-সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নয়, সারা বিশ্বেই এই শিক্ষা কতোটুকু গুরুত্ব পাচ্ছে এবং কেন বাংলাদেশে এই শিক্ষা বাস্তবায়নের প্রতি অধিক জোর দেওয়া উচিত, সেগুলো তিনি যুক্তি ও প্রমাণসহকারে তুলে ধরেছেন। আগ্রহীরা এখানে ক্লিক করে লেখাটি পড়তে পারেন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:০৫

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: প্লাস দিলাম, দেখি হ্যাং হয়ে গেলো সব!!! ...

কারিগরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো অনেক বাড়ানো উচিত ... আরো নিয়মতান্ত্রিক সিলেবাস দরকার ... কিন্তু করবে কে?

২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৩১

গৌতম রায় বলেছেন: শেষ প্রশ্নটা না করলে হতো না? এর উত্তর কে দিবে? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার মতো যথাযথ মানুষ যদি থাকতো, তাহলে হয়তো আজকে এই লেখা লিখতে হতো না।

আপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য।

২| ২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কারিগরি শিক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। আমাদের জন্য দরকার এমন শিক্ষা যা দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সেটা কারিগরি শিক্ষা ছাড়া সম্ভব না।
দুঃখজনকভাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড নামে একটা প্রতিষ্ঠান আছে যেটার নাম অনেক মানুষ জানে না। প্রত্যেক স্কুলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কোর্সগুলো করানো বাধ্যতামূলক করা হোক। শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা গ্রহণে বেশি উৎসাহিত করা হোক।
গরীব মানুষদের জন্য আগে দরকার অভাব দূর করা, কর্মসংস্থান করা, তারপর দরকার জ্ঞান অর্জন।
কারাবন্দীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হোক

২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৯

গৌতম রায় বলেছেন: গরীব মানুষদের জন্য আগে দরকার অভাব দূর করা, কর্মসংস্থান করা, তারপর দরকার জ্ঞান অর্জন। - এটাকে ঠিক এভাবে না দেখি। বরং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কিন্তু একই সাথে দুটো কাজই করা যায়। সেক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষাটাকে বেশ কিছুটা পরিবর্তন করতে হবে।

কারিগরি শিক্ষাটা যে গুরুত্বপূর্ণ সেটা নিয়ে কিন্তু আপনার মতো অনেকেরই সন্দেহ নেই। সমস্যা যেটা হলো, এটাকে আমরা মোটামুটি দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষা বানিয়ে রেখেছি। এটা পরিবর্তন করা দরকার, পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা নিয়ে মানসিকতাও পরিবর্তন করা দরকার।

দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪১

খািল িপডাইেত ইচ্ছা করে বলেছেন:
ভাইরে প্রিয়তেও রাখলাম, প্লাসও দিলাম মাগার কাম হইব তো??????????

হালার আমাগো তালকানা+ভোদাই সরকারগুলো এই গুলা দিখে না।
তারা বছর বছর কিভাবে লাখ লাখ গ্রাজুয়েট পয়দা করা যায় সেটা লইয়া ব্যস্ত, মাগার তারা কি হাওয়া খেয়ে বেচে থাকবে? তার উপর ৪/৫ ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার কথা নাইবা কইলাম।

তার উপর পলিটেকনিক কলেজ যাও বা আছে, ছাত্র+শিক্ষক, পড়াশুনার মান সব বাজে অবস্থা। দিল্লি পলিটেকনিক এর মান আমাগো ইন্জিনিয়ারিং ভার্সিটি থেকেও ভালো।
কি আর কমু- রাগে শুধুই শরীর জ্বলে।

২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৩১

গৌতম রায় বলেছেন: না, কাজ হবে না। নীতিনির্ধারকরা এসব লেখা পড়েন না। আমাদের দেশে প্রতিবছর কোন খাতে কত দক্ষ জনশক্তি দরকার, সেই হিসেবই তো নাই। প্রতিবছর কতো জন গ্র্যাজুয়েট বের হবে, বের হওয়ার পর তাদের নিয়ে কী করা হবে, সে ধরনের কোনো উদ্যোগ বা কাজ নেই। এগুলো হাওয়ার উপর চলছে।

৪| ২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪

ছু-মন্তর বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকের পুরো লেখাটাই বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে লেখা। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বরাবরই বাংলাদেশ সরকারগুলোকে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে বলছে। আর পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয় বৃদ্ধি তথা শিক্ষার ব্যয় বাড়ানোর পরামর্শও দিয়ে থাকে। আপনার পোস্ট তারই প্রতিধ্বনি মনে হচ্ছে।

আমরা সাধারণ শিক্ষায় লেখাপড়া করে বেকার হয়ে বসে থাকার কারণ কি? কারিগরি জ্ঞানের অভাব? নাকি কর্মসংস্থানের অভাব?

