![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজে আজাইরা, অন্যরেও আজাইরা থাকতে উৎসাহিত করি।
আওয়ামী সরকারের এই মুহূর্তে সবচাইতে বড় রাজনৈতিক শত্রু যদি বিএনপি হয়ে থাকে, তবে সবচাইতে বড় রাজনৈতিক মিত্র হোলও জামায়েত, আর এই দহরম-মহরম এতই অন্তর্নিহিত যে, সাদা চোখে টা দৃশ্যমান নয়,
একটা পুরনো গল্প আছে এমন,
এক লোক প্রায়ই ১০/১৫ টা গাধা নিয়ে সীমান্ত পার হয়, গাধার পিঠে থাকে অনেকগুলি পুঁটলি, সীমান্তে কর্তব্যরত কাস্টমস কর্মকর্তার সবসময়ই সন্দেহ হয় যে এই লোক চোরাকারবারি, কিন্তু সে প্রত্যেকবার তার গাধার পিঠে থাকা পুঁটলিগুলি যত ভালোভাবেই চেক করে দেখে না কেনও, এমন কিছুই খুঁজে পায় না, এইভাবে দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়, মালবাহী গাধাও সীমান্ত পার হতে থাকে, কাস্টমস কর্মকর্তার হতাশাও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়, আর একটা সময় বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার চাকুরীজীবনেরও ইতি ঘটে।
অবসর থাকাকালীন একদিন রাস্তায় তার দেখা হয়ে যায় সেই লোকটার সাথে, দেখে বুঝা যায়, সে নিজেও এখন অবসরেই আছে,
কাস্টমস কর্মকর্তা এই কথা সেই কথার পর তাকে জিজ্ঞেস করে, এখন তো আমরা দুইজনেই অবসরে, আশা করি এখন আপনি আমাকে সত্যি কথাই বলবেন, আমার ধারণা ছিল আপনি একজন চোরাকারবারি, কিন্তু আপনি কি চালান করতেন সেটা আমি খুঁজে পেতাম না কেনও??
লোকটা তখন একগাল হেসে বললও, আপনার অনুমান সত্য, আমি চোরাকারবারিই ছিলাম, আর আপনি গাধার পিঠে পুঁটলি চেক করতেন, আর আমি আসলে গাধাই চালান করতাম।
আই-ওয়াশ বা চোখে ধুলো দেয়া, যাই বলি না কেনও, গল্পের মতোই তার আরেকটি উদাহরণ হতে পারে বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, যেখানে বিএনপিকে দাবাইয়া রাখার সবচাইতে বড় অস্ত্র হোলও জামায়েত শিবির ইস্যু, সেই সাথে জামায়েত নিষিদ্ধ হয়ে গেলে, এরশাদ- খালেদা আঁতাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুন, যেহেতু এখন এটা জানা কথা যে, এরশাদ বুঝে শুনে ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চা হওয়ার জন্য বিএনপি- জামাত নেতৃত্বাধীন জোটে যাবে না,
এমন একটা শক্তিশালী মরনাস্ত্র কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইছে না আওয়ামীলীগ,
জামাতি জারজগুলা একটার পর একটা নৃশংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সরকার তাদের দমাতে পারছে, তাদের মদদ-দাতা মাহমুদর রহমান শুয়োর এবং তারই বিষ্ঠা আমার-দেশ নিয়েও বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেই।
আমাদের পতাকা যেখানে দ্বিখণ্ডিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক- বাহক আওয়ামীলীগ নির্বিকার, প্রজন্ম- চত্বর উত্তাল আর তারা সংহতি জানিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে,
অবিলম্বে জামায়েত ইসলামী নামের এই পাকিস্তানী ভূত আওয়ামীলীগ তার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবে আশা করি,
জামায়েত নিষিদ্ধ হবে আসছে স্বাধীনতা দিবসের আগেই,নাহলে জাগ্রত প্রজন্ম তোমাদের ক্ষমা করবে না কিছুতেই,
জয় বাংলা
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
আহলান বলেছেন: আসলে চারা গাছ সহজে উপড়ে ফেলা যায়, শেকড় গজিয়ে গেলে তা উপড়ানো তত সহজ নয়। জামাতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করা হয়তো যাবে, কিন্তু এদের সমর্থকদেরকে কিভাবে ডিলিট মারবেন? এরা নতুন ব্যানারে মাঠে নামতে পারে, আন্ডার গ্রাউন্ড কোন সংগঠন গড়তে পারে, নাশকতামুলক কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতে পারে। হাসিনা খালেদা বা জয় পুতুল তারেক -এদের কিন্তু কিছুই হবে না, এরা বহাল বিয়তেই থাকবে ... নিজেদের কথা একটু ভাবুন ... শহবাগের আন্দোলোনে অনেক স্কুল কলেজের পোলাপান ক্লাস ফাকি দিয়ে অংশ নিচ্ছে, তারা আপনার আমার সন্তান, তারা তাদের ভবিষ্যৎকে আশংকায় ঠেলে দিচ্ছে, কিন্তু ৩০০ আসনে উপবিষ্ট কোন এমপি মন্ত্রীর ছেলে মেয়েকে কি দেখেছেন মিছিল করছে. গুলি খেয়েছে, মারা গেছে .... এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধেও কিন্তু কোন আওয়ামিলীগের নেতা কর্মির ছেলে মেয়েরা উপস্থিত নাই। খোদ জয় সাহেবও সুদূর বিদেশ ...কি দেশপ্রেম ... আহা