নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাতে সময় খুব কম।

দারুণ অলস। একবার কর্মঠ হইলে খবর আছে।

গুডুবয় রুমন

নিজেকে এখনো চিনতে পারিনি।

গুডুবয় রুমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক দুর্নীতিবাজের আত্মোপলব্ধি

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

দুনিয়ার মোহই সকল অনিষ্টের মূল। দুনিয়ার ভালোবাসা বলতে দুনিয়ার সব কিছুকেই বুঝায়। এর মধ্যে সর্ব প্রধান হলো নিজ জীবনের মায়া বা আরো বেশী বাঁচতে চাওয়া। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে ধন-সম্পদ, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-বানিজ্য তথা যা কিছু দুনিয়াতে আছে সব কিছুই।



আসুন আমরা প্রত্যেকে আমাদের নিজেদেরকে যাচাই করে দেখি। দেখবেন আমাদের গোটা জীবনের কর্মসূচিই আমরা সাজিয়েছি এই দুনিয়ার বৈষয়িক উন্নতিকে কেন্দ্র করে। দেখুন, ঘুম থেকে জেগে ওঠা থেকে শুরু করে আবার ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা কতো কাজ করি, কতোক্ষন চিন্তা করি? আর আমাদের এই যাবতীয় চিন্তা-ভাবনা ও কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রিয় বিষয় কী থাকে? আমি আমাকে এবং আপনিই আপনাকে যাচাই করার জন্য যথেষ্ট।



সারাক্ষণ আমরা দুনিয়ার উন্নতি নিয়ে থাকলেও আমরা কমপক্ষে দশটি দুনিয়ার সমান জান্নাতেরও আশা করি বেশ আস্থার সাথেই। হূর, গিলমান আর স্বর্ণ-রৌপ্য নির্মিত বাড়িরও স্বপ্ন দেখি! সত্যিই বিচিত্র! সত্যিই! আমাদের সীমাহীন আশা-দুরাশার কথা কুরআনের ভাষায় এভাবে এসেছে: “আমাকে যদি আমার রবের কাছে ফিরিয়েও নেওয়া হয় তবে সেখানেও নিশ্চয়ই আমার জন্য রয়েছে অবারিত কল্যাণ” [আশ শূরা, ৪১:৫০]



দুসংবাদ হলো, আয়াতের কথাটি মুমিনদের চরিত্র বৈশিষ্ট প্রসঙ্গে বলা হয়নি; বরং বলা হয়েছে কাফিরদের বৈশিষ্ট প্রসঙ্গে।



আমল দিয়ে আমরা কেউ জান্নাতে যেতে পারব না সত্য। জান্নাত একমাত্র আল্লাহর রহমতেই পাওয়া যাবে। কিন্তু সেই রহমত প্রাপ্তির জন্য একটা যৌক্তিক মাত্রার একটা প্রচেষ্টা তো থাকতে হবে। আল্লাহ তো তখনই রহমত করবেন যখন তিনি আমাদের এই প্রচেষ্টা দেখে সন্তুষ্ট হবেন; দেখবেন যে, আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়েছি।



আসুন তো, আমরা একটু দেখে নিই যে, আমাদের জীবনে আমরা যা কিছু অর্জন করেছি তার কোনোটি কি এমনিতে হয়েছে? এই যে চাকুরিটি করছি, কিংবা যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দাড় করিয়েছি, যে বাড়িটি নির্মান করেছি—তা কি কোনো প্যাসিভ বা পার্ট টাইম কাজ করে, কিংবা মাঝে মধ্যে একটু সময় দিয়ে করে ফেলতে পেরেছি? অবশ্যই পারিনি।



আপনি আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রস্তুতি আরম্ভ হয়েছে। আমাদের বাবা-মা আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে ভেবেছেন। যথাসম্ভব অল্প বয়সে স্কুলে পাঠানোর চেষ্টা করেছেন। এরপর পনের বিশ বছর ধরে টানা লেখা-পড়া করেছি। দিন নাই রাত নাই। এই ক্লাস শেষ করে ঐ কোচিং; আরো কতো কী। কতো যাচাই-বাছাই, চিন্তা পরিকল্পনা হয়েছে। কী সাবজেক্টে পড়লে ভবিষ্যত ‘উজ্জ্বল’ হবে। জব মার্কেটে আমাদের ভালো ডিমাণ্ড থাকবে। ভালো ‘কর্পোরেট গোলাম’ হতে পারবো!