শিক্ষার আমূল পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এটা ঠিক নয়। এই শর্টকাট পদ্ধতি অবলম্বন করলে আমরা গায়ে গতরে দক্ষ হব। কিন্তু চিন্তার বিকাশের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ব। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ তথা সাম্রাজ্যবাদ এটাই চায়। তাই ব্যাপারটা ভালো মত চিন্তা ভাবনা করবেন।

২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২

গৌতম রায় বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকের পুরো লেখাটাই বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে লেখা। - এর মানে হলো আপনি পুরো লেখাটা পড়েন নি। সুতরাং এখানে আমার কিছু বলার নেই।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বরাবরই বাংলাদেশ সরকারগুলোকে কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে বলছে। - তাতে তো আমি কোন সমস্যা দেখছি না।

আর পাশাপাশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয় বৃদ্ধি তথা শিক্ষার ব্যয় বাড়ানোর পরামর্শও দিয়ে থাকে। আপনার পোস্ট তারই প্রতিধ্বনি মনে হচ্ছে। - সেটা অন্য প্রসঙ্গ। সেটা নিয়ে অন্যত্র কথা বলা যাবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষাব্যয় বাড়ানোর পক্ষে নই। কিন্তু এই পোস্ট কোথায় সেটার 'প্রতিধ্বনি' মনে হচ্ছে, সেটা খোলাসা করবেন আশা করি।

আমরা সাধারণ শিক্ষায় লেখাপড়া করে বেকার হয়ে বসে থাকার কারণ কি? কারিগরি জ্ঞানের অভাব? নাকি কর্মসংস্থানের অভাব? - দুটোরই তো অভাব। কারিগরি জ্ঞান না থাকলে তো বেকার হয়ে বসে থাকতেই হবে। আর কর্মসংস্থানের অভাব যেহেতু রয়েছে, সুতরাং কারিগরি জ্ঞানটা আরও প্রয়োজন। তাতে কর্মসংস্থান কবে হবে, সে আশায় কাউকে বসে থাকতে হবে না। নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করতে পারবে।

শিক্ষার আমূল পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এটা ঠিক নয়। --- তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলেই আমি গুরুত্বটা আরও বেশি দিতে চাই।


এই শর্টকাট পদ্ধতি অবলম্বন করলে আমরা গায়ে গতরে দক্ষ হব। কিন্তু চিন্তার বিকাশের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ব। --- মানতে পারলাম না। চিন্তার বিকাশের সাথে কারিগরি শিক্ষার বিরোধ নেই। গায়েগতরে দক্ষ হওয়ার সাথেও চিন্তার বিকাশের বিরোধ দেখি না।


বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ তথা সাম্রাজ্যবাদ এটাই চায়। তাই ব্যাপারটা ভালো মত চিন্তা ভাবনা করবেন। -- বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ কী চায় সেটা পরের ব্যাপার। আমরা কি চাই, সেটাই আসলে আগে ভাবা জরুরি।

২.
আপনার লেখা থেকে ধারণা করি আপনি বাম মতের সমর্থক। তাতে কোনো সমস্যা নেই। আমি যতো জায়গায় বাম মতের সমর্থকদের সাথে আলোচনা করেছি, সবখানে একটা সমস্যা আমি প্রবলভাবে দেখেছি- সেটা হলো বর্তমান বাস্তবতাকে তারা বিচার করতে চান না। এই দেশটা সমাজতান্ত্রিক দেশ নয়, খাঁটি সমাজতান্ত্রিক চিন্তা থেকে আলোচনা করলে আসলে কোনো সমাধানই বেরিয়ে আসবে না। দেশে পুঁজিবাদ বিকাশের এই যুগে যেভাবে সম্ভব লেখাপড়াটাকে বাস্তবানুগ করতে হবে- শিক্ষাটাকে এই চিন্তা থেকেই আমি দেখি।

তবে আপনার দীর্ঘ মন্তব্য থেকে বেশ কিছু ভাবনার খোরাক পাওয়া গেল। আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯

খািল িপডাইেত ইচ্ছা করে বলেছেন:
আমার মতে প্রতি বছর খুব বেশী হইলেও ১০০০ জনকে গ্রাজুয়েশন এ সুযোগ দেয়া উচিৎ আর বাকি সব গুলাকে কারিগরি শিক্ষায় ঢুকানো উচিৎ।

বালের সব গ্রাজুয়েশন বানানোর কারখানাগুলো বন্ধ করে সরকারের উচিৎ শুধুমাত্র কারিগরি শিক্ষাপ্রতিস্ঠান বানানোর অনুমতি দেয়া।

সরকারের উচিৎ দক্ষ কারিগরি শিক্ষক, যন্ত্রপাতি, প্রতিস্ঠান তৈরি করা, এবং বেসরকারি ভুদাই ভার্সিটির বদলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিস্ঠান প্রতিস্ঠায় সার্বিক সহযোগিতা করা।

২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩২

গৌতম রায় বলেছেন: এ ব্যাপারে অবশ্য কোনো গবেষণা দেখি না যে কোন সেক্টরে কী পরিমাণ জনশক্তি আমাদের দরকার। তাই আপনার কথার সাথে একমত-দ্বিমত কোনোটাই করতে পারছি না। এই যেমন দেখুন, প্রতি বছর যে পরিমাণ প্রকৌশলী বের হচ্ছে, সেটা নাকি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। আর ডাক্তারের পরিমাণ কম। এখন যদি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কিছুটা কমিয়ে দিয়ে মেডিক্যালে ভর্তির পরিমাণ বাড়ানো যায়, তাহলে হয়তো অনেকটা কাজ হয়। এটা একদিনে হবে না, কিন্তু আগামী দশ বছরের একটা প্ল্যান থাকলে সেটা বাস্তবায়ন করা কঠিন কিছু না। সে অনুযায়ী যেখানে যেখানে দরকার অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানো, দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করা সবই করা যাবে।

৬| ২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫

জেমসবন্ড বলেছেন:

........কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নাই । আমি ঢাঃবি পড়ার সময়-ই বিসিএস এর প্রিপারেশন না নিয়ে আইটি তে ডিপ্লোমা করি , যাতে কেরাণীর চাকুরী না করে টেকনিক্যল হ্যান্ড হতে পারি , যার ফল আজকে পাচ্ছি ।

.......ভূরি ভূরি মাষ্টার্স ডিগ্রির কোন দরকার নাই । দরকার টেকনিক্যাল হাত ও মাথা । যাকে অন্যভাবে বলে মানব সম্পদ উন্নয়ন । যা দিয়ে অনেক বড় কিছু করা সম্ভব একটা পরিবার ও বৃহৎ প্রেক্ষাপটে একটা জাতির জন্য ।

২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৩৯

গৌতম রায় বলেছেন: প্রথম অংশের উত্তর- ভালো করেছেন। কিন্তু আইটির সাথে যে হারে ধর্ম ঢোকাচ্ছেন, তাতে আশঙ্কা হয়। দুটোকে দুজায়গায় রাখলেই ভালো করবেন।

দ্বিতীয় অংশের প্রথম বাক্যের সাথেও একমত নই। ভূরি ভূরিটা কত সেটাই আগে জানা দরকার। সেটাই তো জানা নেই আমাদের।

৭| ২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫

খািল িপডাইেত ইচ্ছা করে বলেছেন:
@ছু-মন্তর

শিক্ষার আমূল পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে কারিগরি শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এটা ঠিক নয়। এই শর্টকাট পদ্ধতি অবলম্বন করলে আমরা গায়ে গতরে দক্ষ হব। কিন্তু চিন্তার বিকাশের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ব।

আপনার কথা বুঝি নাই। কারিগরি শিক্ষালাভ করলে চিন্তার বিকাশ হয় না, নাকি চিন্তার বিকাশ শুধুমাত্র বালিয় গ্রাজুয়েটদের আবালিয় পৈত্রিক সম্পত্তি?

চিন্তাশক্তির বিকাশের জন্য কারিগরি শিক্ষা কোনো বাধা নয় বরং সহযোগী কেননা এতে একটি ব্যক্তি একটি টেকনিক্যাল ব্যাপারে সম্যক অবগত হয়, তার সম্পত্তি হয় তার মাথা, সে খুব দ্রুত উৎপাদনের সাথে জড়িত হয়, এবং সংগে সংগে তার অধিকার সর্ম্পকে অবগত হয় এবং তা রক্ষার জন্য সচেষ্ট হয়। জাপানে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ গ্রাজুয়েট; বাকি সবাই বিভিন্ন ডিপ্লোমাধারী, তারা পিছিয়ে আছে নাকি এগিয়ে যাচ্ছে? তাদের কি চিন্তার বিকাশ হচ্ছে না বলে হয় আপনার কাছে?

এবার আসেন যারা বালিয় গ্রাজুয়েটধারীদের কথায়, বাপের টাকার শ্রাদ্ধ করে গ্রাজুয়েট হবার পর চাকরি কি ভুতে দেবে? একেতো চাকরির বাযার ছোট তার উপর যে কোয়ালিটি লাগে তা তার নেই। আর কেও ব্যবসা করতে রাজি নয়; পানের দোকান করে বসলে একজন গ্রাজুয়েট এর ইজ্জত যায় কিন্তু পুলিশের চাকরি কইরা ২ ং টাকা ইনকাম করলে সবাই বাহবা দেয়।
যাইহোক গ্রাজুয়েট এর পর চাকরি নাই; হতাশা; উৎপাদনে শরীক হওয়া তো দুরের কথা; পরিবারের+দেশের বোঝা হয়ে দাড়ায়।
আপনি কি মনে করেন এই বালিয় গ্রাজুয়েট রা চিন্তার বিকাশ ঘটাবে?