এরপর গোলামীর রশি গলায় পড়ার পর থেকে আরেক লেভেল শুরু। সকাল থেকে সন্ধ্যা গাধার খাটুনি। বিনামূল্যে ‘রিজিকদাতার’ সন্তুষ্টির কথা দু’পায়ে দলে আমকে নিংড়ে সবকিছু বের করে নেওয়ার বিনিময়ে যারা নিছক কিছু কাগুজে নোট ধরিয়ে দিলো সেই ‘টাকাদাতার’ গোলাম হয়ে গেলাম। মেরুদণ্ডটা আর সোজা করে দাড়াতে পারলাম না। বস বলেছে তাই দাড়ি কাটলাম রোজ সকালে; ‘কাজের চাপে’ সময় পেলাম না, সালাতটুকু আদায় করা হলো না। সূদ-ঘুস হালাল-হারাম বাছলাম না। চাকুরি-দাতাদের মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য কতো রকম দু’নাম্বারি করলাম। ফাকে-ফোকরে নিজের পকেটেও কিছু পুরলাম।



গরুকে দিয়ে সারা দিন হাল চষে সন্ধায় যেমন কিছু খড়কুটো দেয় তেমনি কিছু কাগুজে খড়কুটো আমাদেরও জুটেছে। মাঝে মধ্যে মুখের ঠুসি ফাক দিয়ে জিহবা বের বের করে অন্যায়ভাবে দু’ এক ছোপ খেয়েছিও বটে; আর জোয়াল টেনেই চলেছি। কী পেলাম জীবনে হিসেব কষেছি কখনো একান্তে বসে? নিজের সাথে? বিবেকের সাথে?



সৃষ্টিসুত্রে প্রাপ্ত মনুষ্যত্ববোধটা জুতার ভেতরের কাঁটার মতো খোঁচাতো প্রথম প্রথম। অস্বস্তি লাগতো। ‘আমরা ভাই চাকুরি করি, আমরা অসহায়’ বলে ভেতরের বিদ্রোহ করে ওঠা বিবেকবোধটাকে আহত করতে করতে ভোতা করে ফেলেছি; একসময় গলা টিপে মেরেই ফেললাম। বড্ড জালাতন করে। ধিরে ধিরে হয়ে উঠলাম মানুষের খোলসে এক সাক্ষাত শয়তান।



উপর নির্দেশে, ক’টা পয়সার লোভে নির্দোষ মানুষের উপর গুলি চালালাম; গ্রেফতার করলাম, টর্চার করলাম অমানুষিক। মা ছাড়াতে এলে গলায় তো স্বর্ণের চেইন দেখেছিলাম; ওটা তো বেচে টাকা দিতে পারবে। জানতাম বেচারার হালের বলদ কিংবা দুধের গাভিটি ছাড়া কিছুই নেই। আমার কী আসে যায় তাতে? বসকে তো বখরার ভাগ দিতে হবে। আমি না খেলেও তো তিনি বিশ্বাস করবেন না; দে প্যাদানি। নিজেকে প্রবোধ দিলাম, আমার কী দোষ?



এভাবে সকাল হয় সন্ধ্যা হয়, রাত পোহায়। নিজেকে প্রশ্ন করি কী পেলাম এতো কিছু করে? আমি কি সত্যিই শান্তিতে আছি? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে চোখ রাখতে পারি? না পারি না। চোখের ভেতরে নিজের একটা ঘৃণ্য, বিভৎস চেহারা ফুটে ওঠে। নিজেকে দেখে নিজেরই গা গুলিয়ে ওঠে, বমনেচ্ছা হয়।



আসলেই কি এতো কিছু করে আমি আমার জীবনকে উপভোগ করতে পেরেছি? না কি কেবল জীবনের ঘানিই টেনে গিয়েছি? উপরওয়ালা, কোম্পানী ও স্ত্রী-সন্তানদের লালসা আর চাহিদার আগুনে নিজের সততাকে পুড়েছি, মনুষ্যত্ববোধকে জলাঞ্জলি দিয়েছি। এদের কাছে আমি তো একটি উদ্দেশ্য হাসিলের যন্ত্র; লাঠিয়াল বাহিনী, কিংবা টাকার মেশিন ছাড়া কিছুই নই!