৮| ২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:০৫

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: আমার জন্মের পর থেকে নানা বিতর্ক টক শো সেমিনার সিম্পোজিয়াম কত কিছু হইলো
কিন্তু কামের কাম কিছুই হইলো না!

২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪০

গৌতম রায় বলেছেন: :(

৯| ২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:১৮

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: খালি পিডাইতে ইচ্ছা করে @ আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। যারা গরীব মানুষ, কর্মসংস্থান তার জন্য সবার আগে দরকার। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হলে জ্ঞান চর্চা সম্ভব না। আমাদের আগে অর্থনৈতিকভাবে সবল হওয়া দরকার। যারা অর্থনৈতিকভাবে সবল তাদের সন্তানরা জ্ঞান চর্চা করতে পারবে। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকলে কখনও কোন প্রজন্ম জ্ঞান চর্চা করতে পারবে না।
ছুমন্তর @ পাঠ্যবই পড়ে যারা জ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আমাদের দেশে বেশির ভাগ পরিবারে পাঠাগার নাই। তার একটা কারণ জ্ঞানচর্চার প্রতি অনীহা। আরেকটা কারণ কিন্তু অভাব। অভাব না দূর হলে নিরবিচ্ছিন্ন জ্ঞান চর্চা সম্ভব না।
মোট কথা হল, আমাদের মতো গরীব দেশে শিক্ষা হওয়া উচিত কর্মসংস্থানমুখী। সেই কর্মসংস্থান আরও ভালো হয় যদি সেটা হয় বৈদেশিক কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার গেলে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম নিশ্চিতভাবে জ্ঞানমুখী শিক্ষা গ্রহণ করতে বাধা কোথায় ?

১০| ২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৩

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: ঐ প্রশ্নটা না আসলে এসব আলোচনা করেই বা কি হবে বলুন?

কারিগরী শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্লাস একে দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষা হিসেবে যাতে মানুষ না দেখে সেজন্য গ্রহন করা উচিত এমন পদক্ষেপগুলো নিয়েও লিখুন

২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:২৮

গৌতম রায় বলেছেন: না না, ওই প্রশ্নটা তো আসতেই হবে? আসলে আমি প্রতিমন্তব্যটা করেছি এক ধরনের কষ্ট থেকে।

আশা করি পদক্ষেপগুলো নিয়ে একটা লেখা তাড়াতাড়িই দিতে পারবো। কিছু পড়ালেখা করছি, সেগুলো শেষ হোক।

১১| ২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪৯

নুভান বলেছেন: দেশের বর্ত্মান প্রেক্ষাপটে ১০০ মাস্টার্স ডিগ্রীধারীর চেয়ে ১ জন কারীগরী শিক্ষায় শিক্ষিত লোক বেশী প্রয়োজন।

২৮ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫১

গৌতম রায় বলেছেন: বর্ত্মান প্রেক্ষাপটে - প্রেক্ষাপটটা পছন্দ হয়েছে। :)

১২| ২৮ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৬

ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: আমি এই প্রস্তাব সর্বান্তকরণে সমর্থন করছি (এখানে টেবিল চাপড়ানোর আওয়াজ হবে)... :)

২৮ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২১

গৌতম রায় বলেছেন: কোন প্রস্তাব জনাবা?

টেবিল চাপড়ানো যাবে না, হয় হাত ব্যাথা হবে, নয় টেবিল ভাঙবে। ভেটো প্রদান করা হইল।

১৩| ২৮ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৬

ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: সে কি !! কোন প্রস্তাব সেটাই বুঝতে পারেননি? আরে জনাব আপনার ঐ 'বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর গুরুত্ব বৃদ্ধির প্রস্তাব'... এ ছাড়া আর কোনও প্রস্তাব আছে নাকি এখানে???

কোথায় আমি প্রশংসা করে টেবিল চাপড়ালাম, আর আপনি ভেটো দিয়ে দিলেন !

হায় বাঙালী......... প্রশংসার মর্ম বোঝে না। :(

২৮ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:১৭

গৌতম রায় বলেছেন: জনাবা, প্রস্তাব ঠিকই বুঝেছি, বুঝে না বোঝার ভাব করলে মাইক্রোমন্তব্য থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আমি আবার মাইক্রোমন্তব্য পছন্দ করি না তো!

তবে টেবিল চাপড়ানোর বিরুদ্ধে আবারও ভেটো। হয় হাত ভাঙবে, নয় টেবিল। কোনোটাই চাই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.