আমি কিন্তু ঐতিহ্যবাহী বনেদি মুসলমান ঘরের সন্তান। ‘নিয়মিত জুম‘আর নামাজ পড়ি’। সে দিন মসজিদের ইমাম সাহেব খুতবায় রিজিক নিয়ে অনেকগুলো কথা বললেন। শুনে আমার সব কিছু কেমন যেন ওলট-পালট লাগলো। তবে মসজিদ থেকে বের হয়েই ভুলে গিয়েছি। এখন আর সমস্যা হচ্ছে না। তিনি বলেছিলেন,



“আচ্ছা বলুন তো, আপনার অফিস যদি আপনাকে মাসে কোটি টাকাও বেতন দেয়, আর আল্লাহ যদি আপনার অক্সিজেন বন্ধ করে দেন তাহলে কী করতেন সেই টাকা দিয়ে? নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তো মুহুর্তে ঢলে পড়তেন মৃত্যুর কোলে। অথচ তিনি তো এর বিনিময়ে তো একদিনও আপনাকে দিয়ে কাজ করালেন না! তিনি যদি রিজিক বন্ধ করে দিতেন তাহলে আপনি কী খেতেন? আপনি খাবার টেবিলে বসে একটু ভাবুন। বিবেকের বন্ধ তালাটাকে একটু খুলুন। দেখুন আপনার সামনে কতো রকম খাবার আছে। ভাত, মাছ, সবজি, গোশত, ডাল। একবার ভাবুন তো। এই ভাত ক’টা আপনার সামনে আসতে কতো শত প্রক্রিয়া পার হয়েছে! কতো কিছুর প্রয়োজন হয়েছে! চিন্তা করুন যখন কৃষক তার এক বিঘা জমিতে মাত্র ৫০/৬০ কেজি ধান ফেলেছিলেন। তারপর মাত্র সেই ৫০/৬০ কেজি ধান থেকে কে ৪০/৫০ মন ধান উৎপাদন করে দিলেন? আর এই ধান উৎপাদন হতে বৃষ্টির পানি প্রয়োজন হয়েছে, সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয়েছে, বাতাসের প্রয়োজন হয়েছে। কে ব্যবস্থা করেছেন তা? যে মাটিতে তা বপন করা হয়েছে তা-ও বা কার? কে দিয়েছে এই মাটির উৎপাদন ক্ষমতা?



আকাশ-বাতাশ, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, মাটি-পানি কতো কিছু ব্যবহার হয়েছে আপনার সামনের প্লেটে থাকা খাবারটুকু প্রস্তুত হয়ে আসতে। আপনি ক’টাকা বেতন পান? এই সূর্যের আলো, এই মেঘ-বৃষ্টি, আলো-বাতাসের দাম কি আপনি দিতে পারবেন?



তাহলে কেন এই মহান ‘রিজিকদাতার’ অবাধ্যচারিতা করে নিছক ক’টা ‘টাকাদাতার’ পা-চাঁটা গোলামী করছেন?”



ইমাম সাহেবের কথাগুলো ভুলে থাকার চেষ্টা করলেও থাকা যায় না। আমাদের একই বিল্ডিংএ এক ভদ্রলোক থাকেন। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত; অথচ লম্বা দাড়ি; তার ঘরে অনেক বই-পত্তর। অনেক লেখা-পড়া করেন মনে হয়। তার উপর দিয়ে কতো বিপদ-আপদ গেলো, কিন্তু সব সময় তার চেহারায় কেমন যেন একটা প্রশান্তির দ্যুতি ছড়িয়ে থাকে। মাঝে-মধ্যে মনে হয়, আহ! তার মতো হতে পারতাম!



সে আমাকে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে। এই তো সেদিন বললো, রিজিক পাওয়া না পাওয়ার সাথে নাকি কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। সকল সৃষ্টির রিজিক সরবরাহের দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলা নিজ দায়িত্বে নিয়ে নিয়েছেন। কাজের সাথে রিজিকের সম্পর্ক কেবল খুঁজে নেওয়ার। আল্লাহ বলেছেন সালাত আদায়ের পর তোমরা জমীনে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অন্বেষণ করো। আর এই সম্পর্কটুকুও আল্লাহ ইচ্ছে করে রেখেছেন আমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। অন্যথায় আল্লাহ চাইলে অবশ্যই কোনো কাজ ছাড়াই প্রত্যেকের রিজিক তার কাছে পৌছে দিতে পারতেন। আমার জন্য যা বরাদ্দ আছে তা নাকি আমি অবশ্যই পেয়ে যাবো। কোনো অন্যায় না করলেও নাকি পাবো।



সে আমাকে আরো বললো, “আপনি আপনার নিজের জীবনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখুন, এ সত্য আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। দেখবেন কোনো কাজের জন্য আপনি হয়তো জান-পরান দিয়ে খেটেছেন, কিন্তু সেটি হয়নি; আবার সামান্য খেটেই হয়তো তার চেয়ে অনেক গুন বেশী পেয়ে গেছেন। কেবল পরিশ্রমের আনুপাতিক হারের সাথেই যদি রিজিক কম-বেশি হওয়ার সম্পর্ক থাকতো তাহলে যে কাজে আপনি অধিক পরিশ্রম করেছেন তার মাধ্যমেই আপনি বেশি পেতেন। কিন্তু তা হয় না।



আপনার জন্য যেটুকু বরাদ্দ তা আপনি পাবেনই—এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কেবল তা কিভাবে পেতে চান সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। আপনি কি হারাম ভাবে পেতে চান, না কি হালালভাবে; সম্মানের সাথে না কি লাঞ্ছনার সাথে—সে সিদ্ধান্তটা আপনাকে নিতে হবে”।



আমি তার কথাটাকে মোটেই ফেলে দিতে পারছি না। কারণ, আমার নিজের জীবনে এমন অনেকবার ঘটেছে, অনেকবার।



আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর একটা ঘটনা আমি তো চাক্ষুষ দেখেছি। সে বেশ সৎ মানসিকতার; অন্যায়ের সাথে কখনো আপস করে না। সে একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। প্রতিষ্ঠানের কিছু অন্যায়-অবিচার তার নজরে এলে বিষয়টি প্রথমে সে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু তারা বিষয়টির কোনো ন্যায়ানুগ সমাধানের চিন্তা না করে উলটো তার উপরই ক্ষিপ্ত হয়। সে বুঝতে পারলো যে তারা তাদের অন্যায় শোধরাবেই না; সে বরং তাদের জন্য একটা সমস্যা হয়ে গেছে। সে অন্যায়ের সাথে আপস না করার সিদ্ধান্ত নিলো। বললো, হয় আপনারা এই অন্যায় বন্ধ করবেন, অন্যথা আমি চাকুরি ছেড়ে দিবো। সে সত্যিই চাকুরি ছেড়ে দিলো। এফোর্ড করতে না পেরে সে তার স্ত্রী-পরিবার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলো। কি আশ্চর্য ব্যাপার! মাস তিনেক যেতে না যেতেই তার পুর্বের প্রতিষ্ঠানের বেতনের চেয়ে ক’য়েক গুণ বেশী রোজগারের সম্মানজনক ব্যবস্থা আল্লাহ তাকে করে দেন।



আমি এখন আমার আমার হারানো বিবেকবোধটাকে ফেরত পেতে চাই। আমার সেই আত্মীয় সেদিন আমাকে বললেন, গোটা দুনিয়ার জীবনটাই আমাদের জন্য পরীক্ষা। কিন্তু আমরা অনেক সময় নিজেরা পরীক্ষা না দিয়ে আল্লাহকে পরীক্ষা করতে চাই। হারাম ব্যবসা, হারাম চাকুরী না ছেড়ে বলি, “আল্লাহ যদি একটা ভালো ব্যবস্থা করে দেন তাহলেই এটা ছেড়ে দেবো”।



অথচ আল্লাহ যে আগেই হারাম কাজ করতে নিষেধ করেছিলেন তার বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করিনি। আমরা যেন আল্লাহকে পরীক্ষা করছি যে তিনি একটা হালাল উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন কি না। আমরা যেন আল্লাহর পরীক্ষা নিচ্ছি।



আমরা হালাল খেলে যেমন আল্লাহর কোনো লাভ নেই, তেমনি হারাম খেলে আল্লাহর কোনো ক্ষতি নেই। এর লাভ-ক্ষতি পুরোটাই আমাদের। হারামের পরিণতি আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে; ইহকালেও, পরোকালেও।



আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন অন্যায় পরিত্যাগ করার। সৎ ও সাহসী জীবন যাপন করার। মেরুদণ্ড সোজা করে দাড়াবার; মানুষের মতো বাচার।





Collected From Brother

Ahmed Rafique

কার্টেসী: সমকালীন ডটকম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.